Tag: হামলা

  • সাংবাদিকের উপর নৌকা সমর্থকদের হামলা;প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ!

    সাংবাদিকের উপর নৌকা সমর্থকদের হামলা;প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ!

     

    স্টাফ রিপোর্টারঃ সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সিরাজগঞ্জের  সাংবাদিকরা নৌকা সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের শিয়ালকোলে সড়ক অবরোধ করেছে গণমাধ্যম কর্মীরা।

    আজ রোরবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১০টার সময় সদর উপজেলার শিয়ালকোল বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ১০টা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের এ কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করে শিয়ালকোল বাজার বনিক সমিতি এক ঘন্টাব্যাপী দোকানপাট বন্ধ রাখে।

    এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন,সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে এসে লাঞ্চিত হবে, তাদের উপর অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখানো হবে এটা কখনোই কাম্য নয়। আওয়ামীলীগ প্রার্থীর স্থানীয় সমর্থক ও কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। অবিলম্বে ওই হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানান বক্তারা।

    সাংবাদিক সাজিরুল ইসলাম সঞ্চয়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু, সহ-সভাপতি ইসরাইল হোসেন বাবু,যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ সরকার,সাবেক সভাপতি হারুন-অর-রশিদ খান হাসান,দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাবেক অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান উজ্জল,জহুরুল ইসলাম,বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি স্বপন চন্দ্র দাস,এসএ টিভির রহমত আলী,সেলিম শিকদার ও বদরুল আলম দুলাল প্রমূখ।

    প্রায় দেড় ঘন্টা অবরোধের পর পুলিশ সুপার আশ্বস্ত করলে সাংবাদিকরা তাদের অবরোধ তুলে নেন।

    পরে সংবাদ সম্মেলন করে স্বতন্ত্র চার প্রার্থী সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবী জানিয়ে বলেন,এখানে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করতে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে প্রতিদিনই মহরা দিচ্ছে। আওয়ামীলীগ প্রার্থী এক ভোট পেলেও চেয়ারম্যান হবে এমন ঘোষণা দিয়ে আসছে। তারা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম বাবু, এরশাদ রানা, মঞ্জুর আলম, আব্দুস সালাম।

    প্রসঙ্গত, শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লেভেল পেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবীতে স্বতন্ত্র ৪ প্রার্থী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ওই সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে আসার পথে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুরুল আলমকে বাঁধা প্রদান ও হামলা করে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা। এ সময় ছবি তুলতে গেলে প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইসরাইল হোসেন বাবুসহ সাংবাদিকদের উপর হামলা, হুমকি-ধামিক ও অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

  • সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদে উল্লাপাড়ায় যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল।

    সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদে উল্লাপাড়ায় যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল।

    স্টাফ রিপোটারঃ সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

    মঙ্গলবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌরশহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কার্যালয়ে ফিরে এসে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে।

    উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আজিজুল ইসলাম শাহআলমের সভাপতিত্বে এ সময় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক প্যানেল মেয়র এস.এম. আমিরুল ইসলাম আরজু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পান্না, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক তোফায়েল আহমেদ বকুল, যুবলীগ নেতা রুমনসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।

    প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, সংঘাত নয়- সম্প্রতিতে দেশ গড়ি। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আসুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক, উদারচিন্তার একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

  • ছাতকে শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।

    ছাতকে শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।

    ফজল উদ্দিন,ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সহকারী শিক্ষক কবির আহমদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরমুজ আলীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। সর্বদলীয় প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য ফোরামের ছাতকের উদ্যোগে রবিবার ৩ অক্টোবর দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

    মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক আশিকুর রহমান, মোনায়েম খাঁন, মাওলানা ফিরোজ আহমদ,গোবিন্দ মোহন সরকার, জয়নাল আবেদীন, হেলালুল ইসলাম, মাওলানা শামছুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ, মমিনুর রহমান, নিত্য রঞ্জন দাস, নুরুল ইসলাম, মানিক মিয়া, মুজিবুর রহমান, আবুল খয়ের মো. ইকবাল, আবু সাঈদ মাহমুদ, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা সালেহ আহমদ কবির, ভাসবী চৌধুরি লিলি, সুলতানা জাহান, জুলহাস উদ্দিন, হুশমত আলী, দুলন কুমার তরফদার, প্রনব দাস মিন্টু, মাওলানা ইমাদ উদ্দিন মানিক, মাওলানা আমিরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, রুহুল ইসলাম পলাশ, নিজাম উদ্দিন, আবু সালেহ নোমান, রেজ্জাদ আহমদ, এএসএম ইমলাম উদ্দিন, মুহাম্মদ রুহুল আমিন প্রমূখ।

     

    শিক্ষকদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে প্রথমেই বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিঞা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শুভাষ চক্রবর্তী।

    এ সময় বক্তারা বলেন,কবির আহমদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও মূল আসামীরা এখনও পুলিশের ধরা-ছোয়ার বাহিরে রয়েছে। এদিকে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্ষেতের জমি থেকে ঘাস কাটার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন জাউয়াবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরমুজ আলীর উপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। পৃথক দুটি ঘটনা তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান।

    উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মায়েরকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দুই জনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হন শিক্ষক কবির আহমদ। তিনি সিংচাপইড় ইউনিয়নের সৈদেরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আহত শিক্ষক কবির আহমদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

    মানববন্ধ শেষে শিক্ষক নেতারা হমালাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

  • লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ লেতাকর্মীর উপর মেয়রের ছেলে হামলা করেছে।

    লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ লেতাকর্মীর উপর মেয়রের ছেলে হামলা করেছে।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা উপলক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করার সময় যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। খোদ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।

    আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌরসভার গণকবর ও জেলেপল্লি এলাকার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। সালাহ উদ্দিন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের আলোচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ছেলে। তবে সালাহ উদ্দিন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

    দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের ঢাকা থেকে রামগঞ্জ হয়ে লক্ষ্মীপুরে আসার সূচি নির্ধারিত ছিল। এ জন্য অন্তত ১২ জন সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে দাঁড়ান। এ সময় যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।

    হামলায় জেলা যুবলীগের সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আজিমসহ ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সৈয়দ নুরুল আজিম বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে। সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন মোটরসাইকেলে এসে এ হামলা চালান।
    সালাহ উদ্দিন জানান, নুরুল আজিমের সঙ্গে তাঁর বাদানুবাদ হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি। নুরুল আজিম মিথ্যাচার করছেন।

    হামলায় আহত অন্য ব্যক্তিরা হলেন সদর (পূর্ব) থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রূপম হাওলাদার, কর্মী আবদুল মতিন,মো.তারেক, মো.জামাল উদ্দিন,আবদুল হাশেম,খুরশিদ আলম,আবুল কাশেম,মো.সবুজ ও মনির হোসেন। আহত ব্যক্তিরা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

    নুরুল আজিম আগে তাহের পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন নুরুল।

    ওই মামলায় মেয়র তাহেরের বড় ছেলে এ এইচ এম বিপ্লবও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হন। পরে তাঁদের সাজা মওকুফ করা হয়। নুরুল নিজেকে জেলা যুবলীগের সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঘোষণা করলে তাঁদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

    এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকা ও বিভিন্ন ব্যর্থতার অভিযোগে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে আজ জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা চলছে। এবারের বর্ধিত সভা নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যে পদপ্রত্যাশীরা শহরে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙিয়েছেন।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিপন বড়ুয়া বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। মারধরের ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • শেরপুরে স্বত্বদখলীয় সম্পত্তির উপর হামলা ও গৃহিনীকে বেদম মারপিট।

    শেরপুরে স্বত্বদখলীয় সম্পত্তির উপর হামলা ও গৃহিনীকে বেদম মারপিট।

    বগুড়া শেরপুরে বেলগাড়ী গ্রামের পারুল বেগমের স্বত্বদখলীয় সম্পত্তির উপরে হামলা করে বেদরক মারপিট করেছে নামিক আসামিগণ। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে শেরপুর থানায় মামলা করেন।

    বাদীনি মামলায় উল্লেখ করেন সে একজন সহজ সরল, গ্রাম্য সাধারণ মহিলা অপর পক্ষে আসামীগণ একদলবদ্ধ, অন্যায়কারী, পরধন লোভী আইন অমান্যকারী ব্যক্তি। আসামীগণ এলাকায় বিভিন্ন ধরণের অপকর্মের জড়িত। তাহাদের দলীয় লোকজন লইয়া বিভিন্ন ধরণের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। বাদীনির পিতার তপশীল বর্ণিত সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া দখলভোগ করিয়া আসাকালে মৃত্যুবরণ করিলে বাদীনি ও তাহার পিতা ও মাতা উক্ত সম্পত্তিতে স্বত্ববান হইয়া দখলভোগ করিয়া আসিতেছে।

    বাদীনি ও ২/৩ নং সাক্ষীগণ নালিশী সম্পত্তিতে বর্তমান মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বৃক্ষাদি রোপন করিয়া তথায় দেখাশোনা করিতে থাকে। বাদীনির স্বামীর চান্দাইকোনা বাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রহিয়াছে। তাহাতে ব্যবসা করিয়া স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করে। বাদীনি প্রায় সময় তার পিতার বাড়ীতে অবস্থান করে। বাদীনির ২নং সাক্ষীও ব্যবসার কারণে অন্যত্র অবস্থান করিতে হয়। বাদীনির পরিবারের উক্তরূপ স্বচ্ছলতা দেখিয়া আসামীগণ প্রায়ই সময় বাদীনির ক্ষতি করতে চেষ্টা করিতে থাকে এবং তাহাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বেদখলের চেষ্টা করিতে থাকে।

    এমতাবস্থায় বাদীনি ও ২/৩ নং সাক্ষী ১/২নং আসামী পিতার বিরুদ্ধে শেরপুর সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা করে। উক্ত মোকদ্দমা দায়েরের পর হইতে আসামীগণ অতিশয় ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে এবং বাদীনিদের সমূহ ক্ষতি করার চেষ্টা করিতে থাকে। এরই একপর্যায়ে গত-১৯/০৮/২০২১ ইং তারিখে আসামীগণ কতিপয় সন্ত্রাসী ব্যক্তিকে লইয়া বাদীনির স্বামী ও ভাইয়ের অনুপস্থিতির সুযোগে নালিশী সম্পত্তিতে অবৈধভাবে, বেআইনীভাবে প্রবেশ করিয়া তাহাদের হাতে থাকা দা, কোদাল, কুড়াল ইত্যাদি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাদীনির ও তার ভাইয়ের লাগানো চারা গাছ কাটিতে থাকে।

    একপর্যায়ে প্রায় ৭০/৭৫ টি ইউক্যালিপটাস, ১০/১২ আমগাছ ৬/৭টি কাঁঠাল গাছ,১৫/২০ টি কলাগাছ কাটিতে থাকে।

    উক্ত গাছ বৃক্ষাদি দেখাশোনা করার জন্য একটি পার্শবর্তী টিন চালাঘর তৈরি করে এবং তাহারা ভাঙ্গিয়া থাকে, যাহাতে প্রায় ৩ বান্ডিল টিন খুলিয়ে লইতে থাকে।

    এমতাবস্থায় বাদীনি খবর পাইয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে আসিয়া আসামীদের এহেন অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করিলে ১নং আসামী ক্ষিপ্ত হইয়া বলে যে শালাকে শেষ করে দে। এদের খুব বাড়াবাড়ি হইয়াছে। এমত বলামাত্র ২নং আসামী মোঃ শামীম তাহার হাতে থাকে কাঠের বাটাম দ্বারা বাদীনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিতেই বাদীনি মাথা সরাইলে উক্ত আঘাত বাদীনির হাতের ডানায় লাগিয়া গুরুতর জখম হয়।

    ৩নং আসামী তখন ছুটিয়া আসিয়া বাদীনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার ২ হাত দ্বারা বাদীনির গলা চাপিয়া ধরে ইহাতে বাদীনির প্রায় নিঃশ্বাস বন্ধ হইয়া যায় এবং বাদীনি ছটফট করিতে থাকে ২নং আসামী বাদীনির কাপড় চোপড় টানা হেঁচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়।

    একপর্যায়ে ১নং আসামী বাদীনির গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বণের চেইন জোরপূর্বক ছিনিয়া চুরি করে। ২নং আসামী হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীনিকে কাঠের বাটাম দ্বারা মাথা লক্ষ করিয়া আঘাত করলে উক্ত আঘাত বাদীনির বাম পায়ে লাগিয়ে গুরুতর জখম হয়। তখন বাদীনি চিৎকার দিতে থাকলে আশেপাশের লোকজন সহ সাক্ষীগণ আসিতে থাকে। আসামীগণ দ্রুত সকল চারাগাছ, টিন ভ্যানে উঠাইয়া লয় যাহার আনুমানিক মূল্য- ৩৫,০০০/- টাকা এবং স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য ৫০,০০০/- টাকা প্রায় লক্ষাধিক টাার ক্ষয়ক্ষতি করে। পরবর্তীতে ২নং সাক্ষী দ্রুত ঘটনাস্থলে বাদীনিকে আঘাতপ্রাপ্ত দেখিতে পাই ভ্যান যোগে দ্রুত শেরপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করায় ২১ আগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকে।

    এমতাবস্থায় আসামীগণ আরও বলিয়া বেড়াইতেছে যে, আজ বেঁচে গেলি পরবর্তীতে বাদীনিকে ও তার পরিবারের সদস্যদের যেকোন ধরণের ক্ষতি করিবে মর্মে প্রদর্শন করিতেছে। আসামীদের আচরণে বাদীনি ও তার পরিবার লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি।

    বিষয়টি লইয়া বাদীনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাইয়া থানায় অভিযোগ করিতে গেলে আসামীগণ প্রভাবশালী হওয়ায় থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ গ্রহণ না করিয়া আদালতের আশ্রয় গ্রহল করিতে বলে।

    বাদীনির স্বামী এবং ভাই এখনও আসামীদের ভয়ে ঠিকভাবে বাড়িতে থাকিতে পারিতেছে না।

  • হাতীবান্ধায় মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আটক-৪।

    হাতীবান্ধায় মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আটক-৪।

    লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ৩ পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

    মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত সোমবার (৯আগষ্ট) রাতে উপজেলার নওদাবাস এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনার রাতেই ওই ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার পশ্চিম নওদাবাস এলাকার সুধান চন্দ্রের ছেলে বিশ্বনাথ (২১), বিধান (১৯), আব্দুর রহিমের ছেলে আইয়ুব আলী (৪৮) ও পুর্ব নওদাবাস এলাকার সুরুজ্জামানের ছেলে শামীম (২৫)।

    আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার রায়, উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্য জালাল উদ্দিন ।

    এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম আমারজমিনকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার নওদাবাস এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি মোটরসাইকেল রেখে কিছু মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।মোটরসাইকেলটিতে তল্লাশীর সময় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী অতর্কিতভাবে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে যায়।এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িত ৪ গ্রেপ্তার করা হয়।আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

    এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • ঢাকার আশুলিয়ায় চিত্র সাংবাদিকের উপর হামলা-এ ঘটনায় আটক-২।

    ঢাকার আশুলিয়ায় চিত্র সাংবাদিকের উপর হামলা-এ ঘটনায় আটক-২।

    ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় এক “অনুমোদনহীন” বহুতল ভবনের সংবাদ সংগ্রহে করতে গেলে সন্ত্রাসী হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক মনির হোসেন। এঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে।

    আহত চিত্র সাংবাদিক মনির হোসেন ধামরাই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত মনির হোসেন সাভার উপজেলা সময় টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত আছে।

    আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ কবরস্থান রোড এলাকার আমিন মডেল টাউনে শুক্রবার ( ৩০ জুলাই ) বিকেলে হামলার এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন রবিউল ( ৩২ ) ও আব্দুস সোবাহান ( ৪৫ )।

    চিত্র সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনাটি ধারণ হয়েছে সিসিটিভিতে। ফুটেজে ওই সাংবাদিককে মারধর ও লাঞ্ছিতের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। দেখা যায় দলবদ্ধ হয়ে টেনাহিচড়ে ওই সাংবাদিককে মারধর করা হয়।

    মনির হোসেন জানান অবৈধভাবে নির্মিত নয়তলা ভবনের ছবি সংগ্রহের জন্য আমি সেখানে গেলে, ফুটেজ সংগ্রহের সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১০- ১২ জন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা চালায়।

    এসময় আমাকে গালিগালাজ ও কিলগুষি মারতে থাকে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় আমি প্রানে বাচি। এসময় পুলিশ দু’জনকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।

    এবিষয়ে ভবনের মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।

    আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক শফিউল্লাহ শিকদার জানান, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সময় টিভির চিত্র সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে আইনগত বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন।

  • হাতীবান্ধায় সাংবাদিক সম্রাটের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গ্রেফতার-৩।

    হাতীবান্ধায় সাংবাদিক সম্রাটের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গ্রেফতার-৩।

    তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সাংবাদিক সেলিম সম্রাটের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে হাতিবান্ধা থানা পুলিশ।

    বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে ওই উপজেলার পারুলিয়া এলাকার তিস্তা নদীর পাড় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।

    এর আগে গত রোববার ওই উক্ত উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের উত্তর পাড়া এলাকায় জমি জবর দখলের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক ও দৈনিক বাহান্নোর আলো পত্রিকার হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সেলিম সম্রাট।ওই হামলার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে সারাদেশে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

    আটক ৩ জন হলেন, বড়খাতা এলাকার আব্দুর রহমানের পুত্র তাইজুল ইসলাম মুকুট (৪৮) আলী রেজা বাদল (৩০) ও তাইজুল ইসলাম মুকুটের পুত্র মিরাজুল ইসলাম হৃদয় (২৮)।

    এবিষয়ে লালমনিরহাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ ইউনুস আলী বলেন, সাংবাদিক সেলিম সম্রাটের উপর হামলার ঘটনাটি আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য লালমনিরহাট পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ। সেই সাথে প্রতিবাদ জানানোর জন্য দেশের সকল সংবাদকর্মী ভাইদের কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

    হাতীবান্ধা থানার (ওসি) এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসমীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

  • সিরাজগঞ্জ তাড়াশে সন্ত্রাসী হামলায় সিএইচসিপি আহত।

    সিরাজগঞ্জ তাড়াশে সন্ত্রাসী হামলায় সিএইচসিপি আহত।

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কমিউনিটি ক্লিনিকে সন্ত্রাসী হামলায় সরকারী সম্পদ বিনষ্টসহ সিএইচসিপিকে মেরে আহত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সবুজ পাড়া নামক কমিউনিটি ক্লিনিকে।

    ১৩ জুলাই মঙ্গলবার সকালে কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি এনামুল হককে মেরে আহত করায় ১) আব্দুর রউফের ছেলে রুবেল হোসেন, ২)সামাউনের ছেলে মিলন ৩) আতার আলীর ছেলে রাসেল ৪) আব্দুল বারিকের ছেলে হাসিনুরসহ অজ্ঞাত নামে তাড়াশ থানায় সন্ধ্যার পর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    জানা গেছে, কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি এনামুল হক যথা নিয়মে ক্লিনিকে গিয়ে অফিস খুলতেই এই সন্ত্রাসী দল তাকে ঔষধ দেওয়ার জন্য বলে। তিনি তাদের কে বলেন অফিসের কাগজ পত্র গুলি ঠিক করে ঔষধ দিচ্ছি। তখনই সন্ত্রাসী দল তাকে গালি গালাজ করতে থাকে। অবস্থা খারাপ দেখে সে তাড়াতাড়ী করে ঔষধ দিয়ে বিদায় করেন। পরে তিনি অফিসের কাজ সেরে রোগীদের ঔষধ দিতে থাকেন।

    প্রায় ৩০মিনিট পর ওই সন্ত্রাসী দল আবারোও ক্লিনিকে প্রবেশ করে আমাকে ঘিরে ফেলে।তার পর গালি গালাজ করতে থাকে ও আমাকে হুমকি দামকি দিতে থাকে। আমি তাদের বলি সরকারী  অফিসের মধ্যে আপনাদের এটা করা ঠিক হচ্ছে না। এ কথা বলতেই তারা আামকে এলোপাথারী ভাবে মারতে থাকে। রোগীরা আমাকে রক্ষা করে। পরে দেখী অফিসের মধ্যে সরকারী সম্পদ অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছেনা।

    এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জামাল মিয়া শোভন জানান, তাড়াশে স্বাস্থ্য সেবায় জড়িতদের উপর কেন বার বার সন্ত্রাসী হামলা করছে তা ভেবে দেখা দরকার। সরকারী দফতরে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা করায় আমরা এর শাস্তি দাবি করছি।

    এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলে আশিক বলেন,অভিযোগটি পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • লক্ষীপুরে নৌকার সমর্থকের উপর হামলা ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর।

    লক্ষীপুরে নৌকার সমর্থকের উপর হামলা ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর।

    লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার ৯নং তোরাবগজ্জ ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডে নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও নৌকার সমর্থক এর উপর অতর্কিত হামলা।

    জানা যায় রোববার ১৩ই জুন বিকেলে ৯নং তোরাবগঞ্জ ৭ নং ওয়ার্ডে নৌকা সমর্থকের লোকজন নৌকার মার্কায় অফিসে বসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময়, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক ফয়সাল আহমেদ রতন চেয়ারম্যান ওতার ক্যাডার বাহিনী মটরসাইকেল দিয়ে এসে রড,হকিস্টিক, রামদা,নিয়ে নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে ও সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করেন।

    রোববার (১৩ জুন) বিকেলে তোরাবগঞ্জের চরপাগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুদম পুষ্প চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    আহতরা হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক নাছির, সোহেল হোসেন, রুবেল হোসেন ওদেরকে উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

    জানা গেছে, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, মির্জা আশ্রফুল জামান রাসেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমেদ রতন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    মির্জা আশরাফুল জামাল রাসেল জানান, ৯নং তোরাবগঞ্জে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রতন চেয়ারম্যান ও তার বাড়াটে গুন্ডা বাহিনী নিয়ে নৌকার সমর্থক এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে রতনসহ তার লোকজন নির্বাচনী কার্যালয়ে কয়েকজন কে পিটিয়ে আহত করেন।

    এ বিষয়ে ফয়সল আহমেদ রতন চেয়ারম্যানের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নিতে ব্যর্থ হন।

    কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে এসি ল্যান্ড ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কর্মকর্তা কিংবা পুলিশের কাছে কেউই অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।