Tag: হত্যা
-
আলোচিত শাকিল হত্যা মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেনের জামিন।
ঠাকুরগাঁওয়ের আলোচিত শাকিল হত্যা মামলার দুই নাম্বার আসামি দেলোয়ার হোসেনকে জামিন দিয়েছে আদালত।বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ এই জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।বিষয়টি বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাড. সৈয়দ আলম নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ভানোর ইউনিয়নের মৎসজীবি লীগের সভাপতি শাকিল আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও দুই নাম্বার আসামী দেলোয়ার হোসেন জামিনের আবেদন করলে মহামান্য আদালত দেলোয়ার হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন আর প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে পুনরায় জামিনের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য্য করেছেন।এদিকে দুই নাম্বার আসামীর জামিনে আতংকে রয়েছে শাকিলের পরিবার।এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) প্রায় দুই শতাধিক লোকের শোডাউন নিয়ে আদালতে আত্মসমার্পন করে জামিন চাইতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে মামালার প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। চেয়ারম্যানকে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালতে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে সংবাদকর্মীদের উপর হামলার চেষ্টা করেন তার ভাড়াটে লোকজন।আদালত চত্বরে হত্যা মামলার প্রধান আসামীর দুইশতাধিক লোকের শোডাউন ও সাংবাদিকদের উপর হামলার চেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলার বিশিষ্টজনরা জানান, আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেখানে একজন হত্যার মামলার প্রধান আসামীর সাথে এতো লোকজন কিভাবে শোডাউন দিয়ে আদালত চত্বরে কিভাবে প্রবেশ করল?আদালতের বারান্দায় সন্ত্রাসীদের এমন ঘটনা সত্যিই হতাশজনক। দায়িত্বরত পুলিশ-প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। সাংবাদিকদের সাথে সন্ত্রাসীরা কেন এমন মারমুখী আচরণ করল? অবশ্যই প্রশাসন এর জবাব দিবেন। আর বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তারা।উল্লেখঃ গত ০৩ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাঈদ আলমের ভাই মৎসজীবিলীগ নেতা শাকিল আহমেদ মারা যায়। পরে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম। সেই মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। -
চোর সন্দেহে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা।
.হাফিজুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃচাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে আম চুরির অভিযোগে শুকুদ্দী (৫৩) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কসবা ইউনিয়নের কান্দুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গুনিরমোড় গ্রামের ফাইজুদ্দিনের ছেলে। এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে নাচোল থানা পুলিশ।আটকৃতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার পোলাডাঙ্গা গ্রামের মহতাজ উলমুলক এর ছেলে আসাদুজ্জামান শামীম (৩৯) ও অন্যজন চককীর্তি গ্রামের আলাউদ্দিন এর ছেলে হাসান আলী (৩০)।খবর সূত্রের, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএমডির নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম এর কসবা ইউনিয়নের কান্দুরা গ্রামে কাটিমন আমের বাগানে আম চুরি করতে আসে শুকিদ্দী সহ আরও কয়েকজন। পরে বাগানের পাহারাদাররা টের পেয়ে তাদের ধরতে গেলে কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ সময় আমসহ শুকুদ্দীকে ধরে বেধড়ক পিটানো হয়, এতে গুরুতর আহত হোন শুকুদ্দী। ১৬ (নভেম্বর) সকালে আম বাগানে তার মৃত্যু হয়।এ ব্যাপারে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিন্টু রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে বুধবার সকালে নাচোল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় শামিম ও হাসান নামে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় নাচোল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। -
বালিয়াডাঙ্গীর শাকিল হত্যাকারীদের হুমকিতে,আতঙ্কিত শাকিলের পরিবার।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ হত্যার ঘটনায় আসামিদের হুমকিতে আতঙ্কে রয়েছে তাঁর পরিবার। মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সহ নয়জন কারাগারে থাকলেও অন্য আসামি ও তাঁদের স্বজনেরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।পরিবারের অভিযোগ, মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তাঁর ভাড়াটে লোকজন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাকিলকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন আসামিরা। মামলা থেকে আসামিদের বাদ দিতে কৌশলে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের লোকজনের।নিহত বড় ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আলম জানান, আসামিদের দেওয়া হুমকিতে প্রতিনিয়তই আতঙ্কে আর ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। মামলার প্রধান আসামিসহ ন’জন গ্রেপ্তার হলেও এখনো অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। আসামি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রতিনিয়তই হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। সাঈদ আলম ও তার পরিবারের লোকজন দিনে ও রাতে আসামিদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। কেন তাদের নামে মামলা করা হলো! কেন তাদের আসামি করা হলো এ নিয়ে তাঁরা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।শাকিলের স্ত্রী কাকুলী আহমেদ বলেন, খুব নৃশংসভাবে আমার স্বামীকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার দুই সন্তান বাবার শোকে পাগল হয়ে গেছে। এখন আবার বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে আমাদের ছাড়বে না। পরিবারের ছোট ছোট সন্তান নিয়ে আমরা অসহায় দিন যাপন করতেছি।শাকিলের মা শাহিনুর বেগম বলেন, আমরা কেউই রাতে বের হতে পারি না, দিনেও অনেক ভয়ে বের হতে হয়। কারণ তারা আমাদের অনেক হুমকি দিচ্ছে। কয়েকজন আসামি ধরা হলেও বাকিরা পলাতক রয়েছে। আমরা অনেক আতঙ্কে আছি, কখন তারা কী করে! আমার নির্দোষ ছেলেটাকে রফিকুল ও তার লোকেরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। যারা আমার বুক খালী করেছে তাদের আমি বিচার চাই। আমাদের অবস্থা শাকিলের মতো করবে বলে হুমকি দেয় তারা। অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছি আমরা।স্থানীয়রা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে সকালবেলা এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভানোর ইউনিয়নের মানুষ চেয়ারম্যানের লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ট। বিএনপির রাজনীতি থেকে উঠে আসা রফিকুল ইসলাম আওয়ামীলীগের যোগদান ও চেয়ারম্যান হওয়ার পর ভানোর ইউনিয়নকে নিজস্ব সম্প্রতি মনে করেন তিনি। একের পর এক অপকর্মের সাথে লিপ্ত থাকেন। কিছু বলতে গেলেই তার পোষা সন্ত্রাসীরা আমাদের ভয়ভীতি দেয়। জেল থেকে বসে যেভাবে তার লোকজন দিয়ে নিহতের বড় ভাই সাঈদ আলম ও তার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে না জানি জামিনের পর ওই পরিবারটির কি অবস্থা হবে। অবিলম্বে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম জানান, ঘটনার পরপরই আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ প্রতিনিয়তই এলাকায় খোঁজ-খবর নিচ্ছে এবং বিষয়টি নজরে রাখছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে আদালতে আত্মসমার্পন করে জামিন চাইতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে মামালার প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ। কারাগারে নেওয়ার সময় আদালতে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গেলে সংবাদ কর্মীদের উপর হামলার চেষ্টা করেন চেয়ারম্যানের সাথে থাকা লোকজন।এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদালতে একজন হত্যার মামলার প্রধান আসামীর সাথে এতো লোকজন আসলো কিভাবে? কারাগারে নেওয়ার সময় সাংবাদিকরা যখন ছবি তুলে তখন চেয়ারম্যানের লোকজন সাংবাদিকদের কাজে বাধা ও হামলার চেষ্টা করেন। আদালতের মতো জায়গায় সন্ত্রাসীদের এমন ঘটনা সত্যিই আমরা হতাশ। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তারা।উল্লেখঃ শনিবার ০৩সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ ও পরিবারের লোকজনকে লাঠিশোঠা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন চেয়ারম্যানের লোকজন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আর আহতদের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শাকিলের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে কর্তব্য চিকিৎসক তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় শাকিল মারা যান। ওই দিনেই ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের বিরুদ্ধে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা করি। র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান সহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেন। -
রাণীশংকৈলে শিক্ষক হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন,বিক্ষোভ।
. ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নুর হোসেন নামে এক কোচিং শিক্ষক হত্যার আসামীদের গ্রেফতার করার দাবীতে। এবং সন্দেহজনক ৭জন আসামীকে গ্রেফতার করে। তিন দিন থানায় রেখে আবার ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে, ভরনিয়া সম্পদবাড়ী এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিশেষে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’ সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভকে স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে।সোমবার (৭ নভেম্বর) বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদের প্রধান সড়ক দিয়ে থানা চত্বর যায় সেখানে প্রায় আধাঘন্টা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করে। উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে তারা উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কে দাড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।এতে বক্তব্য রাখেন,সহকারী শিক্ষক মোকসেদ আলী, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, পৌর আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, ধর্মগড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও নিহত শিক্ষকের মা হোসনা খাতুন ।প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক রমজান আলী,পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমিটাম দিয়ে বলেন, যদি আল্টিমেটামের সময়ের মধ্যে আসামী ধরতে গড়িমসি করেন। তাহলে ধর্মগড়,কাশিপুরবাসীসহ রাণীশংকৈল আ’লীগ যুবলীগ মিলে রাণীশংকৈল উপজেলাকে অচল করে দেওয়া হবে। হরতাল দেওয়া হবে। অতত্রব কোন গড়িমসি না করে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করুন।নিহত শিক্ষকের মা হোসনা বলেন, কারা হত্যা করেছে আমরা বুঝতে পারছি, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের নাম পুলিশকে বলেছি। তারপরেও তারা আসামী ধরে ছেড়ে দিচ্ছে কেন? তাহলে কি টাকার বিনিময়ে আসামীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছেলে হত্যার বিচার কি তাহলে আমরা পাবো না। তিনি অবিলম্বে ছেলে হত্যার আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সকালে ভরনিয়া রাস্তা সংলগ্ন ধান খেতে একই ইউনিয়নের ভরনিয়া চেংমারী এলাকার নুরুল হোসেনের ছেলে হোসাইন আলীর ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় নিহতের পরিবার দাবী করেন এটি পরিকল্পিত হত্যা।রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।স্মারকলিপি পেয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, স্মারক লিপি পেয়েছি। বিষয়টির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -
ঠাকুরগাঁওয়ে শাকিল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি.
ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী ভানোর ইউনিয়নের মৎসজীবি লীগ শাকিলকে হত্যার অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে মৎসজীবি লীগ।বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের চৌরাস্তায় আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।জানা যায়, ৪ সেপ্টেম্বর বালিয়াডাঙ্গীতে আ.লীগের দু’পক্ষের সংর্ঘষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভানোর ইউনিয়ন মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ(২৬) মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় রবিবার ভানোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সহ ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ভানোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নিহতের ভাই সাঈদ আলম।পরে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেন। উচ্চ আদালত তার আবেদন না মঞ্জুর করে এবং নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।১২ সেপ্টেম্বর শাকিল হত্যা মামলার চার আসামীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। তবে ধরাছোঁয়ার বাহিরেই আছেন প্রদান আসামি রফিকুল চেয়ারম্যান সহ আরও কিছু আসামি।বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। তবে প্রধান আসামি রফিকুল চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাকেও গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। -
উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যার চেষ্টা থানায় অভিযোগ।
উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যার চেষ্টা থানায় অভিযোগ।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রকৌশলী দম্পতিকে নৌকা ডুবি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের দিঘলগ্রাম নামক প্রত্যন্ত চলনবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রকৌশলী’র দুই সহোদর ও এক ভাগিনা সহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় জিডি মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগকারী প্রকৌশলীর স্ত্রী নার্গিস ফাতেমা জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের দিঘলগ্রাম থেকে ডিঙি নৌকা যোগে তার প্রকৌশলী স্বামী মোঃ রেজাউল করিম ও তিনি থানা শহর উল্লাপাড়ায় আসছিলেন। পথিমধ্যে তার স্বামীর বড় ভাই গোলাম মোস্তফা বাবলু, দেবর মিজানুর রহমান ও ভাগিনা জেলহক পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের ডিঙ্গি নৌকার গতি রোধ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় তারা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে চাঁদা দাবি করে প্রকৌশলী দম্পতির কাছে। নইলে মারপিট করিয়া ডিঙি নৌকা ডুবাইয়া দিয়া হত্যা করবে বলে হুমকি ও গালিগালাজ করতে থাকে হামলাকারীরা।
এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন নৌকা নিয়ে এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে ভুক্তভুগিদের উদ্ধার করে।
প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে তারা সন্ত্রাসী কায়দার অতর্কিত হামলার স্বীকার হলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশের ৯৯৯ এ ফোন দিলে তারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার মাসুদ রানা জানান,এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্র গ্রেফতার।
ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্র গ্রেফতার।
সিলেটের ওসমানীনগরে পিতাকে হত্যার অভিযোগে পুত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার পশ্চিম রোকনপুরের একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে হত্যাকারী জুবেদ মিয়া(২০) কে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকরী জুবেদ মিয়া বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত লেবু মিয়া(৫০)উপজেলার পশ্চিম রোকনপুর গ্রামের মৃত আসিফ আলীর পুত্র। গ্রেফতারকৃত জুবেদ মিয়া একই গ্রামের লেবু মিয়ার পুত্র।
জানা গেছে, উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের লেবু মিয়া একই গ্রামের বকফুল নেছাকে বিয়ে করেন। ১০ বছর আগে পারিবারিক কলহে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তিন ছেলেকে নিয়ে স্বামীর ঘর ত্যাগ করেন বকফুল। সম্প্রতি বন্যায় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেন লেবু মিয়ার বোন আয়তুন নেছা। গত ২জুলাই তার ৮ বছরের মেয়ে সায়মা আক্তার চাঁদনীকে(৮) বন্যার পানিতে ধাক্কাদিয়ে ফেলে দেয় জুবেদ মিয়া।
বিষয়টি জেনে পরদিন লেবু মিয়া জুবেদকে শাসন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জুবেদ ৪ জুলাই দুপুরে লেবু মিয়ার বাড়িতে তাকে একা পেয়ে কোড়ালের হাতল দিয়ে এলাপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে।
এক পর্যায়ে লেবু মিয়াকে বাড়ির উঠানে বন্যার পানিত ফেলে চলে যায় সে। খবর পেয়ে লেবু মিয়ার ছোট বোন আলাতুন নেছা আহত অবস্থায় লেবু মিয়াকে উদ্ধার করলে জুবেদের মা বকফুল নেছা ও খালা মিলন বেগম সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিনগত রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেবু মিয়ার মৃত্য হয়। পুলিশের কাছ থেকে লেবু মিয়ার মৃতু্যর বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
এই বিষয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে ওসমানীনগর থানায় জাবেদ মিয়াকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন লেবু মিয়ার ছোট বোন আয়াতুন নেছা। মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই জাবেদ মিয়াকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এস আই সবিনয় বৈদ্য বলেন, লেবু মিয়াকে হত্যার অভিযোগে তার পুত্র জুবেদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে জানতে পেরেছি জুবেদ বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি। আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
-
উৎপল হত্যার প্রতিবাদে উল্লাপাড়ায় বাকশিসের মানবন্ধন ও সমাবেশ।
উৎপল হত্যার প্রতিবাদে উল্লাপাড়ায় বাকশিসের মানবন্ধন ও সমাবেশ।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে কলেজ শিক্ষক উৎপল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ জুলাই শনিবার সকাল ১১ টার সময় সিরাজগঞ্জ জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) এর উদ্যোগে আয়োজিত মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে উল্লাপাড়াসহ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন কলেজের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষক ও উল্লাপাড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ গ্রহন করে।
এসময় উল্লাপাড়া উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এইচ টি ইমাম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও এইচ টি ইমাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আবু জাফর এর সঞ্চাচলনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাকশিস সিরাজগঞ্জ শাখার সভাপতি বদিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, সংগঠনের কামারখন্দ শাখা সভাপতি হাসানুর রহমান, বেলকুচি শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম, শাহজাদপুর শাখার সভাপতি রুহুল আমিন,শিক্ষক নেতা আলপনা ভৌমিক, সালাউর রহমান, রফিকুল ইসলাম খোকন, আব্দুল খালেক, নিহত উৎপলের ভাই অলক বন্ধু সরকার,ফাহিমা তন্বী প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে নিহত উৎপলের বৃদ্ধা মা গীতা রানী সরকার মোবাইল ফোনে অংশ নিয়ে প্রধান মন্ত্রীর কাছে তার পুত্র হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উৎপল হত্যা মামলা বিশেষ ট্রাভুনাল আদালতে স্থানান্তর করে ঘাতক আশরাফুল ইসলাম জিতু’র ফাঁসি দাবি করেন।
-
লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার হুমকি।
লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার হুমকি।
লক্ষ্মীপুরের দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ হোসেন খাঁন-কে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সময় আলতাফ খাঁনের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে এবং তার পরিবারের সবাইকে এলাকা ছাড়া করা হবে বলেও হুমকি দেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সালেহ্ উদ্দিন জাবেদ চৌধুরী।
আলতাফ খান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৩নং দিঘলী ইউনিয়ন উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী। তিনি জানান, শুক্রবার (১জুলাই) সকালে দিঘলী দক্ষিণ বাজারে তাঁকে আওয়ামীলীগ প্রার্থী জাবেদ চৌধুরী মাথা কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আবার বিকালে মান্দারী বাজারে তাজল মেম্বার, ইউনিয়ন যুবলীগ আহ্বায়ক মন্জু, সোহেল মেম্বার সহ জাবেদ চৌধুরী তাকে বলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে ত্রিশ লাখ টাকা দেয়া হবে। আর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী থেকে সরে না দাঁড়ালে হত্যা এবং ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।
আলতাফ খাঁন জানান, হুমকির বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করবেন। তিনি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নৌকার চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানলাভ করেন। তিনি আরো বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকলেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না। আমাকে সাধারণ জনগণে নির্বাচনে দাঁড় করাইছে। ওরা (প্রতিদন্ধি প্রার্থী) আমাকে যত হুমকি ধমকি দিক। আমি নির্বাচন থেকে সরে আসবোনা।
আগামী ২৭জুলাই দিঘলী ইউনিয়নে ভোট গ্রহন হবে। অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তারা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত সালেহ্ উদ্দিন জাবেদ চৌধুরী, আলতাফ হোসেন খান এবং চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এম আলাউদ্দিন। আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।