Tag: হত্যা

  • উল্লাপাড়ায় অটো চালককে হত্যা-২ ছিনতাইকারী গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ায় অটো চালককে হত্যা-২ ছিনতাইকারী গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অটোবাইক চালক বাচ্চু মিয়া(৩৫)কে হত্যার পর বাইকটি ছিনতাই করেছে দূর্বৃত্তরা।এ ঘটনায় দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ।

    নিহত চালক উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের চেংটিয়া গ্রামের আফসার আলীর ছেলে।

    জানা যায় রোববার রাতে মধুপুর করবস্থানের পাশের পুকুর থেকে হাত ও মুখ বাঁধাবস্থায় নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।পরে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই হওয়া অটোবাইকটি উদ্ধার করা হয়।
    নিহত বাচ্চু মিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায় রোববার বিকেলে অটোবাইক নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাত গভীর হওয়ার পরেও সে বাড়ি না ফেরায় মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।পরে পরিবারের সবাই রাতের অন্ধকারে খুঁজতে বের হয়। প্রতিবেশিদের মাধ্যমে জানতে পারে মধুপুর কবরস্থানের পাশের পুকুরে বাচ্চুর লাশ পরে আছে।এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাচ্চুর লাশ দেখার পর পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
    গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের পূর্বদেলুয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর ও মংলা।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রাকিবুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনার সাথে জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইকারীরা হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।তাদের তথ্য অনুযায়ী চিনতাই করা অটোবাইকটি উদ্ধার করা হয়েছে।এ ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • ঢাবিতে যুবককে হত্যা: আটক বালিয়াডাঙ্গীর ফিরোজ, হয়রানি না করার আকুতি বাবা-মার।

    ঢাবিতে যুবককে হত্যা: আটক বালিয়াডাঙ্গীর ফিরোজ, হয়রানি না করার আকুতি বাবা-মার।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে (ঢাবি) তোফাজ্জল নামে এক যুবকের হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে একমাত্র ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান ফিরোজ কবিরের বাবা ও মা।
    আজ শনিবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার গ্রামে প্রতিবেদককে ফিরোজ কবিরের বাবা কাঠমিস্ত্রি ফাইজ উদ্দীন ও মা ফিরোজা বেগম এ কথা বলেন।
    ফিরোজের বাবা ফাইজ উদ্দীন জানান, গতকাল স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছেলের ছবি তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের তালিকায় দেখে তাকে জানান। পরে তিনি বাড়ির পাশে স্কুলহাটে গিয়ে দোকানের টিভিতে খবরে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হন। এর আগে তার ছেলে ফিরোজ কবির গত ৩ দিন ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি ।
    ফিরোজের বাবা আফসোস করে বলেন, আমি আমার পরিশ্রম, জায়গা-জমি বিক্রি করে ফিরোজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি। পড়াশোনা শেষ করে ছেলে বিসিএস ক্যাডার হবে, এই স্বপ্নে সব কষ্ট ভুলে যাই। বাড়ির অবস্থা এত জরাজীর্ণ হওয়ার পরও ওর পেছনে সব ব্যয় করছি। গতকালকে ঘটনা শোনার পর থেকে নির্ঘুম দিন কাটছে। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি সবাই।
    ফিরোজের মা ফিরোজা বেগম জানান, ‘মোর বাপ তো সহজ-সরল, এলাকাত কাকো এরা জোড়ে কাথা কহেনি। সেই ছুয়াডা কাকো মারে ফিলাবে, এইডা মি বিশ্বাস করবা পারছু নি। মোর বাপের মোবাইল বন্ধ, তিনডা দিন গেল কুনো কাথা কহেনি মোর সঙ। মি কেংকরে ধরিম মোর বেটা কাকো মারে ফিলাইজে। যুদি মোর বেটা এমন কাজ করে, তাহলে ওয়াক শাস্তি দোক। না হইলে মোর বেটাক পড়াশোনা শেষ করবা দোক। হামারতো ফিরোজ ছাড়া কুনো সম্পত্তি নাই।’
    সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁশের বেড়া আর ছাউনি দিয়ে জরাজীর্ণ দুটি ঘরে বসবাস করেন ফিরোজের বাবা, মা ও দুই বোন। ফিরোজের ছোট বোন ফারজিনা আক্তার নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
    ফারজিনা বলেন, ভাইয়ার এমন খবর শোনার পর থেকে বাবা-মা ভেঙে পড়েছেন। তাকে পড়াশোনা করাতে গিয়ে বাড়ি পর্যন্ত মেরামত করেননি বাবা। গোয়ালঘরের মত ঘরগুলোয় বসবাস করছি। তার ভাই জড়িত না থাকলে হয়রানি মুক্ত রাখার অনুরোধ করেন।
    ফিরোজের খবর গণমাধ্যমে আসার পর থেকেই তার বাড়িতে এসে সকাল থেকে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেধাবী ছিলেন ফিরোজ। এলাকায় তার আচার-ব্যবহারে মুগ্ধ ছিলেন সকলেই। তার এমন খবরে প্রতিবেশীরাও অবাক হয়েছেন।
    ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফিরোজ তার চাচা আইজ উদ্দীনকে ফোন করেছিলেন। তার চাচা জানান, ফিরোজ তাকে ফোন দিয়ে বাবা ও মাকে সান্ত্বনা দিতে বলেছেন। ঘটনার সময় ফিরোজ টিউশনিতে ছিলেন। বন্ধুরা তাকে ফাঁসিয়েছেন বলে চাচার কাছে দাবি করেছেন। তবে এরপর থেকেই ফিরোজের মোবাইল বন্ধ।
    ফিরোজের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছেন সহপাঠী শামীম উদ্দীন। গতকালের খবরের তিনিও দুপুরে এসেছেন সহপাঠীর বাড়িতে। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজে কোনো ঝামেলায় জড়াতো না ফিরোজ। টিভিতে তোফাজ্জল হত্যায় জড়িতদের সঙ্গে তার ছবি দেখে সকলেই অবাক হয়েছি।
    তবে অনেক প্রতিবেশী ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন জঘন্য ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো না। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই। সেখানে ফিরোজ জড়িত থাকলেও। নাহলে পরিবারটিকে যেন হয়রানি না করা হয়।
    ফিরোজ কবির হরিণমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, রত্নাই বগুলাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক এবং সমির উদ্দীন স্মৃতি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞান নিয়ে ৪র্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন বলে পরিবার জানিয়েছে।
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে গত বুধবার রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
    মামলার পর মো. জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম নামে ছয় শিক্ষার্থীকে আটকের পর গণমাধ্যমে আসে ফিরোজের নাম ও ছবি। এরপর থেকে কয়েকদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ফিরোজের কবিরের এলাকা।
  • গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ।

    গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ।

    গণপিটুনিতে তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই তিন শিক্ষার্থীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

    এর আগে বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারপভাইজার মোহাম্মদ আমানউল্লাহ। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। একই সঙ্গে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ১০টা পর্যন্ত হলের গেস্টরুমে কয়েক দফা তাকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে তাকে খাবারও খাওয়ায় শিক্ষার্থীরা।
    এরপর আবারও তাকে মারধর করা হয়। এ সময় মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মধ্যরাতে তোফাজ্জলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • কলেজ ছাত্র স্বপন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী গ্রেপ্তার।

    কলেজ ছাত্র স্বপন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী গ্রেপ্তার।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার কলেজ ছাত্র মোঃ স্বপন হোসেন (২০) হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি মোঃ পান্না আলীকে গ্রেপ্তার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। পান্না শাহীকোলা গ্রামের মৃত বেলাত প্রামানিকের ছেলে। পলাতক এই আসামীকে ২৮ এপ্রিল রাতে নারায়নগঞ্জ জেলার সৈয়দপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত স্বপন উপজেলার শাহীকোলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। চলতি বছরের ৭ ফেব্রæয়ারি রাতে পান্না ও রাকিব পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ফোনে স্বপনকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গ্রামের পাশের ফসলী মাঠে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যার পর মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়।

    উল্লাপাড়া পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর মঙ্গলবার বিকেলে উল্লাপাড়া মডেল থানায় এক প্রেস বিফিংএ গ্রেপ্তার পান্নার স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গ্রামে জমিজমা নিয়ে পান্নার সঙ্গে তার আপন চাচাতো ভাই হাফিজুল ও হামিদুলের গোলযোগ ছিল। এতে নিহত স্বপন প্রতিপক্ষ হাফিজুল ও হামিদুলের দলে যোগ দেওয়ায় এবং পান্নার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করায় স্বপনের সঙ্গে পান্নার শত্রæতার সৃষ্টি হয়। এই শত্রæতার জের ধরেই পান্না তার সহযোগী রাকিবকে নিয়ে স্বপনকে হত্যা করে। ঘটনার রাতে হ্যামার দিয়ে স্বপনের মাথায় আঘাত করা হয়। স্বপনের মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘাতক পান্না তার শরীরেও হ্যামার দিয়ে কয়েক দফা আঘাত করে। এর আগে এই মামলার অপর আসামী রাকিবকে পুলিশ ঘটনার পর দিন গ্রেপ্তার করে। তবে বর্তমানে সে জামিনে আছে। পুলিশ রাকিবের জামিন বাতিল করার জন্য আদালতে আবেদন জানাবেন বলে উল্লেখ করেন সহকারী পুলিশ সুপার।

  • লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যা দোষীদের শাস্তির দাবীতে সন্তানদের মানববন্ধন গ্রেফতার-৭।

    লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যা দোষীদের শাস্তির দাবীতে সন্তানদের মানববন্ধন গ্রেফতার-৭।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লক্ষ্মীপুরে মধ্য রাতে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জোৎসনা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

    এসময় কুপিয়ে আহত করা হয় নিহত নারীর স্বামী আলা উদ্দিনকে। খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী ও স্বজন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন। (১৭ এপ্রিল ) বুধবার সকাল ১১ টায় ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মেঘনা বাজারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন

    নিহত জোসনার সন্তানেরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, খুনি সিরাজ, মাহফুজ, মিজান, রাশেদা বেগম, এরশাদ,রিপন, জাকির,রিমন, রাকিব, ইব্রাহিম সহ ৭ জন্য ফাঁসি চাই প্রশাসনের কাছে

    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত জোসনার দুই ছেলে ও এক মেয়ে, ইসমাইল, ফেন্সি, রোজী, জোসনার, আসুরা, আবুল বাশার, ইউপি সদস্য সাখাওয়াত এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ কয়েক শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ইউপি সদস্য আহসান উল্লাহ মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে অবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করেন

    র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন,বসত বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে ঘটনাস্থলে জোসনা মৃত্যু হয় মামলার পর থেকে র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা নজরদারিতে অবশেষে মামলার ৬ জন এজাহারনামীয় ও ১ জন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়

  • শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শাহিনুর হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার।

    শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শাহিনুর হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার।

    বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শাহিনুর হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২’র সদস্যরা।

    ১৪ এপ্রিল রবিবার রাতে শাজাহানপুরে বনানীর আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন-শিবগঞ্জের ঘাগুর দুয়ার গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান৷ তারা দুজনই শাহিনুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১২’র বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন। এ সময় তিনি জানান,বগুড়া জেলার শিবগঞ্জের ঘাগুর দুয়ার গ্রামের নিহত শাহিনুরের স্ত্রী শাহান আরা বেগম থানায় অভিযোগ করেন যে গত ২৭ মার্চ তাদের বসতবাড়ীর গাছের ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে গ্রেফতারকৃত আসামীদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় তার স্বামী শাহিনুর একটি মুদি দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার পৌছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধর আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লোহার রড, গাছের ডালপালা দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে।এ ঘটনায় তার স্বামী গুরুতর আহত হয়।

    এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করায় পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৯ মার্চ রাত সোয়া ৯ টার সময় মারা যায়। এ ঘটনায় ৩০ মার্চ শাহান আরা বেগম শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবও আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে। রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লেখিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে নামিক আসামিদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলার শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • তিতাসে বাকিতে সিগারেট বিক্রি না করায় ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা।

    তিতাসে বাকিতে সিগারেট বিক্রি না করায় ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা।

    ডেস্ক রিপোর্টঃ

    কুমিল্লার তিতাসে বাকিতে সিগারেট বিক্রি না করায় বমানিক রতন(৩৩)নামের এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাহাউন্দিন ও জালাল উদ্দীন নামের দুই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।

    ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় উপজেলা কানাইনগর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মানিক রতন কানাইনগর গ্রামের মোঃ মোখলেছুর রহমানের ভূঁইয়ার ছেলে।

    নিহতের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার জানান ভূঁইয়া বাড়ির নায়েব আলীর ছেলে বাহাউদ্দীন আমার স্বামীর কাছে সিগারেট বাকি চায়। কিন্তু দোকানে সিগারেট না থাকায়,আমার স্বামী বলেন সিগারেট নেই। এতে বাহাউদ্দীন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি করে ঘরে চলে যায়। তারপর বাহাউদ্দীন ঘর থেকে দা হাতে ও তার আপন ভাই জালালউদ্দীনকে সঙ্গে নিয়ে এসে আমার স্বামীকে কোপাতে আসে। তখন প্রতিবেশীদের বাধার মুখে ব্যর্থ হয় তারা। পরে আবারো ঘরে গিয়ে আমার স্বামীকে গলায় ছুরি মেরে হত্যা করেছে।

    তিনি আরো বলেন, এর আগেও তারা বাকি নিয়ে অনেক টাকা জমিয়েছে, আর সেই টাকা চাইতে গেলে কয়েকবার আমার স্বামীকে মারধর করেছে।

    এ ব্যাপারে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কাঞ্চন কান্তি দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।তিনি আমরা শুনেছি সিগারেট বাকি না দেওয়ায় মানিক নামের এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • পরকীয়ার জেরে স্ত্রী বটি দিয়ে কুপিয়ে স্বামীকে হত্যা।

    পরকীয়ার জেরে স্ত্রী বটি দিয়ে কুপিয়ে স্বামীকে হত্যা।

    পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে মোহরাকিব ইসলাম নামের এক স্বামীকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্ত্রী জিনিয়া ইসলাম। স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত করার পর জিনিয়া ইসলাম থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে সারেন্ডার করেন।

    শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেল ৫ টার সময় পৌর শহরের কলাতলা আকন্দ বাড়ি এলাকায় এই মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের ঘটনাটি ঘটেছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গেলো বছর শহরের কলাতলা আকন্দ বাড়ির ভাড়াটিয়া নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ রাকিব ইসলামের সাথে সদর উপজেলার জুয়েল আকন্দের মেয়ে মোছাঃ জিনিয়া ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের জের ধরে রাকিব তার স্ত্রী জিনিয়াকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। সম্প্রতি স্ত্রী জিনিয়ার পরকীয়ার কথা স্বামী জেনে ফেলে। এ কারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য ঝগড়া ঝাটি হয়।পরে জিনিয়া তার বাবার বাড়ি চলে যায়।

    ১ মার্চ শুক্রবার দুপুরে রাকিব তার স্ত্রী জিনিয়াকে বাবার বাড়ি থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। আসার পথে রাস্তায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফের ঝগড়া শুরু হয়। বাসায় আসার পর রাকিব বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে।এ সুযোগে জিনিয়া ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। পরে রাত সাড়ে ৮ টার সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে রাকিবের মৃত্যু নিশ্চিত করে পটুয়াখালি সদর থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে স্বামীকে হত্যা করার কথা শিকার করে।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমদ মঈনুল হাসান জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহত রাকিব আকন্দর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্টের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ জিজ্ঞাসাদের জন্য জিনিয়াকে আটক করেছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ফতুল্লায় দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান গ্রেপ্তার।

    ফতুল্লায় দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান গ্রেপ্তার।

    ডেস্ক নিউজঃ ফতুল্লায় আল আমিন ওরফে দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান(২৭)কে বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট সদর থানার ড্রাইভার পাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১১’র সদস্যরা।

    বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১’র সিপিসি-১ এর উপ-পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম।

    আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,গত ০৯ ফেব্রুয়ারি রাতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক বেচাকেনায় বাধা সৃষ্টি করায় আসামিরা দানিয়াল ও শুভকে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় আক্রমণ করে মারধর করে।এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাদেরকে ফেলে চলে যায়।

    পরে ওই রাতে ভুক্তভোগীরা আহত অবস্থায় ফতুল্লা থানার বাড়ৈভোগ ফারিয়া গার্মেন্টসের পাশে খানকার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র (চাপাতি, রামদা, ছোরা, চাকু)দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে দানিয়াল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এ সময় আসামিরা পালিয়ে যায়।

    ভুক্তভোগী দানিয়াল ও শুভকে রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের স্বজনরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল(ভিক্টোরীয়) নিয়ে যান পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন। শুভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

    পরে নিহত দানিয়ালের মা মুক্তা বেগম ১০ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা মডেল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    র‍্যাব জানায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি অনিক প্রধানকে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।

     

  • মাধবপুরে আলোচিত পাবেল হত্যা মামলার ১৬ আসামি ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে আলোচিত পাবেল হত্যা মামলার ১৬ আসামি ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে আলোচিত পাভেল হত্যা মামলার আরো ১৬ আসামিকে ঢাকা শাহবাগ থানার মাজার গেইট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা ।
    জানা যায়, মাধবপুর থানার মামলার আসামীদের ঢাকা র‍্যাব-৩ এর সহযোগীতা তাদের আটকের বিষয়ে খবর পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৬ জন আসামি র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৩ এর সহযোগিতায় ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার পূর্বক নিজ হেফাজতে মাধবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
    গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন সিরাজ মিয়া,জহিরুল্লাহ পাঠান বশির,হাফিজুল্লাহ,শফিক মিয়া,বদিউজ্জামান,উম্মেত আলী,লোকমান মিয়া,সেলিম মিয়া,রাসেল মিয়া, আলমগীর, নুর আলী,নাসির মিয়া,শের আলী,সুমন আলী,ফারুক মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন।সকল আসামি বেজুড়া গ্রামের বাসিন্দা।
    উল্লেখ্য গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত পাভেল মিয়া’র বড় ভাই হামিদ মিয়া বাদী হয়ে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০/৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে মামলায় প্রধান আসামি জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর থানার পুলিশ।
    মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃরকিবুল ইসলাম খাঁন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, র‌্যাবের সহযোগিতায় পাবেল হত্যা মামলার ঢাকা শাহবাগ থানা এলাকা থেকে ১৬’জন পলাতক আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।