Tag: সাংবাদিক

  • সংবাদ প্রকাশ করায় ডিমলায় সাংবাদিকের উপর হামলা।

    সংবাদ প্রকাশ করায় ডিমলায় সাংবাদিকের উপর হামলা।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধি:
    নীলফামারীর ডিমলায় সংবাদ প্রকাশের জেরে রেজোয়ান ইসলাম নামে এক সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। তিনি অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘বার্তা বাজার’ এর নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
    গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের সড়কের দক্ষিণ দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় রেজোয়ান ইসলাম ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
    এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেজোয়ান ইসলাম তার পেশাগত কাজে উপজেলা প্রকৌশল অফিসে যাওয়ার পথে সাব-ঠিকাদার দুলালের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ঐ সাংবাদিকের উপর হামলা করা হয়।
    অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায় , সম্প্রতি উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের আকাশকুড়ি থেকে মতির বাজার পর্যন্ত পাকা সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বার্তা বাজারে প্রকাশিত হয়। এ বিষয় নিয়ে কাজের সাব-ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম দুলাল সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিক রেজোয়ানকে সংঘাতের হুমকি দেয়।
    ভুক্তভোগী রেজোয়ান ইসলাম বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি  ‘বার্তা বাজার ’ নামের অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ‘ সরকারি প্রকল্পের নামে চলছে হরিলুট, তিন কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে অনিয়ম’  শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। এর জের ধরেই কাজের সাব-ঠিকাদার দুলাল আমার ওপর হামলা চালান।  এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
    তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন সাব ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম দুলাল তিনি বলেন, সাংবাদিক  রেজোয়ান ইসলাম আমাকে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী বলে কটাক্ষ করেছে। এ নিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় । আমি তার ওপর হামলা করিনি।
    ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে এলাহি  বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে মটর সাইকেল উদ্ধার করে সাংবাদিককে বুঝিয়ে দিয়েছি । এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • মাধবপুরে রাস্তা আটকে দেওয়ার অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি।

    মাধবপুরে রাস্তা আটকে দেওয়ার অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি।

    মাধবপুর প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুরের লোহার গেট বানিয়ে বেড়া দিয়ে সরকারি রাস্তার কালভার্ট দখল করার সংবাদ প্রকাশ করায় এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
    এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। হুমকির শিকার হয়েছেন সাংবাদিক মুজাহিদ মসি।তিনি কালবেলা পত্রিকার মাধবপুর উপজেলা প্রতিনিধি। প্রতিকার পেতে সাংবাদিক মুজাহিদ মসি শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে মাধবপুর থানায় একটি জিডি করেছেন।
    জানা যায়, উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের আন্দিউড়া গ্রামের মধ্যপাড়া মহল্লার রিনা বেগম (৪০) গং সরকারি রাস্তার কালভার্ট দখল করে লোহার গেট তৈরি করে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন।এলাকাবাসীর প্রতিবাদ করলেও কোন প্রতিকার হয়নি।
    এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করায় গতকাল তাকে ফোনে হুমকি দেয়া হয়।হুমকির অডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
    সাংবাদিক মুজাহিদ মসি জানান,সত্য প্রতিবেদন করা ও চঞ্চল্যকর জনদুর্ভোগ আমার প্রতিবেদনের মাধ্যমে উঠে এসেছিল।তাই অপকর্মের হোতারা আমাকে হুমকি দিয়েছে।
    যোগাযোগ করা হলে রিনা আক্তার জানায়, সাংবাদিকর,
    পুলিশ ও ইউএনও সবাই এক ধরনের লোক। টাকা দিয়ে সবাইকে কেনা যায়। আমি ওই সাংবাদিককে ফোন দিয়ে যা বলার বলেছি।
    মাধবপুরের ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,আমরা সবসময় সাংবাদিকদের পাশে থাকি। দ্রুত ওই জিডির প্রসিকিউশন দেওয়া হবে।
    বার্তা প্রেরক
  • উল্লাপাড়া উপজেলার মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধির পিতার ইন্তেকাল।

    উল্লাপাড়া উপজেলার মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধির পিতার ইন্তেকাল।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    উল্লাপাড়া উপজেলার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধির পিতা উল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক উপজেলা পোস্ট মাস্টার মোঃ হাবিবুর রহমান (৭৭) ইন্তেকাল করিয়াছেন। (ইন্নালিল্লাহে………  রাজিউন)।

    বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত সাড় ৮ টায় তার নিজস্ব বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারনে তিনি মৃত্যু বরন করেন।

    কর্মজীবনে অনেক জেলায় তিনি উপজেলা পোস্ট মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ সালে চাকুরি থেকে অবসর গ্রহন করেন। তার পর থেকেই তিনি বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন।

    শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উল্লাপাড়া ঈদগাঁ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে উল্লাপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

    মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র, এক কন্যা, নাতি-নাতনিসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে মারা যান।

  • মৌলভীবাজারে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা।

    মৌলভীবাজারে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :

    মৌলভীবাজারে কর্মী সম্মেলন ও কেন্দ্রীয় আমীর ডা: শফিকুর রহমান’র আগমন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলার নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলার আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী।
    সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি ইয়ামীর আলীর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, মৌলভীবাজার- ১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ, পৌর জামায়াতের আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম ও সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

    এ সময় জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর বলেন, আসন্ন কর্মীসভা ও জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় আমীর ডা: শফিকুর রহমান আগমন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি আমাদের জেলার সন্তান ও জাতীয় ব্যক্তিত্ব। কর্মী সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।আগামীকাল শনিবার  ২১ তারিখ মৌলভীবাজার সরকারি স্কুলের মাঠ মৌলভীবাজারবাসীর মিলনমেলায় পরিনত হবে।
    সাংবাদিকদের মধ্যে  মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সরওয়ার আহমদ ও সাবেক সভাপতি এম এ সালাম’সহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার বাঘা শাখার কমিটি গঠন।

    বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার বাঘা শাখার কমিটি গঠন।

    বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি :

    বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার রাজশাহীর বাঘা উপজেলা শাখার দুই বছরের জন্য ১৭ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর-২৪) বেলা ১২ টায় বাঘা প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আবদুল লতিফ মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত সদস্যেদের সন্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে আমানুল হক আমান (যুগান্তর/সোনার দেশ), সাধারণ সম্পাদক লালন উদ্দিন (কালের কন্ঠ/সোনালী সংবাদ), সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান মুক্তা (ইনকিলাব)।
    বাঘা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার রাজশাহী জেলা কমিটির আহবায়ক শরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিক আলম, ফজলুর রহমান, আমিনুল ইসলাম বনি, মঞ্জুয়ারা বেগম।
    কমিটিতে রয়েছেন-সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (বাংলাদেশের খবর/রাজশাহী প্রতিদিন), সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম (দৈনিক আমার সংবাদ), যুগ্ম সম্পাদক গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন (আজকের পত্রিকা/রাজশাহী সংবাদ), সহ-যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সালাম (স্বদেশ প্রতিদিন) অর্থ সম্পাদক আবদুল হামিদ মিঞা (ভোরের কাগজ/নতুন প্রভাত), জনকল্যান সম্পাদক জহুরুল ইসলাম (পদ্মা প্রবাহ), ক্রীড়া সম্পাদক দোয়েল মোল্লা (ফটো সাংবাদিক), দপ্তর পাঠাগার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান (রেডিও পদ্মা), সাহিত্য সম্পাদক সুব্রত কুমার (দৈনিক জনবাণী)। নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে আবদুল লতিফ মিঞা (সমকাল/দৈনিক বার্তা), নুরুজ্জামান (ইত্তেফাক/সানশাইন), আসলাম আলী (নয়াদিগন্ত/গণধ্বনি প্রতিদিন)। সাধারণ সদস্য পদে-আবদুল কাদের নাহিদ (সাপ্তাহিক ঈশ্বরদী), নাহিদা ইয়াসমিন লাকী (দৈনিক রাজবার্ত), সোনিয়া বেগম (পদ্মা টাইমস)।

  • মাধবপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময়।

    মাধবপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময়।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাহিদ বিন কাশেম এর সাথে মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাব এর নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাব এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: হামিদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ জাহান রনি, দপ্তর সম্পাদক এম এম গউছ,  সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াসিন তন্ময়, জালাল উদ্দিন লস্কর, মো: জাকির হোসেন,  মশিউর রহমান মোর্শেদ, মোক্তার রহমান, সালমান কয়েস, আলহাজ্ব শাহীন মিয়া প্রমূখ। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাহিদ বিন কাশেম সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং মাধবপুর উপজেলার সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার প্রশংসা করেন।
  • মাধবপুরে সাংবাদিক ও নারী উদ্যোক্তা দুষ্কৃতকারীদের হামলার শিকার।

    মাধবপুরে সাংবাদিক ও নারী উদ্যোক্তা দুষ্কৃতকারীদের হামলার শিকার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক ও নারী উদ্যোক্তা চাঁদ সুলতানা চৌধুরী ও সাংবাদিক মাসুদ লস্কর। রবিবার (২৪ নভেম্বর) উপজেলার চৌমুহনী ইউপির কমলপুর গ্রামে রাত্রিবেলায় ওই ঘটনা ঘটে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ব্রাক এনজিওর কর্মকর্তা জমিলা খাতুনের লাঠিয়াল বাহিনীর নেতা মরম আলির নেতৃত্বে স্হানীয় কমলপুর এলাকায় ১০/১৫ জনের একটি দল এদের উপর অতর্কিত হামলা করে। খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাড়ির এএসআই গোলাম কিবরিয়া এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।
    জানা যায়, সাংবাদিক চাঁদ সুলতানা চৌধুরী বিগত বেশ কিছুদিন আগে মরম আলীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা রবিবার রাতে ফাড়িতে মরম আলী কে হাজির হতে নির্দেশ দিলে উত্তেজিত হয়ে জমিলা বেগমের ভাইজি জামাই মরম আলী ফাড়িতে না গিয়ে মামলা আপোষ মিমাংসা করতে চাপ দেয়। পরিকল্পনামতো বাড়ি ফেরার পথে তাদের উপর আক্রমণ করে।
    এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও মাধবপুর জিসাসের সভাপতি কায়েস সালমান জানান,আমাদের সাংবাদিক সহকর্মীদের উপর এ ধরনের হামলা তীব্র নিন্দনীয়। প্রাশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা মানববন্ধনের আয়োজন করব।
    যোগাযোগ করা হলে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হামলার বিষয়টি আমরা অবগত আছি । এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
  • মাদক মামলা দিয়ে টাকা নিতেন ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দ সাংবাদিককে টাকা অফার।

    মাদক মামলা দিয়ে টাকা নিতেন ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দ সাংবাদিককে টাকা অফার।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের পাহাড়। লাভবান হওয়া ছাড়া কোনো অভিযান পরিচালনা করেন না তিনি। অফিসের তিন সদস্যকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন  বলয়।
    তাদের মাধ্যমে নগদ ও অনলাইন পেমেন্টে হাতিয়ে নেন লাখ টাকা। মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসানো, টাকা নিয়ে আসামিকে ছেড়ে দেওয়া, টাকা নিয়েও মামলা দেওয়া, এজাহার থেকে নাম কেটে দেওয়াসহ প্রতি মাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
    জানা গেছে, গত তিন বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন ফরহাদ। এর আগে সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত থাকলেও তার বদলির পর নিয়মিত দায়িত্ব পাননি কোনো কর্মকর্তা। পাশের জেলা নীলফামারীর কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিলেও নিয়মিত অফিসে আসেন না তিনি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজস্ব বলয় গড়ে অনিয়মের কারখানা তৈরি করেছেন তিনি।
    তেমনি এক ভুক্তভোগী ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের মিলন নগরের বাসিন্দা রঞ্জু। ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। আচমকা তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আকন্দ টিম। ঘটনা না বোঝার আগে কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে সেখান থেকে আটক করে আনা হয়। পরিবারের সদস্যরা জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে করা হয় দুর্ব্যবহার।
    রঞ্জুকে গাড়িতে ওঠানোর পর আড়াই লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন আকন্দ। টাকা দেওয়ার অপারগতা জানালে তাকে নিয়ে চলে যাওয়া হয় অফিসে। তারপরে আকন্দের সহযোগী কনস্টেবল বাধন, খালেক ও ইউনুসের মাধ্যমে শুরু হয় দর কষাকষি। সেখানে ডেকে নেওয়া হয় রঞ্জুর ছোট ভাই শাকিলকে। টাকা দিলে হালকা মামলার প্রস্তাব দেন তারা। দাবি করা হয় ১ লাখ টাকা। ভাইয়ের মাদকের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান শাকিল। তাতেও ক্ষান্ত হননি আকন্দ বলয়। নানা ধরনের ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে শুরু করেন চাপ।
    পরে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও কনস্টেবল বাধন তার মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আরও ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। টাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তাদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন আকন্দ।
    রঞ্জুর ভাই শাকিল বলেন, আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে আমি জানতে পারি। পরে তাদের অফিসে গেলে তারা টাকা দাবি করে আমার কাছে। আমরা অনেক গরিব, টাকা কোথায় পাব। অনেক মিনতি করি কিন্তু আকন্দ কোনো কথা শোনে না। পরে আমি কোনোভাবে টাকা ম্যানেজ করে নগদ ৩০ হাজার টাকা দিই ও কনস্টেবল বাধনের নম্বরে ৫ হাজার টাকা দিই।
    ভুক্তভোগী রঞ্জু ইসলাম বলেন, আমাকে শুধু টাকার জন্য ফাঁসানো হয়েছে। এলাকা, পরিবারের কাছে আমার সম্মানহানি করা হলো। আমি তো মাদক ব্যবসায়ী না, তারপরও আমার সঙ্গে অন্যায় করা হলো। আমি এটার বিচার চাই।
    শুধু একটি ঘটনাই না, এমন নানা ঘটনার মূল হোতা ফরহাদ আকন্দ। জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিতেও অর্থ নেন তিনি। কিছুদিন আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সহকারী পরিচালকের সিল ও সই জালিয়াতি করে মামলার চার্জশিট থেকে পুলিশ কনস্টেবল মোশাররফ হোসেনের নাম বাদ দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও জেলায় অভিযান পরিচালনাকালে মাদক পেলেও টাকা, না পেলেও টাকা ও বাড়িতে থাকা নগদ অর্থ নিয়ে আসেন তিনি।
    আরেক ভুক্তভোগী লাকি আক্তার বলেন, আকন্দ উনার বাহিনী নিয়ে প্রায় আমার বাসায় রেট দেয়। প্রায়ই তারা আমাদের বাসায় এসে টাকা নিয়ে যায়।
    সব অভিযোগ অস্বীকার করে আনীত অভিযোগ বানোয়াট ও মিথ্যা আখ্যা দেন ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দ। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে না স্বীকার করে প্রতিবেদন না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। প্রতিবেদনটি প্রচার না করার জন্য খামে করে প্রতিবেদককে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
    ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত) মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • রামপালে জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রশাসন,শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়।

    রামপালে জেলা প্রশাসক উপজেলা প্রশাসন,শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে নবাগত জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানের সাথে উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার( ৯ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা’র সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এরপর বিকাল বিকাল ৪ টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি শিক্ষকদের সকল সমস্যার কথা শোনেন। এছাড়াও তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
    প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, মাদক বর্তমানে এক ভয়ানক সমস্যা। যে কোন মূল্যে তিনি মাদককে নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানান। তিনি সকলকে কাজের পাশাপাশি প্রত্যেকের ছেলে-মেয়েদের সাথে সময় দেয়ার আহ্বান জানান। বাল্যবিবাহ নিয়ন্ত্রের উপর ও গুরুত্বারোপ করেন। সরকারি কর্মকর্তাদের তিনি জনগণের প্রতি অধিক দায়িত্বশীল আচরণ করার পরামর্শ দেন।
    সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফতাব আহমেদ, রামপাল কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) সমীর কুমার বিশ্বাস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এ আনোয়ার উল-কুদ্দুস, সমাজসেবা অফিসার শাহিনুর রহমান, উপাধক্ষ্য নাহিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরহাদ হোসেন, তাপস কুমার।
    এসময় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, সরকারি সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
  • রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়।

    রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়।

    কোটা বিরোধী আন্দোলনের পথ ধরে গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আমাদের করণীয় বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলের নেতৃবৃন্দ।
    ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে রাণীশংকৈল জামায়াতে ইসলামীর দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলায় কর্মরত ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ করেন। ওই মতবিনিময় সভায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিল।
    মতবিনিময় সভায় উপজেলা আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলানা রজব আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন।
    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেস ও মিডিয়া সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজালাল জুয়েল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মতিউর রহমান,
    পৌর আমীর আলহাজ্ব আব্দুল মতিন ও পৌর সাধারণ সম্পাদক মো. মোকাররম হোসেন, রাণীশংকৈল উপজেলার এ্যাসিস্ট্যান্ট সম্পাদক মিন্নাতুল্লাহ পাঠান,উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য রমিজউদ্দিন ও শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। সেই স্তম্ভটা অত্যন্ত মজবুত। কারও চোখের দিকে, মুখের দিকে তাকিয়ে সাংবাদিকতা হয় না। সাংবাদিকতা জিনিসটা একেবারেই ভিন্ন। এখানে তিনটি জিনিস লাগে। একটি হচ্ছে সত্যসন্ধানী মন, দ্বিতীয়টি হচ্ছে সাহস এবং তৃতীয় হচ্ছে যথাযথ সময়ে চেষ্টা। আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাকে বা অন্য কাউকে ফেভার বা ডিজফেভার করার প্রয়োজন নেই। আপনাদের কাছে যেটা সত্য সেটাকেই তুলে ধরবেন।
    ফ্যাসিবাদ সরকার মুক্ত গণমাধ্যমকে মত প্রকাশে বাধা দিয়ে রেখে ছিল। আজ সাংবাদিকরা ও গণমাধ্যম মুক্ত স্বাধীন। তিনি দল মত নির্বিশেষে সঠিক তথ্য প্রচারের জন্য সকল সাংবাদিকদের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। জামায়াতে ইসলাম গত ১৬ বছর তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে। আমরা ভালোবাসা দিয়ে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছাতে পেরেছি।
    আসুন ছাত্র শিক্ষক জনতা সাংবাদিক পেশাজীবী, শ্রমিক এক কাতারে এসে নতুন বাংলাদেশ গড়ায় অগ্রণী হই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগী হয়ে বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির মডেল হিসেবে উপস্থাপন করি। আমরা সকলে  দল মত ভুলে অতীতের বৈষম্যমুলক মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে সকলে মিলে প্রত্যয়ী হই। তাহলে সুফল আসবে।
    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হলেও এর শিকড় রয়ে গেছে।এর উৎপাটন না করা পর্যন্ত আন্দোলনের সুফল ঘরে তোলা সম্ভব হবেনা। এজন্য দেশের সকল স্তরের লোকজনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পারব। এক্ষেত্রে সংবাদকর্মীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তারাই পারবে কলমকে শানিত করে মুক্ত লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে পরাজিত শক্তির অপপ্রচার রোধ করে জাতিকে আশ্বস্ত করতে।একটি সুশীল, সভ্য, সুস্থ এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে আপনাদের কলম হোক মুক্ত।
    বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও তাদের পরামর্শ গ্রহণ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ নানা ক্ষেত্রে হামলা ও নৈরাজ্য বিষয়ে সৃষ্ট গুজব অপনোদন করে নিরাপত্তার আশ্বাস প্রদানের লক্ষ্যে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে অপরদিকে রাণীশংকৈল খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সকলের সাথে শান্তা কমিউনিটি সেন্টার বিকালে আরেকটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দরা।