আর এই খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত মধ্যদিয়ে শুরু হয় ইস্টার পর্বের মূলপর্ব।এই ইস্টার পর্বে উপস্থিত থেকে খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন সিলেট খ্রিষ্টান ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ, খ্রিষ্টযাগে উপস্থিত থেকে সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল সেন্ট জোসেফ ক্যাথলিক চার্চ এর পালপুরোহিত ফাদার ড.জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি, মৌলভীবাজার গিয়াসনগর মাইনর সেমিনারী রেক্টর ফাদার ফ্রান্সিসকো,আধ্যাত্মিক পরিচালক ফাদার জোসেফ তপ্ন, নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রপরিচালক ফাদার মৃণাল ম্রং সিএসসি ,নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের ফাদার বিকাশ কুজুর সিএসসি, হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জ সাব-প্যারিসের পরিচালক ফাদার কল্লোল, বিশপ হাউজ থেকে ফাদার লিংকন হাজং’সহ ঢাকা থেকে আগত ফাদার, ব্রাদার,সিস্টারসহ দু’হাজার অধিক ধর্মীয় বিশ্বাসী খ্রিস্টভক্ত।
Tag: শ্রীমঙ্গল
-
শ্রীমঙ্গলে সেন্ট জোসেফ গীর্জায় অনুষ্ঠিত হলো ইষ্টার সানডে উৎসব।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃখ্রীষ্ট পুনরুত্থিত হয়েছে আল্লেলুইয়া”এই বাক্যকে ভিক্তি করে খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলীরা গভীর উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে,ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন করলো অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে পর্ব।রবিবার (৩১মার্চ )বেলা সাড়ে ১১টায় শ্রীমঙ্গল সদর উপজেলা অধীনে সেন্ট যোসেফ গীর্জায় উদযাপন হলো ইষ্টার সানডে উৎসব। সেন্ট জোসেফ গীর্জার সহকারী যাজক ফাদার রবার্ট নকরেক সিএসসি এর নেতৃত্বে একযাক তরুণ- তরুণী গানের দল সমকন্ঠে পরিবেশন করেন গান ও শোভাযাত্রা তারই মধ্যদিয়ে আরম্ভ হলো পর্বের মূল ধর্মীয় খ্রিষ্টযাগ।
আর এই খ্রিস্টযাগ অনুষ্ঠিত মধ্যদিয়ে শুরু হয় ইস্টার পর্বের মূলপর্ব।এই ইস্টার পর্বে উপস্থিত থেকে খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন সিলেট খ্রিষ্টান ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ, খ্রিষ্টযাগে উপস্থিত থেকে সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল সেন্ট জোসেফ ক্যাথলিক চার্চ এর পালপুরোহিত ফাদার ড.জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি, মৌলভীবাজার গিয়াসনগর মাইনর সেমিনারী রেক্টর ফাদার ফ্রান্সিসকো,আধ্যাত্মিক পরিচালক ফাদার জোসেফ তপ্ন, নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রপরিচালক ফাদার মৃণাল ম্রং সিএসসি ,নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজের ফাদার বিকাশ কুজুর সিএসসি, হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জ সাব-প্যারিসের পরিচালক ফাদার কল্লোল, বিশপ হাউজ থেকে ফাদার লিংকন হাজং’সহ ঢাকা থেকে আগত ফাদার, ব্রাদার,সিস্টারসহ দু’হাজার অধিক ধর্মীয় বিশ্বাসী খ্রিস্টভক্ত।খ্রিস্টযাগে বিশপ বলেন, আজ হলো আনন্দ দিন কারণ খ্রিষ্ট পুনরুত্থান করেছেন, খ্রিস্ট পুনরুত্থান শুধু নির্দিষ্ট একটি ঐতিহাসিক সময়ে সীমাবদ্ধ রইনি।আমরা আজ আনন্দিত শুধু খ্রিষ্ট মৃত্যু থেকে জীবিত থাকতে নয়,বরং প্রভু পুনরুত্থান আমাদের জীবনে প্রতিদিন ঘটছে। যতবার আমরা পাপের জীবনে থাকি ততবারই আমাদের মৃত্যু ঘটে।পাপ থেকে মন পরিবর্তন করলে যীশু খ্রিষ্টের জীবনে আমরা সকলে প্রবেশ করি।খ্রিষ্টের ভালবাসায় আমরা জীবিত হয়ে উঠি। খ্রিষ্ট পুনরুত্থান মাধ্যমে আমরা পাপের ক্ষমা লাভ করেছি,প্রভু যীশু খ্রিষ্ট পুনরুত্থান করেছে বলে আমরা পুনরুত্থিত হয়ে আমাদের জীবনে বিশ্বাসে নতুন সুচনা হয়েছে।সেন্ট যোসেফ গীর্জা’র পালপুরোহিত ফাদার ড.জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি বলেন দীর্ঘ চল্লিশ দিন উপবাস, ত্যাগস্বীকার, দয়াদানের মধ্যদিয়ে খ্রীষ্টভক্তরা তপস্যাকাল পালন করে আজ ইষ্টার সানডে পর্ব উদযাপন করেছেন। কয়েক দিন থেকে বৈরী আবহাওয়া ফলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে এ জেলায়।পুনরুত্থিত খ্রীষ্টের কৃপায় সুন্দর ভাবে আমরা এই স্হানে(সেন্ট যোসেফ গীর্জায়) ইস্টার সানডে পর্ব পালন করতে পেরে মহান ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ।আরও জানা যায় যে, সিলেট ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশ অধীনে চারটি জেলা নিয়ে গঠিত। আর এ চারটি জেলা অধীনে বিভিন্ন জেলা- উপজেলায় রয়েছে মিশনের গীর্জাগুলো এবং প্রত্যেক গীর্জা উপাসনালয়ে আজ উদযাপন হচ্ছে মৃত্যুঞ্জয়ী যীশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থান ইস্টার পর্ব।তবে এই সেন্ট যোসেফ গীর্জা শ্রীমঙ্গলে সিলেট ক্যাথলিক ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ উপস্থিত থেকে বৃহত্তর আকারে ইস্টার পর্ব পালন করা হয়েছে। -
শ্রীমঙ্গলে ইডাফ জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার ইফতার মাহফিল।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালগ এইড ফাউন্ডেশন-ইডাফ (গভ. রেজি. এস-৭৫১৫) শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে হয়েছে। শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ইং, উপজেলার ভানুগাছ রোডস্থ টি ভ্যালী রেস্টুরেন্টে রমজানের মহত্ত্ব, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ পরস্পরের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে ইফতান মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালগ এইড ফাউন্ডেশন (ইডাফ) এর শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ এহসান বিন মুজাহির এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আবু তালেব। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মীর এম এ সালাম, ৬ নং আশিদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন (জহর), শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আলকাছ মিয়া, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ হানিফ চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর তানিয়া আক্তার, ইডাফের উপদেষ্টা সাংবাদিক মোঃ ইসমাইল মাহমুদ, দৈনিক জানসংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা মোঃ জালাল উদ্দিন, ইডাফের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শের আলী হেলাল চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিসুল ইসলাম আশরাফী।অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ও প্রতিবেদন পেশ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মসুদ মিয়া।ইফতার মাহফিলে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমজাদ হোসেন বাচ্চু, নিরাপদ সড়ক চাই শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন রনি, সহ-সভাপতি মোঃ গোলাম রহমান মামুন, শ্রীমঙ্গল ব্লাডম্যান এর সভাপতি মোঃ মুহিবুর রহমান জুয়েল, শ্রীমঙ্গল সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হাসান মামুন, নিরাপদ চিকিৎসা চাই শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ লুৎফুর রহমান পাভেল, শ্রীমঙ্গল রক্তদান সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল আইডিয়াল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরাসহ অনুষ্ঠানে ইডাফের ইডাফের সকল সদস্যবৃন্দ স্বতস্পূর্তভাবে উপস্থিত ছিলেন।ইফতার সামনে নিয়ে দেশ জাতি, মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনা ও ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ এহসান বিন মুজাহির। -
চায়ের রাজধানী নামে খ্যাতো শ্রীমঙ্গলে হঠাৎ শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি।
নিজস্ব প্রতিবেদক: চায়ের রাজধানী নামে খ্যাতো মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হঠাৎ শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বয়ে যাচ্ছে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়া। শীতের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ভোর পর্যন্ত হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যায়।বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ইং, সকাল ৬টার সময় শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে জেলা আবহাওয়া অফিস। এদিকে ফাল্গুন মাসের শেষ সপ্তাহে এসে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলাবাসীকে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছে।শ্রীমঙ্গলের শহরতলী হবিগঞ্জ রোডের পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকায় ভাই ভাই ভ্যারাইটিজ স্টোরের দোকানের মালিক ও একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, শীত কমে গেছে ভেবে গত মাসেই আমরা শীতের কাপড়-চোপড়, কম্বল, লেপ সব রোদে শুকিয়ে ওয়ারড্রবে গুছিয়ে রাখি। কিন্তু হঠাৎ মাঘ মাসের শীত আসবে কে জানে। তাই রাতটি শীতের কষ্টে কাটিয়েছি।শহরতলী পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকায় রাতে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করেন মোঃ রমজান মিয়া। তার সঙ্গে আলেপকালে তিনি বলেন, আমি হাত লম্বা একটি শার্ট পড়ে পাহারা দিতে এসে শীতে কাবু হয়ে গিয়েছি। কারণ শীতের জ্যাকেট বাসায় রেখে দিয়েছিলাম, আর বের করিনি। মার্চ কিংবা ফাল্গুনেও যে শীতের প্রকোপ বাড়ে এটা কখনও শুনিনি, অনেক কষ্ট সহ্য করে ডিউটি করলাম।শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ রোডের পুরান বাজার থেকে শাহজিরবাজার রোডের টমটম চালক মোঃ জাহির মিয়া বলেন, বাসা থেকে শুধু একটি পাঞ্জাবি পরে টি শার্ট পড়ে গাড়ি নিয়ে বের হই। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীত বাড়ায় বিপাকে পড়ি। তাই রাত ১১টার আগেই গাড়ি বন্ধ করে বসায় চলে আসি।শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার সূত্রে জানা যায়, গরমের মৌসুমে হঠাৎ শীত বাড়ায় উপজেলায় বেড়েছে ঠাণ্ড, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ।শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বিবলু চন্দ্র দাশ জানান, গত এক সপ্তাহে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৭ ডিগ্রির ভেতরে ওঠানামা করে। বুধবার শ্রীমঙ্গলে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ইং, সকালে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নেমে আসে।আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ শ্রীমঙ্গল কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আনিস জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ইং, ভোর ৬টার সময় উপজেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। -
শ্রীমঙ্গল কাথলিক মিশনে ভাটিকান রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ কেভিন এস. রান্ডালকে বরণ।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : বর্ণাঢ্য আয়োজন মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে নিযুত ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ কেভিন এস. রান্ডাল’কে বরণ করেন খ্রীষ্টান সম্প্রদায়েরা।
রবিবার (২৫ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় শ্রীমঙ্গল সদরে অবস্থিত সাধু জোসেফ গীর্জা’য় তার আগমনে আদিবাসী সম্প্রদায়েরা নাচে গানে ফুল ছিটিয়ে সাজ সাজরবে বরণ করেন।এবং এ আগমনকে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল কাথলিক মিশনে পরিণত হলো একটি মিলনমেলায়। রবিবাসরীয় উপাসনা মধ্যদিয়ে আরম্ভ হয় প্রধান অতিথির আগমনের মূল আমেজ।
বিকেল ৫টায় ফাদার রবার্ট নকরেক সিএসসি’র সঞ্চালনায় ও শ্রীমঙ্গল কাথলিক মিশনের পালপুরোহিত ড. ফাদার জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি’র সভাপতিত্বে শুরু হয় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশে নিযুত
ভাটিকান রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ কেভিন এস. রান্ডাল।বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কাথলিক ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ, মৌলভীবাজার গিয়াসনগর মাইনর সেমিনারী আধ্যাত্মিক পরিচালক ফাদার জোসেফ তপ্ন,পুলিশ প্রশাসন’সহ বিভিন্ন মণ্ডলীর পাষ্টর, ফাদার, সিষ্টার,ব্রাদার, সমাজ পরিচালক ও তিন’শত খ্রীষ্টভক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন নাচ-গানের ফাঁকেফাঁকে বিশেষ অতিথিগণ বক্তব্য প্রদানের মধ্যদিয়ে অনুভূতি করেন।এবং ১৩টি খ্রীষ্ট’মন্ডলী পাষ্টরগণ ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূতকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও বরণ করেন।এসময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিজ নিজ সংস্কৃতির নাচ পরিবেশন করেন খাসিয়া,গারো, সাদ্রী সম্প্রদায়ের
নৃত্যশিল্পীরা।প্রধান অতিথি ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূত ইংলিশ ভাষা’য় বলেন, আমি আজ আনন্দে আপ্লুত আপনাদের সন্মান ও ভালবাসা পেয়ে।এখানে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী মানুষ দেখতে পেয়েছি এবং আমাকে আন্তরিকা সাথে গ্রহণ করেছেন।তিনি আরও বলেন, এভাবে সকল মানুষকে ভালবাসাতে হবে,সন্মান করতে হবে, তাহলে সুন্দর হবে সমাজ ও মণ্ডলী।
প্রধান অতিথি বক্তব্য বাংলায় অনুবাদ করেন শ্রীমঙ্গল কাথলিক মিশনের পাল-পুরোহিত এবং এ অনুষ্ঠানের সভাপতি ফাদার ড. জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি। অবশেষে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত টি শেষ হয়।
-
আদর্শ সংগীত বিদ্যালয় শ্রীমঙ্গল কেন্দ্রের বার্ষিক সাংস্কৃতিক পরীক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। সিলেট ললিতকলা একাডেমি কর্তৃক গৃহীত আদর্শ সংগীত বিদ্যালয় শ্রীমঙ্গল কেন্দ্রের বার্ষিক সাংস্কৃতিক পরীক্ষা-২০২৩ইং, এর পরীক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল পৌরসভার পাশে মহসিন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মলয় চন্দ্ৰ দাশ’র সভাপতিত্বে এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব- দক্ষিণ জিলাদপুর সপ্রাবি সহকারী শিক্ষক শুভ্র দেব, ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব- চন্দ্রনাথ সপ্রাবি সহকারী শিক্ষক অনিতা দেব, এর দ্বৈত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন সংগীত পরিচালক বিপ্রদাস ভাচার্য্য, আব্দুল ওহাব উচ্চ বিদ্যালয় সভাপতি মোঃ আব্দুর রউফ, ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ঝলক কান্তি চক্রবর্তী, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক অয়ন সীধুরী, চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জহর তরফদার, ফারিয়া শ্রীমঙ্গল সভাপতি দেবব্রত দত্ত হাবুল।আরো উপস্থিত ছিলেন, সিলেট ললিতকলা একাডেমি’র সদস্য বিজয় কৃষ্ণ চন্দ, সদস্য মিলন, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও সাংস্কৃতিককর্মী শ্রীমঙ্গল বিকাশ দাশ বাপ্পন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা’র সহ-সভাপতি প্রনবেশ চৌধুরী অন্তু, সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিত রায়, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা’র সদস্য শেলী সূত্রধর, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও সারগাম সংগীত বিদ্যালয় শ্রীমঙ্গল প্রধান প্রশিক্ষক অনুপ বিশ্বাস। এছাড়াও ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিক-সহ আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে সার্বিকভাবে পরিচালনায় আদর্শ সংগীত বিদ্যালয় শ্রীমঙ্গলের পরিচালক ও প্রধান প্রশিক্ষক করুনাময় দাশ মৃত্যুঞ্জয় এবং পরিচালনায় সহায়তায় ছিলেন, আদর্শ সংগীত বিদ্যালয় সংগীত প্রশিক্ষক শিমু দত্ত, ও আদর্শ সংগীত বিদ্যালয় তবলা প্রশিক্ষক কাজল চন্দ।আদর্শ সংগীত বিদ্যালয় অনুষ্ঠানে, বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন সংগীত পরিচালক বিপ্রদাস ভাচার্য্য, বাংলাদেশ টেলিভিশন লোক সংগীত শিল্পী ববি রায়-সহ আরো অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে সিলেট ললিতকলা একাডেমি কর্তৃক গৃহীত আদর্শ সংগীত বিদ্যালয় শ্রীমঙ্গল কেন্দ্রের বার্ষিক সাংস্কৃতিক পরীক্ষা-২০২৩ইং, এর শতাধিক ছাত্রী-ছাত্রছাত্রী পরীক্ষার্থীদের সনদ বিতরণ করা হয়। -
বিশ্ব ইজতেমায় গেলেন শ্রীমঙ্গলের ৬ বাক প্রতিবন্ধী।
নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে তাবলিগ জামাত এর ইজতেমা।এতে শরিক হতে বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং, রাতে আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিশ্ব ইজতেমায় গেলেন শ্রীমঙ্গলের ৬ বাক প্রতিবন্ধী।গতকাল বুধবার থেকেই মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম-শহর থেকে হাজার হাজার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে দলে দলে যেতে শুরু করেছেন। তবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে যাওয়ার জন্য বুধবার রাতে সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান (মতিন) এর সঙ্গে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন একটি হোটেলে চায়ের টেবিলে বসে চা খাচ্ছেন ৬ বাক প্রতিবন্ধী। সেই সময় তাঁদের সাথে দেখা হয় সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিনের। তখন সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিন তিনি জিজ্ঞেস করলেন মতিনকে, যে ৬ বাক প্রতিবন্ধী তাদের সঙ্গে অনেক সামানা, তাদেরকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তাদেরকে নিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে যাচ্ছি। তারা হলেন, বাক প্রতিবন্ধী ১.মোঃ নাহিদ রাজা, ২.মোঃ লিটন মিয়া, ৩.মোঃ স্বপন মিয়া, ৪.মোঃ মরম আলী, ৫.মোঃ সোহাগ মিয়া, ৬.মোঃ হাছান মিয়া।তিনি আরও বলেন, আমাদের সাথে আরো দুজন আছেন, শিক্ষক মোঃ আব্দুল সুবাহান ও হাফেজ মোঃ আব্দুল হাকিম-সহ আমরা মোট নয় জন যাচ্ছি। এই ভাইদের নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় যাওয়ার জন্য উপবন ট্রেনের অপেক্ষা করতেছি, ট্রেন আসলে বিশ্ব ইজতেমায় চলে যাবো এবং আমাদের জন্য দোয়া করিবেন। -
৭ম বার সাংসদ নির্বাচিত ও কৃষি মন্ত্রী আব্দুস শহীদ এর শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে আগমন।
নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন মৌলভীবাজার-৪(শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) বার বার নির্বাচিত মাটি ও মানুষের নেতা উপাধ্যক্ষ ড.মোঃআব্দুস শহীদ এমপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৭ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পরই তিনি শপথ নিতে ঢাকা চলে যান। সেখানে শপথ নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জবাসীকে মুল্যায়ন করে উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপিকে কৃষি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রিত্ব উপহার দেন।শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ তার নির্বাচনী এলাকায় ফিরছেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এদিকে এলাকায় আসছেন শুনে মানুষের মধ্যে আনন্দের শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এমপিকে অভিনন্দন জানিয়ে ভেনার ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গল পৌরসভার পাশে জেলা পরিষদ মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান। যেখানে অন্তত ১০ হাজার মানুষ জমায়েত হবেন বলে জানা যায়।বুধবার ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সরজমিনে দেখা যায় শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনী থেকে মৌলভীবাজার সড়ক, ষ্টেশন-ভানুগাছ সড়ক ও হবিগঞ্জ সড়ক অভিনন্দন সংবলিত ফেস্টুন ও তোরণে ভরে গেছে।শ্রীমঙ্গলের কলেজ রোডস্থ ফুলের দোকান গুলোতে দেখাযায় শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফুলের তোড়া বানাতে মানুষের ভীড়। শত শত তোড়া গতকালই তৈরী করে রেখেছেন ফুলের দোকানীরা। অনেকে নতুন করে অর্ডার নিতে পারছেন না তারা।এ বিষয়ে ভূনবীর দশরথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ঝলক কান্তি চক্রবর্তী বলেন, উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি গণমানুষের নেতা। তাদের প্রিয় নেতা কৃষি মন্ত্রী হয়েছেন মানুষতো ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, অভিনন্দন জানাবেই।শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতার হোসেন বলেন, উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি মানুষের কাছে থাকতে পছন্দ করেন। তিনিও মানুষকে ভালোবাসেন এই ভালোবাসার প্রতিদানে তিনি ভালোবাসাতো পাবেনই।এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব বলেন, কৃষি উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি কে তৃণমুল থেকে শহর শহরতলী সকল মানুষই ভালোবাসেন। তাইতো একবার দুইবার নয় তিনি যতবার সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন প্রত্যেকবারই তারা ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে তাঁকে বিজয়ী করেছেন। জনগনের জন্য এই নেতার দরজা সব সময় খোলা। তিনি বিজয়ী হওয়ার পর পরই ঢাকায় চলে যান। এর পর থেকে তার বাসায় শত শত মানুষ ভীড় করছেন। এই মানুষ গুলোর জন্য তারা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন কৃষি মন্ত্রীর কাছ থেকে সময় নিয়ে গণ সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন।তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ১১টায় তিনি শ্রীমঙ্গলে আসবেন। তাই শ্রীমঙ্গলের প্রবেশদ্বার থেকেই শত শত মানুষ তাকে বরণ করে নিতে আসবে শ্রীমঙ্গলে। পরে সাড়ে ১১টার সময় শ্রীমঙ্গলের জেলা পরিষদ মাঠে দেয়া হবে গণ সংবর্ধনা। পরের দিন শুক্রবার বিকেলেও আয়োজন করা হয়েছে অনুরুপ অনুষ্ঠান।এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার এলাকার মানুষের ভালোবাসার কাছে আমি ঋণী। তাঁরা আমাকে বার বার নির্বাচিত করেছেন। আমিও চেষ্টা করি তাঁদের পাশে থাকার। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবার আমাকে কৃষি মন্ত্রনালয়ের দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। এখন থেকে আমার দায়িত্ব বেড়েগেছে অনেক গুন। আমি আমার দায়িত্ব পালন করবো। -
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত জেঁকে বসেছে।ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের কারণে বিপর্যস্ত এখানকার জনজীবন। গত কয়েকদিন ধরে চলছে শীতের দাপট দেখা মিলেনি সূর্যের।ঠান্ডায় হাড় কাঁপানো এ শীতে হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা।রবিবার ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ইং, দুপুরে পৌরসভার উদ্যোগে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়।শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) মানুষের হাতে তুলে দেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মোঃ মহসিন মিয়া মধু।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) কাজী মোঃ আব্দুল করিম, পৌর কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-২) মীর এম এ সালাম, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমিন জাহান-সহ পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। -
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের গির্জায় শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে বড়দিন উৎসব।
নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। সবচেয়ে বড় উৎসব খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিনে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৬৯টি ও কমলগঞ্জ উপজেলার ৪৪টিসহ অন্য উপজেলাগুলোর গির্জায় চলছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। বড়দিন উৎসবে অপরূপ সাজে সেজেছে গির্জাগুলো।আলপনা একে নতুন করে রং করা, ধোয়ামোছার কাজের পাশাপাশি জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জি, চা বাগানের গারো লাইন এলাকায় গির্জাগুলো সাজাতে মেয়েরা আলপনা একে সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ করেছে।লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জি প্রেসবিটারিয়ান চার্চের সদস্য শাকিল পামথেত বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে বড়দিন উৎসব পালন করছি।সিলেট প্রেসবিটারিয়ান সিনডের সহ-সাধারণ সম্পাদক ফিলা পতমী বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৬৭টি গির্জা রয়েছে। সব গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।তিনি বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে বড়দিনের আগেরদিন পর্যন্ত প্রতিটি গির্জা মণ্ডলীগুলোর আয়োজনে ঘরে ঘরে কীর্তন-প্রার্থনার সভা ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। তবে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বড়দিনের দিন সকাল ১০ ঘটিকায় সবচেয়ে বেশি ক্যাথলিক খ্রিস্ট ভক্তদের সমাগম হবে শহরতলীর শ্রমিক সাধু যোসেফ ধর্মপল্লীর প্রার্থনা সভায়।শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, বড়দিন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রত্যেকটি চার্চের নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য রয়েছে। কোনো সমস্যা হবে না। বড় বড় গির্জাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। তাছাড়া বড়দিন অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে যারা জড়িত আছেন তাদের সবার সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।