Tag: শ্রীমঙ্গল

  • শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে: তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে: তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল। জেঁকে বসেছে শীত। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
    আজ সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, সকাল ৯টার সময় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে। কুয়াশা ভেদ করে ঝলমলে রোধ উঠায় শীত কম অনুভূত হচ্ছে। মৌলভীবাজারের কোনো কোনো এলাকায় ম‍ৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
    এদিকে গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি ওঠানামা করছে। রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেরদিন শনিবার ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
    শীতের দাপট বেড়েই চলছে এই জনপদে। এতে চা বাগানের চা শ্রমিক ও হাওর এলাকার দিন মজুর এবং খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে বিপাকে। শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে পেটের দায়ে শ্রমিকরা মজুরির আশায় কাজে যাচ্ছে। না হলে চুলায় আগুন জ্বলবে না তাই এমন শীতে জুবুথুবু হয়ে পেটের দায়ে পরিবারের খাবার  যোগাড় করতে অনেকেই ঘর থেকে বের হয়েছেন। আবার অনেকেই তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না বলে জানা যায়।
    ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে ফলে শ্রীমঙ্গল শহরের সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। তাই শীতের কারণে রোজগার কম হচ্ছে ও শীতে বড় বেশি কষ্টে আছে বলে জানান ভ্যান গাড়ি চালক ও রিকশাচালক এবং এলাকার খেটে খাওয়া  দিন মজুর মানুষরা।
  • শ্রীমঙ্গল যুব বিভাগের মেধাবিকাশ শিক্ষা সফর।

    শ্রীমঙ্গল যুব বিভাগের মেধাবিকাশ শিক্ষা সফর।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: পৃথিবীর সব কিছু আল্লাহ তাআলার নির্দেশে সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সব কিছুর স্রষ্টা। আর কিছু বস্তু মহান আল্লাহ নিজ কুদরতি হাতে সৃষ্টি করেছেন অবলোকন। মানুষের মেধাবিকাশ, জ্ঞান সমৃদ্ধকরণ এবং বিনোদনের উদ্দেশ্যে মনোমুগ্ধকর এক প্রাকৃতিক পরিবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুব বিভাগের শিক্ষা সফর সুন্দর ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, সকাল ৭টার সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ তারেক মাহফুজ যাত্রা শুরু আগে দোয়া করেন, পরে উনার নেতৃত্বের মাধ্যমে ও উপজেলা যুব বিভাগের সেক্রেটারি মোঃ আকরাম হোসাইন এর সঞ্চালনায় শিক্ষা সফরের দুটি বাস গাড়ি ৯৭জন যাত্রী নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার অন্যতম তাহিরপুর পর্যটন স্পট প্রকৃতি কন্যা যাদুকাটা নদী বাদাঘাট, মানিগাঁও শিমুল বাগান এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। দুপুর ৩টার সময় নির্ধারিত স্থানে পৌছলে পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ি স্পট পরিদর্শন-সহ বিভিন্ন খেলাধুলা ও নানান কর্মসূচি পালন করা হয়। খেলাধুলায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটের সময় গাড়ি ছাড়া হয়, মাঝপথে রাস্তায় চলতি গাড়ির মাঝে ভিতরে সবাইকে নাস্তা দেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১১ সময় শ্রীমঙ্গল এসে পৌঁছা হয়। এর আগে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে সকল সাড়ে ৮টার সময় সংগঠনের ডিজাইন করা লোগো লাগানো একটি টি-শার্ট ও নাস্তা দেওয়া হয়। পরে বেলা ০১টার সময় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে বড় একটি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করা হয়। পরে কিছুক্ষণ আশার পর আবারও গাড়ি থামিয়ে বিরতি দিয়ে সবাইকে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়।
    মেধাবিকাশ শিক্ষা সফরে (ভ্রমণ) উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুব বিভাগের বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দরা-সহ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন-সহ জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন শাখা নেতৃবৃন্দরা প্রমুখ।
    এ সময় তাদের সাথে সফর সঙ্গী মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক জনসংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, সফর (ভ্রমণ) মানুষকে কুপমন্ডুকতার ছত্রছায়া থেকে মুক্ত করে বিশাল পৃথিবীর অপার সৌন্দর্যের মধ্যে ঠাঁই দেয়। মানুষের মনকে করে তোলে উদার। ক্ষুদ্র এ মানব জীবনকে দান করে গতিশীলতা। আর সেই সফর (ভ্রমণ) যদি হয় মানুষের জীবন চরিত্র শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে তাহলে তো কথাই নেই। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে মানুষের অসম্পূর্ণ ও আবদ্ধ জ্ঞান বিকাশ লাভের সুযোগ পায়। শিক্ষা সফর একজন মানুষের জীবনকে করে আনন্দময় ও পরিপূর্ণ। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে মানুষেরা সুযোগ পায় নিজের দেশ ও জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তথা নিজের শেকড় সম্পর্কে জানতে। এছাড়া দেশের বাইরে সফরের মাধ্যমে তারা নানা দেশ ও জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবনযাত্রার সাথে পরিচিত হতে পারে যা তাদের জ্ঞানের সীমাকে প্রসারিত করে।
    মোঃ জালাল উদ্দিন তিনি আরও বলেন, বই পড়ে যে শিক্ষা অর্জন করা হয় তা পরিপূর্ণ শিক্ষা নয়। কুরআন হাদিসের শিক্ষার সাথে জীবনকে সাজানো। আর সেই শিক্ষার সাথে বাস্তব জ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটাতে পারলেই তা হয়ে উঠে পরিপূর্ণ শিক্ষা। নানা রকম ব্যবহারিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে এ পূর্ণতা অর্জন করা যায়। এসব কর্মকান্ডের মধ্যে শিক্ষা সফর (ভ্রমণ) অন্যতম। শিক্ষা সফরে (ভ্রমণ) গিয়ে মানুষেরা শুধু আনন্দ লাভই করে না, বরং ঐতিহাসিক বিভিন্ন বিষয় প্রত্যক্ষ করে এবং সে বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করে। তাই প্রকৃত ও পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষা সফর (ভ্রমণ) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • শ্রীমঙ্গলে”হারমোনি ফেস্টিভ্যাল”মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব।

    শ্রীমঙ্গলে”হারমোনি ফেস্টিভ্যাল”মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে বর্ণিল জীবন ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে  “হারমোনি ফেস্টিভ্যাল” মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
    আজ শুক্রবার ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, উদ্বোধন হবে সম্প্রীতি উৎসব “হারমোনি ফেস্টিভ্যাল ২০২৫”। নতুন বছরের চলবে তিনদিন ব্যাপী শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত।
    “হারমোনি ফেস্টিভ্যাল” নামের এই মেলা শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই সংলগ্ন কাকিয়াছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্থানীয় বিভিন্ন নৃ-জাতি-গোষ্টির কালচারাল প্রোগামের পাশাপাশি বিভিন্ন উপকরনের স্টল থাকবে ৫০টি। দেশের ২৬টিরও বেশি নৃগোষ্টী উদ্যোক্তারা অংশ নিচ্ছেন এতে। এবারের আয়োজনে যুক্ত হচ্ছে বেশকিছু নতুনত্ব এই মেলায়।
    এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ নাসরীন জাহান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খান মোঃ রেজা-উন-নবী, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।
    বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (গ্রেড-১) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেবেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন।
    পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে প্রথমবারের মতো  বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এই মেলা’র উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেলার অন্যতম আয়োজক শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসলাম উদ্দিন। তিনি বলেন, পর্যটনশিল্প আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে বহন করছে, আমরা এই শিল্পের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে চাই, তাই শ্রীমঙ্গলে ট্যুরিজম বোর্ডের তিনদিনব্যাপী ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই মেলায় প্রবেশ মূল্য থাকছে একদম ফ্রি বলে জানান তিনি।
  • শ্রীমঙ্গলে শিশু উদ্যান মাঠে বিটিইএসএ’র বার্ষিক সভা ও হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠিত।

    শ্রীমঙ্গলে শিশু উদ্যান মাঠে বিটিইএসএ’র বার্ষিক সভা ও হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠিত।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশন (বিটিইএসএ) ৬০তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও হীরক জয়ন্তী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল উপজেলা শিশু উদ্যান মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন।
    এ সময় বিটিইএসএ’র সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ কাওছার মিয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন ও বিটিইএসএ’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুর রহমান ছিলেন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান (নাসিম)।
    সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, মোঃ সুরমান আলী, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, পুলক রঞ্জন ধর, সাকি রিজওয়ানা, শ্রীমঙ্গল পৌর জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বুলবুল, প্রমুখ।
    সভা শেষে টি স্টাফদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ২০২৩ সালের জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মাঝে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ অর্থ বিতরন করা হয়।
  • শ্রীমঙ্গলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে উৎসব বড়দিন পালন।

    শ্রীমঙ্গলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে উৎসব বড়দিন পালন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দিনব্যাপী নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপন করা হয়েছে।
    বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, শহরের ক্যাথলিক মিশন রোডস্থ সেন্ট যোসেফ চার্চে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান।
    যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালনের শুরুতে মা মারীয়ার গ্রটোতে উদ্বোধনী আশীর্বাদ করা হয়। পরে সেন্ট যোসেফ গীর্জায় পবিত্র খ্রীস্টযাগ প্রার্থনায় খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা যোগ দেন।হাজার হাজারভক্তরা।
    এ সময় খ্রীস্টযাক উৎসব পরিচালনা করেন সিলেট ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ উপস্থিত ছিলেন ক্যাথলিক মিশনের প্রধান পুরোহিত ফাদার ড. জেমস্ শ্যামল গমেজ।
    এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার পুঞ্জি ও চা বাগান থেকে আসতে থাকেন হাজার হাজার খ্রীষ্ট ভক্তরা। তারা বেলা ১১ টার সময় বিশ্বের শান্তি কামনায় শ্রীমঙ্গল ক্যাথলিক মিশনে অংশ নেন বিশেষ সমবেত প্রার্থনা ও খ্রীষ্টযাক উৎসবে। তাছাড়া বড়দিন উপলক্ষে ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার জেমস্ শ্যামল গমেজকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার।
    বড়দিন উৎসবকে ঘিরে অপরূপ সাজে সেজেছে গির্জাগুলো। আলপনা একে নতুন করে রং করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জি, চা বাগানের গারো লাইন এলাকায় গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে আলপনা একে সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ১৮১টি গীর্জা রয়েছে। এরমধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৬৫ টি, এবং কমলগঞ্জ উপজেলায় ৪৩ টি গীর্জাসহ জেলার ১৮১ টি গীর্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
    মৌলভীবাজার থেকে আগত চেলসি বলেন, অনেক ভালো লাগছে, এটা আমাদের জন্য খুবই স্পেশাল একটা দিন। এই দিনের জন্য আমরা সারাটা বছর অপেক্ষা করে থাকি যে, একটা ২৫ তারিখ আসবে। আমরা সবাই নতুন রঙে সাজবো। চার্চে আসছি আমরা, আমাদের যীশুকে স্মরণ করবো, যেহেতু আজকে যীশুর জন্মদিন। তাছাড়া আমরা খুবই আনন্দিত।
    বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে আসা প্রমা চৌধুরী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা প্রত্যেক বছরেই বড়দিনে এখানে আসি, অনেক আনন্দ করি। অনেক সুন্দর আয়োজন তাঁদের। অনেক ভালো লাগছে। চার্চে অনুষ্ঠান হচ্ছে, সবাই আনন্দ করছে। যীশু খ্রীস্টের গোষালা এতো সুন্দর করে সাজিয়েছে, সেটা দেখতে আসছি।
    ক্যাথলিক মিশনের প্রধান পুরোহিত ফাদার ড. জেমস্ শ্যামল গমেজ বলেন, বড়দিনের শুভেচ্ছা সবাইকে। একটা সুন্দর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আমরা আজকের এই বড়দিন উদযাপন করছি। সমস্ত ধর্মের ভাই-বোনদের সার্বজনীন উৎসব। তাই সুস্থ, শান্তি পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক। আমাদের দেশে শান্তি সুশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হোক, সবার মঙ্গল কামনা করে, শান্তি কামনা করে বড়দিনের বিশেষ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
    মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, জেলায় ১৮১ টি গীর্জা রয়েছে। গীর্জার নিরাপত্তার জন্য, খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উদযাপনের জন্য পুলিশ যথেষ্ট পরিমাণ, বিশেষ করে সাদা পোশাকে এবং ইউনিফর্ম পোশাকে আমরা নিরাপত্তায় রেখেছি। মানুষ যেনো নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে অনুষ্ঠান, এবং পাশাপাশি এই উৎসবে শঙ্কা, ভয় কাজ না করে সেবিষয়ে আমরা আশ্বস্ত করেছি।
    তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‍্যাব, সেনাবাহিনী কর্মকর্তা মাঠে রয়েছেন।
  • শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড।

    শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আজ সকালে তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
    সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পর্যবেক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ২ থেকে ৩ দিন তাপমাত্রা নিম্ন থাকতে পারে।
    জানা যায়, তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এর পাশাপাশি বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের এই তীব্রতার ফলে নিম্নআয়ের ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
    আরও জানা যায়, সন্ধ্যার পর কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। সূর্য উঠলেও তেমন তাপ থাকে না সূর্যের আলোতে। তীব্র শীতের কারণে চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায় বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চা বাগানের নিম্ন আয়ের শ্রমিকেরা শীতের গরম কাপড়ের অভাবে বেশ কষ্ট পাচ্ছেন। সকাল ও সন্ধ্যা বেলা অনেককেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।
  • কর্মীসম্মেলনকে ঘিরে শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের একযোগে প্রচার ও পথসভা।

    কর্মীসম্মেলনকে ঘিরে শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের একযোগে প্রচার ও পথসভা।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামীকাল শনিবার ২১ ডিসেম্বর কর্মীসম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মজলুম জননেতা ডাঃ শফিকুর রহমান মৌলভীবাজার আগমন উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা-সহ পৌর ও ০৯টি ইউনিয়নের জামায়াত শিবির ও যুব বিভাগ-সহ জামায়াতে অঙ্গ সংগঠনের একযোগে প্রায় দুই হাজারের কর্মী সমার্থক নিয়ে প্রচার মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, মাগরিবের নামাজের পর শ্রীমঙ্গল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ইসমাইল হোসেন এর নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল শহরে হবিগঞ্জ রোড কাছারী জামে মসজিদ এর সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টেশন সড়ক হয়ে রেলওয়ে স্টেশন মোড়ে এসে শেষ হয়ে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ তারেক মাহফুজ এর সঞ্চালনায় পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম কামরুল। বক্তব্য রাখেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ সাদিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা-সহ পৌর ও ০৯টি ইউনিয়ন ওয়ার্ড এর জামায়াত-শিবির ও যুব বিভাগ এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন-সহ জামায়াতে অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি-সেক্রেটারি ও নেতা কর্মীরা প্রমুখ।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইসমাইল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ একটি দেউলিয়া দেশ হয়ে গেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি রাজনীতি সাংস্কৃতিক সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, বাংলাদেশ এই অভ্রতী অবস্থায় এ দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজন, সৎ ও আদর্শবান লোকের প্রয়োজন, আপনাদের কাছে আমরা চ্যালেঞ্জ করি, বাংলাদেশ জামায়তে ইসলামী সারা বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ কর্মী এবং দায়িত্বশীল আপনাদের সামনে আমরা পেশ করেছি তারা কোন লুটপাটে নেই, চাঁদাবাজিতে নেই, সরকারি জনসাধারণের সম্পদ আত্মসাতে নেই।
    তিনি বলেন, সম্মানিত জনতা আপনাদের কাছে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার পর, আমি বলতে চাই এই দেশ ৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর, সব সরকার এসে লুটে পেটে খেয়েছে আদর্শ লোকের কারণে, এই জন্য জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শ কারিগর সংগঠন, তাই আমি সবাইকে আহবান করব, জামায়াতে সাথে একত্র হয়, এই আল্লাহর জমিনে, আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাসন কায়েম করি।
    তিনি আরও বলেন, সম্মানিত দেশবাসী আমি অমুসলিম ভাইদেরকে বলতে চাই আমরা সবাই আদম (আঃ) এর সন্তান, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান কোন পার্থক্য নয়, আমরা হচ্ছি আদমের সন্তান, সবাই আদম (আঃ) এর সন্তান হিসাবে আমরা সবাই ভাই ভাই, এ দেশে আমাদের, এই দেশে আল্লাহ আমাদের জন্ম দিয়েছেন, এই দেশকে ঘরেই আমাদের পরবর্তী সন্তানদের জন্য আদর্শ রাষ্ট্র করে যেতে হবে, তাই দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষকে আমি আহবান করব, আসুন আমরা ইসলামী আন্দোলনে একত্রিত হয়ে, সৎ লোকের শাসন এবং আদর্শ রাষ্ট্র একটা কায়েম করি, সকল ইসলামী আন্দোলনের মাধ্যমে সফল ইসলামী রাষ্ট্র দিয়েই মানুষের অভাব অনটন দুঃখ দুর্দশা সবকিছু দূর হবে।
    আরো মাওলানা ইসমাইল হোসেন বলেন, দেউলিয়া হয়ে গেছে, আপনারা সবাই দেশের পরিস্থিতি জানেন, এ থেকে মুক্তি পেতে হলে, এই দেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, কারো কালো হাত ভয় না করে একমাত্র আল্লাহর উপরে ভয় করে, তাদের কালো হাত, তাদের অগ্রাসী সন্ত্রাসী অনুভব ধ্বংস করে দিতে হবে, তাদের চেলা চাওরিদেরকে আমাদের দেশ থেকে বয়কট করতে হবে, তাদের প্রতিহত করতে হবে।
    তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন তাদের নেতা বলেছে লক্ষ লক্ষ লোক মারা যাবে এ দেশ পরিবর্তন হলে, কিন্তু জামায়াতে ইসলামী-ইসলামী ছাত্র শিবির আদর্শের অনুসারী হওয়ার কারণে, একটি লোককেও হত্যা করে নাই, আমরা সততার পরিচয় দিয়েছি, যাঁরা সততার পরিচয়কে অবহেলা করবে, তাদেরকে কিভাবে প্রতিহত করতে হয়, তা আমাদের জানা আছে, তাই আসুন দলমত ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশটাকে গরি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা সুখী দেশ করে ঘরে যাই।
    তিনি আরও বলেন, আর আমি সবাইকে আহবান করব, আমাদের ২১শে ডিসেম্বর সম্মানিত আমিরে জামায়াত আসবেন আপনার সবাই দোয়া করবেন যাতে আমাদের প্রোগ্রাম সফল হয়, এবং আপনাদের সবার যাওয়ার জন্য দাওয়াত রইলো, আজকের এই প্রোগ্রামে আপনারা যারা আসছেন অনেক কষ্ট করে, সবাইকে মোবারক বাদ জানিয়ে এদেশের কল্যাণ কামনা করি।
    বিশেষ অতিথির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আশরাফুল ইসলাম কামরুল বলেন, আগামিকাল ২১ ডিসেম্বর শনিবার মৌলভীবাজার কর্মী সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে উক্তি কর্মী সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবাই দলমত নির্বিশেষে উপস্থিত থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
    এ ছাড়া আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০ ঘটিকায় মৌলভীবাজারে জামায়াতে ইসলামীর জেলা কর্মী সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ১০-১২ দিন ধরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা জামায়াতে ইসলামী পক্ষ থেকে গণসংযোগ ও দাওয়াতি কার্যক্রমে ব্যস্ত সময় পার করছেন দলের নেতাকর্মীরা। এবং শ্রীমঙ্গলের শহর গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন জায়গা ব্যপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা।
  • শ্রীমঙ্গলে উদযাপিত হলো আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের  ঐতিহ্যবাহী “ওয়ানগালা”।

    শ্রীমঙ্গলে উদযাপিত হলো আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের  ঐতিহ্যবাহী “ওয়ানগালা”।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
    নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ওয়ানগালা  উৎসব পালন করেছে সিলেট বিভাগে বসবাসরত  গারো সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা। এই উৎসবকে গারো সম্প্রদায়রা বলেন “ওয়ানগালা”বা নবান্ন উৎসব ।জানা যায়, এক সময় গারো পাহাড় এলাকায় জুম চাষ হতো এবং বছরে মাত্র একটি ফসল হতো। তখন ওই জুম বা ধান ঘরে উঠানোর সময় গারোদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’কে উৎসর্গ করে।
    কিন্তু গারোরা খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর তাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রথাটি এখন ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে একত্রে করে পালন করা হয়। এক সময় তারা তাদের শস্য দেবতা মিসি সালজংকে উৎসর্গ করে ওয়ানগালা পালন করলেও এখন তারা নতুন ফসল কেটে যিশু খ্রিস্ট বা ঈশ্বরকে উৎসর্গ করে ওয়ানগালা পালন করেন।
    এই উৎসব মুখর ধারাবাহিকতায় রোববার(১লা ডিসেম্বর )   শ্রীমঙ্গল উপজেলা অধীনে ফুলছড়া গারোপাড়ায়  জাঁকজমক ভাবে দিনব্যাপী  পালন করেন এ ওয়ানগালা উৎসব ।এই ওয়ানগালায়  খামাল(পুরোহিত)হিসাবে ফাদার জেমস শ্যামল গমেজকে গারো সম্প্রদায়ে কৃষ্টিগত কুটুব পড়িয়ে তাকে গ্রহণ করে নেন। তারপরে তিনি এই ওয়ানগালার পবিত্র  খ্রিষ্টযাগ  উৎসর্গ করেন। তারই মধ্যদিয়ে এই ওয়ানগালা   প্রথম পর্বটি শুরু হয়। খ্রিষ্টযাগে সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল  কাথলিক মিশনের সহকারী  পালপুরোহিত ফাদার রবার্ট নকরেক  সিএসসি, ফাদার বার্ণাড টিউস নকরেক, ফাদার কল্লোল রোজারিও’সহ ব্রতধারী -ব্রতধারিণী গণ।
    খ্রীষ্টযাগের শুরুতেই বেদির পাশে তৈরিকৃত পবিত্র ক্রুশে মালোদান ও কুটুপ পড়ানো হয়। সেইসঙ্গে উৎপাদিত প্রথম ফসলগুলো ক্রুশের নিচে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়। গারোদের ১২টি গোষ্ঠীর উদ্দেশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।।এছাড়াও ওয়ানগালার মূল অনুষ্ঠানের অংশ টক্কা, রুগালা, সাসাতসুআ (ধূপ পুড়ানো) ও উৎপাদিত ফসল আর্শীবাদ প্রদান হয় এই খ্রীষ্টযাগে।
    খ্রিস্টযাগ শেষে দুপুর ২টায় অদ্যকার ওয়ানগালা  খামাল(পুরোহিত) ফাদার জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি সভাপতিত্বে এবং মৌসুমি আরেং মৌ ও সামুয়েল হাজং যৌথভাবে সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যগত  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই ওয়ানগালা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসময় প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মো: ইসলাম উদ্দিন।
    বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটি সদস্য   প্রীতম দাশ, হুমায়ুন কবির মজুমদার, উপ-মহা ব্যবস্থাপক, ডিনস্টন ডিভিশন, মো:শাহারিয়া পারভেজ, ব্যবস্থাপক, চাতালি ডিভিশন, মাজদিহি, জনাব বিকাশ সিনহা, ব্যবস্থাপক, হরিণছড়া চা বাগান, ফিনলে,মৃণাল কান্তি দাশ, ওয়ানগালা উদযাপন কমিটি উপদেষ্টা মি: ফিলিক্স আাশাক্রা,সাবেক  নকমা ক্ষিতিশ আরেং,ডবলছড়া পুঞ্জি মাতব্বর ভিক্টর সুমের,মাতব্বর এলিসন সুঙ, সেন্ট জোসেফ কো-অপারেতিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর ব্যবস্থাপক ডমিনিক সরকার রনি প্রমুখ,এবং এই অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে নিজস্ব গারো উত্তরীয় ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
    এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়ানগালা উদযাপন কমিটি আহবায়ক মি:পার্থ হাজং।
    এই ওয়ানগালা  উদযাপন উপলক্ষে গারো সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা বিচিত্র পোশাক ও পাখির পালক মাথায় দিয়ে লম্বা ডিম্বাকৃতি ঢোলের তালে তালে নাচগান করেন। এটি গারোদের বছরের প্রধান বিনোদনের দিন। সারা গারো পাহাড় ঢোলের শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে গারোপাড়াগুলো।
    আয়োজক কমিটি উপদেষ্টা মি: ফিলিক্স আাশাক্রা  বলেন, গারোরা পাহাড়ি এলাকায় একসময় জুম চাষ করতো  এবং বছরে মাত্র একটি ফসল হতো। তখন ওই জুম বা ধান ঘরে ওঠানোর সময় গারোদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজংকে উৎসর্গ করে এ উৎসবের আয়োজন করা হতো।মূলত গারোরা ছিল প্রকৃতিপূজারী কিন্তু কালের পরিক্রমায় গারোরা ধীরে ধীরে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর তাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রথাটি এখন ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে একত্রে পালন করা হয়। এক সময় তারা তাদের শস্য দেবতা মিসি সালজংকে উৎসর্গ করে ‘ওয়ানগালা’ পালন করলেও এখন তারা নতুন ফসল কেটে যিশু খ্রিস্ট বা ঈশ্বরকে উৎসর্গ করে ‘ওয়ানগালা’ পালন করে থাকেন।’ওয়ানগালা’ অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য খ্রিস্টভক্ত গারাগানজিং, কতচু, রুগা, মমিন, বাবিল, দোয়াল, মাতচি, মিগাম, চিবক, আচদং, সাংমা, মাতাবেং ও আরেং নামে ১২টি গোত্রের গারো সম্প্রদায়ের লোকজনসহ প্রায় এক হাজার জন এ ওয়ানগালায়  উপস্থিত ছিলেন।
  • ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ ও সমাবেশ।

    ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ ও সমাবেশ।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার ঘটনায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল ও বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ইং, জুমআ’র নামাজের পর শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ থানা জামে মসজিদের সামনে থেকে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ শ্রীমঙ্গল এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনা চত্বরে এসে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় মিছিলে ও সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা- ইসকন জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী, বিশ্ব মুসলিম এক হও, এক হও, উগ্রবাদি সংগঠন ইসকনের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও‍‍- সহ নানা স্লোগান দেয়। বিক্ষোভ মিছিল ও ইসকন বিরোধী স্লোগানে মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে ওঠে এ সময় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান সড়ক-সহ চৌমুহনা চত্বর প্রায় এক ঘন্টা বন্ধ ছিল।
    চৌমুহনা চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি সাদিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি নাঈম হাসান, তালামিযে ইসলামিয়ার শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি নাজমুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রসেনার শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি নাজমুল ইসলাম সাঈদ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের মোজাহিদুল ইসলাম-সহ প্রমুখ।
    অন্যদিকে একই সময় শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের সামনে থেকে সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টেশন রোড যমুনা পেট্টল পাম্পের সামনে মিলিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম-খতিব হাফেজ মাওলানা ফেরদাউস আহমদ, শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের ইমাম মুফতি হিফজুর রহমান হেলালী, আল মদিনা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান-সহ শহর-শহরতলীর বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, খতিব প্রমুখ।
    সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদের বক্তারা ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার বক্তারা ইসকন সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, দেশবিরোধী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে উগ্রহিন্দুত্ববাদী ইসকনের কর্মী-সমর্থকরা চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে দিনের আলোতে জনসম্মুখে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ভারতের উসকানি ও মদদে এই ষড়যন্ত্রমূলক অরাজকতা তৈরি করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ইসকনের কর্মী-সমর্থকদের দ্রুত গ্রেফতার করে শহীদ আলিফ হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ে হিন্দুত্ববাদী ইসকনকে অতিসত্বর নিষিদ্ধ করতে হবে।
    সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনোভাবেই উগ্রবাদী কার্যক্রম বা ষড়যন্ত্রের জন্য স্থান দেওয়া যাবে না বলেও হুশিয়ারী দেন সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেতারা।
    ইসকন উগ্রবাদী কার্যক্রম চালিয়ে দেশের পরিবেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, ইসকন বা অন্য কোন উগ্রবাদী সংগঠন যাতে দেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ এবং অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। পাপাশাপাশি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
    বক্তারা আরও বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে ইসকন। আমরা দেখেছি, ৫ আগস্ট আলেমরা, দাড়িওয়ালা-টুপিওয়ালারা হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। তবুও উগ্র হিন্দুত্ববাদী জঙ্গী সংগঠন সাইফুল ইসলাম আলিফকে জবাই করে হত্যা করেছে। বাংলাদেশে সকল ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। ধর্মের নামে উগ্রবাদীতার এখানে ঠাঁই নেই। ইসকনের বর্বরতা আইয়ামে জাহিলিয়াতকে হার মানিয়েছে। তাই অবিলম্বে ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে বলে জানান তারা।
  • শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদ ক্লাবে প্রতিনিধি সম্মেলন।

    শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদ ক্লাবে প্রতিনিধি সম্মেলন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদ ক্লাবে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ইং, সকাল ১০টার সময় শ্রীমঙ্গল শহরের অভিজাত রেস্টুরেন্ট টিভ্যালীর হল রুমে জুম্মার নামাজের আগ মুহূর্ত এই প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ক্লাবের সকল ইউনিয়নের টিম প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।
    এ সময় শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি তারেক মাহফুজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী মহসিন আহমদ রাহীর সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের উপসচিব আব্দুল্লাহ জাফরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তরুণ উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী মুর্শেদ। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদের সম্মানিত উপদেষ্টাগণ ও ক্লাবের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।
    যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি তারেক মাহফুজ বলেন, যুব সমাজকে গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
    তিনি বলেন, যুবসমাজ যেকোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
    সভাপতি তারেক মাহফুজ আরও বলেন, সংগঠনের নির্দেশনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আনুগত্যের মূর্ত প্রতীক হতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি যুব সমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপসচিব আব্দুল্লাহ জাফরী বলেন, যুব সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ, ইনসাফপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। আজকের যুব সমাজই জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যুগে যুগে যুবকরাই ইতিহাস সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টায় স্রোতের গতিধারাও পরিবর্তন হয়ে যায়।
    তিনি দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় দেশ ও জাতির সত্যিকার মুক্তির জন্য যুবকদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। অন্যথায় আমাদের মুক্তি মিলবে না।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন চৌধুরী মুর্শেদ বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস যুব সমাজের হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন সেগুলোও যুব সমাজের পরিশ্রমের ফসল। হাজী শরীয়তুল্লাহ, শহীদ তিতুমীরের মতো প্রাণচঞ্চল যুবকদের হাতেই এসেছে আমাদের বড় বড় অর্জন। তাই জাতির এই ক্রান্তিকালে যুব সমাজকে ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই, বরং সত্যের পতাকা উড্ডয়ন ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে বলে তিনি জানান। এ সময় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তরুণ যুবক-ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।