Tag: শ্রমিক

  • সেপটিক ট‍্যাংকিতে ৩ জন শ্রমিকের মৃত‍্যুর রহস‍্য উদঘাটনের দাবিতে মাধবপুরে মানববন্ধন।

    সেপটিক ট‍্যাংকিতে ৩ জন শ্রমিকের মৃত‍্যুর রহস‍্য উদঘাটনের দাবিতে মাধবপুরে মানববন্ধন।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগরে সেপটিক ট‍্যাংকির ভেতরে তিনজন নির্মান শ্রমিকের মৃত‍্যুর ঘটনাকে নিরপেক্ষ তদন্ত করে রহস‍্য উদঘাটনের দাবিতে মাধবপুরে মানবন্ধন বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় এলাবাসীর  আয়োজনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ,প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সুষ্ঠু তদন্তের মাধ‍্যমে মৃত‍্যুর রহস‍্য উদঘটান করে দোষীদের  আইনের আওতায় আনার জন‍্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।

    স্বজনদের দাবি এটি পরিকল্পিত হত‍্যাকান্ড। বক্তব‍্য রাখেন আদাঐর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ফারুক পাঠান,কাউন্সিলর সামসুল ইসলাম পিন্টু পাঠান, আফজাল মিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সারারণ সম্পাদক  উজ্জল পাঠান,সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ জয়নাল আদাঐর ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস‍্য মিনারা বেগম ,জাকির হোসেন প্রমূখ।

    পার্শবর্তী উপজেলা নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা বাজারের পাশে আহাদ আলীর স্ত্রীর নামে স্বপ্না মার্কেটে  সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে থেকে গত (১৪ এপ্রিল) সকালে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃতদেহ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়।

    নিহতরা হলেন হবিগঞ্জ জেলা মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের সম্পদপুর গ্রামের মোঃ নজব আলী ছেলে চুন্নু মিয়া (২২), মৌজপুর গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে সম্রাট মিয়া ( ২৩) ও মাধবপুর পৌরশহরের কৃষ্ণনগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আলম মিয়া( ২২)।

  • কমলগঞ্জে পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাঁই।

    কমলগঞ্জে পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাঁই।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা বাগানে একটি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। গত শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ ইং, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার সময় উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের বাজার লাইন এলাকার চা শ্রমিক আনু কুর্মীর বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
    স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার সময় আনু কুর্মীর বসতঘরে আগুন লাগে। তাৎক্ষণিক বালতি, ডেগ, কলস ও বালি ব্যবহার করে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেন। ঘরে থাকা আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, ধান-চাল পুড়ে গেছে। প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। কিন্তু ততক্ষণে বসতঘরের মাটির দেয়াল ছাড়া সমস্তকিছু আগুনে পুড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয় জনতা তাদের নিরুৎসাহিত করেন।
    ক্ষতিগ্রস্ত আনু কুর্মী বলেন, সন্ধ্যা ৭টার সময় হঠাৎ করে আমার ঘরে আগুন লাগে। ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, ধান-চালসহ সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য শিপন চক্রবর্তী বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর আমি সেখানে যাই। মালামাল উদ্ধারে তাদের সহযোগীতা করি। তাদের একটি ঘর পুড়ে গেছে। সেই ঘরটিতে প্রচুর মালামাল ছিল। ক্ষতির পরিমান ৪-৫ লাখ টাকা হবে। তাদের সহযোগীতা করা হবে।
    কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয়রা। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে আনুমানিক প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
  • প্রাইভেটকার চাপায় চা শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ।

    প্রাইভেটকার চাপায় চা শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কানিহাটি চা বাগানে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কারের চাপায় কুঞ্জ বালা মৃর্ধা (৫০) নামে এক নারী চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
    শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ ইং, বিকাল ৫টার সময় উপজেলার শমশেরনগর-চাতলাপুর সড়কের ক্যামেলিয়া ডানকান হাসপাতালের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কুঞ্জ বালা মৃধা বাগানের অফিস লাইনের বাসিন্দা ও রতন মৃধার স্ত্রী।
    দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে প্রতিবাদে কানিহাটি চা বাগানের সাধারণ চা শ্রমিকরা শমসেরনগর-চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। রাত ৯টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নারী-পুরুষ চা শ্রমিকরা।
    রাত ৯টার পরে কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম-সহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার ও নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
    এ সময় শ্রমিকরা বলেন, ওই এলাকায় দ্রুত কয়েকটি স্পিড ব্রেকার নির্মাণ ও দায়ী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানিহাটি চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক কুঞ্জ বালা মৃর্ধা সেকশনে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। বিকাল পৌনে ৫টার সময় ক্যামেলিয়া হাসপাতালের সামনের পাকা রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কার তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অন্যান্য শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে বাগানের ক্যামেলিয়া ডানকান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাগানের চা শ্রমিকরা দ্রুত বিচার দাবি করে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
    বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছে। পরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী শ্রমিক নিহত ও রাস্তা অবরোধের খবর জানার পর কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম-সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
    তিনি আরও বলেন, গাড়িসহ গাড়ি চালক পলাতক। পলাতক চালককে দ্রুত আটকের চেষ্টায় মাঠে রয়েছে পুলিশ।
  • মাধবপুরে ছাদ থেকে পড়ে নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু।

    মাধবপুরে ছাদ থেকে পড়ে নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে নির্মানাধীন আকিজ গ্লাশ ফ্যক্টরীর একটি দশতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে আসাদ মিয়া নাম এক নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।আসাদ মিয়ার বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার জালিয়াপাড়া গ্রামে।তার পিতার নাম সোলেমান মিয়া।
    সোমবার(২৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কাজ করার সময় আসাদ মিয়া আকিজ গ্লাশ ফ্যাক্টরীর একটি দশ তলা ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।সহকর্মীরা দ্রুত তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষানিরীক্ষা করে সাথের লোকজনকে আসাদের ইসিজি করাতে পরামর্শ দেন।ইসিজি না করিয়েই দ্রুত আসাদকে নিয়ে সটকে পড়েন সাথের লোকজন।পরে আসাদ মারা যায়।
    মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক দ্বীন মোহাম্মদ ছাদ থেকে পড়ে নির্মান শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
  • কমলগঞ্জে পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার।

    কমলগঞ্জে পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার।

    মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের বাজার লাইনে কালভার্টের নীচ থেকে এক চা শ্রমিক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা যায়, নিহত নাম রঞ্জিত ভুমিজ (২৫)। সে মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইন এলাকার মৃত পলিমল ভুমিজের ছেলে।
    বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং, রাত সাড়ে ১০টার সময় এলাকাবাসী শ্রমিক লাইনের একটি কার্লভাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি মরদেহ পরে থাকতে দেখে কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে রাত ১২টার সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাত্রখোলা চা বাগান এর পশ্চিম লাইন এলাকার চা শ্রমিক যুবক রঞ্জিত অতিরিক্ত মদ্যপ পান অবস্থায় বাজার লাইনের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে কার্লভাট নিচে পড়ে পাকার পিলারে গিয়ে মাথায় আঘাত পায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
    পরে এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
    কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মূল ঘটনা জানা যাবে। পরে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
  • শ্রীমঙ্গলে ভুড়ভুড়িয়া চা বাগান থেকে চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার। 

    শ্রীমঙ্গলে ভুড়ভুড়িয়া চা বাগান থেকে চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার। 

    এলিসন সিঙ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালীঘাট ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া চা-বাগানের ছড়া থেকে এক চা শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।

    শনিবার (১৪ অক্টোবর) শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৮নং কালীঘাট ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া চা-বাগানের ছড়ার ডুমনিয়া ঘাট নামক স্থান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

    শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় লোকের মাধ্যমে  খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে শ্রীমঙ্গলের ভুরভুরিয়া ছড়া চা বাগান থেকে এক চা শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই ব্যাক্তির নাম রাম রতন রবি দাশ (৩৫)। তার বাড়ি জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর চা বাগানে। সে ওই বাগানের গুল্লিমারা টিলার শংকর রবি দাশের ছেলে।

    পুলিশ জানায়, সে শ্রীমঙ্গল কাকিয়াছড়া চা বাগানে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিল। সে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তার পরিবারের কাছ থেকে জেনেছেন।
    শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্টে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে তার শরীরের বেশ কিছু অংশ নীল হয়ে গেছে।

    তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ওই এলাকায় একটি বড় সাপ দেখেছেন। তাদের ধারনা তাকে সাপে কামড় দিতে পারে। তবে লাশের ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

  • শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক(একাংশ)বর্তমান কমিটির অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।

    শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক(একাংশ)বর্তমান কমিটির অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।

    শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের একাংশ বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন করারও দাবি জানান।

    রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে চা শ্রমিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চা শ্রমিক নেত্রী গীতা কানু।এ সময় উপস্থিত ছিলেন চা শ্রমিক বিশ্বজিৎ রিকমন, কাজল বাকতি, শংকর ভূমিজ, সুমন সাঁওতাল, পরিমল সিং বাড়াইক, লচমন রানী রাজভর, রামদয়াল গোয়ালা, মনুজ সিং বাড়াইক, মধুসূদন মুন্ডা।সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় আড়াই বছর আগে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনে মেয়াদ শেষ হওয়া পর যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এমন সদস্যদের দিয়ে নির্বাচন কমিশনার গঠন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান কমিটি গড়িমসি করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আরও প্রায় এক মেয়াদ কাটায়। এখন আবারও ক্ষমতায় থাকতে নিজের মতো করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নিজেদের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। গঠনতন্ত্র পুনঃসংশোধন না করে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র দিয়ে নির্বাচন না করতে সিলেট শ্রম আদালতে মামলাও হয়েছে।
    এ সময় বক্তারা বলেন, একই সাথে এই নির্বাচনের জন্য সাধারণ শ্রমিকের শ্রম ও ঘামের উপার্জিত অর্থ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা কর্তন করা হবে। যা তারা লুটেপুটে খাবে। তাই তারা গঠনতন্ত্র পুন সংশোধন না করে ও সমন্বিত নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করার দাবি জানান।
  • মৌলভীবাজারে সিএনজি শ্রমিকদের উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ।

    মৌলভীবাজারে সিএনজি শ্রমিকদের উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ।

    পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং ২৩৫৯ এর অন্তর্ভুক্ত চৌমুহনা টু একাটুনা শ্রমিক পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ ও চালকদের সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    রবিবার( ২৫ জুন) রাত আট টায় শহরের কুলাউড়া রোডস্থ আমীর ম্যারেজ হল রুমে চৌমুহনা টু একাটুনা ইউনিট কমিটির সভাপতি রুমেল আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ হারুনের সঞ্চালনায় নগদ অর্থ বিতরণ ও চালকদের সচেতনতামূলক আলোচনা সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মুঃ হাবিবুর রহমান, সংবর্ধিত অতিথি ৬ নং একাটুনাৌ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান, প্রধান আলোচক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং ২৩৫৯ এর সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম, বিশেষ অতিথি মৌলভীবাজার জেলার টি আই (প্রশাসন ও অপারেশন) মাহফুজ আলম, মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক দিলু আহমেদ, অর্থ সম্পাদক ইকবাল হুসেন মাহমুদ।
    অনুষ্ঠানে চৌমুহনা টু একাটুনা ইউনিটের গত চৌদ্দ মাসের আয়ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরা হয় যার মধ্যে ব্যয় ৮১১৫২০ টাকা, আয় ৭০০২০০ টাকা, ঘাটতি আছে ১১১৩২০ টাকা। দৈনিক কল্যাণ রশিদ ২০ টাকার মধ্যে জেলা অফিস ৫ টাকা, বাৎসরিক ওয়াজ ফান্ড ৩ টাকা, কমিটি ১২ টাকা পায়।
    প্রধান অতিথি মুঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যারা আবেদন করছেন শিগগিরই তা দেয়া হবে এবং যারা আবেদন করেননি তারা আবেদন করে নিবেন। মৌলভীবাজারে আর কোন সংগঠন শ্রমিকদের জন্য কাজ করছে বলে আমার জানা নেই এবং ২৩৫৯ সংগঠনের কার্যক্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে।
    প্রধান আলোচক আজিজুল হক সেলিম বলেন, অনেকের একটা ভুল ধারণা আছে সাধারণ শ্রমিকদের দৈনিক টাকায় নেতৃবৃন্দরা বাড়ি-গাড়ি বানায় কিন্তু বাস্তবতা একটু ভিন্ন কেননা  সড়ক দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, বিয়ে, ঈদ উপহার ও মৃত্যুর পর পরিবারকে এককালীন নগদ অর্থপ্রদানের মাধ্যমে শ্রমিকদের টাকা শ্রমিকদের পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়। শ্রমিকদের সুসংগঠিত করার জন্য আমরা সংগঠন করি নিজের চাহিদার জন্য নয়।
  • বাঁশখালী এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টে হাত-পা ঝলসে গেল শ্রমিকের।

    বাঁশখালী এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টে হাত-পা ঝলসে গেল শ্রমিকের।

    বাঁশখালী এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টে হাত-পা ঝলসে গেল শ্রমিকের।

    বড় ধরনের হতাহতের ঘটনায় কাজ শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট (কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প)।
    এবার সেই বহুল আলোচিত এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টেই আগুনে হাত-পা ঝলসে গেছে সাহাদাত হোসেন (২২) নামে কর্মরত এক শ্রমিকের।
    শনিবার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
    জানা যায়, কাজের একপর্যায়ে তারপিন তেলের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে সাহাদাত হোসেনের দুই হাত ও পা ঝলসে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণ্ডামারা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ লিটন চাকমা বলেন, বিকেলে কয়েকজন শ্রমিক প্রকল্প এলাকায় গ্রান্ডিংয়ের কাজ করছিল। কাজের একপর্যায়ে তারপিন তেলের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে সাহাদাত হোসেন নামে এক শ্রমিকের দুই হাত ও পা ঝলসে যায়।
    এ বিষয়ে জানতে গণ্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমদকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
    প্রসঙ্গত, মো. সাহাদাত হোসেন গণ্ডামারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শাই-ফকির বাড়ির বাসিন্দা। তিনি ওই প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করতেন।
  • ধান কাটা শ্রমিক সংকট বিপাকে ডিমলার কৃষক।

    ধান কাটা শ্রমিক সংকট বিপাকে ডিমলার কৃষক।

    ধান কাটা শ্রমিক সংকট বিপাকে ডিমলার কৃষক

    নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ মাঠে দু-চোখ যতদুর যায় ততদুর পর্যন্ত পাঁকা সোনালী  ধান ক্ষেত আর ধান ক্ষেত । শনিবার (১৪ মে) দুপুর দুইটায় সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সুন্দর খাতা, বালাপাড়া, তিতপাড়া, খগাখড়িবাড়ী, পশ্চিম ছাতনাই, গয়াবাড়ী, ছোটখাতা, চাপানী, নাউতারা, ডিমলাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃর্ণ মাঠের পাঁকা ধান শ্রমিক সংকটের কারনে ঘরে তুলতে পারছে না কৃষক।

    ধানের ফলন আশানুরুপ হলেও ধান কাটার আধুনিক যন্ত্র পর্যাপ্ত না থাকায় শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক। শ্রমিকের উপর ভরসা করতে হচ্ছে কৃষকদের ক্ষেতের ধান কাটার জন্য তবুও মিলছে না শ্রমিক । ঘনঘন বৃষ্টির ফলে ধান ক্ষেতে পানি জমাট বেঁধে আছে। জমির ধান কাটা নিয়ে বিপদে আছে এ এলাকার কৃষক। শ্রমিক সংকটের কারনে অনেক কৃষক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান কাটা শুরু করেছে।
    আবহাওয়া অনুকুল না থাকায় শ্রমিক সংকটের কারনে কৃষকেরা বিঘা প্রতি (৩০ শতাংশ) জমির ধান কাটতে গুনতে হচ্ছে ৪০০০ থেকে ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত যা গত বছরের চেয়ে অনেক বেশী। খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক প্রিন্স জানান, ৭ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছি । ধান ক্ষেতে হাটু পরিমান পানি। ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এমনিতেই শ্রমিক সংকট আবার ধান ক্ষেতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধ এজন্য বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে তবুও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না ।
    বালাপাড়া ইউনিয়নের কৃষক জিকরুল হক জানান, আট বিঘা জমির ধান ৯৫ ভাগ পেকেছে বিঘা প্রতি (৩০ শতাংশ) জমির ধান কাটতে ৫০০০ টাকা দিলেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ধান কাটা শ্রমিক না থাকায় কোমর পরিমান পানিতে দু- একটা দিনমুজুর আর ছোট ছোট ছেলেদের নিয়ে ধান কাটতেছি যদি আকাশের বৃষ্টি হয় আর উজানের পানি আসে তাহলে ধান তলিয়ে যেতে পারে।  চার পাঁচটি কলা গাছ এক সঙ্গে বেঁধে ভেলা সাজিয়ে ধানের আঠি কোমর পরিমান পানির মধ্যে ক্ষরত থেকে তুলে ডাঙ্গায় তোলা খুবকষ্ট সাধ্য। তিনি বলেন অন্যান্য গ্রামের কৃষকদেরও একই অবস্থা।  স্থানীয় বাজারে ধানের বাজার মুল্য আশানুরুপ না থাকায় কৃষকরা হতাশ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, ডিমলা উপজেলায় বোরো মৌসুমে প্রায় ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছর এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমানের বোরো ধান চাষ হয়েছে।
    এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। শ্রমিক সংকট দেখা যাওয়ায় অনেক এলাকার কৃষকেরা আধুনিক যন্ত্রপাতি হারভেস্টার ব্যবহার করে ধান কেটে পাঁকা ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করছে। শ্রমিক সংকটের কারনে ক্ষেতের পাঁকা ধানের ক্ষতি হতে পারে তবে দু-একদিনের মধ্যে শ্রমিক সংকট থাকবে না। কৃষকেরা আমাদের প্রান। কৃষকেরা এ উপজেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের জনগনের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।