Tag: শিশু

  • নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার।

    নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার।

    নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার।


    নাটোরের নলডাঙ্গায় বারনই নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই দিকে উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াসের বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।গত বুধবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল এলাকায় শিশুটি তার দাদার সাথে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়।

    খবর পেয়ে বিকাল শিশুটিকে উদ্ধারে নামে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। বুধবার সন্ধ্যা পযন্ত উদ্ধার চেষ্টা চালিয়েও শিশুটির সন্ধান না পেয়ে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে।

    নিখোঁজ শিশুর নাম ইয়াচিন আরাফাত (৭),উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে ও ব্রহ্মপুর পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

    এলাকাবাসী ও নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান,বৃস্পতিবার দুপুর আড়াই টার পর উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াসের বাড়ির সামনের ঘাট থেকে শিশুর মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

    উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের জহুরুলের ছেলে ইয়াচিন আরাফাত তার দাদা জলিলের সাথে বাড়ির পাশে বারনই নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়।পরে অনেক খোজাঁখুজি করে না পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদের খবর দেয়।খবর পেযে বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ডুবুরী দল এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

    বুধবার সন্ধ্যা পযর্ন্ত উদ্ধার চেষ্টা চালিয়েও শিশুটির সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল।

  • মাধবপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু।

    মাধবপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু।

    মাধবপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পুকুরে পানিতে ডুবে সাহেরা আক্তার (২) নামে এক মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।সোমবার ৩০ মে সকালে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের সিএনজি ড্রাইভার  জাহাঙ্গীর আলমের মেয়েকে পুকুরের পানিতে ভেসে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। পরে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।স্থানীয় ইউপি সদস্য বাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
  • তাড়াশে মুরগীর খামারের বৈদ্যুতিক তারে জরিয়ে শিশুর মৃত্যু।

    তাড়াশে মুরগীর খামারের বৈদ্যুতিক তারে জরিয়ে শিশুর মৃত্যু।

    তাড়াশে মুরগীর খামারের বৈদ্যুতিক তারে জরিয়ে শিশুর মৃত্যু।


    সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক মুরগী খামারে অবৈধ বিদ্যুৎ এর তারে জরিয়ে ১ শিশুর মৃতু্য হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম গ্রামের সাহেব বাজার এলাকায়। ২৯ মে রবিবার সকালে ওই গ্রামের জিলস্নুর রহমানের মেয়ে জান্নাতী খাতুন জুই ভোর বেলায় বৃষ্টি শেষে ওই খামারের পাশে আম কুড়াতে যায়। আম কুড়াতে কুড়াতে খামারের পাশে আম পরে থাকা দেখে তুলতে গেলে তারের সাথে জরিয়ে যায়।

    তালম গ্রামের মৃত চাঁদ আলীর ছেলে খামার মালিক আবু তালেব শিয়ালের অত্যাচারে খামারের চারি পাশে গুনার তার জরিয়ে বিদু্যতের লাইন দিয়ে রেখেছিল। মালিক বাড়ি থেকে বের হয়ে মুরগী খামারে এসে দেখে ওই শিশুটি রেড়ার পাশে মরে পরে আছে। পরে খামার থেকে শিশুটির লাশ নিয়ে দুরে পরিত্যাক্ত স্থানে আবর্জনা দিয়ে ঢেকে রাখে। লাশটি গোপন করার চেষ্টা করলেও পারে নি। মালিক আবু তালেব পলাতক রয়েছে।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ জানান, তালম সাহেব বাজার এলাকায় আবু তালেব নামের এক ব্যক্তির মুরগী খামার রয়েছে। সেখানে বর্তমানে কোন মুরগী না থাকলেও শিয়ালের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি ওই খামারের চারপাশে জিআই তারের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের লাইন দিয়ে রাখতেন। সেখানে ভোরবেলায় বৃষ্টি শেষে ওই শিশুটি আম কুড়াতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায়।

    তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) মো. নুরে আলম বলেন, অভিভাবকদের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফন করার জন্য বলা হয়েছে।

     

  • আপনিই বাঁচতে পারেন শিশু নুর মোহাম্মাদ এর জীবন।

    আপনিই বাঁচতে পারেন শিশু নুর মোহাম্মাদ এর জীবন।

    ভাল্বের সমস্যায় ভুগছে দেড় বছরের শিশু নুর মোহাম্মদ। অপারেশনসহ তার চিকিৎসার জন্য ৮ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এ অর্থ ব্যয় করার সাধ্য তার গরিব পরিবারের নেই। কী করে ছেলেকে বাঁচাবে এ নিয়ে চরম শঙ্কায় আর উৎকণ্ঠায় আছেন নুর মোহাম্মদের মা-বাবা।

    নুর মোহাম্মদ পাবনার ঈশ্বর্দী উপজেলার চর সাহাপুর গ্রামের হতদরিদ্র ট্রাক ডাইভার আবদুল পান্নান পান্টুর ছেলে। শিশুটির বাবা নিরুপায় হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন।
    জানা যায়, নুর মোহাম্মদের একটি হার্ড ফুটি হয়ে গেছে। তার সাথে ভাল্বে পানি জমেছে। বর্তমানে ঢাকা ল্যাব এইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত শিশু ইন্টারন্যাশনাল কার্ডিওলজিষ্ট ডা. নুরুন্নাহার এর অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার উন্নতি চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ার চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো চিলর্ডেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার খরচ হবে প্রায় ৮ লাখ টাকা।
    এ বিষয়ে নুর মোহাম্মদের মা রেশমা বেগম জানান, শ্বশুর আবদুল গফুর সরদার ৫ শতাংশ জমি দিয়েছেন। এই জমির ওপর একটি টিনের সেমিপাকাঘর তুলে কোনোমতে বসবাস করেন। স্বামী ট্রাক ডাইভার। অন্যের ট্রাক চালায়। দিন আনে দিন খায়। দেড় বছর আগে জন্ম নেওয়া শিশু নুর মোহাম্মদের হার্ড ও ভাল্বের সমস্যা দেখা দেয়। শ্বশুরের দেওয়া ওই জমির মধ্যে চিকিৎসার জন্য বাড়ি বিক্রি করা হয়েছে। অন্যস্থানে তার ৩ শতাংশ আছে সেই জমিটুটুও বিক্রি করার চিন্তা করছেন।
    নুর মোহাম্মদের বাবা আবদুল পান্নান পান্টু জানান, ছেলেকে নিয়ে দড়াদড়ি করতে গিয়ে ট্রাক চালানো বন্ধ  রয়েছে। বর্তমানে আয়ও নেই। বাবার দেওয়া জমিটুকু বিক্রি করেছি। প্রতিদিন তার ওষুধ লাগে ৪৫০ টাকার। জমি বিক্রি করা টাকাও শেষ হয়ে গেছে। এখন সংসার ও ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না।
    অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এখন ছেলের চিকিৎসা করাব কীভাবে? এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। ছেলেকে নিয়ে মা-বাবা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। নিরুপায় হয়ে দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন।
    যোগাযোগ বা সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-আবদুল পান্নান পান্টু, বিকাশ নম্বর ০১৭৪৮-৭৪৭১০২ (ব্যক্তিগত)। জনতা ব্যাংক, রুপপুর শাখা, পাবনা হিসাব নম্বর ০১০০০৪৪৯৪৭৮৫৯।
  • ছাতকে এম্বুলেন্স ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুর মৃত্যু,আহত-১১।

    ছাতকে এম্বুলেন্স ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুর মৃত্যু,আহত-১১।

    ছাতকে এম্বুলেন্স ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুর মৃত্যু,আহত-১১


    ছাতকে লাশবাহী এম্বুলেন্স ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। গত ৮/৫/২০২২ রবিবার বিকেলে ছাতক-সিলেট সড়কের মাধবপুর এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এম্বুলেন্স যোগে দোয়ারাবাজারের চন্ডিপুর এলাকার জসিম উদ্দিনের ৮ দিন বয়সী শিশু পুত্র মোহাম্মদের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়কের খারগাও- মাধবপুর এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    দুর্ঘটনায় সি এন জি যাত্রী ৭ বছর বয়সী শিশু ও ৬ দিনের বয়সী শিশুর মৃত্যু ঘটেছে ।

    সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সিএনজি চালক জহির আলী যাত্রী গোবিন্দ দাস (১৭),পুজব দাস(১৫), সানজিদা (১০), মারজান (১৪) ও এম্বুলেন্সে থাকা হাবিবুর (২০),নাছুয়া বেগম (২০), কেছন বিবি(৫০), জয়তুন নেছা (২৮), ফুলজান বিবি( ২৬)।

    আহতদেরকে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করেছেন। সিএনজি চালক সহ আহত ৭ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    অন্যান্যদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনা কবলিত এম্বুলেন্স ও সিএনজি জব্দ করেছে।

    ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

  • তানোরে চাঁদ রাতে চার শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেছে শিক্ষক।

    তানোরে চাঁদ রাতে চার শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেছে শিক্ষক।

    তানোরে চাঁদ রাতে চার শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেছে শিক্ষক।


    রাজশাহীর তানোরে চাঁদ রাতে পটকা পুটিয়ে আনন্দ উৎসব করার সময় চার শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধড়ক পিটিয়ে জখম ও গলা চেপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি সরনজাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত সোমবার উপজেলার সরনজাই ইউপির কাসারদিঘি গ্রামে ঘটে শিশু শিক্ষার্থীদের প্রহরের ঘটনা।এঘটনায় শিক্ষক জিয়াউর রহমানের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী। এতে করে উভয়ের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা।যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বলেও আশঙ্কা গ্রাম বাসীর।

    জানা গেছে, মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। এই উৎসব পালনে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। তবে শিশুদের উৎসব চলে নানা ভাবে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকার শিশুরা মরিচ পটকা ফুটিয়ে উৎসব পালন করেন। তারা চাঁদ দেখার সাথে সাথে এসব পটকা ফুটিয়ে ব্যাপক উৎসব আনন্দ উদযাপন করেন। বিগত দু বছর মহামারি করোনা ভাইরাসের জন্য সেভাবে উৎসব হয়নি। সবকিছু কাটিয়ে এই ঈদে চলে প্রচুর আনন্দ উৎসব।

    গত সোমবার ঈদের চাঁদ দেখা মাত্রই উপজেলার সরনজাই ইউপির কাসারদিঘি গ্রামের মুরাদুল ইসলামের পুত্র সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনী পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাব্বি হোসেন, ওই গ্রামের আলহাজ মোল্লার ছেলে সরনজাই প্রাথমিক স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র সিয়াম হোসেন, আতাউর রহমানের পুত্র ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তুহিন আলী ও আলমাস আলীর পুত্র ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ইসমাইল হোসেনসহ বেশ কিছু শিশু শিক্ষার্থীরা পটকা ফুটিয়ে উল্লাস করছিল। এসময় শিক্ষক জিয়াউর ওই চার শিক্ষার্থীকে ধরে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে আছাড় মারেন। ওই সময় শিক্ষার্থীদের ডাক চিৎকারে অভিভাবকসহ গ্রামের লোকজন উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়েছেন।

    ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাব্বি জানান, এত জোরে জোরে কিল ঘুষি মেরেছে আমার পিঠে কালো দাগ হয়ে আছে। এমনকি কিল ঘুষি লাথি মারার পর গলা চেপে ধরে মেরে ফেলার জন্য আছাড় মারা শুরু করেন। তার পিতা মুরাদুল বলেন তারা অবুঝ।

    ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতা নেই। সামান্য পটকা ফুটানোর জন্য আমার ছেলেকে মেরে মারাত্মক জখম করেছে। তার পিঠে কালশিরা পড়ে রয়েছে। এত মারার পর গলা টিপে আছাড় মারে। আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা গ্রামে বসে মিমাংসা করতাম, কিন্তু উল্টো আমাদেরকেই হুমকি ধামকি দিচ্ছে। ৩য় শ্রেণীর ছাত্র সিয়াম জানান, শরীরের প্রতিটি জায়গায় কিল ঘুষি লাথি মেরেছে স্যার। শুধু এমার না ক্লাসেও পড়া পারলেও মারে, না পারলেও মারে। স্যারের ভয়ে অনেকে ডবল প্যান্ট সার্ট পরে যান। একই ধরনের কথা বলেন ৫ম শ্রেণীর ছাত্র তুহিন। তবে মার খেয়ে শিক্ষকের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হয়নি ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ইসমাইল।

    সিয়ামের পিতা আলহাজ মোল্লা ও তুহিনের পিতা আতাউর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন একজন শিক্ষক হয়ে অবুঝ শিশু শিক্ষার্থীদের মারতে তার বিবেকে বাধেনি। চাঁদ রাতে কেউ এভাবে মারতে পারে না। আমরা তার চরম শাস্তি চাই।

    গত বুধবার রাত নয়টার দিকে কাসারদিঘি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামে প্রবেশের মোড়ে শতশত জনগন শিক্ষকের বিচার ও শাস্তি মুলুক বদলির দাবিতে একট্রা হয়ে জড়ো হয়ে আছেন। তারা বলেন তার শিক্ষকতা করার কোন যোগ্যতা নেই। তিনি কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের অমানবিক ভাবে মেরেছেন। তারা শিক্ষিত পরিবারের লোক। তার বাবা অবশর প্রাপ্ত শিক্ষক, তার ভাই তানোর কলেজের শিক্ষক, আরেক ভাই মেম্বার।

     

    শিক্ষক যদি অমানুষ হয় তাহলে তাকে রাখার কি দরকার। বেশকিছু ব্যাক্তিরা জানান, শিক্ষক জিয়াউর ক্লাসেও পেটান। তার ভয়ে স্কুলে যেতে চায়না। আবার কোন শিক্ষার্থী মার খেয়ে অভিভাবকদের বললে তার উপর নামে নির্যাতনের খড়গ। তারা আরো বলেন গ্রামবাসীর সাক্ষর নিয়ে তার বিরুদ্ধে নির্বাহী কর্মকর্তা, স্হানীয় সাংসদ ও শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
    অভিযুক্ত শিক্ষক জিয়াউর রহমান জানান, তাদেরকে পটকা ফুটাতে নিষেধ করলেও তারা না শোনার জন্য শাসন করা হয়েছে বলে দায় সারেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, পেলে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া হবে। তারপরও খোজ খবর নেওয়া হবে ঘটনার বিষয়ে।

  • লক্ষ্মীপুর শাকচরের নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুর শাকচরের নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুর শাকচরের নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার।


    লক্ষ্মীপুরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজের একদিন পর মো. জিহাদ হোসেন নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বুকে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলা শাকচর গ্রামের কাচারি বাড়ি এলাকার বাউন্ডারি দেওয়া একটি জমি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জিহাদ একই এলাকার রিকশা চালক জিয়া উদ্দিনের ছেলে। এরআগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় জিহাদ।

    পুলিশ ও স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে শিশু জিহাদ বাড়ির বাইরে খেলতে যায়। এরপর দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাউন্ডারি দেওয়া একটি জায়গায় জিহাদের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। এই ঘটনায় থানায় এখনো কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি

  • ডিমলায় শিশু রাকিবকে বাঁচাতে মা-বাবার আর্থিক সাহায্যের আবেদন।

    ডিমলায় শিশু রাকিবকে বাঁচাতে মা-বাবার আর্থিক সাহায্যের আবেদন।

    ডিমলায় শিশু রাকিবকে বাঁচাতে মা-বাবার আর্থিক সাহায্যের আবেদন।

    নীলফামারীর ডিমলায় শিশু রাকিবকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন করেছেন শিশু রাকিবের মা রুমি বেগম ও বাবা মফিজুল ইসলাম। শিশু রাকিব যে বয়সে খেলাধুলা ও বই পড়া করার কথা সেই বয়সে মরণব্যাধি টিউমার (গ্লুকোমা ) রোগে আক্তান্ত হয়েছে।

    উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ী (টুনিরহাট) গ্রামের অসহায় গরীব দিনমুজুর মফিজুল ইসলাম ও রুমি বেগমের একমাত্র পুত্র রাকিব হোসেন (৪)। গত ছয় বছর পূর্বে মফিজুল ইসলাম ও রুমি বেগম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সাংসারিক জীবনে এক বছর পর ঘর উজ্জল করে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান রাকিব হোসেন। রাকিব জন্মের তিন বছর সুস্থ্য থাকার পর হঠাৎ বাম চোখের মনির মাঝখানে গোল সাদা চিহ্ন দেখতে পায় তার মা-বাবা। দিনের পর দিন যত যায় চোখের সাদা চিহ্নটি দিন দিন বড় হতে থাকে পরিবারের লোকজন বুঝতে না পারায় অবস্থার অবনতি হয় ।
    পরবর্তিতে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শন দেন। বাবা মফিজুল ইসলামের হাতে যা ছিল এবং শেষ সহায় সম্বল একটি ভ্যানগড়ি সেটিও বিক্রি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় ছেলে রাকিবকে বাঁচাতে।
    রংপুর হাসপাতালের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে। শিশু রাকিবকে তার অসহায় মা-বাবা ঢাকা শেরেবাংলা নগর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। রাকিবের চোখ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে হাসপাতালের দায়িত্বরত চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন, রাকিবের চক্ষুটি বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসা জরুরী প্রয়োজন এবং অনেক অর্থের প্রয়োজন। গরীব অসহায় দিনমুজুর মা-বাবার পক্ষে এই অর্থ জোগান দেওয়া কষ্টসাধ্য।
    সংবাদকর্মীর সাথে বুধবার (২৭ এপ্রিল) কথা হয় রাকিবের বাবা মফিজুল ইসলামের তিনি জানান, বর্তমানে ছেলে রাকিবকে নিয়ে দূঃচিন্তায় এবং খুবই কষ্টে আছি । আর্থিক অনটনের কারনে ছেলে রাকিবের চিকিৎসা করাতে পারছি না। তাই রাকিবের মা-বাবার আকুতি ছেলেকে বাঁচাতে দেশ বিদেশের বিত্তবান ব্যক্তিদের নিকট আর্থিক সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন। আর্থিক সাহায্য পাঠাতে পারেন বিকাশ নম্বর (পার্সোনাল) +8801707467930  ।
  • কালামার ছড়া উচ্ছেদ অভিযানের পর খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ২ শিশুর মৃত্যু।

    কালামার ছড়া উচ্ছেদ অভিযানের পর খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ২ শিশুর মৃত্যু।

    কালামার ছড়া উচ্ছেদ অভিযানের পর খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ২ শিশুর মৃত্যু।


    কক্সবাজার মহেশখালী কালামার ছড়া ইউনিয়নে ৫ নাম্বার ওয়ার্ডে এক অসহায় পরিবার কে বাড়ি ভিটা উচ্ছেদ করে অত্র ইপি চেয়ারম্যান সহ উপজেলা প্রশাসন।

    জানা যায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণে গত ২৩ মার্চ প্রশাসন মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের সোনাপাড়ার বাসিন্দা ভূমিহীন নুরুল আমিনের পরিবারকে উচ্ছেদ করে। তার বসত গুঁড়িয়ে দেয়।

    এরপর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বসবাস শুরু করেন। এমন পরিবেশে নুরুল আমিনের ছেলে সুজনের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রোমা আক্তার (২৫) এবং তার মেয়ে কহিনুর আক্তারের তিন মাসের শিশু প্রিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে।

    পরিবারটির অভিযোগ, খোলা আকাশের নিচে বসবাসের কারণে অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ ও তিন মাসের শিশুটি ঠান্ডা ও বাতাসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সোমবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৩টার দিকে ঠান্ডাজনিত কারণে নিউমোনিয়া হয়ে তিন মাসের শিশু প্রিয়ার মৃত্যু হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে। অপর দিকে ভোরে বদরখালী একটি হাসপাতালে মৃত সন্তান প্রসব করেন রুমা আক্তার।

    দুই নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম।

    সন্তানের মৃতদেহ বুকে নিয়ে কহিনুর আক্তার বলেন, প্রশাসন উচ্ছেদ করার পর পলিথিনের ছাউনি দিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে থাকতে নিউমোনিয়া হয়ে আমার বাচ্চা মারা গেছে।

    স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, প্রশাসন নোটিশ দিলেও পরিবারটি তাদের বসত ভিটা ছেড়ে যায়নি। পরে প্রশাসন উচ্ছেদ করতে এলে একদিন আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপর বুলডোজার দিয়ে তাদের ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের যাওয়া আর কোনো জায়গা ছিল না। তারা খোলা আকাশের নিচে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বসবাস করছে। উক্ত পরিবেশে মানুষ বসবাস করতে পারে না। যার কারণে পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিন বলেন, তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাদ্দে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের জন্য ঘর দ্রুত তৈরি হচ্ছে। উক্ত পরিবারের পাশাপাশি আরো কয়েকটি ভূমিহীন পরিবার ঘর পাবে।তবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

  • গোদাগাড়ীতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে শিশু’র মৃত্যু।

    গোদাগাড়ীতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে শিশু’র মৃত্যু।

    গোদাগাড়ীতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে শিশু’র মৃত্যু।


    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাবার মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে শিশু নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় বাবা আহত হয়েছেন। রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের জৈটাবটতা এলাকায় গোদাগাড়ী-আমনুরা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাড়ে চার বছরের শিশু আনাস গোদাগাড়ী পৌর এলাকার ফাজিলপুর গ্রামের মো. ইকবাল হোসেনের ছেলে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার ভোরে ইকবাল হোসেন তার ছেলেকে নিয়ে জমি দেখতে আসে জৈটাবটতলা এলাকায় এ সময় জমি থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলে শিশু আনাস ঘুমিয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মোটরসাইকেল থেকে হেলে পড়ার সময় বাবা ছেলেকে ধরতে গিয়ে নিজে নিজেই মোটরসাইকেল থেকে পড়ে বাবা ছেলে দুজন আহত হয়।স্থানীয়দের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শিশু আনাসকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, গোদাগাড়ী-আমনুরা সড়কে জৈটাবটতলা এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে বাবা-ছেলে আহত হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছেলেকে মৃত ঘোষণা করে। বাবা চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।