Tag: শিক্ষার্থী
-
সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু।
সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু।
সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী উম্মে মারিয়া অপর্না টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে।উম্মে মারিয়া অপর্না সরকারি বাঙলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ (২০১৬-১৭) বর্ষের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী ছিলেন।সরকারি বাঙলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ (২০১৬-১৭) বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ নাসিম চৌধুরী বলেন, মারিয়া বিভিন্ন অসুস্থতাসহ বেশ কিছুদিন ধরেই টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিল কিন্তুু আজ (৭ই ফেব্রুয়ারী) হটাৎ অসুস্থতা বেড়ে গেলে করলে মারিয়াকে লাইফ সার্পোটে নেওয়া হয়। অতঃপর আনুমানিক ২.৩০ টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান তানভির ( অমি) ও রাছেল বলেন যে, আমরা খুব কাছের একজন বন্ধুকে হারালাম তার এই অকাল মৃত্যু আমরা গভির ভাবে শোকাহত। আল্লাহ্ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করে। -
সলঙ্গায় এতিম শিশু ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক ও কম্বল বিতরন।
সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার আমশড়ায় এশিয়ান টেলিভিশনের উদ্যোগে মাদ্রাসার এতিম,অসহায় শিশু ও হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি২০২২) সকাল ১০ টায় সলঙ্গার আমশড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে – এক অনুষ্ঠানে – ২২ টি মাদ্রাসার এতিম অসহায় শিশুদের এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪৫০ পিচ শীতবস্ত্র কম্বল বিতরন করেন, অনু্ষ্ঠানের প্রধান অতিথি, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান।
অনু্ষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন, সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রাসেল তালুকদার। এবং পরিচালনায় ছিলেন, এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার জিন্নাহ ফারুক।
এসময় আমশড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি মুফতি আখতারুজ্জামান ও সাখাওয়াত মাষ্টার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
-
রাণীশংকৈলে টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়, মানছে না কেউ স্বাস্থ্যবিধি।
করোনার টিকা নিতে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে । রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যালয়ের অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
গত বৃহস্পতিবার থেকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হয়। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এক সঙ্গে অধিক শিক্ষার্থী টিকা নিতে আসায় এতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয় ।
একই অবস্থা অভিভাবকদের মধ্যেও, স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই, যে যাঁর মতো করে চলছেন। হাসপাতালের সামনেই অভিভাবকদের ভিড়। সেখানে গাদাগাদি করে একে অপরের সঙ্গে গল্প করছেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের বালাই নেই। কেউ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত ছিল।
জানা যায়, সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে কেন্দ্রে আসে। কিন্তু সেখানে কোনো সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকে। দীর্ঘ অপেক্ষায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারও মুখে মাস্ক নেই। ফলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া টিকাকেন্দ্রটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের প্রধান ফটকের পাশে হওয়ায় সড়কে দেখা দেয় যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী।
অভিভাবকেরা জানান, একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মাত্র একটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এ অব্যবস্থাপনার কারণে করোনামুক্ত হওয়ার বদলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও আগে থেকেই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরিসর বাড়ানো যেত।
এবিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহারে সতর্ক করতে। তবে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরতে অনীহা প্রকাশ করে।
-
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর বিচারের দাবীতে শোকর্যালীও মানববন্ধন।
রাজশাহীর তানোরে সানশাইন কিন্ডার গার্টেনের ৫ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী শাহরুক জাহান মুয়াজ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঘটনায় দ্রুত বিচার, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন, নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা শোকর্যালী ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৩ জানুয়ারী বৃহস্প্রতিবার সানশাইন কিন্ডার গার্টেনের উদ্যোগে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কালো ব্যাজ ধারণ, দ্রুত বিচার, নিহতের বিদেহী আত্তার মাগফেরাত কামনা, শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপনে শোকর্যালী ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারী সোমবার শেষ বিকেলে থানা মোড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহরুখ জাহান মুয়াজ (১১) নিহত হয়। নিহত মুয়াজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর গ্রামের শাজাহান আলীর পুত্র। শাজাহান আলী ইউএসডিও সংস্থার তানোর শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এদিন শিশুটি সাইকেল নিয়ে উপজেলার দিকে যাবার সময় জনৈক উত্তম কুমার (মুহুরী)নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর ধাক্কায় বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আশা ট্রাকের নিচে চাপা পড়লে ঘটনা স্থলেই মারা যায়।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, ট্রাক জব্দ এবং চালক ইসমাইল ও হেলপার তারেক আলীকে আটক করা হয়েছে, মামলা তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-
করোনা ভ্যাকসিন নিতে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-পারাপার,মানছে না স্বাস্থ্যবিধি।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌ-পারাপার হতে হচ্ছে।এতে একদিকর সংকটাপন্ন হচ্ছে জীবন অন্যদিকে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি ।
গত ১২ জানুয়ারী (বুধবার) কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের নাটুয়ারপাড়া কে.বি.বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,ঘোড়াগাছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,খাষশুড়িবেড় বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সহ খাসরাজবাড়ি,চরগিরিশ,তেকানি ও নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণী থেকে ১০ ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের টিকা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
নদী বিধৌত এলাকা হবার সুবাধে সাধারণ ভাবেই ঝুঁকি নিয়ে নৌকা পার হতে হয় যাত্রীদের ,এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে একই নৌকাতে ২০০-২৫০ জন শিক্ষার্থীকে চাপাচাপি করে নৌকাতে পারাপার করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। নৌ-পথে নৌকাতে ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রায় আট গুণ অতিরিক্ত শিক্ষার্থী নিয়ে পারাপারে একদিকে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে চরম ঝুঁকিতে অন্যদিকে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শ্রেণীর একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,”আমরা এক নৌকাতে এত ছাত্র-ছাত্রী উঠতে অস্বীকার করলে,স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জোড় করে এক নৌকাতে চাপাচাপি করে উঠায়”
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা দিয়ে ফেরার পথে যমুনা নদীতে খাষশুড়িবেড় বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে ৯ম শ্রেণীর ঝুমুর খাতুন, এসএসসি পরীক্ষার্থী নুপুর,৭ম শ্রেণীর শারমিন সহ চার জন মেয়ে পানিতে পড়ে যায়। এসময় নৌকাতে থাকা অপর ছাত্ররা পানিতে পড়া ছাত্রীদের উদ্ধার করে।আহত ছাত্রীদের নিজ নিজ বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানা যায়।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌ -পারাপার বিষয়ে জানতে চাইলে নাটুয়ারপাড়া কে.বি.বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন,” এতো ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া জীবনের জন্য হুমকি স্বরুপ “তা ছাড়া এক নৌকাতে এতো চাপাচাপি করে নৌ পারাপারে স্বাস্হ্যবিধি বিঘ্নিত হচ্ছে”।
অন্যদিকে ঘোড়াগাছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,”শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে এসে টিকা কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোড় তদবির করা হলেও কোন সুফল আসেনি”।
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কর্মকর্তা ডা.মোমেনা পারভীন বলেন,”শিক্ষার্থীদের কিভাবে পার করবেন?এটা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপার,তবে এই ভ্যাকসিন এসি ছাড়া রাখা সম্ভব না হওয়াতে প্রতি স্কুলে গিয়ে টিকা দেওয়া যাচ্ছে না”।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দীকির সাথে এ বিষয় নিয়ে জানতে চাইলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌ পারাপার হয়ে করোনা ভাইরাসের টিকা দিতে গিয়ে জীবন সংকটে পড়ায় অনেক অভিভাবক তাদের কোমলমতি সন্তানদের টিকা দিতে অনীহা দেখাচ্ছে বলেও জানা যায়।
উল্লেখ্য,সারাদেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের ফাইজার টিকাদান কর্মসূচী ধারাবাহিক ভাবে চলমান থাকবে ।
-
বাঘায় শিক্ষার্থীদের জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন।
রাজশাহীর বাঘায় বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারী) উপজেলার বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শীতকালীন জাতীয় স্কুল ,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করা হয়েছে।আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দীন লাভলু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ওবাইদ, বাঘা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী দেওয়ান, কালিদাসখালি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ, নওটিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হাসনা বানু, পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রফিজ উদ্দীন, রহমতুল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলাম, আইডিয়াল স্কুল কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল প্রমুখ। -
শিক্ষার্থী জুতা পায়ে শহীদ মিনারে প্রধান শিক্ষকদের শোকজের নির্দেশ ইউএনও’র।
করোনার টিকা নিতে এসে বগুড়ার নন্দীগ্রামে শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা জুতা পায়ে ফটোসেশন করছেন। কেউ কেউ জুতা পায়ে শহীদ মিনার বেদিতে বসে মোবাইল ফোনে গেমস আড্ডায় মেতেছে। আবার কোনো কোনো শিক্ষার্থীরা নির্বিঘে জুতা পায়ে ছোটাছুটি করেছে মূল বেদিতে।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার পরিষদের পাশে অবস্থিত শহীদ মিনারে এমনিই চিত্র দেখা যায়।
জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত সোমবার থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। এতে করে উপজেলার ১৪ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেয়া হবে। সেই করোনার টিকা নিতে এসে মঙ্গলবার বেলা ১১টা দিকে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদীতে উঠে ফটোসেশন করছেন। আবার কেউ কেউ জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে বসে মোবাইলে গেমস খেলছেন, আড্ডা দিচ্ছে। এতে করে ভাষা শহীদদের প্রতি মিনারের অবমাননা হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
শিক্ষার্থী আতিক হাসান বলেন, টিকা দিতে দেরি হচ্ছিল। প্রচন্ড ভীড়। বন্ধুদের সঙ্গে ঘোড়াফেরার সময় হঠাৎ করেই জুতা পায়ে উঠেছি। এটা আমাদের ভুল হয়েছে, বুঝতে পারিনি।
উপজেলার বিজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, এখানে অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করোনার টিকা নিতে এসেছে। তবে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠা অত্যান্ত দু:খজনক। তারা ভুল করেছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন, কেউ জুতা পায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে উঠে তাহলে খুবই দু:খজনক ঘটনা। এটি দেশ ও জাতির জন্য লজ্জার।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদত হোসেন প্রামানিক বলেন, আজকে উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। তবে যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার জুতা পায়ে উঠেছে। সেইসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের শোকজ করার জন্য শনাক্ত করা হচ্ছে।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিফা নুসরাত বলেন, শিক্ষার্থীদের মনিটরিং এর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেয়া হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার অবমাননা করেছে, সেই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শোকজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
-
গলায় ফাঁস দিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী মাইসা’র আত্মহত্যা;শোকে কাতর বাবা।
আদরের ছোট মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। উঠোনে শোয়ানো রয়েছে মেয়ের নিথর মরদেহ। এমন চিত্র দেখে স্বপ্নভরা চোখদুটো মুহুর্তেই শোকে পাথর হয়েছে গেছে। তাই আকাশের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর ঠোট ফুলিয়ে, বুক ফুপিয়ে ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে উঠছে দিনমজুর বাবা রফিকুল ইসলাম।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনের পেছনে ভাড়া বাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে মাইসা আক্তার (১৪)। ছোট মেয়ে।মাইসা মারা যাওয়ার বিষয়টি করেছেন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম।
বাবা রফিকুর ইসলাম অশ্রুজলে বুকভরা কষ্ট নিয়ে বলছেন, গত সপ্তাহেই আদরের মেয়ে বলেছিল, বাবা আমি পড়ালেখা করতাছি, কয়েকটা ক্লাস পাস দিছি। আর কয়েকটা ক্লাস পাস দিলেই সরকারি চাকরি পামু। তখন তোমারে আর ভোর সকালে উইঠা শীতের ভিতর আলুখেতে কাজে যাইতে লাগবেনা।
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল মাইসা। তার মৃত্যুতে শোকে কাতর হয়ে গেছেন বাবা। মেয়ের এমন মৃৃত্যু কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেনা তিনি।
রফিকুর ইসলাম আরো বলেন, পড়ালেখায় খুব ভালো ছিলো আমার মেয়ে মাইসা। চঞ্চলতা ছিল তার ভেতর। কিন্তু গত দুবছর ধরে সে মানসিক ভাবে হতাশায় ভুগছিলো। তাকে অনেক সময় উদাসীন দেখা যেত। কি কারনে এমন করতো বারবার জানার চেষ্টা করেও কিছুই জানতে পারেনি তার পরিবারের কেউই । দিন মজুরের কাজ করে যা রোজগার করেছে তা মাইসার মানসিক চিকিৎসাতে ব্যয় করেছেন তিনি। তারপরেও মেয়ের হতাশা ছাপ একটুও কমাতে পারেননি তিনি। মানুষের করা কালাযাদু ভেবে ওঁঝা ও কবিরাজের কাছেও পরামর্শ নিয়েছেন অনেকবার। তার ধারণা নানীর বাসায় বেড়াতে গিয়ে খারাপ বাতাস লেগেছে তার মেয়ের।
মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মাস ছ’য়েক আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো মাইসা। সে সময় ঘরের বাঁশের আড়া ভেঙ্গে পড়েছিলো ফাঁস লাগাতে গিয়ে। এর জন্য মানসিক ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসাও চলছিল মাইসার। সোমবার বিকালে আমি ওর চিকিৎসার প্রয়োজনে বাইরে যাই। বাসায় কেউ ছিলোনা। সন্ধ্যা আটটায় খবর পাই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এসময় মেয়েকে মানসিক রোগী বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রতিবেশী ভোট্টু মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী জেসমিন আক্তার মাইসাদের বাসার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। তখন আমার স্ত্রী দরজার উপরের ফাঁকা অংশ দিয়ে দেখতে পায় সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না লাগানো। তারপর কাছে গিয়ে দেখে মাইসা ঝুলছে। দরজা ভেতর থেকে আটকানো। তখন সে চিৎকার দিয়ে বেহুশ হয়ে যায়। এখনো সে অসুস্থ্য মুখ থেকে কথা বের হচ্ছেনা। পরে আমরা মাইসার বাবা ও মাকে খবর দেই এবং পুলিশে খবর দেয়।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।