Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ


    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলাতে আবদুল মান্নান নামে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে তার বিধবা শ্বাশুড়ি শাহিদা বেগমের ঘর পেট্টোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় মান্নান ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শনিবার (১৮ জুন) সকালে ভুক্তভোগী শাহিদা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এই ঘটনায় ১৫ জুন শাহিদার বাবা আলী হোসেন কমলনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    শাহিদা উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড লরেন্স গ্রামের ভক্তেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার স্বামী দুলাল হোসেন মারা যাওয়ার পর থেকে ভক্তেরপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে একটি টিনসেট ঘরে বসবাস করেন তিনি।

    অভিযোগ সূত্র জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল খালেকের ছেলে মান্নানের সঙ্গে শাহিদার মেয়ে নুপুর আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে প্রতিবন্ধী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রায় ৩ বছর আবুধাবিতে প্রবাস জীবন ছিল মান্নানের। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর অশ্লীল ছবি দেওয়ার জন্য তিনি বায়না ধরেন। কিন্তু তার স্ত্রী দেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সংসার খরচ ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ছেলেকে নিয়ে নুপুর মায়ের বাড়িতে চলে আসে।

    একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি অশ্লিল ছবি স্বামীর কাছে পাঠায়। কিন্তু মান্নান ছবিগুলো ইমোতে স্ত্রীর স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তোলে। গত ৬ মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। এরপর থেকে স্ত্রীকে ১এক লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। বিধবা মায়ের কাছে টাকা চাওয়া সম্ভব নয় বললে মান্নান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। মান্নান হুমকি দেয় নিজেরে ছেলেকে মেরে ফেলবে। ঘরে আগুন দিয়ে নুপুর ও তার মাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। এতে ১৪ জুন দিবাগত রাত ১টার দিকে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে বিধবার ঘরে। পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় মান্নান ও তার সহযোগী বেলালের বিরুদ্ধে আলী হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

    শাহিদা বেগম জানান, ঘটনার দুইদিন আগেই মান্নান তাদেরকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই ভয়ে নিজ ঘর ছেড়ে মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে তিনি বাবার ঘরে ঘুমাতে যান। মধ্যরাতেই পেট্টোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে তার ঘর পুড়ে ছাই করে ফেলেছে। মান্নানই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

    শাহিদার বাবা আলী হোসেন বলেন, আমার ছেলেরা মান্নানকে বিদেশ নিয়েছিল। সেখান থেকে এসে সে নাতনিকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় সে আমার মেয়ের ঘর পুড়ে ছাই করে দিয়েছে। আমার মেয়ে, নাতনি ওই ঘরে থাকলে আগুনে পুড়ে মারা যেত। আমি মান্নানের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

    অপর অভিযুক্ত বেলালের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা নজির আহম্মদ বলেন, বেলাল ও মান্নানকে একসঙ্গে দেখেছি। বাজার থেকে পেট্টোল কিনে তারাই আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

    বক্তব্য জানতে আবদুল মান্নানকে ফোন দিলে তিনি দেখা করে কথা বলবেন বলে কল কেটে দেন। তার দেওয়া ঠিকানায় সাংবাদিকরা গিয়ে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

    এই ব্যাপারে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, রাতের অন্ধকারে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, কেউ তা দেখেনি। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার।

    লক্ষ্মীপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার।

    লক্ষ্মীপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার


    লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে অপহরণ করে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। র‍্যাবের অভিযানে অপহরণকারী ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণকৃত দশম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী(১৭)কে ১৯ দিন আটক রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

    এ ঘটনায় র‍্যাব-১১ অভিযান পরিচালনা করে মোঃআনাছ আলী সুমন (২৬) নামে এক যুবককে খুলনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১১ জুন) সকালে র‍্যাব-৬-এর সহযোগিতায় খুলনার রূপসা থানার আইচগাতী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আনাছ আলী সুমন খুলনার রূপসা থানার আইচগাতী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মোঃ আলমগীর হোসেনের ছেলে।

    র‌্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর মায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার সকাল ১০টায় খুলনা থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামি সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি স্ত্রী পরিচয়ে আটক রেখে ভুক্তভোগীকে গত ১৯ দিনে একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে।

    এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে রায়পুর থানায় মামলা রুজু করে আসামিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীর মা জানান, গত ২৩ মে (সোমবার) দুপুরের দিকে তার মেয়ে পার্শ্ববর্তী আব্বাস মেম্বারের বাড়ির সামনে হাঁটাহাটি করতে যায়। এসময় আসামি সুমন ও তার সহযোগীরা বিয়ের প্রলোভনে তাকে অপহরণ করে খুলনায় নিয়ে যায়

  • লক্ষ্মীপুরে ভূমি কর্মকর্তার দূর্নীতির প্রতিবাদে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন।

    লক্ষ্মীপুরে ভূমি কর্মকর্তার দূর্নীতির প্রতিবাদে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন।

    লক্ষ্মীপুরে ভূমি কর্মকর্তার দূর্নীতির প্রতিবাদে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন।


    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪নং মান্দারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

    বৃহস্পতিবার (৯ই জুন) ১১.৩০ঘটিকায় মান্দারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এইসময় মান্দারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেনের বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, মান্দারী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ মাসুদ আলমসহ, ভুক্তভোগী আবুল হাসেম, আবুল বাশার, নুর হোসন, মোস্তফা, আবুল কাসেম ও আবদুল মান্নান প্রমূখ।

    ভুক্তভোগীরা বলেন, উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন মান্দারী ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি করে আসছে। খাজনা দাখিলায় অতিরিক্ত টাকা আদায়, মোটা অংকের টাকা চুক্তি করে নামজারী করে দেওয়া। যে সব সেবাগ্রহীতাগণ অনলাইনে নামজারী আবেদন করে উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তার অফিসে জমা দেয় সে সব ফাইল প্রতিবেদনের জন্য তার কাছে আসলে তিনি মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সঠিকভাবে প্রতিবেদন দেয়না। টাকার বিনিময়ে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দেয়।

    সম্প্রতি মান্দারী ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের মোঃ নুরনবী এলাকার মানুষ চলাচলের দীর্ঘদিনের একটি রাস্তাকে বন্ধ করে দিতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিগণ সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করেন। এতে দুই পক্ষ বিচারমেনে সালিশ নামায় স্বক্ষর করেন। কিন্তু কিছুদিন পর আবার নুরনবী বাদী হয়ে আদালতে রাস্তার উপর ১৪৪ধারায় মামলা দায়ের করেন।

    উক্ত রাস্তায় স্থানীয় প্রায় ১০টি পরিবারের জমি রয়েছে। কিন্তু মান্দারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন নুরনবীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে একক নুরনবীর জমি বলে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। মিথ্যা প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দিলে তার এসব অনিয়মের চিত্র স্থানীয় লোকজনের নজরে আসে। তার এসব অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রায় দুই শতাধিক লোক অংশ গ্রহণ করেন।

    এই বিষয়ে মান্দারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয় টি সঠিক না। দুয়েকজনের নামজারি করে দিলে তাদের কাছ থেকে প্রারিশ্রমিক হিসেব কিছু টাকা নেই। আমি ভূল প্রতিবেদন দিলে তারা নারাজি দিবে। এতে মানববন্ধন করার কি আছে।

  • লক্ষ্মীপুরে অপহরণ মামলায় পলাতক আসামীর যাবজ্জীবন  কারাদন্ড।

    লক্ষ্মীপুরে অপহরণ মামলায় পলাতক আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড।

    লক্ষ্মীপুরে অপহরণ মামলায় পলাতক আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড


    লক্ষ্মীপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে যুবককে অপহরণের ঘটনার মামলায় মো.স্বপন নামের এক পলাতক আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশও দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

    আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম সোমবার (০৬ জুন) এই রায় দেন।

    লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসেকিউটর (পিপি) জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার আবির নগর গ্রামের বাসিন্দা অহীদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আলীকে চাকরি দিবে বলে দুই লাখ টাকা নেন প্রতিবেশী মৃত আব্দুর রবের ছেলে মো. স্বপন। পরে চাকরি না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকলে তার কাছ থেকে টাকাগুলো ফেরৎ চান আলীর পরিবার। পরে ২০১৩ইং সালের ১৩ মে তারিখে মো. আলীকে অপহরণ করা হয়।

     

    এখনো তার কোন হদিস মেলেনি। এই ঘটনায় তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার নয়ন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালে ২৩ এপ্রিল মো. স্বপন ও মো. হেলাল নামে এ দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে স্বপনকে কারাদন্ড প্রদান ও হেলালকে বেকসুর খালাস দেন। এর আগে আসামীদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠালে স্বপন জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যায়।

  • লক্ষ্মীপুরে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ৫টি হাসপাতালের জরিমানা।

    লক্ষ্মীপুরে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ৫টি হাসপাতালের জরিমানা।

    লক্ষ্মীপুরে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে ৫টি হাসপাতালের জরিমানা

     




    লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলাতে শহরের প্রাইভেট হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন এই অভিযান পরিচালনা করেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতে মেডিকেল, প্র্যাকটিস, বে-সরকারী ক্লিনিক ল্যাবরটরি নিয়ন্ত্রন আইন ও ভোক্তা অধিকার আইনে সরকারী হসপিটাল সড়কের ডক্টরস পয়েন্ট ৫ হাজার, মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার, সোনালীব্যাংক সড়কের আধুনিক হসপিটালকে ১০ হাজার, মডার্ণ এক্স-রে এন্ড প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ৫ হাজার ও হলি হোপ প্রাইভেট হসপিটালকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্দার।

    নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করেন রামগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক মো. অলি উল্যাহসহ পুলিশ সদস্যগণ। এই ছাড়া সোমবার বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা শহরে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চালকের ১০দশ হাজার টাকা জরিমানা ও ৭টি মামলা দায়ের করেন।

    রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা জানান, জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে কোন হসপিটাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেয়া হবে না।

     

    এছাড়া তিনি সেবাগ্রহীতাদের যথাযথ সেবা দেয়ার জন্য প্রাইভেট হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের অনুরোধ করেন। অন্যথায় অভিযুক্ত প্রাইভেট হসপিটাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলা।

    লক্ষ্মীপুরে শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলা।

    লক্ষ্মীপুরে শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলা।


    লক্ষ্মীপুরের ২০১৭ইং সালে এস এস সি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় জেলা সদরের টুমচর আসাদ একাডেমীর ভৌত বিজ্ঞান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিনকে বেধড়ম মারধর করেছে একই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুরাদসহ ৬/৭ জনের একদল বখাটে ছেলে।

    শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের পাশে প্রবেশমুখে এমন হামলার শিকার হয়েছেন শিক্ষক হেলাল উদ্দিন।গুরুতর আহত শিক্ষককে অন্যান্য শিক্ষকগণ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে তিনি।

    আহত শিক্ষক সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর এলাকার লকিয়ত উল্যার ছেলে ও প্রাক্তন ছাত্র মুরাদ ২১নং টুমচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবুল কাসেমের ছেলে।

    ঘটনা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ি থেকে মটরসাইকেল যোগে শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ে প্রবেশমুখে উৎপেতে থেকে গতিরোধ করে বখাটেরা । পরে গতিরোধের বিষয় জানতে চাইলেই মুরাদসহ ৬/৭ জন বখাটে যুবক লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বলতে থাকে “২০১৭ইং সালের তোর কারণে টেষ্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। তোর কারণে বিদ্যালয়ের থাকার সময় পরীক্ষায় নকল করতে পারিনি। আজ তোকে পাইছি” এক পর্যায়ে কিল-ঘুষি-লাথি দিয়ে মারাত্মক জখম করে ওই শিক্ষককে। এসময় শিক্ষকের হাতে থাকা মোটরসাইকেল টিও ভাঙচুর করে তারা।
    হাসপাতালের চিকিৎসাধীন শিক্ষক হেলাল উদ্দিন জানান বিগত ২০১৭ইং সালে টেষ্ট পরীক্ষায় ফেল করার কারণে মুরাদ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ওই সময়ে দায়িত্বরত অধ্যক্ষ তাকে সুযোগ দেয়নি। আমি কোন অন্যায় করিনি তারপরও মুরাদের নেতৃত্ব ৬-৮ জন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা করে এবং মটরসাইকেল ভাংচুর করে। হামলকারী সবাইকে আমি চিনিনা শুধু মুরাদকে চিনতে পেরেছি।
    টুমচর আসাদ একাডেমী অধ্যক্ষ ফারজানা নুর জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। প্রাক্তণ ছাত্র কি ভাবে শিক্ষকের উপর হামলা করে। আমরা বিদ্যালয়ে সব শিক্ষক বসেই আজই সিদ্ধান্ত নিবো এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়া চলছে।

    বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন জানান, ছাত্র হয়ে শিক্ষকের উপর এ ভাবে প্রকাশ্যে হামলা মেনে নেওয়া যায়না। আশাকরি জড়িতরা শাস্তি পাবে। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

    হামলার বিষয়টি এখনো জানাতে পারেনি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোস্তফা কামাল। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে শুনেছেন। অভিযোগ পেলে এই ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওসি।

  • লক্ষ্মীপুর বশিকপুরে জমি কিনে বিপাকে ব্যবসায়ী।

    লক্ষ্মীপুর বশিকপুরে জমি কিনে বিপাকে ব্যবসায়ী।

    লক্ষ্মীপুর বশিকপুরে জমি কিনে বিপাকে ব্যবসায়ী


    লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী আবুল কালাম ভূঁইয়ার কেনা প্রায় ১৩ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করার অভিযোগ উঠেছে। জমির পূর্বের মালিক বাহার উদ্দিন ও তার ভাই নুর নবী বাবুল জমিটি দখলে নিতে মামলা দিয়ে কালামকে হয়রানি করে আসছে। রোববার (২৯ মে) বিকেলে ভূক্তভোগী কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    এরআগে ২৬ মে কালাম একই ঘটনায় বিচার চেয়ে ৬ জনের নামে চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ২৮ মে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগী কালাম সদর উপজেলার ৭নং বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত আজিজ উল্যা ভূঁইয়ার ছেলে ও স্থানীয় নাগেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী। অভিযুক্তরা বাহার ও বাবুল একই গ্রামের মৃত গোলাম মাওলার ছেলে।

    অভিযোগ সূত্র জানায়, ২০২১ইং সালে কালাম ১৩.২৫ শতাংশ জমি বাহারদের কাছ থেকে ক্রয় করেন। এর পাশেই কালামের আরও ৬ শতাংশ জমি রয়েছে। সেখানে কালামের বোন ৫০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি বাহার ও বাবুল তাদের বিক্রি করা জমিটি ফের দখলে নিতে চেষ্টা চালায়। এই নিয়ে তারা কালামের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে মামলাও দায়ের করে। পরে ঘটনাটি ৩ জন আইনজীবীর মাধ্যমে মীমাংসা হয়। এতে কালাম জমির মালিক বলে প্রমাণিত হয়। বৈঠকে মীমাংসা হলে ২৬ মে বাহার ও বাবুল লোকজন নিয়ে এসে কালাম ও তার বোনের অনুপস্থিতিতে ওই জমিতে একটি ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালায়।এতে বাধা দিলে তারা কালামসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়।

    বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত নুরনবী বাবুলের মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার বোন খোদেজা বেগম বলেন, জমির মালিক আমরা। কালাম জোরপূর্বক দখল করে আসছে। সেখানে ঘর নির্মাণ করলে তারা তা ভেঙে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় তারা আমাদেরকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে।

  • লক্ষ্মীপুরে মেজো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ। 

    লক্ষ্মীপুরে মেজো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ। 

    লক্ষ্মীপুরে মেজো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ। 


    লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে ছোটো ভাইয়ের জমি দখল ও ঘর ভাঙচুর লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেজো ভাই হাসমত আলির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ২৬ মে বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখত অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী আনসার পাটোয়ারী।

    ঘটনা টি ঘটেছে রায়পুর উপজেলার ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সমসের উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়িতে ভুক্তভোগী আনসার পাটোয়ারী এবং অভিযুক্ত হাসমেত আলির পিতা মৃত হানিফ পাটোয়ারী।

    স্থানীয় একাধিক সূত্র হতে জানাজায় দুই ভাইয়ের পিতার মৃত্যুর পর পিতার সম্পত্তির সঠিক ভাবে বন্টন না করে ছোট ভাই আনসার পাটোয়ারী প্রাপ্য অংশ ভোগ দখলে নিয়ে নেন তার বড় ভাউ হাসমত আলি, এনিয়ে দুই ভাইয়ের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা জমি সংক্রান্ত ঝামেলা চলে আসছে।
    এই ঘটনায় স্থানীয় ভাবে কয়েকবার বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেন কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রায়াত চেয়ারম্যান শাহজাহান কামাল, বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় ভুক্তভোগী আনসার পাটোয়ারী কে তার পিতার প্রাপ্য সম্পত্তি বুজিয়ে দেওয়ার কিন্তু স্থানীয় বৈঠকে অমান্য করে অভিযুক্ত মেজো ভাই হাসমত আলি রায়পুর থানার এএসআই মোশাররফ এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন এনিয়ে ৬ থেকে ৭সাত বার বৈঠক করেও রায়পুর থানার এএসআই মোশাররফ হোসেন কোন সমাধান করতে পারেন নি। উল্টো এএসআই মোশাররফ টাকা খেয়ে অভিযুক্ত বড় ভাই হাসমত আলির পক্ষে, পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ রয়েছে ।

    এই বিষয়ে ভুক্তভোগী আনসার পাটোয়ারী বলেন আমার পিতার মৃত্যুর পর পিতার সম্পত্তির সঠিক বন্টন না করে আমাকে আমার প্রাপ্য অংশ না দিয়ে তা ভোগদখল করেন আমার মেজো ভাই হাসমত আলি। আমি আমার সম্পত্তি দখল করতে গেলে আমাকে মারতে আসেন এবং হুমকি দামকি প্রধান করেন তিনি, আমাদের এই সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে সামাধান করা হয়েছিল এবং আমি আমার জাগায় ঘর তুলি, কিন্তু চেয়ারম্যান এর মৃত্যুর পর আমি বাড়িতে না থাকায় আমার বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করেন আমার মেজো ভাই। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হাসমত আলি বলেন আমি তাকে তার সম্পত্তি হিসাব সুন্দর ভাবে বুজিয়ে দিয়েছি,তার দাবী অনুযায়ী সে এখানে কোনো সম্পত্তি পাবে না, আপনাদের কোনো তথ্য দিয়ে লাভ নেই।

  • লক্ষ্মীপুরে খাবার খেয়ে ১০ সদস্য অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট।

    লক্ষ্মীপুরে খাবার খেয়ে ১০ সদস্য অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট।

    লক্ষ্মীপুরে খাবার খেয়ে ১০ সদস্য অচেতন করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট


    লক্ষ্মীপুরে রাতের খাবার খেয়ে একই পরিবারের ১০ সদস্য অচেতন হয়ে পড়েন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ হওয়ার পর দুর্বৃত্তরা তাদের ঘরে থাকা টাকাসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    শুক্রবার (২৭ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কী কারণে তারা অসুস্থ হয়েছেন, তা এখনো জানাতে পারেননি চিকিৎসক।

    বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রামে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মটুবী গ্রামের দাশ বাড়ির কানু লাল দাসের ঘরে এই ঘটনা ঘটে।

    অসুস্থ ব্যক্তিরা হলেন কানু লাল দাস (৯০), কমলা রানী দাস (৭৫), রবি দাস (৪৮), সমীর দাস (৪৪), অংকর দাস (১৪), অহনা দাস (১২), নারায়ণ দাস (৭৫), লক্ষ্মী রানী দাস (৬৫), তিমু রানী দাস (২৮) ও কান্তি লাল দাস (৭৫)।

    পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমাতে যায়। ঘুমের মধ্যেই তারা অচেতন হয়ে পড়ে। রাতের কোনো এক সময় একজন মোটামুটি স্বাভাবিক হন। অন্যদের ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। এদিকে কারও কানে-গলায় স্বর্ণালংকার না দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি করে। খবর পেয়ে রাত ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

    কানু লাল দাশের বড় ছেলে খাবার হোটেলের শ্রমিক রতন দাস বলেন, আমি রাতে হোটেলে ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে যাই। কে বা কারা খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দিয়েছে। সেই খাবার খেয়ে আমার বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘরে থাকা টাকাসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
    সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমান হোসেন বলেন, অসুস্থ ব্যক্তিদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দুজন বেশি অসুস্থ। তবে কী কারণে তারা অসুস্থ হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। ২৪ ঘণ্টা পর কারণ জানা যাবে।

    চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বর্ণালংকার ও টাকা লুটের ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। অসুস্থ ব্যক্তিরা স্বাভাবিক হলে তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে ডাক্তার ফয়েজ অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।

    লক্ষ্মীপুরে ডাক্তার ফয়েজ অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।

    লক্ষ্মীপুরে ডাক্তার ফয়েজ অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।


    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন মির্জাপুর গ্রামের মৃত হামিদ উল্যা ভুঁইয়ার ছেলে ফয়েজ আহম্মদ ভুঁইয়ার অত্যাচারে এলাকার নিরিহ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কথায় কথায় মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করা, ভূয়া অযুহাতে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ উঠেছে।

    ফয়েজ ভুঁইয়ার পেশায় ডাক্তার হলেও তার আচরণ অত্যন্ত বাজে এবং অসামাজিক বলে জানান এলাকাবাসী।
    একি বাড়ির নুর মোহাম্মদ ভুঁইয়া জানান, ফয়েজ শিক্ষিত হলেও তার আচার আচরণ অনেক খারাপ তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ, আমরা তার থেকে মুক্তি চাই। মাহবুব ভুঁইয়া জানান, কোন কিছু হলেই যাচাই বাছাই ছাড়াই মানুষের দোষ দেওয়া তার স্বভাব। মোহাম্মদ রিয়াদ ভূঁইয়া, অহিদুজ্জামান ভূঁইয়া সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন ফয়েজ ভূঁইয়ার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি । কথায় কথায় মামলার হুমকি। গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসে ।

    তার পুকুরের পানিতে গ্যাস হয়েছে, কিছু মাছ মারা গিয়েছে, এখনো ছোট বড় অনেক মাছ আছে । কিন্তু সে একেকবার একেক জনকে দোষারোপ করতেছে। তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারা হয়েছে বলে দাবি করে একের পর এক সবাই কে দোষী করে । এই জন্য সে তার ভাতিজা জাকির গং দের বিরুদ্ধে ১০দশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা করেছে। কিন্তু পুকুরে বিষ প্রয়োগ করা হতো তাহলে তার পুকুরের সমস্ত মাছ মারা যেত কিন্তু সে পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে একের পর এক একজনের উপর দোষ চাপাচ্ছে মামলা দিয়ে তার ভাতিজা ওদেরকে হয়রানি করছে।

    একি বাড়ির সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস ভূঁইয়া( সুমন ) বলেন ফয়েজ ভূঁইয়ার সম্পর্কে কি বলবো । তার সাথে বাড়ির কারো সাথে ভালো সম্পর্ক নেই সে সবার সাথে যায় ঝামেলা করে শিক্ষিত লোক হিসেবে সে তার সম্মান ধরে রাখতে পারে নাই । সবুজ ভুঁইয়ার বউ জানান, কথায় কথায় মানুষকে মামলার ভয় দেখায়।

    অবৈধ বৈদ্যুতিক লাইন দিয়ে মোটর, এয়ারেটর চালায়।
    তার কারনে পুকুরের পাড়ে মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে।
    আমরা তার থেকে নিস্তার চাই।

    আবুল ফয়েজ ভুঁইয়ার নানান অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার আপন ভাতিজা জাকির হোসেন ২৪ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    বাড়ির মহিলাদের গোসলের স্থানে বহিরাগত নিয়ে আড্ডাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
    এই বিষয়ে জানতে বর্তমান ইউপি সদস্য রফিক উল্যাকে ফোন করলে তিনি জানান, ফয়েজ শিক্ষিত মানুষ, বাড়িতে ভেজাল করে কাউকে মানে না।

    এবিষয়ে জানতে ফয়েজ আহম্মদ কে ফোন করা হলে তিনি বলেন সাংবাদিকের এখানে কি কাজ, এই কথা বলে ফোন কেটে দেন।অচিরেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তার ভাতিজা মঞ্জুর।