পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লক্ষ্মীপুরে মধ্য রাতে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জোৎসনা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় কুপিয়ে আহত করা হয় নিহত নারীর স্বামী আলা উদ্দিনকে। খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী ও স্বজন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন। (১৭ এপ্রিল ) বুধবার সকাল ১১ টায় ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মেঘনা বাজারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন
নিহত জোসনার সন্তানেরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, খুনি সিরাজ, মাহফুজ, মিজান, রাশেদা বেগম, এরশাদ,রিপন, জাকির,রিমন, রাকিব, ইব্রাহিম সহ ৭ জন্য ফাঁসি চাই প্রশাসনের কাছে
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত জোসনার দুই ছেলে ও এক মেয়ে, ইসমাইল, ফেন্সি, রোজী, জোসনার, আসুরা, আবুল বাশার, ইউপি সদস্য সাখাওয়াত এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ কয়েক শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ইউপি সদস্য আহসান উল্লাহ মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে অবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করেন
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন,বসত বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে ঘটনাস্থলে জোসনা মৃত্যু হয় মামলার পর থেকে র্যাব তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা নজরদারিতে অবশেষে মামলার ৬ জন এজাহারনামীয় ও ১ জন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়
লক্ষ্মীপুরে পৌর শহরে প্রত্যাশি ব্যাক এনজিও’র এক কর্মীর বিরুদ্ধে কিস্তি আদায় করতে গিয়ে টাকা না পাওয়ায় এক নারী গ্রাহকে মা’রদোর করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর সাহাপুর ডাক্তার বাড়িতে (ভাড়াবাসায়) এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রত্যাশি ব্যাক এনজিও থেকে রেখা আক্তার ৬০ হাজার টাকা কিস্তি নিয়ে নন্দনপুরে জাহাঙ্গীর কে দিয়েছে। জাহাঙ্গীর ও সঠিক সময়ে পরিশোধ না করাতে এনজিও কর্মী সোহাগ সাহাপুর এলাকার মমিনের স্ত্রী রেখা আক্তারের ভাড়া বাসায় এসে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে এতে খারাপ ব্যবহার করতে নিষেধ করলে এনজিও কর্মী সোহাগ রেখা আক্তার কে এলোপাথাড়ি মা’র দর শুরু করে। রেখা আক্তার শোরচিক্কারেৎ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সোহাগ পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় রেখা আক্তার কে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রেখা আক্তার বলেন , আমি একা বাসায় থাকার সুযোগে এনজিও কর্মী সোহাগ বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাবে দেয় রাজি না হওয়া সে। খারাপ আচরণ করতে নিষেধ করায় সোহাগ আমাকে এলোপাথাড়ি মা’র দর শুরু করে। আমার একটি মোবাইল ফোন ও একটি কানের ঝুমকা সোহাগ নিয়ে যায়।
রাত দশটার সময় প্রত্যাশি ব্যাক এনজিও অফিস থেকে কয়েক টা মোটরসাইকেল আরো কয়েকজন এনজিও কর্মী এসে বিভিন্ন হুমকি দেন এই বিষয়ে যেন আর কাউকে কিছু না বলতে ।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সোহাগের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কর্মী দের কে হুমকি দিয়ে বলেন, আমিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি রেখা আক্তার আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। আমার মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে গেছে। আপনার সঠিক নিউজ করবেন না হলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যাশি ব্যাক দালাল বাজার শাখার ফিল্ড অফিসার মোঃ আবুল বাশার বলেন,একজন নারী গ্রাহকের গায়ে হাত দেওয়া সোহাগের ভূল হয়েছে। আমি চুটিতে আছি আপনি পরে আমার অফিসে আসলে এই বিষয়ে কথা হবে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার (ওসি) মোঃ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, রেখার আক্তার এনজিও কর্মীর হাতে হামলার শিকার হয়েছে এ বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লক্ষীপুর বাহুবলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা অনশন করতে এসে প্রেমিকের মায়ের নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
২৬ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ৪নং চররুহিতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে কাঞ্চনি বাজারের সাথে ছাগল পোড়া নতুন বাড়িতে আব্দুল গনির দ্বিতীয় মেয়ে হালিমা সাথে এ ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগি হালিমা আক্তার জানায়, বাড়ীর পাশের জাহাঙ্গীর ছেলে এসকাবেটর চালক সাকিল সাথে ৯ মাসের প্রেমের সম্পর্ক, সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্কে গড়ায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে আমি তাকে বিয়ের চাপ দিলে সে আমাকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে।পরে বাধ্য হয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে শাকিল বাড়িতে আসলে তার মা আমাকে মারধোর করে আমার মোবাইল ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগি মা সাহেরা জানান, আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে গড়ায়। আমরা গরীব মানুষ শাকিল এর সাথে আমার মেয়ের বিয়ে না হলে সে আত্নহত্যার ও হুমকি দেয়।
শাকিল বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির বাহিরে দাড়িয়ে আছে প্রেমিকা। হাতে কাটাছেড়ার দাগ,এ সময় সে সাংবাদিকদের জানায় সে নবীগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী নির্যাতনের শিকার ভুক্তভো
সাকিল তাকে বিয়ে না করলে সে আত্নহত্যারও হুমকি দেয়।
এসময় অভিযুক্ত সাকিলের মা এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাহার বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু ব্যার্থ হয়েছি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, জরুরী ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাকিল কে গ্রেফতার করেছে সেই ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুইদিন শাকিলের নিজ বাড়িতে রেখেছে এ ব্যাপারে সুস্থ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘড়ির কাঁটা ১০টা বেজে কিছু সময়। আদালত পাড়ায় মানুষের আনাগোনাও বাড়ছে, বাড়ছে কর্মব্যস্ততাও। হঠাৎ কালো গাউন পরিহিত ও কোর্ট পরিহিত দুইজন এক যুবককে টেনেহেঁচড়ে মারধর করতে করতে নিয়ে যাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখার পর কেউ কেউ থামাতে গিয়েও ব্যর্থ হন। পরে জানা যায় বড় বোনের কাবিনের টাকা আইনজীবি না দিয়ে গড়িমসি করছেন। মারধরের শিকার ওই যুবকের স্বজনদের দাবি, ওই আইনজীবি কাবিনের টাকা আত্মসাদ করার জন্য মোবাইল ফোন বন্ধ ও বাদির ব্যবহৃত নাম্বার ব্লক করে দিয়েছেন। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণের।গেলো সোমবার (২৫মার্চ) বড় বোনের দেনমোহরের টাকা চাইতে গিয়ে ফয়সাল নামের এক যুবক আবদুস সামাদ আজাদ হিরণ নামের এক আইনজীবির হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বোন শিমু আক্তার জেলা আইনজীবি সমিতির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আবদুস সামাদ আজাদ হিরণ লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবি ও ভুক্তভোগী ফয়সাল হোসেনের বড় বোন শিমু আক্তারের মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি।শিমু আক্তার ও ফয়সাল হোসেন জানান, শিমু দেনমোহরের প্রাপ্য টাকা পেতে আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত ও উভয়পক্ষের আইনজীবির মধ্যস্থতায় দেনমোহরের দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। কয়েক ধাপে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেয়া হলেও বাকি ৬০ হাজার টাকা দিতে বাদির আইনজীবি আবদুস সামাদ আজাদ হিরণ গড়িমসি করেন। পরে ঘটনার দিন বাদির ভাই ফয়সাল হোসেনকে আইনজীবি হিরণের কাছে থাকা বাকি ৬০ হাজার টাকা নিতে বলেন। এসময় ফয়সাল ঘটনাস্থলে আসলে হিরণসহ কয়েকজন আইনজীবি একত্র হয়ে ফয়সালকে জামার কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে আইনজীবি সমিতির শৌচাগারে প্রায় আধা ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে আদালতের আরেক আইনজীবি ফিরোজ আলম ওই যুবককে উদ্ধার করে।
মামলার বিবাদি শিমু’র স্বামী রিয়াদ জানান, বাদিকে দিতে তিনি কয়েক ধাপে ২ লাখ বিশ হাজার টাকা আইনজীবির কাছে দিয়েছেন। পরে বাদির উকিলকে দেয়ার জন্য আরো পাঁচ হাজার টাকাও দেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতে সেবা নিতে এসে বিচারপ্রার্থীরা এর আগেও অনেকবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন, পড়েছেন আইনজীবিদের রোষানলেও। এতে ন্যায় বিচারতো দূরে থাক বাদি-বিবাদী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে মনে করেন সচেতন মহল
আলমগীর মাঝির নৌকাটির উপরে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর সময় ১০ হাজার টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৫ মার্চ ) সকালে রায়পুর উপজেলার ৮নং চর লক্ষী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আখন বাজারের আলমগীর মাঝির নিজ বসতঘরের সাথে ডাকাতিয়া নদীতে ডিঙ্গি নৌকাটির উপরে হামলার ঘটনা ঘটায়। এটি ডাকাতি বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
এদিকে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন জসিম, খোকন, পিরোজ, রপিক শিপন,ঘটনার স্থলে এসে দেখতে পান ৮-১০ জন ভাড়াটিয়া লোকজন এনে ডেঙ্গি নৌকার টির উপর হামলা করেছে টিটু চৌধুরী
ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরাজী জানান: আলমগীর মাঝির ৪০, হাজার টাকা নৌকা দফায় দফায় করেন টিটু চৌধুরী এই বিষয় নিয়ে টিটু শশুর নূরনবী চেয়ারম্যানের সাথে আমি আলোচনা করেছি রমজানের পরে বসে সমাধান করে দেব।
অভিযোগ অস্বীকার করে টিটু চৌধুরী বলেন পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব ছড়িয়েছে।
হাজী মারা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আজাদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম ড্রেজারে বালু তোলা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নৌকাটির উপরে হামলা ঘটনা ঘটেছে ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জকসিন পূর্ব বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১১টি দোকান এতে করে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার বেশি
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে-আব্দুল মান্নান মটর পার্টস, রাকিব টায়ার,সৌরভ স্টোর, গ্যাস সিলিন্ডার,
ইলেকট্রনিক্সসহ ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়, বুধবার দুপুরে বাজারে হঠাৎ আগুনের লেলিহান দেখতে পায় স্থানীয়রা। মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১১টি দোকানের সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এতে করে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়।
মান্দারী চেয়ারম্যান রুবেল পাটোয়ারী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার বেশি মাননীয় এম পি গোলাম ফারুক পিংকু ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আরিফুর রহমান অতি শীঘ্র ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জন্য সরকারের কাছে দরখাস্ত করবেন।
খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ এবং লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আবদুল মন্নান আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি চৌকস ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। শর্টসাকিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার বেশি
লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার মনির আহমেদ মাহিন নামের এক শ্রমিক লীগ নেতার বসত বাড়ি থেকে যৌনকর্মীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ মনি তার বাসায় যৌন কর্মী রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ যৌন ব্যবসা চালিয়ে আসছে। রবিবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে ৩ যৌনকর্মীকে উদ্ধার করেন।পরে মনিরসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর কারাগারে পাঠানো শ্রমিক লীগ নেতা মনির আহম্মদ মহিন উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ও চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ খোকনের ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মোঃজামাল হোসেন,চাঁদপুর সদর উপজেলার গুণরাজদী গ্রামের মোঃ ইয়াছিন আলী খানের মেয়ে মোছাঃ সোনিয়া খাতুন মানহা, মাগুরার শালিখা উপজেলার পাচকাহুনিয়া গ্রামের মোঃ সবুর মোল্লার মেয়ে মোছাঃ সাথী খাতুন ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার নারায়ণগঞ্জ ওয়াবদাকুল এলাকার মৃত শফিকের মেয়ে মোছাঃ বৃষ্টি খাতুন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক লীগ নেতা মনির তার বাড়িতে যৌনকর্মী রেখে অসামাজিক কার্যকলাপ করিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কমলনগর থানার পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মনিরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এরপর তার ঘরের দরজা খুলে নারী পুলিশের সহযোগিতায় ৩ যৌনকর্মীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনির দীর্ঘদিন যাবৎ বসত বাড়িতে যৌনকর্মী রেখে যৌন ব্যবসা করে আসছিল। এলাকার যুব সমাজকে তিনি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃতহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমক,গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নৌকার কর্মীদের জরিমানা লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে আলাদা তিনটি অভিযানে নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাসভবন, সদর উপজেলার দালাল বাজার ও জেলার রায়পুরে এই অভিযান চালানো হয়।
ওই রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মকবুল হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের জেলা শহরের বাসভবনে নির্বাচনী এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। খাবার পরিবেশনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রার্থীর প্রতিনিধিকে পাওয়া যায়। পরে তাকে ১০দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সংসদীয় আসনের ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই সময় নির্বাচনী আচরণবিধির ৭(৩) ধারা লঙ্ঘন করে ব্যানার টানানো দেখতে পাওয়া যায়। এই কারণে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রতিনিধির কাছ থেকে নির্বাচনী আচরণবিধির ১৮(১) ধারা অনুযায়ী পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।এছাড়া একই আসনের অন্তর্গত রায়পুর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় মাইক্রোবাসে পোস্টার ও ব্যানার লাগিয়ে প্রচারণার দায়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রতিনিধিকে ১০দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এসময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট রঙিন ব্যানার ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়
মহান বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদ করায় লক্ষ্মীপুরে দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ভূমি) উপ-সহকারী আরিফুর রহমান (৪৪) ও মোহাম্মদ ওমর ফারুককে এলোপাতাড়ি মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ শ্রমিককে হোটেল থেকে আটক করে।পুলিশ সূত্রে জানা যায় আহত ভূমি কর্মকর্তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অলি উল্লাহ।
আহত মো. আরিফুর রহমান রায়পুর উপজেলার চর বংশি ইউনিয়ন (ভূমি) উপ-সহকারী ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্ছানগর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মদের ছেলে। ওমর ফারুক সদর উপজেলার উত্তর হামছাদি ইউনিয়ন (ভূমি) উপ-সহকারী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়েতর উল্ল্যার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উত্তর তেমুহনী এলাকায় মোহাম্মদীয়া হোটেল কর্তৃপক্ষ বিকৃতভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় ওই হোটেলে খাবার খেতে এসে পতাকার অবমানার প্রতিবাদ করেন ইউনিয়ন (ভূমি) কর্মকর্তা ওমর ফারুক। এতে হোটেলের ম্যানেজার রাকিবের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চড়থাপ্পড় দেওয়া হয় হোটেল ম্যানেজারকে।
এতে হোটেলের শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুকের ওপর হামলা চালায়। ফারুককে রক্ষা করতে গিয়ে আরিফুর রহমানও হামলার শিকার হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই হোটেলের ১২ কর্মচারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি ফৌজদারি অপরাধ। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা নিতে সদর থানাকে বলা হয়েছে
লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলতে ছেলে হত্যার বিচার ও প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে কবর থেকে লাশের কঙ্কাল তুলে তিন ঘণ্টা বাজার প্রদক্ষিণ করেছেন দিনমজুর পিতা মনির হোসেন। পরে ইউএনওর নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য কঙ্কালকে পুনরায় কবর দেওয়া হয়। এই ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার সময় ৮নং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট এলাকা মেঘনার পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকালে নিহত রাসেলের পিতা মনিরকে মারধর করে তার সহোদর ভাই বাবুল বেপারি। এই সময় মনির চিৎকার করে বলেন, বাবুলই তার ছেলেকে হত্যা করেছে। রাহুল নামের একজনকে ফাঁসিয়ে বাবুল ও একই ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল টাকা ও জমি আত্মসাৎ করেছেন। ওই সময়ে জমি ও ১২ লাখ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নজরুলের সহযোগিতায় বাবুল বেপারি এক নং আসামি আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল রাহুলসহ অন্য আসামিদের উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাইয়ে দেন।
তারা আরও বলেন, জমি ও টাকা না পেয়েই হয়তো এ কাণ্ড করতে পারেন মনির। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ছেলে হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনও করেছিলেন নিহত রাসেলের মা ফাতেমা বেগম ও পিতা মনির হোসেনসহ স্বজনরা।
৮নং চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট এলাকা মেঘনার পাড়ে মূল খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট এলাকা মেঘনার পাড়ে মূল খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল
তবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ও বাবুল বেপারি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেন বলেন, নিহত কিশোর রাসেলের লাশের কঙ্কাল কবর থেকে তুলে একটি টুকরিতে করে মাথায় নিয়ে ছেলে হত্যার বিচার ও মূল হত্যাকারী বাবুলকে আটকের দাবিতে মিয়ারহাট বাজার ঘুরে বেড়ান দিনমজুর মনির হোসেন ভুট্টু বেপারি। খবর পেয়ে ইউএনওকে জানিয়ে চেয়ারম্যানসহ আমরা মনিরকে বুঝিয়ে আবার কঙ্কালগুলো কবর দিয়েছি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার, মাছঘাট দখল ও ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে শাহজালাল রাহুল ও নজরুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। চলতি বছরের গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে চরবংশীর মিয়ারহাটের রাহুল মাছঘাটে পাশের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের ভাই বাবুল বেপারির সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল রাহুলের মাছঘাটের ম্যানেজার ফারুক কারীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও কথা-কাটাকাটি হয়।
ইউএনওর নির্দেশে কঙ্কালকে পুনরায় কবর দেওয়া হয়
ইউএনওর নির্দেশে কঙ্কালকে পুনরায় কবর দেওয়া হয়
একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় রাসেল হোসেন ছুরিকাঘাতে নিহত হয় এবং ১০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় রায়পুর থানায় নিহত রাসেলের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে শাহজালাল রাহুলসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় শাহজালাল রাহুলসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন।
এ বিষয়ে রায়পুরের হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাস্থল গিয়ে মনির হোসেনকে বুঝিয়ে লাশের কঙ্কাল কবর দেওয়া হয়। কিশোর ছেলে হত্যা মামলায় বাবুল বেপারির নাম নেই। তারপরও যদি মনির বেপারি লিখিত অভিযোগ দেন তার ছোট ভাই বাবুল বেপারির বিরুদ্ধে, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে