Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুর থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্থানান্তর র‍্যাব-১১ সিসিপি-৩ ক্যাম্প।

    লক্ষ্মীপুর থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্থানান্তর র‍্যাব-১১ সিসিপি-৩ ক্যাম্প।

    লক্ষ্মীপুর সদর থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় র‍্যাব-১১ সিসিপি-৩ এর ক্যাম্প স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানতপুরে অফিস কার্যক্রম শুরু হয়।

    র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, র‍্যাব সৃষ্টির পর থেকেই মাদক, অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি বিরোধী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এতে করে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে র‍্যাব। র‍্যাব-১১ সিসিপি-৩ এর কার্যক্রম লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে পরিচালিত হতো। আমাদের লক্ষ্মীপুর অফিসের মাধ্যমে আমরা নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতাম।

    কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো.শামীম হোসেন আরো বলেন, অপরাধের মাত্রা ও কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্মীপুর থেকে র‍্যাব-১১’র ক্যাম্প স্থানান্তরের প্রয়োজন ছিল।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‍্যাবকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ক্যাম্প নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্থানান্তর করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ইং সালের ২৬ মার্চ জাতীয় স্বাধীনতা দিবস প্যারেডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে র‍্যাবের আত্মপ্রকাশ হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ইতোমধ্যে বাহিনীটি সফলতার মুখ দেখিয়েছে। ২০১৪ইং সাল থেকে র‍্যাব-১১ সিসিপি-৩ লক্ষ্মীপুর থেকে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এখন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম পরিচালনা করবে র‍্যাব-১১’র সদস্যরা।

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী মুরাদ হোসেন আলোচনার শীর্ষে।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী মুরাদ হোসেন আলোচনার শীর্ষে।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় আসছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের মাঝে ও মেম্বার নির্বাচনে পছন্দের যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার হিসাব-নিকাষ শুরু হয়ে গেছে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষতা ও যোগ্যতার মানদন্ড বিবেচনায় ৫নং পার্বতীনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ২নং ওয়ার্ডের মুরাদ হোসেন রয়েছে আলোচনার শীর্ষে। এই বারও তিনি আলোচনার শীর্ষে আসার কারণ হল, তার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি মানবীক গুন। তা হচ্ছে, যখন করেনা ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে তখন তিনি ভয়কে জয় অসহায় মানুষের বাড়ি ঘরে গিয়ে খাবার পৌঁছিয়ে দিতেন ও মাক্স বিতরণ করতেন।

    প্রকৃত দুস্থদের তালিকাপ্রণয়ন করে সরকারী সহায়তা পৌঁছিয়ে দিতেন। কোন রকম হয়রানি ছাড়া নাগরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। নিজের সাধ্য মতে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।

    প্রতি ঈদে গরীব অসহায়দের মানুষের মাঝে ৫০০, জন পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। শীতের সময় ৬০০, থেকে ১০০০, এক হাজার অসহায় মানুষের মধ্যে শীতের বস্ত্র বিতরণ করেন,বিগত ২০১২,ইং সাল থেকে রমজান ঈদে কোরবান ঈদের সময় অসহায় নারী পুরুষের মাঝে শাড়ি লুঙ্গি বিতরণ করেন আসছেন জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে ৫নং পার্বতীনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নতুন নতুন কয়েকটি রাস্তা নির্মাণ করেছেন। অধিকাংশ কাঁচা সড়ক পাকা হয়েছে।

    রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়লেও এগুলো দ্রুত সংস্কার করে স্বাভাবিক চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই ছাড়া তিনি ছাত্র জীবন থেকে বর্তমান দলের দলীয় প্রতিটি কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মত। এলাকাবাসী চান পরিবর্তন একজন সৎ আদর্শবান যোগ্য প্রার্থী হিসাবে,মুরাদ হোসেনকে ২নং ওয়ার্ড বাসী চান মেম্বার হলে ২নং ওয়ার্ড বাসীর সুখে দুঃখে পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন বলে এলাকাবাসী জানান।

    মুরাদ হোসেন বলেন, আমি ৫নং পার্বতীনগর ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডের বিজয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণে ও মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার মাদক, নির্মূল, বাল্যবিবাহ ইভটিজিংসহ অপরাধ দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে একহয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ

  • লক্ষ্মীপুরে চেক আটকের মাধ্যমে প্রতারণা করে ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে চেক আটকের মাধ্যমে প্রতারণা করে ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৯নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে বাজারের আবাবিল কো অপারেটিভ সোসাইটি লি: এর বিরুদ্ধে চেক আটক করে প্রতারণার মাধ্যমে আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ১৯ ডিসেম্বর (রোববার) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তেওয়ারীগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এই অভিযোগ করেন।

    তিনি বলেন, গত ৪/৫ বছর পূর্বে আবাবিল কো অপারেটিভ সোসাইটি লি: থেকে ঋণ গ্রহণ করি এবং তা সময় মতো পরিশোধ করি। এসময় আমার কাছ থেকে স্বাক্ষরিত ১৫০ টাকার দুটি অলিখিত স্ট্যাম্প ও অগ্রনী ব্যাংকের ১৭নং ভবানীগঞ্জ শাখার একটি সাদা চেক জামানত হিসেবে নেন। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করার পরও সোসাইটি লোকজন স্ট্যাম্প ও চেক ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করেন এই বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকে অবগত করেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি আবুল কালাম আজাদের ভাই নুরুল আমিনের সাথে সোসাইটির ম্যানেজার দিদার হোসেন ও পরিচালক মো. টিপু, আনোয়ার হোসেন ফটিক এবং বাজারের একটি দোকান ভিটিকে কেন্দ্র করে বিরোধ দেখা দেয়।

    এই বিরোধের জের ধরে মো. দিদার হোসেন এবং টিপু প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আবুল কালাম আজাদের জমাকৃত চেকে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা লিখে ব্যাংকে জমা দেন। পরে চেকটি ডিজওনার করে আইনজীবির ম্যাধ্যমে নোটিশ করে ব্যবসায়ী আজাদ কে। পরে এই ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ওমর হুসাইন ইবনে ভুলু চেকটি ফেরৎ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় আবুল কালাম আজাদ ওই তিনজনেক আসামী করে গত ১৪ ডিসেম্বর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

    অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ওমর হোছাইন ইবনে ভুলু বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি সমাধান করার চেষ্টা করেছি সম্ভব হয়নি।

  • লক্ষ্মীপুরের হামছাদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরের হামছাদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলা হামছাদী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নজরুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি ও তার প্রচা- প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এমরান হোসেন নান্নু ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রার্থী তার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

    মো: নজরুল ইসলাম বলেন,নৌকার প্রার্থীর লোকজন বিভিন্নভাবে আনারস প্রতীকের কর্মীদের ও তাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এই ছাড়া প্রচার-প্রচারণায় বাধাসহ নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এতে করে সুষ্ঠু নির্বাচন ও জীবনের নিরাপত্তহীনতায় শঙ্কিত রয়েছেন জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রতিকার দাবি করেন। অভিযোগ শেষে এলাকার নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ১৩টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন স্বতন্ত্র এই প্রার্থী। উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী সহ ১৫টি ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সব ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্রসহ ৭৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • লক্ষ্মীপুরে চরশাহী আ’লীগ কর্মীদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর হাতাহাতি।

    লক্ষ্মীপুরে চরশাহী আ’লীগ কর্মীদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর হাতাহাতি।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কর্মীদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলজার মোহাম্মদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউনিয়নের দক্ষিণ নুরুল্লাপুর গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ ঘটনার সৃষ্টি হয়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

    স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় গোলজার দক্ষিণ নুরুল্লাপুর গ্রামে প্রচারণায় যান। পাশেই নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে কয়েকজন কর্মী বসা ছিলেন। তাৎক্ষণিক আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। এসময় গোলজারের সঙ্গে তারা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গোলজার ও তার কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটায়। তবে ভিডিওতে দেখা যায় গোলজার হ্যান্ড মাইকে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সুমন বলেন, নৌকার কার্যালয়ে বসে থাকা কর্মীদের গোলজার গালমন্দ করেন।

    এসময় রাসেল নামে আমাদের এক কর্মীর ওপরও হামলার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। জানতে চাইলে গোলাজার মোহাম্মদ বলেন, আমার প্রচারণার সময় নৌকার কার্যালয়ে সাউন্ডবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজানো হয়। কিছুক্ষণের জন্য তা বন্ধ করতে বলে তারা আমার কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি করে। তবে আমি সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি।

    এই ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেবকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

  • লক্ষ্মীপুরের ড্রেজার দিয়ে মাটি তোলার অপরাধে ইউপি সদস্যের জরিমানা

    লক্ষ্মীপুরের ড্রেজার দিয়ে মাটি তোলার অপরাধে ইউপি সদস্যের জরিমানা

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলনের অপরাধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দিদার হোসেন মোল্লাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা আদায় করেন।

    জানা গেছে, বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে নদী থেকে দিদার মোল্লার ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। এই সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল ইকবাল উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত দিদার রায়পুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য (মেম্বার)।

    তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দিদার মোল্লা ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে মাটি উত্তোলন করছেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দের নির্দেশে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। এতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হয়। ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে মাটি উত্তোলনকারী দিদার মোল্লার পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।অবৈধ ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন দাশ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালন করেন। ইউএনও অঞ্জন দাশ বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য একই আইনে তার জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • লক্ষ্মীপুরের অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবী,অস্ত্র-গুলিসহ ৫ দস্যু গ্রেপ্তার।

    লক্ষ্মীপুরের অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবী,অস্ত্র-গুলিসহ ৫ দস্যু গ্রেপ্তার।

    লক্ষ্মীপুরের অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবী,অস্ত্র-গুলিসহ ৫ দস্যু গ্রেপ্তার।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় মুক্তিপনের দাবিতে জিম্মি করা ৫ জেলে মাঝিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় এলজি-গুলি ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যূকে আটক করে নৌ-পুলিশ। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের হেলালের চর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

    মজুচৌধুরী ঘাট নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১ টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর নদী এলাকা থেকে মাছ ধরার সময় জেলে মাঝিদের অপহরণ করা হয়। পরে মাঝিদের পরিবার ও আড়তদারদের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়। তাদেরকে লক্ষ্মীপুরের হেলালের চর এলাকায় একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে আটকে রেখে মারধর করা হয়। শনিবার বিকেলে নিয়মিত টহলে সময় মাঝিদের বাঁচানোর আকুতি শুনে নৌ-পুলিশ এগিয়ে আসে। এসময় দ্রুত জলদস্যূরা নদীর পাড়ের চরে পালিয়ে যায়। পরে তাদের আটক করা হয় নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, নোয়াখালীর হাতিয়ার নুরনবী, মো. মহি উদ্দিন, বাসু দেব, কোম্পানীগঞ্জের অলি আহমেদ ও লক্ষ্মীপুরের রামগতির আবদুল বারেককে নদীতে মাছ ধরার সময় মুক্তিপনের জন্য অপহরণ করা হয়।

    আটক জলদস্যুরা হলেন-ভোলার কালুপুর গ্রামের মঞ্জুর আলম বেপারী, একই গ্রামের আবদুর রহিম, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন এলাকার হযরত আলী, রামগতির আলেকজান্ডার গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও একই গ্রামের মো. হাসান। উদ্ধার অস্ত্রগুলো হলো দেশীয় তৈরী এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, ৩ টি ছেনি, নদীতে ব্যবহৃত ২ টি চার্জ লাইট। জব্দ করা হয় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিন চালিত ট্রলার।

    নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, মুক্তিপনের জন্য মাঝিদের জিম্মি করা হয়েছিল। নিয়মিত টহলকালে তাদের উদ্ধার ও জলদস্যুদের অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হাত পা কেটে দেওয়ার হুমিক।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হাত পা কেটে দেওয়ার হুমিক।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।

    চররমনী মোহনে ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবু ইউসুফ ছৈয়াল। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা, কর্মীদের মারধর ও তাদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম সরকার আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

    তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে নৌকার কর্মীরা আমার কর্মীদের মারধর করে পোষ্টার ছিনিয়ে নিয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় নৌকার কর্মীরা আমার নির্বচানী মাইক ভাঙচুর করে। তারা আমার কর্মীদের হুমকি দেয়- ‘প্রচারণা চালালে হাত-পা কেটে দেওয়া হবে।

    এর আগে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দে আগে একটি নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে হুমকি দেয়। নির্বাচনে তার ১৫-২০ লাখ টাকা খরচ হবে বিধায় বিনাভোটে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছেন তিনি। তবে তার হুমকির পরেও ওই ইউনিয়নে আরও তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রদিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু ইউসুফ ছৈয়াল হত্যা, চাঁদাবাজি, নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি মামলা আসামী।

    মনিরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকের ইউসুফ ছৈয়ালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনারস প্রতীকের কর্মীরা নির্বাচনী পোষ্টার লাগানোর জন্য নৌকার প্রার্থী ইউসুফ ছৈয়ালের বাড়ির সামনে দিয়ে যাবার সময় ছৈয়ালের লোকজন তার কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। এতে কয়েকজন কর্মী আহত হয়। এই সময় তাদের কাছে থাকা পোষ্টার, লিফলেট, ফেস্টুন ছিনতাই করে নেয় হামলাকারীরা। নৌকার কর্মীরা তাদের হুমকি দেয় এবং প্রচারণা চালানো থেকে সরে যেতে বলে।

    তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ২ ডিসেম্বর ইউসুফ ছৈয়াল ইউনিয়নের মজুচৌধুরীর হাটে নির্বাচনী সভায় প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলে। তার হুমকির কারণে আমার পক্ষে প্রচারণা চালানো সম্ভব নয়। আমি এবং আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আবু ইউসুফ ছৈয়াল বলেন, এলাকায় মনিরের কোন ভোট নেই। সে বিএনপি করে। ইউনিয়নের সব ভোট নৌকার। মনির ভোট করার জন্য মাঠে নামে নি, সে শুধু শুধু ঝামেলা সৃষ্টি করতে এসেছে। এর আগেও মনিরের পিতা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সামান্য কয়েক ভোট পেয়েছে। এবারও আশাকরি মনির জামানত তুলতে পারবে না। তাই তার প্রচারণায় বাঁধা দেওয়া বা তাকে হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা।

    এই ব্যাপারে চররমনী মোহন ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় অফিসার দেবেশ কুমার সিংহ বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল ইসলামের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত :গত ১ ডিসেম্বর নির্বাচনী এক সভায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু ইউসুফ ছৈয়াল প্রতিপক্ষ ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী সালেহ আহম্মদকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। এই হুমকির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

    এসময় তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে গেলে ভোট ছাড়াই তিনি চেয়ারম্যান হবেন। এতে তার ১৫-২০ লাখ টাকা বেঁচে যাবে। ওই টাকা এলাকার উন্নয়নে এবং মসজিদ মাদরাসায় দান করবেন।

    আর নির্বাচন থেকে সরে না গেলে তাদের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হবে বলে হুশিয়ারী দেন। এই ঘটনার পর গত ২ ডিসেম্বর ‘‘ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান হতে চান নৌকার প্রার্থী। আগামী ২৮ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নসহ ১৫ টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী ও মা-ছেলে।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বামী-স্ত্রী ও মা-ছেলে।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ১১জন। এদের মধ্যে একই পরিবারের দুইজন করে চারজন রয়েছেন।

    তবে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে আরও ৫জন। ফলে নির্বাচন নিয়ে সেখানে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে এখানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক বাদলকে। নির্বাচনে তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
    তিনি প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ঢোল। নির্বাচনী মাঠে তাহমিনা নিজের ঢোল না পিটিয়ে স্বামীর প্রতীক নৌকাতে ভোট চাইছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

    তবে স্ত্রীকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী দাবি করে নৌকা প্রতীকের আব্দুল খালেক বাদল বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে প্রার্থী হওয়ার। সেজন্যই আমার ঘরেও প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আছে।

    অন্যদিকে একই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল হাসান রনি। নৌকা প্রতীক চেয়ে পাননি তিনি।

    মঙ্গলবার দুপুর থেকে চশমা প্রতীকে প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি নিজেও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন তার মা মমতাজ বেগমকে। তার প্রতীক টেলিফোন। রনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মরহুম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের ছেলে। একই ঘরে দুই প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠে অন্যান্য প্রার্থীদের মতো আমার মাও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তিনি এখনো পর্যন্ত মাঠে আছেন। তবে শেষ পর্যন্ত আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকবেন কিনা- সেটা আরও পরে বলা যাবে।

    তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনী মাঠে আমার অবস্থান ভালো। শেষ মুহূর্তে যদি ভালো থাকে তাহলে আমার মা আমাকে সমর্থন জানাবেন। আর যদি আমার মায়ের অবস্থান ভালো হয়, আমি তাকে সমর্থন জানাবো। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের বিপরীতে প্রভাব খাটানোর জন্য একই পরিবারের মধ্যে থেকে একাধিক প্রার্থী দেওয়া হয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এদের ‘‘ডামি” প্রার্থী হিসেবেও মনে করেন স্থানীয়রা।

    অন্যদিকে এ ইউনিয়নে নৌকার বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে আছে। বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি ও তার মা মমতাজ বেগম ছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হালিম মাস্টার (মোটরসাইকেল), সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় শ্রমিক লীগের জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ (ঘোড়া), সাবেক সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন বিপ্লব (আনারস), সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ঢালী (রাজনীগন্ধা) স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন। এরা সবাই নৌকার মনোননয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

    এই ছাড়া বিএনপিপন্থী শাহ মো. এমরান (অটোরিক্সা) ও জাহাঙ্গীর আলম (টেবিল ফ্যান) এবং ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মহিউদ্দিন (হাতপাখা) প্রার্থী হয়েছেন।

  • লক্ষ্মীপুরে শিশু তামীমকে চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরন দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ।

    লক্ষ্মীপুরে শিশু তামীমকে চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরন দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তামীম ইকবালের (১২) বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় তার চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। শিশুর বাবা সাহাদাত হোসেনের করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। জ্বালানি সচিব, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পল্লীবিদ্যুতের অবহেলায় পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তামিম গুরুতর আহত হয়। দুই মাস ধরে সে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাম হাত পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়েছে। ডান পায়ের দুটি আঙুলও কেটে ফেলতে হবে। ঝলসে যাওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরেছে। মাথার আঘাতও গুরুতর।

    গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় তামিমের মা আমেনা বেগম পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে তার সন্তান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে এমন অভিযোগ এনে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান।

    তামিম রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর টবগী গ্রামের দিন মজুর শাহাদাত হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কাটাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চর টবগী গ্রামের একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এরপর থেকে ওই খুঁটির বিদ্যুতের তারগুলো এলোমেলোভাবে নদীর পাড়ে পড়ে থাকে।

    এ বিষয়ে স্থানীয়রা রামগতির পল্লী বিদ্যুৎকে অবগত করলেও তারা ঘটনাস্থলে আসেনি। দুদিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর স্কুলছাত্র তামিম নদীতে গোসল করতে গেলে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারাত্মক আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।