Tag: রোগ
-
বালিয়াডাঙ্গীতে জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা ও কম্বল বিতরণ।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ক্যান্সার, কিডনি ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্তসহ বিভিন্ন অসহনীয় রোগে ভুগছেন অনেক মানুষ। তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খাওয়া এসব অসহায় পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদে ৩৩ জন রোগীর মাঝে ১৫ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকার চেক এবং ১০০ জনের হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) তুলে দেওয়া হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি চেক ও কম্বল বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শরিফুল ইসলাম, ফিল্ড অফিসার শফিউল আলম সরকার, উপজেলা আনসার কর্মকর্তা সাহারা বানু, উপজেলা বণিত সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।স্থানীয় সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩০ জন উপকারভোগীকে ৫০ হাজার টাকার চেক এবং তিনজনকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি শীত নিবারণের জন্য ১০০ জন দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়।চেক গ্রহণকারী রোগীদের চোখে-মুখে ছিল কৃতজ্ঞতার ছাপ। একাধিক রোগী জানান, এই অর্থ তাদের চিকিৎসার খরচ চালাতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। -
কঠিন রোগে আক্রান্ত ৮ বছরের শিশু রিয়াদ বাঁচতে চায়।
নীলফামারীর ডিমলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের বারবিশা গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যান চালক শরিফুল ইসলাম ও গৃহিনী আজিজা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান রিয়াদ (৮) বাঁচতে চায় । জটিল রোগে আক্রান্ত রিয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে স্কুলে যেতে চায়, বন্ধুদের সাথে খেলতে চায়। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে চিকিৎসা করাতে না পারায় তার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে।
জটিল রোগে আক্রান্ত রিয়াদ তার বাবাকে কাঁদতে কাঁদতে বলেছে, “আব্বা, আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমাকে যেভাবেই হোক চিকিৎসা করে বাঁচাও।” হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র সন্তানটি ছাতনাই ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্র।
দীর্ঘ ছয় মাস ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মেধাবী ছাত্র রিয়াদ। দিনরাত বিছানায় শুয়ে শুধু চিৎকার করছে আর বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে। সারা শরীরে ব্যথা, হলুদ চোখ, কালো হয়ে যাওয়া শরীর, এবং কঙ্কালসার দেহ – রিয়াদের অবস্থা ভাল না। তার হার্টে ছিদ্র, দুইটি বাল্বের একটি অকোজ এছাড়া হার্টের রক্তনালী বন্ধ থাকায় তার সারা শরীর কালো হয়ে গেছে। হাঁটাচলার শক্তিটুকুও আস্তে আস্তে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন কোন কিছু খেতে পারে না। দরিদ্র বাবার যা সম্পদ ছিল সব বিক্রি করে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকা খরচ করে ছেলের চিকিৎসা করিয়েছেন। বর্তমানে বাড়ির দুই শতাংশ জায়গাটুকুই তার শেষ সম্বল। ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্র পিতার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা আর সম্ভব হচ্ছেনা। তাহলে কি অর্থের অভাবে মেধাবী ছাত্র রিয়াদের জীবন প্রদীপ নিভে যাবে?
জানা যায়, ২০২০ সালের জুলাই মাসে হঠাৎ করে রিয়াদের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, রিয়াদের হৃদপিণ্ডে ছিদ্র, একটি বাল্ব অকেজো এবং হৃদপিণ্ডের রক্তনালী শুকিয়ে গেছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ মো. নুরুল আক্তার হাসান জানান, রিয়াদের জীবন বাঁচাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দুটি জটিল অপারেশন করাতে হবে, যার খরচ প্রায় ১২ লাখ টাকার বেশি।
রিয়াদের বাবা শরিফুল ইসলামের কণ্ঠে ভেসে উঠছে হাহাকার। অর্থের অভাবে ছেলের জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা করাতে না পারায় তিনি মর্মাহত। কান্না জড়িত কণ্ঠে শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমার ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। এখন আর কোন স্বপ্ন নেই। আমার ছেলেটা বাঁচলেই আমি খুশি।”
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রিয়াদের চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন। তিনি বলেন, “রিয়াদের পরিবার খুবই দরিদ্র। তাদের পক্ষে এত বড় অঙ্কের টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই আমি দেশের সকল সহৃদয় ব্যক্তি ও বিত্তবানদের কাছে রিয়াদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া বলেন, রিয়াদের অসুস্থতার কথা তিনি শুনেছেন। শিশুটি যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।
অসুস্থ রিয়াদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য এগিয়ে আসুন। (রিয়াদের বাবা)
*বিকাশ ০১৭৭৩৯৯০২৪৫* নগদ ০১৭৭৭৯৪৬১৪৭ আপনার আর্থিক সহযোগিতা রিয়াদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।
-
রামপালে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে ক্যান্সার,কিডনী,লিভার সিরোসিস,স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে রামপাল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যােগে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে এ আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিম সুলতানা বুশরার সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমানের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আর্থিক সহায়তার চেক সুবিধাভোগীেদের হাতে তুলে দেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি)।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান প্রমুখ।এসময় ৫০ হাজার করে মোট ১১ জন নানান রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। -
ডিমলায় বোরো ধানে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট (BLB) রোগের লক্ষন।
ডিমলায় বোরো ধানে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট (BLB) রোগের লক্ষন।
নীলফামারীর ডিমলায় বোরো ধানে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট (BLB) রোগের লক্ষন দেখা দিয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছে স্থানীয় কৃষকেরা।
চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকেরা একমুঠো ভাতের আশায় ও জীবনের সুখ সাচ্ছন্দ উপভোগ করার জন্য ধার-দেনা করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষি জমিতে মনের আনন্দে বোরো ধান রোপন করে। জমিতে বোরো ধানের চারা রোপনের পর কৃষকের রোপনকৃত ধান গাছ গুলো মাঠের পর মাঠ যখন সবুজ তখন স্বপ্ন ও আশার বুক বাঁধেন স্থানীয় কৃষকেরা।উপজেলা কৃষি অফিস হতে স্থানীয় কৃষকদের বোরো ধান চাষে প্রশিক্ষন ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগন নিজ নিজ ব্লকে মাঠ পর্যায়ে বোরো ধান চাষে কিভাবে ভাল ফলন পাওয়া যায় সে বিষয়ে পরিচর্যা, রোগ প্রতিকার সম্পর্কে স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ লিফলেট বিতরন করে আসছে।বোরো ধানগাছ গুলো যখন প্রাকৃতিক রুপে যৌবনে ভরপুর। ধান গাছের ডগার বুক চিরে বের হবে সবুজ কচি ধানের শীষ। সেই সময় ধান ক্ষেতে দেখা দিয়েছে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট (BLB) রোগের লক্ষন। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা বালাইনাশক ঔষুধ ব্যবহার করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না রোগটি সম্পর্কে কৃষকেদের ধারনা নতুন তাই তাদের কাছেও অজানা। এতে বোরো ধান চাষে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন তিতপাড়া সহ অন্যান্য ইউনিয়নের প্রায় সর্বত্র বোরো ধান ক্ষেতে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট (BLB) রোগটি লক্ষনীয়।বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সরে জমিনে দক্ষিন তিতপাড়া গ্রামের কৃষক আইনুল হক সংবাদকর্মীকে জানান, আমি ২২ বিঘা জমিতে সিনজেনটা কোম্পানীর ১২০৫ জাতের হাইব্রীড ধান রোপন করেছি তার মধ্যে ১৪ বিঘা জমির ধান গাছের সবুজ পাতাগুলো খড়ে পরিনত হচ্ছে শীষ গুলো আস্তে আস্তে সাদা হচ্ছে বালাইনাশক ঔষুধ স্প্রে করেও কোন লাভ হচ্ছে না তবে কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি অফিসার মুহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, এটা ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট (BLB) রোগ ধানের তেমন ক্ষতি হবে না ।স্থানীয় কৃষক আমির হোসেন.সাথে কথা বলে জানা যায় ব্লক পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি অফিসারদের পরামর্শ নিয়ে আমরা চারা রোপনের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৩-৪ বার স্থানীয় বাজার থেকে বালাইনাশক ঔষুধ ক্রয় করে ধান ক্ষেতে স্প্রে করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না বিভিন্ন ধরনের রোগের আক্রমনে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে ধান ক্ষেত। আমাদের যে স্বপ্ন তা পুরন হবার না যে টুকু জমিতে ধানের শীষ বের হয়েছে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও শিলাবৃষ্টির ফলে আমরা অনেক ভয়ে ভয়ে আছি ।মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ জানান বালাপাড়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি অফিসার শাহিনুর রহমান আমাদের এলাকার কৃষকদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসছে কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্য্যোগ হলে করার কিছুই নাই।এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী জানান, ধানের শীষ বের হওয়ার সময় বৈরী আবহাওয়া প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে দিনের বেলায় রোদের তাপ, রাতে ঠান্ডা আর সকালে শীত পড়ায় ধান ক্ষেতে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট (BLB) রোগের লক্ষন দেখা দিয়েছে। এ রোগ নির্মুলে তেমন কোন কার্যকরী বালাইনাশক ঔষুধ নেই তবে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। কৃষকদের রোগ বালাই এর প্রতিকার সম্পর্কে উপসহকারী কৃষি অফিসাররা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। -
ক্রিস্টেন ডিঅ্যান্ড্রাদে বিরল রোগ থেকে মুক্ত ফিরে পেল দৈহিক বৃদ্ধি।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অ্যাকনড্রোপ্ল্যাসিয়া নামে বিরল এক রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এই রোগে হাত এবং পায়ের হাড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এই কারণে সেভাবে শরীরটা বাড়েনি তারও। বারো বছর বয়সে তার উচ্চতা ছিল ৩ ফুট নয় ইঞ্চি। বর্তমানে ফিরে পেয়েছে তার দৈহিক বৃদ্ধি।
সোজা বাংলায় যাকে বলে ‘বামন পীর। যার কথা বলা হচ্ছে, তার নাম ক্রিস্টেন ডিঅ্যান্ড্রাদে। বর্তমানে তার বয়স ৩৬। পেশায় যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক। বামন হওয়ায় রোজকার জীবনে সমস্যা লেগেই থাকতো। কমোডেও উঠে বসতে পারতেন না ঠিকঠাক। সুইচ অন-অফ করতে পারতেন না। কানে ঘা হওয়াসহ এটা-ওটা রোগ লেগেই থাকতো।
১৯৯৮ সালের জুন মাসে ১২ বছর বয়সেই ব্রিটেনের ডা. প্যালের অধীনে প্রথম অস্ত্রোপচারটি করান ক্রিস্টেন। ফিমার, হিউমার- পায়ের এই দুই অংশকে মাঝখান থেকে ভেঙে রড ঢুকিয়ে স্ক্রু লাগিয়ে দেয়া হতো। এরপর একই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতো ক্রিস্টেনের হাতের উভয় অংশেই। টানা চার বছর ধরে চললো এসব অস্ত্রোপচার। কাঁচির নিচে যাওয়া আর সেরে ওঠার মাঝে থাকতে থাকতে ২০০২ সালে ক্রিস্টেন ছুঁয়ে ফেলেন ৫ ফুটের লক্ষ্যমাত্রা।
প্রায় ১৭ ইঞ্চি উচ্চতা পেলেন তিনি। দেরি না করে তখনই নিয়ে নেন ড্রাইভিং লাইসেন্সটাও। সিংকের নাগালটাও এরপর ভালোভাবে পাওয়া শুরু করলেন, আর মাকেও রান্নায় সাহায্য করতে থাকলেন।
এভাবেই আত্মবিশ্বাসের সাথে ক্রিস্টেন পার করে ফেলেছেন ৩৬টি বসন্ত। নিজেকে নিয়ে অনেক খুশিও তিনি। যদিও নিজের চেহারা নিয়ে লজ্জা পাবার ‘অপরাধেথ বামনরা তার সমালোচনায় বেশ মুখর।