Tag: রাণীশংকৈল

  • রাণীশংকৈলের যুবক প্রবাসে ছুড়িকাঘাতে মৃত্যুশয্যায়- দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে পরিবার।

    রাণীশংকৈলের যুবক প্রবাসে ছুড়িকাঘাতে মৃত্যুশয্যায়- দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে পরিবার।

    সাউথ আফ্রিকায় যুবকের ছুড়িকাঘাতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল ইসলাম (৩৫) নামে এক প্রবাসী। তাঁর বাড়ী রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের কাউন্সিল বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে।
    গতকাল শনিবার স্থানীয় সাড়ে ৮টায় সাউথ আফ্রিকার পর্যটন নগরীর কেপটাউনে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৪০ মিনিট পর স্থানীয়রা রবিউলের সহকর্মীদের খবর দিলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
    এদিকে ছেলের এমন খবরে কেদে বুক ভাসাচ্ছেন মা। আর স্বামীর এমন অবস্থার কথা জানার পর মুখ থেকে কথাই বের হচ্ছে স্ত্রী রুবি আক্তারের।
       প্রবাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিউল ইসলাম
    আহত রবিউলের ভাই রমজান আলী অভিযোগ করেন, তার ভাইয়ের আশ্রয়ে থাকা সুজন (৩৮) নামে এক যুবক তাকে ছুরিকাঘাত পরে পালিয়ে গেছেন। ঘাতক সুজনের বাড়ী ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা নেকমরদ ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামে। সে ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে বলে জানান তিনি।
    রবিউলের স্ত্রী রুবি আক্তার জানান, ৪ বছর আগে জীবিকার তাগিদে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে বিদেশে যান রবিউল। শুরুতে দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করলেও এখন নিজেই গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কয়েকদিন আগে ওই দেশে গিয়ে বিপাকে পড়েন প্রতিবেশী সুজন নামে ওই যুবক। সুজনের বাবা মোবাইলে রবিউলকে অনুরোধ করলে হেলিকাপ্টার ভাড়া করে সুজনকে নিজের কাছে এনে ঠাই দেন রবিউল। স্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয় সুজনকে।
                                        ঘাতক সুজন
    তবে সুজন নিয়মিত কাজ না করে সেখানে ফাকি দিচ্ছিলেন। একই সাথে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই বিষয়ে মোবাইলে সুজনের বাবাকে অবগত করেন রবিউল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউলকে হত্যাচেষ্টা চালায় সুজন।
    রবিউলের সাথে থাকা আরেক প্রবাসী রিপন মুঠোফোনে জানান, সাউথ আফ্রিকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুজন। সেখানে গতকাল রাতে তার জটিল অপারশেন হয়েছে। চিকিৎসক বলেছে রবিউলকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এখবর লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি এবং দেশে পরিবারের সাথে কারো কথা হয়নি রবিউলের।
    এ ঘটনায় সুজনকে ধরতে প্রবাসীদের সহযোগিতা চেয়েছেন রবিউলের ভাই রমজান আলী। একই সাথে ভাইয়ের খোঁজ খবর রাখতে অনুরোধ করেছেন সাউথ আফ্রিকায় থাকা প্রবাসীদের নিকট।

     

  • বাড়ি আছে,রাস্তা নেই,চলাচলে দূর্ভোগ রাণীশংকৈলের আশ্রায়ণ বাসিন্দাদের।

    বাড়ি আছে,রাস্তা নেই,চলাচলে দূর্ভোগ রাণীশংকৈলের আশ্রায়ণ বাসিন্দাদের।

    সারিবদ্ধ গোছানো ঘরবাড়ী, বাড়ীর বাইরে বেধে রাখা আছে গরু ছাগল, বাড়ীর আশপাশে রয়েছে হাঁস মুরগী, আশ্রয়নের চারপাশে লাগানো রয়েছে বিভিন্ন সবজি ও ফলের গাছ।  সব ঠিকঠাক রয়েছে শুধু বাধা হয়ে দাড়িয়েছে বাড়ীগুলোতে চলাচলের মুল রাস্তার।

    চলাচলের রাস্তা নিয়ে বেশ সমস্যায় রয়েছে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়ানপুর গ্রামের মঙ্গল হাজেরা দীঘি এলাকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

    সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, মঙ্গল হাজেরা দীঘির পাড়ে দুই সারিতে নির্মাণ করা হয়েছে ১৯টি বাড়ী। বাড়ীগুলোতে রীতিমত বাসিন্দারা বসবাস করছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানকার বাসিন্দারা বেশিরভাগই দিনমজুর শ্রমিক ও ক্ষুঁদ্র ব্যবসায়ী। রুজি রোজগারের জন্য তাদের রিক্সা, ভ্যান নিয়ে প্রতিদিনিই বেড়িয়ে পড়তে হয়। কিন্তু আশ্রয়ণ এলাকা থেকে বের হতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়। প্রকল্পটির বাড়ীর জন্য কোন সংযোগ রাস্তা না থাকায় মানুষের জমির আইল দিয়ে চলাচল করতে হয়। ওই আইল বর্ষা বাদল হলে পানিতে মাঝে মাঝে ডুবে যায়। তখন চলাচলে খুবই সমস্যা হয় । অনেক সময় রিক্সা ভ্যান বের করা যায় না।

    আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ ঘর করে দিয়েছে প্রায় ৩ বছর হলো। কিন্তু সরকার এখানে চলাচলের রাস্তা দেয়নি। রাস্তার জন্য ইউএনও,
    এসিল্যান্ড, স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার গিয়েও তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাধে করে প্রায় ৩০০ ফিট বয়ে নিয়ে তারপর রাস্তার উপরে তুলে গাড়ীতে নিতে হয়।

    মাহাবুবা আকতার বলেন, রাস্তার অভাবে চলাচলে সমস্যা ছেলে, মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে মানুষের জমির উপর দিয়ে যায়। যখন ফসল ফলানো থাকে তখন জমির মালিকেরা চলাচলে বাধা দেয়। বর্তমানে পানির ড্রেনের আইলের উপর দিয়ে তাদের সকলকে অস্থায়ীভাবে চলাচল করতে হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ী ফিরোজ মাহমুদ বলেন, রাস্তা না থাকায় বাড়ীতে ভ্যান আনতে পারি না। ভ্যানে কাচের সব জিনিস পত্র থাকে সামান্য আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাজারেই অনিচ্ছা সত্বেও রেখে আসতে হয়।

    আরেক বাসিন্দা করিম উদ্দীন বলেন, একটি মানুষ মারা গেলে তাকে যে কবরস্থানে নিয়ে যাবো সেও রাস্তা নেই। রাস্তার জন্য এতবার উপজেলা প্রশাসনকে বললেও তারা দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

    ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা বলেন, রাস্তা না হলে বসবাস করা কষ্টকর। তাই সরকারের উচ্চ মহলের কাছে দাবী অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন তাদের রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

    জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ীগুলোর মুল রাস্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব শিশগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • রাণীশংকৈলে কোচের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত।

    রাণীশংকৈলে কোচের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কোচের ধাক্কায় আল আমিন (৩৬) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

    এসময় আরও দুইজন আহত হয়েছেন ।তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলারপাটগাঁও এলাকায় রাণীশংকৈল -পীরগঞ্জ মহাসড়কে রাজ পরিবহনের একটি কোচ তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাণীশংকৈল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী রাজ পরিবহনের একটি কোচ ধাক্কা দেয়। এসময় আল আমিন মহাসড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এতে সে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে আল আমিন  মারা যান।

    নিহত আল আমিন বাঁচোর ইউনিয়নের আমজুয়ান এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন, একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মাজেদ আলী (৪২) ও তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বেলাল (৩৯)।

    রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান, ঘাতক রাজ পরিবহনের কোচটিকে পীরগঞ্জ উপজেলায় আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্হা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হবে।

  • রাণীশংকৈল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত।

    রাণীশংকৈল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে জিন্নাত আলী (৫২) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
    আজ শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২ টার সময় রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তের ৩৭৪ নম্বার মেইন পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
    নিহত জিন্নাত আলী উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের চেকপোস্ট কলোনির মৃত মহিউদ্দীনের ছেলে।
    স্থানীয়রা জানান, জিন্নাত আলীসহ আরও কয়েকজন দুপুরে বাড়ির অদূরে ভারতের  সীমান্তে ঢুকেছিলেন ঘাস কাটার জন্য।
    পরে নাগর নদীতে ঘাস পরিস্কার করতে যান। একপর্যায়ে তারা নদী থেকে উঠে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গেলে ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কুকরাদহ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।এ সময় গুলিবিদ্ধ জিন্নাত আলীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
    রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান,পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জগদল ক্যাম্পের কমান্ডার আ: মোমিন জানান,গুলি করে বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
    বিজিবির ঠাকুরগাঁও-৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর আহমেদ  জানান, আজ দুপুরে জিন্নাত আলী নামে এক বাংলাদেশি ভারতীয় সীমান্তের শুন্যরেখা অতিক্রম করলে বিএসএফ তাকে গুলি করেন। আহত অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ সীমান্তে চলে আসেন। চিকিৎসার  জন্য ঠাকুরগাঁও নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
  • রাণীশংকৈলে যায়যায়দিন পত্রিকার ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন।

    রাণীশংকৈলে যায়যায়দিন পত্রিকার ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাঠক প্রিয় দৈনিক যায়যায় দিনের ১৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাণীশংকৈল যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি কার্যালয়ে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ সইদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন
    রাণীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমির পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম,উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লব, জাতীয় পাটির যুগ্ন সম্পাদক ঠিকাদার আবু তাহের, প্রেস ক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, সম্পাদক মোঃ বিপ্লব।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন যায়যায়দিন পত্রিকার রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাব সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক বিজয় রায়, সমাজসেবক মোকাররম হোসাইন, সহকারি শিক্ষক মনির হোসেন টিপু, তারেক রহমান প্রমুখ।

    বস্তনিষ্ঠ ও গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনের জন্য পাঠক প্রিয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক, বিজ্ঞাপণ দাতা, সংবাদ কর্মীসহ সকল শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। সেই সাথে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন বক্তারা।

  • রাণীশংকৈলে দুই পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়।

    রাণীশংকৈলে দুই পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক নেকমরদ ও কাতিহার পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে অর্থদন্ডের সাজা হলেও, মিলছে না প্রতিকার। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

    হাট দুটি প্রতি সপ্তাহের শনিবার কাতিহার ও রবিবার নেকমরদে বসে। অভিযোগ রয়েছে, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ইজারাদারদের একাধিকবার শাস্তি হিসাবে অর্থদন্ড প্রদান করলেও। অতিরিক্ত খাজনা আদায় তোলা বন্ধ হচ্ছে না।

    জানা গেছে,১৪৩০ বাংলা সনের জন্য নেকমরদ পশুর হাট প্রায় দেড়কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন নেকমরদ এলাকার ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হোসেন অপরদিকে কাতিহার পশুর হাট ১ কোটি ১৩ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন বাচোর এলাকার সানোয়ার হোসেন লিয়ন।তারা হাট দুটি পহেলা বৈশাখের ২ ও ৩ তারিখে বছরের প্রথম খাজনা আদায়ের সুচনা করেন। এ দিন থেকে তারা গরু প্রতি ৪০০ টাকা, ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা হিসাবে খাজনা আদায় করে চলেছেন।

    ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ নির্ধারিত দর অনুযায়ী গরু প্রতি ২৩০ টাকা, ছাগল প্রতি ৯০ টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে। এসব বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে চলছে। তবে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে গত ১৬ ও ২৩ এপ্রিল নেকমরদ পশুর হাট সংলগ্ন মহাসড়কে মানবন্ধন করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এসব মানববন্ধন ও প্রতিবাদের কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ইন্দ্রজিত সাহা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে পর পর তিনটি হাটে মোট ৫১ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে জরিমানা আদায় করেছেন। অপরদিকে কাতিহার হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে ১৩ মে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা। তবে খাজনা আদায়ের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থের সাজা প্রদান করলেও অতিরিক্ত খাজনা আদায় তোলা বন্ধ হচ্ছে না।

    স্থানীয় পশু ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম, আদাবর আলীসহ একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিবেদককে বলেন, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পর তারা লোক দেখানো ব্যবস্থা নেই। হাটে এসে সামান্য জরিমানা করেই চলে যান। হাটের দিন কমপক্ষে ৫শত গরু ক্রয় বিক্রয় হয়। ছাগল হয় দেড় থেকে ২শতটির মত। সে হিসাবে গরুতে অতিরিক্ত টাকা নেই প্রায় ৮৫ হাজার অপরদিকে ছাগলে অতিরিক্ত টাকা নেই ১২ হাজার টাকা। আর প্রশাসন অভিযোগ পেলে এসে জরিমানা করে সামান্য টাকা।

    ব্যবসায়ীরা বলেন, নেকমরদ পশু হাটে ইতিমধ্যে তিনবারে (১০ হাজার,১৬ হাজার,২৫ হাজার) মোট ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। কাতিহার হাটে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। তবে খাজনা বেশি নেওয়ার অপরাধে জরিমানা করলেও। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীনও অতিরিক্ত খাজনা আদায় হয়ে থাকে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে।

    ব্যবসায়ীরা বলছেন, লোক দেখানো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। কারণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যদি অপরাধটি বন্ধ না হয় তাহলে সাধারণ মানুষের তো কোন উপকারের আসছে না। বন্ধ হচ্ছে না অতিরিক্ত খাজনা তোলা।
    শনিবার কাতিহার ও গত রোববার নেকমরদ হাটে গিয়ে দেখা যায়, তারা যথারীতিতে গরু প্রতি ৪০০ টাকা ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা খাজনা আদায় করছে।

    জানতে চাইলে কাতিহার হাট ইজারাদার সানোয়ার হোসেন লিয়ন বলেন, অন্যান্য হাটে বেশি খাজনা আদায় করা হয়। তাই কাতিহার হাটেও খাজনা বেশি নেওয়া হয়। তাছাড়া খাজনা বেশি তোলার বিষয়টি প্রশাসনেও জানে। তারা তো কখনো কিছু বলে নি।

    নেকমরদ হাট ইজারাদার তোজ্জাম্মেল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনার সাথে দেখা করে কথা বলবো। তবে মুঠোফোনে কোন মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাই্ন কবির বলেন, হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেও যেহেতু অতিরিক্ত খাজনা তোলা বন্ধ হচ্ছে না। এটা নিয়ে কি করা যায়, তার সঠিক সুরাহা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বলা হয়েছে। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

  • রাণীশংকৈলে জীবিত মহিলাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধের অভিযোগ।

    রাণীশংকৈলে জীবিত মহিলাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধের অভিযোগ।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জেলেখা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বিগত ৫ মাস যাবত তিনি বয়স্ক ভাতাবঞ্চিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    অপরদিকে তার নাম পরিবর্তন করে আমিনা নামে অন্যজনকে বয়স্ক ভাতার কার্ড বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার বাদশার বিরুদ্ধে।  রানীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলেখা বেগম নন্দুয়ার ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের আ: রহিমের স্ত্রী। তিনি অত্যন্ত গরিব হওয়ায় পুর্বের চেয়ারম্যান ওই বৃদ্ধার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন।

    ভুক্তভোগী জানান, আমি ভাতার কার্ড পাওয়ার পর থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ১ হাজার ৫শ টাকা করে পেয়েছিলাম। কিন্তু গত তারিখে আমার টাকার কোনো মেসেজ না আসায় আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে আমিনা নামে ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন মেম্বার বাদশাহ ।যা তারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দেয়া প্রত্যায়ন পত্র পেয়ে নিশ্চিত করেছেন।

    ইউনিয়ন পরিষদে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৃত্যুর নিবন্ধন বইয়ের ২০২১ সালের রেজিস্ট্রারে বৃদ্ধার মৃত্যু নিবন্ধিত নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এমন একটি সনদ দেয়ায় তার ভাতাটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

    এ বিষয়ে  আরও বলেন, আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার বাদশাহ আমাকে মৃত দেখিয়ে আরেকজনের নামে কিভাবে টাকা খেয়ে ভাতার টাকা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার আমাকে মৃত দেখাল। আমি গরিব মানুষ। আমার কোন ছেলেমেয়ে নাই। এই টাকা দিয়ে ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছি। আমি এর বিচার চাই।

    এ বিষয়ে মেম্বার বাদশাহ বলেন, প্রথমবারের মতো এমন ভুল করেছি। সামনের দিকে সর্তকতার সাথে কাজ করব।

    এ বিষয়ে নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, জীবিত মানুষ মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে মেম্বার যদি করে থাকেন তাহলে খুবই খারাপ করেছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত, একটি প্রত্যয়ন পত্রের ভিত্তিতে জানতে পারি, জেলেখা বেগম ৭ ডিসেম্বর ২০২১ এ মৃত্যু বরণ করেন। তাই ভাতাটি বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মৃত্যু সনদ ছাড়া ভাতা পরিবর্তনের সুপারিশ দ্বারা কিভাবে এটি হয়, যেখানে বিধিমালায় উল্লেখ রয়েছে। (ভেরিফাই ডট ডি বি আর আই এস ডট গভ ডিবি) ওয়েবসাইটে মৃত্যু সনদ যাচাই ছাড়া সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর কাউকে মৃত্যু দেখাতে পারবেনা। সাংবাদিকের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এভাবেই হয়। আমরা এভাবেই করে থাকি, প্রত্যায়ন পত্র দেয় উনারা এটি প্রতিস্থাপন করে থাকি।

    এ ছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজসেবা অফিসে প্রেরিত প্রত্যায়নটির কোন তথ্য ইউনিয়ন পরিষদের ফাইলে সংরক্ষন করা হয়নি।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, এটি সংশোধনের কার্যক্রম চলমান। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন,এটি একটি  গুরুত্বর অভিযোগ। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

  • রাণীশংকৈলে দুই ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক।

    রাণীশংকৈলে দুই ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে  থানা পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) দুপুরে তাদের  আটক করা হয়।
    রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক দুই প্রতারক মুন্না হাসান ও ও নুর মোহাম্মদ নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দিয়ে  উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের সুন্দরপুর এলাকায় আদিবাসী আমিন মার্ডিকে মাদকবিক্রেতা বলে তাদের ভয় দেখায়। পরে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেন তারা। এই সময় তাদের আচরণে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশের পরিচয় দানকারী দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী এলাকার ইউসুফ খলিফার ছেলে মুন্না হাসান (৩৬) ও একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৭)।
    আদিবাসী আমিন মার্ডি জানান, ডিবি পরিচয়ে তারা দুজন আমার বাড়িতে তল্লাশি  চালায়। এসময়ে তারা পরিবারের লোকজনকে অবৈধ বাংলা মদের মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এবং মামলা না দিলে টাকা দিতে হবে বলে তারা ১৮ হাজার টাকা নেন ।পরে তাদের কথাবার্তা সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে অবগত করে স্থানীয়রা।
    রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
  • রাণীশংকৈলে ধানক্ষেতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার।

    রাণীশংকৈলে ধানক্ষেতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ মে) উপজেলার নেকমরদ  ইউনিয়নের ভকরগাঁও গ্রামের পশ্চিম কান্দরের বোরোক্ষেত থেকে দুপুরে তার হাত পা মাথাসহ সমস্ত শরীর এসিডে পোড়ানো অবস্থায় দুর্গন্ধযুক্ত অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।

    স্থানীয়রা জানান, নারী শ্রমিকরা ধান কাটতে গেলে বকুল, জাহিরুল ও সফিকুলের জমির কোনে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ দেখতে পাই। ধারণা করা হচ্ছে ৮-১০ দিন আগে ওই নারীটিকে হত‌্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ২২ বছর। হয়তো কয়েকদিন আগেই পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

    রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান, ভকরগাঁও গ্রামের ধানক্ষেতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ধানক্ষেত থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ওই নারীর পরনে সালোয়ার কামিজের নমুনা পাওয়া গেছে। নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ও ছবিতে দেখে মনে হয় লাশটি অনেক আগের। তাই দেহের মাংস গলে হাড়-হাড্ডি বের হয়ে গেছে।

    লাশ বিকৃত হওয়ায় স্থানীয়রা সনাক্ত করতে পারেনি। লাশের শরীরের বুক হাত পা ও মাথাসহ বিভিন্নস্থানে ক্ষত পাওয়া গেছ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আসল রহস্য জানা যাবে। এ বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।

  • রাণীশংকৈলে ভুমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন।

    রাণীশংকৈলে ভুমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন।

    ‘ভূমি সেবা ডিজিটাল বদলে যাচ্ছে দিনকাল’এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    সোমবার (২২ মে ) সকাল ১১টায়  উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা ভূমি অফিসের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

    উপজেলা ভূমি অফিসের তত্বাবধায়নে ২২ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত এই সেবা সপ্তাহ পালিত হবে।

    এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সইদুল হক, পৌরমেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি বেগম, কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ, উপজেলা আ.লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ হোসেন বিপ্লব, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, শরৎ চন্দ্র প্রমুখ।

    স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা অনলাইনে জমির খাজনা প্রদান, ই নামজারি, অনলাইনে বাড়িতে বসেই খাজনা প্রদান করাসহ ভূমি অফিসের সকল সেবা প্রদানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

    পরে উপজেলার আট ইউনিয়নের পাঁচ ভূমি অফিসের  আওতায় ৫ জনকে সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

    অনুষ্ঠান সমুহে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পদস্থ কর্মকর্তা সকল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/শিক্ষিকা, ছাত্র/ছাত্রী, ও গণমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।