Tag: রাণীশংকৈল
-
রাণীশংকৈলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উদযাপন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস -২০২৩ উপলক্ষে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে।বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন পালিত হচ্ছে।দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের কর্মকর্তারা।এরপর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত ও সম্প্রচারিত উদ্বোধনী এবং শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ শেষে সকাল ১১টায় “শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়” প্রতিপাদ্যের উপর ভিত্তি করে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ, পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তা নেজামুল হক, পৌর আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার,সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সংবাদকর্মী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর আগে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। -
রাণীশংকৈলে রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন একটি নতুন সড়ক নির্মাণে অনিয়ম করার অভিযোগে সেই সড়কের নির্মাণ কাজ আটকে দিয়েছেন ওই এলাকার বাসীন্দারা।
উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধারই খুটিয়াটলি খেড়বাড়ী হতে বনগাঁও স্কুল পপর্যন্ত কাঁচা সড়কে এ নির্মাণ কাজ চলছে। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ৫৭০ মিটার নতন সড়ক নির্মাণের কাজটি ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯১ টাকায় চুক্তি বদ্ধ হয়েছে ঠাকুরগাঁও ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাস্তায় বালু’র বদলে রাবিশ মাটি বালু, নিন্ম মানের ইটের খোয়া দিয়ে সাব-ব্যাচের কাজ সম্পূর্ণ করা । বালু ফিলিং এ রাবিশ বালু ব্যবহার করা ও সর্বশেষ বর্তমানে সড়কের দুই ধারের এজিং এ নিন্মমানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগে বার বার উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারকে কাজের অনিয়মের কথা বলেও কোন লাভ না হওয়ায় স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ আটকে দিয়ে।সড়ক নির্মাণ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ কবির জানান, দীর্ঘদিন পর নতুন সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। তবে কাজটি ভালো হচ্ছে না। রাবিশ বালু দিয়ে খোয়া বিছিয়েছে। এখন আবার তিন নাম্বার ইট দিয়ে এজিং দিচ্ছে। আরেক বাসিন্দা বাহাদুর রহমান বলেন, রাস্তার সাইডে এমন ইটের এজিং দিচ্ছে যা একটি মোটরসাইকেলের চাকা দিয়ে বেশি আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যাবে। ইটে ইটে আঘাত দিলে ইট ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যাচ্ছে। সবুর নামে একজন বলেন, বালু’র বদলে রাবিশ বালু মাটি সাব ব্যাচে ব্যবহার,ঠিক মত রোলার না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ায় কাজ আটকে দিয়েছে এলাকাবাসী।
সেখানেই কথা হয় সড়ক নির্মাণ শ্রমিক সাইদের সাথে তিনি বলেন, এলাকার লোকজন রাস্তার কাজ খারাপ হওয়ার কারণে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই কাজ বাদ দিয়ে মাহাজনের অপেক্ষায় বসে রয়েছি। আরেক নির্মাণ মিস্ত্রি রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু ইট খারাপ আছে। তবে এলাকার লোকজন কাজ না করতে দিলে আমরা কাজ করবো না।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তদারককারী সাজু ইসলাম বলেন, ইট তো খারাপ হওয়ার কথা না। যদি খারাপ হয় তাহলে ইট পরির্বতন করা হবে।
ওই সড়কের কাজ তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা এলজিইডির সার্ভেয়ার আলী হোসেন বলেন, ইট খারাপ হলে ঠিকাদারকে পরির্বতন করতে বলা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মাঈনুল ইসলাম বলেন, ওই ঠিকাদারের কাজটি নিয়ে খুব বিপদে আছি, ওই এলাকা(বনগাঁও) থেকে প্রায় দশজন মানুষ কাজের অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) ফোন দিয়েছে। কাজের বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখা হবে।
-
রাণীশংকৈলে ফিল্মি স্টাইলে চোর ধরলেন পুলিশ।
প্রাণপনে দৌড়াচ্ছিলেন দুই যুবক। দেখে মনে হচ্ছিল প্রথম ব্যক্তিকে ধাওয়া করছে দ্বিতীয়জন। বিষয়টি চোখে পড়ায় ব্যস্ত রাস্তায়, অলিগলির মধ্যে একদম ফিল্মি স্টাইলে ওই দুই ব্যক্তির পিছু নেয় রাণীশংকৈল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক। ধরে ফেলে তাদের। এরপর জানা যায় আসল ঘটনা।
গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে তিন টায় পৌরশহরের শান্তিপুর এলাকায় একটি দোকানের টিন কেটে চুরি করার সময় পাশের দোকানের মালিক টের পায়।
হঠাৎ সেসময় রাণীশংকৈল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হকের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চোরেরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে।
সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল ইসলাম তাদের প্রায় দুই কিলোমিটার ধাওয়া করে ঘুঘুডারা নামক স্থান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃত চোরেরা হলেন উপজেলার বাঁশনাহার গ্রামের শাহ আলমের ছেলে এবং সাইরুল নেকমরদ ভকরগাঁও গ্রামের সাহাজাতের ছেলে।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামিদের থানাহাজতে রেখে একদিন জিজ্ঞাবাদের পর সোমবার ঠাকুরগাঁও আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পৌর শহরের আবাদ তাকিয়া মাদ্রাসা মৌড়ে দুটি দোকানে চুরিসহ ঘটনার দিন রাতে হরিপুর উপজেলার ঠাকিঠুকি মৌড় এলাকায় একটি স্বর্ণের দোকানে থেকে কিছু রুপা, টাকা ও সোনা ভেবে এমিটেসনের অলংকার চুরি ও আগের কয়েকটি চুরি বিষয়ে স্বীকার করেন তারা।
রাণীশংকৈল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক বলেন , শনিবার রাতে আটক দুজনেই সক্রিয় চোর। চুরির ঘটনায় দুই চোরের বিরুদ্ধে প্যানেল কোর্টের ৪১১ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
-
রাণীশংকৈলে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৩।দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় র্যালি, আলোচনা সভা এবং ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক মহড়ার অনুষ্ঠিত হয়।রাণীশংকৈল কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক হাইস্কুল মাঠচত্বরে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ এর ওপর ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাণীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সামিয়েল মার্ডি, জেলা স্কাউটস যুগ্ম সম্পাদক ফইজুল ইসলাম, ইএসডিওর ঠাকুরগাঁও মনিটরিং অফিসার মোস্তাকুর রহমান।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাণীশংকৈল ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ নাছিম ইকবাল ইএসডিও ম্যানেজার খায়রুল আলম, উপজেলা স্কাউটস যুগ্ম সম্পাদক দিলারা বেগম ও মনতাজ আলী,উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম প্রমুখ।এর আগে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক এক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের রাণীশংকৈল স্টেশন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ওই মহড়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকরা অংশ নেন। -
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা সোমবার সকালে উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাদকদ্রব্য বিক্রয় ও সেবন, মিষ্টির দোকানে ওজনে কম দেয়া, ফলমূলে ফরমালিন ব্যবহার, মোবাইলে জুয়া খেলা, নেকমরদ বাজারের হাইওয়ে রাস্তা দখল করে অবৈধ গাড়ি পার্কিং, পৌরসভার ফুটপাত দখল, নোটিশ বিহীন গাড়ীর কাগজপত্র চেকিং ও জরিমানা, প্রেট্রোল পাম্পে তৈল ওজনে কম দেয়া এবং যততত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা, সন্ত্রাস,বাল্য বিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ইউএনও শাহরিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না।এসময় উপস্থিত থেকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ চৌধুরী, ওসি গুলফামুল ইসলাম মন্ডল, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ধর্মগড় বিওপি কমান্ডার জহিরুল ইসলাম, কোচল বিওপি কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ, আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা আবুল কাশেম, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার নাসিম ইকবাল প্রমুখ।সভার শুরুতে বক্তারা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ আসন্ন দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও মাদক প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।এসময় সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী,প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। -
রাণীশংকৈলে মাল্টা ও কমলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।।
প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় দুলছে মালটা, কমলা, বাদামি লেবু এ যেন এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ মাল্টা বাগান দেখতে আসছেন। এমনই দৃশ্য দেখা গেছে উত্তরের জনপদ ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার।কৃষক আমিরুল ইসলাম এক একর জমিতে ধানসহ বিভিন্ন ফসলাদি চাষাবাদ করতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে মাল্টা বাগানের জন্য গাছ রোপন করেন। হঠাৎ মাল্টা গাছ রোপনের কারণে গ্রামের লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে কুটুক্তি করেন। বিভিন্ন ব্যাঁঙ্গ করে কথাবার্তাও বলেছেন।কৃষক আমিরুল ইসলামের বাড়ী উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বাশঁবাড়ী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামেই তার নিজস্ব জমিতে প্রায় ২৭০টি মাল্টা গাছ রোপন করেছেন। আমিরুল ইসলাম জানান, গেল বছর থেকে ফলন আসা শুরু করেছে সে বছর লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। এবারে ফলন প্রায় ১শ ৫০ মণ হতে পারে যা বাজারে প্রায় তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন।তিনি এ প্রতিবেদককে তার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, মাল্টা চাষবাদের শুরুটা বেশ কষ্টের ছিল। গাছ হবে মাল্টা হবে না,পরিশ্রম হবে, সফলতা পাবে না। আমিরুল পাগল হয়ে গেছে, এই মাটিতে মাল্টা হয় নাকি,সে এক সময় পোস্তাবে ইত্যাদি কথা শুনতে হয়েছে তাকে।আমিরুল ইসলাম বলেন, যখন মাল্টা ফলন দেওয়া শুরু হলো তখন লোকে বলে মাল্টা মিষ্টি হবে না। এমন অনেক কুটু কথা উপেক্ষা করে তিনি এখন গ্রামে সফল মাল্টা চাষী হিসাবে পরিচিত লাভ করেছেন। সবাই তাকে মাল্টা আমিরুল বলে সম্বোধন করছেন।আমিরুল ইসলাম জানান, রাণীশংকৈল উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ ও তার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের উৎসাহ উদ্দীপনায় তিনি এ বাগান শুরু করেছিলেন। মাল্টার সব গাছ কৃষি অফিস থেকেই তাকে দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।আরেক কৃষক রাণীশংকৈল পৌর শহরের ভান্ডারা এলাকার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, মাল্টা চাষের শুরুটা অনেক কুটুক্তি আর অসহ্যের ছিল। শুধু কুটুক্তির শিকার তিনি হননি। তার পরিবাররের লোকজনকেও স্থানীয়রা বিভিন্নভাবে ব্যাঙ্গঁ ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করে কথা বলেছেন। বর্তমানে তাদের মাল্টা বাগান ঘিরে স্থানীয়রা বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরাও মাল্টা বাগান পরির্দশন করছেন।মাল্টা চাষী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা (পদোন্নতি জনিত বদলি) সঞ্জয় দেবনাথের ব্যাপক উৎসাহ আর সহযোগিতায় তিনি এক একর জমিতে ৩৭০টি মাল্টা গাছ ৫ বছর আগে রোপন করেছেন। বর্তমানে ব্যাপক মাল্টা ফলন ধরেছে ২৬০০ টাকা মণে এ যাবত ১০০ মণ মাল্টা বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করছেন এবারে প্রায় ৭ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করবেন।কৃষক আমিরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাল্টা চাষে তেমন ব্যায় নেই। নিয়মিত পরিচর্য্যা ও সময় মত বিভিন্ন রোগ দমনে কীটনাশক স্প্রে করলেই মাল্টা আবাদ করা যায়। রাণীশংকৈল উপজেলায় আমিরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমের মত অনেক কৃষক এখন মাল্টা চাষী হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে।এদিকে রাণীশংকৈলের উৎপাদিত মাল্টা রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চলেও যাচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা। খোলা বাজারের নিত্য পণ্যের মতই চটি বিছিয়ে মাল্টা বিক্রি হচ্ছে রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন বাজারের অলিগলিতে।রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় মোট ২৮ হেক্টর ৬ একর জমিতে ৪২০জন কৃষক মাল্টা চাষাবাদ করছেন। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবারে রাণীশংকৈল উপজেলায় মোট ৫শ১৩ মেট্রিক টন মাল্টা উৎপাদন হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় দেড় কোটি টাকার মত।মাল্টা চাষে উৎসাহ প্রদানকারী তৎকালীন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশীপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ(পার্টনার) শীর্ষক প্রকল্পের দিনাজপুর অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে কৃষকদের মাল্টা চাষে উদ্ভুদ্ধ করেছিলাম। মাল্টা চাষাবাদের জন্য কৃষকদের অনেক বুঝাতে হয়েছে। অনেকে একান্তই আমার উপর বিশ্বাস করে মাল্টা চাষাবাদ শুরু করে, যখন সফল হয়েছে। তখন অনেকেই মাল্টা চাষের আগ্রহ প্রকাশ করে।ঠিক এভাবেই রাণীশংকৈল উপজেলায় বর্তমানে ৪২০ জন মাল্টা চাষী রয়েছেন। তিনি বলেন, চাকরী জীবনের বড় প্রাপ্তি রাণীশংকৈল উপজেলায় মাল্টা চাষাবাদ করাতে পেরেছি। এখন রাণীশংকৈল মাল্টা চাষে সম্ভবনা দুয়ার উন্মোচন করেছে।রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এবারে ব্যাপক মাল্টার ফলন হয়েছে। আগামীতে এর থেকে আরো বেশি মাল্টা উৎপাদন হবে বলে প্রত্যাশা করছি। তিনি আরো বলেন, মাল্টা চাষীদের সার্বক্ষনিক উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরার্মশ অব্যহত রয়েছে। -
রানীশংকৈলে আ.লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু।
ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈলে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয় উপজেলা আ.লীগ দলীয় কার্যালয়ে।এসময় রাণীশংকৈল আ.লীগ নেতাকর্মীদের সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রম বিষয়ক দিকনির্দেশনাসহ আসন্ন দুর্গাপূজায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মতবিনিময় করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক দীপক কুমার রায় ও জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।রাণীশংকৈল উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সইদুল হকের সভাপতিত্বে ছাত্রলীগসহ আ.লীগের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দও বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য নেতাকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাণীশংকৈল উপজেলা আ.লীগের সহ- সভাপতি মুক্তার আলম ও এমএ মমিন, সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হোসেন বিপ্লব, মামুনুর রশিদ এলবার্ট ও গোলাম সারোয়ার বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, পৌর আ.লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মহাদেব বসাক, সাবেক যুবলীগ সভাপতি আলমগীর সরকার, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কৃষক লীগ সভাপতি বাবর আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সোহেল রানা সম্পাদক আরথান আলী প্রমূখ। -
রানীশংকৈল কেন্দ্রীয় টাউন ক্লাবের সভাপতি মোস্তা- সম্পাদক তারেক আজিজ।
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল দ্বি-বার্ষিক কেন্দ্রীয় টাউন ক্লাবে উৎসবমুখর ভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলে।এতে ৪৬০ জন ভোটারের মধ্যে ৪৪৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি পদের জন্য ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।সভাপতি পদে প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা ও সাধারণ সম্পাদক পদে তারেক আজিজ নির্বাচিত হয়।সভাপতি পদে প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা রিক্সা প্রতিকে ২৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মো: শরিফুল ইসলাম ছাতা প্রতিকে তিনি পেয়েছেন ১৮৯ ভোট। তবে আরেক প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি আগেই ভোট থেকে সরে দাড়ান।সাধারণ সম্পাদক পদে দুই জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফুটবল প্রতিকে ৩৫৩ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন তারেক আজিজ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম দেওয়াল ঘড়ি প্রতিকে তিনি পেয়েছেন ৯৩ ভোট।নির্বাচনে রানীশংকৈল যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন প্রধান প্রিজাইডিং এর দায়িত্ব পালন করুন।টাউন ক্লাবের আহব্বায়ক আনিসুর রহমান বাকী বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন দিয়েছি। এবং ভোটাররা সুন্দর ভাবে ভোট দিয়েছেন। এই নির্বাচনে ৯৭% মানুষ ভোট দিয়েছে।নির্বাচনে কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি এইজন্য আমি ভোটার সহ সকল কেই ধন্যবাদ জানাই। -
রাণীশংকৈলে পুকুরে ডুবে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু।
বাড়ির পাশে খেলা করার সময় পুকুরের পানিতে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরবেলা।নিহত শিশু স্কুলছাত্র আল আমিন রাণীশংকৈল পৌর এলাকার মহলবাড়ী গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যান। সে ওই গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ও কেন্দ্র মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আল—আমিন (১২)জানা যায়,বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে গভীর পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান, নিহতের ব্যাপারে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফন করার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।