Tag: রাণীশংকৈল

  • সাংবাদিকের উপর হামলার নিন্দা রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব পরিবারের।

    সাংবাদিকের উপর হামলার নিন্দা রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব পরিবারের।

    পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনকালে নিউজবাংলার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতি‌নি‌ধি সো‌হেল রানা, রাই‌জিং‌ বি‌ডির জেলা প্রতি‌নি‌ধি হি‌মেল তালুকদার ,ঢাকা মেইলের জেলা প্রতি‌নি‌ধি মিলু এবং ই‌নডি‌পে‌ন্ডেন্ট টি‌ভির জেলা প্রতি‌নি‌ধি তানভীর হাসান তানুর উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব পরিবার।

    শনিবার দুপুরে (২৯ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও‌ সদর উপ‌জেলার সেনুয়া ইউ‌নিয়‌নের মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ সংগ্রহ কর‌তে গি‌য়ে তিন অনলাইন ও এক টেলিভিশন সাংবাদিকের উপর হামলা হয়।
    পরে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    শনিবার সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, হামলায় সেনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজ‌ন অংশ নেয়। এতে  গুরুতর আহত হ‌য়ে‌ছেন ৪ সংবাদকর্মী.

    হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়,
    এই ধরনের হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতায় চরম কুঠারাঘাতের সামিল। অবিলম্বে এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছে রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব এর পরিবারের সকল সদস্য ।

    এবিষয়ে রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ  বলেন, সেনুয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক তানভির হাসান তানুসহ তিন সাংবাদিককে মারপিট করে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    আজ গণমাধ্যমকর্মীদের কোন নিরাপত্তা নেই। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে অন্যথায় রাজপথে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে জানান তিনি।

  • ​​​​​​​রাণীশংকৈলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা।

    ​​​​​​​রাণীশংকৈলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় প্রশাসন বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারী) দিনভর মাস্ক বিতরণ  সেই সাথে ভ্রাম্যমান আদালত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয় ।

    উপজেলার বেশিভাগ মানুষ বিধিনিষেধ মানছেন না। করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। কিন্তু এরপরও রাণীশংকৈলে মানুষের মধ্যে মাস্ক পড়তে উদাসীনতা দেখা গেছে।

    হাটবাজারগুলোতে মানুষকে সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। আবার যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই নিয়ম মেনে ব্যবহার করছেন না।

    ঠাকুরগাঁও জেলা দিনদিন সংক্রমণ বেড়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

    এমন পরিস্থিতিতে রাণীশংকৈল উপজেলার অধিকাংশ মানুষের মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। প্রশাসনের লোকজন দেখলে কেউ কেউ আড়ালে যাচ্ছেন আবার কেউ পকেটে থাকা মাস্ক পড়তে দেখা যায়।

    বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা, থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল, আব্দুল লতিফ সেখ (তদন্ত) সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে মাস্ক বিতরণ করেন ও যারা মাস্ক ব্যবহার একেবারে অনীহা প্রকাশ করেন তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ২টি মামলায়  ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

    স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র মতে, ২০২০সালের ১১ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওই বছর জেলায় ৮হাজার ১৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১হাজার ৪৮১জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ১৫ , করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৯ জন।

    রাণীশংকৈল  উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। তাৎক্ষণিক করোনার ফলাফল জানতে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। এত সুবিধা থাকার পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারি কমিশনার ভূমি ইন্দ্রজিৎ সাহা জানান ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের গণসচেতনতা মূলক প্রচারনা চলমান রয়েছে। যারা একেবারেই মানছেন না তাদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। এ অভিযান অভ্যাহত থাকবে।

  • রাণীশংকৈলে ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

    রাণীশংকৈলে ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে গত ২৫ জানুয়ারি রাতে ৭৬টি ইয়াবাসহ দুজন আটকের একদিন পর ফের ৪৭টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হাফিজদ্দীন ও পলাশ মিয়া নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টার সময়  অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন রানীশংকৈল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড মুক্তাপাড়ার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে হাফিজদ্দীন (৪২) ও
    ৯নং ওয়ার্ড কুলিকপাড়ার বাচ্চু মিয়ার ছেলে পলাশ মিয়া।

    এব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে রাণীশংকৈল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

    পৌরসভার মুক্তাপড়া গ্রামে হাফিজউদ্দিন এর বসতবাড়ীর ভিতর আঙ্গিনা হতে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের শরীর তল্লাশি করে ৪৭টি ইয়াবা ট্যবালেট ও মাদক বিক্রির ১৯০০ টাকা জব্দ করা হয়।

    থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল জানান ৪৭ টি ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২জনকে হাতে নাতে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাণীশংকৈল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ২০১৮ আইনে মামলা হয়েছে।
    গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ঠাকুরগাঁও আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
    ‘উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সজাগ রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

    গত সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে ৭৬টি ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    গ্রেপ্তার দুজন হলেন পৌর শহরের রাজবাড়ী দোশিয়া এলাকার মিঠুন ও পশ্চিম ভান্ডারার শাহ জামাল। ‘মিঠুন ও শাহ জামালকে পৌরশহরের রাজবাড়ী ফিরোজা মার্কেটের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

    এ সময় শরীর তল্লাশি করে মিঠুনের কাছে ২২টি ও শাহ জামালের কাছ থেকে ৫৪টি ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়

  • রাণীশংকৈলে ইয়াবাসহ  দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    রাণীশংকৈলে ইয়াবাসহ  দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ৭৬ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মিঠুন আলী ও  শাহজামাল নামে দুই যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি ) দিবাগত রাত দেড়টার সময় উপজেলার দোশিয়া (রাজরাড়ী) গ্রামে ও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের রাজবাড়ী ফিরোজ মার্কেট সংলগ্ন  পাঁকা রাস্তার উপর হইতে তাদের আটক করা হয়।

    এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে রাণীশংকৈল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

    ইয়াবা সহ আটককৃতরা হলেন রাণীশংকৈল উপজেলার দোশিয়া (রাজবাড়ী) গ্রামের এনতাজ আলীর ছেলে মিঠুন আলী (২৮), ও পশ্চিম ভান্ডারা গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে  শাহ জামাল (৩০)।

    আটক মিঠুনের কাছ থেকে ২২ পিছ ও শাহজামালের নিকট ৫৪ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

    থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল জানান ৭৬ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২জনকে হাতে নাতে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাণীশংকৈল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ২০১৮ আইনে মামলা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে তাদের ঠাকুরগাঁও জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • রাণীশংকৈল রামরাই দিঘিতে পাখিপ্রেমী পর্যটকদের ভীড়, ঝুঁকিতে অতিথি পাখিরা।

    রাণীশংকৈল রামরাই দিঘিতে পাখিপ্রেমী পর্যটকদের ভীড়, ঝুঁকিতে অতিথি পাখিরা।

    অন্যতম প্রাচীন ও সর্ব বৃহৎ রামরাই রাণীসাগর দিঘিতে অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত এখন পুকুর প্রাঙ্গন।

    পাখি দেখতে দর্শনার্থীদের ভীড়। পুরো দিঘির জলাশয় সেজেছে নতুন সাজে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখি ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্যে সত্যিই মনোমুগ্ধকর । প্রতিবছর শীত এলেই এসব পাখি এখানে এসে প্রকৃতিতে সাজাই নতুন সাজে।

    এটি হল অতিথি পাখিদের অভয়ারণ্য
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার একমাত্র সরকারি পর্যটন কেন্দ্র রামরাই দীঘি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে এখানে। পাখিদের কলকাকলিতে পুরো এলাকা মুখরিত। পাখি প্রেমি ও সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পর্যটন কেন্দ্র’র পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসেন। পাখি দেখতে পাওয়া যায়, শুনা যায় তাদের মুখের ডাক। কিন্তু পুকুরে মুরগীর লিটারের দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠে এখানে ঘুরতে আসা মানুষগুলো।

    রামরাই রাণীসাগর দিঘিতে এখনোও প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখির দল। পাখিদের মুহুর্মুহু কলতানে পুরো দিঘি এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে। সন্ধ্যা নামলেই দিঘিপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় খাবারের সন্ধানে রামরাই দিঘিতে ভিড় জমায় তারা। পাখিদের এই মুহুর্মুহু কলতানের টানে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে রামরাই দিঘিতে ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমী পর্যটকরা ।

    এ দেশের নদ-নদী, হাওর-বাওড়ের ভালোবাসার টানে লক্ষ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রামরায় দিঘিতে আসে তারা। আত্মীয়দের সঙ্গে যেমন আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এখানকার ভূপ্রকৃতির সঙ্গেও তেমনি আত্মীয়তার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এসব অতিথি পাখি।

    প্রচন্ড শীতের কারণে সাইবার অঞ্চল থেকে আসা পাখিগুলো নোংরা ময়লা আবর্জনা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে থেকে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। পাখিগুলো সারাদিন রামরাই দীঘি বা রাণীসাগরে আহার করে সন্ধ্যা হলে আসে পাশের জলাশয়গুলোতে আশ্রয় নেয়। সকাল হলেই আবার রাণীসাগরে ফিরে এসে খাবার সংগ্রহ করে।

    উপজেলা শহর থেকে ৪ কিমি দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘীর অবস্থান। শহর থেকে যে কোন যানবাহনে ১০ থেকে ১৫ টাকা ভাড়া নেয়। যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা।

    সরেজমিনে কথা হয় সৈয়দপুরের সেলিনা বেগমের সাথে। তিনি প্রতিবেদককে জানান, শুনেছিলাম রাণীসাগরে অনেক পাখি আসে। তাই দেখতে এসেছিলাম। এখানে এসে মনটা ভরে গেল। পুকুরের চারিদিকের শত শত লিচু গাছ দেখতে বেশ মনোরম। পুকুরের নীচ থেকে পাড়ের দিকে তাকালে মনে হয় আকাশের সাথে মিশে আছে।

    কথা হয় ৬৫ বছরের  সোলেমান আলীর সাথে তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, শত শত বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য রামরাই দিঘীতে মুরগীর লিটার দিয়ে এখানকার পানি ময়লা করা হচ্ছে। পুকুরের পানিতে মানুষ গোসল করতে পারে না। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

    দিঘি পাশের স্থানীয়রা জানান, আমাদের এখানে যে অতিথি পাখি আসছে তার নাম ছোট সরালি। শীতের শুরু থেকে বহু মানুষ আসছেন এসব অতিথি পাখি দেখার জন্য। অনেক সময় অনেক পাখি শিকারিরাও আসেন পাখি শিকারের উদ্দেশ্যে আমরা সবসময় তাদের নিরুৎসাহিত করি কারণ অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে আসে অতিথি হয়ে।

    পুকুরের পশ্চিম পাড়ে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। কথা হয় চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের সাথে। তিনি বলেন, অতিথি পাখিরা প্রতি বছর দুর দুরান্তের লোকজন এখানে পাখিগুলো দেখতে আসে। কাউকে পাখি শিকার করতে দেওয়া হয়না। রামরাই দিঘীকে পুরোপুরিভাবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

    রাণীশংকৈল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা জানান, রামরাই দিঘি রাণীশংকৈলের জন্য একটি অহংকার। এটি রাণীশংকৈলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে রাখছে।

    এই ছোট সরালি জাতের অতিথি পাখি আমাদের এই রামরাই দীঘিতে প্রতি শীতকালেই আসে। এটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে এটি রক্ষণাবেক্ষনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে

  • রাণীশংকৈলে আলু তুলে নারীদের বাড়তি উপার্জন।

    রাণীশংকৈলে আলু তুলে নারীদের বাড়তি উপার্জন।

    গৃহবধূ রিমা আক্তার সংসারের কাজ করার পাশাপাশি অন্যের জমিতে আলু তোলার কাজ করছেন। গত ২৫ দিনে ৩ ঘণ্টা করে আলু তোলার কাজ করে ৬ হাজার মত টাকা উপার্জন করেছেন তিনি।

    রিমা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়  ইউনিয়নের ভরনিয়া গ্রামের আতিক রহমানের স্ত্রী। তাঁর মতো ওই গ্রামের সোনিয়া আক্তার, মনোয়ারা বেগম, রানী আক্তারসহ শতাধিক নারী দল বেঁধে চলতি আলু মৌসুমে বাড়ির কাজ করার পাশাপাশি বাড়তি আয় করছেন আলু তোলার কাজ করে।

    রবিবার কাশিপুর  ইউনিয়নের জগদল গ্রামের আলু চাষি আব্দুল লতিফের আলু তোলার সময় কয়েকজন নারী জানান, তারা ১০ জন নারী দুজন করে শেয়ারে আলু তোলার কাজ করছেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতিজন ১০ বস্তা করে আলু তুলেছেন। যার পারিশ্রমিক ২০০ টাকা। কেউ কেউ আরো বেশি আলু তুলছেন।

    রিমার আলু তোলার সঙ্গী সোনিয়া আক্তার জানান, তিনি গতকাল শনিবার ১৮ বস্তা আলু তুলেছেন আর চলতি মৌসুমে প্রায় দুই শ’ বস্তা আলু তোলার কাজ করে চার হাজার টাকা উপার্জন  করেছেন।

    আলু চাষি আব্দুল লতিফ জানান, আলু তোলার জন্য ৬০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তায় ২০ টাকা মজুরি দিতে হয়, দাম বেশি হলে ৩০ টাকা দেওয়া লাগে।

  • রাণীশংকৈলে টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়, মানছে না কেউ স্বাস্থ্যবিধি।

    রাণীশংকৈলে টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড়, মানছে না কেউ স্বাস্থ্যবিধি।

    করোনার টিকা নিতে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে । রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যালয়ের অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

    গত বৃহস্পতিবার থেকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হয়। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এক সঙ্গে অধিক শিক্ষার্থী টিকা নিতে আসায় এতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয় ।

    একই অবস্থা অভিভাবকদের মধ্যেও, স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই, যে যাঁর মতো করে চলছেন। হাসপাতালের সামনেই অভিভাবকদের ভিড়। সেখানে গাদাগাদি করে একে অপরের সঙ্গে গল্প করছেন তাঁরা।

    শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের বালাই নেই। কেউ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত ছিল।

    জানা যায়, সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে কেন্দ্রে আসে। কিন্তু সেখানে কোনো সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকে। দীর্ঘ অপেক্ষায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারও মুখে মাস্ক নেই। ফলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া টিকাকেন্দ্রটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের প্রধান ফটকের পাশে হওয়ায় সড়কে দেখা দেয় যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী।

    অভিভাবকেরা জানান, একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মাত্র একটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এ অব্যবস্থাপনার কারণে করোনামুক্ত হওয়ার বদলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও আগে থেকেই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরিসর বাড়ানো যেত।

    এবিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের মাস্ক ব্যবহারে সতর্ক করতে। তবে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরতে অনীহা প্রকাশ করে।

  • রাণীশংকৈলের বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন ভক্তের পরলোক গমন।

    রাণীশংকৈলের বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন ভক্তের পরলোক গমন।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ টাওয়ারপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমার ভক্ত (৭৭) শনিবার সকালে ঢাকায় অবস্থানকালে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

    জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমার ভক্তকে তাৎক্ষণিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টায় তিনি পরলোক গমন করেন। তিনি বাংলাদেশ চলচিত্রের বেশ কয়েকটি সিনেমাতে অভিনয় করেন। তিনি শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না তিনি ছিলেন সু-কণ্ঠের অধিকারীও বটে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অনেক আত্মীয়-শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমার ভক্ত’র মৃত্যুর বিষয়টি রাণীশংকৈলের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

    পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা রতন কুমারের মরদেহ ঢাকা থেকে তার নিজ বাড়িতে পৌঁছাবার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। তার মৃত্যুতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

  • রাণীশংকৈলে মাল্টাবাগানে ১১ মিশ্র ফসল করে চমক লাগালেন কৃষক আমিরুল।

    রাণীশংকৈলে মাল্টাবাগানে ১১ মিশ্র ফসল করে চমক লাগালেন কৃষক আমিরুল।

    তিন বছর আগের কথা। হঠাৎ করেই নিজের এক একর জমিতে ২৮৪ টি মাল্টার চারা রোপণ করেন কৃষক আমিরুল ইসলাম। তাঁর এ কাণ্ড দেখে ফিসফাস শুরু হয়ে যায় গ্রামজুড়ে। প্রতিবেশীরা বলতে থাকেন, ‘ও পাগল হয়ে গেছে। ধরা খাবে, লোকসানে পড়বে, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই জমিতে আর কিছুই হবে না।’
    কিন্তু গ্রামবাসীর এসব কথা গায়ে মাখেননি আমিরুল। তিনি কাজ করতে থাকেন আপনমনে। প্রথমে মাল্টার গাছ রোপন করেছিলেন। এরপরে মাল্টাবাগানে ১১ মিশ্রফসল ফলিয়ে বাজারজাত করে ভাল আয় করেন এবং মাল্টা গাছ থেকেও ভাল আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন। এই মিশ্র বাগানে ১১ সাথি ফসল করে ইতোমধ্যেই এলাকায় চমক লাগিয়ে দিয়েছেন আমিরুল ইসলাম।
    এখন তাঁর বাগানে মাল্টার ফলন আসতে শুরু করেছে। শুধু কি মাল্টা ? একই মিশ্র বাগানে ১১ ধরনের সাথি ফসল ফলিয়ে উপজেলা জুড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই মাল্টাচাষি।
    আমিরুল ইসলামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামে। তাঁর মাল্টাবাগানটাও সেখানে। সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, ওই গ্রামের প্রবেশপথেই স্থানীয় পাকা সড়কঘেঁষা মাল্টাবাগানে গমের চাষাবাদও হচ্ছে।
    সড়ক থেকে নেমেই এরপর খেতের ভেতরে যেতেই চোখে পড়ে গমের পাশাপাশি আলাদা করে আলুর চাষ। আর একটু এগোতেই দেখা যায়, লাউয়ের মাচা। তার পাশেই পটোল ও শিমের চাষাবাদ। আরও একটু সামনে এগোতেই মসলাজাতীয় ফসল পেঁয়াজ, রসুন ও হলুদের আবাদ। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ, পুঁইশাক, লাপাশাক ও লেবুর আবাদও করা হচ্ছে ওই বাগানে।
    মাল্টা বাগানেই কথা হয় বাগানমালিক আমিরুলের সঙ্গে। প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘শুরুটা ছিল তিন বছর আগে। রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথের আগ্রহে এবং তাঁর সার্বিক সহযোগিতায় এক একর আবাদি জমিজুড়ে ২৮৪টি মাল্টার গাছ রোপণ করি। এরপর শুরু হয় পরিচর্যা। গাছের বয়স এক বছর হলে দেখি প্রতিটি মাল্টা গাছ থেকে আরেক গাছের মাঝখানে প্রায় ১০ বর্গফুট জায়গা ফাঁকা থাকছে। পরে চিন্তা করি, ছোট হাল দিয়ে চাষ দিলে এখানে আবাদ করা যাবে। প্রথমে আবাদ করলাম বোরো ও আমন ধান, পরের বছর আলু।
    এবছরে বোরো-আমনের পর জমিটাকে বিভিন্নভাবে ভাগ করলাম। প্রথম ভাগে রোপণ করলাম গম, দ্বিতীয় ভাগে আলু এবং তৃতীয় ভাগে লাউ, শিম, হলুদসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও মসলাজাতীয় ফসল। মাল্টা চাষ করলেই যে অন্য ফসল অচাষযোগ্য, তা কিন্তু নয়। আপনি চেষ্টা করলেই পারবেন। এতে আপনার মাল্টাগাছেরই উপকার বেশি হবে। অন্যান্য ফসলে দেওয়া সারগুলো মাল্টাগাছও পাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মাল্টাগাছের শিকড় যেন কাটা না যায়।’
    আমিরুল ইসলামের এমন ব্যতিক্রমী আবাদ দেখে অবাক এলাকার সাধারণ মানুষসহ অন্য কৃষকেরা। গ্রামের দোকানগুলোয়ও আলোচনা হচ্ছে তাঁর এই ব্যতিক্রমী আবাদ নিয়ে।
    কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামে কৃষক আমিরুল  মাল্টা চাষের পাশাপাশি অন্য ১১সাথি ফসল চাষ করছেন। এটি উপজেলার একেবারেই নতুন ও প্রথম । আমরা সেখানে মাল্টা চারা সরবরাহ করেছি। সেইসাথে কৃষি অফিস থেকে তাদের বাগানে প্রযুক্তিগত সকল সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। বাগান থেকে প্রথম বছরই তিনি লক্ষাধিক টাকার মাল্টা বিক্রয় করতে পারবে এমনটা আশা করা যায়।
    এবিষয়ে কথা হয় ওই এলাকার বাসিন্দা সুমন, কবিরসহ অন্তত ১০ জনের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘আমিরুল ইসলাম ডিগ্রি পাস করা শিক্ষিত ছেলে। সে যে এভাবে এ এলাকার নতুন ফসল মাল্টাবাগান করতে পারবে এবং পাশাপাশি মাল্টাবাগানের মধ্যেই আবার বুদ্ধি করে এতগুলো ফসল ফলাতে পারবে, তা আমাদের বিশ্বাস হয়নি প্রথমে। সরেজমিন দেখে আমরা অবাক হয়েছি। আসলে চেষ্টা করলে সবই সম্ভব।’
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘সমগ্র উপজেলা মিলিয়ে মোট ১৬ হেক্টর জমিতে ৩০০ জন মাল্টাচাষি রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামের আমিরুল ইসলাম মাল্টার বাগানেই গম, আলুসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করছেন। এতে আমরাও অবাক হয়েছি, তাঁর চেষ্টা দেখে।’ তিনি আরও বলেন, মাল্টাগাছের শিকড়ের দিকে খেয়াল রেখে মাল্টাবাগানে যে অন্য ফসলের আবাদ করা যাবে, তার বড় উদাহরণ এটি।
  • রাণীশংকৈলে নৈশ্যপ্রহরীদের মাঝে শীতবস্ত্র দিলেন ওসি জাহিদ ইকবাল।

    রাণীশংকৈলে নৈশ্যপ্রহরীদের মাঝে শীতবস্ত্র দিলেন ওসি জাহিদ ইকবাল।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে তীব্র কনকনে শীতেও পাহারার দ্বায়িত্বে থাকা নৈশ্যপ্রহরীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন থানা পরিদর্শক (ওসি) জাহিদ ইকবাল ।

    শীতের তীব্রতায় কাবু জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে পুরো এলাকা। সেই সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাসে জনজীবনে দুর্বিষহ নেমে এসেছে। পৌষের ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের শ্রমিকেরা।

    বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন। সূর্যের মুখ দেখা নেই। ঘন কুয়াশার আর ঠাণ্ডা বাতাসে মানুষের সঙ্গে কাবু হয়েছে পশুপাখিরাও।

    ঠিক এমন তীব্র শীত আর কুয়াশার সময়ে শীতবস্ত্র পেয়ে খুশি হয়ে নৈশ্যপ্রহরী নাজিম বলেন, আমরা সারাবছর ছাড়াও এই প্রচন্ড শীতের মাঝে কষ্ট করে সারারাত ধরে হাটবাজার পাহারা দিয়ে থাকি। ওসি স্যার আমাদেরকে শীতের কম্বল দেন। এতে আমরা আরো উৎসাহিত হয়ে দায়িত্ব পালন করব অবশ্যই ।

    মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) রানীশংকৈল থানা চত্বরে উপজেলার সকল হাটবাজারের রাত্রিকালীন পাহারাদার নৈশ্যপ্রহরীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওসি তদন্ত আব্দুল লতিফ সেখ সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা প্রমূখ।

    তীব্র শীতে কম্বল পেয়ে খুশি শীতার্তরা। এসময় ওসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অসহায় দরিদ্র নৈশ্যপ্রহরীদের অনেকে।

    এর আগেও ওসি জাহিদ  নিজ উদ্যোগে করোনাকালীন সময়ে হসপিটাল, চৌরাস্তা, বাজার, রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা মানুষদের মাঝে খাদ্য ও শীতবস্ত্র বিতরণ করে সুনাম অর্জন করেন।

    এসময় ওসি জাহিদ ইকবাল বলেন, উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের প্রকোপ বেশি।জেলার রানীশংকৈল উপজেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় প্রশাসন শীতার্ত মানুষের দোড়গোঁড়ায় শীতবস্ত্র পৌঁছানোর জন্য আমার এ উদ্যোগ। এসময় উপজেলার  বিভিন্ন হাটবাজারে দ্বায়িত্বে থাকা নৈশ্যপ্রহরীদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার কথাও বলেন তিনি।