Tag: রাণীশংকৈল

  • রাণীশংকৈলে গমের কাঁচা গাছ কেটে বিক্রি,উৎপাদন ব্যাহতের শঙ্কা।

    রাণীশংকৈলে গমের কাঁচা গাছ কেটে বিক্রি,উৎপাদন ব্যাহতের শঙ্কা।

    রাণীশংকৈলে গমের কাঁচা গাছ কেটে বিক্রি,উৎপাদন ব্যাহতের শঙ্কা।


     নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গবাদিপশুর খাদ্যের দামও। খৈল, খড়, ভুসিসহ দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে সবুজ ঘাসও। এতে দিশেহারা হয়ে  কৃষকেরা গমের চারা কেটে তা গোখাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি করছেন।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল শিবদীঘি নেকমরদ বাজারসহ আশপাশের বাজারে এমন দৃশ্য কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে। এতে গমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

    কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় গমের আবাদ এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। এখন খেত থেকে বাড়ন্ত গমের চারা কেটে বিক্রি করা হলে উৎপাদনের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।

    উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও গমের শিষ সবেমাত্র বের হয়েছে, আবার কোথাও শিষ বের হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। উপজেলার কুমোরগঞ্জ, ভবানন্দপুর,  ধর্মগড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে কৃষক সেই বাড়ন্ত গমের চারা কাস্তে দিয়ে গোড়া থেকে কেটে বাঁধছেন আঁটি। তা  শিবদীঘি ও নেকমরদ বাজারে বিক্রি করছেন ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি করে।

    গমচাষিরা বলেন, গম চাষে প্রতি বিঘা জমি তৈরি, চারা রোপণ, সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ খরচ, শ্রমিকের মজুরি, গম কাটা ও মাড়াই পর্যন্ত ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। আর বিঘাপ্রতি গমের ফলন হয় ৯ থেকে ১০ মণ। সেই গম বিক্রি করে বিঘায় ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু তাতে তেমন কোনো লাভ থাকে না। কিন্তু বর্তমানে বাজারে গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে, পাশাপাশি প্রয়োজনের তুলনায় সবুজ ঘাসের সরবরাহও কম। এ সুযোগে গমের চারা ঘাস হিসেবে বিক্রি করে নগদ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। সার্বিক বিচারে এখান থেকে তুলনামূলক লাভ বেশি থাকছে বলে জানান তাঁরা। এ ছাড়া এখন গম তুলে নিলে জমিতে বোরো লাগানো সম্ভব। ধানের ভালো দাম থাকায় এতে করে দুদিক থেকেই লাভবান হওয়া যাবে।

    গবাদিপশুর গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় ও চারণভূমির সংকটের কারণে বাজারে কাঁচা গম গাছের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ছাগল ও গরুর জন্য কাঁচা ঘাস হিসেবে কিনে খাওয়াচ্ছেন খামারিরা। বিক্রেতারা বলছেন ১০০ আঁটি বাজারে তুলতেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে নিমেষেই। চাষিদের পাশাপাশি পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতাও দেখা গেছে কাঁচা গমের গাছ বিক্রি করতে।

    একটি নছিমনে ১০০ আঁটি কাঁচা গমের গাছ বিক্রি করতে নিয়ে আসেন ধর্মগড় গ্রামের নওশাদ আলী। তিনি বলেন, নেকমরদ এলাকার এক গম চাষির দুই বিঘা কাঁচা গমের খেত তিনি কিনেছেন ২৬ হাজার টাকা দিয়ে। ১ টাকা দরে প্রতি আঁটি মজুরি দিয়ে প্রতিদিন শ্রমিকদের কাছে প্রতিদিন ১ হাজার আঁটি কেটে বাজারে বিক্রি করেন তিনি। দুই বিঘা জমিতে ৪ হাজার ২০০ আঁটি হবে। যার বাজার মূল্য ৪২ হাজার টাকা। শ্রমিকদের মজুরি দিয়েও তাঁর লাভ হবে ৮ হাজার টাকা।

    কাঁচা গমের আঁটি কিনতে এসেছিলেন রাতোর গ্রামের শামসুল আলম। তিনি বলেন, বাড়িতে তিনি ছয়টি ছাগল পালন করেন। আগে এলাকায় সেগুলো নিজেরা চড়ে খেত। এখন সব খেতেই ফসল থাকায় ছাগলগুলো চড়ে খেতে পারে না। তাই গমগাছ কিনতে এসেছেন।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে  গমের আবাদ হয় ৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, কিন্তু চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৩০০ হেক্টরে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এমনিতেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আবাদ করা হচ্ছে। এর ওপর যদি কাঁচা অবস্থাতেই কেটে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে গম উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।

    কৃষকেরা কাঁচা গমের গাছ কেটে বিক্রি যেন না করে এই জন্য তাঁদের উৎসাহ দেওয়া হবে।’ মাঠ পর্যায়ে সকলের সঙ্গে এ বিষয় কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

  • রাণীশংকৈলে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা। 

    রাণীশংকৈলে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা। 

    রাণীশংকৈলে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা। 


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ের জায়গা নিয়ে দ্বন্ধের জেরে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতি মানববন্ধ, প্রতিবাদ সভা ও স্মারক লিপি প্রদান করেন। মঙ্গলবার (২২ফেব্রুয়ারী) উপজেলা পরিষদের সামনে সকাল ১১ থেকে ৪ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রতিবাদ সভায় শিক্ষক সমিতির আহবায়ক গোপেন্দ্র নার্থ বর্ম্মনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আ’লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ন আহবায়ক আহম্মেদ হোসেন বিপ্লব, সাবেক যুগ্ন আহবায়ক বিশিষ্ঠ্য সাংবাদিক আনিসুর রহমান বাকি, জাতীয় পাটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের,আ’লীগ নেতা প্রভাষক প্রশান্ত বসাক, প্রেস ক্লাব সভাপতি ফারুক আহম্মদ, মহিলা আ’লীগ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, পৌর আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান,প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন, ফরিদা ইয়াসমিন, ফারজানা আক্তারি, আনিসুর রহমান, কুশমত আলী,আব্দুল মান্নান,ইয়াকুব আলী, আহসান হাবিব,খলিলুর রহমান,আহত সহকারি শিক্ষক মকবুল হোসেন ও আজিজার রহমান প্রমুখ।

    ১৯৮২ সালে স্থাপিত ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব। রবিবার শিক্ষক সমিতি পুরনো ঘর মেরামত করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ শিক্ষক আহত হয়।এবং অনেক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়।এতে শিক্ষক সমিতির যুগ্ন আহবায়ক আহসান হাবীব বাদী হয়ে মফিজুল ইসলাম ও উসমান গণিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

    থানা পুলিশ মামলা নিতে গরিমসি করায় ও অবৈধ দখলদার মফিজুল কে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের গায়ে হাত দেওয়া বিষয়দটির সঠিক সমাধান না হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।শেষে শিক্ষক সমিতির আহবায়ক গোপেন্দ্র নার্থ বর্ম্মন স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করা হয়।

    এ প্রসঙ্গে থানা পরিদর্শক  (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, অভিযোগটি আমি পেয়েছি, এবিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং ৬৩৭।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, শিক্ষকদের একটি স্মারকলিপি আমি পেয়েছি। তাছাড়া ওসিকে আমি মামলা নেওয়ার জন্য বলেছি, শিক্ষকদের গায়ে তারা হাত দিবে কেন? এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়।

  • রাণীশংকৈলে দিনভর অনুষ্ঠিত উন্নত জাতের পশু পাখির মেলা।

    রাণীশংকৈলে দিনভর অনুষ্ঠিত উন্নত জাতের পশু পাখির মেলা।

    রাণীশংকৈলে দিনভর অনুষ্ঠিত উন্নত জাতের পশু পাখির মেলা।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বার্ষিক প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা ২০২২ অনুিষ্ঠত  হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরবেলা উদ্ধোধন হয়ে দিনব্যাপী এ মেলাটি  কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রদর্শনীত হয়।

    প্রদর্শনী মেলার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না  বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আ.লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি বেগম, পৌর আ.লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান,প্রধান শিক্ষক আবু শাহানশা ইকবাল, প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহম্মেদ সরকার প্রমূখ।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অঃদা)ডাঃ নাসিরুল ইসলাম। আলোচনা শেষে খামারিদের মাঝে তিনক্যাটাগরিতে  নগদ পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।

    প্রদর্শনী মেলায় উপজেলার খামারীরা উন্নত জাতের গাভী ছাগল ভেড়া ঘোড়া খরগোশ কচ্ছপসহ বিভিন্ন জাতের কবুতর নানা প্রজাতীর দৃষ্টি নন্দন পাখির ২৫টি ষ্টল প্রদর্শনী করা হয় ।

    প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও উন্নত জাতের পশু পাখির মেলার বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল এবং সহযোগিতা করেছেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী (এলডিডিপি) উন্নয়ন অধিদপ্তর

  • রাণীশংকৈলে ইএসডিও’র প্রসপারিটি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা।

    রাণীশংকৈলে ইএসডিও’র প্রসপারিটি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা।

    রাণীশংকৈলে ইএসডিও’র প্রসপারিটি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ইএসডিও’র প্রসপারিটি প্রকল্পের উপজেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    অতি দারিদ্র্যের দারিদ্র বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে (পিকেএসএফ) নির্বাচিত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থাভূতপূর্ব  ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র যৌথ উদ্যোগে পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল (পিপিইপিপি) কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট  অগানাইজেশন(ইএসডিও)’র আয়োজনে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা হলরুমে প্রসপারিটি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় রাণীশংকৈল ইএসডিও’র জোনাল ম্যানেজার ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ ,বিশেষ  অতিথি  হিসেবে সহকারী কমিশনার ভূমি ইদ্রজিত সাহা,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ ও উপজেলা  মৎস কর্মকর্তা,প্রাণীসম্পদ,সমাজসেবা,পরিসংখ্যান বিভাগ,স্বাস্থ্য ,মহিলা অধিদফতর যুবউন্নয়নসহ উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসপারিটি প্রকল্পের  অবহিতকরণ সভায় প্রকল্পের টেকনিক্যাল  অফিসার কৃষিবিদ অনুপ কুমার,প্রকল্পের নানা বিষয়ে উপস্থাপনা প্রদান করে আলোচনা করেন।

    সভায় মতামত তুলে ধরে আরোও বক্তব্য রাখেন প্রেমদীপ প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার খাইরুল আলম টেকনিক্যাল অফিসার (নিউট্রেশন) তাবাসসুম রহমান,টেকনিক্যাল  অফিসার (কমিউনিটি মবিলাইজার) নুরশেদা আক্তার,এরিয়া ম্যানেজার আহসান হাবিব, রানীশংকৈল শাখার ম্যানেজার  মোকসেদুর  রহমান,এসিস্ট্যান্ট  টেকনিক্যাল অফিসার  (লাইভলিহুড) আলমগীর হোসেন, এসিস্ট্যান্ট  টেকনিক্যাল অফিসার (নিউট্রেশন) শারমিন আক্তার  প্রমুখ।

    প্রকল্পটি ঠাকুরগাঁও জেলার ৩টি উপজেলার  পিছিয়ে পড়া দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী  মানুষের জীবন মান উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা  রাখবে এমনটাই জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

  • রাণীশংকৈল থানা পুলিশের উদ্যেগে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত।

    রাণীশংকৈল থানা পুলিশের উদ্যেগে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত।

    রাণীশংকৈল থানা পুলিশের উদ্যেগে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত।


    মাদক, জঙ্গিবাদ, চুরি, নারী ও শিশু নির্যাতন মুক্ত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” শ্লোগানে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (১৩ ফ্রেরুয়ারী) বিকালে থানা প্রশাসনের আয়োজনে জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের উম্মুক্ত জবাবদিহি মূলক অনুষ্ঠান থানা চত্বরে এ ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়।

    রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  এসএম জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় উন্মুক্তভাবে উপস্থিত সকলের নানা সমস্যার প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেন তিনি।

    থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ সেখের অনুষ্ঠান পরিচলনায় ওপেন হাউজ ডে’ সভায় মতামত তুলে ধরে আরোও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না আ.লীগ সভাপতি  অধ্যক্ষ সইদুল হক সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ পৌরমেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক উপজেলা কমিনিউটি পুলিশিংডে’র সভাপতি আহম্মেদ হোসেন বিপ্লব সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

    এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, পৌর কাউন্সিলর, শিক্ষক, রাজনীতিবীদ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য বৃন্দ,আনসার গ্রাম পুলিশ,প্রিন্ট  ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

    ওপেন হাউজ ডে” অনুষ্ঠানে অনেকেই তাদের বক্তব্যে বলেন নানা ধরনের মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা, উপজেলার নেকমরদে যানজট, মাদক নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ, জুয়া খেলা নির্মুল , চুরি রোধে আইনি প্রতিকার সহ বিভিন্ন ধরনের  অপরাধ দমনে থানা পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি জোর আহবান জানান।

    অনুষ্ঠান শেষে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের পক্ষ থেকে ৬০ জন অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

  • রাণীশংকৈলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের।

    রাণীশংকৈলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের।

    রাণীশংকৈলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষকেরা চাহিদা অনুযায়ী সরকারকে ধান দিচ্ছেন না।
    উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর আমন মৌসুমে ২৭ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ২৩৬ মেট্রিক টন
    ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে চাল সংগ্রহ শেষ হলেও চাহিদা মত আজ বুধবার পর্যন্ত কোনো ধান কিনতে পারেনি সরকারি খাদ্যগুদামগুলো।
    সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ৭ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ শুরুর আগে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়। ধান সংগ্রহ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৭ এবং চাল ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
    বর্তমান বাজার দরের চেয়ে সরকারি দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেশি পাওয়া গেলেও কৃষকেরা গুদামে ধান দিচ্ছেন না। তাঁরা মানের বিষয়ে কড়াকড়ি ও টাকা পাওয়া নিয়ে ঘোরাঘুরিসহ বিভিন্ন ঝামেলার কারণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
    এযাবৎ উপজেলার নির্বাচিত ৪১২ জন কৃষকের মধ্যে এ যাবৎ মাত্র ১১জন কৃষক মাত্র ৩২ মেট্রিকটন ধান রাণীশংকৈলের সরকারি দুই খাদ্যগুদামে বিক্রি করেছেন।
    কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু কম শুকানো হলে নিতে চায় না। তখন ধান নিয়ে আবার ফেরত আসতে হয়। আবার পরিবহন খরচ, গুদামের শ্রমিকদের চাঁদা, এসব বাড়তি খরচ তো আছেই। আর বাজারের পাইকারদের কাছে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কিছু কিছু পাইকার ধান মাড়াইয়ের পর বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। সার্বিকভাবে বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে বিক্রি করলে ভালো দাম মিলছে। গুদামে ধান ‍দিলেও টাকা তুলতে সময় লাগে। এ জন্য সংসারের কাজ ছেড়ে অফিসে ঘোরার সময় নেই তাঁদের। ফড়িয়ারা বাড়িতে এসে ধান নিয়ে যাচ্ছে তাদের ।
    একই ঝামেলার কথা জানিয়ে ধর্মগড়  ইউনিয়নের মন্জুর হোসেন বলেন, ‘খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে এক টন ধান গাড়ি থেকে নামার জন্যে খাদ্যগুদামের লেবাররাই ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা নেয়। ফের গাড়ি ভাড়া যায় ৪০০ টাকা। তার ওপর আরও ঝামেলা অনেক। যদি কোনো দিন ধান ৫০০ টাকা মণ উঠে তখন ভেবে দেখবো, খাদ্যগুদামে ধান দেওয়া যায় কি না।’
    উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন ধান সংগ্রহের জন্য সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়। এতে ৬ হাজার ৩১ জন কৃষকের আবেদন পড়ে। গত বছরের ৭ নভেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিত সাহার সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ৪১২ জন কৃষককে নির্বাচন করা হয়।
    জানা গেছে, উপজেলায় দুটি খাদ্যগুদাম রয়েছে। এর মধ্যে পৌরশহরের রাজবাড়ী খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৪ জন কৃষকের কাছে ৭০২ মেট্রিক টন ধান। নেকমরদ খাদ্যগুদামে ১৭৮ জন কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহের কথা ছিল ৫৩৪ মেট্রিক টন। কিন্তু দুটি খাদ্যগুদামে এ পর্যন্ত মাত্র ৩২ মেট্রিক টন সংগ্রহ হয়েছে।
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘বাজারে এবার ধানের দাম ভালো। কৃষকেরা বাজারেই ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা বস্তা দরে ধান বিক্রি করছেন। কৃষকদের বাড়ি থেকে নিজস্ব পরিবহনে ফড়িয়ারা ধান কিনে নিচ্ছে। এতে কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’
    রাণীশংকৈল রাজবাড়ী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা এবার ধান দেয়নি। এই গুদামে মাত্র ১০ জন কৃষক ধান দিয়েছেন। মাত্র ৩০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে।’
    নেকমরদ সরকারি খাদ্যগুদামের উপপরিদর্শক বাবুলুর রহমান বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও ধান পাওয়া যায়নি। একজন কৃষক মাত্র দুই মেট্রিক টন ধান দিয়েছেন।’
    এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জিয়াউল হক শাহ বলেন, ‘আমরা তো খাদ্যগুদামে ধান দিতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এখনো সময় আছে, দেবে হয়তো।’
  • রাণীশংকৈলে মাঘের বৃৃষ্টিতে আলুখেত বাঁচাতে ব্যস্ত কৃষক।

    রাণীশংকৈলে মাঘের বৃৃষ্টিতে আলুখেত বাঁচাতে ব্যস্ত কৃষক।

    রাণীশংকৈলে মাঘের বৃৃষ্টিতে আলুর খেত বাঁচাতে ব্যস্ত কৃষক।


    মাঘ মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আলুর খেতে পানি জমে গেছে। আলু গাছ বাঁচাতে চাষ করা জমি থেকে পানি অপসারণে কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন,জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করতে পারলে আলুর তেমন ক্ষতি হবে না।

    গত শুক্রোবার ও শনিবার দিনভর বৃষ্টিতে উপজেলার বেশির ভাগ আলুখেতে পানি জমে গেছে। জমে থাকা পানির কারণে আলুগাছে লেটব্রাইট (মড়ক) রোগের আক্রমণের শঙ্কা রয়েছে।
    উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, আগাম গমের ক্ষেত ঝড়ো বাতাসের কারণে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে।  এছাড়াও সরিষা, ভূট্টাসহ সব ফসলই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়,উপজেলার আট ইউনিয়নে এবার ৩ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর জমিতে কার্ডিনাল,গ্লান্ডুলার,ডায়মন্ডসহ বিভিন্ন জাতের আলু আবাদ হয়েছে। আলু রোপণের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে আলুর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

    রবিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পানি সরানোর দৃশ্য দেখা গেছে। তবে মেঘলা আকাশ দেখে আবারও বৃষ্টির আশঙ্কায় রয়েছেন আলুচাষিরা।

    কাশিপুর ইউনিয়নের কাদিহাট গ্রামের চাষি আউয়াল মিয়া বলেন, এমনিতেই বাজারে আলুর দাম কম। তার ওপর এখন বৃষ্টি। জমিতে পানি জমেছে। আলুর জমিতে পানি জমে থাকলে পচন ধরবে। এতে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হবে।

    ধর্মগড়  গ্রামের আরেক চাষি মোকসেদ আলী জানান এবার নিজের ও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, মাঘ মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে তার সব আলুখেতে পানি জমে গেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে খেত থেকে পানি অপসারণ করতে না পারলে, এবার তাঁর ব্যাপক ক্ষতি হবে। এখন বৃষ্টির কারণে আলুতে পচন ধরলে পথে বসতে হবে।

    রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন,বৃষ্টি হওয়ায় আলুর খেতে পানি জমেছে। তবে কৃষকেরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন। জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করলে এবং বৃষ্টি না হলে তেমন ক্ষতি হবে না।

    কৃষকরা এখন আলু ক্ষেতে পানি না শুকানো পর্যন্ত আলু উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকবে,এখন সবচেয়ে জরুরি জমাট পানি ক্ষেত থেকে বের করার ব্যবস্থা করা।

     

  • রাণীশংকৈলে মাঘের বৃষ্টি ও ঝড়ে সরিষায় নুয়ে পড়ল কৃষকের স্বপ্ন।

    রাণীশংকৈলে মাঘের বৃষ্টি ও ঝড়ে সরিষায় নুয়ে পড়ল কৃষকের স্বপ্ন।

    এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছিলেন শামীম। গাছে ফলন ভালো ধরেছিল। দু-এক দিনের মধ্যেই সরিষার গাছ কাটবেন। এরপর সরিষা মাড়াইয়ের পর তা বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করবেন।

    সেই জমিতে রোপণ করবেন বোরো ধান, এমন স্বপ্ন নিয়েই ‍শুক্রবার রাতে ঘুমিয়ে শনিবার সকালে উঠে দেখেন তাঁর খেতের সরিষা মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এমন চিত্র দেখে শামীমের স্বপ্নে যেমন গুড়েবালি, তেমনি তাঁর মতো ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার অনেক কৃষকের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে ঝড় ও দমকা হাওয়া।

    শুক্রবার ছাড়াও গতকাল শনিবারও থেমে থেমে বৃষ্টি হয়।

    কৃষক শামীমের বাড়ি রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধারই এলাকায়। তিনি এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করেছিলেন সরিষা। রবিবার সকালে কথা হয় শামীমের সঙ্গে। তিনি জানান, সরিষাখেত নষ্ট হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।

    সরিষা তুলে সেই জমিতে আবার বোরো ধান রোপণ করবেন কৃষকেরা। ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির সরিষা ঝড়ে মাটিতে নুয়ে পড়েছে। তবে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, সমগ্র উপজেলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির সরিষা মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

    গত দুইদিনের হঠাৎ বৃষ্টিতে উপজেলার আট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সরিষাগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। কৃষকেরা বলছেন, যে সরিষার দানা হয়ে পেকে গেছে সেগুলোতে পোকা ধরতে পারে। আর যেগুলোর সরিষা এখনো দানা ধরেনি তবে ধরার উপক্রম, ওইগুলোতে ফলন ভালো হবে না। হলেও পরিমাপে ছোট হবে।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়,চলতি বছর রাণীশংকৈলে বিভিন্ন জাতের ৫ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টিতে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির সরিষা নুয়ে পড়েছে। ফসল রক্ষার জন্য খেত থেকে পানি নিষ্কাশনের পাশাপাশি ছত্রাকনাশক ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    কৃষকেরা জানান, সাধারণত বিঘাপ্রতি ৭ থেকে ৮ মণ সরিষা হয়। তবে এ ঝড়ের কারণে তা বিঘায় দুই থেকে তিন মণ কমে যাবে। এতে তাঁদের বিঘাপ্রতি পাঁচ থেকে ৬ হাজার টাকা লোকসান হবে। খুচরা বাজারে সরিষা দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি করতে পারেন কৃষকেরা।

    উপজেলার জওগাঁ এলাকার কৃষক তুহিন হাড়িযার ও কবির সন্ধারই সাতঘরিয়া এলাকার ওহেদুল বলেন, স্বল্প সময়ে সরিষা ঘরে তোলার ক্ষেত্রে কৃষকেরা এ ফসলটি আবাদ করেন। তাঁরা একদিকে বোরো ধানের বীজতলা করেন, অন্যদিকে সেই খেতেই সরিষা আবাদ করেন।

    বোরো ধানের চারা বড় হওয়ার আগেই সরিষা পেকে যায়। তা কেটে ঘরে তুলে সেই খেতেই বোরোর চারা রোপণ করা যায়। তাই যে কৃষকেরা তাঁদের জমিতে বোরো আবাদ করবেন, তাঁরা এই স্বল্পকালীন সরিষা আবাদ করে থাকেন। এই আবাদে খুব বেশি খরচও নেই বলে জানান কৃষকেরা।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘আমরা যত দূর জেনেছি তাতে পুরো উপজেলার ৫০০ হেক্টর জমির সরিষা মাটিতে নুয়ে পড়েছে। সরিষার তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। এখন সরিষা খেতের পানি নিষ্কাশন ও সরিষায় ছত্রাকনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে।’

  • রাণীশংকৈলে থ্রি হুইলার মালিক সমিতির অফিস উদ্বোধন।

    রাণীশংকৈলে থ্রি হুইলার মালিক সমিতির অফিস উদ্বোধন।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরের শিবদীঘি জিরোপয়েন্টে (১লা ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার বিকেলে থ্রি হুইলার পাগলু পরিবহন মালিক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    তার আগে দুপুরে থ্রি হুইলার (পাগলু) মালিক সমিতির অফিস উদ্বোধন করা হয়।

    এ উপলক্ষে এদিন ওই সমিতির অন্যতম উপদেষ্টা হরিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌরমেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সাবেক মেয়র আলমগীর সরকার,থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল,উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হোসেন বিপ্লব, ঠিকাদার সমিতির সভাপতি আবু তাহের।

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় অতিথি ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ওই সমিতির সভাপতি জাফর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন,
    প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহম্মেদ,অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর আবু তালেব, আসাদুজ্জামান সভাপতি ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক ট্রাংলরী,দেবাশীষ দত্ত সমীর,ইন্দ্রজিত গুহ ঠাকুরতা রিংকু প্রমুখ।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আ’লীগ সদস্য তারেক আজিজ।

  • রাণীশংকৈলে বীরাঙ্গনাদের মাঝে উন্নত মানের কম্বল বিতরণ।

    রাণীশংকৈলে বীরাঙ্গনাদের মাঝে উন্নত মানের কম্বল বিতরণ।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ২২ বীরাঙ্গনা পরিবারের মাঝে উন্নত মানের ভারী চায়না মকম্মল কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

    রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরবেলা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাসিমা আক্তার জাহানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বীরাঙ্গনা শীতার্ত অসহায় পরিবারকে এসব কম্বল দেওয়া হয়।

    রাণীশংকৈল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি বেগমের বাসভবনে উপজেলার অসহায় ২২জন বীরাঙ্গনা পরিবারের মাঝে উন্নতমানের কম্বল ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    এসময় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাসিমা আক্তার জাহান, রাণীশংকৈল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি বেগম, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহম্মেদ, মোবারক আলী,বাংলাাদেশে টেলিভিশন (বিটিভি) জেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা পলক, এশিয়ান টিভি জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল আলম প্রমূখ।

    জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাসিমা আক্তার জাহান বলেন, আমি নিজ উদ্যোগে সেবামূলক অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছি। জীবিকা নির্বাহের জন্য  অসহায় মানুষদের আর্থিক  সহায়তা করছি। আজ ২২জন বীরাঙ্গনা পরিবারের মাঝে উন্নতমানের শীতবস্ত্র কম্বল ও মাস্ক দেয়া হলো। প্রতিটি কম্বলের মূল্য প্রায় ৩ হাজার পাঁচশত টাকা।