ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ‘কালের কন্ঠ’ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম শিল্পীর বাবা নজরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন )।
Tag: রাণীশংকৈল
-
রাণীশংকৈলে সাংবাদিক শিল্পীর বাবার ইন্তেকাল।
রাণীশংকৈলে সাংবাদিক শিল্পীর বাবার ইন্তেকাল।
বুধবার (২৯ জুন) বিকালে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ৩ ছেলে, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকাল ১১টায় নিজ গ্রাম উত্তর সন্ধ্যারই মসজিদ সংলগ্ন কাঠাল বাগান মাঠে জানাজা নামাজ শেষে মরহুমের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।সাংবাদিক শিল্পীর বাবা নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মকর্তারা।এছাড়াও ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন,ঠাকুরগাঁও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন,পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাব,পরিবারসহ রাণীশংকৈল উপজেলার আ.লীগ,বিএনপি’সহ নানা অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী,বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক ও সাংকৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।তারা মরহুমের আত্মার মাফফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এবং শোক সন্তুষ্ট পরিবারের শোক কাটিয়ে উঠার জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন। -
রাণীশংকৈলে নেকমরদ পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়।
রাণীশংকৈলে নেকমরদ পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ পশুহাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সরকারনির্ধারিত দর ২৩০ টাকার বদলে প্রতি গরুতে নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। ছাগলে ৯০ টাকার বদলে ১৫০ টাকা।
জানা গেছে, গত ৮ মে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রমাণ পেয়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরের সপ্তাহে ১৫ মে আবারও ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে এর পরের দুটি হাটে যথানিয়মে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলেও উপজেলা প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
গত রোববার (৫ জুন) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আগামী সপ্তাহের হাটে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
রোববার ওই হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি গরু ৪০০ টাকা করে আদায় করছে হাটের খাজনা আদায়কারী কর্মচারীরা। একইভাবে ছাগলেরও ১৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী সফিউল ইসলাম বলেন, ‘হাটে গরু প্রতি ১৭০ টাকা বেশি খাজনা নিচ্ছে। মাঝে মাঝে এসিল্যান্ড এসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
আরেক ব্যবসায়ী দুরুল হক বলেন, ‘যা জরিমানা করা হয় তা হাট ইজারাদারের পকেট থেকে যায় না। প্রত্যেক হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে সর্বনিম্ন ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। সেখানে থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিলে ইজারাদারের কোনো লোকসান হয় না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গরু ছাগলের ব্যবসায়ী বলেন, ‘যে টাকা অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া হয় তা দিয়ে একটি গরুর অনন্ত তিন চার দিনের খাবার কিনতে পারা যাবে। উপজেলা প্রশাসন যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেয় তাহলে ইজারাদার অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার সাহস পাবে না। প্রশাসন মাঝে মাঝে এসে কিছু জরিমানা করে তাঁরা তাঁদের দায় সারেন।’
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে হাট ইজারাদার আব্দুল কাদের বলেন, ‘আপনি হাটে এসে দেখা করেন। ফোনে আমি কিছু বলব না।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
-
এক যুগের বেশি সময় রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
এক যুগের বেশি সময় রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা করছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে কলেজ পরিচালনার এক যুগ (১২ বছর) পূর্তি হলেও এখন পযর্ন্ত পূর্নাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়নি কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাধ্যমেই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক,স্নাতক, অর্নাসের অর্ধ শতাধিক শিক্ষকসহ বেশ কিছু কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্যর অভিযোগ রয়েছে উপজেলার সচেতনমহলসহ সাধারণ মানুষের মাঝে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ নীতিমালায় বলা রয়েছে, কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য হইলে,অধ্যক্ষের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে উপাধ্যক্ষ, জেষ্ঠ্যতম ০৫ (পাঁচ) জন শিক্ষকের মধ্য হইতে যেকোন একজনকে দায়িত্ব প্রদান করিতে হইবে এবং সেই সঙ্গে পরবর্তী ০৬(ছয়) মাসের মধ্যে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করিতে হইবে।
যুক্তিসঙ্গত কারন ছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের এক বৎসরের মধ্যে নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগ দান করিতে ব্যর্থ হইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষরকৃত কাগজপত্র ও কার্য্যবিবরনী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত অথবা গৃহীত হইবেনা বলে বিধান রয়েছে।
অথচ রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে এ যাবত সিনিয়র কয়েকজন অধ্যাপক চাকুরী থেকেই অবসরে চলে গেছেন।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২ নভেম্বর রাস্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সইদুল হককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষেরও গত সোমবার (৩০মে) চাকুরীর শেষ কর্মদিবস বলে নিশ্চিত করেছেন উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীন।
তবুও ভারপ্রাপ্ত থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগের তেমন কোন উদ্যোগ নেইনি কলেজ পরিচালনা পর্ষদ।
কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন বিবরণী বোর্ড ঘেটে দেখা যায়, গত ১৯৭৯ সাল থেকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসা অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের চাকরীর মেয়াদ গত ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়ে তিনি বিদায় নেন তিনি। তৎকালীন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্বান্ত অনুযায়ী ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ওবায়দুল হককে গত ২০১০ সালের ১ নভেম্বরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়ায়দুল হকের চাকুরীও গত ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর শেষ হয়ে গেলে তিনিও প্রায় ২ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বরত অবস্থায় চাকুরী থেকে বিদায় নেন।
পরবর্তীতে আবারো কলেজ পরিচালনা পরিষদের সিদ্বান্ত মোতাবেক বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তাজুল ইসলামকে গত ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনিও প্রায় ৮ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের পর গত ২০২০ সালের ০১নভেম্বর চাকুরী থেকে অবসর গিয়ে বিদায় নেন।
সর্বশেষ রাষ্ট বিজ্ঞানের অধ্যাপক ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সইদুল হক’কে গত ২০২০ সালের ২নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয় কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। তার চাকুরীর মেয়াদ চলতি বছরের ৩০মে পযর্ন্ত ছিলো।
নিয়মনুযায়ী গত সোমবার শেষ কর্মদিবস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের। তবে তার অবসর হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ নতুন কোন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার কোন প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয়নি।
কলেজের উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীন এ প্রতিবেদককে জানান, অবসরে যাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আপাতত দুই বছর তাকেই দায়িত্ব রাখার সিদ্বান্ত নিয়েছে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ।
স্থানীয়দের প্রশ্ন সরকারী বিধিমালাকে উপেক্ষা করে ৬ মাস মেয়াদী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে ১ যুগ কলেজ পরিচালনা করা হলো। আর কতদিন এভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে কলেজ পরিচালনা করা হবে?
অভিযোগ রয়েছে যেদিন থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে কলেজ পরিচালনা করা হচ্ছে সেদিন থেকে কলেজে শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য সহ অর্থনৈতিক অনিয়ম শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ নেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়ম করা হচ্ছে।
রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের উপধ্যক্ষ জামালউদ্দীন মুঠোফোনে জানান, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের নিয়মিত চাকুরীর শেষ কর্ম দিবস গত সোমবার ছিলো। তবে কলেজ পরিচালনার জন্য তাকেই আবারো দুই বছরের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ।
রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের গর্ভনিং বোর্ডের সভাপতি পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হকের চাকুরী শেষ হলেও গর্ভনিং বোর্ডের সিদ্বান্ত অনুযায়ী তাকে আবারো দুই বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
-
রাণীশংকৈলে চলতি মৌসুমে অর্জিত হয়নি গম সংগ্রহ অভিযান।
রাণীশংকৈলে চলতি মৌসুমে অর্জিত হয়নি গম সংগ্রহ অভিযান।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলাবাজারে গমের দাম বেশি। তাই কৃষকেরা গম বাজারে বিক্রি করে দেওয়ায় চলতি মৌসুমে গম সংগ্রহ করতে পারছে না উপজেলা খাদ্য বিভাগ। গোটা উপজেলায় ৪ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন গম কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সোমবার (৩০মে) পর্যন্ত মাত্র তিন মেট্রিকটন গম সংগ্রহ করে থমকে গেছে চলতি বছরের গম সংগ্রহ অভিযান।
স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, গত রবিবার নেকমরদ বাজারে প্রতি কেজি গম ৩২-৩৫ টাকার বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। আর সরকার নির্ধারিত দাম ২৮ টাকা। এ পরিস্থিতিতে গুদামে গম বিক্রি করতে গেলে কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে।লটারিতে নির্বাচিত কৃষকেরা খুচরা বাজারে গম বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ৭/১০ টাকা বেশি পাওয়ায় তাঁরা খাদ্যগুদামে গম দেননি।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাণীশংকৈল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। চাষ হয়েছে ৪৫ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭১ মেট্রিক টন।১ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত গম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হলেও গমের মৌসুমের শেষে এসে মাত্র একজন কৃষকের কাছ তিন মেট্রিক টন গম কিনতে পেরেছে খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। এতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার পথে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত বাকি ১ হাজার ৪৮৩ জন কৃষকের কেউ গম দেননি।খাদ্যগুদামে গম না দেওয়ার বিষয়ে কৃষকেরা জানান, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, তা খুচরা বাজারের থেকে কেজিতে ৭-১০ টাকা কম। বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় গুদামে গম দিলে লাভ কম হবে। এ ছাড়া খাদ্যগুদামে গম দিলে বস্তার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অতিরিক্ত পরিবহন খরচ লাগে। তাই বাড়ি থেকেই ফড়িয়াদের কাছে গম বিক্রি করা হচ্ছে।গত ১৮ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের দেওয়া ১৮ হাজার ৮১২ জন কৃষকের নামের তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে ১ হাজার ৪৮৪ জন কৃষককে নির্বাচন করা হয়।জানা গেছে, উপজেলায় দুটি খাদ্যগুদাম রয়েছে। এর মধ্যে পৌরশহরের রাজবাড়ী খাদ্যগুদামে গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। নেকমরদ গুদামে ছিল ২ হাজার ৫২ মেট্রিক টন। কিন্তু দুই খাদ্যগুদামে এ পর্যন্ত মাত্র ৩ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ হয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘গমের মণ মৌসুমের শুরুতে ছিল ১ হাজার ১০০। এখন ১ হাজার ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তাই কৃষকেরা গম খাদ্যগুদামে দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’রাণীশংকৈল রাজবাড়ী খাদ্যগুদামের উপসহকারী খাদ্য কর্মকর্তা কাউসার আলী বলেন, ‘খোলাবাজারে এখন প্রতি কেজি গম ৩২-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সরকার নির্ধারিত দর ২৮ টাকা। কৃষক যেখানে ফসলের দাম বেশি পাবেন, সেখানেই বিক্রি করবেন। এটাই স্বাভাবিক।এই গুদামে এবারে কেউ গম দেয়নি। গম সংগ্রহ শূন্যের কোঠায়।’উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইশকে আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গম সংগ্রহের জন্য কৃষকদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কেনা সম্ভব হয়নি। সরকারি যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় বাজারে এখন সেই দামের চেয়েও বেশিতে গম বেচাকেনা হচ্ছে। যে কারণে খাদ্যগুদামে গম বিক্রি করতে নির্বাচিত কৃষকেরাও আসছেন না। -
ডিগ্রি পরীক্ষা চলমান ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে বৈশাখী মেলা।
ডিগ্রি পরীক্ষা চলমান ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে বৈশাখী মেলা
ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ মাঠে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গত সোমবার (৯ মে) ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেছে মেলা কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০ সালের ডিগ্রী পাশ ও সার্টিফিকেট কোর্স ২য় বর্ষের পরীক্ষা গত ০৪/০৪/২২ ইং তারিখে শুরু হয়ে আগামী ২৫/০৫/২২ ইং তারিখে শেষ হওয়া কথা। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই সে মাঠে মেলা কমিটির লোকজন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আয়োজন করেছে বৈশাখী মেলা। একদিকে যেমন মেলা কমিটি আইন ভঙ্গ করেছে অপরদিকে পরীক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে।
তবে সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, পৌরসভা এলাকায় অনেক ফাঁকা মাঠ রয়েছে। বির্তক না করে সে জায়গাগুলিতে মেলা বসাতে পারতো মেলা কমিটি। এদিকে কলেজ মাঠে মেলা বসানোর ফলে রাস্তায় সবসময় যানজট লেগেই রয়েছে ফলে শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের দূর্ঘটনা হওয়ার আশংকা রয়েছে।
রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ জামাল উদ্দীন গানের সুর দিয়ে বলেন- ‘চেয়ে চেয়ে দেখলাম আমার বলার কিছুই ছিলো না।’
মেলা কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামের কাছে মেলার অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ডিসি স্যারের কাছে গিয়েছিলাম তিনি লিখিত ভাবে না দিলেও মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়েছেন।
মেলা কমিটির সম্পাদক সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বলেন, আমরা দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মেলা করে আসছি এটা তো বাণিজ্যিক মেলা না সাংস্কৃতিক মেলা। এই মেলা চালাতে ডিসি মহোদয় মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়েছেন।
রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনর্চাজ বলেন- বৈশাখী মেলা নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই এগুলো ইউএনও সাহেব ভালো জানেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভকে মেলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘দিনের বেলায় মেলা বন্ধ রেখে পরীক্ষা চলবে। সমস্যা কিছু হবেনা।’
জানতে চাইলে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হক বলেন, মেলা পরিচালনার জন্য ডিসি’র মৌখিক অনুমতি আছে। তবে যেদিন পরীক্ষা চলবে সেদিন ১৪৪ ধারা শতভাগ বলবৎ থাকবে।
একদিকে ডিগ্রি পরীক্ষা চলমান আবার ঐ মাঠেই বৈশাখী মেলা ১৪৪ ধারা তো জারি আছেই একজন জেলা প্রশাসক হিসেবে আপনার প্রতিক্রিয়া কি? আপনার চোখে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ১৪৪ ধারা নিদির্ষ্ট সময়ের জন্য জারি থাকে যখন পরীক্ষা চলবে তখন সাধারন মানুষ সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষার সময় এবং মেলার সময় ভিন্ন। পরীক্ষার সময় যেভাবে ১৪৪ ধারা জারি থাকে সে নিয়মেই চলবে। লিখিত অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
-
রাণীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গী মহিলা ফুটবল একাডেমির মাঠে জেলা প্রসাশক।
রাণীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গী মহিলা ফুটবল একাডেমির মাঠে জেলা প্রসাশক
ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গী ইউানাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমীর জঙ্গল বিলাস মাঠে হঠাৎ সফরে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান।এসময় সফরসঙ্গী বিশেষ অতিথি সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী।
এছাড়াও রাঙ্গাটুঙ্গী ইউানাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমীর জঙ্গল বিলাস মাঠে সেসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাণীশংকৈল ভূমি কমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাহা, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন সম্পাদক আহমদ হোসেন বিপ্লব,ঠিকাদার কল্যান সমিতির সভাপতি জাপা নেতা আবু তাহের, প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহাম্মদ সরকার মহিলা খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ কোচ সহ এসকল খেলোয়াড়বৃন্দ প্রমূখ।
এসময় রাঙ্গাটুগী ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল দলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম জানান এবার ঈদের ছুটিতে আমাদের একাডেমীর ৪জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ঈদের বাড়িতে এসেছেন। ১জন নারী খেলোয়াড় পর্তুগালে যাচ্ছেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায়। আরো ৬ জন ভর্তিকৃত খেলোয়াড় বিকেএসপির ছাত্রী ও ৯জন প্রমিলা ক্যটাগরিতে বিকেএসপিতে ৬ মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণে আছেন।
এছাড়াও এ একাডেমীর ১২জন সিনিয়র খেলোয়াড় যারা ইতোমধ্যে বাফু’ফে আয়োজিত বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলায় অংশ নিচ্ছেন নিয়মিতভাবে।
এসময় নারী সকল খেলোয়াড়ের সাথে অত্যন্ত আন্তরিকতায় কথা বলেছেন কথা শুনেছেন হঠাৎ সফরে আসা জেলা প্রশাসক। এবং একাডেমীর মেয়ে খেলোয়াড়রা দু’দল ভাগ হয়ে হলুদ ও নীল দলের খেলা উপভোগ করেন তিনি।
আলাপচারিতার মাঝে মেয়ে খোলোয়াড়দের উজ্জ্বল সম্ভাবনার মুগ্ধতা প্রকাশ করেন এবং মেয়েদের নিরাপদ স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে তিনি উপস্থিত একটি ওয়াসকাম পোশাক ড্রেস চেন্জরুম নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করেন তিনি।