Tag: রাণীশংকৈল

  • রাণীশংকৈলে কৃষকের মাঝে বিনামূল্য বীজ ও সার বিতরণ শুরু।

    রাণীশংকৈলে কৃষকের মাঝে বিনামূল্য বীজ ও সার বিতরণ শুরু।

    .ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    সরকারের টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্য  গম, ভুট্টা, সরিষা, শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ, মুগ ডাল ও রাসায়নিক সার বিতরণের জন্য প্রণোদনা কার্যক্রমের উদ্ধোধন অনুষ্ঠিত হয়।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে রবি মৌসুমের (২০২২-২৩ অর্থবছর) কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ সহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকের উৎসাহ প্রদানের জন্য বিনামূল্যে রাসায়নিক সার গম, ভুট্টা, সরিষা, মুগ, শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হয়েছে।

    উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর ) সকালে কৃষক কৃষাণীর মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না।

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতাল জুলকার নাইন কবির স্টিভ।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি বেগম,উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সইদুল হক, সাধারন সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ, পৌর আ.লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আ.লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হোসেন বিপ্লব, উপজেলা সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা নবাব আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আল্লামা আব্দুল নূর আলিফ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী উপকারভোগী কৃষক প্রমূখ।

    অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ কৃষকের নানা দিক নির্দেশনামূলক কথা বলেন।তিনি জানান এ কর্মসূচির আওতায় ৭৭৫০ কৃষককে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার গম, ভুট্টা, সরিষা, মুগ, শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ দেওয়া হবে ।

    অনুষ্ঠানে উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের উপকারভোগী কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠান শেষে ৭ হাজার ৭৫০ কৃষক কৃষাণীর মাঝে রাসায়নিক সার বীজ বিনামূল্যে বিতরণ শুরু করেন রাণীশংকৈল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে বীজ পরিবহনে বাঁধা,বীজ পেতে শঙ্কায় কৃষক।

    ঠাকুরগাঁওয়ে বীজ পরিবহনে বাঁধা,বীজ পেতে শঙ্কায় কৃষক।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
     ঠাকুরগাঁওয়ের বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে সংরক্ষিত গম, বোরো ও আমন বীজ পরিবহণের টেন্ডার পাওয়ার পরেও বীজ সরবরাহে বাঁধার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
    মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) আর আরবি ট্রেড্রাসের মালিক ঠিকাদার নাজমুল হাসান রাসেল অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের আওতায় উন্নত বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের বীজ পরিবহনের টেন্ডার পান আরআরবি ট্রেড্রাস।
    জানা গেছে, বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন কেন্দ্র (বীজ উৎপাদন) ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জের উপ-পরিচালক তাজুল ইসলাম ভূঞার সাক্ষরিত উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২৩ সালে বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে সংরক্ষিত গম, বোরো ও আমন বীজ পরিবহণ ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে একটি দরপত্র আহবান হয়। যার দরপত্র নং-০২/২০২২-২৩, যার মূল্য নির্ধারন করা হয় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। গেল ১০ অক্টোবর দরপত্র বিক্রয়ের শুরু করে শেষ হয় ১১ অক্টোবর দুপুর ১২ টায়।
    একই দিনে বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক এবং উপ-পরিচালক (বীপ্র), বীপ্রকে, বিএডিসি ঠাকুরগাঁও দপ্তরের দরপত্র বাক্সটি দরপত্র দাতাগণের উপস্থিতিতে খোলা হলে। এতে বীজ পরিবহনের টেন্ডার পান আরআরবি ট্রেড্রাসের মালিক ঠিকাদার নাজমুল হাসান রাসেল।
    গত মঙ্গলবার ( ০১ নভেম্বর) প্রকল্প পরিচালক বীজ উৎপাদন প্রকল্প, বিএডিসি, ঢাকা কাজের জন্য দর অনুমোদন পাওয়া আরআরবি ট্রেড্রাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বীজ পরিবহনের জন্য আদেশ দেন। এরই মধ্যে বীজ সরবরাহও করেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
    কিন্তু হঠাৎ করে বীজ সরবরাহের ক’দিনের মধ্যেই কোন কারন ছাড়াই প্রকল্প পরিচালক মতিঝিল ঢাকা দেবদাস শাহা মৌখিকভাবে আরআরবি ট্রেড্রাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বীজ পরিবহনে বন্ধের কথা বলেন। এ কথা শুনার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক হতভম্ব হয়ে পড়েন।
    স্থানীয়রা জানান, একটি ঠিকাদারী সব কিছু নিয়ম মেনে কাজ পাওয়ার পরেও কেন বীজ সরবরাহ করতে পারছে না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। স্থানীয়রা আরও বলেন এর সাথে একটি সিন্ডিকেট চক্র জড়িত আছে। এই সিন্ডিকেট চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সরকারকে ফাকি দিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে। সময়মত বিএডিসি’র সরবরাহকৃত বীজ না পেলে খোলা বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
    আরআরবি ট্রেড্রাসের মালিক নাজমুল হাসান রাসেল জানায়, গত বুধবার (০৯ নভেম্বর) দরপত্র আহব্বান করা হলে আমি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হই। ১০ তারিখে বীজ পরিবহণের জন্য আমার কাছে গাড়ি চান কর্তৃপক্ষ। আমি দেই। বীজও সরবরাহও করি। আরআরবি ট্রেড্রাস দরপত্র পাওয়ার পর স্থানীয় কিছু ঠিকাদার কাজ বন্ধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে তাদের পরোচনায় মৌখিকভাবে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। তবে কাজ বন্ধের লিখিত কোন কাগজ দেননি তারা।
    ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেন হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দেযায় অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। গত তিনদিন থেকে আমার দশটা গাড়িও শ্রমিকরা বসে আছে। তাদের যাবতীয় খরচ আমাকে বহন করতে হচ্ছে। শুধু আমি একাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি না। চাষীরা বীজ না পেয়ে তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
    সময় মতো যদি চাষীরা বীজ রোপণ করতে না পারে তাহলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কমিটি আমাকে কাজ দেওয়ার পরেও হঠাৎ করে আমাকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। যদি আমাকে সুষ্ঠুভাবে করতে না দেয় তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
    এ বিষয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও শিবগঞ্জ বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন কেন্দ্র (বীজ)  উপ-পরিচালক মোঃ তাজুল ইসলাম ভূঞা বলেন, তৃতীয় বারের মতো আমি দরপত্র আহ্বান করেছি। টেন্ডার পাওয়ার পর আরআরবি ট্রেড্রাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলে আমার উর্ধতন কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক(পিডি) এর মৌখিক নির্দেশে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে আমরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি, ঠিকাদারও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
    বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন কেন্দ্র (বীজ) মতিঝিল ঢাকার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) দেবদাস শাহ্ মুঠোফোনে জানান, পরিবহনের কাজে ঠিকাদার যে দর দিয়েছেন অত্ত্যাধিক বেশি। একেকটি রুটের দর একেক হয়েছে এবং যে সকল রুটে দর কম দিয়েছেন সে সকল রুটে ঠিকাদার পরিবহন করবেন না বলে ধারনা করছেন তিনি। তাই কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। এতে করে বিভিন্ন এলাকার কৃষক দেরিতে বীজ পাবে এবং সঠিক সময়ে রোপন করতে পারবে কি? প্রশ্নে তিনি বলেন, দু একদিন দেরি হতে পারে তবে আমাদের দেখছি কি করা যায়। তাছাড়া দু একদিন দেরি হলে মেন কিছু হবে না।
    প্রকল্প ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (এমডি) মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান এর সাথে মুঠোফেনে কথা হলে প্রথমত তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ঠিকাদার বেশি দর দিয়েছে তাই হয়ত কাজ বন্ধ আছে তাছাড়া কাজ করার অনুমতি প্রদাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন তা নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল। ঠিকাদারের দরে কাজ করতে দিলে সরকারের অনেক লস হয়ে যাবে। এখন যদি সরকারি গাড়িতে পরিবহণ করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে যে আরও বেশি খরচ হচ্ছে এ প্রশ্নে তিনি পরে বিষয়টি ভালমত করে জেনে জানাবেন বলে জানান।
  • রাণীশংকৈলে শিক্ষক হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন,বিক্ষোভ। 

    রাণীশংকৈলে শিক্ষক হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন,বিক্ষোভ। 

    . ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নুর হোসেন নামে এক কোচিং শিক্ষক হত্যার আসামীদের গ্রেফতার করার দাবীতে। এবং সন্দেহজনক ৭জন আসামীকে গ্রেফতার করে। তিন দিন থানায় রেখে আবার ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে, ভরনিয়া সম্পদবাড়ী এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিশেষে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’ সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভকে স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে।
    সোমবার (৭ নভেম্বর)  বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদের প্রধান সড়ক দিয়ে থানা চত্বর যায় সেখানে প্রায় আধাঘন্টা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করে। উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে তারা উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কে দাড়িয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
    এতে বক্তব্য রাখেন,সহকারী শিক্ষক মোকসেদ আলী, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ন সম্পাদক  মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, পৌর আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, ধর্মগড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও নিহত শিক্ষকের মা হোসনা খাতুন ।
    প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক রমজান আলী,পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমিটাম দিয়ে বলেন, যদি আল্টিমেটামের সময়ের মধ্যে আসামী ধরতে গড়িমসি করেন। তাহলে ধর্মগড়,কাশিপুরবাসীসহ রাণীশংকৈল আ’লীগ যুবলীগ মিলে রাণীশংকৈল উপজেলাকে অচল করে দেওয়া হবে। হরতাল দেওয়া হবে। অতত্রব কোন গড়িমসি না করে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করুন।
    নিহত শিক্ষকের মা হোসনা বলেন, কারা হত্যা করেছে আমরা বুঝতে পারছি, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের নাম পুলিশকে বলেছি। তারপরেও তারা আসামী ধরে ছেড়ে দিচ্ছে কেন? তাহলে কি টাকার বিনিময়ে আসামীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছেলে হত্যার বিচার কি তাহলে আমরা পাবো না। তিনি অবিলম্বে ছেলে হত্যার আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
    এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সকালে ভরনিয়া রাস্তা সংলগ্ন ধান খেতে একই ইউনিয়নের ভরনিয়া চেংমারী এলাকার নুরুল হোসেনের ছেলে হোসাইন আলীর ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় নিহতের পরিবার দাবী করেন এটি পরিকল্পিত হত্যা।
    রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
    স্মারকলিপি পেয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, স্মারক লিপি পেয়েছি। বিষয়টির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • রানীশংকৈলে পুকুরের পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু। 

    রানীশংকৈলে পুকুরের পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু। 

    বাড়ির পাশে খেলা করার সময় পুকুরের পানিতে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরবেলা।
    নিহত শিশু রিপন রায় (৩) ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের বলিদ্বাড়া তেঘরিয়া গ্রামের তপন রায় ও জোসনা রানী দম্পতির একমাত্র সন্তান।
    স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নিহতের মা ও দাদা দাদি তারা সকলে গরুর জন্য ঘাস আনতে বাড়ির মাঠে যায়। এসময় বাবার সাথে বাড়িতে ছিল শিশু রিপন রায়।এক সময় খেলার জন্য রিপন বাড়ি থেকে পুকুরের পাশে চলে আসে এবং পানিতে পড়ে যায়। নাতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন খোজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে শিশুটি কে ভাসতে দেখে মৃত অবস্থায় তুলে তুলে আনে দাদা।
    পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ৮নং নন্দুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী।
    এবিষয়ে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, নিহতের ব্যাপারে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ শেষকৃত্যের কার্যসম্পন্না করার জন্য শিশু রিপন রায়ের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
  • রাণীশংকৈলে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    রাণীশংকৈলে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    রাণীশংকৈলে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

    জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়াসহ সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং ও ভোলায় বর্বরোচিত পুলিশের গুলিতে দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে
    পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২২ আগষ্ট ) বিকাল সাড়ে ৫টায় পৌরশহরের পলাশ মার্কেট এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
    বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে তিনরাস্তার মোড়স্থ পলাশ মার্কেটে এসে শেষ হয়।
    পরে সেখানে রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর বকুল মজুমদারের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তৈমুর রহমান  সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ ও সুলতানুল ফেরদোস নম্র জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক সোহেল রানাসহ উপজেলার ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেনকদল, মহিলাদল, কৃষকদল ও শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
    বক্তারা ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত সেচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম নিহতের ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার প্রশাসনের বন্দুকের নল ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। সরকারের অপশাষনের বিরুদ্ধে জনগণ যখনই রূখে দাঁড়ায়, তখনই তারা দানবীয় কায়দায় পাখীর মত গুলি করে মানুষ হত্যা করে। এখন জনগণের ধর্য্যরে বাধ ভেঙ্গে গেছে আর এই ভয়ে সরকার পালানোর পথ খুঁজছে।
    বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা দেউলিয়া হয়ে পড়ায় নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এ সময় ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে রাস্তায় নামার ঘোষণা দেন বক্তারা।
    বর্তমান রাতের আঁধারে ভোট করা সরকার মধ্যরাতে জ্বালানি তেলে মূল্য বৃদ্ধি করেছে। তারা জনগণের কথা চিন্তা না করে একাজ করেছে। তাদের হাত থেকে জনগণকে বাঁচাতে সবাই আজ মাঠে নেমেছে। বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবো না।
  • রাণীশংকৈলে কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষাণীরা।

    রাণীশংকৈলে কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষাণীরা।

    রাণীশংকৈলে কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষাণীরা !


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কেঁচো সার উৎপাদন করে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি নিজের ভাগ্য বদল করেছেন
    অর্ধশতাধিক কৃষাণী।

    গুণগত মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষক ও নিজেদের চাহিদা পূরণ করে এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের চাহিদা পূরণ করছে তাদের উৎপাদিত কেঁচো সার।

    প্রতিমাসে এই খামার থেকে তারা আয় করছেন লাখ টাকা। ফলে মাত্র এক বছরের মধ্যে  নিজেদের সফল খামারি হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীও তারা।

    এদিকে কৃষাণীর  তৈরীকৃত কেঁচো সার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এলাকাতে। তা দেখে এখন উপজেলার অনেক যুবক ও নারীরা বিষমুক্ত এ জৈব সার উৎপাদনে ঝুঁকে পড়ছেন।

    জানা গেছে, ফসলের ক্ষেতে রাসায়নিক সার ব্যবহারে অতিরিক্ত ব্যায় করতে হয় কৃষকদের। আর এই ব্যায় কমিয়ে আনতে কেঁচো দিয়ে তৈরীকৃত সার উৎপাদন শুরু করেন  তারা। হাতের নাগালে ভালো মানের সার পাওয়ায় এখন কৃষকরা তা কিনে নিজ জমিতে প্রয়োগ করছেন। ফলে ফসলের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কৃষক মো. আশরাফ বলেন, ‘এ বছর কেঁচো সার দিয়ে ধান ও মরিচের আবাদ করেছি। ফলন অনেক ভালো।’

    অপর কৃষক লুতফর হোসেন বলেন, কৃষাণীদের উৎপাদিত সার দিয়ে ধান, ভুট্রা, মরিচ ও মুগডাল আবাদ করেছি। অন্য সারের তুলনায় অর্ধেক খরচ হয়েছে।’

    কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (সিডিএ) দিনাজপুর এর আর্থিক সহায়তায় উপেজেলার গাংগুয়া গ্রামে জৈব কৃষি চর্চা নারী উন্নয়ন জনসংগঠনের ৩৬  জন নারীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গত বছর এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এ সংগঠনের সহায়তায় গড়ে তোলা হয়েছে কেঁচো সার তৈরির শেড। বাড়ির কাজ শেষ করে অবসর সময়ে এটা নিয়েই ওই নারীদের ব্যস্ততাপূর্ন সময় কাটে। কারণ কেঁচো সার উৎপাদন ও বিপণনে তাদের সংসারে এনেছে স্বচ্ছলতা।

    জনসংগঠনের সদস্য হাজেরা জানান, সিডিএ’র সহযোগিতায় গত বছর আমরা ২০ হাউস তৈরি করি। এ শেড থেকে যে সার উৎপাদন হয় সেগুলো বিক্রি আমরা ১৫-১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এপর্যন্ত আমরা এই শেড থেকে লক্ষাধিক টাকার অধিক কেঁচো সার বিক্রি করেছি।

    আশরাফি নামের আরেক সদস্য জানান,
    ‘কেঁচো, গোবর, কচুরিপানা, কলাগাছ, খড়কুটা দিয়ে মাত্র ২৫-৩০ দিনের মধ্যেই তৈরী হচ্ছে কেঁচো বা জৈব সার। এলাকার বেশিরভাগ কৃষক এখন অন্য সারের পরিবর্তে ব্যবহার করছেন এই সার।’
    ‘রিং, কারেন্ট ও হাউজ পদ্ধতিতে এ সার উৎপাদন করছি। বিষমুক্ত নিরাপদ ফসল উৎপাদনে কেঁচো সারের কোন বিকল্প নেই

    পয়গাম আলী নামের এক সদস্য জানান, শেডের ভিতরে অর্থাৎ বাড়িতে কেঁচো সার উৎপাদন যেমন সহজ তেমনি এর চাহিদাও বেশি। এ কাজ থেকে বিনা ঝামেলায় অতিরিক্ত আয় হয়, পাশাপাশি নিজেদের জমিতেও ব্যবহার করছি এ সার। এর সারের ব্যবহারের চাহিদা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    সিডিএ’র মহলবাড়ি ইউনিট ব্যবস্থাপক আহসান হাবিব বলেন, ‘উচ্ছিষ্ট, গোবর, তরকারির খোসাসহ আবর্জনা দিয়ে কেঁচোর মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে আদর্শ ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা হয়। এগুলো ফসলের জন্য খুবই উপকারী। গত বছর আমরা আমাদের এনজিও থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে এই জনসংগঠনের সদস্যদের এ টিনের শেডে ২০টি হাউস তৈরি করে দিই। এখন তারা এখান থেকে সার উৎপাদনের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিক্রি করে আর্থিকভাবে ভালোই স্বাবলম্বী হয়েছে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘কেঁচো সারটি ফসল উৎপাদনের জন্য অনেক ভালো। এ সার ব্যবহারের খরচও অনেক কম। এছাড়া সারটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

    আমরা কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে এবং কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে কম্পোস্ট সারের ব্যবহার বাড়াতে পরামর্শ দিয়ে থাকি।

  • রাণীশংকৈলে ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-নৌকা প্রতিকে আ’লীগ,স্বতন্ত্রে বিএনপি।

    রাণীশংকৈলে ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-নৌকা প্রতিকে আ’লীগ,স্বতন্ত্রে বিএনপি।

    রাণীশংকৈলে ৩ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-নৌকা প্রতিকে আ’লীগ,স্বতন্ত্রে বিএনপি।

    আসন্ন নির্বাচনে আনারস প্রতিকের একটি পোষ্টারে মনতাজ আলী নামে মুরব্বী ধরনের একজন মানুষের ছবি । তার পাশেই লেখা রয়েছে সভাপতি ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ঠিক এভাবেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন বিএনপি’র মূল ধারার সংগঠনের নেতারা। অথচ বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা বলছেন এ সরকারে অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশগ্রহণ করবে না। এদিকে তিনটি ইউনিয়নে বিএনপির মূল ধারার নেতারাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। এতে প্রচার প্রচারণায় নামছেন বিএনপির ওর্য়াড পর্যায়ের নেতারাও।
    প্রতিকে নির্বাচন না করলেও স্বতন্ত্রে তারা নির্বাচনে কোমড় বেধেঁ নেমেছেন। অন্যদিকে দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন আ’লীগের নেতারা।
    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাচন অফিস ও দলীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে আ.লীগের দলীয় প্রতিকে নির্বাচন করছেন ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে, ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, ৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল বারী, ৫নং বাচোঁর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ.লীগের সম্পাদক জিতেন্দ্র নাথ রায়।
    অন্যদিকে ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি এম জি রব্বানী ঘোড়া প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। দলীয় প্রতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তাকে সম্প্রতি দল থেকে বহিস্কার করেছে জেলা আ.লীগ।
    এদিকে বিএনপি দলীয় প্রতিকে অংশ গ্রহণ না করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে নেমেছেন কোমরবেঁধে।
    ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন শাখা সভাপতি মমতাজ আলী আনারস প্রতিকে ভোট করছেন। ৫নং বাচোঁর ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন শাখা সভাপতি আবু জাহিদ ঘোড়া প্রতিকে এবং ৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন শাখা সভাপতি জমিরুল ইসলাম মোটরসাইকেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশাহ আলম আনারস প্রতিকে তাদের সমর্থিত নেতাকর্মিদের নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
    অন্যদিকে ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে স্বতন্ত্র হিসাবে চেয়ারম্যান পদে সুজন মুর্মূ চশমা প্রতিকে, ৮নং নন্দুয়ারে স্বতন্ত্র মাওলানা আলহাজ্ব শহিদুল্লাহ ঘোড়া প্রতিকে
    ৫নং বাচোঁর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি সমর্থিত আজিজুল ইসলাম মোটরসাইকেল ও আকতারুল ইসলাম ঘোড়া প্রতিকে নির্বাচন করছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র ভোট করছেন জৌতিষ চন্দ্র রায় চশমা প্রতিকে।
    সরেজমিনে প্রতিটি ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, বিএনপির ওর্য়াড পযায়ের নেতারা তাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা বলছেন,স্থানীয় নির্বাচনে আমরা স্বতন্ত্র অংশ গ্রহণ করেছি। এখানে দলীয়ভাবে তো আর করিনি। স্থানীয় নির্বাচনে কোন দল নেই। আমাদের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে, তাই আমরা কাজ করছি।
    হোসেনগাঁও ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শান্ত বলেন, আমাদের স্থানীয় ভোটারদের মনোনীত প্রার্থী মনতাজ আলীর পক্ষে আমরা কাজ করছি। আমরা কোন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি না। তাছাড়া দলীয়ভাবে যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি। তাই আমরা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি।
    নন্দুয়ার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জমিরুল ইসলাম বলেন, আমি গতবার দলীয় প্রতিকে নির্বাচন করে বিজয় লাভ করেছিলাম। এবার দল নির্বাচন করছে না। তবে স্থানীয় সমর্থকদের চাপের কারণে তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দলের তেমন কোন চাপ নেই।
    হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মনতাজ আলী বলেন, সাধারণ মানুষের চাহিদার কারণে তিনি ভোটে দাড়িয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও তার জন্য প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করছেন।
    বাচোঁর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু জাহিদ বলেন, ভোটে অংশ গ্রহণ করেছি স্থানীয় কারণে এখানে দলের কোন হিসাবে নেই। দল এ বিষয়ে কোন সহায়তা তিনাকে করছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।
    নৌকা প্রতিকের হোসেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। তবে স্বতন্ত্রভাবে, তা যেভাবে নির্বাচন করছে করুক একটি অংশগ্রহণ মূলক সুষ্ঠ নির্বাচন হোক এটাই আমার চাওয়া।
    নৌকার নন্দুয়ার ইউনিয়নের আব্দুল বারী ও বাচোঁর ইউনিয়নের জিতেন্দ্র নাথ বলেন, বিএনপি মুখে বলে নির্বাচন করবো না । কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ের মুল ধারার নেতারা স্বতন্ত্রে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। তাদের দলীয় নেতাকর্মিরাও কাজ করছে। বিএনপি নির্বাচনে এসেছে ভোট করছে এটা আমাদের ভালো লাগছে। আমরা তাদের সাধূবাদ জানাই, এবং একটি অবাধ সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠিত যেন হয় সেই জন্য তাদেরও সহায়তা চান নৌকার এ প্রার্থীরা।
    উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিয়নে মোট ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে আ.লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের তিনজন, অন্য ১২ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করছে।
    তিনটি ইউনিয়নে সাধারণ মহিলা আসনে মোট প্রার্থী ৪৫ জন এবং সাধারণ আসনে ৮৭ জন অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনটি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৬১ হাজার ১৪৮ জন। ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৭ জুলাই।
    উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার বলেন, কেউ দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি। তবে দলের কেউ স্থানীয় কারণে ভোটে অংশ গ্রহণ করলে তার দায় দায়িত্ব সে নিবে। দল কোনভাবেই ওই প্রার্থীর কোন দায়িত্ব নেবে না। ওর্যাড পর্যায়ের নেতারা সক্রিয়ভাবে অংশ নিলেও তারা দলীয় ব্যানারে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, কেউ তার নির্বাচনী পোষ্টারে দলের পরিচয় লেখলে সেটির সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ।
    উপজেলা আ.লীগের অন্যতম সদস্য তারেক আজিজ বলেন, বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ গ্রহণ না করলেও স্বতন্ত্রভাবে দলবল নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। এবং তারা বিএনপির প্রার্থী হিসাবে বিএনপি সমর্থকদেরও নিকটও ভোট প্রার্থনা করছেন। তাদের ওর্যাড পর্যায়ের  নেতারা কোমর বেধেঁ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন, এ জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে দুর্নীতির কারণে জনগণের কাছে তারা প্রতারক হিসাবে চিহৃিত হয়েছে।
  • রাণীশংকৈলে প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের নাভিশ্বাস, পুড়ছে মাঠের ফসল।

    রাণীশংকৈলে প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের নাভিশ্বাস, পুড়ছে মাঠের ফসল।

    রাণীশংকৈলে প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের নাভিশ্বাস,পুড়ছে খেতের ফসল।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে টানা ১০/১২ দিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। নীল আকাশে উড়ছে সাদা মেঘ, নেই বৃষ্টিপাত। প্রচণ্ড দাবদাহ আর সূর্যের প্রখর রোদে তপ্ত মাঠঘাট। আষাঢ়ের শেষেও দেখা নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাতের।

    এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না গরমের কারণে। দাবদাহের ফলে অস্থির হয়ে উঠছে মানুষ। তীব্র রোদের কারণে রাস্তায় বের হলে গায়ে যেন লাগছে আগুনের হলকা। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে রোদে পুড়ে বাইরে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন নির্মাণশ্রমিক আর ক্ষেতখামারে কৃষিশ্রমিকদের।

    এদিকে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দাবদাহে পুড়ছে ক্ষেতের ফসল। যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তারা ফসল বাঁচাতে জমিতে অতিরিক্ত সেচ দিচ্ছেন।

    রাণীশংকৈল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    আগের দিন বুধবার যা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৬১ শতাংশ। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

    উপজেলার ভরনিয়া গ্রামের কৃষক সুশান্ত বর্মন বলেন, ‘সূর্যের তীব্রতা এতই বেশি যে, বেশিক্ষণ ক্ষেতে কাজ করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরীরের চামড়া ঝলসে যাচ্ছে। ’ একই গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তাক বলেন, ‘গরমে আমার করল্লা ক্ষেতের গাছ ও পাতা ঝিমড়ে (কুঁকড়ে) পড়েছে। গাছের গোড়া পুড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত সেচ দিয়েও মাটিতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। ’

    ভুক্তভোগী আরেক কৃষক রাতোর গ্রামের মহসিন আলী বলেন, ‘গত ২০ বছরেও এমন গরম দেখা মেলেনি। শ্যালো মেশিনের পানি কম উঠছে, এতে সেচে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে। এরপরও ফসল ঘরে ওঠাতে পারব কি না জানি না। ’

    টানা দাবদাহ চলায় আমন ও সবজি ক্ষেতে সম্পূরক সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই কেটে যাবে এ দুর্ভোগ। ’

    শুধু কৃষকরাই নয়, তীব্র গরমে কঠিন সময় পার করছে উপজেলার মানুষরা। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ। রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক দিনে গরমের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে অনেকেই। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি।

    রাণীশংকৈল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, এ সময়ে শিশুসহ বয়োবৃদ্ধদের প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা। সিজনাল ফলমূল, ডাবের পানি ও স্যালাইন খেতে হবে। অতিরিক্ত আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসক বা নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। ’

  • সংবাদ প্রকাশের পর রাণীশংকৈলের সেই মাদরাসায় ইউএনও-শিক্ষা কর্মকর্তা।

    সংবাদ প্রকাশের পর রাণীশংকৈলের সেই মাদরাসায় ইউএনও-শিক্ষা কর্মকর্তা।

    সংবাদ প্রকাশের পর রাণীশংকৈলের সেই মাদরাসায় ইউএনও-শিক্ষা কর্মকর্তা।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া গ্রামে ভরনিয়া দাখিল মাদরাসাকে কেন্দ্র করে সাত শিক্ষার্থীর মাদরাসায় ১৮ শিক্ষক-কর্মচারী শিরোনামে আমারজমিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ওই মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন।

    শনিবার (০২ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. তৈয়ব আলী। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবেই পরিদর্শন করা হয়েছে।

    স্থানীয়রা জানায় মাদরাসাকে কেন্দ্র অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গত ২৭ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শনে আসেন এবং ৩০ জুন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পরিদর্শনে আসেন।

    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ‘মাদরাসা পরিদর্শনে রেগুলার ইয়ের অংশ হিসেবে গিয়েছি। এখানে আবার কী বলেন ? কী দেখলেন এবং দেখে কী মনে হলো ? উত্তরে বলেন এটা আগে আমাকে ডিসি স্যারকে জানাতে হবে। আমি কোনো অভিযোগের প্রেক্ষিতে যাইনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গেলে একটা কথা ছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া আছে।

    উপবৃত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, মাদরাসা থেকে ৪২ জন উপবৃত্তি পায়। তার মধ্যে ১৪ জন অনুপস্থিত থাকে। তাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে মাদরাসায় আসার জন্য। ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতির বিষয়ে বলেন কমিটির কোন্দল, এলাকার লোকজনের মধ্যে হিস্যা আছে, সে জন্য আসে না।

    শিক্ষকদের দায়িত্বের মধ্যে কী পড়ে না? প্রশ্নের উত্তরে বলেন তাদের দায়িত্বের বিষয়টি আমার ইয়ের মধ্যে পড়ে না, তাই না। এটা আবার তাদেরকে ডেকে আলোচনা করতে হবে। তারা চেষ্টা করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আসার জন্য। আমার মনে হয় যাদের সঙ্গে গ্যাঞ্জাম, তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বসে আলোচনা করতে হবে।

    এটা কী নতুন সমস্যা মনে করছেন?উত্তরে বলেন, আমাদের নলেজে নতুন এসেছে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে আপনাদের নিউজ হোক আর যেকোনো ভাবেই হোক আমরা তো গিয়েছি। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

    রাণীশংকৈল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমি মাদরাসায় গিয়েছিলাম। শিক্ষকদের নিয়ে মতবিনিময় করেছি। আড়াই তিন ঘণ্টা ছিলাম। তাদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। তারপরও নজরদারিতে থাকবে। পরিস্থিতি কেমন দেখলেন? প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পরীক্ষা তো শেষ, প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গতপরশু তো পরীক্ষা ছিল? উত্তরে বলেন, গত পরশু পরীক্ষা ছিল না। পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। আপনি কী পরীক্ষার রুটিনটা দেখেছিলেন সেদিন ? আমাকে বলেছে, পরীক্ষা ছিল না। এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেখলাম যে কতজন পরীক্ষা দিয়েছে। দেখলাম মোটামুটি ভালো। করোনাভাইরাসের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ষগুলো আমার নজরদারিতে থাকবে।

  • রাণীশংকৈলে পুকুরের পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু।

    রাণীশংকৈলে পুকুরের পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু।

    রাণীশংকৈলে পুকুরের পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে পুকুরের পানিতে পড়ে সলিমউদ্দিন (৭৮) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
    উপজেলার ভাংবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামে বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৭ টায় এ ঘটনা ঘটে। সলিমউদ্দিন ওই গ্রামের মৃত মহবুল হোসেনের ছেলে।
    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মন বৃদ্ধের পুকুরের পানিত ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    রাণীশংকৈল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল লতিফ সেখ মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, ঘটনার দিন সলিমউদ্দিন (প্যারালাইজড রোগী) অসুস্থবস্থায় বাড়ির পাশের পুকুর পাড় দিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন।
    এ সময় তিনি পা পিছলে পুকুড়ে পড়ে মারা যায়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পরিবারের লোক পুকুরে ওই বৃদ্ধের মাথার টুপি দেখতে পায়। পরে পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
    পুকুরের পানিতে পড়ে সলিমউদ্দিন নামে বৃদ্ধের মৃত্যর বিষয়টি রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক (ওসি) এম এস জাহিদ ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
    ওসি আরও জানান পারিবারিক ভাবে কোন অভিযোগ না থাকা মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।