Tag: রাণীশংকৈল

  • রাণীশংকৈলে মাদক কারবারিকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    রাণীশংকৈলে মাদক কারবারিকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ফুলবাবু (২৬) নামে এক মাদক কারবারিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদক আইনে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
    তিনি পৌর শহরের মধ্যভান্ডারা এলাকার রংপুরিয়া বস্তির মৃত নাজির হোসেনের ছেলে।
    গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে যৌথবাহিনীর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ির নিজ বাড়ি থেকে ২’শ ৮০ গ্রাম গাঁজা সহ তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
    রাণীশংকৈল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মাদক কারবারি সাজাপ্রাপ্ত ফুলবাবুকে বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
  • রাণীশংকৈল রামরাই দীঘিতে অতিথি পাখির মেলা, দর্শনার্থীদের ভীড়।

    রাণীশংকৈল রামরাই দীঘিতে অতিথি পাখির মেলা, দর্শনার্থীদের ভীড়।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    শীতপ্রধান দেশ থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার অন্যতম প্রাচীন ও সর্ব বৃহৎ রামরাই রাণীসাগর দিঘিতে রং-বেরঙের নানা প্রজাতির অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত এখন পুকুর প্রাঙ্গন। শীত মৌসুমে ভালোবাসার টানে লাখো হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রামরায় দিঘিতে আসে এসব পাখি। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখি ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
    এসব পাখি দেখতে যেমন সুন্দর, ঠিক তেমনই আকর্ষণীয় তাদের খুনসুটি।প্রতিবছর শীত এলেই এসব পাখি এখানে এসে প্রকৃতিতে সাজাই নতুন সাজে।
    পাখিদের মুহুর্মুহু কলতানে পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে।
    প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির সমাগম হয়েছে এখানে। পাখিদের কলকাকলিতে পুরো এলাকা মুখরিত। পাখি প্রেমি ও সৌন্দর্য পিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত পর্যটন কেন্দ্র’র পাখিগুলোকে দেখার জন্য ছুটে আসছেন।
    প্রচন্ড শীতের কারণে সাইবার অঞ্চল থেকে আসা পাখিগুলো সারাদিন রামরাই দীঘি বা রাণীসাগরে আহার করে সন্ধ্যা হলে আসে পাশের জলাশয়গুলোতে আশ্রয় নেয়। সকাল হলেই আবার রাণীসাগরে ফিরে এসে খাবার সংগ্রহ করে।
    উপজেলা শহর থেকে ৪ কিমি দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘীর অবস্থান। শহর থেকে যে কোন যানবাহনে ১০ থেকে ১৫ টাকা ভাড়া নেয়। যেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা। পুকুরটি ১৮.৩৪ একর সু-উচ্চ পাড় ও ২৩.৮২ একর জলভাগ সহ মোট ৪২.২০ একর বিশিষ্ট। পুকুরটির দৈর্ঘ্যে (উত্তর- দক্ষিণ) ৯০০ মিটার ও প্রস্থ (পূর্ব-পশ্চিম) ৪০০ মিটার। এর আয়তন প্রায় ৪২ একর। এর সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায়নি। ধারণা করা হয় দিঘিটি পাঁচশ থেকে হাজার বছরের পুরাতন হতে পারে।
    এক সময় এই দিঘি ছিল এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের পানির চাহিদা পূরণের উৎস। এ দিঘিকে ঘিরে নানা লোককথা শোনা যায়। পরবর্তীতে ২০০২ সালে রামরাই দিঘির নামকরণ করা হয় রানীসাগর। তবে লোকমুখে এটি রামরাই দিঘি নামেই পরিচিত। এর চারপাশে প্রায় ১২০০ এর অধিক লিচু গাছ সহ অন্যান্য গাছ লাগানো হয়েছে। চারিদিক যেনো সবুজের বিশাল সমারোহ আর দিঘীর টলটল জলরাশি মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।
    প্রতিবছর শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষের দিকে  ও জানুয়ারি মাসের প্রথম দিক প্রধানত উত্তর মরু, ইউরোপ, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, হিমালয়ের পাদদেশ, তিব্বত অঞ্চল থেকে  রামরাই দিঘিতে আসা পাখিদের মধ্যে রয়েছে:  সাদা বক, বালিয়া, পানকৌড়ি, ঘুঘু , সারস, রাতচোরা, গাংচিল, পাতিহাঁস, বুনোহাঁস, খঞ্জনা, ওয়ার্বলার, হাড়গিলা, স্নাইপ বা কাদাখাঁচা, কোকিল সহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন রামরাই দিঘির সৌন্দর্য পাখি প্রেমিক ও পর্যটকদের মন আকৃষ্ট করে।
    সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে অতিথি পাখির দল। সন্ধ্যা নামলেই দিঘীপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। পাখিদের এই মুহুর্মুহু কলতানের টানে প্রতিদিনই দূর দুরান্ত থেকে রামরাই দিঘিতে ছুটে আসছেন পাখি প্রেমী পর্যটকরা। পাখিদের আসার মূল কারণ খাদ্য সংগ্রহ।
    মার্চ মাসের শেষের দিকে আপন আপন গন্তব্যে ফিরে যায় এসব পাখি। ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে রামরাই দিঘিকে নান্দনিক রুপ দেওয়ার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিঘির পাড়ের চারদিকে দর্শনার্থীদের বসার জন্য গাল আকৃতির ৩টি ছাতার ছাউনী ও ৫ টি বসার মাচা তৈরি করা হয়েছে। পুরো দিঘির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একটি নৌকা রয়েছে।
    এছাড়াও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি কাঠের ব্রীজ করা হয়েছে। রামরাই দিঘিটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হলে দেশের পর্যটন খাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
    সরেজমিনে কথা হয় দিনাজপুরের সেলিনা বেগমের সাথে। তিনি প্রতিবেদককে জানান, শুনেছিলাম রাণীসাগরে অনেক পাখি আসে। তাই দেখতে এসেছিলাম। এখানে এসে মনটা ভরে গেল। পুকুরের চারিদিকের শত শত লিচু গাছ দেখতে বেশ মনোরম। পুকুরের নীচ থেকে পাড়ের দিকে তাকালে মনে হয় আকাশের সাথে মিশে আছে
    স্থানীয় পাখি প্রেমিক শেখ মেহেদী, শহীদুল ইসলাম রকি সহ বেশ কয়েকজন জানান, রামরাই-দিঘি এলাকাটি নির্জন এলাকা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শীতের শুরুতে এখানে দেশি পাখি ছাড়াও অতিথি পাখি এসেছে। এখানে কয়েক মাস থাকার পর শীতের শেষে আবার পাখিরা ফিরে যায় নিজ নিজ দেশে। কিছু পাখি সারা বছরই থাকে এখানে।
    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন,রামরাই দিঘি রাণীশংকৈলের জন্য একটি অহংকার। এটি এই এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে রাখছে। অতিথি পাখিগুলো আমাদের এই রামরাই দীঘিতে প্রতি শীতকালেই আসে।‘রামরাই-দিঘি অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে। রামরাই দীঘির পুরো এলাকা আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে এটি রক্ষণাবেক্ষনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে
  • ভাঙচুর,মারামারিতে রাণীশংকৈলে হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান পণ্ড।

    ভাঙচুর,মারামারিতে রাণীশংকৈলে হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান পণ্ড।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি: দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘ইত্যাদি’র অনুষ্ঠানে মারামারি ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরে নির্ধারিত সময়ের আগেই পন্ড হয়ে যায় অনুষ্ঠানটি।
    বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৭টার পরে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত রাজা টংকনাথের রাজবাড়িতে আয়োজিত ইত্যাদির অনুষ্ঠান ঘিরে এমন ঘটনা ঘটে।
    অনুষ্ঠানের বেশ কিছু মারপিট ও ভাঙচুরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছবি ও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে সমালোচনায় সরব নেটিজেনরা।
    পরে স্থগিত করার ঘোষণায় ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানের পরিচালক হানিফ সংকেত বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও আপনাদের শান্ত করতে পারলাম না। আপনাদের জন্যই একটি সুন্দর আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। তবে সেটা আর সম্ভব হলো না। পারলাম না, আমি ব্যর্থ।’
    স্থানীয় ও আয়োজক সূত্রে জানা যায়,ঠাকুরগাঁও ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাজুড়ে ৪ হাজার প্রবেশ শুভেচ্ছা পাশের ব্যবস্থা করেছিল ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ। তবে অনুষ্ঠানে প্রায় লাখ খানেকের বেশি মানুষের সমাগম হয়। একপর্যায়ে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে ভাঙচুর ও মারামারি হয়। অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ একাধিকবার পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। উপায় না পেয়ে অনুষ্ঠানের মাঝপথে এসে স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। দর্শক কিছুটা কমলে এরপর অনুষ্ঠান শুরু করলে আবারও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। পরে ব্যর্থ হয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
    এমন পরিস্থিতির জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শনার্থীরা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।
    নাজমুল হোসেন নামে এক দর্শনার্থী তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, অতিরঞ্জিত কোনো কিছু ভালো না। এক দল মানুষ এখন বলবে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ ভালো না। আমি বলব এর দায়িত্বে যারা ছিলেন। হয়তো তারা দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে জানে না,  অথবা এর যোগ্যতা তাদের ছিল না।
    ইত্যাদি অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে প্রবেশের পাশ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। তবুও অনুষ্ঠানে ঢুকতে পারলাম না। এটা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্যেই হয়েছে।
    দর্শনার্থী সোহেল রানা বলেন, ‘এমন অতিরিক্ত দর্শনার্থী উপস্থিতির ধারণা আগে থেকেই ছিল। তবুও কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা। এ ছাড়া এত অল্প জায়গাতে এমন অনুষ্ঠান করা ঠিক হয়নি।’
    ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান ধারণ দেখতে আসা মাসুদ আলম বলেন, ‘আমি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে প্রবেশের শুভেচ্ছা পাস নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। তারপরও অনুষ্ঠানে ঢুকতে অনেক কষ্ট হয়েছে। প্রথম থেকেই কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা ছিল না। এটা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্যই হয়েছে।
    এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংবাদকর্মী জানান, রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সহযোগিতার জন্যে পাশে দাঁড়াতে চাইলে, উল্টো তিনি, সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সাধারণ মানুষ বলছে যেটা মোটেও কাম্য নয় আমরা একজন নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এটা কখনো আশা করিনি।
    তবে এ ঘটনার সম্পূর্ণ দায় উৎসুক জনতাকে দিয়ে অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ।
    ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ভাঙচুর মারামারির পরে অনুষ্ঠানস্থল থেকে দর্শকদের বের করে দিয়ে পুনরায় রাত ১১টার দিকে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র শুটিং এর কিছু শর্ট পরবর্তীতে আবার শুরু করা হয়। তবে দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা পরবর্তীতে সেই ইত্যাদির শুটিং ভালোমতো কেউ উপভোগ করতে পারেনি।
    রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক বলেন, মারামারি হয়নি, তবে কিছু দুষ্টু ছেলে চেয়ার ফিকাফিকি করেছে। আর অনুষ্ঠান সময়ের আগেই শেষ করে দিয়েছে। কেউ আহত হয়নি।
    বিষয়টি নিয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসানকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
  • রাণীশংকৈলে টিসিবি কার্ডে দিনমজুর হিসেবে চাকরিজীবীর নাম।

    রাণীশংকৈলে টিসিবি কার্ডে দিনমজুর হিসেবে চাকরিজীবীর নাম।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ট্রেডিং কর্পরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) “স্মার্ট ফ্যামিলি  কার্ড” নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
    এই নিয়ে টক অফ দ্য টাউনে পরিনত  উপজেলাজুড়ে ।
    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে রব্বানী পারভেজ নামের এক শিক্ষকের দিনমজুর দেখানো স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের ছবি। যার কার্ড নাম্বার ৯৪৮৬০৫৫০০০৫৬৭। সে কার্ডে দেখানো হয়েছে তিনি একজন দিনমজুর। আসলে তিনি কোন দিনমজুর না। তিনি হলেন রাণীশংকৈল উপজেলার চাপোর পাব্বতীপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
    এছাড়াও যাদুরানী আদর্শ কলেজের লাইব্রেরীয়ান জাহাঙ্গীর আলম, গাজির হাট ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সিরাজুল ইসলাম, রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী (কেরানী) গোলাম রব্বানী, হরিপুর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের মোহরার গোলাম মোস্তফা এর টিসিবি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তারা সকলেই রাণীশংকৈল পৌরসভার ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
    বেশিরভাগ উপকারভোগীরা বলছেন এই কার্ড গুলো কিভাবে হয়েছে তারা তা জানেন না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এক শিক্ষক বলেন ভোটার আইডি ও ছবি কাউন্সিলর তার নিকট চেয়েছিলো তিনি তাকে দিয়েছিলেন। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে সাবেক পৌর মেয়র, কাউন্সিলরা এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে সমন্বয় করে এমন আরও অনেক সচ্ছল পরিবারের তালিকা করেছেন। যাদের নামেও টিসিবি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড হয়েছে।
    রাণীশংকৈল উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, এমন অনেকেই আগে থেকেই স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের সুবিধা পাচ্ছিলেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে । আমরা  জেনেছি। তাদের কার্ডগুলো সংশোধন করা হবে।
  • সাফ চ্যাম্পিয়ান রাণীশংকৈলের তিন নারী খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা।

    সাফ চ্যাম্পিয়ান রাণীশংকৈলের তিন নারী খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন-২৪ বিজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। নিজ জেলায় সংবর্ধনা পেলেন সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী দলের ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমির তিন খেলোয়াড় স্বপ্না রানী, কোহাতি কিসকু ও সাগরিকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা নিজ কার্যালয়ে ওই তিনজন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা দেন।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরদার মোস্তফা শাহিন,
    রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাকিবুল হাসান,  ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা তাজুল ইসলাম,  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিন, ঠাকুরগাঁও জেলা ফুটবল রেফারিজ এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মো: ফারুক হোসেন, মাজেদ জাহাঙ্গীর অপু, মাসুদ রানা প্রমুখ।
    শুভেচ্ছা বিনিময়ের আগে নারী ফুটবলারদের সফলতা ও তাদের পরিশ্রম বিষয়ে জানতে চান জেলা প্রশাসক। এ সময় ইশরাত ফারজানা বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের ক্রীড়া জগতকে এগিয়ে নিতে জেলার সকল মাঠ সংরক্ষণ করা হবে। মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জিমনেসিয়াম তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।
    রাণীশংকৈল মহিলা ফুটবল একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ও কোচ তাজুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় বারের মত সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমাদের জন্য গর্বের। যা আগামী দিনে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। মেয়েরা প্রমাণ করেছে তাদের মধ্যে অদম্য শক্তি ও প্রতিভা রয়েছে যা সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারলে তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারবে।
    উল্লেখ্য, টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই দলেই খেলেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমির স্বপ্না রানী, সাগরিকা ও কোহাতি কিসকু।
  • উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈলে মানববন্ধন।

    উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈলে মানববন্ধন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন ও সহজীকরণে নেকমরদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার দুপুরেে দিকে একই ব্যানারে নেকমরদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে নেকমরদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে গঠিত কমিটি, শুভ শক্তি ইউনিটি ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
    উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ধর্মগড়, কাশিপুর, নেকমরদ, রাতোর সহ পাশ্ববর্তী দুই উপজেলার ভানোর,  বড় পলাশবাড়ী ও গেদুরা ইউনিয়নে প্রায় দেড় লক্ষের বেশি মানুষ বসবাস করে। এসব ইউনিয়ন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুরত্ব ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা ও দুরত্ব বেশি হওয়ায় কারণে ওই সব ইউনিয়নের গ্রাম অঞ্চলের গরিব, অসহায়, দুস্থ এবং গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ ৬টি ইউনিয়নের মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণে একটি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল জরুরি হয়ে পড়েছে।
    নেকমরদ ইউনিয়নে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে গঠিত কমিটি আইন উপদেষ্টা এডভোকেট মেহেদী হাসান শুভর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জামায়াত নেতা শাহজালাল জুয়েল, জামায়াত নেতা আশরাফুল আলম, বিএনপি নেতা ইয়াসিন আলী, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, ছাত্রদল নেতা কাউসার হাবীব নাখরাজ , ব্যবসায়ী খালিদ হাসান দিনার, শিক্ষক রাজিউর রহমান, শিক্ষক মাসুদ রানা, সাংবাদিক ইসমাম আহমেদ অনন্ত, এইচ মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।
  • সাফ চ্যাম্পিয়ান রাণীশংকৈলের নারী ফুটবলারদের ফুলের শুভেচ্ছা।

    সাফ চ্যাম্পিয়ান রাণীশংকৈলের নারী ফুটবলারদের ফুলের শুভেচ্ছা।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    এবারে নিজ জেলায় ফুলেল শুভেচ্ছা পেলেন সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী দলের খেলোয়াড় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমিরস্বপ্না রানী, কোহাতি কিসকু ও সাগরিকা।
    বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা নিজ কার্যালয়ে ওই তিনজন নারী ফুটবলারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এর আগে সকালে ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় এসেছেন নারী ফুটবলার।
    এসময় সময় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ তালুকদার,তারেক হাসান তাহসিন,রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমি প্রতিষ্ঠাতা তাজুল ইসলাম সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
    শুভেচ্ছা বিনিময়ের আগে নারী ফুটবলারদের সফলতা ও তাদের পরিশ্রম বিষয়ে শুনেন জেলা প্রশাসক। সেই সাথে তাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। এছাড়াও আগামীকাল তিনজন নারী ফুটলারকে সংবর্ধনা দেয়া হবে ।
    উল্লেখ্য: টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই দলেই খেলেছেন ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড ফুটবল একাডেমির স্বপ্না রানী,সাগরিকা ও কোহাতি কিসকু।
  • রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন।

    রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের ৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    সোমবারে রাতে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাবেক সভাপতি মোবারক আলী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় উপস্থিত সব সদস্যের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়।এর আগে সভায় আগের কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

    গঠিত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক ছবি কান্ত দেব (দৈনিক খবর একদিন) যুগ্ম আহ্বায়ক একে আজাদ (দৈনিক আজকের প্রতিভা) সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন (দৈনিক আজকের দর্পণ)

    আহ্বায়ক কমিটি আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে এবং যথাযথ নিয়ম প্রতিপালন করে নতুন সদস্য পদ দেওয়ার উদ্যোগ নেবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    এদিকে তলবি সভা শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রাণীশংকৈলে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক অধ্যাপক আইয়ুব আলী (দৈনিক সংগ্রাম) নুরুল হক (দৈনিক উত্তরা) আনিসুর রহমান বাকি (উত্তর বাংলা) ফারুক আহম্মেদ সরকার (মোহনা টিভি) আশরাফুল আলম (এশিয়ান টেলিভিশন) বিজয় রায় (ভোরের ডাক) জিয়াউর রহমান (যায়যায় দিন) আনোয়ার হোসেন আকাশ (আমাদের সময়) আনোয়ার হোসেন জীবন (নয়া দিগন্ত) খুরশিদ আলম (আজকের পত্রিকা) আহম্মেদ ইসমাম (ঢাকা টাইসম) আবদুল্লাহ আল নোমান (জনকণ্ঠ) সবুজ ইসলাম (বাংলাদেশ বুলেটিন)।

  • রাণীশংকৈলে ৩০ হাজার টাকার স্ট্রিট লাইট লক্ষাধিক টাকায় ক্রয়।

    রাণীশংকৈলে ৩০ হাজার টাকার স্ট্রিট লাইট লক্ষাধিক টাকায় ক্রয়।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বর্তমান বাজারে একটি সোলার স্ট্রিট লাইট (সড়কবাতি) স্থাপনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা খরচ হলেও ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল পৌরসভায় একটি স্ট্রিট লাইট স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৯ টাকা। এনিয়ে বেশ সমালোচনা পৌরসভাজুড়ে। এদিকে স্ট্রিট লাইট স্থাপনেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
    জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে পরিবেশ,বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের আওতায় গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে রাণীশংকৈল পৌর এলাকায় সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পে ১৫০টি লাইটের দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ।
    কাজটির জন্য  চুক্তিবদ্ধ হয় এনার্জিয়ন বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ১৫০টি স্ট্রিট সোলার লাইট স্থাপনে মোট ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৪৯৯ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয় ওই কোম্পানিটি।
    বাজারের ৩০ হাজার টাকার একটি স্ট্রিট লাইট পৌরসভার বরাদ্দে ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৯ টাকা। বাজার থেকে প্রায় এক লাখ টাকা বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। এতে ১৫০টি লাইটে প্রায় দেড় কোটি  টাকা গচ্চা যাচ্ছে সরকারের।
    বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে এই প্রতিবেদক অনুসন্ধানে নামেন। এই সময় পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী জাবেদ আলী লাইট স্থাপনের এস্টিমেট বা কাজের ধরন সম্পর্কে তথ্য দিতে সময় ক্ষেপণ করেন। একপর্যায়ে অপারগতা জানান।
    পরে পৌর প্রশাসক ইউএনও রকিবুল হাসানের সঙ্গে কথা বললে তিনি প্রথমে তথ্য দিতে অপারগতা জানালেও দুদিন পরে লাইট স্থাপনের ডিজাইনসহ এস্টিমেটের দুটি ছবি প্রতিবেদকে দেন। তবে এলএডি লাইট, সোলার প্যানেলসহ অন্য মালামাল কোনোটার কেমন দাম ধরা হয়েছে সেটির কোন তথ্য প্রকৌশলী বা ইউএনও কেউই দেননি।
    পৌর প্রশাসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোলার স্থাপনে ৩ ফুট মাটি খনন করে ৫ ইঞ্চি সিসি ঢালাই দিয়ে ২ ফুট বাই ২ ফুট আরসিসি বেজ ঢালাই দেওয়ার নিয়ম।কিন্ত সেটি করছেনা ঠিকাদার কিংবা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। তারা সিসি ঢালাই বাদ দিয়ে সর্ব্বোচ ১৬ ইঞ্চির একটি স্লাব দিয়ে সোলারের গোড়া বসিয়ে মাটিচাপা দিয়ে ওপরে আবার ১৪ থেকে ১৫ ইঞ্চির খোয়া ঢালাই দিচ্ছে।
    ১৬৫ ওয়াটের সোলার প্যানেল দেওয়ার বিধান থাকলেও তারা কোথাও ৮৫ ওয়াটের প্যানেল ও নিন্মমানের এলইডি লাইট স্থাপন করছে বলে অভিযোগ  উঠেছে।
    দুইবছর আগে উপজেলা পরিষদের আওতায় রাণীশংকৈল উপজেলার আঞ্চলিক সড়কের ধারে জাইকার প্রকল্পে শতাধিক সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপনে ব্যয়  ধরা হয়েছিলো ৪৫ হাজার টাকা।
    পৌরসভার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘ভালো লাইট যেখানে ৩০ হাজার টাকায় স্থাপন সম্ভব। সেখানে পৌরসভা এত অতিরিক্ত টাকায় কেন বর্তমানে লাইট স্থাপন করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।’ তারা বলেন, ‘সরকার বা রাষ্ট্র অযথায় প্রায় কোটি টাকা গচ্চা দিচ্ছে।’ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে দেখার আহ্বান জানান তারা।
    পৌরসভার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ বলেন, ‘স্ট্রিট লাইট নিয়ে অনিয়ম হচ্ছে। যেসব মালামাল স্থাপন হচ্ছে এগুলো নিম্নমানের। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ তা ছাড়া বিভিন্ন সময় লাইটের দাম নিয়েও অনেকে তার কাছে অভিযোগ করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
    পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী জাবেদ আলী বলেন, ‘ইতিমধ্যে শতাধিক লাইট স্থাপন হয়েছে। স্ট্রিট লাইটের বিষয়ে মন্ত্রণালয় যা অনুমোদন দিয়েছে, তা আমরা বাস্তবায়ন করছি। কাজে কোন অনিয়ম হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
    বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক (রংপুর) মোস্তফা রায়হান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সোলার লাইট স্থাপনের ব্যয় যাচাই বাছাই করে ধরা হয়েছে। সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপনে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
    ইউএনও এবং পৌর প্রশাসক রকিবুল হাসান বলেন, সিসি ঢালাই বা অনিয়মের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।
  • রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ‘র পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ।

    রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ‘র পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন হেলালের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা কলেজ চত্বরে এই কর্মসূচি করেন।

    শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসার পর বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। স্লোগানে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে। একদফা এক দাবি অধ্যক্ষের পদত্যাগ।’

    বিক্ষোভ মিছিলে এসে কলেজের পক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রভাষক কামাল উদ্দীন, মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী অধ্যাপক শাহাজাহান আলী। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে সহকারী অধ্যাপক শাহাজাহান আলী বলেন, ‘তোমাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে দাও। দাবী নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, কলেজে বহিরাগতরা চলাফেরা করে, ছাত্রীদের বিরক্ত করে। বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। কলেজ চত্বরে মাদক সেবন হয়। পরীক্ষার ফি বেশি নেওয়া হয়। কলেজের কক্ষগুলো ঠিকমতো পরিস্কার করা হয় না। অধ্যক্ষ নিয়মিত অফিস করে না। তিনি কখনো শ্রেনি কক্ষগুলোতে পরির্দশনে যান না। এমন অনেক অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘তিনি একজন ব্যর্থ অধ্যক্ষ। তাঁকে দিয়ে এতবড় একটি কলেজ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই আমরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করছি।’

    শিক্ষার্থী হামিম রানা বলেন, ‘কলেজটি কে নিয়ন্ত্রন করছে। অধ্যক্ষ না অন্য কেউ, তা বুঝতে পারছি না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, বাইরে থেকে একজন ছেলে এসে তাঁকে বিরক্ত করেছেন। তিনি এ বিষয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    কলেজের ছাত্রনেতা আতিকুর রহমান আতিক বলেন, কলেজে আজ মিছিল হলো, মিছিল শেষে শিক্ষক প্রতিনিধিদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে একটি পত্র অধ্যক্ষকে দেওয়া হলো। এ দাবিগুলো পূরণে যদি কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। তাহলে আগামীতে আরো বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।