Tag: মৌলভীবাজার

  • মৌলভীবাজারে সাড়ে ২১ লাখ টাকার ভারতীয় অবৈধ চিনি ও নাসির বিড়িসহ গ্রেফতার-১।

    মৌলভীবাজারে সাড়ে ২১ লাখ টাকার ভারতীয় অবৈধ চিনি ও নাসির বিড়িসহ গ্রেফতার-১।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও রাজনগরে সাড়ে ২১ লাখ টাকার ভারতীয় চিনি ও নিষিদ্ধ নাসির উদ্দিন বিড়ি আটক করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ইং, বেলা ২টার সময় কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের রাধানগর এলাকায় অভিযান চালানো সময় অবৈধভাবে আসা চিনি আটক করা হয়ে।
    জানা যায়, কমলগঞ্জে চোরাইপথে আসা ২৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অভিযানে অবৈধভাবে আমদানি করা ৫০ কেজির ২৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করলেও পাচারে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক আটক করা যায়নি। এ সময় চিনির গোডাউন সিলগালা করা হয়।
    শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আকনজী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ভারতীয় একটি কোম্পানির ২৯০ বস্তা মোট ১৪ হাজার ৫০০ কেজি চিনি জব্দ করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৯ লাখ টাকা।
    স্থানীয়রা জানান, চিনি পাচারকারী এই চক্রের সদস্যরা মিলে দীর্ঘ দিন ধরে ভারত থেকে চোরাই পথে কম দামে ভারতীয় চিনি এনে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছিল। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আমদানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি চক্র ভারত থেকে চোরাই পথে কম দামে চিনি নিয়ে আসে। ওই চিনি দেশীয় কোম্পানির চিনির বস্তায় ভর্তি করে চক্রটি। পরে তা দেশীয় কোম্পানির চিনি হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করে।
    অভিযানের সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে চিনি গোডাউনে রেখে বাকি চিনি ভর্তি দুটি ট্রাক মৌলভীবাজারের দিকে চলে যায়।
    এছাড়াও কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনি। এতে চোরাকারবারীরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। ঠকছেন ভোক্তারা। সীমান্ত এলাকা থেকে প্রাই ট্রাক ও পিকআপ ভর্তি চিনি আসার কারণে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
    স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কুলাউড়ার ফুলতলা, চাতলাপুরসহ সীমান্তের কয়েকটি স্থান দিয়ে প্রতিদিন আনা হচ্ছে ভারতীয় চিনি। সাধারণত ভোর রাতে অবৈধ চিনি আনা হয়। শমশেরনগরের স্থানীয় চোরাকাবারীসহ কমলগঞ্জ ও কুলাউড়ার একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধ চিনি ব্যবসার সাথে সংপৃক্ত। সীমান্ত অতিক্রম করেই তারা ভারতীয় বস্তা পরিবর্তন করে দেশীয় বস্তা দিয়ে চিনি পরিবহন করে। ফলে প্রশাসন ইচ্ছে করলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। সীমান্ত এলাকার নিরীহ সাধারণ লোকদের দৈনিক ভিত্তিতে মজুরি প্রদান করে এই ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শমশেরনগর বাজারের দু’জন ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় চিনি কিনে বিক্রি করছি। শমশেরনগর ভেতর বাজারের এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে তুলনামূলক কম দামে ভারতীয় চিনি পাওয়া যাচ্ছে। তিনি যদি একবার অকশনের মাল ক্রয় করেন পরে পুরো মাস অবৈধভাবে আসা চিনি সরবরাহ করেন।
    পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মৌলভীবাজার এর সহকারী পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, আসলে এই বিষয়টি পুলিশ দেখলে ভালো হয়। সেখানে মামলার বিষয়ও জড়িত রয়েছে। তারপরও অভিযানে আসলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
    এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রইছ আল রেজুয়ান, অভিযানকালে ঘটনাস্থলে কোনো ট্রাক পাওয়া যায়নি। তবে ২৯০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    অন্যদিকে এসআই অরূপ সরকার বলেন, একদল পুলিশ রাজনগরের টেংরা বাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালান। এ সময় একজন আসামিকে সাদা রংয়ের করোলা প্রাইভেট কারসহ আটক করা হয়েছে। টের পেয়ে একজন আসামি পালিয়ে যায়। আটক গাড়ি তল্লাশি করে ১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ শলাকা আমাদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় শেখ নাসির উদ্দিন বিড়ি, যার মূল্য প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
    রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালেক জানান, আটক আসামি ও পলাতকদের বিরুদ্ধে থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া টাকাসহ বিড়ি জব্দ করা হয়।
  • মৌলভীবাজারে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত।

    মৌলভীবাজারে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলচালক আব্দুস সামাদ (২২) নামের এক নিহত হয়েছেন।
    মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ইং, সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার মক্তদির বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    সামাদ কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডি ইউনিয়নের আব্দুর রশিদের ছেলে। বর্তমানে সামাদের পরিবার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী এলাকায় থাকেন।
    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলার প্রবেশমুখ মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলে চাপা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলচালক আব্দুস সামাদ ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    তার মামা সিএনজিচালক ইসলাম উদ্দিন বলেন, আব্দুস সামাদের বাবা আব্দুর রশীদ জুড়ী ভবানীগঞ্জ বাজারের ইনজাদ আলী মার্কেটে দর্জির কাজ করেন। সামাদ তার নানা বাড়ি বাছিরপুরে থাকত। তিনি কিছুদিনের মধ্যে প্রবাসে যাওয়ার কথা ছিল। তার প্রবাস যাত্রার স্বপ্ন পুরণ হলো না।
    জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) হুমায়ুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর ট্রাক ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
  • বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মৌলভীবাজারের এডভোকেট আতাউর রহমান শামীম।

    বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মৌলভীবাজারের এডভোকেট আতাউর রহমান শামীম।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :

    রাজধানী ঢাকা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেষ্টুরেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগনেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আতাউর রহমান শামীম মারা গেছেন।নিহত আতাউর রহমান শামীমের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিজ গ্রামসহ বয়ছে শোকের মাতম।
    নিহত এডভোকেট  শামীমের সঙ্গে থাকা নূরুল আলম জানান, দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে তাঁরা দুজন একসঙ্গে  পুরানাপল্টনের হোটেল ক্যাপিটেল থেকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কফি খেতে যান।

    ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান নেওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টের নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ কয়েকটি আওয়াজ শুনতে পান। এরপর তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা,তাই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন। এ সময় ভিড়ে আতাউর রহমান শামীমকে আর দেখতে পাননি নূরুল আলম। হেলিপ্যাডের মাধ্যমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অ্যাডভোকেট শামীম আর পরিবারে ফেরা হলোনা, তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।

    পরিবার সুত্রে জানাজায়, নিহত আতাউর রহমান শামীমের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেন। আগামী রোববার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা ছিল।

    আতাউর রহমান শামীমের জানাজা  শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে ও দ্বিতীয় জানাজা বাদ মাগরিব তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

    এডভোকেট  আতাউর রহমান শামীম রাজনৈতিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা দপ্তর সম্পাদক ও  কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে মহাজোটের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

  • মৌলভীবাজারে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর আ.লীগের হামলা।

    মৌলভীবাজারে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর আ.লীগের হামলা।

    নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিনঃ মৌলভীবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। এতে ওই সময় শহীদ মিনারে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
    বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং, রাত ১২ টায় সময় মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘটনা ঘটে।
    শহীদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে প্রথম প্রহরের প্রটোকল অনুযায়ী প্রথমে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পুস্পস্তবক অর্পণ করতে যান। তখন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি নেছার সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সরে যেতে বলেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা সরে না গেলে; একপর্যায়ে তিনি পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে সামনে এগোতে চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ সদস্যরা আটকানোর চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে তেড়ে এসে হামলা করে।
    জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের প্রতিনিধিদল, জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম ও পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান।
    পরে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিসবাহুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান প্রমুখ।
    আওয়ামীলীগের পুস্পস্তবক অর্পণের সময় যুবলীগ সহ-সম্পাদক শিমুল আহমেদ চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান রনিসহ কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে সরে যান।
    এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু এটি জেলার বিষয় এসপি স্যারের সাথে কথা বললে ভালো হয়। এরপর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারকে।
  • মৌলভীবাজারে সিএনজি চালিত ২ অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ৩।

    মৌলভীবাজারে সিএনজি চালিত ২ অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ৩।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় নম্বরবিহীন দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই চালকসহ তিনজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি বিকালে মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মহাশস্ত্র গ্রামে ময়নার দোকাননামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর আবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,নম্বরবিহীন ২টি অটোরিকশা একটি রাজনগরের দাশটিলা থেকে তারাপাশা এলাকায় ও অপরটি কলেজ পয়েন্ট থেকে দাশটিলা গ্রামে যাচ্ছিল। পথে মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ময়নার দোকান এলাকায় উভয়ের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে
    ঘটনাস্থলেই উপজেলার দাশটিলা গ্রামের মোঃ বাছিত মিয়ার ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোঃ রাজু আহমেদ (২০) নিহত হন ও সিলেট ওসমানী মেডকেল কলেজে যাওয়ার পথে একই গ্রামের মোঃ কুদ্দুস মিয়ার ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোঃ সাহেল আহমদ (২২), এবং মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ফাহিম ওরফে নাইম আহমদ (২০) নামের আরেকজন নিহত হন।
    আহতরা হলেন- দাশটিলা গ্রামের আমজাদ মিয়ার স্ত্রী সেনাই বেগম (৫০), তার দুই মেয়ে রিমা বেগম (১৫) ও পিমা বেগম (১২)। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও মৌলভীবাজার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    নিহত-আহত তাদের সবার বাড়ি রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাশটিলা গ্রামে।
    দুর্ঘটনার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুস ছালেক। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
  • মৌলভীবাজারে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা-প্রতিবাদ সভা।

    মৌলভীবাজারে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা-প্রতিবাদ সভা।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক ইউনিয়ন (রেজি নং- মৌল-০৩৮) এর সভাপতি মোঃ জাফর ইকবাল, সাংবাদিক মোঃ সালেহ আহমদ এর বিরোদ্ধে হয়রানী মূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদ ও সুষ্ট তদন্তের দাবিতে মৌলভীবাজার কর্তব্যরত সাংবাদিক বৃন্দের প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
    রবিবার ১১ জানুয়ারি ২০২৪ইং, মৌলভীবাজার চৌমুহনা চত্বরে দুপুর ১২টার সময় প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়।
    এ সময় প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা বলেন, জগৎপুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক নির্যাতনে শিকার হয়ে ঐ মাদ্রাসার এক দাখিল পরীক্ষার্থী ছাত্রী গত ১৬ জানুয়ারি বিষ পান করে আত্নহত্যার চেষ্টার করে। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে মুমূর্ষ ভিকটিম তার নিকট আত্নীয়ের নিকট জবানবন্দি প্রদান করে ও তার পিতার অভিযোগের ভিক্তিতে ১৯ জানুয়ারি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর জগৎপুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। এই হয়রানী মুলক মামলার সুষ্ট তদন্ত ও ছাত্রী নির্যাতনের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেন মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।
    প্রতিবাদ সভায় ডেইলী নিউনেশন পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ মছব্বির আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও গণমুক্তি পত্রিকার মৌলভীবাজার প্রতিনিধি চিনু রঞ্জন তালুকদার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার জেলা সাংরাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ডেইলী বাংলাদেশ টুডে ও আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি এ,কে,অলক, মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক দৈনিক আমাদের কন্ঠের পত্রিকার প্রতিনিধি মশাহিদ আহমদ, রাজনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আউয়াল কালাম বেগ, রাজনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আক্তার হোসেন সাগর, সাংবাদিক মমশাদ আহমদ, এনটিভি ইউরোপ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি শাহনেওয়াজ চৌধুরী সুমন, দৈনিক ভোরের ডাক মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা মোঃ জালাল উদ্দিন, দৈনিক ভোরের সময় নিজস্ব প্রতিনিধ সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম হাসান, সাংবাদিক এম এ সামাদ, প্রমুখ।
  • মৌলভীবাজারে আইজিপি কাবাডি প্রতিযোগিতা উদ্বোধন।

    মৌলভীবাজারে আইজিপি কাবাডি প্রতিযোগিতা উদ্বোধন।

    এলিসন সুঙঃমৌলভীবাজার জেলা পুলিশের আয়োজনে আইজিপি কাপ কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ উপলক্ষে  সিলেট রেঞ্জ পুলিশ কাবাডি প্রতিযোগিতা উদ্বোধন হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (২৭জানুয়ারি) বেলা সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা’র  শেখ রাসেল ইনডোর স্টেডিয়ামে এ  কাবাডি প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়।
    এই কাবাডি প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন  করেন
    মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম (বার)।
    বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব সুদর্শন কুমার রায় (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব মোহসিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জনাব মোহাম্মদ সারোআর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ আজমল হোসেন প্রমুখ।এবং মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
    বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, “একজন পুলিশ সদস্যের যেমন শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করতে হয়, কাবাডি খেলাতেও একজন খেলোয়াড়কে শারীরিক ও মানসিক উভয় সক্ষমতা দেখাতে হয়। খেলায় হার-জিত থাকবেই এটা খেয়াল রেখে খেলোয়াড়দের পেশাদারিত্বের সাথে খেলতে হবে। পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী সেটার ছাপ খেলাতেও থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।”
    উল্লেখ্য এ খেলায় সিলেট রেঞ্জের ০৪ (চার) জেলা এবং সিলেট আরআরএফসহ মোট ০৫ (পাঁচ) টি দল অংশগ্রহণ করেছে এবং আগামীকাল এ কাবাডি প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
  • ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের দাপটে স্থবির মৌলভীবাজারের জনজীবন।

    ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের দাপটে স্থবির মৌলভীবাজারের জনজীবন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন মৌলভীবাজার জেলার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
    গত কয়েকদিন ধরে জেলাজুড়ে চলছে শীতের দাপট। তাপমাত্রার পারদ যত কমছে, ততই শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ সঙ্গে হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশা থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
    জেলার প্রত্যেকটা গ্রাম ও চা বাগান-পাহাড়গুলোতে হাঁড় কাপানো শীতে একেবারে চরম দুর্ভোগের আবর্তে পড়েছে জনজীবন। মৌলভীবাজার জেলা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ায় রিকশা, ব্যাটারি চালিত টমটম, সিএনজি চালকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
    ঘন কুয়াশা ও শীতের দাপটে জনজীবনে দুর্ভোগের পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মৌলভীবাজারের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। জরুরি প্রয়োজন ও অফিসগামী মানুষ ছাড়া বাইরে তেমন মানুষের আনাগোনা নেই। জেলার প্রধান সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ির লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে।
    মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    পাহাড় আর হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজারে কনকনে শীতে কাবু চা বাগান ও হাওর পাড়ের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।
    গেল কয়েকদিন থেকে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে কম। চলমান কনকনে এ ঠান্ডায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাইও। আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের তেজ বাড়লে কিছুটা স্বস্তি মেলে। তবে রাতের বেলা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের। যতই দিন যাচ্ছে জেলার তাপমাত্রার পারদ ততই নিচের দিকে নামছে। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
    কুয়াশা, প্রচণ্ড ঠান্ডা ও মৃদু বাতাসে গরম কাপড়ের অভাবে হাওর পাড়ের মৎস্যজীবী, চা শ্রমিক, নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
    জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, তীব্র শীতে শীতকালীন ডায়রিয়া, ঠান্ডা কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই জেলা ৭ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাপমাত্রা কম থাকলেও মৌলভীবাজারের সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদ উষ্ণতা ছড়িয়েছে। তবে তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে জেলায়।
  • মৌলভীবাজারের শেরপুরে পৌষ সংক্রান্তি ২ দিন ব্যাপি ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।

    মৌলভীবাজারের শেরপুরে পৌষ সংক্রান্তি ২ দিন ব্যাপি ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা।

    জালাল উদ্দিন,নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা শুরু হয়েছে মৌলভীবাজার জেলার শেরপুরের পশ্চিমের মাঠে।
    শনিবার ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ইং, ভোর থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। মাছের মেলাটি এখন সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে বড় মাছের মেলা এটি।
    এটি যদিও মাছের মেলা নামে পরিচিত তথাপি মাছ ছাড়াও বিভিন্ন পসরার কয়েক হাজার দোকান বসে কুশিয়ারার নদীর তীর জুড়ে। মেলায় এখন মাছ ছাড়াও ফার্নিচার, গৃহস্থালী সামগ্রী, খেলনা সামগ্রী, নানা জাতের দেশীয় খাবারের দোকানসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের দোকান স্থান পায়। এছাড়া শিশুসহ সব শ্রেণীর মানুষকে মাতিয়ে তোলার জন্য রয়েছে বায়োস্কোপ ও চড়কি খেলা। পিঠা খাওয়া, ঘুড়ি উড়ানো অন্যতম।
    আগে এই মাছের মেলায় স্থানীয় বিভিন্ন হাওর-বাওরের, নদ-নদীর মাছ নিয়ে আসতো জেলেরা। এখন মৎস্য খামারগুলোর মাছতো আসেই। আসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীদের বিরাট বিরাট বড় বড় মাছ-সহ অন্যান্য চালান। সিলেটের কুশিয়ারা নদী, সুরমা নদী, মনু নদী, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, কাওয়াদিঘি হাওর, হাইল হাওরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বাঘ, রুই, কাতলা, বোয়াল, গজার, আইড়সহ বিশাল বিশাল মাছ নিয়ে আসেন।
    মাছের এ মেলায় ৫ হাজার টাকা মূল্যের কমে চাহিদার মাছ কেনা যায় না। কারণ মাছের মেলা বলে কথা। বড় ব্যবসায়ীরা সপ্তাহখানেক পূর্বে বড় বড় মাছ সংগ্রহ করতে থাকেন। সেই অনুযায়ী মাছের দাম ও হাঁকা হয়।
    স্থানীয় সূত্র জানা যায়, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে আড়ত থেকে ছোট বড় অনেক জাতের মাছ নিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। মাছের গন্ধে মৌ মৌ করে ওঠে পুরো এলাকা। মেলায় ছোট আকারের মাছের দাম হাকানো হয় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের মাছের দাম হাঁকানো হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং বড় সাইজের মাছের দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকাও হাঁকানো হয়।
    এছাড়া মেলা উপলক্ষ্যে শেরপুর, নবিগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ আশেপাশের গ্রামের প্রবাসীরা প্রতিবছর মেলার জন্য দেশে এসে থাকেন। বর্তমানে এই মেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষের জন্য মিলনমেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
    বিগত প্রায় ২০০ বছর ধরে সেখানে ধারাভাহিকভাবে এই মাছের মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
    প্রতি বছরে ঐতিহ্যবাহী শেরপুরের মাছের মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষ মূলত আসেন মাছ কেনার জন্য। এই মেলা বাঙালির সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে আছে।
    মাছের পাশাপাশি বিশেষ করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন- নকশীকাঁথা, শীতলপাটি এবং কাঠের তৈরি হরেকরকমের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। পাশাপাশি দেশেরও বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্রেতারা বাচ্চাদের খেলনা, টাঙ্গাইলের জনপ্রিয় জামদানী শাড়ি, বগুড়ার দই ইত্যাদি নিয়ে আসেন বিক্রি করার জন্য।
    পৌষসংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসব উপলক্ষে সদর উপজেলার সত্রস্বতী পরগনার সাধুহাটি গ্রামের জমিদার রাজেন্দ্রনাথ দাম (মথুর বাবু) কুশিয়ারা তীরবর্তী তৎকালীন বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক স্থলবন্দর হিসেবে খ্যাত শেরপুরে এ মেলার প্রচলন করেছিলেন প্রায় ২ শত বছর আগে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত অতীত ঐতিহ্যকে ধারন করে এ মেলা চলে আসছে।
  • মৌলভীবাজারে ৪ টি আসনেই আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বিজয়ী।

    মৌলভীবাজারে ৪ টি আসনেই আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বিজয়ী।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার জেলার চারটি আসনের মধ্যে সবগুলোতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন।
    রবিবার ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ইং, রাতে ভোট গণনা শেষে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ঊর্মি বিনতে সালাম বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
    মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ি) আসনে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট।
    মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী মোঃ সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল নৌকা প্রতীকে নিয়ে ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী একে এম শফি আহম্মদ ছলমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫২ ভোট। আর তৃণমূল বিএনপির আর এম এম শাহীন সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৪৯টি।
    মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পাটির মোঃ আতাফুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৮ ভোট।
    মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মোঃ আব্দুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী মোঃ আব্দুল মুহিত হাসানি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯০ ভোট।