Tag: মৃত্যু

  • বেলকুচিতে গৃহবধূর মৃত্যু;শ্বশুর বাড়ির লোকজন উধাও।

    বেলকুচিতে গৃহবধূর মৃত্যু;শ্বশুর বাড়ির লোকজন উধাও।

    সবুজ সরকার বেলকুচি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

    সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে মরিয়ম খাতুন(১৭) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন উধাও হয়েছে।

    নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবি,শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে ঘরে ধরনার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। ১৮ অক্টোবর সোমবার সকালে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের তামাই কুয়েত পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলকুচি উপজেলার তামাই পশ্চিম পাড়া গ্রামের সামচুল মোল্লার মেয়ে মরিয়ম খাতুনের সঙ্গে প্রায় ৬ মাস আগে উপজেলার তামাই কুয়েত পাড়া গ্রামের জামাই বুদ্দু ছেলে আব্দুর রহমানের সাথে পরিবারের অমতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মরিয়মের স্বামী পাবনা তাঁতের কাজ করে। অমতে বিয়ে হওয়ায় দু’পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আজ সোমবার সকাল ৬ টায় মরিয়মের জাঁ তানিয়ার ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ঘরের জানালা দিয়ে মরিয়মের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তানিয়া চিৎকার দিলে হাজী ইসমাইল হোসেন (মামা শ্বশুর) এসে ধরনার সাথে শাড়ি দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় লাশ নামিয়ে মাঠিতে রাখে। নাম প্রকাশ না করাই অনেকে জানান, মেঝেতে রক্তাক্ত ছিলো মৃত্যুর কারনটা রহস্য জনক প্রকৃত মৃত্যুর কারন তদন্তের মাধ্যমে বের করা হক।

    গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির পরিবার ও হাজী ইসমাইলের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত নুরে আলম জানান, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • বাগেরহাটে আবাসিক হোটেলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু-স্বামী আটক।

    বাগেরহাটে আবাসিক হোটেলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু-স্বামী আটক।

    অনলাইন ডেস্কঃ বাগেরহাটে বিলাস আবাসিক হোটেলে মোছাঃ নাছিমা বেগম(৩৪)নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে।পুলিশ হোটেল থেকে নিহত নাছিমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ নিহত নারীর স্বামী রবিউল ইসলাম(২৪)কে আটক করেছে।

    শনিবার ১৬ অক্টোবর দুপুরের সময় শহরের রাহাত মোড় এলাকার বিলাস আবাসিক হোটেল থেকে নাছিমার লাশ উদ্ধার করা হয়।
    নিহত নাছিমা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওয়ালীদ হোসেনের মেয়ে।

    রবিউল ইসলাম একই এলাকার চতুরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। শুক্রবার তারা দুজন স্বামীস্ত্রী পরিচয়ে আবাসিক হোটেল বিলাসে উঠেছিলো।

    পুলিশের হাতে আটক রবিউল ইসলাম জানান ২০১৫ খৃষ্টাব্দে ঝিনাইদহ পলিটেকনিকে পড়ালেখার সময় স্বামী পরিত্যক্ত নাছিমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্রধরে গত ২০১৫ খৃষ্টাব্দে ২ মে নাছিমার পরিবার জোরপূর্বক রবিউলের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে স্ত্রীকে নিয়ে রবিউল ইসলাম তার নিজ বাড়িতে আসেন। ২০১৬ খৃষ্টাব্দে নাছিমা রবিউলের পরিবার থেকে বাপের বাড়ি চলে গিয়ে কোর্টে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর মধ্যে রবিউল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে।

    এ ঘটনার এক বছর পর নাছিমা ও রবিউলের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ শুরু হওয়ায় দেখা স্বাক্ষাত করতে থাকে। এ সুবাদে শুক্রবারে আবাসিক হোটেল রাত যাপন করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    হোটেল ম্যানেজার হুমায়ন গণমাধ্যমকে জানান রবিউল ও নাছিমা স্বামীস্ত্রী পরিচয়ে এর আগেও আমাদের হোটেলে থেকেছে। রুমের মধ্যে কি হয়েছিলো এ ব্যাপারে আমাদের জানা নাই।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম জানান আবাসিক হোটেল বিলাসের একটি কক্ষে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা নাছিমার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এ সময় তার সাথে থাকা রবিউল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসার জন্য হোটেল ম্যানেজারকে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

     

  • নলডাঙ্গায় মুদি ব্যবসায়ীর রহস্যজন মৃত্যু,এ ঘটনায় স্ত্রী আটক।

    নলডাঙ্গায় মুদি ব্যবসায়ীর রহস্যজন মৃত্যু,এ ঘটনায় স্ত্রী আটক।

    নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের নলডাঙ্গায় শয়ন ঘরে মুদি ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ নিহতের স্ত্রী সালমা বেগমকে আটক করেছে। শুক্রবার(১৫ অক্টোবর) রাত ১২ টার সময় উপজেলার মোমিনপুর গ্রামে ঘটনা ঘটে।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রী সালমা প্রায়ই নির্যাতন করতো তার স্বামীকে। নিহত আব্দুর রাজ্জাক খাঁ (৩৮) উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের হামেদ আলীর ছেলে।

    এলাকাবাসী ও নলডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান,উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক গত রাত ১১ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যায়।এরপর গ্রামবাসীর কাছে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী সালমাকে আটক করে। নাটোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আলী বলেন, ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

    তবে নিহতের পিতা হামেদ আলীর অভিযোগ স্বামীর সাথে সংসার করতে চাইতো না সালমা। এ কারণে নানা সময় স্বামী আব্দুর রাজ্জাককে মারপিট করতো। স্বামীর সাথে এক ঘরে থাকতোনা।পরকীয়ার অভিযোগ এনে হামেদ আলী জানান, তার ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে শ্বাস রোধে হত্যা করা হয়েছে।এ ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নলডাঙ্গা থানায় মামলা হয়নি। তবে জানা গেছে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • সিরাজগঞ্জে সয়দাবাদ ইউপিতে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে মেম্বর প্রার্থীর মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জে সয়দাবাদ ইউপিতে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে মেম্বর প্রার্থীর মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।এ উপলক্ষে ১নং ওয়ার্ডের মেম্বর পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী(৫৫) তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন(ইন্না-লিল্লাহ ওয়াইন্না,,,,,,,,,,রাজিউন)।

    শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বাঐতারা গ্রামে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মৃত মোহাম্মদ আলী বাঐতারা গ্রামের মৃত তাহের মন্ডলের ছেলে। চলতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সয়দাবাদ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি।

    স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে বাঐতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গণসংযোগ করছিলেন ইউপি মেম্বর প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

    সিরাজগঞ্জ সদর থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক শাহীনুর রহমান জানান মোহাম্মদ আলীর মারা যাবার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট করেছি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। কোন অভিযোগ না থাকায় মৃত্যু ব্যক্তির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • তাড়াশে বজ্রপাতে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু।

    তাড়াশে বজ্রপাতে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বজ্রপাতে ইমরান হোসেন(১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ভাটড়া গ্রামে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।

    জানা যায়, মৃত ওই স্কুল ছাত্র মালেশিয়ার  প্রবাসী রবিউল হোসেনের  ছেলে ইমরান  হোসেন । ইমরান প্রতাপ মহিউদ্দিন মেমোরিয়াল হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।নিহত ইমরান হোসেন বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করছিলো।

    এমন সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়।তার সাথে শুরু হয় বজ্রপাতের ঝিলিক আলো আর গুড়ুম গুড়ুম মেঘের ডাক। অতিমাত্রায় মেঘের ডাকের সাথে বজ্রপাত দেখে দ্রুত পানি থেকে উঠতেই বজ্রপাতের শিকার হয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। এলাকাবাসী পরবর্তীতে ছেলেটির  লাশ উদ্ধার করে। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।

  • ছাতকে বাসের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু।

    ছাতকে বাসের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু।

    ছাতক(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছেন।

    বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার সময় সিলেট -সুনামগঞ্জ মহাসড়কে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ঢাকাগামী একটি বাসের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংর্ষের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।

    জানা যায় ঘটনার সময় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল ছিটকে পড়ে যায়।এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

    নিহতরা হলেন,ছাতক উপজেলার কৈতক গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে হৃদয় হোসেন (২০) আঙ্গুর মিয়ার ছেলে লায়েক আহমদ (২০) সফিকুর রহমানের ছেলে জামিল মিয়া (২১) তিনজনই একি গ্রামের বাসিন্দা।

    জয়কলস হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালেহ্ আহাম্মদ এ দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,দুর্ঘটনার যাত্রীবাহী বাস ও চালককে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • কানাইঘাটে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু।

    কানাইঘাটে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু।

     

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট বড়চতুল ইউনিয়নের সরুফৌদ গ্রামে মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর প্রবাস ফেরত হাফিজ রফিক আহমদ(৫০)নিজ বাডির পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন। তিনি সরুফৌদ গ্রামে মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র।
    কানাইঘাট থানা পুলিশ হাফিজ রফিক আহমদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানা হেফাজতে রেখেছে।

    স্থানীয় এলাকাবাসী জানান সৌদি আরবে হার্ডএট্যাক ও প্যারালাইসেসে আক্রান্ত হয়ে অনুমানিক ৩ বছর পুর্বে দেশে চলে আসেন হাফিজ রফিক আহমদ। কিছুটা সুস্থহলে প্যারালাইসেসের কারণে দুই হাত অবস থাকার কারণে কোন ধরণের কাজ কর্ম করতে পারতেন না রফিক আহমদ। নিজ বাড়িতে অসুস্থ অবস্তায় তাঁর চিকিৎসা চলছিলো প্রতিদিনের নায় তাঁর স্ত্রী হাসানাত নার্গিস মঙ্গলবার দুপুর ১ টার সময় অসুস্থ স্বামীকে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নিয়ে যান। পুকুর ঘাটে গোসল করার সময় ডুব দেওয়ার পর স্বামী রফিক আহমদ ডুব থেকে না উটলে স্ত্রী হাসানাত নার্গিস চিৎকার শুরু করলে আশ পাশ থেকে লোকজন এসে ডুবন্ত অবস্তায় রফিক আহমদের লাশ উদ্ধার করেন।

    খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার উপ-পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম ঘটনা স্তলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার হাফিজ রফিক আহমদের পরিবারের লোকজন ও নিহতের স্ত্রী হাসানাত নার্গিস জানান রফিক আহমদ স্টোক ও প্যারালাইসেসে আক্রান্ত হওয়ার পর সৌদি থেকে দেশে আসলে ও অসুস্থ ছিলেন।

    নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে তাঁর চিকিৎসা চলছিলো। পুকুরে গোসলে নিয়ে গেলে তিনি নিজে ডুব দিতে পারতেন। স্ত্রী গোসলের পরিচর্চা করতেন কিন্তু দুপুরে তাকে গোসলে নিয়ে যাওয়ার পর ডুব দেওয়া অবস্তায় তলিয়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পোষ্টমাড্যাম ছাড়াই হাফিজ রফিক আহমদের লাশ দাপন করার জন্য তাঁর পরিবারের পক্ষথেকে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

  • রাজনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্র নিহত।

    রাজনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্র নিহত।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরহী রাজ আহমেদ(২২) নামের এক কলেজ ছাত্র মারা গেছে। মোটরসাইকেলের চালক সাব্বির আহম্মেদ গুরুতর আহত হয়।

    মঙ্গলবার (১২অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজার রাজনগর সড়কে কদমহাটা এলাকায় এই সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    রাজ আহমদ মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আমতৈল ইউনিয়নের হলুয়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ও মৌলভীবাজার শাহ মোস্তফা কলেজের এইচ এস সি দ্বিতীয় বর্ষের অধ্যয়নরত ছাত্র।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে,রাজ ও সাব্বির মৌলভীবাজার থেকে রাজনগর যাওয়ার পথে কদমহাটা এলাকায় একটি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মটর সাইকেলের পিছনে থাকা রাজ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক সাব্বির গুরুত্বর আহত হয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন  রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম ।

  • ছাতকে দুই মেম্বার প্রার্থী ভোটার তালিকায় মৃত! একজনের অন্য ওয়ার্ডের স্থানান্তর।

    ছাতকে দুই মেম্বার প্রার্থী ভোটার তালিকায় মৃত! একজনের অন্য ওয়ার্ডের স্থানান্তর।

    ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকে ৩ জন মেম্বার প্রার্থীর ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় মাথায় হাত। দুইজন মেম্বার প্রার্থী জীবিত থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় তাদেরকে মৃত দেখানো হয়েছে। একজন প্রার্থীর ভোট নিজ ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। এহেন কার্যকলাপে প্রার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে।

    সংশোধনের জন্য তারা উপজেলা নির্বাচন এবং ইউএনও অফিসে দৌড়-ঝাপ করে যাচ্ছেন। এতে কোন সুরাহা পাচ্ছেন না বলে তাদের অভিযোগ। ফলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়াটা তাদের পক্ষে অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

    এ কারণে প্রার্থী হতে আগ্রহীরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। এমন ঘটনা এলাকার সচেতন মহলকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে। এনআইডি কার্ড যাচাই করে জীবিত মানুষদ্বয়কে ‘মৃত বিষয়টি প্রার্থীরা যেমন সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন তেমনি নির্বাচন অফিসের দায়িত্বশীলদের কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

    এসব বিষয়ে রোববার (১০অক্টোবর) ছাতক উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে পৃথক তিনটি অভিযোগ করেছেন আলী আহমদ, কমর আলী ও ছিদ্দেকুর রহমান নামের তিনজন ভুক্তভোগী।

    উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ব্রাক্ষণগাঁও গ্রামের মৃত আসক আলীর পুত্র মোঃআলী আহমদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী হিসেবে ৮নং ওয়ার্ডে তিনি নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষন করেছিলেন। এ বছরও তার আগ্রহ ছিল নির্বাচনে অংশ নেয়ার।

    গত ১ জুলাই গোবিন্দগঞ্জ পূবালী ব্যাংক শাখায় একাউন্ট করতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান তার (৯০১২৩৮৫৫৭৬১৭৪) জাতীয় পরিচয়পত্রটি অনলাইনে দেখাচ্ছেনা। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে মৃত দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রটি বাতিল করা হয়েছে।

    ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ব্রাক্ষণগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল আউয়ালের পুত্র মোঃ কমর আলীথর জাতীয় পরিচয় পত্রে তাকে মৃত দেখিয়ে পরিচয়পত্র বাতিল করা হয়েছে।

    তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। সম্প্রতি করোনার ভ্যাকসিনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (৯০১২৩৮৫৫৭৬৩০৯) নিয়ে নিবন্ধন করতে গেলে তা হয়নি। পরে ওই কার্ড নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যাওয়ার পর জানতে পারেন তাকে মৃত দেখিয়ে পরিচয়পত্র বাতিল করা হয়েছে।

    এদিকে, একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চাকল পাড়া গ্রামের মো: আবদুল আমিনের পুত্র মো: ছিদ্দেকুর রহমানকে ৯নং ওয়ার্ডে ভোট স্থানান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাচন অফিসে একটি অভিযোগে উল্লেখ করেন, এ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্বাচন করার জন্য তিনি কাজ করছেন। কিন্তু গত ৯ অক্টোবর একটি ফরম পূরণ করতে গেলে জানতে পারেন তিনি ৭নং ওয়ার্ডের ভোটারনা। একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বেরাজপুরে তার ভোট স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    তাকে নির্বাচনে প্রার্থী থেকে বঞ্চিত করার জন্য বর্তমান জনপ্রতিনিধিসহ নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে এমন কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।

    এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান জানান, জীবিত মানুষকে মৃত দেখানো তো পাপ কাজ। তিনি এমন কাজের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তদন্তের মাধ্যমে অন্যায়কারীদের চিহিৃত করে দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তি হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

    পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃফয়েজুর রহমান জানান,এগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এদিকে সোমবার ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত দেখানো আলী আহমদ ও কমর আলী ছাতক থানায় দু’টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

  • তাড়াশ বিলনাদা গ্রামে বিদ্যুৎ স্পর্শে চাচী ভাতিজার মৃত্যু।

    তাড়াশ বিলনাদা গ্রামে বিদ্যুৎ স্পর্শে চাচী ভাতিজার মৃত্যু।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে সিমেন্টের খুটা বসাতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পর্শে চাচী ভাজিজার মৃত্যু হয়েছে।এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৩ জন।

    সোমবার ১১অক্টোবর সন্ধা সাড়ে ৬ ঘটিকার সময় উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের বিলনাদা গ্রামে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের বাশি আকন্দর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন(৪৮) ও ভাতিজা রফিকুল ইসলাম (২৮)দেছের আকন্দর ছেলে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কিছুদিন পূর্বে গ্রামের বাশি ও দেছের বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেন। আবেদনের ফাইল পাশের পর বিদ্যুৎ অফিস থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে প্রতিবেশি আবুল কাশেম তার বাড়ির উপর দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগে বাধার সৃষ্টি করে।পরে চাচী ভাতিজা মিলে বিকল্প পথে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে সিমেন্টের খুঁটি বসানোর উদ্যোগ নেয়। সিমেন্টের খুঁটি ঘরের উপর দিয়ে উঠে মূল তারে স্পর্শ করে। এতে খুঁটির সাথে বাছেদের ছেলে রফিক বিদ্যুৎতায়িত হয়ে পড়ে। চাচী ভাতিজাকে বাঁচাতে তাকে স্পর্শ করা মাত্র সে নিজেও বিদ্যুৎতায়িত হয়। এতে ঘটনা স্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। এ সময় শহিদুল ইসলাম, ইয়াছিন আলী ও সোহাগ তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন।

    তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফজলে আশিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে নিহতের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ স্পর্শে মৃত্যু হওয়ায় নিহতদের লাশ দাফন কাফনের জন্য স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।