Tag: মুক্তিযোদ্ধা
-
রামপাল ও মোংলার সুবিধাবঞ্চিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলার রামপাল ও মোংলা উপজেলার নির্যাতিত, বঞ্চিত ও অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিএনপি’র পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে।বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রামপাল ও মোংলা উপজেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের আয়োজন দিগরাজ বাজারে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি এমডি আকবর আজাদ।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি মোঃ আবু হানিফ ও সঞ্চালনা করেন মোঃ নুর উদ্দিন টুটুল ও ইমরান হোসেন রকি।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম বলেন, বিগত দিনে স্বৈরাচার সরকার এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রকৃত অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত করেছে। এছাড়া তাদের অনুসারীদের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে সরকারি সকল সহায়তা ভোগ করিয়েছে।মুক্তিযোদ্ধারা এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সবসময় মূল্যায়ন করেছেন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। সবাই মিলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ব।অনুষ্ঠানে রামপাল ও মোংলা উপজেলার সম্মানিত বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ দুই উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -
উল্লাপাড়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু।
উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে দগ্ধ হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মারা গেছেন। তিনি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের সুজা গ্রামের মৃত আবুল হোসেন সরকারের ছেলে।
জানা যায় ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্দুল হামিদ রান্নাঘরে গ্যাসের চুলায় আগুন দিতেই লিকেজ তারের আগুনে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।এতে পুরো ঘরে আগুন লেগে যায়।আগুন নেভেনোর চেস্টা ব্যর্থ হয় এবং আগুনে দগ্ধ হয়ে ৭০ ভাগ শরীর আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হন।পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন্ড ইউনিটে ভর্তি করেন। মৃত্যুর সাথে দীর্ঘ ৫ দিন যুদ্ধে করে ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ভোর রাতে মারা যান।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,উল্লাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ বলেন সমমঙ্গলবার দুপুরে সুজা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।এসময় উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ সানজিদা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।পরে সুজা গ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
-
রাণীশংকৈলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্রনাথ রায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আজ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্রনাথ রায়ের(৭৫) শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার পারকুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্রনাথ রায় কে রাষ্টীয় মর্যাদা দেয়া হয়।পরে গ্রামের স্মশানে তাঁর সৎকার করা হয়।এর আগে, রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুন সুর বেজে উঠে।এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, বীরমুক্তিযোদ্ধা হবিবুর রহমান,ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, রানীশংকৈল থানার ওসি সোহেল রানা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,মুক্তিযোদ্ধা হরেন্দ্রনাথ রায় ১৯৭১ সালে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেন।মৃত্যুকালে তিনি দুইপুত্র ও এককন্যা রেখে গেছেন। -
মারা গেলেন খাসিয়া সম্প্রদায়ের বীরমুক্তিযোদ্ধা আফ্রিকা সুটিং-রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন।
এলিসন সুঙ,মৌলভীবাজারঃমৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় খাসিয়া সম্প্রদায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আফ্রিকা সুটিং মারা গেছেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর )বিকেল ৪ টার দিকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের এওলাছড়া খাসিয়া পুঞ্জি কবরস্থানে তার সমাধীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ৪ নং সেক্টরের হয়ে স্বক্রিয় ভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অংশ গ্রহন করেছিলেন।
এর আগে শেষকৃত্যের প্রার্থনা সভা পরিচালনা করেন কুলাউড়া লক্ষীপুর মিশনের পাল পুরোহিত ফাদার সাগর রোজারিও।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আফ্রিকা সুটিং দাফনের আগে কুলাউড়া থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এসময় গার্ড অব অনার পরিচালনা করেন কুলাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান।কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক দেবাশীষ তালুকদারসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম,এ মতিন, কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মহিবুল ইসলাম আজাদ,কুলাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সুশীল চন্দ্র দে,মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান,খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সাধারন সম্পাদক ফিলা পতমী,প্রিচিংলি সুঙ, কুবরাজ আন্ত পুঞ্জি উন্নয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলি তালাং,পালক পাইরিন সুটিং,ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিলভেস্টার পাঠাং,খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন সিলেট শাখার সভাপতি অ্যালিজাক তাংসং প্রমুখ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,রোববার রাতে কুলাউড়া উপজেলা অধীনে এওলাছড়া খাসিয়া পুঞ্জি নামক এলাকায় তার নিজেস্ব বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারনে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ৭৮ বছর।
তিনি খ্রীষ্টান ধর্মাম্বলীর খাসিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তান রেখে গেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আফ্রিকা সুটিংকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো উপস্থিত ছিলেন। পরে শনিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় তাকে সমাহিত করা হয়।
-
নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাংচুর।
নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাংচুর।
নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাট অভিযোগ উঠেছে ভূক্তভোগি সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ ভাঙ্গাবাড়িয়া সদর কলেজ পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু খাজা মঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে সন্ত্রাসীর হামলা চালায়। ভুক্তভোগী আমবিয়া খাতুন সাথে কথা বলে জানা যায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
তারই জের ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা দিকে মো:মালেকের সন্ত্রাসীরা ৩০/৩৫ জনের একটি দল নিয়ে মো.বীর মুক্তিযোদ্দা মৃত্যু খাজা মঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে ঢুকে তার বসত ঘর ভাংচুর, লুটপাট করেছে।মো: মালেক পিতা,জলিল(৩০)শিপ্লব,(৩৮)পিতা মৃত্যু মক্কা ডাকাত,
মো:সুমন(৩৪)পিতা,ওসুমন গংদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধার বাড়িতে ভাংচুর করেন।সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ।তারই জের ধরে একটি সন্ত্রাসী দল বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু খাজা মঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে ঢুকে আতংক সৃষ্টি করে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসির সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন।
-
উল্লাপাড়া পৌরসভায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীর হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করলেন মেয়র নজরুল।
উল্লাপাড়া পৌরসভায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীর হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করলেন মেয়র নজরুল
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীর হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ডাকা মতবিনিময় সভায় পৌরশহরে বসবাসরত শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীর হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার ঘোষণা দেন মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম।
মেয়র নজরুল জানান, মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের সূর্য সন্তান। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আমাদের ভাষা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা পেয়েছি। পেয়েছি লাল – সবুজের জাতীয় পতাকা। আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছি। বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে আসা স্বাধীনতার স্বাদ আমরা উপভোগ করছি। মতবিনিময় সভায় পৌরসভায় বসবাসরত শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীর হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করেন এবং তাদের প্রত্যেকের বাড়ীর সামনে পৌর সভার অর্থায়নে নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড ও বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপনেরও ঘোষণা দেন মেয়র নজরুল।
উপস্থিত সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ স্যানাল জানান, পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব রাজনৈতিক নেতা।মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এমন সুন্দর উদ্যোগ গ্রহন করায় মেয়র নজরুলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
-
নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত।
নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত
টাংগাইলের নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ পুণর্মিলনী ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(১১ মে), সকালে নাগরপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ পুণর্মিলনী উদযাপন কমিটি নাগরপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ঈদ পুণর্মিলনী ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঈদপুণর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সরোয়ার (ছানা)।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান আশরাফুল আলম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি ও ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
-
চাহিদা মতো উপঠোকন দিতে না পারায় মিলেনি আবুল কাশেমের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা।
চাহিদা মতো উপঠোকন দিতে না পারায় মিলেনি আবুল কাশেমের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা।
চাহিদা মতো উপঠোকন দিতে না পারায় লক্ষ্মীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম তার প্রাপ্য ভাতা থেকে বঞ্চিত। জীবণের শেষ প্রান্তে এসে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সকল কাগজপত্র নিয়ে।
হতভাগা মুক্তি যুদ্ধা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হাসন্দী গ্রামের মৃত দুলা মিয়া মুন্সির ছেলে আবুল কাশেম।
তিনি যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এরপর তিনি রক্ষীবাহিনীতে যোগদান করেন।১৯৭৫ইং সালের পর পটপরিবর্তন হলে তিনি পুনরায় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। সকল ধরনের কাগজপত্র ও সহযোদ্ধাদের সাক্ষ্য প্রমান থাকার পরও ঢাকার কাকরাইল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা কাউন্সিল অফিসের অবৈধ ঘুষের টাকা দিতে পারেন নি বলে তিনি ভাতা বঞ্চিত।
লক্ষ্মীপুর জেলা মুক্তিযুদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি আবুল কাশেম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভাতা থেকে বঞ্চিত, এটা দুঃখজনক। কেন ভাতা পাচ্ছেন না জানি না। আশাকরি তার কাগজ – যাচাই বাছাই করে তাকে তার প্রাপ্য ভাতা দেওয়া হবে। বৃদ্ধ বয়সে নানান রোগে – শোকে কাতর আবুল কাশেম জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মুক্তিযুদ্ধা ভাতার দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
-
রামপালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিল পাবলিক লাইব্রেরী উদ্বোধন ও স্মরণ সভা।
রামপালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিল পাবলিক লাইব্রেরী উদ্বোধন ও স্মরণ সভা।
বাগেরহাটের রামপালে বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা , যুদ্ধ কালীন কমান্ডার শেখ আব্দুল জলিল পাবলিক লাইব্রেরীর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় রামপাল উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ কবীর হোসেন উপস্থিত থেকে এ লাইব্রেরীর শুভ উদ্বোধন করেন।
এসময় আমাদের গ্রাম’র পরিচালক রেজা সেলিম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মোজাফফর হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল হক লিপন, জেলা পরিষদ সদস্য অসিত বরন কুন্ডু, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জিয়াউল হক সহ অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও স্থানীয় জন সাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
লাইব্রেরী উদ্বোধন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিল স্মরণে আমাদের গ্রাম’র সম্মেলন কক্ষে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রামপাল সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রহমান’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহম্মেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল হক লিপন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি।স্মরণ সভায় দূর্নিতী দমন কমিশনের মহা- পরিচালক কে.এম. সোহেল, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, নিউইয়র্ক থেকে ডঃ তৌহিদ রেজা নূর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কবীর হোসেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত কুমার পাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ হামিদ শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কালীপদ অধিকারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেকমত আলী শেখ, রামপাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাওলাদার আঃ হাদি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল আলম (বকতিয়ার), শিক্ষক নাজমুল হাসান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিলের একমাত্র সন্তান ও রামপাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, আমাদের গ্রাম’র সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক সমন্বয়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন আমাদের গ্রাম’র সম্মানিত পরিচালক রেজা সেলিম এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট কবি ও লেখক বিষ্ণুপদ বাকচী।
স্মরণ সভায় বক্তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিলের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং মহান আল্লাহর কাছে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।