Tag: মিথ্যা

  • মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দুই যুবদল নেতাকে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বলেন, গত ০৩-১০-২৪ তারিখে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক মারামারি সংক্রান্ত মারপিটের ঘটনায় নরাইল জেলার সখিপুর উপজেলার রুবেল শেখ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায় ১০৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি  মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২।
    উল্লেখিত মামলায় আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই যুবদলের ওয়ার্ডসহ সভাপতি হায়দার আলীকে ৭৬ ও ৭৭ নং আসামি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা দুই ভাই নিজ এলাকায় ব্যবসা ও কৃষি কাজ করি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত, দলের বিভিন্ন আন্দোলন ও প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে আসছি। এ ঘটনার আমরা কিছুই জানি না এবং বাদীকেও চিনি না। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যাভাবে কে বা কাহারা আমাদেরকে মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আমরা হেও প্রতিপন্ন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্তের শিকার হচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আমারা সঠিক যাচাই বাছাই পূর্বক আপনাদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনার জোর আহবান জানাচ্ছি।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল্লামা আল ওয়াদুদ বিন নূর আলিফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসীর আল মামুন মিঠু, হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনতাজ আলী মাস্টার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন সহ অনেকে।
  • রামপালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

    রামপালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অপবাদ দিয়ে অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাববুনিয়া এলাকার মোঃ ফিরোজ মল্লিক নামের এক ব্যক্তি।
    শনিবার(১১ জানুয়ারি) দুপুর ১ টায় উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের হাতীরবেড় এলাকার প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৮ জানুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার (মোংলা) সার্কেল বরাবর জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ দায়ের করেন ভাগা এলাকার মৃত নরেন্দ্রনাথ মন্ডলের মেয়ে তিথি মজুমদার।
    অভিযোগে আমিসহ স্থানীয় আকবর হোসেন আকো, নাছির সরদার, আকবর শেখ, হালিম শেখ, সেকেন্দার সরদার ও পরিতোষ মন্ডলের নাম উল্লেখ করেন।
    এছাড়াও আমাদের ওপর অভিযোগ আনেন, আমরা তার মৎস্য ঘেরের অনেক টাকার মাছ ও কাঁকড়া আত্মসাৎ করতেছি। প্রকৃতপক্ষে আমরা কোন জমি জোরপূর্বক দখলই করি নাই। আমরা আমাদের জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে আছি। অভিযোগ দায়ের পরে ‘সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখল’ শিরোনামে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। একটি কুচক্রী মহলের পরামর্শে তিথি মজুমদার সমাজে আমাদের সম্মানহানির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি মিথ্যা অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তিথি মজুমদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
  • সিরাজগঞ্জে শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন।

    সিরাজগঞ্জে শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন।

    সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী আলহাজ্ব দেওয়ান শহিদুজ্জামান শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় জনসাধারন।

    বেলা ১১টার দিকে শহরের পৌর এলাকার মাসুমপুর উকিলপাড়া মহল্লায় ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে এলাকার বহু নারী-পুরুষ অংশ নিয়েছিলেন।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শহিদুজ্জামান শুভ’র মাসহ এলাকার অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় শহিদুজ্জামান শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন স্থানীয়রা। একইসঙ্গে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে যারা নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তারা।

    এ সময় বক্তারা বলেন,দেওয়ান শহিদুজ্জামান শুভ একজন শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি এলাকার সৎ,ভদ্র,ও একজন সমাজসেবক। অথচ আজ ৫ দিন ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এতে শুধু শুভ’র পরিবারের লোকজনের চোখেই অশ্রু ঝরছে না, পুরো মাসুমপুর এলাকাবাসী কাঁদছে।

    বক্তারা আরও বলেন, শুভ ভদ্র ফ্যামিলির ছেলে। আমরা ছোটবেলা থেকে কোনোদিন কারো সঙ্গে ঝগড়া, বিবাদ করতে দেখিনি তাকে। তার মতো এত ভদ্র ছেলে এলাকায় দ্বিতীয় আরেকজন পাওয়া কঠিন।

    একই এলাকার বাসিন্দা আখতার হোসেন বলেন, শহিদুজ্জামান শুভ ভাই শুধু সিরাজগঞ্জ শহরে মানবিক কাজ করেন না, তিনি জেলার আনাচ-কানাচে যেখানে অসহায় দুস্থ মানুষ আছে সেখানেই দুইহাত ভরে সহযোগিতা করতেন। তার মতো একজন মানুষ কখনোই এই ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকতে পারেন না। এজন্য অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে তার নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের ভাইয়ের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই।

    এসময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলেন, নিহত আশফাকুল আওয়ালও একজন ভালো মানুষ ছিলেন। যেকোনো কারণেই তার মৃত্যু হয়ে থাকুক না কেন, তার সঠিক তদন্ত হওয়ার দরকার। আর নিহতের ঘটনায় কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাক, এটিও কারোরই কাম্য নয়।

    তারা আরও বলেন, একটি চক্র এই মামলায় শুভকে ফাঁসিয়ে আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ধরনের মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

    শুভ’র স্ত্রী আকলিমা খাতুন পপি বলেন, যেই ব্যক্তি বাঁচানোর চেষ্টা করলেন তিনিই হয়ে গেলেন হত্যা মামলার আসামি। এই ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

    প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার নলিছাপাড়া এলাকায় হাজী আব্দুর রহিম ফ্লাওয়ার মিলের মালিক আশফাকুল আওয়াল খান একই এলাকার এঞ্জেল ফুড কারখানায় পাওনা টাকা চাইতে যান। এসময় মালিক বাবু মন্ডলের তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে এগিয়ে গিয়ে শুভ দেখতে পান, আশফাক হঠাৎ করে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ছে। যা দেখে ভয়ে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে পালিয়ে যান বাবু মন্ডল। পরে অসুস্থ আশফাক দ্রুত উদ্ধার করে শুভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে পুলিশ জিজ্ঞাবাদের জন্য শুভকে থানায় নিয়ে যায়।

    নিহত আশফাকুল পৌর এলাকার নতুন ভাঙাবাড়ি মহল্লার আব্দুর রহিমের ছেলে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় এজাহারনামীয় পাঁচজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার বড় ভাই রাকিবুল। এতে এঞ্জেল ফুডস্ কারখানায় মালিক শহিদুজ্জামান শুভকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়।

  • ফেসবুকে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে লংগদুতে ইউপি সদস্য’র সংবাদ সম্মেলন।

    ফেসবুকে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে লংগদুতে ইউপি সদস্য’র সংবাদ সম্মেলন।

    রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে চাচা এবং ফুফাকে মারধর করেছে বলে ফেসবুকে একে আজাদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার সময় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন ও তার পরিবার।
    সোশ্যাল মিডয়াতে মিথ্যা প্রচারের ফলে আব্দুল মতিন মেম্বার ও মতিন মেম্বারের ইউনিয়ন পরিষদের মানহানি হয় বলে  দাবী করেন আব্দুল মতিন।মতিন মেম্বার জানান,  আমার ফুফা মোশারফ আমাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি নিজের নামে কাগজ করে সাক্ষর নিতে আমাদের বাড়িতে আসে,পরে যখন আমি কাগজ পড়ে বুঝতে পারি এইসব জালিয়াতি কাগজ তখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করি যে আমাদের বর্তমান বসতবাড়ি আপনারা লিখে নিচ্ছেন এই কাগজে আমরা কেন সাক্ষর করবো।
    এ কথা জানতে চাইলে আমার ফুফা মোশারফ তিনি লজ্জিত হয়ে তিনি এখান থেকে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়,চলে যাওয়ার পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি তারা হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং আমাদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করে।এছাড়াও এখান থেকে গিয়ে তার ছেলে এবং তারা আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একে আজাদ নামে আইডিতে মিথ্যা বানোয়াট প্রপাকান্ড ছড়ানোর মাধ্যমে আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান হানিকর প্রচারনা চালায়। যা আমার মান সম্মানে ব্যাপক আগাত লেগেছে। আমি এহেন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর পাশাপাশি প্রশাসনের নিকট তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আগামী রবিবার সমাধার জন্য বসার সময় নির্ধারণ করবে, সেটা হলো জমিজমা নিয়ে মিমাংসার বিষয়। আজ সংবাদিক সম্মেলন হচ্ছে ফেসবুকে আমার এবং আমার পরিবারকে নিয়ে যে যে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে তার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে।
  • উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ।

    উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ।

    বাগেরহাটের রামপালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২৬ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১.০০ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার’র সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মন্তব্য করায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।

    প্রতিবাদ সমাবেশে আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গত ১৩ই এপ্রিল তার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সে সমাবেশে রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে তিনি সমাবেশে জানান। শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আঃ রউফ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং একজন অসহায় বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জমির হারির টাকা না দিয়ে সে জমি ভোগ দখল করছেন । আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু বর্ণালী ঘোষ হত্যা মামলার একজন আসামী ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের মুখে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা তাদের মানায় না। শেখ মোঃ আবু সাঈদ আরো বলেন যে, আওয়ামী লীগের দূর্দিনে ও বিপদের সময় মাঠে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর দলের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল’র টাকা আত্মসাৎ করে খুলনায় বাড়ি নির্মান করা, সরকারি জমি দখল করা ও আবুল কালাম ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত যে অভিযোগ গত ১৩ই এপ্রিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, তিনি তাদের প্রত্যেককে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি সরকারি চরের যে জমিটি ভোগ দখলে আছেন, তা তিনি নিয়ম মাফিক-ই ভোগ দখল করছেন। তিনি আরো জানান যে, কেউ যদি তার বিরুদ্ধে কোন দূর্নিতীর প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে তিনি স্ব-ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করবেন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন যে, যারা তার বিরুদ্ধে দূর্নিতীর অভিযোগ তুলেছেন তারাই জনগণকে নানাভাবে হয়রানি করছে ও তাদের দ্বারা জনগণ দূর্নিতীর শিকার হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন যে, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনের ইলেকশন এক্সপ্রেস নামক অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছেন, তার কয়েকটি বিষয় তার বলা ঠিক হয়নি । ব্যস্ততা ও অপ্রস্তুতির কারণে কিছু কথা তার ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) যাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন, তিনি তার পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন দলের মধ্যে যে, বিভাজন তৈরি হয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

    প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার বলেন যে, পক্ষপাত মূলক আচরণের কারণে দলে সুস্পষ্ট বিভেদ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন যে, তারা বর্তমানে সংসদ সদস্যের কোটা ও উপজেলা পরিষদ থেকে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে কোন প্রকার বরাদ্দ দেওয়া হয়না। এছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করে থাকেন। নানামুখী কারণে দলে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে এবং এ দূরত্ব শুধু বেড়েই চলছে। তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, তাকে রামপাল-মোংলার সবাই অত্যন্ত ভালোবাসে। দলের সমূহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রতি অনুরোধ জানান।

    সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন যে, আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। তাকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছিল, তা সত্যিই দুঃখ জনক। কারণ আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ দূর্দিনে দলের পাশে থেকে দলকে যেমন সহায়তা করেছেন, একই ভাবে তিনি এলাকার গরীব-দুঃখী মানুষকে অর্থনৈতিক সহায়তা, চিকিৎসা সেবা, মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানায় দান, অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতাসহ নানামূখী সামাজিক কাজকর্ম করে থাকেন।

    প্রতিবাদ সমাবেশে সকল বক্তারা রামপাল উপজলা আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভাজন তৈরী হয়েছে, তার শান্তিপূর্ন সমাধান কামনা করেন। তারা এও বলেন যে, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আঃ খালেক মহোদয় একটু উদ্যোগী হলে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

    প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার হাফিজুর রহমান, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, গৌরম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাজিব সরদার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরদার বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ চয়ন মন্ডল, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান রাজু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একটি অংশ প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

  • উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মন্তব্য করার প্রতিবাদে রামপালে সমাবেশ।

    উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মন্তব্য করার প্রতিবাদে রামপালে সমাবেশ।

    বাগেরহাটের রামপালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন,পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার(এম.পি)-কে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদান করায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৩ এপ্রিল সকাল  সাড়ে দশটার সময় রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ,রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফ্ফর হোসেন,রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জামিল হাসান হাসান জামু, রামপাল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন যে, বিগত ৭ই এপ্রিল বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের জনৈক এক নেতা বেসরকারি টিভি চ্যানেল DBC টেলিভিশনের ইলেকশন এক্সপ্রেস নামক একটি অনুষ্ঠানের স্বাক্ষাৎকারে তিনি উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার-কে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেন। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং কটুক্তি কারীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের প্রতি আহবান জানান।

    প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ(অবঃ)মোতাহার রহমান,উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ আলী,বাইনতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ ফকির,হুড়কা ইউপি চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার,রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাঃ সুলতানা পারভীন,উজলকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আক্তারুজ্জামান,ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরুল আমিন,রামপাল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রহমান, গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী গিয়াস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অতিন্দ্রনাথ হালদার দুলাল,অধ্যাপক (অবঃ)মোঃ আকবর আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ মান্নান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ ফরহাদ হোসেন,বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মনির আহমেদ প্রিন্সসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ,বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • বদলগাছীর মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।

    বদলগাছীর মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।

    বদলগাছীর মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।


    নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান মোঃ মাসুদ রানার বিরুদ্ধে জেলা প্রাশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    তিনি ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই তিনি সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক কাজ করেন।

    চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন,আমি মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকাবাসী আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করে বলেন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল কেন্দ্রের নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানা সরকারী নিয়ম-নীতি কে তোয়াক্কা না করে জন্ম নিবন্ধনের ফি ২০০-৩০০ শত টাকা করে নেন।

    আমি বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে সর্তক করি যাতে বেশী টাকা না নেওয়া হয়।এরপর ও আমার কথা না মেনে অতিরিক্ত টাকা নিতে থাকলে আমি ঘোষনা দেই জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা এবং আবেদন ফি ৩০ টাকা যা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং রুমে আবেদন করতে পারবেন। এরপর থেকে সাধারণ জনগণ নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানার কাছে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য যায় না তখন থেকেই নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে।নারী উদ্দোক্তা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট। আমি ভিলেজ পলিটিক্সের শ্বিকার।

    তিনি আরও জানান ঐ মহিলার কাছে আমি ২লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছি তা অবাস্তব।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যাক্তি বলেন আমরা জন্ম সনদ নিতে গেলে জাকিয়া সুলতানা অতিরিক্ত টাকা নিতো এবং আমরা হয়রানি শিকার হতে হয়েছে।

    ইউপি সদস্য পরিমল চন্দ্র বলেন,আমি দূর্ঘ্য ২৫ বছর থেকে ইউপি সদস্য আছি গত চেয়ারম্যান আমলে আমার এলাকার জনগণের কাছ থেকে নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানা অতিরিক্ত টাকা নিলে আমি তাকে নিষেধ করি এবং গত চেয়ারম্যানের কাছে তার কথা বলেছি চেয়ারম্যান কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।কিন্তুু বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ রানা দায়িত্ব পাবার পর জনগণ নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা এবং হয়রানির কথা মৌখিক অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান প্রথমে নিষেধ করে।কিন্তু সে কোন কথা শোনেনি তাই চেয়ারম্যান জনগণের কথা ভেবে জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা এবং আবেদন ফি ৩০ টাকা ঘোষণা দেন।এর পর থেকেই ঐ নারী উদ্দোক্তা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে।নারী উদ্দোক্তা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট বলে আমি মনে করি।মথুরাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউলের অভিন্ন বক্তব্য দেন৷

    সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় প্রায় একই চিত্র এবং ওয়ালে দেখা যায় পোস্টার যেখানে লেখা আছে জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০টাকা ও আবেদন ফি ৩০ টাকা যা ২ নং রুমে যোগাযোগ করুন।

    ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মুদিদোকান মোঃ বাচ্চু হোসেন বলেন ঐ উদোক্তা টাকা ছাড়া কিছু্ই বোঝেন না ৷আরো কয়েকজন এলাকাবাসী একই অভিযোগ করেন ঐ নারী উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে৷

    মথুরাপুর ইউনিয়ের বাসিন্দা শিক্ষক সামসুল একবাক্যেই বলেন ঐ মহিলা বহুরূপী আর মাসুদ চেয়ারম্যান একজন সৎ শিক্ষিত ও বিনয়ী মানুষ ৷তার বিরুদ্ধে এগুলো অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয় ৷

    এ বিষয়ে জাকিয়া সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন কিছু বলতে পারবোনা আমি বিভিন্ন দপ্তর বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছি দেখি সে গুলোতে ব্যবস্থা কি হয়।

  • সিলেটের সাংবাদিকের উপর বনবিট কর্মকর্তার মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ।

    সিলেটের সাংবাদিকের উপর বনবিট কর্মকর্তার মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ।

    সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ের সাবেক বিতর্কিত বনবিট কর্মকর্তা (জহিরুল ইসলামকে) নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে বনবিভাগ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতিসহ চাঁদাবাজির নিউজ প্রকাশ করার পর ,সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকতা সঠিক ভাবে তদন্ত করে সত্যতা যাচাই হওয়ার পর, জাফলং থেকে তাকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ঘটনাটি প্রায় ৮মাস পূর্বের । কিন্তু আজ সোমবার হঠাৎ সেই বনবিট কর্মকর্তা (জহিরুল ইসলাম) গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ের দুই তরুণ সংবাদকর্মী ইব্রাহীম আলী,ও সাইদুল ইসলামের নামে বন মামলার (গাছ কেটে বিক্রি করার নামে মিথ্যা মামলার) নোটিশ পাঠিয়েছে সিলেটের আদালত থেকে।

    এসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলাকাবাসী ও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ। এলাকাবাসী জানাই সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রত্যক্ষ দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য এলাকাবাসী, ও পরিশেষে দুই সংবাদকর্মী ইব্রাহীম আলী, সাইদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

  • রামপালে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

    রামপালে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে বাঁশতলী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মাসুম শেখ’র নামে মিথ্যা,ভিত্তিহীন,বানোয়াট,ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

    ২ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় রামপাল উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যেগে ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরদার বোরহান উদ্দিন’র সভাপতিত্বে ও রামপাল উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ চয়ন মন্ডল’র সঞ্চালনায় রামপাল থানার সম্মুখে এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

    মানববন্ধন শেষে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এ ষড়যন্ত্র ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। স্মারক লিপি প্রদান শেষে রামপাল উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান কার্যালয়ের দুপুর ১২ টায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান যে, ১৬ নভেম্বর সন্ধায় রামপাল উপজেলার বিএনপি’র উচ্ছৃংখল নেতা কর্মীরা রাষ্ট্র ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে নিয়ে কটুক্তি মূলক বক্তব্য প্রদান করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় জন সাধারণকে সাথে নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনা স্থলে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বি.এনপির নেতা কর্মীরা অতর্কীত হামলা শুরু করে।

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সকলে মিলে তাদের নিবৃত করে এবং সেখানে শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বি.এন.পি নেতাকর্মীদের প্ররোচনায় সফিকুল ইসলাম সোহাগ এক ইউপি সদস্য বাঁশতলী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মাসুম শেখ’র নামে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে।

    সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে,মামলার আসামি মোঃ মাসুম শেখ ঐ ঘটনার সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র চাচী বেগম রাজিয়া নাসের’র প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং এ ঘটনায় তার কোন সম্পৃক্ততা নেই-যা সরেজমিনে তদন্ত করলে জানা যাবে।

    উল্লেখ্য বাঁশতলী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম সোহাগ ২০ নভেম্বর ২০২১ মাসুম শেখ সহ তার আপন দুই ভাই মারুফ শেখ ও মোস্তাফিজ শেখ’র বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।

    মানববন্ধন,স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ,শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম,ইউপি সদস্য শিকদার জিয়াউর রহমান,মোঃ সরোয়ার, মোহাম্মদ ইমরান শেখ,মুহিতুল ইসলাম,বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান রাজু,জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু বকার সিদ্দিক,খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য শেখ মুহিদুল ইসলাম রনি,রামপাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী সহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার থানায় অভিযোগ।

    রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার থানায় অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে গ্রাম চর লক্ষী বেপারি বাড়ির মৃত মোঃ ইসমাইল বেপারী ছেলে গিয়াস উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ঝরনা বেগম স্বামীর প্রবাসী সাথে মটু ফোনে কথা বলার ভয়েস রেকর্ড করে এলাকায় বাজারে দোকানে পথে-ঘাটে অপপ্রচার করার অভিযোগে এই নিয়ে রায়পুর থানায় প্রবাসীর স্ত্রীর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    একই বাড়ির প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী ঝরনা বেগম অভিযোগ করে বলেন আমি আমার স্বামী মনির হোসেন সাথে আমার বসত ঘরে মোবাইল ফোনে কথা সময় গিয়াস উদ্দিন ঘরের পাশে দাঁড়িয়ে গোপনে আমার আর স্বামীর কথা ভয়েস রেকর্ড করে এই নিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনে খারাপ কাজের কু-প্রস্তাব দেয় আমি তার কথায় রাজী না হওয়া আমার প্রবাসী স্বামী সাথে কথা বলার গোপনে করা ফোন রেকর্ডিং টা এলাকায় প্রচার করে।

    স্থানীয়,গনি ব্যাপারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জানান, গিয়াস উদ্দিনের একাধিক বার সালিশ করেছি সেই প্রথমে একটি ছাগলের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় সেই সালিশ বৈঠকে ৫০০০/ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এর পর তার নিজের মেয়ে সাথে অনৈতিক কাজে করে এর পরে তার ছেলে বউ সাথে একাধিক বার ধর্ষণ করেন এর পর কবিরের স্ত্রী রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই মামলার ২ বছর সাজা হয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন তিনি জানান,গিয়াসউদ্দিনের একাধিক সালিশ আমি করেছি এই বিষয় নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে উভয় পক্ষ আমার অফিসে এসো আমি কথাবার্তা শুনে সমাধান করে দেব এরপর তারা আসেনি।

    সরেজমিনে গেলে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে উঠে এসে নানান অভিযোগ অভিযোগ করে এলাকাবাসী মাইনুদ্দিন, রাসেল,জেসমিন আক্তার,নুরজাহান, বেগম হজল গাজী,শাহিনুর, মুরাদ ড্রাইভার, বেগম জান, সহ অনেকেই বলেন,গিয়াস উদ্দিন লোক টা খারাপ সেই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজ করায় তার পেশা তার বিরুদ্ধে রয়েছে এলাকায় অসামাজিক কাজের অভিযোগে রয়েছে এলাকায় তার বিরুদ্ধে পাগলী পুত্রবধূ নিজ মেয়ের পিপি এ দিকেও খারাপ দৃষ্টি সহ আরো বহু অনৈতিক কাজের অভিযোগ।

    গিয়াস উদ্দিনের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে মোকবির হোসেন বলেন আমি দুটি বিবাহ করেছি আমার প্রথম স্ত্রী আমাকে কিছু না বলে তার বাপের বাড়ি চলে গেছে কেনো গেছে আমি তা জানি না আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আমার বাবা কে আর আমাকে জেল খাটিয়েছেন আমার বাবা মা আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করায় কিছু দিন আগে আমরা স্ত্রী বাপের বাড়ি গেছে আমার সাথে যোগাযোগ করে নাএই সব অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী বলেন সব ষড়যন্ত্র
    গিয়াস উদ্দিন কাছে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন অভিযোগগুলো মোটেও সত্য নয় ঝরনার কি ভয়েস রেকর্ডটা দেখতে চাইলে আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন ঝরনা বেগম অভিযোগ করেছেন।

    আমি এগুলো থানায় জমা দিয়ে দিয়েছি ।
    হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ি এই বিষয়ে জানতে চাইলে এস, আই, মিজান তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।