Tag: মামলা

  • মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় থানা চত্বরে নষ্ট হচ্ছে শত শত যানবাহন।

    মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় থানা চত্বরে নষ্ট হচ্ছে শত শত যানবাহন।

    রাজশাহীর বাঘা থানা চত্বরে একটি ঝুপড়ি ঘরের নিচে ও বাইরে আইনি জটলিতায় অকশন দিতে না পারায় বা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে প্রায় দেড় শতাধিক মোটর সাইকেল-সহ খোলা আকাশের নিচে বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে বিভিন্ন ব্যান্ডের প্রাইভেটকার, মাইক্রো, ভ্যান, ট্রাক, মিনিট্রাক এবং বাস সহ সীমান্তর্বতী পদ্মা নদীতে মাদক বহনকৃত ইঞ্জিন চালিত নৌকা।
    লক্ষ করে দেখা যায় এর মধ্যে মোটর সাইকেলের সংখ্যা বেশি। বছরের পর বছর এসব যানবাহন আটক রাখার ফলে বিপুল পরিমানে রাজস্ব থেকে বঞ্চতি হচ্ছে সরকার। তবে এ থানায় যে সকল যানবাহন পড়ে রয়েছে বেশির ভাগই মাদক পরিবহনের আলামত সংক্রান্তে জব্দ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলশি।
    স্থানীয় কিছু লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোদ-বৃষ্টি, ঝড় আর ধুলায় এসব গাড়ির যন্ত্রাংশে মরিচা ধরে গছে। ফলে দিন দিন যানবাহন গুলো চলাচল ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে আবার কিছু গাড়ি হারিয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে আইনি জটিলতা থাকায় এসব গাড়ি নিলামে না তুলতে পারায় বিপুল পরমিান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। তবে জব্দকৃত যানবাহন রাখার জন্য আলাদা ভাবে একটি নিদিষ্ট গ্যারেজ তৈরি করে দেওয়া হয় তাহলে হইতো এত দ্রুত যানবাহন গুলো নষ্ট হতো না । ফলে সরকাররে কোষাগারেও জমা হবে র্পযাপ্ত রাজস্ব। কিন্তু এখানে সে ব্যবস্থা নেই।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সাজ্জাদ হোসনে জানান, বিভিন্ন অপরাধে এসব যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। কাগজ-পত্র না থাকায় সঠিক মালিকের কাছে হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। তবে এ থানায় জব্দকৃত যান বাহনের মধ্যে অধকিাংশই মাদক বহনের আলামত হিসেবে জমা রয়ছেে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে শুধু বাঘা নয়, দেশের প্রায় সকল থানাতেই এমনি ভাবে শত-শত-যানবাহন পড়ে রয়েছে। তিনি এগুলো সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন বলেও মনে করেন।
    এ বিষয়ে রাজশাহী জজ কোর্টের পিপি এড. নাসরিন আক্তার মিতা বলেন, এভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দ্রুততার সাথে এসব মামলা নিষ্পত্তি করলেই আমাদের সম্পদ গুলো রক্ষা পাবে। এর ফলে সরকারও বিপুল পরিমান রাজস্ব পাবেন।
  • নিজ সম্পত্তিতে ধান রোপণে বাধা দিয়ে মামলা-দিশেহারা কৃষক পরিবার।

    নিজ সম্পত্তিতে ধান রোপণে বাধা দিয়ে মামলা-দিশেহারা কৃষক পরিবার।

    লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন কালিকাপুর গ্রামের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ও প্রতিপক্ষ পরিকল্পিত ভাবে কৃষক আব্বাস মিয়ার সম্পত্তিতে বোর ধান রোপনে বাধা দিয়ে উল্টো আদালতে মামলা দায়ের করায় কৃষক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ছে।

    ২০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষক পরিবার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনী ও গ্রাম্য মাতব্বরদের ধারস্থ হওয়ার পরেও ওই ইউপি সদস্য প্রকাশ্যে নির্বিগ্নে প্রতিনিয়ত গ্রামছাড়া ও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

    সুত্রে জানায়,উপজেলার দক্ষিন কালিকাপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম জীবনদশা তার প্রবাসি পুত্র আব্বাস মিয়াকে ২০০৫ইং সালে ৩৬ শতাংশ সম্পত্তি রেজিঃ করে দেয়। ওই সম্পত্তিতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো বোরো রোপন করতে গেলে নবনির্বাচিত মেম্বার ফারুক হোসেন ও প্রতিপক্ষ মমিন উল্যাহ জমিনে উপস্থিত হয়ে অশ্লীল ভাষা গালমন্দ করে শ্রমিকদের রোপন কাজ বন্ধ করে জমিন থেকে তাড়িয়ে দেয়। সম্পত্তির পাশে বসবাসকারীরা বলেন,কৃষক আব্বাস মিয়ার পরিবার সম্পত্তি রেজিঃ করার কয়েক বছর পুর্ব থেকেই এই জমিনে বোরো চাষ করে আসছে।

    কৃষক আব্বাস মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন,মেম্বার ফারুক শপথ না নিতেই মমিন উল্যাহর সাথে গোপন চুক্তি করে আমার পরিবারকে গ্রামছাড়া ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান সহ নানা হুমকি দিচ্ছে। বোরো রোপন বন্ধ করে ফারুক নিজেই আমার থেকে সমাধানের আশাসে এক লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে। কৃষক আব্বাস মিয়া বলেন,মেম্বার ফারুক সম্পত্তি থেকে শ্রমিক তাড়িয়ে দেওয়ার পরে চারাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

    অভিযুক্ত মমিন উল্যাহ বলেন,আব্বাস মিয়া দলিল মুল্যে মালিক হয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর সম্পত্তি ভোগ দখল করছে কি না আমার জানা নাই।

    আদালতে মামলা করেছি সেখানেই সমাধান হবে। নবনির্বাচিত মেম্বার ফারুক হোসেন বলেন,মমিন উল্যাহ আদালতে মামলা করার পরে আমাকে জানালে আমি সমাধানের লক্ষ্যে বোরো রোপনে বাধা দিয়েছি। বর্তমান মেম্বার জহিরুল ইসলাম বলেন, নবনির্বাচিত মেম্বার ফারুক হোসেন শপথগ্রহন কিংবা দায়িত্ব না পেতেই কৃষক পরিবারকে হয়রানী করা সত্যেই দু:খজনক।

  • চট্টগ্রামে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়,জসিম উদ্দীনের মৃত্যুদণ্ড।

    চট্টগ্রামে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়,জসিম উদ্দীনের মৃত্যুদণ্ড।

    চট্টগ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জসীম উদ্দীন বাপ্পি (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি২২) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নিখিল কুমার নাথ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন,২০১৭ সালের ২৯ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকার গৃহবধূ শারমিনকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জসিমকে মৃত্যুদণ্ড এবং একটা লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। দুই আসামি সরওয়ার আলম সেরু ও আব্দুল মোতালেব লিটন মারা যাওয়ায় তাদের মামলার বিচার থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

    তবে আইয়ুব ও শরীফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। হাজতে থাকা জসিম ও শরীফ রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ কুমিরায় বিকেলের দিকে নিখোঁজ হন শারমিন আক্তার। পরদিন ভোরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শারমিনকে ধর্ষণ করে হত্যা করার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরদিন ৩০ মার্চ অজ্ঞাত আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় শারমিনের মেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
    ঘটনার সঙ্গে পাঁচজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়ে পুলিশ বিভিন্ন সময় চারজনকে গ্রেফতার করে।

    আইয়ুব এখনও পলাতক। আসামি জসীম উদ্দীন বাপ্পি খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

    ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১৭ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।

  • সিলেটের সাংবাদিকের উপর বনবিট কর্মকর্তার মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ।

    সিলেটের সাংবাদিকের উপর বনবিট কর্মকর্তার মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ।

    সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ের সাবেক বিতর্কিত বনবিট কর্মকর্তা (জহিরুল ইসলামকে) নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে বনবিভাগ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতিসহ চাঁদাবাজির নিউজ প্রকাশ করার পর ,সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকতা সঠিক ভাবে তদন্ত করে সত্যতা যাচাই হওয়ার পর, জাফলং থেকে তাকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ঘটনাটি প্রায় ৮মাস পূর্বের । কিন্তু আজ সোমবার হঠাৎ সেই বনবিট কর্মকর্তা (জহিরুল ইসলাম) গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ের দুই তরুণ সংবাদকর্মী ইব্রাহীম আলী,ও সাইদুল ইসলামের নামে বন মামলার (গাছ কেটে বিক্রি করার নামে মিথ্যা মামলার) নোটিশ পাঠিয়েছে সিলেটের আদালত থেকে।

    এসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলাকাবাসী ও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ। এলাকাবাসী জানাই সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রত্যক্ষ দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য এলাকাবাসী, ও পরিশেষে দুই সংবাদকর্মী ইব্রাহীম আলী, সাইদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

  • মান্দায় মামলা করে বাদি এলাকা ছাড়া।

    মান্দায় মামলা করে বাদি এলাকা ছাড়া।

    রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নে (ইউপি) নৌকা বিরোধী এবং ভুমিগ্রাসী দানেশ ও মোবারক বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছে নৌকার কর্মী বাদির পরিবার। আসামিদের অব্যাহত হুমকি-ধামকিতে ভুমিহীন চারজন আহত হয়।

    এ ঘটনায় পাকুড়িয়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের পুত্র আতাউর ইসলাম বাদি হয়ে দানেশ ও মোবারকসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও প্রায় ৪০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তুু সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি।

    এদিকে গত ১৪ জানুয়ারী শুক্রবার ভুমিগ্রাসী দানেশ ও মোবারক বাহিনী ফের ভুমিহীনদের ওপর হামলা করে এতে চারজন গুরুত্বরসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ভুমিহীনদের পক্ষে পাকুড়িয়া গ্রামের একরামুল হকের পুত্র ফারুক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তার পর থেকে বাদী ফারুক ও তার পরিবার এলাকা ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে প্রশাসনের রহস্যজনক ভুমিকায় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,মান্দার ভারশোঁ ইউপির মহানগর মৌজার উথরাইল বিলের জমি জবরদখল এবং আলতাজের মদদে ভুমিগ্রাসী দানেশ ও মোবারক বাহিনীর হামলায় ফারুক হোসেন বাদি হয়ে দানেশ ও মোবারকসহ ২৭ জনকে আসামি করে মান্দা থানায় মামলা করেন। এদিকে মামলা করার পর পরই ভুমিগ্রাসী দানেশ, মোবারক ও এন্তাজ আলী মামলা তুলে নিতে বাদির পরিবারকে নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন, প্রাণনাশ এমনকি ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়া হয়।

    আসামিদের অব্যাহত হুমকি-ধামকিতে বাদি ফারুক ও আতাউর রহমানের পরিবারসহ এলাকা থেকে পালিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অথচ আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদের অজ্ঞাত কারণে খুঁজে পাচ্ছেন না পুলিশ বলে অভিযোগ বাদির।

    রাস্ট্রিয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ, স্খানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের, অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য ভারশোঁ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ভোট করায় বাদিসহ ভুমিহীনদের ওপর নৌকাবিরোধীদের এমন জুলুম-নির্যাতন। ভারশোঁ ইউপির আমজনতা এবিষয়ে মানীয় প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ১নম্বর ভারশোঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মহানগর মৌজার উথরাইল বিলে প্রায় ২০০ বিঘা খাস জমি রয়েছে, কিন্তু জমির শ্রেণী জলকর তাই পত্তন দেওয়া হয় না। শুষ্ক মৌসুমে এসব জমি জেগে উঠলেও বর্ষা মৌসুমে ডুবে যায়, জেগে উঠা জমিতে বছরে একটি মাত্র ফসল হয়। ফলে বিল পাড়ের ভুমিহীনরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে এসব জমিতে ৬ মাস চাষাবাদ ও ৬ মাস মাছ আহরণ করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে আলতাজ বাহিনীর লোকজন তাদের জমি বলে কোন কথা ছাড়াই দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া,বল্লম,হাতুড়ি, লোহার রড দিয়ে মামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করে দেয়। এসময়

    স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ওইদিনই মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তবে এদের মধ্যে সিরাজ উদ্দিন এবং উজ্জলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী দানেশ ও মোবারক বাহিনীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেম কামনা করেছেন। এবিষয়ে দানেশ ও মোবারক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষরাই তাদের লোকজনকে মারপিট করেছে।

    এব্যাপারে মান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, ফারুকের করা মামলায় ২২ জন আসামি জামিনে রয়েছে, বাঁকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে ভাঁরশো ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, পাকুড়িয়া গ্রামের বিএনপি ও আওয়ামী লীগবিরোধী কিছু ভুমিগ্রাসী গরীবের ছোট ছোট জমি দখল করেছে,ওরা বেশি লোক তাই ওদের সঙ্গে কেউ পারে না।

    তিনি বলেন,এবার নৌকার পক্ষে যারা ছিলো তারা তাদেরকে জমি থেকে তুলে দিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে আলতাজ উদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা অপপ্রচার করছে।

  • রায়পুরে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

    রায়পুরে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে মো. আবদুল মান্নান নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও গলাটিপে হত্যার ঘটনায় বাবা ও ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রায়পুর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের দালাল বাড়ির ফিরোজ আলম ও তার ছেলে মো. জুয়েল। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। আসামিদের অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করা হয়। এই সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

    লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিরোধীয় জমি থেকে ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে ২০১৫ইং সালের ২৮ জুলাই রায়পুর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে দালাল বাড়িতে আবদুল মান্নানকে পিটিয়ে এবং গলাটিপে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ওই দিন রায়পুর থানায় নিহতের বাবা ইসমাইল জবি উল্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফিরোজ আলম ও তার ছেলে জুয়েলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন

  • পীরগঞ্জে গ্রেপ্তার মাদক ব্যবসায়ী হাতকড়াসহ পলায়ন থানায় মামলা।

    পীরগঞ্জে গ্রেপ্তার মাদক ব্যবসায়ী হাতকড়াসহ পলায়ন থানায় মামলা।

    ঠাকুরগাঁজ জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় হাতকড়াসহ পালিয়ে গেছে জাহিদুর রহমান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় সোমবার রাতে পীরগঞ্জ থানায় ওই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।
    জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১০জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চাঁদপুর পুকুরপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী জাহিদুরের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তার বাড়ি থেকে ১১০ পিস ইয়াবা ট্যবালেট  পাওয়া যায় এবং জাহিদুরকে আটক করে হাতকড়া পড়ানো হয়।
    পরে জাহিদুরকে থানায় নেয়ার পথে সে  হাতকড়া সহ পালিয়ে যায়। এঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় জাহিদুরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং হাতকড়াসহ পালানোর জন্য পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। জাহিদুরের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদকের মামলা রয়েছে।
    পীরগঞ্জ থানা পরিদর্শক (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দ বাদি হয়ে মাদক ব্যবসায়ী জাহিদুরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন।
  • চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যা মামলায় এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতারের নির্দেশ।

    চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যা মামলায় এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতারের নির্দেশ।

    স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় নিজের দায়ের করা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার (৯ জানুয়ারি২২) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত এ আদেশ দেন।
    এর আগে,গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তারের আবেদন করেন। বাবুল আক্তারের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, একই ঘটনায় মিতুর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বাবুল। এ ঘটনায় দুই মামলা আদালতে চলতে পারে না। আমরা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাবো।
  • তাড়াশে নৌকা ও আনারস প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি ৫টি মামলা।

    তাড়াশে নৌকা ও আনারস প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি ৫টি মামলা।

    আগামী ৫ জানুয়ারী পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কয়েকটি মারামারি ও মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব হামলার ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক ও নৌকার প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সরকার একে অন্যকে দায়ী করেছেন।

    এ ব্যাপারে নৌকা প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সরকারের পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (আনারস) সমর্থকের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সরকার বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনকে আসামী করেছেন । এছাড়া নৌকা প্রার্থীর পক্ষে শরিফুল ইসলাম তাড়াশ থানায় বাদী হয়ে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে অজ্ঞাত আরো ১০-১৫জনকে আসামী করেছে।

    অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন ৩টি মামলা দায়ের করেছেন নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে ১৭জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

    মজিবর রহমান বাদী হয়ে ১৫জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২জনকে অজ্ঞাত ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১৪-১৫জনের অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করেন।

    জানা যায়, দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস সরকার দ্বিতীয় বারের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন দেশীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক।

    পরে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় শারীরিক ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবতর্ীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে মাঠে নামেন তিনি। এ কারণে দেশীগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয়ভাবে কেউ নৌকার প্রার্থীর সমর্থনে আবার কেউবা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অবস্থান নেন।

    স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস) জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাকের অভিযোগ,নিবার্চনকে কেন্দ্র করে গত ২২ ডিসেম্বর বিকেলে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সরকারের সমর্থকেরা তার কর্মী দেশীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল আজিজের (৭০) উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর জখম করে। ২৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে কুমাল্লু গ্রামে নৌকা প্রার্থীর কর্মী মোশারফ হোসেন, আব্দুল মতিন, আবু মুছা ও জিয়াউর রহমানের নেত্বতে ১৫/১৬ জনের একটি বাহিনী রাতে লোহার রড় ও হাসুয়া নিয়ে কুমাল্লু গ্রামে আমার পোষ্টার ছেড়ার প্রতিবাদ করায় তফিজ উদ্দিন নামের এক সমর্থকের চায়ের দোকান ভাঙচুর করে ও মারধর করে।

    এছাড়াও গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৩ টার দেওড়া বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক দেশীগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের উপর নৌকার সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে তিনিসহ অনন্তত ৫জন আহত হয়।

    আওয়ামী লীগ মনোনিত (নৌকা) প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সরকারের অভিযোগ,৩০ ডিসেম্বর বিকালে আমার কর্মী ও সমর্থকেরা নিবার্চনী প্রচারে গিয়ে ভোট প্রার্থনার সময়ে কাটাগাড়ী বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাকের সমর্থকেরা আমার ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।

    এ সময় অন্তত ৫জন আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়। পরে ৭টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে তারা। তিনি আরো বলেন,তারা দল করবে, অথচ দলীয় প্রার্থীর সাথে কাজ করবেন না এটা ঠিক না। আমি নিরীহ মানুষ। সংঘাত কারো কাম্য নয়। শুধু আমার পক্ষেই মামলা হয়নি, তারাও আমার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

    তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ  ফজলে আশিক বলেন,দেশীগ্রামেই সংঘাত বেশি হচ্ছে। উভয়পক্ষের ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার চেষ্টা করছি। উভয় পক্ষকে আইন মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

  • রামগতিতে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীকে অপহরণ,চেয়ারম্যানকে জরিয়ে মামলা।

    রামগতিতে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীকে অপহরণ,চেয়ারম্যানকে জরিয়ে মামলা।

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক মাহমুদের স্ত্রী নিশি মাহমুদকে অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিমসহ ৯ জন নামিক ও ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদলতে (রামগতি) মুশফিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

    বাদীর আইনজীবী ফাহাদ ইসলাম জনি আমারজমিনকে জানান বিচারক মোসাম্মৎ নুসরাত জামান মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আসামি তন্ময় কুমার দাসের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে অবস্থান চিহ্নিত পূর্বক নিশি মাহমুদকে উদ্ধারে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কে নির্দেশ দিয়েছেন।

    আসামি তন্ময় পটুয়াখালি সদর উপজেলার লাউকাটি গ্রামের নব কুমার দাসের ছেলে। অন্য আসামির হলেন রামগতি উপজেলার চরসীতা গ্রামের প্রদন্ন মজুমদার,নিরাশা মজুমদার, পটুয়াখালির লাউকাটি গ্রামের কমল দাস,নবকুমার দাস,অয়ন দাস,প্রান্ত কুমার দাস,ধনঞ্জয় কুমার দাস।

    বাদী মুশফিক ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও রামগতির চরসীতা গ্রামের এজেডএম মুনছুর আলীর ছেলে।

    মামলা সূত্র জানা যায়,ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক নিজ গ্রামের আমিরোদ্ধ মজুমদারের মেয়ে প্রজরি মজুমদার নিশির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এতে চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর তারা বিয়ে করেন। এ প্রেক্ষিতে নিশি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে ও এফিডেভিটের মাধ্যমে তার নাম পরিবর্তন করে নিশি মাহমুদ রাখা হয়। ১১ নভেম্বর নিশির বাবা আমিরোদ্ধ মারা যান।

    বাবার শেষকৃত্য করতে নিশি তার বাবার বাড়িতে যান৷ এতে ওই বাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যান জসিমসহ আসামিরা নিশিকে আটকে রাখেন। পরে তাকে অপহরণ করে পটুয়াখালী তন্ময়দের বাড়িতে সাতদিন আটকে রাখা হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে মুশফিক পটুয়াখালী তন্ময়ের এলাকায় যান৷ সেখানে মুশফিক জানতে পারে তার স্ত্রীকে আটকে রেখে জোরপূর্বক তন্ময়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    মুশফিক মাহমুদ বলেন,নিশি আমার বিবাহিত স্ত্রী। চেয়ারম্যান জসিম কারসাজি করে আমার স্ত্রীকে অভিযুক্তদের দিয়ে অপহরণ করিয়েছে। নিশিকে আমি অক্ষত অবস্থায় ফেরত চাই। তারা আমার স্ত্রীকে অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।

    এই বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিম আমারজমিনকে বলেন,মুশফিক নিশিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল,কিন্তু পারেনি।নিশিকে আমরা পটুয়াখালী নিয়ে বিয়ে দিয়েছি।
    মুশফিক নিশিকে বিয়ে করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মুশফিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছে।

    রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান আমারজমিনকে জানান মুশফিক বিষয়টি আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। তবে আদালতের আদেশ কপি আমার হাতে এসে পৌছায়নি। কপি হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।