Tag: মামলা

  • মাধবপুরে পৃথক অভিযানে বিভিন্ন মামলার আসামী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে পৃথক অভিযানে বিভিন্ন মামলার আসামী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে পৃথক অভিযানে বিভিন্ন মামলার আসামী গ্রেফতার।


    হবিগঞ্জের মাধবপুর থানা পুলিশের কয়েকটি পৃথক বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জি আর মামলার তিনজন পলাতক ও,দুই জন চুরি মামলার আসামি,ও অপরাধ নিবারণ কল্পে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারা মোতাবেক এক জন আসামী, মাদক এবং নিয়মিত মামলায় দুইজন আসামিসহ মোট আটজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উপজেলার তেলিপাড়া থেকে ১৫ বোতল বিদেশী মদ ও ৪ কেজি গাঁজাসহ উদ্ধার” গ্রেফতারকৃত মাদক মামলার দুই আসামি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে পারভেজ মিয়া (২৭)। ওই শাহজাহানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরমা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মস্তু মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (২৪) গ্রেফতার করা হয়।

    পলাতক ও চুরি মামলা আসামিরা হলেন রুবেল মিয়া(২২), পিতা হাজী মরম আলী পুত্র। শাহআলম(৩১),পিতা রহিছ আলী পুত্র।ফয়সাল মিয়া(২৩),পিতা হোসেন আলী পুত্র। সাইদুল ইসলাম(২৫), পিতা কামাল মিয়া পুত্র। আবুল হোসেন (৪১), পিতা আব্দুল হাসিম পুত্র। মোঃ ফয়সাল আহমেদ(২৮), পিতা মৃত হাসন আলী পুত্র, মাধবপুর উপজেলার বাসিন্দা।

    শুক্রবার ১১মার্চ বিকালে দিকে এ বিষয়ে কথা হয়” মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক সাথে তিনি জানান, গ্রেফতার কৃত বিভিন্ন মামলার আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

  • মামলার বাদীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ সন্ত্রাসী মেম্বার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। 

    মামলার বাদীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ সন্ত্রাসী মেম্বার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। 

    মামলার বাদীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ সন্ত্রাসী মেম্বার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। 

    বাঁশখালীতে ভূয়া ওয়ারিশ সনদের মামলায় জেল থেকে বের হয়ে মামলার বাদী মাওলানা আবুল কালামকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ইউপি সদস্য এবাদুল হক ও তার বাহিনীর লোকজন। এসময় তার ভাই মাহবুবুর রহমানকেও মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত মাওলানা আবুল কালাম ও মাহবুবুর রহমানকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতাল ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    গতকাল (১০ মার্চ২২) বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের পুর্ব রত্নপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দেয়াকে কেন্দ্র করে মাওলানা আবুল কালামের মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৩ জন গ্রেফতার হয়ে হাজত বাস করেন। দু’একদিন আগে মেম্বার এবাদুল হক জেল থেকে জামিনে ছাড়া পান। গতকাল ওই মামলায় বাদী মাওলানা আবুল কালাম বাড়ী থেকে বের হয়ে আদালতের দিকে যাওয়ার পথে মেম্বার ও তার বাহিনীর লোকজন আবুল কালামের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে তার ভাই মাহবুবুর রহমান এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে। গুরুতর আহত ২ জনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    উল্লেখ্য, ইউপি সদস্য এবাদুল হক এলাকায় নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার নেতৃত্বে রয়েছে এলাকায় কিশোর গ্যাং। এলাকায় জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ, মাদক ইয়াবা সরবরাহ ও এলাকার নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবাদুল হক ও তার বাহিনী। এবাদুলের কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ে এলাকায় কারো মুখ খোলার সাহস নেই। একজন বিএনপি নেতা হয়েও এবাদুল হক স্থানীয় সরকারী দল নেতাদের ম্যানেজ করে সরকারের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ ও এলাকায় দেদারছে অপরাধ কর্মকান্ড ঘটিয়ে চলছে।
    বাঁশখালী থানার ওসি মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন জানান, বাহারছড়ার ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পুর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    ছবি ক্যাপশন (১), বাঁশখালীতে মেম্বার এবাদুল হক ও তার বাহিনীর হাতে হামলার শিকার মাওলানা আবুল কালাম ও মাহবুবুর রহমান।
  • শাপলাপাতা মাছ বিক্রির অপরাধে মামলা।

    শাপলাপাতা মাছ বিক্রির অপরাধে মামলা।

    শাপলাপাতা মাছ বিক্রির অপরাধে মামলা।


    বিলুপ্তপ্রায় শাপলাপাতা মাছ বিক্রির অপরাধে বাগেরহাটে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার(৮ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট দড়াটানা নদী সংলগ্ন কেবি মৎস্য আড়তে বিলুপ্তপ্রায় শাপলাপাতা মাছ বিক্রির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকতা মোঃ বেলায়েত হোসেনের নির্দেশে রেঞ্জার নুরুজ্জামান শেখ এর নেতৃত্বে BNWPC বাগেরহাটের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা কর্মী মেহেদী হাসান ও এনিম্যাল লাভারস অফ বাগেরহাটের সদস্য আল্লামা ইকবালসহ বন বিভাগের বনকর্মী বাহিনী প্রায় ১৫৭ কেজি ওজনের ৪টি বিলুপ্তপ্রায় বড়দাগী বাঘা শাপলাপাতা মাছসহ বিক্রেতা জাকির সরদার ও অটো চালক সজন গামাকে আটক করে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ বাগেরহাটের অফিসে আনা হয়।

    পরে তাদের নামে বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ এর ৩৪ (খ) ধারায় মামলা করে বাগেরহাট কোর্টে প্রেরণ করা হয় এবং খুলনা কেসিসি মৎস্য বাজারের আমিনিয়া ও আজমীর ফিস ট্রেডার্স মালিকের নামেও মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়।

    সূত্রে জানা যায়,শাপলাপাতা মাছ বিক্রির অপরাধে বাগেরহাটে এটিই প্রথম মামলা। এর পূর্বে সংশ্লিষ্ট আড়ৎ ও মাছ বিক্রেতাদের সাথে বাগেরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউর রহমান মন্টু,বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আস সাদিক, বাংলাদেশ প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষা কেন্দ্র BNWPC বাগেরহাটের সভাপতি ডাঃ মোশাররফ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক এবং বন বিভাগের পক্ষ থেকে মতবিনিময় করা হয় ও বাগেরহাটের বিভিন্ন মাছ বাজারে মাছ বিক্রেতাদের মাঝে সতর্কীকরণ লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়।

  • ঠাকুরগাঁয়ে শিশু ধর্ষণ মামলায় কলেজছাত্র গ্রেফতার।

    ঠাকুরগাঁয়ে শিশু ধর্ষণ মামলায় কলেজছাত্র গ্রেফতার।

    ঠাকুরগাঁয়ে শিশু ধর্ষণ মামলায় কলেজছাত্র গ্রেফতার।


     ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ছয় বছরের এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগে নাঈমউদ্দিন শরিফ(২৩) নামের এক কলেজছাত্র  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাবীবনগর গ্রাম থেকে ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়।

    রাতেই ঐ এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান লিটন বিষয়টি থানায় জানান। পরে পুলিশ গিয়ে নাঈমকে গ্রেফতার করে। রাতেই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একমাত্র নাঈম উদ্দিন শরিফকে আসামি করা হয়।

    ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তানভিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।গ্রেফতার- নাঈম উদ্দিন শরিফ ওই গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে। সে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

    ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশী কন্যা শিশু নাঈমের বাড়িতে আসে। এসময় ফুসলিয়ে শিশুটিকে নাঈম তার ঘরে নিয়ে যায়। এরপর মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে নাঈম। একপর্যায়ে শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

    তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  • প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে উদ্যাক্তার বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা।

    প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে উদ্যাক্তার বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা।

    প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে উদ্যাক্তার বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা।

    প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ১০ নং ছাতিয়াইন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা প্রাণতোষ সূত্রধরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন রামেশ্বর গ্রামের ভুক্তভোগী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কাজল সরকার।  আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মাধবপুর থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলা সূত্রে জানা গেছে,ছাতিয়াইন ইউনিয়নের রামেশ্বর গ্রামের হতদরিদ্র নিতিন্দ্র সরকারের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পুত্র কাজল সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে মঞ্জুরীকৃত প্রতিবন্ধী ভাতা (আইডি নং ২০০০৩৬১৭১৪৩১০৪২০৮-০৪) উত্তোলনের জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা প্রাণতোষ সূত্রধরের পরিচালনাধীন ব্যাংক এশিয়ার ছাতিয়াইন বাজারস্থ আউটলেটে একটি একাউন্ট খুলেন।
    নির্ধারিত সময়ে গত বছরের ৩০ নভেম্বর কাজল সরকারের ১০৮৩৪৩৬০৬৪১৯৭ নম্বর একাউন্টে ১১ হাজার ২৮৭ টাকা জমা হয়। টাকা জমা সংক্রান্ত মোবাইল ম্যাসেজ অনুযায়ী পরদিন টাকা উত্তোলণ করতে গেলে উদ্যোক্তা প্রাণতোষ সূত্রধর কাজল সরকারের ফিংগার প্রিন্ট নিয়ে একাউন্ট চেক করে কোনো টাকা জমা হয়নি বলে জানান।
    পরের দিন নিজের মোবাইলে ব্যাংক এশিয়া থেকে প্রাপ্ত মেসেজ মারফত জানতে পারেন তার একাউন্টে ১১ হাজার ২৮৭ টাকার জায়গায় ১৮৭ টাকা জমা রয়েছে। তখন তিনি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারে প্রাণতোষের সাথে টাকার জন্য যোগাযোগ করলে প্রাণতোষ তার সাথে দূর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন।
    এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেও কোনো সুরাহা না পেয়ে হতদরিদ্র শারীরিক প্রতিবন্ধী কাজল সরকার আইনী প্রতিকারের আশায় প্রাণতোষ সূত্রধরের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে(কগ-৬) মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মাধবপুর থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
    এদিকে দাসপাড়া গ্রামের আল আমীনের স্ত্রী রিখা আক্তারের মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দাসপাড়া গ্রামের মঈন উদ্দিন মনির নামে এক ব্যক্তি প্রাণতোষ সূত্রধরের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার স্থাণীয় সরকার শাখার উপপরিচালক (ডিডিএলজি)বরাবরে পৃথক অভিযোগ করেছেন।
    অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে বলে তদন্তসংস্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামলা এবং অভিযোগের বিষয়ে উদ্যোক্তা প্রাণতোষ সূত্রধরের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান,একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
  • মাধবপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার। 

    মাধবপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার। 

    মাধবপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার। 

    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কাশিমনগড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই বাবুর চৌধুরী ও এএসআই ইমরান সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল রাতে উপজেলার আরিছপুর থেকে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এক আসামি কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গ্রেফতার কৃত আসামি উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের আরিছপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হাই এর পুত্র মোঃ আলমগীর মিয়া(১৯)।
    শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকালে এ বিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল রাজ্জাক জানান,গ্রেফতার কৃত আসামি কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
  • লক্ষ্মীপুরে এক কৃষক হত্যা মামলায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুরে এক কৃষক হত্যা মামলায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুরে এক কৃষক হত্যা মামলায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড।


    লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধ আলী আকবর ক্বারী হত্যা মামলায় ৫পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৩তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    তিনি বলেন, আসামিদের মধ্যে ৬ছয় জন আদালতের উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. জসিম, সফিকুর রহমান, রুবেল হোসেন, নূর মিয়া ব্যাপারী ও তৌহিদুর রহমান।যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. জুয়েল, মোক্তার হোসেন ও রাহেলা বেগম।

    আদালত সূত্র জানায়, কৃষক আলী আকবরদের সঙ্গে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০১৮ইং সালের ৭সাত সেপ্টেম্বর বিরোধীয় জমি থেকে নুরুল ইসলামের পরিবার ডাব পাড়তে যায়। এতে আলী আকবররা বাধা দেন। একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে মো. জসিমসহ আসামিরা আলী আকবরকে কুপিয়ে জখম করেন।

    আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে নোয়াখালী নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেই আলী আকবর মারা যান। রায়পুর উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে নিহতের ছেলে তহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ মো. জসিমকে প্রধান করে ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

    ২০১৯ইং সালের ৮আট সেপ্টেম্বর তিন আসামি আদালতের হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৫পাঁচ জনের ফাঁসি ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

  • রামগঞ্জে যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

    রামগঞ্জে যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

    রামগঞ্জে যুবলীগ কর্মী হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড।


    লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ কর্মী আনিসুর রহমান আজাদকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি মোঃ মহসীনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরোও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

    বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় প্রদান করেন।

    লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এ সময় তিনি বলেন,মামলার অভিযোগ প্রমাণির হওয়ায় আদালত আসামি মহসীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। জামিনে বের হয়ে তিনি পলাতক রয়েছেন।

    মহসীন রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের নন্দিয়ারা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। নিহত আজাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মহসীনের সঙ্গে যুবলীগ কর্মী আজাদের ভাগনে রিয়াদ হোসেন টিটুর পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। ২০১৯ইং সালের ৮ জুলাই বিকেলে মহসীন একটি ধারালো দা নিয়ে টিটুর ওপর আক্রমণ করে। খবর পেয়ে তিনি ভাগনেকে বাঁচাতে আসেন। এই সময় মহসীন ও আজাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

    ঘটনার এক পর্যায়ে মহসীন ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো দা দিয়ে আজাদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। একই দিন আজাদের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মহসীনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মহসীনের বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত মহসীনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় প্রদান করেন।

  • তানোরে নিরহ পরিবারের নামে ৫টি মামলা,মামলাবাজের উপর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী।

    তানোরে নিরহ পরিবারের নামে ৫টি মামলা,মামলাবাজের উপর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী।

    তানোরে নিরহ পরিবারের নামে ৫টি মামলা,মামলাবাজের উপর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী।


    রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের ছাঐড় গ্রামের মজিবর রহমান নামের এক মামলাবাজের বিরুদ্ধে এক পরিবারের নামে ৫টি মামলা করাসহ গ্রামের আরো ২০থেকে ২২জন প্রতীবেশির উপর একের পর এক সাজানো মামলায় গ্রামবাসি অতিষ্ঠ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ইতিমধ্যে ওই মামলাবাজ মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রামের নিরহ কৃষক ওবায়েত উল্লাহ্’র পরিবারের নামে একাধিক মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

    স্থানীয়রা জানান, ছাঐড় গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে মুজিবুর রহমান একই গ্রামের মৃত ফেরাতুল্লাহ মন্ডলের ছেলে ওবাইয়েত উল্লাহ মন্ডলের পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে ৫টি সাজানো মামলা করেছেন। এছাড়াও একের পর এক মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে নিরহ মানুষদের নাজেহাল করলেও হয়রানিমুলক মামলার ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ফলে দিন দিন তার দৌরাত্ম্য চরম পর্যায়ে উঠেছে। এদিকে রাজনৈতিক পরিচয়ের কিছু টাউট-বাটপারের মদদে এসব অপকর্ম করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষমতাসীন দল ও ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে নৈতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হচ্ছে বলেও সাধারণ মানুষের মাঝে গুঞ্জন বইছে।

    এতে করে মামলাবাজ মুজিবর রহমানের রাহুগ্রাস থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রামবাসী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনা ঘটে বলেই মামলা করা হয়।

    এবিষয়ে ওবাইয়েত উল্লাহ বলেন, তার পরিবারকে হেনস্তা করতে তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইতমধ্যে মুজিবর রহমান ৫টি সাজানো মিথ্যা মামলা করেছে।

    তিনি বলেন, এবার গরুর খামার ভাঙচুর ও বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে, অথচ তার গরুর খামার নাই আর তার বাড়িতে ১ লাখ টাকা থাকাতো পরের কথা ১ লাখ টাকার সম্পদই নাই। আমাদের জায়গা দখল করতেই আমাদের নামে এতোগুলো মামলা করেছে মজিবর রহমান।

    এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাকিবুল হাসান জানান, এখনো কেউ এমন অভিযোগ আমরা পায়নি, এমন হয়ে থাকলে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

  • মাধবপুরে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার। 

    মাধবপুরে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার। 

    মাধবপুরে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার। 

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি মাদক মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কাজল (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
    পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক শুভ দে’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি অভিযানিক টিম পৌর শহরে ৩ নং ওয়ার্ডে কাজল মিয়ার নিজ বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে মাধবপুর পৌরসভার ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল খালেক এর ছেলে।
    মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক আমারজমিনকে বলেন,কাজল বিজয়নগর থানার একটি মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সে অনেক দিন ধরে পালিয়ে ভেড়াচ্ছিলো। তার বিরুদ্ধে আরোও একটি ওয়ারেন্ট ভূক্ত মামলা রয়েছে। আসামি কাজল কে গতকাল রবিবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।