Tag: মামলা

  • মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দুই যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে দুই যুবদল নেতাকে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বলেন, গত ০৩-১০-২৪ তারিখে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক মারামারি সংক্রান্ত মারপিটের ঘটনায় নরাইল জেলার সখিপুর উপজেলার রুবেল শেখ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায় ১০৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি  মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২।
    উল্লেখিত মামলায় আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই যুবদলের ওয়ার্ডসহ সভাপতি হায়দার আলীকে ৭৬ ও ৭৭ নং আসামি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা দুই ভাই নিজ এলাকায় ব্যবসা ও কৃষি কাজ করি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত, দলের বিভিন্ন আন্দোলন ও প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে আসছি। এ ঘটনার আমরা কিছুই জানি না এবং বাদীকেও চিনি না। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যাভাবে কে বা কাহারা আমাদেরকে মামলায় ফাঁসিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে আমরা হেও প্রতিপন্ন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্তের শিকার হচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আমারা সঠিক যাচাই বাছাই পূর্বক আপনাদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনার জোর আহবান জানাচ্ছি।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল্লামা আল ওয়াদুদ বিন নূর আলিফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল মজুমদার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসীর আল মামুন মিঠু, হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনতাজ আলী মাস্টার, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন সহ অনেকে।
  • ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ডাকাতি মামলার আসামী সহ গ্রেপ্তার-২।

    ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ডাকাতি মামলার আসামী সহ গ্রেপ্তার-২।

    স্টাফ রিপোর্টার
    ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পৃথক ঘটনায় পাঁচটি ডাকাতির মামলার আন্তঃজেলা ডাকাত ও ৬ কেজি গাজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ভাঙ্গা পুলিশ।
    শুক্রবার রাতে ভাঙ্গা পৌরসভার সামনে থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এদের আটক করা হয়।
    আটককৃতরা হচ্ছে- আনিসুর রহমান ওরফে আনিচ(৪০) ডাকাত, সে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার তেলজুড়ি গ্রামের মোফাজ্জেল মোল্লার ছেলে ও মাদক ব্যবসায়ী ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার বড়বাগ গ্রামের কবির শেখের ছেলে শেখ জনিপ ওরফে জনি।
    এ ঘটনায় ভাংগা থানা পুলিশ শনিবার দুপুর ১ টায় এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
    প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা যায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ মোকছেদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাদক বিক্রির প্রস্তুতিকালে তাকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
    অন্যদিকে গত মাসে মহাসড়কে পিকআপ থেকে গরুর গাড়ি থেকে গরু ডাকাতির অন্যতম আসামী আনিচ ডাকাতকে বোয়ালমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
    এ ঘটনায় ভাংগা থানার ওসি মোকছেদুর রহমান জানান, গত মাসে মহাসড়কে ১২ টি গরু ডাকাতি হয় সেই আসামিদেরকে আমরা আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি তাদের স্বীকারোক্তিতে পালিয়ে যাওয়া  ডাকাত আনিচকে বোয়ালমারি এলাকা থেকে আটক করা হয়। আনিসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি সহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।
  • মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।

    মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যুবদল নেতা নোমান হোসেন (৩৪) হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বর্ণি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের ছবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ (২৩) ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস সহিদের ছেলে রায়হান আহমদ রেহান (২৪)।
    জানা যায়, পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার বাড্ডা বাজারে যুবদল নেতা নোমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
    ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
    এই ঘটনায় নিহত নোমানের বাবা লেচু মিয়া গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাদি হয়ে দশঘরি গ্রামের মারজান আহমদ, কালাইউরা গ্রামের রায়হান আহমদ রেহান, দশঘরি গ্রামের আবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ ও জাকির আহমদের নামোল্লেখ এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নোমান হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি আগর-আতর ব্যবসা করতেন। নোমান রায়হান আহমদ রেহানের নিকট আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পান। কিন্তু রায়হান দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা না দিয়ে নোমানকে ঘোরাচ্ছিলেন। আসামিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে নোমান এলাকার মুরব্বিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন।
    বিচার প্রার্থী হওয়ায়  আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে নোমানকে প্রাণে হত্যার সুযোগ খুঁজে। ঘটনার দিন গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার সময় নোমান উপজেলার বাড্ডা বাজারের জনৈক জায়েদ আহমদের দোকানের সম্মুখে দাঁড়িয়ে পান খাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহান একটি মোটরসাইকেলে এবং আসামি নাঈম আহমদ, আবেদ আহমদ ও জাকির আহমদ অপর আরেকটি মোটরসাইকেল যোগে বাড্ডা বাজারে এসে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নোমান হোসেনের চারিদিকে ঘিরে ধরে তাকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার পর নোমান হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
    বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ূম বলেন, নোমান হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে বুধবার গভীর রাতে আটক করা হয়েছে। তাদের আজকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
  • উল্লাপাড়ায় আলোচিত ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ায় আলোচিত ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর পূর্ণিমা রাণী শীল গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জহুরুল ইসলাম (৪২)কে গ্রেপ্তার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের একটি অভিযানিক চৌকস দল।

    শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের পূর্ব দেলুয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জহুরুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের পূর্বদেলুয়া গ্রামের জিল্লুর রহমান এর ছেলে।

    উল্লাপাড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার অমৃত সুত্রধর শনিবার সকালে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,২০০১ সালের ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় উল্লাপাড়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা জের ধরে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী পূর্ণিমা রাণী শীলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কতিপয় আসামি ভিকটিম ও তার মা-বাবা-ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে ভিকটিম পূর্ণিমা রাণী শীলকে জোর করে ধরে নিয়ে একটি কচুক্ষেতে ফেলে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা অনিল চন্দ্র বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ বিচারক ১১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা এবং প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।

    তিনি আরও জানান, মামলার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতার করা জন্য পুলিশ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। গ্রেফতার হওয়া জহুরুল ইসলাম ১৭ বছর যাবত মালয়েশিয়াতে আত্মগোপনে ছিল। তাকে গ্রেফতার করে শনিবার সিরাজগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

     

  • সাদপন্থিদের মুখপাত্র মুয়াজ বিন নূরের বিরুদ্ধে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড।

    সাদপন্থিদের মুখপাত্র মুয়াজ বিন নূরের বিরুদ্ধে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড।

    বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে তিন মুসল্লি নিহতের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় রোববার সকালে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে গত শুক্রবার ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
    পুলিশ জানিয়েছে, সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মুয়াজকে এজলাসে নিয়ে আসা হয়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। তবে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর আল মামুন শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
    রাজধানী উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের নূর মোহাম্মদের ছেলে মুয়াজ। তিনি সাদপন্থিদের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। জুবায়েরপন্থিদের দায়েরকৃত হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি।
    পুলিশ আরও জানায়, টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তিন মুসল্লির নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়। এ মামলায় মুয়াজকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তাকে শুক্রবার আদালতে হাজির করলে আদালত আজ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছিল।
  • মাধবপুরে তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সুন্নী জনতার মানববন্ধন।

    মাধবপুরে তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সুন্নী জনতার মানববন্ধন।

    মাধবপুর প্রতিনিধিঃ 
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে ইসলামী বক্তা পীর  মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত  হয়েছে।
    শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সাড়ে ১১টায় মাধবপুর উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও সকল সহযোগী সংগঠন এবং পীর মশায়েখগণের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি  পীরে মাওলানা ইউনুস আনসারী,পীরে   সৈয়দ আব্দুল আউয়াল বুলবুল চিশ্বতী,
    মাধবপুর-বিজয়নগর সুন্নি ওলামা ঐক্য পরিষদের সভাপতি  মাওলানা মুফতি জাকিউর রহমান কাদেরী আল হোসাইনি,
    সাধারণ সম্পাদক ক্বারী মিজানুর রহমান আজিজী, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ নূরী,  মোঃ শফিক উদ্দিন খাঁন, মোঃ মাসুদুর রহমান মাছুম,উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সহ-সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কারী আতিকুর রহমান আতিক, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা তারেক হাসান মাহদী, মাওলানা খাদিমুল ইসলাম আল হাসানী।,
    বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহার না করা হলে আবারও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। দোয়া ও মিলাদের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হয়।
  • রাজাগঞ্জ বাজারে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমানের উপর হামলা থানায় অভিযোগ।

    রাজাগঞ্জ বাজারে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমানের উপর হামলা থানায় অভিযোগ।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ

    কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ বাজারে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমান (৫৪) কে গত ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে বাজারে পাহারা দেওয়ার সময় অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্তায় রয়েছেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। এঘটনায় আহত মুজিবুর রহমান এর ছেলে রাজাগঞ্জ ইউ/পির মইনা গ্রামের সেবুল আহমদ বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় গতকাল শনিবার পার্শ্ববতী মইনার পাহাড় গ্রামের মৃত নুর উদ্দীনের ছেলে কামাল আহমদ (৪০) এর নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা জ্জ জনের বিরোদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেথ করা হয় প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৯ ডিসেম্বর রাত ১০ টা থেকে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমান বাজারে পাহারাদারের দায়িত্বে ছিলেন। রাত অনুমান আড়াই টার দিকে কামাল আহমদ সহ আরো ৩/৪ জন বাজারের রুপালী ব্যাংক ও আশপাশ মার্কেটের সামনে উদ্দ্যেশ্য মূলক ভাবে ঘুরাফেরা করিতে থাকিলে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমান তাদের কে বাজার থেকে চলে যাওয়ার অনুরুধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল আহমদ সহ তার সাথে থাকা লোকজন লাঠি নিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে মুজিবুর রহমানকে এলাপাতাড়ি ভাবে পিঠিয়ে কোমরে গুরুত্বর ভাঙ্গা যখম করে এবং শরিলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আহত অবস্তায় রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে তাকে আহত অবস্তায় বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বাজাররে ব্যবসায়ী স্থানীয় লোকজন রাজাগঞ্জ বাজারের নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমানের উপর হামলাকারীদের বিরোদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা পুলিশের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ।

  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের খালাসের রায়ে নাগরপুরে আনন্দ মিছিল।

    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের খালাসের রায়ে নাগরপুরে আনন্দ মিছিল।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের নাগরপুরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের মুক্তিতে আনন্দ মিছিল হয়েছে।

    রবিবার ১ ডিসেম্বর ২০২৪ দুপুরে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির
    নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল হয়েছে। মিছিলটি নাগরপুর সদর বাজারে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয় সামনে সমাপ্ত করা হয়েছে।

    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান,বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুস সালাম পিন্টু সহ ১৯ জনের আসামি খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার ১১ টায় বিচারপতি এনায়েত ও একেএম আসাদুজ্জামান হাইকোর্ট বেঞ্চে এরায় দেন।খালাস পেয়ে রায় পর্যবেক্ষন হাইকোর্ট বলেন, ঘটনার বর্নণা করেছেন স্বাক্ষীরা। কে গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছেন তা উল্লেখ করেননি তদন্ত কর্মকর্তা।এছাড়াও ২১ আগস্ট হামলায় কে গ্রেনেড সরবরাহ করেছেন তাও বলেননি। ফলে বিজ্ঞ আদালত সকল আসামিদের খালাস দেন।

    এ আনন্দ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন।নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ সালাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আহাম্মদ আলী রানা,সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি, যুবদলের সদস্য সচিব ভারপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান লাভলু, কৃষক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জিহাদ হোসেন ডিপটি,নাগরপুর উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক মীর খালিদ মাহবুব রাসেল, সদস্য সচিব মনির প্রমুখ।

  • মামলা চলমান অবস্থায় জোড় পূর্বক রাতের অন্ধকারে জমি দখলের অভিযোগ।

    মামলা চলমান অবস্থায় জোড় পূর্বক রাতের অন্ধকারে জমি দখলের অভিযোগ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে মোজাম্মেলের ভোগদখলকৃত জমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে রাতের অন্ধকারে দা,চেনী নিয়ে জমির দখল করে চলাচলের রাস্তার নিমার্ণের অভিযোগ ওঠেছে নুর হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে। এর আগে ২০২২ইং সালে মোজাম্মেল হোসেনের বড় ছেলে কামরুল হাসান সজিবকে মারধোর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন অভিযুক্ত নুর হোসেন।
    মোজাম্মেলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার জানিয়েছেন, রাস্তা জমি নিয়ে নুর হোসেন গংরা আদালতে মিছ মামলা করলে তা খারিজ করে দেয় এডিএম কোট।
    গত রবিবার দিবাগত রাত ২৭ অক্টোবর নুর হোসেন খোকনের নেতৃত্ব ৫-৬ জনের একটি দল মিলে ২৯০ দাগে জোর পূর্বক সোয়া এক শতাংশ জমিতে নতুন রাস্তা নিমাণ করেন খোকন গংরা।
    এঘটনা ঘটে বশিকপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ২৯০ দাগের সোয়া এক শতাংশ জমিন দখল করে রাস্তা নিমাণ করেন নুর হোসেন।
    তপসিলকৃত ভূমি প্রায় ৫৪ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন আবুল হোসেন গংরা।  নুর হোসেনের কাছে রাস্তা জন্য কোন জমি বিক্রি করা হয়নি। তারাও ক্রয় করেনি। বেদখল জমি নিয়ে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং স্বত্ব ঘোষণা মামলা চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং ৪৮৯/২১।
    এদিকে নুর হোসেনের নেতৃত্বে  নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে মোজাম্মেল হোসেন ও তার বড় ছেলে কামরুল হাসান সজিবকে খোঁজাখুজি করছেন জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে  স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। জমির মালিক মোজাম্মেল হোসেনের পরিবার নূর হোসেনের বাহিনীর ও দলবলের ভয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছেন এবং তারা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগতেছেন যে কোন মুহূর্তে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটনা করতে পারে এমন দাবি এ রাস্তা জমি নিয়ে দুই পক্ষ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
    নূর হোসেন খোকন জানান বাদী পক্ষের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।অভিযোকারীর সাথে পরামর্শ করে রাস্তার কাজ শুরু করা হয়। হিংসা ও মানঅভিমান করে এখন রাস্তা দিতে অস্বীকার করছেন। জায়গা ব্যক্তিগত ভাবে ভোগ করার জন্য নেয়নি।জনসাধারন চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে।
    চন্দ্রগঞ্জ থানার (ওসি) কায়সার হামেদ চৌধুরী জানিয়েছেন জমি দখলের বিষয়ে খবর পেয়ে ঘটনার স্থানে পুলিশ প্রেরন করেন নিমাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন। পুলিশের আদেশ অমান্য করে তারা রাতের অন্ধকারে নির্মাণ কাজ শেষ করে।তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
  • সিরাজগঞ্জে শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন।

    সিরাজগঞ্জে শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন।

    সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী আলহাজ্ব দেওয়ান শহিদুজ্জামান শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় জনসাধারন।

    বেলা ১১টার দিকে শহরের পৌর এলাকার মাসুমপুর উকিলপাড়া মহল্লায় ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে এলাকার বহু নারী-পুরুষ অংশ নিয়েছিলেন।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শহিদুজ্জামান শুভ’র মাসহ এলাকার অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় শহিদুজ্জামান শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন স্থানীয়রা। একইসঙ্গে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে যারা নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তারা।

    এ সময় বক্তারা বলেন,দেওয়ান শহিদুজ্জামান শুভ একজন শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি এলাকার সৎ,ভদ্র,ও একজন সমাজসেবক। অথচ আজ ৫ দিন ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এতে শুধু শুভ’র পরিবারের লোকজনের চোখেই অশ্রু ঝরছে না, পুরো মাসুমপুর এলাকাবাসী কাঁদছে।

    বক্তারা আরও বলেন, শুভ ভদ্র ফ্যামিলির ছেলে। আমরা ছোটবেলা থেকে কোনোদিন কারো সঙ্গে ঝগড়া, বিবাদ করতে দেখিনি তাকে। তার মতো এত ভদ্র ছেলে এলাকায় দ্বিতীয় আরেকজন পাওয়া কঠিন।

    একই এলাকার বাসিন্দা আখতার হোসেন বলেন, শহিদুজ্জামান শুভ ভাই শুধু সিরাজগঞ্জ শহরে মানবিক কাজ করেন না, তিনি জেলার আনাচ-কানাচে যেখানে অসহায় দুস্থ মানুষ আছে সেখানেই দুইহাত ভরে সহযোগিতা করতেন। তার মতো একজন মানুষ কখনোই এই ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকতে পারেন না। এজন্য অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে তার নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের ভাইয়ের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই।

    এসময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলেন, নিহত আশফাকুল আওয়ালও একজন ভালো মানুষ ছিলেন। যেকোনো কারণেই তার মৃত্যু হয়ে থাকুক না কেন, তার সঠিক তদন্ত হওয়ার দরকার। আর নিহতের ঘটনায় কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাক, এটিও কারোরই কাম্য নয়।

    তারা আরও বলেন, একটি চক্র এই মামলায় শুভকে ফাঁসিয়ে আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ধরনের মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

    শুভ’র স্ত্রী আকলিমা খাতুন পপি বলেন, যেই ব্যক্তি বাঁচানোর চেষ্টা করলেন তিনিই হয়ে গেলেন হত্যা মামলার আসামি। এই ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

    প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার নলিছাপাড়া এলাকায় হাজী আব্দুর রহিম ফ্লাওয়ার মিলের মালিক আশফাকুল আওয়াল খান একই এলাকার এঞ্জেল ফুড কারখানায় পাওনা টাকা চাইতে যান। এসময় মালিক বাবু মন্ডলের তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে এগিয়ে গিয়ে শুভ দেখতে পান, আশফাক হঠাৎ করে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ছে। যা দেখে ভয়ে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে পালিয়ে যান বাবু মন্ডল। পরে অসুস্থ আশফাক দ্রুত উদ্ধার করে শুভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে পুলিশ জিজ্ঞাবাদের জন্য শুভকে থানায় নিয়ে যায়।

    নিহত আশফাকুল পৌর এলাকার নতুন ভাঙাবাড়ি মহল্লার আব্দুর রহিমের ছেলে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় এজাহারনামীয় পাঁচজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার বড় ভাই রাকিবুল। এতে এঞ্জেল ফুডস্ কারখানায় মালিক শহিদুজ্জামান শুভকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়।