Tag: মানুষ
-
দুঃসময়ে নগদ অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ালো হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন।
নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আবারো প্রমাণ করলেন, ঘন কুয়াশা হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা এই দুঃসময়ে অসহায় মানুষের কথা বুলেননি ছুটে এসেছেন এক হাজার দরিদ্র মানুষের কাছে অর্থিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের পাশে হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন। সোমবার ২২ জানুয়ারি ২০২৪ইং, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের সাতগাঁও চৌমুহনীতে এই নগদ অর্থ সহায়তা করেছে হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন।আর্থিক অর্থ সহায়তা অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে গরীব অসহায় দরিদ্র এক হাজার পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ দিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী মোঃ সেলিম আহমেদ।এ সময় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী সেলিম বলেন, আমার জন্য আপনার সবাই দোয়া করিবেন, আমি আজ আবার আমার কর্মস্থল প্রবাসে চলে যাবো।তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে দেশে এসেছিলাম এলাকায় একটি মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা জন্য। এখন সপরিবারসহ আরব কাতারে কর্মস্থলে চলে যাচ্ছি।এ দিকে, হাজী সেলিম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা বলেন, হাজী সেলিম একজন প্রবাসী। তিনি কিছুদিন আগে দেশে এসেছিলেন এলাকায় একটি মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা জন্য।এ আগে তিনি এলাকায় মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, স্কুল, কলেজ ও দরিদ্র মানুষকে নানান ভাবে সহায়তা করেছে।এছাড়াও এলাকার বাইরেও সমাজের প্রান্তীক, অসহায় দরিদ্র শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গৃহনির্মান, আর্থিক অনুদান ও আত্মনির্ভরশীল এবং গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য সর্মপন করেছেন হাজী সেলিম ফাউন্ডেশন।তারা আরও বলেন, আজ তিনি আবার তার কর্মস্থল প্রবাসে ফিরে যাবার প্রাক্কালে এক হাজার দরিদ্র পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। -
রাণীশংকৈলে শীতার্ত মানুষের পাশে “৯৭ব্যাচের” বন্ধুরা।
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁয়ে বেড়েছে শীতের দাপট, কাবু হয়ে পড়ছেন সকল বয়সের নারী ও পুরুষ, অসহায় হয়ে পড়ছেন দরিদ্র ও ছিন্নমুল পরিবারের লোকজন।এবারও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে’৯৭ব্যাচের’ রংপুর ডিভিশন এর বন্ধুরা।তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছিন্নমূল অসহায় মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে কাভারসহ লেপ।এরই অংশ হিসেবে বুধবার সন্ধ্যায় (১৭ই জানুয়ারী) ৯৭ব্যাচের রংপুর ডিভিশন এর বন্ধুদের এর উদ্যোগে রাণীশংকৈল উপজেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে একটি করে লেপ বিতরণ করা হয়।আর মাঘ মাসের কনকনে এই শীতে লেপ পেয়ে উচ্ছ্বসিত শীতার্ত মানুষগুলো।রাণীশংকৈল উপজেলার মহল বাড়ী গ্রামের কালাম মিয়া অন্যের জমিতে স্ত্রী-এক কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করেন একটি ছোট কুটিরে।ওই গ্রামের চানমিয়া ৯৭ ব্যাচের বন্ধুদের খবর দেয় শীতে প্রচন্ড কষ্টে বসবাস করছে কালামের পরিবার স্ত্রী এক কন্যা নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তাদের জীবন। কথা শুনে ৯৭ব্যাচ সত্যতা যাচাই করে রংপুর ডিভিশন বন্ধু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন।লেপ পেয়ে কালামের স্ত্রী হাসিনা বলেন- এমন সময় লেপ পামু আশাও করতে পারি নাই কা- তার ছোট মেয়ে কাজল রেখা বলেন- রাতে ভালো করে ঘুমামু আমার বাবা মায়ে তোমাগরের জন্য দোয়া করবো।তার পাশের বাড়িতে আফসার চাচা কমোরে প্রচন্ড আঘাত পেয়ে বিছানায় অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে আছে একমাত্র কর্মক্ষম মানুষ ঔষধ কেনার টাকা নেই। রাণীশংকৈলের বন্ধুরা তাকে নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা দিলে আফসার চাচা বলেন- আসলে তোমাগোরে আল্লাহ ভালই রাখবো।এসময় উপস্থিত ছিলেন-খালিদ ওয়ালীউল্লাহ,ব্যাবস্থাপক ইউনাইটেড কর্মাসিয়াল ব্যাংক,মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল ব্যাবস্থাপক এনআরসিবি ব্যাংক,এমএন কবির এনএসআই-, জাহিদুল ইসলাম ব্যাবস্থাপনা পরিচালক নিউরণ হাসপাতাল ঠাকুরগাঁও, ফিরোজ আহম্মেদ রুপা, রাণীশংকৈল ট্যুরস পরিচালক জিয়াউর রহমান জিয়া,টিপু,মোমিন, খাদেমূল,রহিম,জিয়া প্রমূখ।রংপুর ভিভিশনের ৯৭ এসএসসি, ৯৯ এইচএসসির প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ জানায়- রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের মাঝে লেপ বিতরন চলমান রয়েছে।তারা আরও বলেন, শীতার্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে প্রতিবছর পাশে থাকবে এই সংগঠন। শুধু শীতবস্ত্র বিতরণ নয়, পাশাপাশি সামাজিক ও বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে রংপুর ভিভিশনের ৯৭ এসএসসি, ৯৯ এইচএসসির বন্ধরা। -
বালিয়াডাঙ্গীতে ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে মানুষের ঢল।
ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে ইসরাইলি বোমা হামলার প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।বুধবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সম্মিলিত উলামা পরিষদের ডাকে বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। এর আগে সকাল ১১টায় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা মাঠে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে খন্ড খন্ড মিছিলে সভাস্থলে যোগ দেন হরিপুর, রাণীশংকৈল, পীরগঞ্জ ও সদর উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বালিয়াডাঙ্গীর জমিরিয়া ইহইয়াউল উলূম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি শরিফুল ইসলাম, গড়িয়ালী মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি আব্দুল আলিম, জমিরিয়া ইহইয়াউল উলূম মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ রবিউল আওয়াল প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে জমিরিয়া সোনার বাংলা পাঠাগারের সদস্যরাসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।প্রতিবাদ সভায় বক্তারা ইসরাইলি হামলা বন্ধের আহ্বান ও নিহত ফিলিস্তিনিদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। একই সাথে দেশে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনির স্বাধীন ভূমিতে পশ্চিমাদের মদদে যে বর্বরোচিত হামলা, গণহত্যা চলছে তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রামে পাশে ছিল আগামীতেও থাকবে।গত ৮ অক্টোবর থেকে হাসপাতালসহ ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর নারকীয় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এরপর সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের নৃশংস হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছে ও ইসরাইল বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। -
ঠাকুরগাঁওয়ে ২’শ দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী ২শ দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন।
শনিবার বিকেলে হরিপুর উপজেলার ভোপলাপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে এসব ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
ঈদ উপহারে ছিলেন- দশ কেজি চাল, এক কেজি ডাল,এক কেজি সেমাই কেজি,এক কেজি চিনি,এক লিটার সুয়াবিন তেল,দুই কেজি আলু,লবণ,মশলা। ঈদের আগে হাতে ঈদ উপহার পেয়ে খুশি সকলেই।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণে,হরিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম পুষ্প, জেলা পরিষদের সদস্য আনিসুজ্জামান শান্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আলমগীর,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাত আলী,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উমাকান্ত ভৌমিক,সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন।
-
রাণীশংকৈলে প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের নাভিশ্বাস, পুড়ছে মাঠের ফসল।
রাণীশংকৈলে প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের নাভিশ্বাস,পুড়ছে খেতের ফসল।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে টানা ১০/১২ দিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। নীল আকাশে উড়ছে সাদা মেঘ, নেই বৃষ্টিপাত। প্রচণ্ড দাবদাহ আর সূর্যের প্রখর রোদে তপ্ত মাঠঘাট। আষাঢ়ের শেষেও দেখা নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাতের।
এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না গরমের কারণে। দাবদাহের ফলে অস্থির হয়ে উঠছে মানুষ। তীব্র রোদের কারণে রাস্তায় বের হলে গায়ে যেন লাগছে আগুনের হলকা। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে রোদে পুড়ে বাইরে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন নির্মাণশ্রমিক আর ক্ষেতখামারে কৃষিশ্রমিকদের।
এদিকে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দাবদাহে পুড়ছে ক্ষেতের ফসল। যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তারা ফসল বাঁচাতে জমিতে অতিরিক্ত সেচ দিচ্ছেন।
রাণীশংকৈল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগের দিন বুধবার যা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৬১ শতাংশ। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
উপজেলার ভরনিয়া গ্রামের কৃষক সুশান্ত বর্মন বলেন, ‘সূর্যের তীব্রতা এতই বেশি যে, বেশিক্ষণ ক্ষেতে কাজ করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরীরের চামড়া ঝলসে যাচ্ছে। ’ একই গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তাক বলেন, ‘গরমে আমার করল্লা ক্ষেতের গাছ ও পাতা ঝিমড়ে (কুঁকড়ে) পড়েছে। গাছের গোড়া পুড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত সেচ দিয়েও মাটিতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। ’
ভুক্তভোগী আরেক কৃষক রাতোর গ্রামের মহসিন আলী বলেন, ‘গত ২০ বছরেও এমন গরম দেখা মেলেনি। শ্যালো মেশিনের পানি কম উঠছে, এতে সেচে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে। এরপরও ফসল ঘরে ওঠাতে পারব কি না জানি না। ’
টানা দাবদাহ চলায় আমন ও সবজি ক্ষেতে সম্পূরক সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই কেটে যাবে এ দুর্ভোগ। ’শুধু কৃষকরাই নয়, তীব্র গরমে কঠিন সময় পার করছে উপজেলার মানুষরা। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ। রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক দিনে গরমের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে অনেকেই। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি।
রাণীশংকৈল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সামাদ চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, এ সময়ে শিশুসহ বয়োবৃদ্ধদের প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা। সিজনাল ফলমূল, ডাবের পানি ও স্যালাইন খেতে হবে। অতিরিক্ত আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসক বা নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। ’
-
ক্ষতিগ্রস্থ বানভাসী মানুষের পাশে-শায়খে চরমোনাই।
ক্ষতিগ্রস্থ বানভাসী মানুষের পাশে-শায়খে চরমোনাই
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বানভাসী অসহায় মানুষের মাঝে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই’র নির্দেশে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত গতিতে চলছে। এ লক্ষে দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই সোমবার রাতে ঢাকা থেকে বন্যা দুর্গত জেলা সুনামগঞ্জে পোঁছে জেলা ত্রাণ বিতরণ কমিটির সাথে এক মতিবিনিময়ে মিলিত হন। শায়খে চরমোনাই সুনামগঞ্জের মসজিদ, মাদরাসার ক্ষতিগ্রস্ত ওলামা মাশায়েখ ও আইম্মায়ে মাসাজিদের মাঝে শহীদ মুক্তিযুদ্ধা জগৎজোতি পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা, দোয়া মাহফিল, ত্রাণ বিতরণ এবং নগদ অর্থ সহযোগিতা করেন।সেখান থেকে স্পিডবোটে করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দুর্গম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাধারণ মানুষদের মাঝে ফ্যামিলি প্যাকেজ বিতরণ করেন। পরে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং ফ্যামিলি প্যাকেজ বিতরণ করেন।বানভাসী অসহায় মানুষের অবর্ননীয় দু:খ দুর্দশার কথা শোনে শায়খে চরমোনাই তাদের সান্তনা প্রদান করেন এবং সাধারণ অনুযায়ী সহযোগিতার আশ্বাস দেন।যাওয়ার পথে সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নে হাদিয়া বিতরণ করেন।তার সফরসঙ্গী রয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, সৌদি আরব শাখার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা শহিদুল ইসলাম পলাশী, সিলেট মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব নযীর আহমদ, সিলেট জেলা সভাপতি মুফতী সাঈদ আহমদ, বামুক সদর আবদুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক রহমতুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা সোহেল আহমদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি হোসাইন আল হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ তাসনিম, ছাত্র আন্দোলন সভাপতি আইয়ুবুর রহমান প্রমুখ।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই ইসলামী আন্দোলনের ত্রাণ টিমের স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্যান্য সকলের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি সকলকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের অসহায় বানভাসী মানুষের স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে যাওয়ার তাগিদ প্রদান করেন।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করে সে সেলের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলন, সহযোগি সংগঠনের নেতৃত্বে আগত ত্রাণ টিমকে নির্দেশনা প্রদান করে সে আলোকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহতভাবে চলছে। সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের ত্রাণ, সহযোগিতা, বাড়ীঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। -
বানভাসি মানুষকে ছাতক থানার খাদ্য ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত।
বানভাসি মানুষকে ছাতক থানার খাদ্য ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা আক্রান্ত জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন থানা পুলিশের সদস্যরা। পুলিশের আইজি ড.বেনজীর আহমেদের নির্দেশে পুলিশ সুপারের (অতিরিক্ত ডিআইজি) প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বানভাসি মানুষের পাশে থাকছেন ছাতক থানার পুলিশ সদস্যরা।
এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জের ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা কয়েক দিন ধরে সাধারণ মানুষকে পানিবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে। সেইসঙ্গে ওসির নিজ অর্থায়নে শুকনা খাবার, চাল, ডাল, মুড়ি, গুড়, চিড়াসহ থানার ম্যাচে রান্না করা ভুনা খিচুড়ি বন্যার্তদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।
বৃহস্পতিবার ২৩ জুন সকালে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান নেতৃত্বে, রান্না করা খিচুড়ি গনেশপুর,ভেদেপল্লী ও বিভিন্ন নৌকায় বসবাসরত বানবাসী মানুষকে রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান,এছাড়া তার নেতৃত্বে উপজেলার এলাকার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রসহ বন্যার্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাদ্য এবং ত্রাণসামগ্রী ও রান্না করা ভুনা খিচুড়ি বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
ওসি জানান, পুলিশের সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাতকে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য জেলা পুলিশের খাদ্য ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
-
মৌলভীবাজারে পানিবন্দি এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ।
মৌলভীবাজারে পানিবন্দি এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ।
মৌলভীবাজারে টানা বৃষ্টিপাত কারণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কুশিয়ারা নদী, মনু নদী, ধলাই নদী, ফানাই নদী, জুড়ী নদী, কন্ঠিনালা নদী, ও হাকালুকি হাওরের পানি বেড়ে মৌলভীবাজার জেলার ৭ টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জেলার ১টি পৌর এলাকা এবং ১০টি ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যাদুর্গত পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শনিবার (১৮ জুন) রাত ১২টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার।বড়লেখা উপজেলায় বৃষ্টি কারণে পৌর এলাকার পাশাপাশি পাহাড়ধসে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ চা বাগানে একজন নিহত ও সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল গ্রামে একজন আহত হয়েছেন। বিদ্যুতের সাবস্টেশন ইতোমধ্যেই পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।কুলাউড়া উপজেলায় অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নদ-নদীসহ হাকালুকি হাওরের পানি বেড়ে ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের প্রায় সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কর্মধা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের ফানাই নদীর বাঁধ ভেঙে মহিষমারা, বাবনিয়া, হাশিমপুর, ভাতাইয়া ও পুরশাই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।জুড়ী উপজেলায় গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ২৮টি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২৪টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।এছাড়া জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর ও সাগরনাল ইউনিয়নের কাশিনগর গোয়ালবাড়ি পশ্চিম শিলুয়া গ্রামে জুড়ী নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাঁধ মেরামত কাজ চলছে।এদিকে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে খলিলপুর, মনুমুখ, আখাইলকুড়া, কনকপুর, কামালপুর, চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখানে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা সাত হাজার ৫০০ জন।রাজনগর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে চার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এখানে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ৫ ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এই ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা চার হাজার।কমলগঞ্জ উপজেলায় বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পাড় ভেঙে ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার বলেছেন, বন্যাদুর্গতদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। রবিবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। -
ত্রাণের জন্য হাহাকার,পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ।
ত্রাণের জন্য হাহাকার,পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ।
ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমন অবস্থায় জরুরী আশ্রয় কেন্দ্র্রে উঠছেন পানিবন্দি এলাকার বাসিন্দারা। আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতজনদের উচুঁ বাড়িতে বা বহুতল ভবনে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকেই। আর যারা কোথাও যাওয়ার জায়গা পাচ্ছেন না, তারা ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। কিন্তু সরকারি সহায়তা না পৌঁছায় আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা ভুগছেন খাদ্যসংকটে। গত ৪ দিন ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ত্রাণের জন্য অপক্ষোয় রয়েছেন পানিবন্দি মানুষ। রবিবার সকাল পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন ত্রান সহায়তা বন্যাক্রান্তদের হাতে পৌছায়নি। উপজেলার উচুঁ স্থানে সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র খোলার তাগিদ দিচ্ছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতির হচ্ছে।
কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডাইকের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের সবকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চরম দূূর্ভোগ পেয়াচ্ছেন প্রায় লক্ষাধিক বাাসিন্দারা। বেশিরভাগ আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরও পানিতে তলিয়ে গেছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। অব্যাহত পানিবৃদ্ধিতে উপজেলার উমরপপুুর, সাদিপুুর, গোয়ালাবাজার ও পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নেরর সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বাকি ইউনিয়ন গুলার বেশির ভাগ এলাকার মানুষও রয়েছেন পানিবন্দি। ফলে পানি বন্দি মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ত্রাণের সংকট। বন্যার পানিতে টিউব ওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকটও দেখা দিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, বন্যাক্রান্তদের জন্য ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে গত তিন দিনে ৭২৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলায় বন্যাক্রান্তদের জন্য ৮ টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে সরকার। গতকাল রবিবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এই বরাদ্ধ বন্ঠন করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে নিশ্চিত করেছে। তবে, বাস্তবে বন্যাক্রান্ত পরিবারের সংখ্যা আরো বেশি বলে স্থানীয় সূত্রে নিশ্চিত করেছে। কয়েকেটি বহুতল ভবনেও বন্যাক্রান্ত সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখে গেছে। তবে এর নির্দিষ্ট কোন তথ্য উপজেলা প্রশানের কাছে নেই।
উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের শাহিন মিয়া বলেন, বন্যার পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪ দিন থেকে পরিবার নিয়ে দূর্ভোগে রয়েছি। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আশ্রয়কেন্দ্রই যেতে হবে। ঘরে যা খাবার ছিলো তা শেষ। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা চেয়েছেন তিনি। শাহিনের মতো পানিবন্দি অনেকেই সরকারি বা বেসরকারী উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা চাচ্ছেন।
উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মারতি নন্দন ধাম জানিয়েছেন, উমরপুর ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা বন্যাক্রান্ত রয়েছে। ত্রাণ সহায়তার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়ছে।
তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক বলেন, তাজপুর ইউনিয়নের ৬৫ ভাগ এলাকা পানিবন্দি রয়েছে। আমার নিজ উদ্যোগে বন্যাক্রাদের মধ্যে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করছি। সরকারি ত্রাণ হিসাবে তাজপুর ইউনিয়নে একটন চাল এসছে জেনেছি। তা সঠিক ভাবে বন্ঠন করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন কান্তি রায় বলেন, সরকারি উদ্যোগে ৮টন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা ত্রান সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।
-
“স্বপ্নযাত্রার”৭টি অ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাবে লক্ষ্মীপুরের ৩ লাখ মানুষ।
“স্বপ্নযাত্রার”৭টি অ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাবে লক্ষ্মীপুরের ৩ লাখ মানুষ।
লক্ষ্মীপুরের প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে লক্ষ্মীপুরে স্বপ্নযাত্রার ৭টি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এরআগে সদর ও রামগতি উপজেলায় ৫ টি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ করা হয়েছে। এই সাত অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে গ্রামের ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।
জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে আয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক আশফাকুর রহমান মামুন,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন,উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ প্রমুখ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দের পরিকল্পনায় অ্যাম্বুলেন্স সেবাটি চালু করা হয়েছে। ক্ষুদ্র এ প্রয়াস বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অ্যাম্বুলেন্স সেবার মাধ্যমে সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের সেবা নিশ্চিত করা হবে।
১ মার্চ মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ও ১২নং চরশাহী ইউনিয়নের জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ করা হয়। এরআগে ১৫ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার ১০নং চন্দ্রগঞ্জ,১১নং হাজিরপাড়া, ১৩ নং দিঘলী, ২০নং চররমনী মোহন ইউনিয়নের জন্য ৪টি ও রামগতি উপজেলার জন্য ১টি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ বিতরণ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, ইউনিয়নগুলোর অসহায় মানুষগুলোর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্বপ্নযাত্রার মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে লক্ষ্মীপুরে এটি অনন্য ভূমিকা রাখবে।