Tag: মানববন্ধন

  • তাহিরপুরে গোপনে শ্রী শ্রী নরসিংহ জিউর আখড়া কমিটি গঠনে এলাকা বাসীর মানববন্ধন।

    তাহিরপুরে গোপনে শ্রী শ্রী নরসিংহ জিউর আখড়া কমিটি গঠনে এলাকা বাসীর মানববন্ধন।

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তেলিগাঁও শ্রী শ্রী নরসিংহ জিউর আখড়া কমিটি গঠন করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার(৩০ জানুয়ারি দুপুর ২টায় সময়)মন্দির প্রাঙ্গণে গোপনে ও মনগড়া ভাবে তেলিগাঁও শ্রী শ্রী নরসিংহ জিউর আখড়া কমিটি গঠন করা হয়েছে।
    এবিষয়ে স্হানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনরা ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকালে মন্দির প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে  মানববন্ধনের মাধ্যমে দাবি তুলেছেন তারা এ কমিটি ১৪ গ্রামের মানুষের অসম্মতি ও কিছু সংখ্যক
    হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের উপস্থিততে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
    তারা আরও বলেন, ১৪ গ্রামের সবার অসম্মতিক্রমে এবং শুধু রনবীর পাল বেনু  একা ও কিছু মানুষের উপস্থিতিতে তরিগড়ি করে কমিটি গঠন করা হয়।
    উল্লেখ্যঃএই নতুন কমিটির সভাপতির দায়িত্বভার দিয়েছেন,সাবেক (আহবায়ক) কমিটির যুগ্ম আহবায়ক রনবীর পাল বেনুকে ও সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক কমিটির সহ সদস্য সচিব সজল তালুকদার কে অনুপস্থিত রেখে তারা কমিটি-টি গঠন করেন।
    স্হানীয় বাসিন্দা সুজন মহী পালসহ আরও অনেকেই বলেন,
    আগের যে কার্যকরী আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল
    সুনামগঞ্জ ১- আসনের সংসদ সদস্য, এডভোকেট রনজিত সরকার এমপি,যুগ্ম আহবায়ক তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক,অমল কান্তি কর,যুগ্ম আহবায়ক,মনমোহন পাল মতিশ,যুগ্ম আহবায়ক রণবীর পাল বেনু,যুগ্ম আহবায়ক শিতেশ পাল,সদস্য সচিব রঞ্জু সেন,ও সদস্য সচিব সজল তালুকদার,কোষাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ পাল,সদস্য পীযুষ পাল,সদস্য জগদীশ চন্দ্র দাস,সদস্য ভানু দাস প্রমুখ।
    কিন্তু এই গোপন কমিটিতে ১৪ গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ও মনমোহন পাল মতিশ,ও যুগ্ম আহবায়ক শিতেশ পাল,কে অনুপস্থিত রেখে তারা কমিটি গঠন করেছেন, আমরা এই মনগড়া ও পকেট  কমিটির বিরুদ্ধে  তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
  • রামপালে বিএনপি নেতার অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    রামপালে বিএনপি নেতার অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাওলাদার মজিবুর রহমান বাবুল ও তার সহযোগীদের অমানবিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার(১১ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে জিরোপয়েন্ট এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা বিগত দিনে আওয়ামী দুঃশাসন আমলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম’র নেতৃত্ব রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বহু হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। বিএনপি’র দুঃসময়ে মজিবর রহমান বাবুল ও তার সহযোগীদের কোনদিন কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে দেখি নাই। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনার দেশত্যাগের পরেই বাবুল ও তার সহযোগীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন, নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার, চাঁদাবাজি ও মৎস্য ঘের দখলসহ নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে তারা সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছে। তারেক রহমানের নির্দেশ, দলে কোন চাঁদাবাজকে স্থান দেয়া হবেনা। আমরা সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অবিলম্বে বাবুলসহ তার সহযোগীদের দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন আকাশী মন্ডল, পার্থ বিশ্বাস, প্রকাশ বিশ্বাস, সমিৎ ঢালী, মনি মোহন মন্ডল, পিনাক মিস্ত্রী, শংকর ঢালী, নিখিল বিশ্বাস প্রমুখ।
  • মাধবপুরে তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সুন্নী জনতার মানববন্ধন।

    মাধবপুরে তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সুন্নী জনতার মানববন্ধন।

    মাধবপুর প্রতিনিধিঃ 
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে ইসলামী বক্তা পীর  মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের  মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত  হয়েছে।
    শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সাড়ে ১১টায় মাধবপুর উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও সকল সহযোগী সংগঠন এবং পীর মশায়েখগণের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি  পীরে মাওলানা ইউনুস আনসারী,পীরে   সৈয়দ আব্দুল আউয়াল বুলবুল চিশ্বতী,
    মাধবপুর-বিজয়নগর সুন্নি ওলামা ঐক্য পরিষদের সভাপতি  মাওলানা মুফতি জাকিউর রহমান কাদেরী আল হোসাইনি,
    সাধারণ সম্পাদক ক্বারী মিজানুর রহমান আজিজী, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ নূরী,  মোঃ শফিক উদ্দিন খাঁন, মোঃ মাসুদুর রহমান মাছুম,উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সহ-সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কারী আতিকুর রহমান আতিক, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মাওলানা তারেক হাসান মাহদী, মাওলানা খাদিমুল ইসলাম আল হাসানী।,
    বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা প্রত্যাহার না করা হলে আবারও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। দোয়া ও মিলাদের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হয়।
  • তনয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে আমতলীতে মানববন্ধন।

    তনয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে আমতলীতে মানববন্ধন।

    আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ

    বরগুনার আমতলীতে ব্যবসায়ী নিয়াজ মোরশেদ তনয়ের আত্মহত্যা প্ররোচনাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়।

    আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, নিয়াজ মোরশেদ তয়নকে আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় একজন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

    জানা যায় ছয় বছর আগে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নান্নু মোল্লার ছেলে নিয়াজ মোশের্বদ তনয়ের সঙ্গে আরেক ব্যবসায়ী চাওড়া চলাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ফারুক গাজীর মেয়ে ফারিয়া জান্নাতি মীমের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর স্বামী তনয় জানতে পারে তার স্ত্রী মীমের আগে আরো একটি বিয়ে হয়েছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্ধ চলছিলো। এর মধ্যে ওই দম্পতির ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়েছে। ইতিমধ্যে তার স্ত্রী ফারিয়া জান্নাতি মীম তারেক হাসান বাহাদুর নামের এক ছেলের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। পরকিয়া প্রেমিক নিয়ে তিনি (মীম) বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে এবং টিকটক ভিডিও তৈরি করে সোসাল মিডিয়ায় প্রচার করছে। এতে ক্ষুব্দ হয়ে তনয় স্ত্রী মীমকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর তালাক দেয়। তালাক নোটিশ পেয়ে ১৭ অক্টোবর মীম তার স্বামী নিয়াজ মোশের্বদ তনয়ের বিরুদ্ধে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন, ওই দিনই পুলিশ তনয়কে গ্রেপ্তার করেন। এ মামলায় তনয় ১১ দিন জেল হাজতে ছিল। স্ত্রী ফারিয়া জান্নাতি মীম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা স্বামী তনয়কে বিভিন্ন ভাবে বুলিং ও হয়রানী করতো। এতে নিয়াম মোশের্বদ তনয় মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েৎফলে সে আত্মহত্যার সিধান্ত নেয়। স্ত্রীর পরকিয়া ও তার পরিবারের লোকজনের বুলিং ও হয়রানীর এমন কর্মকান্ড সইতে না পেরে গত ২৯ নভেম্বর ভোররাতে তনয় স্ত্রী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ীর ও তার স্বজনদের নির্যাতনের বর্ননা স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিষপান করেন। মুহুর্তের মধ্যে তার স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

    গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ঘটনায় গত ৫ ডিসেম্বর আমতলী থানায় তনয়ের বড় বোন অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে তনয়ের স্ত্রী ফারিয়া জান্নাতি মীমকে প্রধান আসামী করে ১২ জনের নামে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই রাতেই পুলিশ মীমের বড়ভাই আসামী খালিদ গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে।

    তনয়ের আত্মহত্যার জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবীতে বুধবার বেলা সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতের আইনজীবি মোঃ আরিফ উল হাসান আরিফের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তনয়ের বাবা আলহাজ্ব মোঃ নান্নু মোল্লা ও বড় বোন মামলার বাদী আইনজীবি তানিয়া আক্তার। মানবন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সহস্রাধিক মানুষ অংশ গ্রহন করেছেন।

    মামলার বাদী আইনজীবি তানিয়া আক্তারের অভিযোগ আসামীরা মামলা তুলে নিতে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার মেয়েকে অপহরণের হুমকি দিচ্ছে। দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান তিনি।

  • নেতাকর্মীদের হত্যার বিচারের দাবীতে রামপাল কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন।

    নেতাকর্মীদের হত্যার বিচারের দাবীতে রামপাল কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার ছাত্রদলের সকল নেতা-কর্মী ও সকল নাগরিকের মুক্তির দাবিতে এবং আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্মম হত্যাকান্ড, নির্যাতনের শিকার ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের  নিপীড়নের ঘটনার যথাযথ বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রামপাল সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল।
    মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রামপাল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে কলেজ গেইটে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মোল্যা তরিকুল ইসলাম শোভন, ছাত্রদলের সহসম্পাদক মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, ইমরান হাওলাদার তুহিন, অপু রায়হান।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম, ইকরামুল সরদার, ইমরুল পারভেজ, পিয়াস প্রমুখ।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে তা যেন আর ফিরে না আসে। আমরা আগামীতে মানবাধিকার ও সাম্যের বাংলাদেশ দেখতে চাই। মানবাধিকার দিবস আমাদের জনগণের জন্য। কিন্তু বিগত দেড় যুগ ধরে সরকার মানবাধিকার কুক্ষিগত করে রেখেছিল। বিরোধী দলের নেতাদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছে। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি। এটা একটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা বিগত সরকারের আমলের সকল অনিয়মের বিচার চাই।
  • উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈলে মানববন্ধন।

    উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈলে মানববন্ধন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন ও সহজীকরণে নেকমরদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার দুপুরেে দিকে একই ব্যানারে নেকমরদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে নেকমরদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে গঠিত কমিটি, শুভ শক্তি ইউনিটি ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
    উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ধর্মগড়, কাশিপুর, নেকমরদ, রাতোর সহ পাশ্ববর্তী দুই উপজেলার ভানোর,  বড় পলাশবাড়ী ও গেদুরা ইউনিয়নে প্রায় দেড় লক্ষের বেশি মানুষ বসবাস করে। এসব ইউনিয়ন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুরত্ব ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা ও দুরত্ব বেশি হওয়ায় কারণে ওই সব ইউনিয়নের গ্রাম অঞ্চলের গরিব, অসহায়, দুস্থ এবং গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ ৬টি ইউনিয়নের মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণে একটি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল জরুরি হয়ে পড়েছে।
    নেকমরদ ইউনিয়নে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণের দাবিতে গঠিত কমিটি আইন উপদেষ্টা এডভোকেট মেহেদী হাসান শুভর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জামায়াত নেতা শাহজালাল জুয়েল, জামায়াত নেতা আশরাফুল আলম, বিএনপি নেতা ইয়াসিন আলী, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, ছাত্রদল নেতা কাউসার হাবীব নাখরাজ , ব্যবসায়ী খালিদ হাসান দিনার, শিক্ষক রাজিউর রহমান, শিক্ষক মাসুদ রানা, সাংবাদিক ইসমাম আহমেদ অনন্ত, এইচ মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।
  • সিরাজগঞ্জে শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন।

    সিরাজগঞ্জে শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন।

    সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী আলহাজ্ব দেওয়ান শহিদুজ্জামান শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় জনসাধারন।

    বেলা ১১টার দিকে শহরের পৌর এলাকার মাসুমপুর উকিলপাড়া মহল্লায় ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে এলাকার বহু নারী-পুরুষ অংশ নিয়েছিলেন।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শহিদুজ্জামান শুভ’র মাসহ এলাকার অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় শহিদুজ্জামান শুভ’র বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন স্থানীয়রা। একইসঙ্গে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে যারা নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তারা।

    এ সময় বক্তারা বলেন,দেওয়ান শহিদুজ্জামান শুভ একজন শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি এলাকার সৎ,ভদ্র,ও একজন সমাজসেবক। অথচ আজ ৫ দিন ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এতে শুধু শুভ’র পরিবারের লোকজনের চোখেই অশ্রু ঝরছে না, পুরো মাসুমপুর এলাকাবাসী কাঁদছে।

    বক্তারা আরও বলেন, শুভ ভদ্র ফ্যামিলির ছেলে। আমরা ছোটবেলা থেকে কোনোদিন কারো সঙ্গে ঝগড়া, বিবাদ করতে দেখিনি তাকে। তার মতো এত ভদ্র ছেলে এলাকায় দ্বিতীয় আরেকজন পাওয়া কঠিন।

    একই এলাকার বাসিন্দা আখতার হোসেন বলেন, শহিদুজ্জামান শুভ ভাই শুধু সিরাজগঞ্জ শহরে মানবিক কাজ করেন না, তিনি জেলার আনাচ-কানাচে যেখানে অসহায় দুস্থ মানুষ আছে সেখানেই দুইহাত ভরে সহযোগিতা করতেন। তার মতো একজন মানুষ কখনোই এই ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকতে পারেন না। এজন্য অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে তার নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের ভাইয়ের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই।

    এসময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলেন, নিহত আশফাকুল আওয়ালও একজন ভালো মানুষ ছিলেন। যেকোনো কারণেই তার মৃত্যু হয়ে থাকুক না কেন, তার সঠিক তদন্ত হওয়ার দরকার। আর নিহতের ঘটনায় কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাক, এটিও কারোরই কাম্য নয়।

    তারা আরও বলেন, একটি চক্র এই মামলায় শুভকে ফাঁসিয়ে আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ধরনের মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

    শুভ’র স্ত্রী আকলিমা খাতুন পপি বলেন, যেই ব্যক্তি বাঁচানোর চেষ্টা করলেন তিনিই হয়ে গেলেন হত্যা মামলার আসামি। এই ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

    প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার নলিছাপাড়া এলাকায় হাজী আব্দুর রহিম ফ্লাওয়ার মিলের মালিক আশফাকুল আওয়াল খান একই এলাকার এঞ্জেল ফুড কারখানায় পাওনা টাকা চাইতে যান। এসময় মালিক বাবু মন্ডলের তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে এগিয়ে গিয়ে শুভ দেখতে পান, আশফাক হঠাৎ করে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ছে। যা দেখে ভয়ে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে পালিয়ে যান বাবু মন্ডল। পরে অসুস্থ আশফাক দ্রুত উদ্ধার করে শুভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে পুলিশ জিজ্ঞাবাদের জন্য শুভকে থানায় নিয়ে যায়।

    নিহত আশফাকুল পৌর এলাকার নতুন ভাঙাবাড়ি মহল্লার আব্দুর রহিমের ছেলে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় এজাহারনামীয় পাঁচজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার বড় ভাই রাকিবুল। এতে এঞ্জেল ফুডস্ কারখানায় মালিক শহিদুজ্জামান শুভকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়।

  • উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলামকে পূর্ণলবহালের দাবীতে বাঘায় মানববন্ধন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলামকে পূর্ণলবহালের দাবীতে বাঘায় মানববন্ধন।

    বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে পূর্ণলবহালের দাবী এবং মাদক ও হ্যাকার বিরোধী পৃথক দুটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা বাসীর ব্যানারে উপজেলা চত্বরের সামনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের বদলি স্থগিত করে পূর্ণবহালের দাবিতে এবং সাড়ে ১১টায় বাঘা থানা মোড়ে মাদক ও হ্যাকার বিরোধী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত পৃথক মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন।
    উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি মুজিবর রহমান জুয়েল, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জহুরুল ইসলাম স্বপন, যুবদল নেতা আল আমিন, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোমিনুল ইসলাম হিটলার, চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য রেজাউল করিম, বাঘা শাহদৌলা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পিয়াস আহমেদ, ছাত্রদল নেতা হিমেল আহমেদ, শরিফ উদ্দিন, হাসিবুল ইসলাম, জীবন আহমেদ, অনিক মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ
  • ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের বহাল রাখার দাবিতে রাণীশংকৈলে মানববন্ধন।

    ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের বহাল রাখার দাবিতে রাণীশংকৈলে মানববন্ধন।

    ইউনিয়ন পরিষদের কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে সাধারণ ও নারী সদস্যদের বহাল রাখার দাবি জানিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন।
    বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কল্যাণ
    এসোসিয়েশন রাণীশংকৈল উপজেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আলন বালা, আনারুল ইসলাম, ফয়জুল হক, হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য তফিজুল,পেয়ারা খাতুন,আনসারা বেগম,বাচোর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ওমের আলী,কাশিপুর ইউনিয়নে আবু সালে বাবলু, লেহেম্বা ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামসহ অনেকে।
    বক্তারা বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ মাসেই ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের অপসারণের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা।
    তারা জানান, তৃণমূলে নির্বাচিত এসব জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করা হলে গ্রাম আদালত, জন্ম ও মৃত্যু সনদ, নাগরিকত্ব, ওয়ারিশ সনদ প্রদানের মতো বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে।
    সারাদেশের ইউপি সদস্যরা কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। দেশের স্থানীয় পর্যায় সুশৃঙ্খল রাখতে আমাদের প্রয়োজন আছে। দেশের উন্নয়নসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে আমরা জড়িত থাকি। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সেবা দিয়ে থাকি।
    সে কারণে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ইউপি সদস্যদের বহাল রাখার দাবি জানান। পূর্ণ মেয়াদের আগে অপসারণ করা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলার হুশিয়ারি দেন।মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
    এবিষয়ে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)রকিবুল হাসান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যরা আমাকে একটি লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
  • ডিমলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বৈষম্য নিরসনে এক দফা এক দাবীতে মানবন্ধন।

    ডিমলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বৈষম্য নিরসনে এক দফা এক দাবীতে মানবন্ধন।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শতভাগ পদোন্নতিসহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে ডিমলা উপজেলা পরিষদের সামনে এক দফা এক দাবীতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।  “প্রধান ও সহকারী শিক্ষক ঐক্য গড়ি, নায্য দাবি আদায় করি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ০২ অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ গ্রহন করেন উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকগন। মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মুহাম্মদ তাজউদ্দিন, আমজাদদুল হক, রায়হান ইবনে আবেদীন, নুর আলম, হাসিম উল ফারুক ডলার, শামসুল হক,শাহেদ অদনান, হাসান শাহরিয়ার, আসাদুজ্জামান কমল, অলিয়ার রহমানসহ প্রমূখ। মানবন্ধন শেষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়কবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সলমা এর নিকট লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।