Tag: মাধবপুর

  • মাধবপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা উদ্বোধন।

    মাধবপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা উদ্বোধন।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ, এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও  প্রদর্শনীর মেলা শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রদর্শনীর মেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান, (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা  স্টল পরিদর্শন করেন।
    বৃহস্পতিবার  (১৮ এপ্রিল ) দুপুরে সাড়ে ১২ টায় মাধবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধবপুর উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি রাহাত বিন কুতুব,সঞ্চালনায় করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দু সাত্তার বেগ।
    এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এফ এ এন এম শাহাজান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জারু মিয়া, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ফয়সাল চৌধুরী,  আন্দিউড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, প্রেসক্লাবের সাবেক আহবায়ক আইয়ুব খান, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান, মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সভাপতি তোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী বাবু,উদ্যোক্তা মোক্তাকিন চৌধুরী,পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মতিউর রহমান, গীতাপাঠ বাবু ধ্রুব চন্দ্র পাল খামারীগণ প্রমুখ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে প্রদর্শনীতে মোট ২৯ টি স্টলে বিভিন্ন পশু-পাখি প্রদর্শন করেন খামারীরা।এখানে তারা উন্নত প্রজাতির বিভিন্ন গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, গাড়ল, কবুতর ও সৌখিন পাখি, হাঁস মুরগিসহ নিয়ে উপস্থিত হয়। এবং বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি তাদের পণ্য প্রদর্শন করেন।
    প্রদর্শনী শেষে ৫ ক্যাটাগরীতে (গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া-গারল, হাস-মুরগী, সৌখিন পোষাপাখি ও কবুতর, প্রযুক্তি ও পণ্য) ১৫জন খামারীকে (টাকার চেক) পুরস্কৃত করা হয়।
  • মাধবপুরে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার।

    মাধবপুরে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৯টায় মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান এর নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল উপজেলার আন্দিউড়া বানেশ্বর রোডের বড়ইতলা এলাকা থেকে অজ্ঞাত (২৯) ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত ওই নারীকে গলায় গামছা পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে গেছে। তিনি ওই নারীর পরিচয় সনাক্ত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
  • দলিল জালিয়াতির অভিযোগে শায়েস্তাগঞ্জে মিজান চকদার কারাগারে।

    দলিল জালিয়াতির অভিযোগে শায়েস্তাগঞ্জে মিজান চকদার কারাগারে।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
    দলিল জালিয়াতির মামলায় শায়েস্তাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান চকদারকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
    বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুুপুরে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তিনি মাধবপুর উপজেলার বেঙ্গাডুবা গ্রামের মোস্তফা চকদারের ছেলে।
    জানা যায়, ভূয়া ও জাল দলিল সৃষ্টি করে জায়গা অন্যত্র বিক্রি করেন। এ ঘটনায় ওই এলাকার এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে আদালত তাকে সমন ইস্যু করেন। এর প্রেক্ষিতে গতকাল তিনি আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। তার বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
    এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত সিনিয়র ডিজিএম গোলাম কাউসার বলেন, বিষয়টি আমরা জেনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি আশা করছি কোন একটা সিদ্ধান্ত আসবে।
  • মাধবপুরে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার।

    মাধবপুরে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার উপজেলার সীমান্তবর্তী কমলপুর গ্রাম থেকে এটি আটক করেছেন গ্রামবাসী। পাখিপ্রেমী সোসাইটির জেলা সভাপতি মোজাহিদ মসি জানান, ভারতীয় সীমান্তবর্তী কমলপুর গ্রামের লোকজন প্রাণীটিকে ধরে খাঁচায় আটকে রাখেন। গ্রামবাসীর ধারণা খাদ্য সংগ্রহে সীমান্তের ওপারের পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রাণীটি লোকালয়ে চলে আসে। পরে গ্রামের একটি জমিতে প্রাণীটি দেখতে পায় কয়েক যুবক। গ্রামের উৎসুক জনতা ধাওয়া দিয়ে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিকালে প্রাণীটিকে আটক করে।
    মোজাহিদ মসি জানান, প্রাণী এখন একটি খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে। বন বিভাগের লোকজনকে জানানো হয়েছে। এটি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে উন্মুক্ত করা হতে পারে।মাধবপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আব্দুস সাত্তার বেগ জানান, প্রাণীটি লজ্জাবতী বানর। এর ইংরেজি নাম স্লো লরিস। এ প্রাণীটি এখন বিরল। বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, এরা লরিসিডি পরিবারের একটি বানর প্রজাতি। এরা গাছের উঁচু শাখায় থাকতে পছন্দ করে। বাংলাদেশে পাহাড়ি চিরসবুজ বনে এদের কালেভাদ্রে দেখা পাওয়া যায়। তবে আর্দ্র পাতাঝরা বনেও লজ্জাবতী বানরের উপস্থিতি দেখা গেছে।
    লজ্জাবতী বানর বা স্লো লরিস আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকায় সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনেও এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
  • মাধবপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত।

    মাধবপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঙ্গালীর স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক বীজ বপন হয়েছিল এই দিনে। তাই এই দিনটি বাঙালী জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। মুজিবনগর সরকার শপথের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতি স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মানের বাস্তবায়ন দেখতে পেয়েছিল এবং তারা গভীর উৎসাহে স্বাধিকার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিল।
    বুধবার ১৭ এপ্রিল সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় মাধবপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি রাহাত বিন কুতুবের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস সম্পর্কে স্মৃতিচারনমূলক বক্তব্য রাখেন মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এ এইচ এম ইশতিয়াক মামুন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বেগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায়,মোঃ জারু মিয়া, নোয়াপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আতাউল মোস্তাফা সোহেল,উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ ফারুক পাঠান, আন্দিউড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান, উপজেলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু প্রমুখ।
    বক্তারা,ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন আলোচনায়।
  • মাধবপুরে বাড়ছে পলিথিনের ব্যবহার-রয়েছে অসাধু সিন্ডিকেট।

    মাধবপুরে বাড়ছে পলিথিনের ব্যবহার-রয়েছে অসাধু সিন্ডিকেট।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বেড়েছে। বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহে পলিথিনের ক্ষতিকর উপাদান প্রবেশ করেছে। হাত বাড়ালেই হাতের কাছে পলিথিন। চাল,ডাল থেকে শুরু করে যে কোন কিছু কিনতে গেলেই তা নিষিদ্ধ পলিথিনে ভড়ে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। পলিথিনের ব্যবহারে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মাটির উর্বরতা শক্তি ও নষ্ট হচ্ছে। দেশে ২০০২ সালে পলিথিন উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাত করনের ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করে পলিথিন উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অভিযান পরিচালনা করে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত কারী দের বিরুদ্ধে  জেল জরিমানা সহ বিভিন্ন রকমের শাস্তির ব্যবস্থা করে থাকেন। মাধবপুর উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিয়মিত কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় একটা সিন্ডিকেট অবাধে এই নিষিদ্ধ পলিথিন পুরো মাধবপুর উপজেলায় নির্বিঘ্নে সরবরহ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে,যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ।
    সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মাধবপুর পৌর শহরের পুরাতন গরুর বাজারে রীতিমত গোডাউন ভাড়া করে নির্বিঘ্নে এই নিষিদ্ধ পলিথিনের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। নিষিদ্ধ পলিথিনের অবাধ সরবরাহ সম্পর্কে মুঠো  ফোনে  জানতে চাইলে সিন্ডিকেট সদস্য মোহন মিয়া প্রতিবেদককে বলেন “গত ২৬ বছরে কোন সাংবাদিক পলিথিন নিয়ে কথা বলতে আসেনি। অথচ আপনি ?  এই বলে তিনি লাইন কেটে দেন। পলিথিনের ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে  খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী প্রতিবেদককে বলেন ” বিভিন্ন গবেষণায় মাটি ও পানিতে মাইক্রো প্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহে মিলেছে এর উপস্থিতি। পলিথিনের ব্যবহারের কারণেই এমনটা হচ্ছে।এই মাইক্রো প্লাস্টিক মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমন পরিস্থিতিতে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের আহবান জানা তিনি।পলিথিনের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান টুকু বলেন এ ব্যাপারে আমি মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বলে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করব।জানতে চাইলে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম খাঁন বলেন,এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম ফয়সাল জানান,এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরে কথা বলেওদের পরিদর্শক নিয়ে শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
  • মাধবপুরে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখে তৈরি করা হচ্ছে বাড়ি।

    মাধবপুরে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখে তৈরি করা হচ্ছে বাড়ি।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে শিক্ষকদের তিন মাসের বেতন ভাতা না দিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    এ ব্যাপারে সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর পঁচিশ জন শিক্ষক ও কর্মচারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় তহবিলের আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে গত তিন মাস যাবত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও বোনাস দেওয়া হচ্ছে না।
    অথচ বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা দিয়ে  এরচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শিক্ষকের জন্য বিলাসবহুল পাঁচ বেডরুম বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে কোন ধরনের টেন্ডার ছাড়াই। শ্রেণী শিক্ষকদের হিসাবমতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতন বাবদ প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা আদায় করে বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করেছেন।
    এছাড়াও ২০২৩ সালের বকেয়া আরও ছয় লাখ টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করা হয়েছে। অথচ শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা না দিয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শিক্ষকের বাসার নামে বিলাসবহুল প্রসাদ নির্মাণে ব্যাস্ত পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।
    প্রধান শিক্ষক জানুয়ারি পর্যন্ত বেশিরভাগ শিক্ষকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে দাবি করলেও শিক্ষকরা তা অস্বীকার করেছেন। সরেজমিনে জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকের জন্য ছয় কক্ষ ও দুই ওয়াশরুম  বিশিষ্ট একটি বাড়ির ছাদ ডালাইসহ আশি ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
    বিদ্যালয়ের ভেতর থেকে ইটের শুড়কি ট্রাক্টর দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির বাড়ির সামনে নিয়ে ফেলা হচ্ছে। এব্যাপারে জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্যের সাথে যোগাযোগ করলে, তারা জানান, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিজেদের ইচ্ছেমতো স্কুল চালাচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে কিছু জানি না।
    একজন সদস্য জানান, আমি কোন মিটিংয়ে যাই না। কারণ সেখানে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দেখে মেজাজ ঠিক থাকে না। প্রধান শিক্ষক মো: নূরুল্লা ভূইয়া জানান, সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যে খাতে আয় সে খাতে ব্যয় করতে হবে। যে কারণে তহবিল সংকটের কারণে বেতন ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না।
    তবে জানুয়ারি পর্যন্ত বেতন পেয়েছে বেশিরভাগ শিক্ষক। সভাপতির বাড়ির সামনে ইটের সুরকি নিয়ে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন এগুলো কিছু স্কুলের মাঠে ফেলা ও অতিরিক্ত কিছু বিক্রি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
    সেই হিসেবে সভাপতি ক্রয় করে নিয়েছেন হয়তো। তবে কত টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন প্রধান শিক্ষক তা বলতে পারেন নাই তিনি। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: নাসির উদ্দীন খান বলেন, শিক্ষকদের জানুয়ারি পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়েছে।তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
    স্কুলের ইটের সুরকি এক হাজার টাকা দিয়ে ট্রাক্টর ড্রাইভার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছি। তবে বিক্রয়ের জন্য কোন রেজুলেশন করে কমিটির কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। প্রধান শিক্ষকের জন্য বাসভবন নির্মাণের জন্য কোন টেন্ডার হয়নি এবং কোন বাজেট হয়নি।
    একটি কমিটির মাধ্যমে যখন যা প্রয়োজন খরচ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এমনকি ভবন নির্মাণে এখন পর্যন্ত কত খরচ হয়েছে তিনি বলতে পারেনি।
     উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল জানান,” এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • মাধবপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় পুলিশের ওপর হামলা আহত ৩।

    মাধবপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় পুলিশের ওপর হামলা আহত ৩।

    মাধবপুর হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আলমগীর চৌধুরীকে ধরতে গিয়ে এক এএসআই সহ ৩ পুলিশ আহত হয়েছেন। উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের সুন্দপেুর গ্রামে রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন এ এসআই নূরুল ইসলাম, কনষ্টেবল আরিফ শেখ, কনষ্টেবল সোহাগ মিয়া। মাধবপুর থানার এসআই দ্বীন মোহাম্মদ জানান, উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের হাসান চৌধুরীর ছেলে আলমগীর চৌধুরী চেক ডিজঅনার মামলায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে ৪ টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হয়। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে আলমগীর চৌধুরী পলাতক ছিল।
    রোববার মধ্যরাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ আলমগীর চৌধুরী গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করার পর আলমগীর চৌধুরীর হুকুম দেয় পুলিশের ওপর আক্রমন চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিতে। তার হুকুম পেয়ে তার বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে একটি গাড়িতে তুলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তার বাড়ির সামনের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আলমগীর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে।
    পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আলমগীর চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
  • মাধবপুরে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও লুণ্ঠিত মালামাল সহ দুই যুবক আটক। 

    মাধবপুরে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও লুণ্ঠিত মালামাল সহ দুই যুবক আটক। 

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ 
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও লুন্ঠিত মালামাল সহ দুইজন ছিনতাইকারী যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
    জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন বিপিএম-সেবা নির্দেশনায় জেলাব্যাপী চলমান বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাধবপুর থানাধীন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ডাক্তার বাড়ি গেইট রাস্তা উপর হতে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার সময় স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক সুজন শ্যাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের মোঃ বাছির মিয়ার ছেলে মোঃ হৃদয় মিয়া (২৩), ও একই উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের এক্তিয়ারপুর গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে
    মোঃ উজ্জ্বল মিয়া (২০) কে আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়।
    এ সময় আটককৃতদের তল্লাশি করে একটি সুইচ গিয়ার (চাকু)  ও লুণ্ঠিত নগদ ১ হাজার ৫’শ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় উদ্ধার হওয়া ছুরি ও মালামাল জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
    এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে  ৪/৫ ধারা আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার আইন ২০১৯ এর মামলা (১১) রুজু করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পলাতক ২ জন আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
  • মাধবপুরে মাটি উত্তোলন ও রাস্তা দখল রাখার অভিযোগে দুই জনকে জরিমান।

    মাধবপুরে মাটি উত্তোলন ও রাস্তা দখল রাখার অভিযোগে দুই জনকে জরিমান।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি  
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে বহরা ইউনিয়নের পৃথক দুইটি স্থানে অবৈধভাবে ফসলি মাটি ও বালু উত্তোলন এবং সরকারি রাস্তা দখল করে ইট বালু দোকানে মালামাল রাখার অভিযোগে দুই জনকে অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
    শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে দিকে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের ঘিলাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ফসলি মাটি ও বালু উত্তোলনের দায়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী
    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জ উপজেলার আশুগঞ্জ গ্রামের চোরাব আলীর ছেলে হৃদয় আহমেদ (২১)কে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
     মাধবপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাহাত বিন কুতুব অভিযান চালিয়ে উপজেলার মনতলা স্টেশন বাজারে ব্যস্ত সরকারী সড়কের অংশ দখল করে দোকানের মালামাল, ইট,বালু রাখায় এবং জনস্বার্থের ক্ষতি করায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন,২০০৯ অনুযায়ী বহরা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আক্তার হোসেন সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
    পৃথক দুটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এক জনকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও অপর এক জনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে মোট দুই জনকে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
    এসময় মাধবপুর থানাধীন মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই হুমায়ূন কবিরসহ পুলিশের একটি দল ও আনছার সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন।
    ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,মো: রাহাত বিন কুতুব সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অবৈধ ফসলি জমির মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।