Tag: মাধবপুর

  • মাধবপুরে মনতলা শাহজালাল সরকারী কলেজে বিদায় সংবর্ধনা।

    মাধবপুরে মনতলা শাহজালাল সরকারী কলেজে বিদায় সংবর্ধনা।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা শাহজালাল সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, প্রভাষক, ও কর্মচারীদের অবসরজনিত কারনে বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
    সোমবার সকালে কলেজ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্টিত হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হক,সাবেক অধ্যক্ষ মোজাম্মিল হক,সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম, সহকারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ সাবেক প্রভাষক প্রদীপ কুমার সুত্রধর,সাবেক  প্রভাষক নাছিমা বেগম,সাবেক প্রভাষক আব্দুল জব্বার।এতে আরো বক্তব্য রাখেন এনআরবি ব্যাংক মাধবপুর শাখার ব্যবস্থাপক জিয়াউল বর চৌধুরী জিলু, বহরা ইউপি বিএনপি সভাপতি শাহিন আলম রিপন, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী শাহিন,
    মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুল আম্বিয়া, উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ইকরাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ইয়াকুব খান,বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল,মুফতি শফিকুল ইসলাম ডালিম,চৌমুহনী ইউনিয়ন জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ এর সাধারন সম্পাদক আল মাসুদ লোকমান,বহরা ইউনিয়ন জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ এর সেক্রেটারী নাহিদ হোসাইন,শাহজালাল সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহব্বায়ক টিপু চৌধুরী,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহব্বায়ক মনিরুল ইসলাম মন্টি,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক তানজিরুল ইসলাম। এ সভা পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম এবং কাউছার আহমেদ।
  • মাধবপুরে ফুল-বাঁধাকপি চাষ করে সফলতা পেলেন সজীব।

    মাধবপুরে ফুল-বাঁধাকপি চাষ করে সফলতা পেলেন সজীব।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি  
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে জৈব পদ্ধতিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো: আতিক হাসান সজীব। সবেমাত্র এইচএসসি পাশ করে অনার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সজীব। পাশাপাশি নিজের জমিতে জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে এর আয় দিয়ে কিনেছেন মোটরসাইকেল। সরজমিনে উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের উত্তর সুরমা গ্রামে তার ফুলকপি ও বাঁধাকপি’র জমিতে গিয়ে দেখা যায় কৃষক সজীব জমির পরিচর্যায় ব্যাস্ত।তিনি জানান, আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতেন।’
    উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে শুধু জৈন সার,  হলুদ আঠালো ফাঁদ ও স্পোডোলিয়র ব্যবহার করে চাষাবাদ করেছেন। এতে ফসলের উৎপাদন আগের চেয়ে বেশি হচ্ছে। এর আগে জৈব পদ্ধতিতে সিম চাষ করে এর লাভের টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল কিনেছেন। এখন চল্লিশ শতাংশ জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন।’
    ১৬ অক্টোবর বীজ রোপণ করেছেন, চলতি সপ্তাহ থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। বাজারে শীতকালীন সবজি বেশি থাকায় দাম কম পাওয়া যাচ্ছে।’তবে উৎপাদন অনেক ভালো হওয়ায় লাভের আশা করছেন তিনি।’
    উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহন লাল নন্দী জানান, ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিস্ট্যান্ট প্রজেক্টের আওতায় বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রদর্শনীটি দেওয়া হয়।সম্পূর্ণ জৈব পদ্দতি অবলম্বন করে প্রদর্শনী টি বাস্তবায়ন করা হয়। তরুণ এই কৃষি উদ্যোক্তার সফলতা দেখে অনেকেই আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য।’
    মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব সরকার বলেন, নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পুরণের জন্য জৈব পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবজি ফসল উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহৃত হয় যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য অতন্ত্য ঝুকিপূর্ণ। জৈব সার, জৈব বালাইনাশক একদিকে যেমন মাটি ও ফসলকে নিরাপদ রাখে অপরদিকে ফসলের স্বাদ ও গুনাগুন বহুগুণ বাড়ায়। তারই ধারাবাহিকতায় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় মাধবপুর উপজেলায় জৈব পদ্ধতিতে ক্রিপার ও নন ক্রিপার জাতীয় সবজি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
  • মাধবপুরে চা-শ্রমিকদের মধ্যে কম্বল বিতরণে জেলা প্রশাসক।

    মাধবপুরে চা-শ্রমিকদের মধ্যে কম্বল বিতরণে জেলা প্রশাসক।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা-বাগানে শ্রমিকদের মধ্যে কম্বল (শীত বস্ত্র) বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার সুরমা চা-বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে ১০০ জন চা-শ্রমিকের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহেদ বিন কাসেম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুজিবুল ইসলাম, বাগান ব্যবস্থাপক বাবুল সরকারসহ বাগান পঞ্চায়েতের নেতাকর্মীরা।
  • মাধবপুরে আ.লীগ নেতার ভাই রানার বিরুদ্ধে রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ।

    মাধবপুরে আ.লীগ নেতার ভাই রানার বিরুদ্ধে রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের
    ধর্মঘর পশ্চিম বাজার থেকে হাই স্কুলের মাঠ হয়ে দক্ষিণ দিকে মালঞ্চপুর-সন্তোষপুর এলাকায় যাওয়ার ডিসি রোড থেকে বড় বড় ৭ টি আকাশমণি গাছ কেঁটে নিয়ে যায় স্থানীয় আশরাফুল আলম রানা। সে ধর্মঘর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলী’র পুত্র। স্থানীয় লোকজন জানায়, সে এর আগেও বিগত সরকারের আমলে এই রাস্তা থেকে বেশকিছু গাছ কেটে নিয়েছিলেন। তার দুই ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় তখন ভয়ে কেউ কিছু বলেননি। এব্যাপারে আশরাফুল আলম রানার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। গাছ কাটার খবর পেয়ে মনতলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো: মজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।তিনি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সে রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কেটে নিয়েছে। এখন সে দাবি করছে এটা তার জায়গা। তবে আমরা সার্ভেয়ার এনে মেপে দেখেছি গাছগুলো রাস্তার জায়গায় পড়েছে। সহকারী কমিশনার ভূমি মো: মুজিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তহসিলদার ও সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। উনাদের রিপোর্ট এর ভিত্তিতে আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
  • হবিগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৬, বসতবাড়ি লুট।

    হবিগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৬, বসতবাড়ি লুট।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এসময় বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।,
    বুধবার সকালে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।,
    আহতরা হলেন কমলানগর গ্রামের নাজিম উদ্দিন শাহ (৬০), একই গ্রামের আব্বাছ উদ্দিন শিমুল (২৬), শাহেনা বেগম (৪০), পারভীন আক্তার (৪০), মাসুক মিয়া ৩৭), সাবিনা বেগম (৩৬)।
    পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কমলানগর গ্রামে নাজিম উদ্দিন শাহ ও জহুর আলীর মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বুধবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উল্লেখিতরা আহত হন। সংঘর্ষের পর কমলানগর আসাদ আলীর বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনা ও ভাঙচুর হয়েছে।,
    এ বিষয়ে ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষই এখনো অভিযোগ দেয়নি।
  • মাধবপুরে শিল্পবর্জ্যের ভয়াবহ দূষণে পরিবেশ হুমকির মুখে, ল্যাব টেস্টে মিলেছে দুষণ।

    মাধবপুরে শিল্পবর্জ্যের ভয়াবহ দূষণে পরিবেশ হুমকির মুখে, ল্যাব টেস্টে মিলেছে দুষণ।

    মাধবপুরহবিগঞ্জপ্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে শিল্পবর্জ্যের ভয়াবহ দূষণে হুমকির মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রামের পরিবেশ ও বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অপরিশোধিত বর্জ্য খালের ছেড়ে দেওয়ায় দুষণ ছড়িয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়।
    স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হরিতলা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ভারটেক ওয়্যার কোম্পানি লি., পাইয়োনিয়ার ডেনিম লি. ও নাহিদ টেক্সটাইল লি. নামে তিনটি বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি তাদের উৎপাদিত অপরিশোধিত বর্জ্য পাশ্ববর্তী খাল দিয়ে নিষ্কাশন করছে। স্থানীয়দের কাছে ওই খালটি ‘রাজখাল’ নামে পরিচিত।
    তারা জানান- এক সময় এই খালে মাছ শিকার করতেন এলাকার মানুষ। তখন বিভিন্ন ধরণের দেশীয় মাছের বিচরণ ছিল খালে। এখন সেই খালে মাছ থাকা দূরের কথা, খালের পানি পোড়া মবিলের মতো কুচকুচে কালো। দুর্গন্ধে আশপাশে টেকা মুশকিল।
    উপজেলার সাতপাড়িয়া, খতিয়ারপুর, পিয়াম ও সাকুসাইল গ্রামের মানুষরা সবচেয়ে বেশি দূষণের শিকার। এই খালের পানিতে নেমে মারা যাচ্ছে হাঁস-গোরগ, পানি পুকুরে প্রবেশ করে মারা যাচ্ছে চাষের মাছও। এমন কি গৃহপালিত পশু এই খালের পানি পান করে বিভিন্ন সময় অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা আক্রান্ত হচ্ছেন শ্বাসকষ্ট ও চর্মসহ বিভিন্ন রোগে।
    সম্প্রতি খাল ও অভিযুক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান তিনটি থেকে নির্গত পানির মান পরিক্ষা করেছে সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়। যেখানে খালের পানি অতিরিক্ত মাত্রায় দুষণের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া একটি কারখানার পানিতেও অতিমাত্রায় দুষণ পাওয়া গেছে।
    পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী ভেতরস্থ পানির পৃষ্ঠর স্বাভাবিক মান ৬ থেকে ৯ পিএইচ হওয়ার কথা। কিন্তু রাজখালের পানি ল্যাব পরিক্ষায় ১০ দশমিক ৬৫ পাওয়া গেছে। সিওডি এর স্বাভাবিক মান প্রতি লিটারে ৫০ মিলিগ্রাম। সেখানে রয়েছে ১ হাজার ২০৮ মিলিগ্রাম এবং টিডিএস লিটারে ১০০০ মিলিগ্রামের স্বাভাবিক স্থলে রয়েছে ১ হাজার ৯৪৯ মিলিগ্রাম।
    আশপাশের অন্তত ৫টি হাওরের ফসলি জমিতে সেচের বড় উৎস এই রাজখাল। অথচ খালটি দুষণের কারণে ওই এলাকার অনেক জমি এখন অনাবাদি থাকছে। যেসব জমিতে ধান চাষ হচ্ছে সেগুলোতেও কমে গেছে উৎপাদন। সেই সাথে জমি প্রস্তুতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ।
    সাতপাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই খালে এক সময় আমরা মাছ ধরতাম। প্রচুর মাছ পাওয়া যেত খালের মধ্যে। কিন্তু এখন মাছ পাওয়াতো দূরের কথা, দুর্গেন্ধের কারণে খালের আশপাশে যাওয়া যায় না। খালো নামলে কোমর পর্যন্ত ঢুকে যায়। পানি কুচকুচে খালো।’
    একই গ্রামের মোতাহের হুসাইন বলেন, ‘আমরা বাড়ির পাশ দিয়ে এই খাল বয়ে গেছে। কোম্পানীর পঁচা পানি ছাড়ার কারণে দুর্গেন্ধে বাড়িতে থাকা যায় না। হাঁস-মোরগ, গরু-ছাগল পানিতে নামলে মারা যায়, অসুস্থ হয়ে যায়। আমাদেরও এই পানিতে পা-হাত লাগালে চুলকায়। কোম্পানীর পানির কারণে আমরা খুব কষ্টে আছি।’
    তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও আমার গ্রামের এক খামারির দুইশ’ হাঁস মারা গেছে। এছাড়া আমার চাচাতো ভাইয়েরও ৭-৮টি হাঁস মারা গেছে।
    আব্দুল কাদির নামে এক কৃষক বলেন, ‘খালের পানি দিয়ে সেচ দেওয়া যায় না। বর্ষায় এই পানি জমিতে ঢুকে জমির মধ্যে ক্যামিকেলের লেয়ার পড়ে থাকে। এগুলোর কারণে ফলন হয় না। আবার লেয়ার পরিস্কার করতে গেলে প্রতি বিঘায় ৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে আমাদের।
    কৃষক রুক্কু মিয়া বলেন, ‘এই পানি যে জমিতে ঢুকে সেই জমিতে ধান হয় না। আমাদের এলাকায় অনেক জমি আছে সেগুলো অনাবাদি পড়ে থাকে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করার সাহস পাই না। প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়।
    এলাকাবাসীর অভিযোগ- দুষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে কারখানার নিয়োজিত দালালদের মাধ্যমে দেওয়া হয় হুমকি-ধামকি। প্রায় সময় মারপিট করার অভিযোগও করেন কেউ কেউ।
    প্রতিবেদন সংগ্রহের সময় ঘটনাস্থলে হঠাৎ উপস্থিত হন কারখানার নিয়োজিত তিন দালাল। তার মধ্যে একজন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল নেতা এনামুল হক এ্যানি। তার সাথে স্থানীয় দুই যুবক।
    এ সময় তারা কারখানার পক্ষে চাপাই গেয়ে উত্তেজিত হন গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর। ছাত্রদল নেতা এ্যানি বলেন, ‘এই এলাকায় ইন্ডাস্ট্রি হওয়ার কারণে এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে। আপনারা এই উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চান। আমি মনে করি আপনারা ভারতের ‘র’ এর এজেন্ড হিসেবে কাজ করছেন।’এ সময় তারা দূষণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার হুমকিও দেন।
    এদিকে, সম্প্রতি রাজখাল ও এর আশপাশ এলাকা পরিদর্শন করেছেন ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন’র নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা জানান, দুষণ বন্ধে সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘মাধবপুরে দীর্ঘদিন ধরে শিল্পদূষণ হচ্ছে, যা স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। আমরা চাই ইন্ডাস্ট্রি হোক, কর্মসংস্থান হোক। তবে ইন্ডাস্ট্রিগুলো তাদের বর্জ্য পরিশোধন নিশ্চিত করবে, সেটি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তারা তা করছে না।’
    তিনি বলেন, ‘রাজ খালের দুষিত পানি বলভদ্র নদী হয়ে মেঘনা পর্যন্ত গিয়ে পড়ছে। যার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা জানি, এই দূষণ মনিটরিংয়ের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। তবে তাদের কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।
    শরীফ জামিল আরও বলেন, ‘সহজ কথায় বলতে গেলে, এই এলাকায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে উন্নয়ন হতে পারে না। এ বিষয়ে প্রয়োজন হলে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে। আমরা মামলা পর্যন্ত যওয়ার কথা ভাবতে পারি।
    সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ‘আমরা হাঁস মারা যাওয়ার পর রাজখাল থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করি। এছাড়া তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত পানির নমুনাও সংগ্রহ করি। তবে খালের পানিতে দেখা গেছে প্যারামিটার অনেক বাইরে। একইভাবে তিনটি গ্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত পানির মানেও মাত্রাতিরিক্ত দুষণ পাওয়া গেছে। তবে প্রক্রিয়া চলমান থাকায় সেই প্রতিষ্ঠানের নাম এই মূহূর্তে প্রকাশ করতে চাই না। আমরা আমাদের সংশ্লিষ্ট আইনে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
  • মাধবপুরে বাবার দায়ের কোপে মেয়ে খুন:ঘাতক বাবা গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে বাবার দায়ের কোপে মেয়ে খুন:ঘাতক বাবা গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের ঘণশ্যামপুর গ্রামে বাবার দায়ের কোপে মেয়ে নিহত হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারী) দুপুর আড়াইটার সময় উপজেলার ঘণশ্যামপুর গ্রামের মঈনুদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম রানু বেগম (১৫)। সে ঘনশ্যামপুর গ্রামের মঈনুদ্দিন (৪২) এর মেয়ে।
    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে রানু বেগম প্রায় সময়ই মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ছেলের সাথে কথা বলতো। বিষয়টিকে তার পিতা মঈনউদ্দীন ভালোভাবে নিতেন না।মেয়েকে নিবৃত্ত করতে বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে আজ দুপুরে কথা বলার সময় পিছন দিক থেকে ধারালো দা দিয়ে মেয়ের ঘাড়ে কোপ দিলে মেয়ের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
    খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক পিতাকে আটক করেছে। নিহত রানু বেগমের মা শাহেদা বেগম জানান, ‘ মোবাইলে কথা বলার জেরেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমার স্বামী। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’ ঘাতক মঈনুদ্দিনও থানা সাংবাদিকদের কাছে মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন আটক মঈনুদ্দিন থানা হেফাজতে রয়েছে।এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
  • মাধবপুরে বিজিবি’র অভিযানে বিদেশী মদ উদ্ধার,পালিয়েছে চোরাকারবারি।

    মাধবপুরে বিজিবি’র অভিযানে বিদেশী মদ উদ্ধার,পালিয়েছে চোরাকারবারি।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে মালিক বিহীন ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার বিদেশী মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
    রবিবার(১২ জানুয়ারী) বেলা পৌনে ৩ টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫) বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিলের সার্বিক দিক নির্দেশনায় হবিগঞ্জ বিজিবি অধীনস্থ তেলিয়াপাড়ায় বিওপি’র একটি টহল দল সুবেদার প্যাট্রিক দালবৎ এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
    রবিবার ভোর পৌনে ৫ টায় মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়ার ১৯ নং চা বাগান সীমান্তবর্তী এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাচালান বিরোধী একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। চোরাকারবারিরা বিজিবি’র টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।এসময় অবৈধভাবে চোরাচালানকৃত মালিকবিহীন ১৮৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)।
    উদ্ধারকৃত ভারতীয় মদের বোতলের আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা। আটককৃত মাদক দ্রব্য সংশ্লিষ্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চুনারুঘাট জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
    হবিগঞ্জ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবি দেশের সীমান্ত সুরক্ষা এবং চোরাচালান প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।তিনি আরও বলেন  মাদকের বিরুদ্ধে সর্বদা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। বিজিবি চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত  রয়েছে।
  • মাধবপুরে প্রাইভেট কার চুরি, থানায় ডায়েরী।

    মাধবপুরে প্রাইভেট কার চুরি, থানায় ডায়েরী।

    মাধবপুর প্রতিনিধিঃ

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে সায়হাম ফিউচার কমপ্লেক্স’র পাকিং লডে থাকা প্রাইভেট কার চুরির ঘটনা ঘটেছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো: আলাউদ্দীনে’র মালিকানা প্রাইভেট কার ঢাকা মেট্রো-খ-12-8097, যাহার চেসিস নং NZE 120-3047256, ইঞ্জিন নং 2NZ 3081450, গাড়িটি গত বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় সাতটা দিকে মাধবপুর বাজার সায়হাম ফিউচার কমপ্লেক্সের পাকিং লডে প্রাইভেট কারটি রেখে বাড়িতে যায়। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ পেয়ে আসিয়া দেখি সায়হাম ফিউচার কমপ্লেক্সে’র পাকিং লডে থাকা প্রাইভেট কারটি নাই। পাকিং লডের দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে আমার গাড়ির কোন তথ্য দিতে পারেনা।
    এ বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের  অবহিত করিয়া অনেক খোজাখুজি পরেও সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
    সে মাধবপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড গুমটিয়া গ্রামের মো: লাল মিয়া খাঁন এর ছেলে আলাউদ্দীন বাদী হয়ে (০৪ জানুয়ারী) শনিবার মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।( জিডি নম্বর ১৯৩)চুরি হওয়া প্রাইভেট কারের বিষয় জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান জানান, প্রাইভেট কারটি খোঁজছি,উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।
    এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,একটি লিখিত সাধারণ ডায়েরি মাধ্যমে প্রাইভেট কার চুরি ঘটনা বিষয়টি জানতে পেয়ে এসআই নাজমুল হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।
  • মাধবপুরে গাছের চাপায় বৃদ্ধা মহিলা নিহত।

    মাধবপুরে গাছের চাপায় বৃদ্ধা মহিলা নিহত।

    মাধবপুর প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিরোধপূর্ণ এক জমিতে গাছ কাঠার সময় গাছ চাপায় এক বৃদ্ধা মহিলা নিহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহত বৃদ্ধার নাম ওহেদা বানু (৬০) উপজেলার চৌমুহনী ইউপি শিবনগর গ্রামের খোরশেদ আলীর স্ত্রী।
    জানা যায়,রবিবার (৫ জানুয়ারি) স্থানীয় আশ্রব আলী ও রমজান আলীর মধ্যে মালিকানা দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে কাঠুরিয়ারা গাছ কাটে।ওই বৃদ্ধা কাঠ ও লাকড়ি সংগ্রহ করতে সেখানে গেলে   অসতর্কতাবসত একটি আকাশমনী গাছের নিচে চাপা পড়ে যান।তাৎক্ষণিক রক্তাক্ত হয়ে ওই বৃদ্ধা মহিলা মারা যায়।মৃত্যুর সত্যতা মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।
    প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা শাফিয়া বেগম জানান,এটা আমাদের মালিকানা জমি সেখানে অসতর্কতাবশত ওই বৃদ্ধা এসে দুর্ঘটনার শিকার হন।
    স্থানীয় বাসিন্দা রমজান মিয়া জানান, জমি এবং গাছ আমাদের মালিকানার। আমরা থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি।৯৯৯ কলও দিয়েছি। যদি পুলিশ সঠিক সময় আসতো তাহলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে না। আমরা এই নেগলিজ্যান্স হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
    যোগাযোগ করা হলে মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান জানান,লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে একজন অভিযোগ দায়ের করবে। করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।