Tag: ভোট

  • ফুটবল মার্কায় ভোট দিন-মেম্বার প্রার্থী আল-মামুন।

    ফুটবল মার্কায় ভোট দিন-মেম্বার প্রার্থী আল-মামুন।

    ফুটবল মার্কায় ভোট দিন-মেম্বার প্রার্থী আল-মামুন।


    টাংগাইলের নাগরপুরে ১নং ভারড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ভোটারদের ফুটবল মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মামুন ।আগামী ১৫ জুন ভারড়া ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    শুক্রবার ২৭ মে বেলা ১১ঘটিকায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মেম্বার প্রার্থী মামুন মারমা এলাকায় বিশাল মিছিল করে জনসংযোগ করেন মামুন ।

    ভারড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মারমা গ্রামে জনসংযোগ করে যাচ্ছেন।

    মারমা গ্রামের মেম্বার প্রার্থী মামুন সাংবাদিকদের জানান,আমি অত্র গ্রামের সন্তান।

    আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ভারড়া ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের আমি মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।আমার প্রতীক ফুটবল।

    আমি ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছি। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আগামীতে এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন,জনগনের নাগরিক সুবিধা প্রদান ও জনকল্যাণমুখী সকল কাজে এ ওয়ার্ড বাসীর পাশে থাকতে চাই।

    এ সময় তিনি ফুটবল প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহবান জানান।

  • রাজশাহীর বাঘায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।

    রাজশাহীর বাঘায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।

    রাজশাহীর বাঘায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।

    “ মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার রক্ষা করব ভোটাধিকার ”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২ মার্চ ২০২২ সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর বাঘায়  রঙিন বেলুন, শান্তির প্রতীক কবুতর উডানোসহ বনাঢ্য রালী ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা চত্বরে উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে এ দিবসটি পালন করা হয়।

    উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মজিবুল আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত  এ সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)পাপিয়া সুলতানা।
    জাতীয় ভোটার দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম মন্ট ু, মাসুদ রানা তিলু ,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী , নারী ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া আজিজ সরকার, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম , সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সমাজের সুধীজন ।
  • রাণীশংকৈলে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।

    রাণীশংকৈলে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।

    রাণীশংকৈলে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।


    বয়স যদি আঠারো হয়, ভোটার হতে দেরি নয়, এই শ্লোগানে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নানা আয়োজনে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে।

    এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ।

    প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম‍্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব‍্য রাখেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নুর-ই-আলম।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক, পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম , বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, আব্দুল মালেক, প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহম্মেদ সরকার প্রমুখ।

    এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে এসময় নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরাসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,ইউপি চেয়ারম্যান, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভোটার হওয়া একজন ব্যক্তির নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য। তাই আঠারো বছর বয়স পুর্ণ হলেই প্রত্যেক নাগরিককে ভোটার হতে হবে। ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত না হলে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে না।

    বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হলেও অনেকে বাদ পড়েছেন। ভোটার দিবস পালিত হলে ভোট বিষয়ে সচেতনতাসহ ভোটদানে এ দেশে তরুণদের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, সারা দেশেই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।

  • ওসমানীনগরে ইভিএম এ ভোট নিয়ে শঙ্কিত ভোটাররা।

    ওসমানীনগরে ইভিএম এ ভোট নিয়ে শঙ্কিত ভোটাররা।

    আগামী ৩১ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে যাচ্ছেন সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ১ লক্ষ ৪৬ হাজর ৭০৪ জন ভোটার। আধুনিক প্রযুক্তি ইভিএমের মাধ্যমে এ উপজেলায় এর আগে কখনো ভোট গ্রহন না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী প্রার্থী,সমর্থক ও সাধারণ ভোটাররা উদ্বিগ্ন থাকলেও ইভিএমে ভোট প্রদান প্রদ্ধতির প্রচারনাসহ সচেতণতার বিষয়ে নানা অযুহাতে দায়সারা ভাব করছেন উপজেলার দ্বায়িত্বে থাকা নির্বাচন কর্মকর্তারা।

    প্রথমবারের মতো ইভিএমের পদ্ধতিতে ভোট প্রদান নিয়ে সাধারণ ভোটারদের সচেতনতায় কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ফলে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান নিয়ে ভোটারদের মনে নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক প্রার্থীদের অভিযোগ,অস্থায়ী কেন্দ্র স্থাপন থেকে শুরু করে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম পূরণ,প্রতীক বরাদ্ধে অনিয়ম,প্রার্থীদের পছন্দনীয় ব্যাক্তিদের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দ্বায়িত্ব প্রদানসহ এ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রমে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অফিস সংশ্লিষ্টরা আর্থিক বাণিজ্যে মেতে উঠলেও প্রথমবারের মতো ইভিএমের পদ্ধতিতে ভোট প্রদান নিয়ে সাধারণ ভোটারদের সচেতনতায় কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

    নির্বাচন কর্মকর্তাদের এমন দায়সারা ভাবসহ প্রচারের অভাবে ভোট কেন্দ্রে অনেক ভোটারকে ঝামেলা পোহানোসহ কেন্দ্র গিয়ে সাধারণ নাজেহাল হওয়ার শংঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় অবাধ সুষ্ট নির্বাচনের স্বার্থে ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের ব্যাপক ধারণা দেয়ার পাশাপাশি ইভিএমে ভোট গ্রহন সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহব্বান জানাচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।

    তবে, এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারনাসহ গনসচেতণতা সৃষ্টির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হলেও ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকা দ্বায়িত্ব প্রাপ্তদের দুই দিনের প্রশিক্ষন ছাড়া সাধারণ ভোটার কিংবা জনসম্পৃক্ততা মূলক কার্যক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

    ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন অফিসে ব্যাপক কর্মতৎপরতা দেখা গেলেও ইভিএমকে সাধারণ ভোটারদের মাঝে পরিচিত করার কোনো প্রয়াস লক্ষনীয় নয়। ফলে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দিতে অভ্যস্ত উপজেলার সাধারণ ভোটাররা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ মেশিনের মাধ্যমে ভোট দিলে সেটি পছন্দের প্রার্থী পাবেন কিনা তা নিয়েও ভোটারদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান নিয়ে এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে আলোচনা। তবে ভোটের আগে মক ভোটিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন অফিস সংশ্লিষ্টরা ।

    জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডের ৭৮টি ভোট কেন্দ্রে ৪২৯টি বোথে ৭৪ হাজার ৫৩৪ পুরুষ ও ৭২ হাজার ১৭০ জন নারী সহ মোট ১ লক্ষ ৪৬ হাজর ৭০৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে এর আগে কখনো ভোট না দেয়ায় সাধারণ ভোটাররা এই পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না।

    যারা ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবেন তারা কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেক ভোটারের। নতুন এ প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করবেন তা নিয়েও অনেক ভোটারের মধ্যে রয়েছে জানার ঘাটতি। প্রতীক কোথায় থাকবে!কেমন করে ভোট নিশ্চিত হবে ? এমন নানা প্রশ্ন সাধারণ ভোটরদের মধ্যে। বিশেষ করে নিরক্ষর,স্বল্পশিক্ষিত, গৃহিণী ও বয়স্কদের মধ্যে ইভিএম ভোট নিয়ে জড়তা ও সংশয় বেশি কাজ করছে। শুধু সাধারণ ভোটাররাই নন, ইভিএম নিয়ে অনেক চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থীর মধ্যেও শঙ্কা রয়েছে।

    উপজেলার ৮ ইউনিয়নের একাধিক ভোটারা জানিয়েছেন, এর আগে কোন নির্বাচনেই কখনোই তারা এই পদ্ধতিতে ভোট প্রয়োগ করেননি। অনেকের আবার লেখাপড়াও তেমন জানা নেই। ইভিএম সম্পর্কে ধারণা না থাকায় বয়স্করা ও মহিলারা ভোট কেন্দ্র বিপাকে পড়ারাও আশঙ্কা রয়েছে। তবে, শিক্ষিত ও তরুণ ভোটারদের মধ্যে ইভিএম ভোট নিয়ে শঙ্কা কিছুটা কম লক্ষ করা যাচ্ছে।

    গোয়ালাবাজার এলাকার তরুণ ভোটার রাসেল,তাজপুরের ৬০ বছর বয়সী জমির আলী ও দয়ামীর ইউনিয়নের নাজমা বেগমসহ কয়েকেজন ভোটার জানান, এই মেশিনে কিভাবে ভোট দিতে হয় তার কিছুই আমরা জানি না। পছন্দের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার পর আধুনিক এই পদ্ধতিতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারব কি না, সেটাই চিন্তা হচ্ছে। লোক মুখে জানতে পেরেছি, ভোট এক জায়গায় দিলে নাকি আরেক জায়গায় হয়ে যাবে। এমন নানা প্রশ্নের দ্রুবজাল সৃষ্টি হচ্ছে।

    সাধারণ ভোটারদের মধ্যে যদি নির্বাচন কমিশন খোলা মেলা একটা প্রশিক্ষণ বা প্রচারণার আয়োজন করতেন তবে অনেকেই কেন্দ্র গিয়ে নাজেহাল না হওয়াসহ ইভিএম সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা লাভ করা যেত। টিভিতে অনেক নির্বাচনের খবর দেখেছি, ইভিএম বুথে দাঁড়িয়ে থেকে ভোটরদের সহায়তার নামে কিছু লোক তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারব কি না সেটা নিয়েই চিন্তা হচ্ছে।

    ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী একাধিক চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য প্রার্থী জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহনকরী প্রার্থীদের নিয়ে প্রশানের উদ্যোগে এক সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সকল প্রার্থীরাই ইভিএম নিয়ে ভোটারের শঙ্কার বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছেন। যদি গ্রাম অথবা ওয়ার্ড পর্যায় বা জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে বিশেষ করে মহিলা ও বয়স্কদের ইভিএমে ভোট প্রদানের সচিত্র প্রচারের ব্যবস্থা করতেন তাহলে ভোটররা নিশ্চিন্তে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে সুবিধা হতো।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ইউনিয়নের সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ইভিএম নিয়ে আ.লীগের প্রার্থী ও তার কর্মীরা ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কসহ মানুষের মনে ভীতি ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ‘ভোট দেব এক জায়গায়, চলে যাবে আরেক জায়গায়’। তাহলে আর অন্য জায়গায় দিয়ে লাভ কি। তারা বলে বেড়াচ্ছেন, ভোটাররা যে প্রতীকেই ভোট দিক না কেন, সেটা নাকি নৌকায় চলে যাবে। এসব বিভ্রান্তিতে ভোটাররা শঙ্কায় রয়েছেন।
    এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তার আবু লায়েশ দুলালের কার্যালয়ে গিয়ে কক্ষ বন্ধ পাওয়া যায় রাতে মঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের ইভিএম পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার কথা রয়েছে। যদি বাস্থবায়ন না হয় তবে বিষয়টি নির্বাচন অফিসের সাথে কথা বলে দেখবো।
    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ৩ জানুয়ারি। বাছাই ছিল ৬ জানুয়ারী, এদিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়নি। ১৩ জানুয়ারি প্রার্থীতা প্রত্যাহার শেষ দিনে ৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৫জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। ১৪ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারী ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট দেখতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে হামিদুল নিহত,স্বজনদের আহাজারি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট দেখতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে হামিদুল নিহত,স্বজনদের আহাজারি।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে নিহত হামিদুল ইসলাম(৬৩) বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। স্বজনরা দাবি করছেন, হামিদুল কোনো প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন না, ভোটের অবস্থা দেখতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। যদিও বিজয়ী মেম্বারের দাবি, তিনি পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন।

    রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান হামিদুল। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) মাগরিবের নামাজের পর দক্ষিণ আসাননগর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

    ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।সোমবার দুপুরে নিহত শহিদুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার শোকে হতবিহ্বল পরিবারের সদস্যরা। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে বাড়ির পরিবেশ।

    এলাকাবাসী ও স্বজনদের দাবি,হামিদুল খুবই সহজ সরল মানুষ ছিলেন। তিনি কোনো দল ও প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন না। তিনি দেখার জন্য কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু জানতেন না যে, তাকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মরতে হবে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা।

    হামিদুলের স্ত্রী হাসিনা বলেন,সন্ধ্যার আগে আমার স্বামী বাড়ির পাশে বাজার করতে যান। তখন তিনি বাজারের কাছেই ভোট কেন্দ্রে দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন।

    হামিদুলের মেয়ে হামিদা বলেন,ভোটের অবস্থা দেখতে গিয়ে আমার বাবাকে মরতে হলো। আমার বাবাকে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবেন? এখন আমার অসুস্থ মায়ের কী হবে? আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।

    এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় আমারজমিনকে বলেন, রোববার ভোট গণনার পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করলে ফুটবল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী পরাজিত হন। তখন ফুটবল প্রতীকের সমর্থকরা ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ওপর হামলা করেন।

    পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে কেন্দ্র ফাঁকা করে। ওসি আরও বলেন,পরে ভোটের মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাড়িতে ফুটবল প্রতীকের সমর্থকরা আবারও হামলা করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশকে আহত করেন। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আবারও গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।

    রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন বলেন,নিহত ব্যক্তির মরদেহ পোস্টমর্টেম করে বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

    বিজয়ী ইউপি সদস্য মাসুদ রানা আমারজমিনকে বলেন,শহিদুল আমার সমর্থক ছিলেন না। তিনি ফুটবল প্রতীকের সমর্থক ছিলেন।

    এ বিষয়ে জানতে ফুটবল প্রতীকের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী শাহ আলমের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি পলাতক আছেন বলে জানা গেছে।

    তবে ওই ইউনিয়ন থেকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম সরকার জানান হামিদুল ফুটবল মার্কারই সমর্থক ছিলেন।

  • রায়পুরে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীদের ভোট নিয়ে হানাহানির আশঙ্কায় মতবিনিময় সভা।

    রায়পুরে ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীদের ভোট নিয়ে হানাহানির আশঙ্কায় মতবিনিময় সভা।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। একইসঙ্গে তারা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগেও আপত্তি জানানোসহ একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন প্রশাসনের কাছে।

    পাশাপাাশি প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যপদে প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল পাঁচটায় লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ ডাকবাংলো মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ ও পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামানের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তারা এই সহযোগিতা চান।

    মতবিনিময় সভায় কেরোয়া ইউপির আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রাথী বাবুল পাটোয়ারী (আনারস) তার প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী শাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমার ওপর ও নির্বাচনি কর্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।’

    চরপাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (আনারস) প্রার্থী খোরশেদ আলম বলেন, ‘ইউনিয়নের প্রত্যেকটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলে সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত নির্বাচন হবে। এই পর্যন্ত ৯টি অভিযোগ করেছি। কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।। বহিরাগতরা এসে আশ্রয় নিচ্ছেন।’

    দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার ইউনিয়নে মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে।’ উত্তর চর আবাবিলের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা আনোয়ার হোসেন মুরাদ বলেন, ‘সদস্য প্রার্থীদের আত্মীয়-স্বজনরা নির্বাচনি এলাকায় আসায় বিশৃঙ্খলা হচ্ছে।’

    এই দিকে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন বিনা ভোটে নির্বাচিত হলেও সদস্য প্রার্থীরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ওই ইউনিয়নের ৩,৪,৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থীসহ অন্য প্রার্থীরা প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের দাবি জানান। জেলার পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, ‘সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, আবাধ ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন দিতে আমরা শতভাগ প্রস্তুত।

    নির্বাচনি আইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। কোনো অন্যায়কারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ কোনো বিশেষ সুবিদা পাবেন না। জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে।

    বিন্দুমাত্র নির্বাচনি আচরণবিধির ব্যত্যয় ঘটতে দেবো না। সব প্রার্থীকে সচেতন হতে হবে। নির্বাচনি অচরণবিধি মেনে চলতে হবে। বহিরাগতদের ঠেকাতে মেঘনা নদিতে কোস্টগার্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    ’মতবিনিময় সভায় রায়পুর উপজেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা অনজন দাশের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল, রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লা।

  • শাহজাদপুরে ছেলের লাশ টয়লেটের ট্যাংকিতে পুঁতে ভোট প্রার্থনায় পিতা-মাতা।

    শাহজাদপুরে ছেলের লাশ টয়লেটের ট্যাংকিতে পুঁতে ভোট প্রার্থনায় পিতা-মাতা।

    জহুরুল ইসলাম,শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ নিজের সন্তান গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার পর ঝামেলা এড়াতে ৪ দিন লাশ টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে দিয়ে নির্দ্বিধায় এলাকার জনগণের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনায় বেড়িয়েছে পিতা-মাতা। ঘটনার ৪ দিন পর শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) হঠাৎ বিষয়টি জানাজানি হলে সকাল থেকে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভীড় জমে নিহতের বাড়িতে।

    চাঞ্চল্যকর এবং নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা গ্রামে। দিনমজুর আলহাজ্বের ছেলে ১৮ বছর বয়সী যুবক করীম ৪ দিন আগে গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে কোন এক সময় নিজের শয়নকক্ষে আত্মহত্যা করে। বিষয়ের টের পেয়ে নিহত করিমের মা নাজমা খাতুন তাৎক্ষণিক স্বামীকে জানায়। পরে ঝামেলা এড়াতে তারা ছেলের লাশ টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে দিয়ে বালিচাপা দিয়ে সকাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট প্রার্থনায় বের হয় স্বামী স্ত্রী। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য জানায় নিহতের বাবা-মা।

    তারা আরও বলেন,দুই বছর আগে ছেলের বৌ চিরকুট ( আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়) লিখে আত্মহত্যা করে। তখন সেই ঝামেলা শেষ করতে বিভিন্ন খাতে ম্যানেজের নামে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেই টাকাও পরিশোধ করতে হয় বাড়ি বিক্রি করে। এখন ছেলে আত্মহত্যা করার পর লোক জানাজানি হলে যদি আবারও মোটা অর্থ জরিমানা দিতে হয় সেই শংকায় ছেলের লাশ টয়লেটের ট্যাংকিতে চাপা দেয়। সেই সাথে আসন্ন নরিনা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী হিসেবে এলাকার ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন নিহতের মা নাজমা খাতুন ওরফে করুনা।

    এদিকে, ঘটনা জানাজানির পর শাহজাদপুর থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে শুক্রবার বিকেলে নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন। সেই সাথে নিহতের পিতা আলহাজ্ব, মাতা নাজমা খাতুনসহ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

    এ বিষয়ে নরিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুন্ত্রী জানান, ‘৪ দিন ধরে ছেলের লাশ গুম করে রেখে নির্বাচনে ভোট প্রার্থনা করছে সত্যি এটা আশ্চর্যজনক। আমরা একবারের জন্যও অনুমান করতে পারিনি তারা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।’

    শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন এন্ড কমিনিউটিং পুলিশিং) আব্দুল মজিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু।

    ঠাকুরগাঁওয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু।

    আসাদুজ্জামান,পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বিতীয় দফায় হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

    এ দফায় জেলার হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৫ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে আওয়ামী লীগ ছাড়াও কয়েকটি ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাকের পার্টি অংশ নিলেও দলীয়ভাবে মাঠে নেই বিএনপি ও জাপার কোন প্রার্থী।দুটি উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ৯৮ জন।

    মোট ভোট কেন্দ্র ৯৯টি। এছাড়া এ দুটি উপজেলার এগারটি ইউনিয়নে সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৪৪ জন প্রার্থী।
    ২নং ওয়ার্ডের ফাতেমা বেগম(১২৫) জানান,ভোট স্বাভাবিক ভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।নিজের ভোট নিজের মত করে দেওয়ার প্রসেস কে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

    সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

  • তানোরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এর ভোট গ্রহন স্থগিত ঘোষণা।

    তানোরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এর ভোট গ্রহন স্থগিত ঘোষণা।

    সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলার ৪নং সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এর ভোট গ্রহন  স্থগিত ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন।

    ১০ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান,সরনজাই ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুল মালেকের ঋণ খেলাপীর মামলায় তার প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমান সাঈদ সুপ্রিম কোর্টে রিট দায়ের করেন। কোর্ট বুধবার আব্দুল মালেকের প্রার্থীতা স্থগিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর চিঠি ইস্যু করেন।

    এতে আব্দুল মালেক নির্বাচন স্থগিত চেয়ে শুনানি করার আবেদন জানালে সুপ্রিম কোর্ট তা আমলে নিয়ে নির্বাচন স্থগিত রাখতে নির্বাচন কর্মকর্তা(ইসি)কে চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশ দেন।

    তিনি আরো বলেন,আগামীকাল ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন সম্পূর্ণ করতে সকল ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

    ইতিমধ্যে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোট বাক্স ও পুলিশ, বিজিপি, আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা সম্পূর্ণ হয়েছে।শুধু রাত পোহালেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার দিয়ে ভোট শুরু করা হবে। কিন্তু হঠাৎ করে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি ইমেইল করায় শুধু ৪নং সরনজাই ইউনিয়নের ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৬টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে কিন্তু কবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে বিষয়টি এখনো সঠিক ভাবে জানা যায়নি।

  • আধুনিক শাহজাদপুর গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নৌকায় ভোট চাইলেন মেরিনা জাহান।

    আধুনিক শাহজাদপুর গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নৌকায় ভোট চাইলেন মেরিনা জাহান।

    শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ আপনারা ২ নভেম্বর নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন, আপনাদের আধুনিক ও সুপরিকল্পিত শাহজাদপুর উপহার দিব।’ তিনি আরও বলেন, ব্যাবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করেন।

    তাই ব্যাবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ শাহজাদপুর কাপড়ের হাটকে আধুনিকায়ন করা হবে। নানামুখী সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে শাহজাদপুরকে দূর্নীতি,চাঁদাবাজি,সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করা হবে।

    শাহজাদপুর উপজেলা বণিক সমিতির আয়োজনে নির্বাচনি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।

    সোসবার রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের বাটার মোড়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিন আকন্দের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সুমগ্ন করীম, শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আজাদ রহমান, পৌর মেয়র মনির আকতার খান তরু লোদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এস এ হামিদ লাবলু প্রমুখ।

    এসময় বক্তারা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এক হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।