Tag: ব্যবসায়ী

  • দৌলদিয়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে হেরোইনসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    দৌলদিয়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে হেরোইনসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলদিয়ার ৬০ হাজার টাকার হেরোইনসহ রিংকু(৩৭)নামের এক মাদক ব্যবসায়ী আটক করেছে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। এ সময় আটক মাদক ব্যবসায়ীকে তল্লাশি করের ৬০ হাজার টাকা মুল্যের ৬ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।

    ২৮ জুলাই বুধবার রাত পৌনে ১১ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের দিকনির্দেশনায়,রাজবাড়ী ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রানবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক মিঠু ফকির,উপ-পরিদর্শক আব্দুল লতিফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জেলার গোয়ালন্দঘাট থানার বাস টামিনাল সংলগ্ন নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার উপর মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়।

    আটককৃত আসামী উপজেলার মন্ডলপাড়া গ্রামের নিকবর শেখের ছেলে রিংকু সোহরাব।

    ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রানবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস আমারজমিনকে জানান রাজবাড়ী জেলাকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করার লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে, আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

  • র‍্যাব-১২’র অভিযানে সিরাজগঞ্জে হেরোইনসহ শীর্ষ ২ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    র‍্যাব-১২’র অভিযানে সিরাজগঞ্জে হেরোইনসহ শীর্ষ ২ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১২’র সদস্যরা মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে শীর্ষ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

    র‍্যাব প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র‍্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

    এর ধারাবাহিকতায় ২৭ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১২ এর সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন সিরাজগঞ্জ রোড এলাকায় র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২, সদর দপ্তর সিরাজগঞ্জ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর এক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২’শ গ্রাম হেরোইনসহ ২ জন র্শীষ নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

    এসময় তাহার নিকট থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয় এর কাজে ব্যবহৃত ৩ টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২১৫২(দ্ইু হাজার একশত বায়ান্ন) টাকা জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ি থানার ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত আসাদুল ইসলামের মেয়ে আইভি খাতুন ময়না(৩১) ও রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার শেকেরচক গ্রামের মৃত হারুন আর রশিদের মেয়ে সোমা খাতুন(৩০)।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ এর(১) সারণীর ৮(গ)/৪১ ধারার মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ৫টার পরিবর্তে ৩টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ-ইউএনও।

    নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ৫টার পরিবর্তে ৩টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ-ইউএনও।

    বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার সকল নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বিকেল ৫টা পরিবর্তে বিকেল ৩টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত।

    জনস্বার্থে উপজেলার এসকল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের এই নির্দেশনা মেনে চলার জন্য উদার্ত আহ্বান জানান তিনি। শুক্রবার (২৩শে জুলাই) উপজেলার কুন্দারহাট মহা সড়ক ও বাজার এলাকায়, কুন্দার হাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে, ঈদ পরবর্তী ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ কালে সাংবাদিকদের এই বর্তমান নির্দেশনার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত।

    এসময় তিনি উপজেলা বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, করোনা মহামারীতে বাংলাদেশ ভয়াবহ সময় পার করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এই ভয়ংকর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যে ভাবে বেড়ে চলেছে তাতে এই মূহুর্তে আমাদের সবার কঠোর সতর্কতা অবলম্বন ছাড়া কোন উপায় নেই। দয়া করে এই করোনা ভাইরাসকে কেউ অবহেলা করবেন না। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন শুধুমাত্র এই ভয়ংকর করোনা ভাইরাস থেকে আপনাদের কে রক্ষা করার জন্য এবং আপনাদের পরিবারকে রক্ষা করার জন্য।

    এই ভাইরাস থেকে নিজে রক্ষা পেতে পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে দয়া করে নিজ দায়িত্বে এই ১৪দিন সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হবেন না।

    অবশ্যই বাধ্যতা মূলক মাক্স পড়বেন এবং সামাজির দূরুত্ব বজায় রাখবেন। প্রয়োজনে বাহিরে গেলে বাসায় ফিরে সবার আগে সাবান পানি দিয়ে হাত মুখ পরিস্কার করে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হবেন। সর্বপরি করোনা প্রতিরোধে সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে চলবেন। আপনাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিনা মূল্যে করোনার টিকার ব্যাবস্থা করেছেন, আপনাদের নিজের প্রয়োজনে এই টিকা গ্রহন করুন এবং পরিবারের সদস্যদের এই টিকার আওতায় আনুন।

    বর্তমান সময়ে নন্দীগ্রাম উপজেলায় যে ভাবে করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তাতে আপনারা নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্ক না হলে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রসাশন কঠোর অবস্থানে যাবে বলেও উপজেলা বাসীর উদ্দেশ্যে হুসিয়ার বার্তা প্রদান করেন নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত।

  • ঢাকার আশুলিয়ায় হেরোইনসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    ঢাকার আশুলিয়ায় হেরোইনসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    ঢাকা আশুলিয়ায় ২৭ লাখ টাকা মূল্যের হেরোইনসহ খাদিজা বেগম (৪০) নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব – ৪। এসময় তার কাছ থেকে ১টি মোবাইল এবং মাদক বিক্রির নগদ তিন হাজার নয়’শ পয়ষট্টি (৩৯৬৫) টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ( ২২ জুলাই ) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাব – ৪। এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    আসামী মোছাঃ খাদিজা বেগম ঢাকা জেলার বাসিন্দা। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    র‍্যাব – ৪ জানান – বুধবার সকালে গোপন ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছে লুকানো (২৬৪) গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় – আসামী দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন সংগ্রহ করে ঢাকা জেলার আশুলিয়া ও ধামরাইসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার ডিলার ও খুচরা মাদক বিক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল। আটক নারীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • সিরাজগঞ্জে র‍্যাব-১২’র অভিযানে ফেন্সিডিলসহ শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    সিরাজগঞ্জে র‍্যাব-১২’র অভিযানে ফেন্সিডিলসহ শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক।

    মঙ্গলবার ২০ জুলাই ভোর রাত সাড়ে ৪ টার সময় র‍্যাব-১২’র অভিযানে ১৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। র‍্যাব ১২’র স্পেশাল কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের মুলিবাড়ি চেকপোস্টে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ রানা মন্ডল ও সাজেদুল ইসলাম নামের শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ সময় মাদক বহনকারী পিকআপ ভ্যান,নগদ ২ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঢাকার পল্লবী থানার মিরপুর মাদানি নগরের মৃত কাদির মন্ডলের ছেলে রানা মন্ডল(৪৮) ও গাইবান্ধা সাদুল্ল্যাপুরের ইউসুবপুর গ্রামের গোলজার ব্যাপারির ছেলে সাজিদুল ইসলাম(৪০)।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

    গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) সারনীর ১৩(গ) ধারায় মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাদেরকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • বেনাপোলে দাদন ব্যবসায়ী হাশেম ও বিল্লালের বিরুদ্ধে বসতবাড়ী দখলের চেষ্টার অভিযোগ।

    বেনাপোলে দাদন ব্যবসায়ী হাশেম ও বিল্লালের বিরুদ্ধে বসতবাড়ী দখলের চেষ্টার অভিযোগ।

     

    যশোরের বেনাপোলে সুদ ব্যবসায়ীর (দাদন ব্যবসায়ীদের) ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে এলাকর সহজ সরল সাধারণ মানুষ। চড়া সুদের টাকা সময় মতো পরিশোধ করতে না পারায় অনেক পরিবার,ব্যবসায়ী বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সুদ ব্যবসায়ীরা কখনো সাদা কাগজে কখনো অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর/টিপসহি রেখে টাকা দেয়ার পর তাদের ফাঁদে আটকানোর অভিযোগ রয়েছে বেনাপোলের ভবেরবের গ্রামের বিশিষ্ট সুদ ব্যবসায়ী হাশেম আলীর বিরুদ্ধে।

    করোনাকালীন এই দুর সময়ে সুদের টাকা সময় মতো পরিশোধ না করতে পারলে কারও কারও জোর করে জমি রেজিস্ট্রি করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেনাপোল ভবারবের সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন অনেক ব্যবসায়ীর খোঁজ পাওয়া গেছে। অনেকেই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ফেলে রাতের আধাঁরে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকেই সুদ ব্যবসায়ীদের হুমকীর কারণে থানায় অভিযোগ করারও সাহস পাচ্ছে না।তবে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেছেন অভিযোগ পেলে এসব অবৈধ ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    বুধবার (১৪ই জুলাই) অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, বেনাপোলে অনেক ব্যবসায়ী নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা ও জীবিকার প্রয়োজনে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেন অভাব অনটনে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক, দিনমজুর, শিক্ষকসহ শত মত মানুষ। এসব মানুষদের কষ্টের আয়ের প্রায় সবটাই চলে যায় সুদি ব্যবসায়ীদের পকেটে। তবে একাধিক সুদি কারবারি বলেন, আমরা কাউকে জোর করে টাকা দিই না।

    নিজেদের প্রয়োজনে আমাদের কাছে এসে তাঁরা টাকা নেন। সারা দেশের মতো একই নিয়মে আমরাও টাকা আদায় করি। ক্ষতিগ্রস্থরা বলছেন, বিপদে পড়ে চড়া সুদে নগদ টাকা নিতে বাধ্য হই। এভাবে সারা মাসে ব্যবসার অর্ধেক টাকা তাদের পকেটে চলে যায়। দিনরাত পরিশ্রম করেও সংসারের অভাব-অনটন লেগেই থাকে।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনাপোলের ভবেরবের গ্রামের ব্যাংকের পিয়ন আলী আকবার স্থানীয় দাদন (সুদ) ব্যবসায়ী হাশেমের কাছ থেকে গত ৫ বছর আগে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা সুদ দিবেন এ শর্তে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে একটি ব্যাবসা শুরু করেন। গত একবছরে তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সুদ দেন। সংসারের খরচ চালিয়ে ও সুদের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পরেন, গত তিন বছরে ৩ লক্ষ টাকার সুদ বেড়ে ৯ লক্ষ টাকায় গিয়ে দাড়ায়। বন্ধ হয়ে যায় সুদের দেনা পরিশোধ। টাকার জন্য গত ২ বছর আগে আলী আকবারকে শার্শায় আটকে রেখে তার মাকে ডেকে নিয়ে টিপ সই নিয়ে তার জমি লিখে নেয় সুদি কারবারী হাশেম আলী। টিপ সই নেওয়ার পর আলী আকবরের পরিবার তাকে আর খুজে পায়নি।

    এই বিষয়ে আলী আকবরের মা তফুরন নেছা বলেন, টাকা জামিন্দার হিসাবে আমার একটি টিপসই নিয়েছে হাশেম আলী। আর আমি এতদিন জানতাম আমার ছেলে দেনার ভয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে কিন্তু এখন হঠাৎ করে দেখছি হাশেম আমার বসতভিটা দখল আামাদের উচ্ছেদ করতে এসেছে। আমি এবং আমার ছেলে নাকি তাকে আমার বসবাসের বসতভিটা তাকে লিখে দিয়েছি।

    এবিষয়ে আমি বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। সর্বশেষ বিষয়টি আমি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানায় সঠিক বিচারের আশায়। আমার স্বামীর ভিটা থেকে এখন এভাবে তারিয়ে দিলে আমি পুত্রবধূ এবং নাতি নাতনি নিয়ে কোথায় যাবো।

    আলী আকবরের মত এ রকম বহু পরিবার বেনাপোলের বিভিন্ন গ্রামে দাদন ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে। হারাচ্ছেন ভিটে, বাড়ি আর সাজানো সংসার। প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ না থাকায় দিনের পর দিন পুরো বেনাপোল সুদ কারবারীদের দাপট বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শিক্ষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুরসহ সাধারণ মানুষ।

    তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বেনাপোল পৌরসভাসহ বিভিন্ন গ্রামে দাদন ব্যবসা এখন জমজমাট। শিক্ষক, হোটেল, ক্ষুদ্র ব্যবসা, দিনমজুর, ভ্যান ও রিকশা চালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সংসার চালাতে গিয়ে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। বেনাপোলের অপর এক ভুক্তভোগী ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী ফিরোজ হোসেন এ রকম অসহায়দের মধ্যে একজন। তিনিও এই সুদকারবারী হাশেম আলীর অত্যাচার আর নির্যাতনে টাকা সব পরিশোধ করতে না পেরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন আর খুলতে পারছেননা।

    স্থানীয়রা বলছেন, দাদন বা সুদ ব্যবসা আইন সম্মত বা বৈধ না হওয়া সত্ত্বেও এই ব্যবসার সাথে জড়িতদেরও নানা কুট কৌশলের কারণে সমাজে এদের বিরুদ্ধে কেউ ‘টুথ শব্দটি পর্যন্ত করা পারছেনা। কিন্তু দিনে দিনে এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    প্রতিটি গ্রামে সুদের ব্যবসা ভয়াবহ বিষের ন্যায় ছড়িয়ে পরেছে। সুদ ব্যবসায়ীদের এখনই থামানো না গেলে এর ভয়াবহতা আরও বাড়বে। দাদনের ফাঁদে পড়ে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, দাদন ব্যবসায়ীরা টাকা দেওয়ার সময় জমির দলিল, ব্যাংকের ফাঁকা চেক ও সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখেন। যখন কেউ টাকা ফেরত দিতে না পারে তখন ওই চেক স্ট্যাম্পে ইচ্ছেমত টাকা বসিয়ে পাওনাদারের নিকট দাবি করে। অনেক সুদি ব্যবসায়ী অন্য ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার আশায় এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। এমনি একজন ব্যাক্তি হাশেম আলী যে কিনা লোক দেখানো জেনারেটর এবং সমিতি ব্যবসা থেকে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। তার বেনাপোল বাজারে গুরুত্বপূর্ন স্থান সহ কয়েকটি জায়গাই বাড়ী ও জমি রয়েছে সুদের টাকা ফেরত না দেতে পেরে অনেকের কাছে থেকে জোরপূর্বক এসব সম্পদ লিখে নিয়েছে বলে অনেকে মতপ্রদান করেছেন। বেনাপোলের সাধারন মানুষও তাকে সুদখোর হাশেম বলে এক নামে চেনে।

    তারা আরও বলছেন, তাদের বেঁড়া জালে বন্দী হয়ে অনেক সহজ সরল সাধারণ মানুষ জমি, ঘড়-বাড়ি থেকে শুরু করে সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। অনেক এলাকায় দাদন ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে মানুষ ঘর-বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে তাদের অত্যাচারে বাড়ি ফিরতে পারছেনা। কেউ কিছু বলতে পারে না। ফলে সুদের বোঝা টানতে না পেরে নিরবেই কাঁদছে অনেকে। ঋণের দেনা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার মত ঘটনাও ঘটছে। অনেক ব্যবসায়ী মানসম্মানের ভয়ে মুখই খোলেন না।

  • দৌলতখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্টুডিও ব্যবসায়ীর রুবেলের মৃত্যু।

    দৌলতখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্টুডিও ব্যবসায়ীর রুবেলের মৃত্যু।

    দৌলতখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রুবেল (২৮) নামে এক স্টুডিও ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

    শুক্রবার (৯জুলাই)দুপুরে দৌলতখান পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসায় ডিল মেশিন দিয়ে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    নিহত রুবেল উপজেলা চরখলিফা ইউনিয়নের সরদার আলী বেপারী বাড়ির মৃত আব্দুল মন্নান মিয়ার ছেলে।

    তিনি দৌলতখান পৌর শহরের দক্ষিণ মাথায় সাজ স্টুডিও নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন।
    স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে ভাড়া বাসায় ডিল মেশিন দিয়ে ওয়ালে কাজ করছিলেন রুবেল। এ সময় ডিল মেশিন থেকে তার বের হয়ে বিদ্যুতায়িত হন তিনি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে রুবেল মারা যান।

    দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় ইয়াবাসহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ায় ইয়াবাসহ দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ১২৫ পিচ ইয়াবাসহ তৈয়ব আলী(৪৭) ও জাহিদুল ইসলাম জাহিদ(২৫) নামের দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র‍্যাব-১২’র সদস্যরা।

    আটককৃতরা হলেন উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের হাওড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে তৈয়ব আলী(৪৭) ও সলঙ্গা থানার ধোপাকান্দি গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (২৫)।

    র‍্যাব-১২’র মিডিয়া অফিসার মি. জন রানা এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান রবিবার (৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের হাওড়া পশ্চিম পাড়া এলাকায় র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র‍্যাব-১২’র সহকারি পুলিশ সুপার এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১১০ পিচ ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী তৈয়ব আলীকে গ্রেফতার করা হয়।পরে হাটিকুমরুল ফুডভিলেজ শিশুপার্ক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে ১৫ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।

    উদ্ধার হওয়া আলামতসহ গ্রেফতারকৃত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজু করে সোমবার ৫ জুলাই সলঙ্গা ও উল্লাপাড়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • গোদাগাড়ীতে র‍্যাব-৫ এর অভিযানে শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি গ্রেফতার।

    গোদাগাড়ীতে র‍্যাব-৫ এর অভিযানে শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি গ্রেফতার।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে র‍্যাব-৫ এর অভিযান পরিচালনা করে শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি পারভীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৬’শ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে র‍্যাব-৫ এর সদস্যরা।ওই নারী মাদক ব্যবসায়ী গোদাগাড়ী পৌরশহরের শ্রীমন্তপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।

    র‍্যাব-৫ জানায়,গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অঅভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার সময় গোদাগাড়ী উপজেলার গোপালপুর এলাকায় মাদক ক্রয়বিক্রয়ের সময় হেরোইনসহ মুক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।এসময় ৬’শ গ্রাম হেরোইন,টি মোবাইল সেট ও ১টি সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।তাছাড়া বড় বড় মাদক গডফাদারদের সাথে তার সু-সম্পর্ক রেখে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় মাদক সরবরাহ করে আসছিলো। এই মাদক ব্যবসা করে অল্প দিনে প্রচুর টাকা পয়সার মালিক হয়েছে।
    উদ্ধার হওয়া আলামতসহ তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজু করে গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‍্যাব-৫ নিশ্চিত করেছেন।

  • ঢাকার সাভারে ২ নারীসহ ৮ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    ঢাকার সাভারে ২ নারীসহ ৮ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    ঢাকার সাভারে দুই নারীসহ ৮ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব – ৪। এসময় তাদের কাছ থেকে ১১৪৭ পিস ইয়াবা ও ২ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়।

    বুধবার ( ৩০ শে জুন ) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব -৪। সিপিসি – ২ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।

    এর আগে মঙ্গলবার ( ২৯ শে জুন ) রাতে সাভারের আনন্দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন – মানিকগঞ্জের বিপ্লব হোসেন ( ৩৮ ) মোছাঃ রোকেয়া ( ৩৬ ) মোঃ রাকিব হাসান ( ৩০ ) ঢাকা জেলার মোঃ সারোয়ার হোসেন ( ৩৬ ) আরিফুর রহমান ( ২৮ ) সিরাজগঞ্জ জেলার মোঃ জহির ইসলাম ( ৩৮ ) মাদারীপুরের মোছাঃ মহি আক্তার ( ২৮ ) ও গোপালগঞ্জের মোঃ ওমর সরদার ( ৩২ )।

    লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, আটক আসামিরা প্রাথমিকভাবে মাদক বিক্রির কথা স্বীকার করে। তারা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিলো।

    তাদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।