Tag: বিএনপি

  • রামপালে ইউনিয়ন বি.এন.পি’র কর্মী সমাবেশ।

    রামপালে ইউনিয়ন বি.এন.পি’র কর্মী সমাবেশ।

     মল্লিক জামান,রামপাল থেকেঃ বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি.এন.পি’র কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার(৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বি.এন.পি’র আয়োজনে কালীগঞ্জ বাজারে এ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    বাঁশতলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ কুতুব উদ্দিন’র সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বি.এন.পি’র আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বি.এন.পি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মো.শহিদুল ইসলাম শহিদ ও মো.আলী আকবর সম্রাট।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মো. নাহিদুল করিম সোহেল, মো.সরদার ফিরোজ,মো. সুজ্জত আলী,মো.আবু দাইয়ান,মো.আব্দুর রহমান,মো. সৈয়দ ইয়াছিন,মো.শারাফাত হোসেন, মো.আব্দুল হান্নান,মো. তারেক আনাম,মো. শেখ সাইফুল ইসলাম,মো.ফরহাদ হোসেন,মো.শেখ মহাসিন, ছাত্রদল নেতা শুভ, মোঃ অন্তর, মোঃ শাহিন প্রমুখ।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে তুহিন বলেন, কোন ধরণের সংঘাত নয়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে শান্তি-সম্প্রীতি গড়ে তুলুন, দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে সহায়তা করুন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে ৫ আগস্টের পর থেকে রামপালের তৃনমুলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে কাজ করে যাচ্ছেন। গত আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে খুনি হাসিনা গণহত্যা করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আমরা পেয়েছি নতুন এক বাংলাদেশ। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থেকে রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। বিএনপি গণমানুষের দল। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা জনগণের মাঝে তুলে ধরতে হবে। সবার স্থান থেকে রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করার অনুরোধ জানান তিনি।
    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক শেখ মোঃ তুহিন।
  • পাথরাইলে লতিফ সরকার স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের সাথে বি.এন.পি নেতা লাভলু মতবিনিময়।

    পাথরাইলে লতিফ সরকার স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের সাথে বি.এন.পি নেতা লাভলু মতবিনিময়।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে দেলদুয়ার উপজেলার পথসভার এক পর্যায়ে পুটিয়াজানি হাজী আব্দুল লতিফ সরকার স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও ফাজিলহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন আহাম্মেদের উপস্থিতিতে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন বিএনপি নেতা মো. রবিউল আউয়াল লাভলু।

    এসময় তিনি বলেন, ফ্যাসিষ্ট সরকারকে বিতাড়িত করায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকা অসামান্য। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেসব শিক্ষার্থী দেশের এ অর্জনে যে অবদান রেখেছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রাখতে হবে। জ্ঞান অর্জন ও লেখাপড়ার কোন বিকল্প নেই। সুশিক্ষিত হয়ে সততার সাথে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ গঠন ও দেশকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে হবে। সকল প্রকার অন্যায়, দূর্নীতি রুখে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী। তিনি দেশের মানুষকে জালিমের হাতে রেখে দেশ ছেড়ে যাননি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন সর্বদা দলের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করতে ও দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিএনপি ও অঙ্গ  সংগঠনের দুর্নীতির স্থান নেই। যদি দলের কেউ কোন প্রকার বেআইনি কাজ বা দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকে, চাঁদাবাজি জোর জুলুমের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তবে তাদের ধরে আইনের আওতায় দিয়ে দিন। এটা বিএনপির চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের কথা। আমি নিজে অন্যায় করিনা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই না। আমিও যদি অন্যায় করি তবে আমার বিরুদ্ধে আপনারা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ও বি আর ডিবিএর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল কবীর রতন, নাগরপুর উপজেলার বিএনপির সহ-সভাপতি নিয়ামত আলী সুইট, নাগরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ খান, নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও নাগরপুর উপজেলা  যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাজমুল হক স্বাধীন, নাগরপুর সরকারি কলেজে সাবেক ভিপি আরিফুল ইসলাম নবা, দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান কায়েস চঞ্চল, দেলদুয়ার উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শিবলু তালুকদার, যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক এস এম ওসমান গাজী, দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন, ওলামা দলের সভাপতি মো.আবু বকর সিদ্দিক, নাগরপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন, নাগরপুর সরকারী কলেজের সাবেক জিএস ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান রানা, নাগরপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য মো.শামছুল আলম সহ নাগরপুর দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মীবৃন্দ।

  • টাংগাইল-৬ আসনে বি.এন.পি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী লাভলুর গণসংযোগ।

    টাংগাইল-৬ আসনে বি.এন.পি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী লাভলুর গণসংযোগ।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর ও দেলদুয়ার) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল ( বিএনপি) থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী রবিউল আওয়াল লাভলু দুই উপজেলায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও বিএনপির নেতাদের সাথে নিয়ে সাধারণ জনগনের সাথে গনসংযোগ করেছেন।

    সোমবার ২৫ নভেম্বর সারাদিন ব্যাপি নাগরপুর সদর, মোকনা,পাকুটিয়া, মামুদনগর ইউনিয়ন এবং দেলদুয়ার উপজেলায় এলাসিন,আটিয়া, লাউহাটি ও ফাজিল হাটি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেন।দুই শতাধিক মোটর সাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করে।

    টাঙ্গাইল-৬( নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপি নেতা রবিউল আওয়াল লাভলু সাহেবের বিকল্প নেই বলে নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন।

    গণসংযোগ ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সম্মানিত সদস্য রবিউল আওয়াল লাভলু।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে লাভলু বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর নির্দেশ”” বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজ, শৃংখলা ভঙ্গকারির,অবৈধ দখলদার, মাদক সেবির স্থান নেই ।

    সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার জন্য অনুরোধ করেন। সভায় প্রধান অতিথি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সরকার কে নির্বাচন দেওয়ার জন্য আহবান করেন।দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলার নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য করে বলেন নেতাকর্মী প্রতি ভোটারের সাথে সাক্ষাৎ করে দেশনায়ক তারেক রহমান এর সালাম পৌছে দিতে অনুরোধ করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জিএস ও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইকবাল কবির রতন, নাগরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ খান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হক স্বাধীন, সাবেক ভিপি আরিফুল ইসলাম নবা,সাবেক জি,এস,নুরুজ্জামান রানা নাগরপুর উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক,নাগরপুর উপজেলা তাঁতি দলের সভাপতি ও সম্পাদক উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ও সম্পাদক, গয়হাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন হেলাল, গয়হাটা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক সোহেল খান সহ দেলদুয়ার উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • মৌলভীবাজারে বিএনপি’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত।

    মৌলভীবাজারে বিএনপি’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজার জেলার সাত উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভায় বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ইং, বিকেলে শহরের রেস্ট ইন হোটেল কনফারেন্স হল রুমে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
    মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউস।
    তিনি বলেন, আজ থেকে মৌলভীবাজার জেলার সকল উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পরবর্তীতে আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার সকল উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি সম্মেলন ও কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠন করা হবে। আহবায়ক কমিটির দায়িত্ব তাদেরকেই দেওয়া হবে যারা বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
    তিনি আরও বলেন, দল ও তৃণমূল নেতৃত্বকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে অবশ্যই মৌলভীবাজার জেলা বিএনপিকে ঢেলে সাজানো হবে। অপশক্তি ও ফ্যাসিবাদের সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে জনগণের ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দেশ গঠনে বিএনপি কাজ করে যাবে। উপস্থিত নেতারা আগামীতে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়েছেন।
    এ সময় বিএনপি মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মিফতা সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব)।
    জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, আব্দুর রহিম রিপন, মোশাররফ হোসেন বাদশা, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মৌলভী আব্দুল ওয়ালি সিদ্দিকি, নাছির উদ্দিন মিঠু, আশিক মোশারফ, আব্দুল মুকিত, ফখরুল ইসলাম, মুহিতুর রহমান হেলাল, আব্দুল হাফিজ, মাহমুদুর রহমান, হেলু মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার আহমেদ রহমান, বকশী মিছবাউর রহমান, মতিন বক্স, মাহাবুব ইজদানী ইমরান, অ্যাডভোকেট বকশী জুবায়ের আহমেদ, আবুল কালাম বেলাল, জিতু মিয়া, স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, গাজী মারুফ আহমেদ, আব্দুল হক, দুরুদ আহম্মদ, আশরাফুজ্জামান খাঁন নাহাজ, সেলিম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আনিসুজ্জামান বায়েছ।
  • ডিমলায় বি.এন.পি’র বিশাল জনসমাবেশ।

    ডিমলায় বি.এন.পি’র বিশাল জনসমাবেশ।

    নীলফামারীর ডিমলায় বিশাল জনসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ১৬ নভেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যায় ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    দীর্ঘ কয়েক বছর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জনসমাবেশ ঘিরে উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, বালাপাড়া, ডিমলা, খগাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, নাউতারা, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও পূর্ব ছাতানাই ইউনিয়ন থেকে আগত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহন, আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশ জনসমাবেশকে সফল ও সাফল্য মন্ডিত করেছে।
    জনসমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
    এসময় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানী প্রধানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর কবির, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম লিটন, সাধারন সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা, ডিমলা সদর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, বালাপাড়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মো. হামিদুল ইসলাম, যুবদলের আহবায়ক সহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক সোহাগ খান লোহানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. মিজানুর রহমান সবুজ, ছাত্রদলের আহবায়ক লিমন, সাগরসহ আরো অনেকে। এছাড়াও উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীরা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

  • রামপালে আ.লীগের সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

    রামপালে আ.লীগের সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যে ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বাগেরহাটের রামপালে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের রনসেন মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ফয়লা বাজার চৌরাস্তায় মিলিত হয় এবং পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এ বিক্ষোভ মিছিল  ও প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল পাটোয়ারী হালিম ও উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম।
    সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলটির সন্ত্রাসীরা দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করেছে। বর্তমানেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ এতোদিন তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা আবার কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্য করার চেষ্টা করলে বিএনপি তা কঠোর ভাবে প্রতিহত করবে।
    এসময় উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান-এক সাথে পথ চলার সিদ্ধান্ত।

    মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান-এক সাথে পথ চলার সিদ্ধান্ত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘদিন পর আবার মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান শেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির দুটি পক্ষ একই ছাদের নিচে একসঙ্গে বৈঠক করেছে।
    এতদিন বিএনপি’র দলীয় কর্মসূচি পালন হতো পৃথকভাবে। এমন অবস্থার পরিবর্তন করে ঐক্যবদ্ধ করতে বৈঠক। এখন থেকে একসঙ্গে পথচলা ও কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।
    বিএনপি নেতা কর্মীরা প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম স্থায়ী সদস্য, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ এম সাইফুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
    দীর্ঘ এই তিন মাসেও আগের মতো মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র মিছিল মিটিংসহ দলীয় সকল কর্মসূচী পালন হত পৃথকভাবে। ২৪ এর স্বাধীনতার পর প্রেক্ষাপট পরিবর্তন। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্রের চর্চায় অনেকটা পূর্ণতা এসেছে। এমন চলমান অবস্থার পরিবর্তন করে ঐক্যবদ্ধ করতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। তাই আগের কমিটির কার্যক্রম বাতিল করে হয় নতুন আহবায়ক কমিটি।
    ৪ নভেম্বর ৩২ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি অনুমোদনের পর ছিলো নানা মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। ত্যাগী অনেকেই ঠাঁই পাননি আহবায়ক কমিটিতে এমনও অভিযোগ উঠে। আহবায়ক কমিটির পক্ষে বিপক্ষে হয় মিছিল। এরপর ৫ নভেম্বর রাতে নবগঠিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আহবায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকেই সর্বস্মতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার শপথ হয়। সিন্ধান্ত হয় সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মরহুম এম সাইফুর রহমান এর কবর জিয়ারতের মাধ্যমে সাংগঠনিক ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রমের সূচনার। বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর ২০২৪ইং, বিকেলে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান এর কবর জিয়ারত ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সদ্য কেন্দ্র ঘোষিত মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র নতুন আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এম নাসের রহমান, নতুন কমিটির আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, আহবায়ক কমিটির সদস্য, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান), মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, আব্দুল মুকিত, বকসী মিছবাউর রহমান, আশিক মোশাররফ, হেলু মিয়া, ফখরুল ইসলাম, মতিন বক্স, মনোয়ার আহমেদ রহমান, মারুফ আহমদ, স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, বকসী জুবের আহমদ, মুহিতুর রহমান হেলাল ও রুবেল আহমদ প্রমুখ।
    পরে মৌলভীবাজার পৌর অডিটরিয়ামে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    বিএনপি’র জেলা আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন এর সভাপতিত্বে ও আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ ফখরুল ইসলাম ও মুহিতুর রহমান হেলাল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।
    এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান), মৌলভী ওয়ালী সিদ্দিকী, আশিক মোশারফ, এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পিপি এডভোকেট ড.আব্দুল মতিন চৌধুরী, জিপি এডভোকেট মামুনুর রশিদ, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য এম এ মুকিত, মোশারফ হোসেন বাদশা, মতিন বকশ, স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, মনোয়ার আহমেদ রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ মারুফ আহমদ, পৌর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মমসাদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার মজুমদার ইমন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আহাদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রুবেল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, প্রমুখ।
    অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ হেলু মিয়া, বকশী মিছবাহউর রহমান, মাহমুদুর রহমান, আব্দুর রহিম রিপন, এডভোকেট বকশী জুবায়ের আহমদ, আবুল কালাম বেলাল, গাজী মারুফ আহমদ, আনিছুর রহমান বায়েছ, মাহবুব ইয়াজদানী ইমরান, মহসীন মিয়া মধু, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা বিএনপি’র নেতা এডভোকেট গোবিন্দ পাল, ডা: পরিতোষ দাস গুপ্ত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ইছহাক আহমদ চৌধুরী মামমুন, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, জেলা শ্রমিক দল নেতা আনোয়ার হোসেন, সরকারী কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জনি আহমদ, জেলা মহিলা দলের নাসরিন পারভীন, শ্যামলী সুত্রধর, সুফিয়া আক্তার কলি প্রমুখ।
    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম নাসের রহমান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ঘটে যাওয়া সেদিনের ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে ৭ ই নভেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেন বলেই ৭ ই নভেম্বর আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।
    আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিনকে বলেন, অনেক দিন পর জেলা বিএনপি’র সব পক্ষই একসঙ্গে বসেছে। এখন বিএনপি’র ঐক্যবদ্ধ কাজের পরিবেশ ও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আলাপ-আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সবার মধ্যে কথা হয়েছে, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, যাতে দলে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি না হয়।
    তিনি আরও বলেন, এবার বিপ্লব ও সংহতি দিবস দুই ব্যানারে হওয়ার কথা ছিল, এখন সবকিছু এক ব্যানারে হবে। এ ছাড়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে সব উপজেলা ও পৌর কমিটির সম্মেলন হবে। এরপর জেলা কমিটির সম্মেলন হবে বলে জানান তিনি।
  • উল্লাপাড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন।

    উল্লাপাড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তরগত উল্লাপাড়া পৌর বিএনপি’র উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার(৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টার সময় সভাযাত্রা শেষ হবার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌর বিএনপি’র আহবায়ক মো.মুকুল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো.শাহিন রেজার সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মো. হেলাল সরকার,মো.আব্দুস সালাম,উল্লাপাড়া পৌরসভায় দুইবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সাবেক মেয়র মো.বেলাল হোসেন,৯০ দশকে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক মো.শফিউল মোমেন(শফি), উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি ও আশির দশকের নেতা মো.আব্দুর রাজ্জাক সন্টু,উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো.শাহাদাত হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

    অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো.আজমল তালুকদার,যুগ্ম আহ্বায়ক খাজা মঈন উদ্দিন,ছাত্র নেতা মো. সামিউল ইসলাম (সামি),উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের অন্যতম সদস্য মো. জাফর ইকবাল, বদিউজ্জামান, পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মো. হায়দার আলী,বড়হর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো.ছাকোয়াত হোসেন সাবু, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রইচ উদ্দিন হিরা, দূর্গানগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, কয়ড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম প্রমূখসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

     

  • শ্রীমঙ্গলে বিএনপি’র গণসমাবেশ।

    শ্রীমঙ্গলে বিএনপি’র গণসমাবেশ।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পন্থায় বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। ছাত্র-জনতার অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে। গত শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, বিকেলে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের আয়োজিত নাহার পেট্রোল পাম্পের সামনে প্রতিবাদ গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রতিবাদ গণসমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
    উক্ত প্রতিবাদ গণসমাবেশ অনুষ্ঠানে ৩নং সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান ঝারু’র সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ নুরুল আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজ উদ্দিন (তাজু), জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ দুরুদ আহমদ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ মহি উদ্দিন ঝারু-সহ বিএনপি’র সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ-সহ প্রমুখ।
    বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব) আরও বলেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আর তার দোসররা আমাদের আশপাশেই রয়েছে। ছাত্রজনতা রক্তে অর্জিত বিজয়কে কোনোভাবেই নস্যাৎ করতে দেয়া যাবে না। সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যায়িত করে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং পতিত প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
    হাজী মুজিব আরও বলেছেন, ভোট চুরি করে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসন থেকে বারবার এমপি-মন্ত্রী হওয়া দুর্নীতিবাজ ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার আব্দুস শহীদ এমপি ও তার দলের নেতাকর্মীরা গত ১৬টি বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর সীমাহিন জুলুম-নির্যাতন, নিপীড়ন করেছেন। মিথ্যা মামলা, হয়রানীর কারণে বিএনপি ও অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের বহু নেতাকর্মী বিনা অপরাধে গায়েবি মামলার আসামী হয়ে জেল খেটেছেন, অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন। সেই ভোট চোর এমপি শহীদ ও তার ভাইয়েরা অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করেছেন, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ লুট করে সম্পদের পাহাড় বানিয়েছেন। বিদেশে টাকা পাচার করেছে, দেশ-বিদেশে নামে বেনামে বাসাবাড়ি-প্ল্যাট কিনেছেন। কাজেই এসব অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
    এ সময় সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয়কে ম্লান করার জন্য যারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হয়েছেন তাদেরকে রুখে দিতে হবে। বিগত দানব সরকারকে সরাতে ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দিয়েছে, যার জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। বেগম জিয়ার মুক্তি হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যদিয়েই অন্তর্বরতীকালীন সরকারের মাধ্যমে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হবে। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ করতে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। আর সম্মিলিতভাবে সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে বলে জানান তারা।
  • কারো অপকর্মের দায়ভার বি.এন.পি নেবে না-মতবিনিময় সভায়-ড.ফরিদুল ইসলাম।

    কারো অপকর্মের দায়ভার বি.এন.পি নেবে না-মতবিনিময় সভায়-ড.ফরিদুল ইসলাম।

    মল্লিক জামান,রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেছেন,  বিএনপি হচ্ছে গণমানুষের দল। কারো অপকর্মের দায় বিএনপি নেবে না। দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলেমিশে বসবাস করবো। জনগণ মনে করে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতা ও রাজনৈতিক দলসমূহের প্রচেষ্টায় দ্বিতীয় বারের মত এই দেশটা স্বাধীন হয়েছে। গনহত্যা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।  আমরা অপকর্ম করার জন্য রাজনীতি করি না, কেউ অপকর্ম করলে তার দায় বিএনপি নিবে না।
    শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নে নারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বাইনতলা কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা ও সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম।
    তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ত্যাগ আর শত সহস্র নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিএনপি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের যে জায়গায় পৌঁছেছে, কতিপয় বিপথগামীর হঠকারিতায় তা বিনষ্ট হতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে দল আপসহীন। দুষ্কৃতকারী কোনো দলের না।
    তিনি আরো বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাদের মধ্যে পদধারী নেতা খুবই কম। বেশিরভাগই হাইব্রিড এবং দলে অনুপ্রবেশকারী। যারা এতদিন দলের দুর্দিনে পাশে ছিল না, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারাই রাতারাতি দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি-সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। এসব ব্যাপারে সারা দেশে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে কেউ যদি কোথাও দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে, তাকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তুলে দেওয়া এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।
    উপজেলা বিএনপির’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল পাটোয়ারী হালিম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সরদার মাহফুজুর রহমান চিক, শেখ লিয়াকত আলী, যুবদল নেতা মল্লিক জিয়াউল হক জিয়া, এস এম আলমগীর কবির বাচ্চু, মোঃ শাহাজালাল গাজী, খান জিল্লুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাজী অজিয়ার রহমান, তরফদার মোতালেব হোসেন, খাঁন মনিরুল ইসলাম মনি, ছাত্রদল নেতা মোল্লা তরিকুল ইসলাম শোভন, মোফাজ্জল হোসাইন বাদল, শেখ মেহেদী হাসান, মহিলা দল নেত্রী রোজিনা আক্তার, মুক্তি সরদার, পলি আক্তারসহ বাইনতলা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    সমাবেশ শুরুর আগে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মহিলা দলের নেতৃবৃন্দরা মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে।