Tag: বাড়ি

  • স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন।

    স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রেমিক উদয় পোদ্দারের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন করছে বিবাহিত এক নারী। বিয়ে না করলে প্রেমিকের বাড়িতেই আত্মহত্যা করবে এমন হুমকি দিচ্ছে ওই নারী।

    উপজেলার বেলকুচি পৌরসভার সুবর্ণসাড়া হিন্দুপাড়া গ্রামে উত্তম পোদ্দারের বাড়িতে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে প্রেমিক উদয়কে বিয়ে করার আশায় রোববার থেকে অনশন করছে ওই নারী।

    অনশন করা ওই নারী গণমাধ্যমকে জানান উদয়ের সাথে আমার গত ৩ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলছে। প্রেমের সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে উদয় আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করে।আমার সংসার ভেঙ্গে দিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমার নিকট থেকে নগদ ৬ লাখ টাকা ও সোনার গহনা নিয়েছে। অর্থ সম্পদ ও যৌবন উৎসর্গ করার পর থেকে উদয় আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ জন্য রোববার দুপুরে উদয়ের বাড়িতে চলে এসেছি।নগদ ১০ লাখ টাকা ১০ ভরি স্বর্ণের গহনা যৌতুক দিলে ছেলের সাথে বিয়ে দিবে বলে চাপ দিচ্ছে উদয়ের বাবা উত্তম পোদ্দার। আমি তাদের দাবী পূরণ করতে না পারলে আমার সঙ্গে উদয়ের বিয়ে দিবে না। বিয়ে না হলে এ বাড়িতেই আমি আত্মহত্যা করবো।

                       উদয় ও তার প্রেমিকা

    যৌতুকের অভিযোগ অস্বীকার করে উদয়ের বাবা বলেন গতকাল রোববার দুপুরে মেয়েটি বাড়িতে এসে আমার ছেলে উদয়কে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে রাতে থানা থেকে পুলিশ এসে সামাজিকভাবে মিমাংসার কথা বলে চলে যান।আমি সে ব্যবস্থায়ই করছিলাম।মেয়েটি কথাবার্তায় এখন সেটা করা সম্ভব হচ্ছে না।এতে আমাদের যা হবার তাই হবে।

    এ বিষয়ে বেলকুচি থানার তদন্ত ওসি মোঃ আহসানুজ্জামান জানায় সূবর্ণসাড়ায় এমন ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মৌখিক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে ।উদয়ের বাবা উত্তম পোদ্দার মেয়ের অভিভাবকের সাথে কথা বলে সামাজিকভাবে সমস্যার সমাধান করবেন। তা না করলে  অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • রাগ ভাঙল বৃদ্ধ বাবার,ফিরলেন বাড়ীতে।

    রাগ ভাঙল বৃদ্ধ বাবার,ফিরলেন বাড়ীতে।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    ছেলে ও স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে রাগের মাথায় বাড়ী থেকে বের হয়ে আসেন কফিজুল ইসলাম নামে এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ। এরপরে কনকনে ঠাণ্ডায় শীতের কাপড় ছাড়াই রাত্রিযাপন করছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের লাহিড়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বারান্দায়।

    গত শনিবার গভীর রাতে বাড়ী ফেরার সময় বৃদ্ধকে বারান্দায় এমন অবস্থায় দেখে এগিয়ে যান সরকারি শহীদ আকবর আলী কলেজের প্রভাষক মামুন কায়সার। বৃদ্ধকে সেখান থেকে বিদ্যালয়ের পাশেই তার নিজের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পর খাবার খাওয়ান। এরপরে শীতের কাপড় দিয়ে বাড়ীতে থাকার অনুরোধ করলেও ওই বৃদ্ধ রাতেই চলে যান বিদ্যালয়ের বারান্দায়।

    প্রভাষক মামুন কায়সার রবিবার সকালে ওই বৃদ্ধের ছবিতুলে পরিচয় এবং পরিবারের সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে নজরে আসে পাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকের। পরিচয় শনাক্ত করে ওই বৃদ্ধের ছেলে শাহিনুরসহ রবিবার রাতে উপস্থিত হন বিদ্যালয়ের বারান্দায়। বাবার রাগ ভাঙিয়ে বাবাকে বাড়িতে নিয়ে যান ছেলে।

    উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের সরমজানি গ্রামের বাড়ী ওই বৃদ্ধের। ছেলে শাহিনুর জানান, গত শুক্রবার সকালে বাড়ীতে ঝগড়া করে বাবা বের হয়ে আসেন। এরপরে আর বাড়ীতে ফিরেননি। আমরা খোঁজাখুজি করছিলাম, কিন্তু পায়নি। ঝগড়া করবে না এবং বাবার যত্ন নিবে বলে বাড়ীতে নিয়ে যান বাবাকে।

    প্রভাষক মামুন কায়সার বলেন, নিজের বাবা-মা নেই। তাই বাবা ও মায়ের অনুপস্থিতির বিষয়টা মাঝে মাঝেই হৃদয়ে নাড়া দেয়। আমি চেষ্টা করেছি বৃদ্ধ বাবার কষ্ট লাঘব করতে। বাবা ও ছেলের সম্পর্কের অবনতি ভবিষ্যতে আর না ঘটুক এমনটা প্রত্যাশা করেন তিনি।

    এদিকে ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সন্ধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট নজরে আসার পর বৃদ্ধ বাবার পরিচয় খুজে বের করি। এরপরে পাড়িয়া বাজার থেকে বের হওয়ার সময় তার ছেলে শাহিনুরকে নিয়ে যায় বাবার কাছে। বর্তমানে বৃদ্ধ বাবা বাড়ীতে রয়েছেন। আমি তাঁর ভালোমন্দ খোঁজ খবর রাখছি।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি


    দীর্ঘ ৫০ বছর পর ঠাকুরগাঁওয়ের হরিজন বাসফোর সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবার পেল নতুন বাড়ি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার কোন পরিবার গৃহহীন থাকবে না প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার নারগুন ইউপির কৃষ্ণপুরে এ বাসফোর পল্লীটি স্থাপন করা হয়। সেখানে উল্লেখিত ৩৪টি পরিবারের প্রায় ২শতাধিক সদস্য নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন তারা। চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে তাদেরকে বাড়িগুলি বুঝিয়ে দেন সদর উপজেলা প্রশাসন।

    জানা যায়, পৌর শহরের ফকিরপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে পরিচ্ছন্নকর্মীদের ভুইমালী ও বাসফোর ২ সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে প্রত্যেক বাড়ির একই ঘরে ৫/৬ জন সদস্য কষ্ট করে বসবাস করে আসছিলেন। এতে করে একই ঘরে স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তানদের নিয়ে খুবই কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন তারা।

    সমস্ত পল্লীতে একটি মাত্র টিউবওয়েল ছিল। ঠিকমত পানিও খেতে পারতো না পরিবারের সদস্যরা। শৌচাগারও ছিল একটি মাত্র। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের কলহ-বিবাদ লেগেই থাকতো। এ অবস্থায় ওই ২ সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের কষ্টের কথা সদর উপজেলা প্রশাসনকে জানান।

    পরে সদর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়। এক সময় সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের কৃষ্ণপুরে ওই ২ সম্প্রদায়ের জন্য জমির বন্দোবস্ত হলে সেখানে শুরু হয় নতুন পাকা ঘর ও রঙিন টিনের তৈরী বাড়ি নির্মাণের কাজ। কাজ শেষে চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে ৩৪ টি বাসফোর সম্প্রদায়ের মানুষজনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

    সেখানে ঘর ও নতুন বাড়ি পাওয়া রাজু বাসফোর বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন বাড়ি-ঘর ছিল না। আগের বাসস্থলে আমরা অনেক কষ্ট করে জীবন কাটিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন বাড়ি ও ঘর পেয়ে আমরা নতুন করে জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। নতুন বাড়ি ও ঘরে উঠার পর থেকে আমাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে, একারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

    নতুন বাড়ি ও ঘর পাওয়া সামারিয়া বাসফোর নামে এক নারী বলেন, জীবনে আমরা যে পরিমান কষ্ট করেছি তা বলার মত নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দিকে তাকিয়েছেন। বর্তমানে আমরা নিশ্চিন্তে এখানে বসবাস শুরু করেছি।

    এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান বলেন, প্রায় ৩ মাস আগে বাসফোর সম্প্রদায়ের ৩৪টি পরিবারকে একটি করে নতুন বাড়ি প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার কোন পরিবার গৃহহীন থাকবে না প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতক করে জমি প্রদান করা হয়। এতে প্রত্যেক সদস্যকে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ টাকা খরচ করে নতুন বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এক সময় তারা খুবই কষ্ট করে জীবন যাপন করে আসছিলেন। সদর উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে নতুন ঘর ও বাড়ি দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি। তারাও অনেক খুশি। তারা নতুন এই আবাসস্থল পাওয়ার কারনে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারবেন। নিশ্চিন্তে ও স্বাচ্ছন্দে বসবাসের ফলে তাদের নতুন জীবন শুরু হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

    জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান জানান, সবচেয়ে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী হিসেবে বাসফোর সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে শহরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করে আসছেন। তাদের নিজস্ব বাড়ি-ঘর না থাকার কারনে তারা কষ্ট করে জীবন যাপন করছিলেন। এ কারনে তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নতুন বাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়।

  • নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাংচুর।

    নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাংচুর।

    নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ভাংচুর।


    নওগাঁ বাঙ্গাবাড়িয়া এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাট অভিযোগ উঠেছে ভূক্তভোগি সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ ভাঙ্গাবাড়িয়া সদর কলেজ পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু খাজা মঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে সন্ত্রাসীর হামলা চালায়। ভুক্তভোগী আমবিয়া খাতুন সাথে কথা বলে জানা যায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

    তারই জের ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা দিকে মো:মালেকের সন্ত্রাসীরা ৩০/৩৫ জনের একটি দল নিয়ে মো.বীর মুক্তিযোদ্দা মৃত্যু খাজা মঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে ঢুকে তার বসত ঘর ভাংচুর, লুটপাট করেছে।মো: মালেক পিতা,জলিল(৩০)শিপ্লব,(৩৮)পিতা মৃত্যু মক্কা ডাকাত,
    মো:সুমন(৩৪)পিতা,ওসুমন গংদের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধার বাড়িতে ভাংচুর করেন।সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ।

    তারই জের ধরে একটি সন্ত্রাসী দল বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু খাজা মঈনুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে ঢুকে আতংক সৃষ্টি করে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসির সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন।

  • দেওয়ানগঞ্জ ডাংধরায় অগ্নিকান্ডে বাড়ি পুড়ে ছাই।

    দেওয়ানগঞ্জ ডাংধরায় অগ্নিকান্ডে বাড়ি পুড়ে ছাই।

    দেওয়ানগঞ্জ ডাংধরায় অগ্নিকান্ডে বাড়ি পুড়ে ছাই। 

    শুক্রবার ৮ জুলাই বিকালে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পিআইসি’র আওতাধীন ডাংধরা ইউনিয়নের হারুয়াবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ এর বাড়ী পুড়ে গেছে।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ঘরে বিদ্যুৎ লাইনের শর্টসার্কিটে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। প্রতিবেশীরা জানায় বিদ্যুতের তারের মাধ্যমে আগুন লেগে মুহূর্তে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ঘরে থাকা গ্যাস স্যালিন্ডারে আগুন লাগা মাত্রই অগ্নিকান্ড আরও তীব্র আকার ধারণ করে। এতে ঐ বাড়ির মালামাল সহ কয়েকটি ঘর পুরে ছাই হয়ে যায়। শুধু মাত্র গরু গুলো ব্যতীত অন্য কোন কিছু বের করতে পারেনি বলে জানান প্রতিবেশীেরা। আত্নীয় স্বজনরা জানান নগদ অর্থ সহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
    সন্ধ্যায় ডাংধরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আঃ গফুর আর্মি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এসময় ৫নং ব্লক আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আঃ বারী সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • তানোরে সংখালঘুদের বসত বাড়ি উচ্ছেদ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন।

    তানোরে সংখালঘুদের বসত বাড়ি উচ্ছেদ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন।

    তানোরে সংখালঘুদের বসত বাড়ি উচ্ছেদ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন


    রাজশাহীর তানোরে ভিপি সম্পত্তিতে বসবাস করা সংখ্যালঘুদের বসত বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত বুধবার বিজ্ঞ আদালতের রায়ে কোর্ট প্রশাসন ও স্হানীয় লাঠিয়াল বাহিনী এনে উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির কৃষ্ণপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া হঠাৎ পাড়া গ্রামে ঘটে উচ্ছেদের ঘটনাটি। ডেজার মেশিন দিয়ে ভেঙে বসতবাড়ি সমতল করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে সংখ্যা লঘু এবং ভূমিহীন মুসলিম পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ফলে ভিপি সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, সেই সাথে প্রতারণা কারী কৃষ্ণপুর গ্রামের প্রভাবশালী লাল মোহাম্মদের পুত্র দেলোয়ারকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। এর পরিত্রাণ পেতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উপজেলা নির্বাহীর নিকট ২৮ পরিবারের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু রহস্য জনক কারনে কোনই সুরাহা হয়নি।

    মুন্ডুমালা তহসিল অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯৮ নম্বর কৃষ্ণপুর মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১২৯ আরএস খতিয়ানে ১২৩৪ আরএস দাগে ধানী জমি রয়েছে ১ একর ৬৪ শতাংশ। আরএস রেকর্ডীয় মালিক মহানন্দ সরকারের পুত্র কুঞ্জ মোহন সরকার সাং ভারত পক্ষে বাংলাদেশ সরকার। বিগত ২০১৪ সালের গেজেট অনুযায়ী জমিটি ভিপি সম্পত্তি হিসেবে রুপান্তর হয়। সরকারে জমি এজন্য ২৮ ভূমিহীন সংখ্যালঘু পরিবারসহ কিছু অসহায় মুসলিম পরিবারও সেই জায়গায় বসবাস করতেন ।

    জানা গেছে, চলতি মাসের বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপী চলে উচ্ছেদ অভিযান। ডেজার মেশিন ও ভাড়াটিয়া বাহিনী। প্রশাসন ও ভাড়াটিয়া বাহিনীর দাপটে কোন কিছুই বলতে পারেন নি সংখ্যা লঘুসহ বসবাস কারীরা। চলে ব্যাপক আয়োজনে খাবার ও টাকার ছড়াছড়ি। বসত বাড়ি হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সংখ্যা লঘুসহ ভুক্তভোগীরা।আর উচ্ছেদের ঘটনায় আনন্দে আত্মহারা দেলোয়ার।
    উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির কৃষ্ণপুর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের মাঝখান দিয়ে দক্ষিনে জমির আইল পুকুরের পর তাদের বসবাস। ওই জায়গা পেতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছিলেন দেলোয়ার। মামলায় তিনি রায় পান। এর বিরুদ্ধে সংখ্যা লঘুরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন, যা বিচারাধীন। তারপরও উচ্ছেদের ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসী। কিন্তু শুধু অসহায়ের মত চেয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করনীয় ছিল না। কারন আদালতের রায়। তারা দীর্ঘ দশ বছর ধরে বসবাস করে আসছিল।

    গ্রামের একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, ভিপি সম্পত্তি, তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বসত বাড়ি করে দেয় ওই গ্রামের প্রভাবশালীরা। উপজেলায় খুজলে এমন জমিতে হাজার হাজার পরিবার বসবাস করছেন।

    উচ্ছেদ কৃতদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। উচ্ছেদের আগে বিছিন্ন করে দেওয়া হয়। একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে প্রায় আট দশ হাজার টাকা খরচ হয়। যদি অন্যের জমি হয় তাহলে কেনই বা বিদ্যুৎ দেওয়া হল। গরিব অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিদের উপর যে যে ভাবে পারছে জুলুম করা যায়।

    পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম জহুরুল হক জানান আদালতের নির্দেশে বিছিন্ন করা হয়েছে।

    সংখ্যা লঘু শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, বসবাসের পর দেলোয়ার আদালতে মামলা করেন। বিগত দু বছর করোনার কারনে আমরা সেভাবে যোগাযোগ করতে না পারায় একতরফা রায় নিয়ে আসে দেলোয়ার। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। এখনো বিচারাধীন। মোহন চন্দ্র জানান, দেলোয়ার দীর্ঘ দিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছিল আজ হোক কাল হোক উচ্ছেদ করা হবে। তাতে যাযা করনীয় করা হবে। হলও তাই, উচ্ছেদের আগ থেকেই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে রাতের আধারে হামলা করে উচ্ছেদ করবে এমন হুমকি প্রতি নিয়তই আসছিল।

    মিনা নামের এক বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলাসহ একাধিক মহিলারা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এবয়সে ভিটে বাড়ি হারিয়ে গেল, কোথাও থাকব, খোলা আকাশের নিচে ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে আছি। কেউ আশ্রয় দিচ্ছে না। সরকারি জায়গায় বাড়ি নির্মাণ করেও প্রভাবশালী দেলোয়ার থাকতে দিল না। সরকার যদি নিত সেটা ভিন্ন কথা। শেক হাসিনা তো আমাদের মা, মায়ের কাছে অনুরোধ আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক, আমাদের কোন জায়গা না থাকার কারনে এখানে বাস করছিলাম, আমাদের কে তিনি যেন রক্ষা করেন। শেখ হাসিনা সরকার ভূমিহীন দের বাড়ি করে দিচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী বলে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গাকে জায়গা দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। আর আমরা এদেশের নাগরিক, কেন আমাদের উচ্ছেদ করা হল। আমরা সরকারের জায়গায় বাস করতে পারব না কেন এমন নানা প্রশ্ন বিরাজমান । আমাদের বসত বাড়ি যখন উচ্ছেদ হয়ে গেল তাহলে সরকার আমাদের ভারতে পাঠিয়ে দিক। এদেশে তো জায়গা হল না আমাদের।খোলা আকাশের নিচে কতদিন থাকা যাবে।

    উচ্ছেদের সময় ভিডিও বক্তব্যে দেলোয়ার বলেন জমিটির ক্রয় সুত্রে আমরা মালিক।দীর্ঘদিন তারা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছিল। বিজ্ঞ আদালতের রায়ে জায়গা উদ্ধার হল। আমাকে শুধু থানার ওসি নানা ভাবে হুমকি দিয়েছিল।

    পরদিন বৃহস্পতিবার মুন্ডুমালা তহসিল অফিসে খোজ নিয়ে দেখা যায় ওই জমির পুরোটায় ভিপি। কোন ধরনের খাজনার চেক বা নামজারি নেই। তাহলে জমি কিভাবে কেনাবেচা হল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুমি কর্মকর্তা জানান, আমাদের মনে হচ্ছে অনিয়ম ভাবে দলিল তৈরি করে মামলা দায়ের হতে পারে। যারা বসবাস করেন তারা হয় তো জানেন না। আর এজমি কেনাবেচার কোন সুযোগ নাই। এখম আদালতে কিভাবে মামলা হল, আর কিভাবে উচ্ছেদ হল সেটা আদালত ভালো বলতে পারবেন। আর আদালতের বিরুদ্ধে কোন কথা বলাও সঠিক না।

  • রামপালে আগুনে তিনটি ঘর ভষ্মিভূত।

    রামপালে আগুনে তিনটি ঘর ভষ্মিভূত।

    রামপালে আগুনে তিনটি ঘর ভষ্মিভূত


    বাগেরহাটের রামপালে অগ্নিকাণ্ডে মিষ্টির দোকান সহ তিনটি অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মিভূত হয়ে গেছে।

    বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ ভোর ৪.০০ টায় উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের পেড়িখালী বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানিয়েছে।

    ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে যে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মিষ্টির দোকান সহ পাশ্ববর্তী দুইটি রান্না ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পেড়িখালী বাজার মসজিদের মাইকে বাজারে আগুন লাগার খবর প্রচার করলে পাশ্ববর্তী শত শত লোকজন আগুন নেভানোর কাজে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দের।

    অগ্নিকাণ্ডে রনি ঘোষের মিষ্টির কারখানা এবং মিহির ঘোষ ও নিত্যে ঘোষের রান্নাঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

    রান্না ঘরের চুলার আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    অগ্নিকাণ্ডে পাশ্ববর্তী কয়েকটি বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।

  • বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান।

    বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান।

    বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান।


    বিয়ের স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে,নাটোরের নলডাঙ্গার বাঙ্গালখলসি গ্রামে।

    জানা যায়,বাঙ্গালখলসি গ্রামের ইয়াচিন প্রাং ছেলে আঃ সালাম (৪০) এর সঙ্গে পাশের চৈউখালি গ্রামের মৃত কাচু প্রাং এর মেয়ে মিথিলা খাতুনের(২৮) দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের স্বাক্ষ্যতা গড়ে তোলে। ৮ বছর আগে তারা বিয়ে করেছেন,দাবি মিথিলার। মিথিলার বাড়ি চৈউখালি হলেও তিনি নাটোর প্রাণ কারখানায় নারী শ্রমিকের কাজ করেন, এবং নাটোরে তার ভাড়া বাসায় সালামের নিয়মিত যাতয়াত ছিলে বলে,দাবি করেছেন মিথিলা। এরপর কিছুদিন থেকে মিথিলা বিভিন্নভাবে সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে সালামের বাড়িতে এসে ওঠে।

    রবিবার সরেজমিনে বাঙ্গালখলসি গ্রামে গিয়ে সালামের বাড়ির সামনে মিথিলাকে বসে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু,সেখানে সালামকে পাওয়া যায়নি। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে,তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    মিথিলা বলেন,আমার এভাবে চলে আসা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে যখন আমি সালামের বাড়িতে আসি,তখন তার পরিবারের লোকজন আমাকে মারধর করে,বের করে দেয়। সালাম যতক্ষন আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয় ততক্ষণ ঝড়,বৃষ্টির মধ্যে আমি এখানেই করব।

    সালামের বাবা ইয়াচিন প্রাং বলেন,সালাম ও মিথিলার বিয়ের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। মিথিলা বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারলে,আমরা মেনে নিবো।

  • বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকে বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

    বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকে বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

    বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকে বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন।

    রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু  করেছেন এক কলেজছাত্রী । মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পরে প্রেমিক জনি আহম্মেদের বাড়ির গেটে কলেজ ছাত্রী অবস্থান নিলে জনি আহম্মেদের বাড়ির লোকজন বাড়ির গেটে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা রাতভর মিমাংসা চেষ্টা করে কাজ হয়নি। পরে চৌকিদার পাহারায় রাখা হয়েছে। বুধবার (৬ এপ্রিল) এলাকার মানুষজন তাঁর অনশন দেখার জন্য বাড়ির গেটে ভিড় করছে।

    কলেজ ছাত্রীর জানান, বিয়ে না করা পর্যন্ত কোন প্রকার খাবার খাবেন না এবং প্রয়োজনে আতহত্যা করবেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ওই স্থানেই অবস্থান করবেন। কলেজ ছাত্রী জনিকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবেনা মর্মে, তাঁর বাড়িতে অনশন শুরু করেছে।
    জানা যায়, প্রায় ৮ বছর ধরে কলেজ পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে উপজেলার একই ইউনিয়নের ধন্দহ সরকার পাড়া গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে জনি আহম্মেদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাঁরা উভয়ে একই সাথে মাধ্যমিক স্কুল পরে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ালেখা শেষ করে আব্দুলপুর সরকারী কলেজে ব্যবস্থাপনা অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। পরে জনি আহমেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।  ছেলে ছুটিতে বাড়ি আসলে মেয়ের বাড়ির পক্ষে থেকে  বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেও অপেক্ষা করতে বলে ছেলে ও ছেলের পক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় মেয়ে ভেবে নেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বলায় হয়তো ছেলে বিয়ে করবে না তাঁকে।
    এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়াডের্র ইউপি সদস্য (মেম্বার) রেজাব উদ্দিন সরকার বলেন,কিছুদিন আগে দুই পরিবারকে নিয়ে বসেছিলাম, জনির পরিবার জানান আমাদের ছেলের  বিয়ের সময় হয়নি, মেয়ে অপেক্ষা করলে অবশ্যই বিয়ে দিবো।  পরে মঙ্গলবার রাতে শুনচ্ছি মেয়ে ছেলের বাড়িতে আসছে। পরে জনি ও জনির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পাওয়া বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। পরে মেয়েকে চৌকিদার পাহারায় রেখেছি। তিনটা পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি।
    এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান বলেন, বিশেষ কাজে আমি ঢাকাতে আছি, তবে এই বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার আমাকে অবগত করলে তাকে বলি, দুই পরিবার সমঝতায় না আসলে প্রশাসনের সাহায্য নিতে।
    বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • নলডাঙ্গায় অগ্নিকাণ্ডে একটি বাড়ি ভস্মীভূত।

    নলডাঙ্গায় অগ্নিকাণ্ডে একটি বাড়ি ভস্মীভূত।

    নলডাঙ্গায় অগ্নিকাণ্ডে একটি বাড়ি ভস্মীভূত।


    নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। এসময় আগুনে পুড়ে ২টি ছাগলের মৃত্যু ও একজন আহত হয়েছেন।

    রবিবার (২০ মার্চ) উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের বানুরভাগ গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন মৃত রমজান মৃধার ছেলে আঃ সাত্তার হাজী(৬৫)।রান্নাঘর,গোয়ালঘর, খড়িরঘর আগুনে পুড়ে যায়। গোয়াল ঘরে থাকা ২টি ছাগল আগুনে পুড়ে মারা যায়। একই গ্রামে পাশের বাড়ির তাহের মন্ডলের ছেলে বাহার মন্ডলের (৪৮) এর খড়ির ঘর আগুনে পুড়ে যায়। আগুন নিভানোর জন্য ছুটে আশা প্রতিবেশি মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে তায়েজ উদ্দিন আহত হয়।

    ক্ষতিগ্রস্ত আঃ সাত্তার হাজী জানান,কীভাবে আগুন লেগেছে তা বলতে পারব না। এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। গোয়াল ঘরে থাকা ১টি গরু ও ২টি ছাগল ছিল। গরুটি উদ্ধার করা হয়। আগুন বেশি হওয়ায় ছাগল ২টি উদ্ধার করতে না পারায় ততক্ষণে ঘরে থাকা ছাগল দুটি পুড়ে মারা যায়। ছাগল গুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা। মোট প্রায় ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। অগ্নিসংযোগের কোনো সূত্রপাত পাওয়া যায় নাই।

    অগ্নিসংযোগের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী, তিনি বলেন,আমি সংবাদ পাওয়ার পর দুপুরে ঘটনা স্থানটি পরিদর্শন করে ইউএনও মহোদয়কে অবগতি করি।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্ৰস্থদের মাঝে শুকনা খাবার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।