Tag: বাঘা

  • রাজশাহীর বাঘায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।

    রাজশাহীর বাঘায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।

    রাজশাহীর বাঘায় জাতীয় ভোটার দিবস পালিত।

    “ মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার রক্ষা করব ভোটাধিকার ”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২ মার্চ ২০২২ সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর বাঘায়  রঙিন বেলুন, শান্তির প্রতীক কবুতর উডানোসহ বনাঢ্য রালী ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা চত্বরে উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে এ দিবসটি পালন করা হয়।

    উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মজিবুল আলমের সঞ্চালনায় আয়োজিত  এ সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)পাপিয়া সুলতানা।
    জাতীয় ভোটার দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম মন্ট ু, মাসুদ রানা তিলু ,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী , নারী ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া আজিজ সরকার, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম , সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সমাজের সুধীজন ।
  • বাঘায় অধুনিক শিল্পপণ্যের জন্য মৃৎশিল্পীদের হতাশা।

    বাঘায় অধুনিক শিল্পপণ্যের জন্য মৃৎশিল্পীদের হতাশা।

    বাঘায় অধুনিক শিল্পপণ্যের জন্য মৃৎশিল্পীদের হতাশা।

    গভীর ভালোবাসা আর মমতা শুধু মানুষের সাথে না, যার প্রতি বেশি মন দেওয়া ও সুদৃষ্টি যায় তার সাথে এমনিতে ভালসা হয়। যেমন  নিপুণ হাতে কারু কাজের মাধ্যমে তৈরি করেন নানা তৈজসপত্র। যার মাঝে ভালবাসা না থাকেল এমন কিছূ তৈরি করা কখনো সম্ভব না। আর যখন কারো সাথে ভালবাসা হয় তখন মনে হয় সেই এক মাত্র ভরসা। তেমনি মৃৎশিল্পীদের জীবন জীবিকার এক মাত্র হাতিয়ার হলো মৃত শিল্প।  কিন্তু কালের বিবর্তনে তাদের ভালোবাসার সেই জীবিকা আস্তে আস্তে কষ্টতে রুপ নিচ্ছে । বলা হচ্ছে মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরদের কথা।

    দিন যতই যাচ্ছে, ততই বাড়ছে  আধুনিকতা। আর এই আধুনিকতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরি শিল্পপণ্যগুলো। এক সময় মাটির তৈরি  তৈজসপত্রের প্রচুর প্রচলন ছিল। কিন্তু সেই তৈজসপত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে  এ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈরি তৈজসপত্র। তাই কাচ, প্লাস্টিক আর মেলামাইনের ভিড়ে এখন মাটির তৈরি  জিনিসপত্রগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না।
    যানা যায়, রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়  আড়ানী সহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক কুমার পরিবার বসবাস করে । এরা প্রায়ই এই মৃত শিল্পের উপর নির্ভশীল । কিন্তু এই মৃত শিল্পর ব্যবহার কমে যাওয়াই ও  সঠিক দাম না পাওয়ায় বর্তমান অবস্থায় কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে এ সকল কারিগররা।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৃৎ শিল্পীরা মাটি দিয়ে তৈরি করছেন পুতুল, ফুলের টব, কুয়ার পাত, হাঁড়ি পাতিলসহ বিভিন্ন নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। পরে সেগুলোকে তারা শহরের দোকান এবং বাসা বাড়িতে বিক্রয় করে থাকেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে মৃৎ শিল্পের ব্যবহার তেমন এখন চোখেই পড়ে না, এখন সৌখিন জিনিসপত্র এবং কুয়ার পাতই একমাত্র ভরসা।
    মৃৎ শিল্পের পুরনো কারিগররা জানান, এখন মাটির তৈরি কোনো কিছু মানুষ কিনতে আসে না। আমাদের তৈরি মৃৎ-শিল্পের বাজারদর ভালো ছিল কিন্তু বর্তমান  প্লাস্টিক আর কাঁচের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও শো পিস কিনতে সবাই ব্যস্ত।  প্লাস্টিক আর কাচের ব্যবহার বাড়ার কারণে আজ আমাদের ব্যবসা ধ্বংসের পথে। এতে অনেকেই পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।
    এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নিবার্হী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, কালের বিবর্তনে বর্তমান মানুষ  এ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈরি তৈজসপত্র বেসি ব্যবহার করছেন। তাই মাটির তৈরি  জিনিসপত্রগুলো ব্যবাহার কম হওয়াই  মৃৎ শিল্পের উপজন কমে গেছে।  তাদেরকে পরামর্শ দিবো, আপনারা টেরা কোটা  বেশি বেশি তৈরি করবেন। বর্তমানে টেরা কোটার ব্যবহার বেড়ে চলেছে।
  • বাঘায় মাজার থেকে ব্যবসায়ীদের দোকান উচ্ছেদ।

    বাঘায় মাজার থেকে ব্যবসায়ীদের দোকান উচ্ছেদ।

    বাঘায় মাজার থেকে ব্যবসায়ীদের দোকান উচ্ছেদ।


    রাজশাহীর বাঘায় ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ ও হযরত শাহদৌলা মাজারের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য শতাধিক দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীরা পূর্নবাসনের দাবি জানান।

    জানা যায়, বাঘায় ঐতিহাসিক শাহী মসজিদ ও হযরত শাহদৌলার মাজার গেটে ও আশেপাশে হরের রকমের শতাধিক দোকান বসানো হয়েছিল। এই দোকান বসানোর কারনে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবগত করা হলে তার নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়।

    এর আগে উপজেলা প্রশাসন একদিন সময় দিয়ে মাইকিং করেন। মাইকিং শোনার পর অনেকে নিজ নিজ দোকান সরিয়ে নেয়। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী দোকান সরিয়ে না নেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তোহরাব হোসেনের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে সকল দোকান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে উচ্ছেদ করার পর ব্যবসায়ীরা নিরুপায় হয়ে পড়বেন বলে তারা দায়িত্বপ্রাপ্তকারীদের কাছে পূর্নবাসনের জন্য দাবি করেন।

    এ বিষয়ে দোকানদার প্রিন্স ভূঁইয়া বলেন, আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মাজার এলাকায় দোকান দিয়েছিলাম। আমার ৫ সদস্যের পরিবার। দোকান সরিয়ে দেওয়ায় নিরুপায় হয়ে পড়েছি। এদিকে ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে হবে। আমার মতো আরো প্রায় শতাধিক দোকনদারের একই অবস্থা।

    বাঘা মাজারের মতোয়ালী রইশ উদ্দিন বলেন, বাইরে থেকে মানুষ এসে বিড়ম্বনায় পড়েন। বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করা হলে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সকল দোকান সরিয়ে দেন।
    এ বিষয়ে বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার পাশাপাশি তাদের আলাদা কোন স্থানে পূর্নবাসন করা প্রয়োজন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, আমার কাছে ব্যবসায়ীরা পূর্নবাসনের দাবি করেছেন। আমি মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শাহরিয়ার আলম এমপির সাথে কথা বলে পরবর্তীতে এসব ব্যবসায়ীদের পূর্নবাসন করার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।
    এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক বলেন, বাঘা শাহী মসজিদ ও হযরত শাহদৌলা মাজার একটি পবিত্রস্থান। এর আশেপাশে কিছু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে দোকান বসানোর কারনে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছিল। এই পরিবেশ যেন আর বিনষ্ট না হয়, এ বিষয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা সমন্বয় সভায় দোকন উচ্ছেদের বিষয়ে সির্দ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ওয়াক্ফা এস্টেটের মালিক জেলা প্রশাসক। বাঘা শাহী মসজিদ ও হযরত শাহদৌলা মাজারের কিছু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে দখল করে দোকান বসিয়েছিলেন। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। আমার নির্দেশে তিনি ফোর্স নিয়ে দোকান উচ্ছেদ করেন দেন।

  • বাঘায় মা ক্লিনিকে রোগীর অর্ধেক অপারেশন করে পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক!

    বাঘায় মা ক্লিনিকে রোগীর অর্ধেক অপারেশন করে পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক!

    বাঘায় মা ক্লিনিকে রোগীর অর্ধেক অপারেশন করে পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক!


    রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সদরে মা ক্লিনিকের শিউলি (৪৫) নামের এক রোগীর জরায়ুর টিউমার অর্ধেক অপারেশন করে ডাক্তার পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য উপজেলার আরিপপুর গ্রামের আলম ব্যাপারীর স্ত্রী শিউলি (৪৫) চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবার বাঘা পৌরসভার সদরে মা ক্লিনিকে আসেন। ক্লিনিকে লোকজন তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে বলেন আপনার অবস্থা ভালো না আজকে অপারেশন করতে হবে বলে ১২ হাজার টাকা মিটমাট করে। তারপর ক্লিনিকের ডাক্তার প্রায় তিন ঘন্টা ধরে জরায়ুর লাড়ির টিউমার অর্ধেক অপারেশন করে ডাক্তার এবং মালিক দিপু পালিয়ে যায়। পড়ে রোগীর স্বজনরা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন। মুমূর্ষ অবস্থায় বাঘা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার বাকু পান্ডে সহ অনেকেই ক্লিনিকে উপস্থিত ছিলেন। রাত ১০ টার দিকে এম্বুলেন্স যোগে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেলে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।

    এ বিষয়ে শিউলির স্বামী আলম ব্যাপারী অভিযোগ করে বলেন, মা ক্লিনিকের পরিচালক দিপু রোগীর অপারেশন এত বড় প্রতারণা করবে আমরা ভাবতে পারিনি। অর্ধেক অপারেশন করে ডাক্তার পালাবে ভাবতেও পারিনি।

    এ বিষয়ে মা ক্লিনিকের পরিচালক দিপুর সঙ্গে কথা বলার জন্য তার ক্লিনিকে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এবং মা ক্লিনিকের কর্মচারী জানান, জরায়ুর অপারেশন করেছেন ডা: মাহবুবুল আলম রানা।

    এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: রাশেদ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি আসলে বিষয়টি দেখবো।

  • বাঘায় অগ্নিকান্ডে তিনটি বসতঘর নিমিষেই শেষ। 

    বাঘায় অগ্নিকান্ডে তিনটি বসতঘর নিমিষেই শেষ। 

    বাঘায় অগ্নিকান্ডে তিনটি বসতঘর নিমিষেই শেষ। 

    রাজশাহীর বাঘায় অগ্নিকান্ডে  তিনটি  বসতঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৩ টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের বেড়হাবাসপুর গ্রামের রব্বেল হোসেন রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখেন বসত ঘরের বেলকুনিতে আগুন জলছে।
    এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই  তিনটি বসতঘর পুড়ে যায়। এতে টিভি, ফ্রিজ ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।রব্বেল হোসেন বেড় হাবাসপুর  গ্রামের পাতান আলীর ছেলে।
    এ বিষয়ে রব্বেল হোসেন বলেন, আমার কারো সাথে কোন শত্রুতা নেই। কিন্তু কিভাবে আগুনে বাড়ি পুড়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছিনা। এতে প্রায় আমার ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
    এ বিষয়ে মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,  ঘটনাটি জানার পরে সেখানে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সান্তনা দিয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে।
  • রাজশাহীর বাঘায় নব নির্বাচিত ইউপি সদস্যদের শপথ গ্রহণ।

    রাজশাহীর বাঘায় নব নির্বাচিত ইউপি সদস্যদের শপথ গ্রহণ।

    রাজশাহীর বাঘায় নব নির্বাচিত ইউপি সদস্যদের শপথ গ্রহণ।


    রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২১ এ নবনির্বাচিত সংরিক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ও সাধারণ আসনের সদস্যগণের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ( ১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্টিত হয়। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে নবনির্বাচিত ২৭ জন সাধারণ সদস্য ও ৯ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ মোট ৩৬ জন ইউপি সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু বাঘা পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী,উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মজিবুল আলম সহ উপজেলার বাউসা ,আড়ানী ও চকরাজাপুর  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। উল্লেখ্য, চতুর্থ ধাপে গত ২৬ ডিসেম্বর বাঘা উপজেলার বাউসা ,আড়ানী ও চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়।

  • বাঘায় চিনি দিয়ে খেজুরের তৈরীর সময় ব্যবাসায়ীকে আটক।

    বাঘায় চিনি দিয়ে খেজুরের তৈরীর সময় ব্যবাসায়ীকে আটক।

    বাঘায় চিনি দিয়ে খেজুরের তৈরীর সময় ব্যবাসায়ীকে আটক।

    রাজশাহীর বাঘায় দীর্ঘদিন ধরে চিনি দিয়ে তৈরি খেজুরের গুড় তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এমন একটি চক্রের সাতজন ভেজালগুড় তৈরিতে এক্সেপার্ট (খুব পারদর্শ কে  গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁদের থেকে ৫০ মণ ভেজাল খেজুরের গুড়সহ ভেজাল গুড় তৈরির উপকরণ  উদ্ধার করে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) এসব তথ্য জানান।

    পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘার আড়ানী চকরপাড়া গ্রামে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে ৫০ মণ ভেজাল খেজুরের গুড়সহ কারখানার মালিক ওই এলাকার মৃত আবুল হোসেন ছেলে রকিব আলী (৪২), তার সহযোগী সুমন আলী (৪২), অনিক আলী পাইলট (৩০), মাসুদ রানা (৩০), বিল্পব হোসেন সাজু (২৫), মামুন আলী (২৭), বাবুকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের সবার বাড়ি আড়ানী চকরপাড়া এলাকায়।
    এসময় তাঁদের থেকে গুড় ভর্তি ৫৮টি ক্যারেট। প্রতিটি ক্যারেটের গুড়সহ ওজন ৩৫ কেজি করে সর্বমোট ২ হাজার ৩০ কেজি। মূল্য অনুমান ২ লাখ ৪৩ হাজার ৬০০ টাকা। ১০ বস্তা চিনি। ১৮ কেজি ফিটকিরি, ২৫ কেজি চুন, ৬০০ গ্রাম ডালডা, ১ কেজি হাইড্রোজ, দুইটা তাওয়া। এছাড়া উদ্ধারকৃত মালামালের মূল্য ৩ লাখ ৫ হাজার ৬৬৫ টাকা।
    পুলিশ বলেন, এই গুড় মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। গ্রেপ্তারের পরে পুলিশ সদস্যরা গ্রেপ্তারকৃতদের বলে; তোমরা এই গুড় তৈরি করেছ। এই গুড় তোমরা খেয়ে দেখাও। কিন্তু গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কেউ এই গুড় খেয়ে দেখায়নি। এমন প্রশ্নের উত্ততে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান- বাজারে ভেজাল গুড় থাকতে পারে। এগুলো বিএসটিআই, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের অন্য সংস্থাগুলো ভেজাল বিরোধী অভিযান চালাবে। তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। আমাদের জানালে আমরা তাঁদের সহযোগিতা করবো।
    পুলিশ আরো জানায়- জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান ৩ মাস যাবৎ ওই কারখানায় চিনি, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকারি, ডালডা ও বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করে আসছে। তাঁরা এগুলো রাজধানী ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে থাকে। গুড় তৈরির ক্ষেত্রে তাঁরা যে সকল রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে সেগুলো মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ও জটিল রোগের সৃষ্টি করে।
    পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন ,রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার), রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) সনাতন চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) অলক বিশ্বাস, সহকারী পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) রুবেল আহমেদ ও সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) নিয়াজ মেহেদী প্রমুখ।
  • বাঘায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা পাঠাগার নির্মাণে দানকৃত সম্পত্তির দলিল হস্তান্তর

    বাঘায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা পাঠাগার নির্মাণে দানকৃত সম্পত্তির দলিল হস্তান্তর

    বাঘায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা পাঠাগার নির্মাণে দানকৃত সম্পত্তির দলিল হস্তান্তর।

    রাজশাহীর বাঘায় আড়ানী পৌরসভার পিয়াদাপাড়ায় “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পাঠাগার” নির্মাণের জন্য দানকৃত সম্পত্তির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার(১৪ ফেব্রুয়ারী) সাড়ে ৩ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই দানকৃত সম্পত্তির দলিল হস্তান্তর করা হয় ।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা সরকারীভাবে  “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পাঠাগার” নির্মাণের জন্য দানকৃত সম্পত্তির দলিল গ্রহণ করেন। সরকারীভাবে পাঠাগার নির্মাণের জন্য ২ শতাংশ জমি দান করেন আড়ানী পিয়াদাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে এম এম জিয়াউল হক জুয়েল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন , সহিদুল ইসলাম , মিলন উদ্দিন প্রমুখ।
  • বাঘায় ভূ-গর্ভাশায়ন পদ্ধতিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষিদপ্তর।

    বাঘায় ভূ-গর্ভাশায়ন পদ্ধতিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষিদপ্তর।

    বাঘায় ভূ-গর্ভাশায়ন পদ্ধতিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষিদপ্তর।

    রাজশাহীর বাঘায় ভূ-গর্ভাশায়ন পদ্ধতিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূপৃষ্টের অতিরিক্ত পানি ভূ-অভ্যন্তরে সংরক্ষণ করে ফসল ফলানোর ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন উপজেলা কৃষিদপ্তর। স¤প্রতি বাঘা উপজেলায় ফসলের মাঠে এমন পদ্ধতি ব্যবহার করে ফসল ফলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    সরেজমিন সোমবার( ১৪ ফেব্রæয়ারী) দুপুরে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের তেঁথুলিয়া ও কামারপাড়া এবং বাজুবাঘা ইউনিয়নের  নওটিকা,আমোদপুর ও তেপুকুরিয়া মাঠে বিলে গিয়ে দেখা গেছে  কয়েক বছর ধরে জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে মাঠের পানি মাটির তলদেশে নামানোর জন্য পাইপ বসানোর কাজ চলছে।  এটি বাস্তবায়ন করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান। ধারনা করা হচ্ছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রায় দুইশ বিঘা অনাবাদি জমি বোরো ধান আবাদে পরিনত হবে।এতে করে উপকৃত হবেন ত্র অঞ্চলের কৃষক।
    কৃষক বয়েজ উদ্দিন বলেন, এ মাঠে মাটি আগে বোরো ধানের আবাদ করেছি। বর্তমানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের ফলে  এলাকার প্রায় দুই‘শ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা কারণে কোন ফসল পারছি না।
    স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে বিভিন্ন এলাকার মাঠের জলাবদ্ধতা জমিগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। তিনি পরিদর্শন শেষে চারটি স্থানে  পাইপ বসানো উদ্যোগ নেন। সেই উদ্যোগর মাধ্যমে ভূপৃষ্টের অতিরিক্ত পানি ভূ-অভ্যন্তরে সংরক্ষণ অনুরুপ পরবর্তীতে সেই পানি খরা মৌসূমে সেচ কাজে ব্যবহার করেও ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। সেটা বাস্তবায়ন হতে চলেছে।
    এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। বর্তমান সরকার কৃষিখাতে ব্যাপক পরিমান ভুর্তুকি দিচ্ছেন। যাতে করে বাংলাদেশ কৃষিতে সমৃদ্ধশালী উন্নত দেশে পরিনত হয় । সেই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে যে  উদ্যোগটি নিয়েছি এটিকে বলা হয় “ভূ-গর্ভাশায়ণ’’। উন্নত দেশে এ ব্যবস্থা চালু আছে। দেশেও কোন-কোন এলাকায় এ ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
    তাঁর মতে, এই প্রযুক্তিতে খরা প্রবণ এলাকায় বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে জমা রেখে শুষ্ক মৌসুমে এ পানির ব্যবহার করা যাবে এবং জলাবদ্ধ এলাকার অতিরিক্ত পানি ভূগর্ভে রিচার্জ করে জলাবদ্ধ এলাকার জমিতে ফসল ফলানো উপযোগী করাসহ লবনাক্ত এলাকায় বর্ষা মৌসুমে পানি ভূগর্ভে রিচার্জ করে শুষ্ক মৌসুমে সেচকাজসহ সুপেয় পানি হিসেবেও পান করা যাবে।
  • রাজশাহীর বাঘায় চুরি হওয়া তিনটি গরু দৌলতপুরে উদ্ধার।

    রাজশাহীর বাঘায় চুরি হওয়া তিনটি গরু দৌলতপুরে উদ্ধার।

    রাজশাহীর বাঘায় চুরি হওয়া তিনটি গরু দৌলতপুরে উদ্ধার।

    শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারী) ভোর রাতে চুরি হওয়া তিনটি গরু কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।  এই গরুগুলো উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ । এই ঘটনায় জড়িত নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    জানা যায়, বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা হেদাতীপাড়া গ্রামের মৃত আবদুস সুবাহান মোল্লার ছেলে আবদুর রউফ মোল্লার বাড়ি থেকে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) রাতে তিনটি গরু চুরি হয়। পরেরদিন আব্দুর রউফ মোল্লা বাদি হয়ে বাঘা থানায় অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ আশেপাশের থানায় ম্যাসেজের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করেন। ঘটনার দুইদিন পর শুক্রবার কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে তিনটি গরু উদ্ধার করে পুলিশ। এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নুরুল ইসলাম কল্যানপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
    এ বিষয়ে গরুর মালিকের ছেলে মখলেসুর রহমান বলেন, উদ্ধারকৃত গরুগুলো আদালতের মাধ্যমে আমাকে দেওয়া হবে। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া গরু দৌলতপুর থানার হেফাজতে রয়েছে। আমি গরুগুলো রক্ষনাবেক্ষণের জন্য একটি লোককে দায়িত্ব দিয়েছি। আদালতের অনুমতি পেলে গরুগুলো দৌলতপুর থানা মালিককে বুঝিয়ে দিবেন। গরু তিনটির আনুমানিক মূল্যে ৩ লাখ টাকা।
    এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া, লালপুর, বাগাতিপাড়া এলাকায় বিশাল একটি গরু চুরির গ্যাংবাহীনি রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নুরুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে গরু চুরির গ্যাংবাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করে অন্যদের আইনের আওতায় আনা হবে।