Tag: বন্ধ

  • চালুর পরদিনই ঠাকুরগাঁও চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ, বিপাকে কৃষক!

    চালুর পরদিনই ঠাকুরগাঁও চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ, বিপাকে কৃষক!

    ঠাকুরগাঁওয়ের একমাত্র ভারীশিল্প  চিনিকলটি এ বছর আখ মাড়াই মৌসুম শুরু হতে না হতেই বন্ধ হয়ে গেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে প্রতিষ্ঠানটি এখন বন্ধ রয়েছে। ফলে আখ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেতাবগঞ্জ, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও সহ তিন জেলার চাষিরা।

    সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও চিনিকল ঘুরে দেখা গেছে, গাড়িতে করে মাড়াইয়ের জন্য আখ নিয়ে লাইন ধরে চিনিকলের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। তবে চিনিকল কর্তৃপক্ষ কোনো আখ মাড়াইয়ের জন্য নিচ্ছেনা। ফলে অনেক চাষি বসে বসে লোকসানের প্রহর গুনছেন। অনেকে আবার ক্ষোভ প্রকাশ করে চিনিকল সংলগ্নমাঠে গাড়ি থেকে আখ ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।

    জেলার রহিমানপুর এলাকার আখ চাষি ফয়েজ উদ্দীন বলেন, ‘আমি এবার ৮ একর জমিতে আখ চাষ করেছি। এ বছর চিনিকলে আখ দেওয়ার অনুমতিও আছে আমার কাছে। চিনিকলে দুই গাড়ি আখ নিয়ে এসেছি মাড়াইয়ের জন্য। এসে দেখি আখ নিচ্ছেনা। কর্তৃপক্ষ বলছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আখ মাড়াই বন্ধ রয়েছে দুদিন ধরে।’

    তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘কারখানায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে। এটাই স্বাভাবিক।’ যদি আগে থেকে মিল কর্তৃপক্ষ মাইকিং করতো তাহলে আমাদের আখ নিয়ে এত কান্নাকাটি করতে হতোনা। আমরা ক্ষেত থেকে আখ মাড়াইয়ের জন্য মিলে আনতাম না।’

    অপর আখচাষি নুরুজ্জামান গোলাপ বলেন, ‘আমি ২০ একর জমিতে আখ চাষ করেছি। এত পরিমাণ আখ চাষ করে আমি বিপাকে পড়েছি এখন। কৃষকদের এ বছর ভালোই লোকসান হবে। এত লোকসান গুনতে থাকলে এক সময় কোনো কৃষকই আর আখ চাষ করবে না ‘ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন,গত ২৪ ডিসেম্বর পঞ্চগড়,সেতাবগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁওয়ের ৫০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

    মাড়াই কাজ উদ্বোধনের পরদিন ভোর থেকে চিনিকলে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর প্রতিদিন দুই এক ঘণ্টা করে চিনিকল চললেও বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। এখন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মিলটি আর চলছেনা। ফলে মিলে আখ মাড়াই কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ আছে। সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে। সমস্যার বিষয়টি কৃষকদের জানাতে সোমবার সকাল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।’

    রাষ্ট্রয়াত্ব শিল্প রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের জেলা আহ্বায়ক মাহাবুব আলম রুবেল বলেন, ‘১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ঠাকুরগাঁও চিনিকল। এরপর থেকে আজ অবদি মিলটির যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন করা হয়নি।

    মিল কর্তৃপক্ষ আখ চাষিদের আখ উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করার কথা বললেও যন্ত্রপাতি আধুনিকায়নের দিকে তেমন কোন জোড়ালো ভূমিকা নেই। ফলে কৃষকরা এর কুফল ভোগ করছেন। মাড়াই না হওয়ায় আখ শুকিয়ে যাচ্ছে। লোকসানের মুখে পড়ছেন চাষিরা। এমন চলতে থাকলে এই মিলটিও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে।

  • বরগুনায় বাবার বন্ধু কর্তৃক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ।

    বরগুনায় বাবার বন্ধু কর্তৃক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ।

    অপু মিয়া,বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার সদর উপজেলায় দাদাবাড়ি যাওয়ার সময় বাবার বন্ধু(রিপন মিয়া) কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে চতুর্থ শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রী। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বরগুনা পৌরসভার চরকলোনী এলাকার বাসিন্দা।

    ১৮ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৬ টার সময় বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রিপন মিয়া (৩৫) একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

    ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় ফুলতলা গ্রামে দাদাবাড়ি যাওয়ার জন্য পৌরসভার মাছ বাজার সংলগ্ন রিকশা স্টান্ডে যায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ও তার বাবা। এসময় তার বাবার বন্ধু রিপনের সাথে দেখা হয়।

    স্কুলছাত্রীর বাবা রিপনের সাথে একই রিক্সায় উঠিয়ে দেয় ওই স্কুলছাত্রীকে। এরপর ফুলতলা স্কুলের সামনে খোলা যায়গায় রিক্সা থামিয়ে স্কুলছাত্রীর শরীরের গোপন জায়গায় স্পর্শ করে এবং জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। এসময় স্কুলছাত্রী চিৎকার দিলে এলাকাবাসীরা এসে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে রিপনকে গনধোলাই দেয়।

    এবিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার কাজ ছিলো তাই আমি রিপনের সাথে আমার মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম।কিন্তু রিপন আমার নাবাল্লক মেয়ের উপর বর্বরতা করছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। যাতে রিপনের মত এ রকম নরপশু আর এ ধরনের অপরাধ ও জঘন্যতম কাজ করতে সাহস না পায়।

    বরগুনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কে,এম তারিকুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এবিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবার থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত রিপন গণধোলাইয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল স্কুলছাত্রীর মেডিকেল টেস্ট করা হবে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • জাওয়াদের প্রভাবে মোংলা বন্দরে জাহাজের পণ্য খালাস সাময়িক বন্ধ।

    জাওয়াদের প্রভাবে মোংলা বন্দরে জাহাজের পণ্য খালাস সাময়িক বন্ধ।

    এম এইচ শান্ত,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টি, ভোগান্তিতে খেটে খাওয়া মানুষ বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে জাহাজের পণ্য খালাস সাময়িক বন্ধ ঘূর্ণিঝড় থেকে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে জাওয়াদ। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের উড়িষ্যায় গেলেও এর কিছুটা প্রভাব পড়েছে মোংলা ও সুন্দরবনের উপকূলে।

    জাওয়াদের কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ অবস্থায় গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

    জাওয়াদের প্রভাবে রবিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবারও (৬ ডিসেম্বর) বৃষ্টি অব্যাহত আছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

    এদিকে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত চাল, গম ও সারসহ ১২টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস সাময়িক বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

    বন্দর কর্তৃপক্ষের মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, রাতভর টানা বৃষ্টিতে পণ্যবাহী জাহাজে কাজ বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার কাজ শুরু হবে।

    ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পশুর ও মোংলা নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে সকাল থেকে নিরাপদ মাছধরা ট্রলারগুলো সুন্দরবনের ছোট ছোট খালসহ জেলার শরণখোলা, মোংলা ও বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি ফিশারি ঘাটে অবস্থান নিয়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন। শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

    পৌর শহরের শিকারীরর মোড়ের ভ্যানচালক নুরুজ্জামান ও মোস্তফা শেখ বলেন, দুই দিন ধরে বৃষ্টি পড়ছে। আজকে মনে করলাম বৃষ্টি থামবে। কিন্তু না, বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ দেখি না। আমরা গরিব মানুষ, বৃষ্টি ও শীতের মধ্যে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। আমাদের ছেলেমেয়ে আছে। তাই কষ্ট হলেও উপায় নেই।

    পৌরসভার ১ নম্বর জেটির চা দোকানি এনায়েত হাওলাদার বলেন, বৃষ্টিতে কেউ ঘর থেকেই বের হচ্ছে না। তাই বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে না।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখনও বৃষ্টি অব্যাহত। এমন অবস্থায় আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।

    আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটা আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। মোংলাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

  • বেলকুচিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২টিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন বন্ধ।

    বেলকুচিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২টিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন বন্ধ।

    সবুজ সরকার বেলকুচি(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের জন্য ৬ ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন ৩১ জন। যার মধ্যে রয়েছে আ’লীগের নৌকায় মনোনয়ন প্রাপ্ত ৬ ইউনিয়নের ৬ জন। এদের মধ্যে যাচাই বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দৌলতপুর ইউনিয়নের রফিকুল্লাহ ও বেলকুচি সদর ইউনিয়নের গাজী নুরুল ইসলাম বাতিল হিসাবে গন্য হয়েছে। পরবর্তীতে বেলকুচি সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী নুরুল ইসলাম আদালতে আপিল করলেও দৌলতপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্রপ্রার্থী রফিকুল্লা আদালতে কোন আপিল করেননি। এদিকে বেলকুচি সদর ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আপিল করলেও আদালত না মাঞ্জুর করেন।

    যার ফলে নির্বাচনের পূর্বেই ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী না থাকায় বেলকুচি সদর ও দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের কোন নির্বাচন হবে না । সেই সাথে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেনের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনিই একামাত্র প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন ।

    এ বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার রায়হান কুদ্দুস জানান, বেলকুচি সদর ও দৌলতপুর ইউনিয়নের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন হবে না। পাশাপাশি দৌলতপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কোন ইউপি (পুরুষ) সদস্য পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বাকীগুলোতে আমরা চেষ্টা করছি সুষ্ঠু ভাবে ভোট গ্রহনের । সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবো।

  • বেলকুচিতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বিয়ে।

    বেলকুচিতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বিয়ে।

    সবুজ সরকার,বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সালদাইর গ্রামে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উক্ত বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান।

    শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সালদাইর গ্রামে বরের বাড়ীতে সংগীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হন। তখন বরের বাড়ীতে কনে টাংগাইল সদর উপজেলার কাকুয়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী (১৩) এর সাথে সালদাইর গ্রামের তাঁত শ্রমিক (২২) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল।

    কনে অপ্রাপ্তবয়স্কা হয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে কনের পিতাকে ১০ হাজার ও বরের পিতাকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কনের পিতাকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝালে তিনি তার ভুল বুঝতে পারেন ও তার মেয়েকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা দেন।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি থানা অফিসার ইন চার্জ গোলাম মোস্তফা ও আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

  • বেলকুচিতে ৭ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও।

    বেলকুচিতে ৭ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোপরেখী গ্রামে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উল্লেখিত বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন,বেলকুচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান।

    সোমবার সন্ধায় দৌলতপুর ইউনিয়নের গোপরেখী গ্রামে বরের বাড়ীতে সংগীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হন। তখন বরের বাড়ীতে কনে বড়ধূল ইউনিয়নের তারাবাড়ীয়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী (১৩) এর সাথে দৌলতপুর ইউনিয়নের গোপরেখী গ্রামের তাত শ্রমিক (২৫) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল।

    কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিয়ে বন্ধ করে বরের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।কনের পিতাকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝালে তিনি তার ভুল বুঝতে পারেন ও তার মেয়েকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা দেন।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হাসান শেখ ও আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

  • বন্ধ পাটকল চালু ও পাওনা টাকা পরিশোধের দাবীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

    বন্ধ পাটকল চালু ও পাওনা টাকা পরিশোধের দাবীতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

    জাতীয় জুটমিলসহ বন্ধ করা ২৫টি পাটকল চালু ও পাওনা টাকা পরিশোধের দাবিতে সিরাজগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট)কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুট মিল গেটে শ্রমিক কর্মচারী সম্বনয় পরিশোধের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শুরু হয়।

    সমাবেশপ বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলর আহ্বায়ক বরকতউল্লাহ,বাসদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড নব কুমার কর্মকার, সিপিবি সিরাজগঞ্জ জেলা নেতা সুলতান আহমেদ সহ অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

    বক্তাগন বলেন বর্তমান সরকার নিজেদের শ্রমিক ও কৃষক বান্ধব ঘোষণা করলেও এরা মূলত ধনী শিল্প পতিদের সরকার যার কারনে এই মহামারী কালে ২৫টি পাটকল বন্ধ করেন ৭০ হাজার শ্রমিক কে বেকার করেছে তাদের পাওনা টাকা না দিয়ে না খায়িয়ে মারার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকল সচেতন মহলকে সোচ্চার হওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।

    বক্তারা অবিলম্বে বন্ধ মিল গুলি চালু শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ, এবং দুর্নীতির সাথে যুক্ত আমলাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি করেন।

    সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মাছিমপুর বাজারে এসে শেষ হয় ।

  • বেলকুচিতে স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন- ইউএনও

    বেলকুচিতে স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন- ইউএনও

    সিরাজগঞ্জেট বেলকুচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরদেলুয়া গ্রামে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চলমান কঠোর লকডাউনে এক দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কার্মকার্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করেন।

    রোববার (৮ আগষ্ট) রাতে বেলকুচি সদর ইউনিয়নের চরদেলুয়া গ্রামে কনের বাড়ীতে সংগীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান উপস্থিত হন।

    তখন কনের বাড়ীতে কনে চরদেলুয়া গ্রামের দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫) এর সাথে শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী গ্রামের তাত শ্রমিক (২৫) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী।

    কনে অপ্রাপ্তবয়স্কা।ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।কনের মাতাকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝালে তিনি তার ভুল বুঝতে পারেন ও তার মেয়েকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা দেন।

    এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হাসান শেখ ও আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

  • উল্লাপাড়া বোয়ালিয়া পশুর হাট বন্ধ।

    উল্লাপাড়া বোয়ালিয়া পশুর হাট বন্ধ।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মহামারী করোনাকালে বিনা অনুমতিতে রোববার উল্লাপাড়ার বোয়ালিয়ায় বসানো পশুর হাট বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

    উল্লাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান সেনা সদস্য ও পুলিশের সহযোগিতায় এ হাট বন্ধ করে দিয়েছেন। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঈদুল আযহাথর পরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পশুর হাট বসানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    বোয়ালিয়া পশুর হাটের ইজারাদার বুদ্ধু মিয়া জানান, তারা নিজেদের উদ্যোগে হাট বসাননি। গরুর ব্যবসায়ীরা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী রোববারের হাটের দিনে তারা অনেকগুলো গরু হাটে তোলে। এসময় ক্রেতারা সেখানে ভীড় জমায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে এসে হাট বন্ধ করে দেন।

    এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান জানান, বিনা অনুমতিতে বোয়ালিয়ায় হাট বসানো হয়েছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিদের্শে হাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

  • কলাপাড়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষক সমাবেশ; আমন বীজতলা তৈরি বন্ধ।

    কলাপাড়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষক সমাবেশ; আমন বীজতলা তৈরি বন্ধ।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । রবিবার বেলা ১১ টার দিকে পৌরশহরের সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কের মনোহরীপট্রিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক জি.এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যে দেন বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি খেপুপাড়া শাখার সাধারন সম্পাদক কমরেড নাসির তালুকদার, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক মো.রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার যুগ্নআহবায়ক শিক্ষক আতাজুল ইসলাম, সদস্য নয়নাভিরাম গাঈন, কৃষক মো. ইসমাইল হোসেন ও সফেজ উদ্দিন প্যাদা ।

    বক্তারা বলেনথ কলাপাড়ায় গত এক সপ্তাহের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের খাল,বিল নদী ,নালা পানিতে পানিতে টই-টুম্বর হয়ে আছে । মাছ শিকারের স্বার্থে এক শ্রেনীর মানুষ বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে । এতে হাজার হাজার কৃষক আমন বীজতলা তৈরী করতে পারছে না । অপরদিকে, যে কৃষক বীজতলা তৈরী করেছে তাও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে ।

    এছাড়াও জলাবন্ধতার কারনে অধিকাংশ কৃষকের বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে । বক্তারা এ বাঁধ কেটে অচিরেই জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।