Tag: বন্ধ

  • বাঘায় লাইসেন্সের না থাকায়  দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ।

    বাঘায় লাইসেন্সের না থাকায়  দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ।

    বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
    রাজশাহীর বাঘায় ৪ মার্চ সোমবার উপজেলার আড়ানী পৌর শহরের বাজার এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের বিধিমালা পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করে জাহানারা ডায়াগনস্টিকস সেন্টার ও নাজিয়া ডায়াগনস্টিকস সেন্টার নামের দু’টি ডায়াগনস্টিক সেন্টাকে বন্ধ করে করে দিয়েছেন।

    এ সময় তিনি জানান,তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের  লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকা ও স্বাস্থ্য বিভাগের বিধিমালা লঙ্ঘনের অপরাধে ডায়াগনস্টিক সেন্টার দুটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাদের লাইসেন্স নেই কিংবা অনেক আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

    জানা যায়,উপজেলায় ২৫ টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যাদের বেশির ভাগই লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তির্ন হয়েগেছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অস্ত্রপচারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়াই চলছে অধিকাংশ ক্লিনিক।

    ২০২২ সালের ৩০ মে মেয়াদ উত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার ও অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডায়াগনস্টিক পরিচালনা করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯/৫২ ধারা মোতাবেক সাতটি ক্লিনিক ও ডায়াগসষ্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
    ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর উপজেলার হিজলপল্লী গ্রামের মোজাম্মেল হকের স্ত্রী যুথি বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে উপজেলা সদরে স্থানীয় ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। এ সময় প্রসূতির সিজার করে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর রিলিজ দেয়ার পর শিশুটি অসুস্থ্য হওয়ার পর ওই ক্লিনিকে ভর্তি করার পরে শিশুটির মৃত্যু হয়।

    ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর লালপুর উপজেলার দুড়দুড়ি গ্রামের আলো খাতুন নামের এক প্রসূতির সিজার অপরেশনের কয়েক ঘন্টা পর নবজাতককে রেখে মারা যান। ২০১৬ সালের ১২ আগষ্ট জরায়ুর অস্ত্রোপচারের পর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সনেকা বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে পরের দিন তিনি মারা যান।

    ২০১৫ সালের ১৪ আগষ্ট হার্নিয়া অপরেশনের তিনদিন পর বাজুবাঘা ইউনিয়নের আহমোদপুর গ্রামের আজগর আলী মারা যান। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পানিকুমড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের স্ত্রী চাম্পা বেগমের সিজার অপরেশনের পর মারা যান।

  • উল্লাপাড়ায় ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে দাদন কারবারি-থানায় অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে দাদন কারবারি-থানায় অভিযোগ।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর শহরের বাজার গলির হাটখোলা রোডে অবস্থিত মেসার্স হাসান ভ্যারাইটি ষ্টোর নামক দোকানটি জোড়পূর্বক বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দাদন কারবারি মনোয়ার হোসেন (২৮)’র বিরুদ্ধে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বেলা ১২ টার দিকে হাসান ভ্যারাইটি স্টোর নামক ঐ দোকান চলাকালে জোড় করে বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেয় দাদন কারবারি। মনোয়ার উল্লাপাড়া পৌরশহরের কাওয়াক মহল্লার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। হাসান স্টোরের মালিক ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পাচ্ছে না এর কোন প্রতিকার। স্থানীয় বণিক সমিতির নেতারা হাসানকে প্রাথমিক ভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এব্যাপারে শুক্রবার রাতে থানায় বাদী হয়ে মনোয়ারকে অভিযুক্ত করে মাহমুদুল হাসান একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

    বাদীর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উল্লাপাড়া পৌর শহরের বাজার গলির হাটখোলা রোডে মেসার্স হাসান ভ্যারাইটি স্টোর নামে তার একটি ভাড়া নেওয়া ইলেকট্রিক দোকান রয়েছে। হাসান অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তার ছোট ভাই আব্দুল ওয়াহেদকে মাসিক বেতনে কর্মচারি রেখে দোকান পরিচালনা করেন। বেশকিছু দিন ধরে অভিযুক্ত সুদ কারবারি মনোয়ার তাকে (হাসান) জানায় তার ভাই ওয়াহেদ ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে নিয়েছে। টাকাগুলো তাকে পরিশোধ করতে হবে। এরপর হাসানের দোকানে এসে ও মোবাইল ফোনেও একাধিকবার টাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করে মনোয়ার। হাসান বলে আপনি যাকে টাকা দিয়েছেন তার কাছ থেকে টাকা নিন। এর পরেও মনোয়ার টাকার জন্য হাসানকে নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ঘটনার দিন ১৯ ফেব্রুয়ারী সোমবার মনোয়ার তার লোকজন নিয়ে এসে কর্মচারীদের দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকানে তালা লাগিয়ে জোড়পুর্বক বন্ধ করে দেয়।

    হাসান আরও অভিযোগ করে বলেন, এই সুদ কারবারি অবৈধভাবে তার দোকানটি প্রায় ৬ দিন ধরে বন্ধ করে দিয়েছে। এতে তিনি ব্যবসায়িক ভাবে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সময় হাসান আবেগাল্পুত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন অনেক দ্বারে ঘুরেও দাদন ব্যবসায়ী মনোয়ারের অবৈধ কর্মকান্ডের বিচার পাননি তিনি। কেউ নেই এই দাদন কারবারির বিচার করার মতো।

    এব্যাপারে অভিযুক্ত মনোয়ারকে গণমাধ্যম কর্মীরা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আমি কাউকে ভয় দেখাইনি এবং কারো দোকানে তালা লাগাইনি।

    বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদুজ্জামান কাকন জানান, ভুক্তভোগী হাসানকে প্রাথমিক ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। পরে সমিতিতে মিটিং করে এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • রাণীশংকৈলে ইটভাটা বন্ধের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ।

    রাণীশংকৈলে ইটভাটা বন্ধের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

    ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে একটি ইটভাটা বন্ধের দাবীতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের মহেষপুর এলাকার শতাধিক বাসিন্দা। জেলা প্রশাসক ছাড়াও ওই দরখাস্তের অনুলিপি দিয়েছেন বন পরিবেশ মন্ত্রণালয়, সচিব বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়,বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর,বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দিনাজপুর, জেলা শিক্ষা অফিসার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবরে।

    অভিযোগের সাথে ওই এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইটভাটার কারণে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ্য করে ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়ে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন।

    গত ১৮ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে দেওয়া অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ বছর যাবত পূর্ব মহেষপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মাহাতাব উদ্দীন ও তার ছেলে জসীম উদ্দীনসহ কয়েকজন মিলে আবাদী জমিতে জে.এম.কে  নামক ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা করছে। সেখানে ইটভাটার কারণে আশপাশের আম লিচুসহ বিভিন্ন বাগানের ফল ভালো হচ্ছে না। আবাদী জমিতে ফসল ভালো হচ্ছে না। তারা অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করেন,জে.এম.কে ভাটার পাশে ফোর স্টার নামক ইটভাটা রয়েছে। দুটি ইটভাটার কারণে এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচলে খুব সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া রাস্তার পাশে ইটভাটার মাটি স্তুপ করে রাখায় রাস্তায় গাড়ী চলাচলে ধুলোবালু সৃষ্টি হয়।

    ইটভাটা দুটির আধা কিলোমিটারের মধ্যে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানকার শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া ইটের গাড়ী চলাচলের কারণে রাস্তা দিয়ে চলতে নিরাপদবোধ মনে করে না। ইটভাটার ধোয়ায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ। তাই ওই ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরের অভিযোগের সাথে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন।

    অভিযোগকারীদের মধ্যে ১ম স্বাক্ষরকারী নুর আলম বলেন, ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় ঘরের টিন নষ্ট হয়ে যায়। রৌদে বাসাবাড়ীর কাপড়ের উপরে ছাই এসে পড়ে। ফসলের মাঠ আমের বাগানের পরিবেশ নষ্ট করেছে ইটভাটা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গেল বছর যেমন মাঠের ফসল ভালো হয়নি। একইভাবে আমের ফলনও খুব একটা বেশি ভালো হয়নি। তাই তিনি মহেষপুর এলাকার স্বার্থে ইটভাটা বন্ধের দাবী জানান।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জে.এম.কে ও ফোর স্টার ইটভাটা দুটি মীরডাঙ্গী বাজার থেকে মহেষপুর গ্রামের প্রবেশ পথে। এখানে এলজিইডি কর্তৃক পাকা রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তার দু,পাশেই ইটভাটা দুটি।  রাস্তার পাশেই ইটভাটার সংরক্ষিত মাটি স্তুপ করা রয়েছে। ইটভাটার গাড়ীগুলো অনায়াসে উঠানামা করছে। গাড়ী চলাচলের সাথে সাথে ব্যাপক ধুলোবালু উড়ছে। ইটভাটা দুটির পাশে একর একর আবাদী জমি ও আম বাগান রয়েছে। কৃষি জমির ঠিক মাঝেই ইটভাটা পরিচালনা হচ্ছে।

    ফোর ষ্টার ইটভাটার স্বত্তাধিকারী হিমেল আলী বলেন, নিয়ম মেনেই ইটভাটা করা হচ্ছে। তার ইটভাটার লাইসেন্স রয়েছে।

    জেএমকে ইটভাটার স্বত্তাধিকারী জসিমউদ্দীন বলেন, উদ্যোশ্যে প্রণিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় ধুলোবালু না উড়ানোর জন্য সব সময় পানি দেওয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাণীশংকৈলের আর ১০টি ইটভাটা যেভাবে চলছে তার ইটভাটাটিও সেভাবে চলছে।

    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলায় কোন ইটভাটার লাইসেন্স নেই। লাইসেন্সহীন ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১টি ইটভাটায় অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে।

    ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধে বালিয়াডাঙ্গী বিএনপি’র বিবৃতি।

    মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধে বালিয়াডাঙ্গী বিএনপি’র বিবৃতি।

    বিএনপির নামে করা মিথ্যা মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি বিবৃতি দিয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. দবিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একদফা আন্দোলনের মহানায়ক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র সন্মানিত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যার, জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সম্প্রতি আটক সকল কেন্দ্রীয় ও ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি এস এম সফিকুল ইসলাম, পাড়িয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন আলম মিলার, আমজানখোর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম মানিক, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ আবু সায়েদ, ধনতলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাজিরুল ইসলাম, ধনতলা ওয়ার্ড বিএনপির নেতা শরিফউদ্দীন, বিএনপি’র ওয়ার্ড নেতা মিঠু,আব্দুল ওহাব ও আনোয়ারসহ আটককৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ড.টি.এম মাহবুবর রহমানের আদেশক্রমে বিবৃতি প্রদান করছি।

    বিগত নির্বাচনের ন্যায় এবারেও নির্বাচনের পূর্ব মূহুর্তে সৃষ্ট গায়েবি মামলার অবতারণা করে নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত বাড়িছাড়া করার অপচেষ্টা চলছে। যা গণতন্ত্রে, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির পরিপন্থী এবং ২০১৪ সালের একতরফা ও ২০১৮ সালের নৈশ ভোটের মতো আরেকটি প্রহসনের ভোট গ্রহনের পূর্বাভাস। এহেন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

    সকলের মনে রাখা উচিৎ, যেকোন ফ্যাসিবাদী সরকার জনগনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারেনা। তাই গণবিরোধী অপতৎপরতা পরিহার করে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে হাঁটাই সমীচীন। নইলে গণরোষ বিশ্ব ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেবে। যেটা কারোর জন্যই শুভকর হবেনা।

    অন্যদিকে বিএনপিসহ সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকগণকে অত্যন্ত ধৈর্য্যের সহিত পরিস্থিতি মোকাবেলার আহবান জানানো যাচ্ছে।

  • দুই মাস হলো সবার বেতন-ভাতা বন্ধ-মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা।

    দুই মাস হলো সবার বেতন-ভাতা বন্ধ-মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা।

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৭০ জন চিকিৎসক-নার্স ও কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে ২ মাস ধরে। পূর্বের কর্মকর্তা বদলীর পর যোগদান করা নতুন কর্মকর্তা শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্র না নিয়ে আসায় এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। এতে ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবাদান কার্যক্রম, ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের।

    গেল মাসে যোগদান করা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অবহেলার কারণে বেতন ভাতা বন্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক-নার্স কর্মচারীদের। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অনলাইনে শেষ বেতনের প্রত্যয়নপত্রের হার্ডকপি হাতে না পাওয়ার কারণে বেতন-ভাতা প্রদানে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এতে তাঁর কোন হাত নেই।

    এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজায় বেতন-বোনাস না পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরর্ত ১৩ জন সনাতন ধর্মের চিকিৎসক ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের আনন্দ ম্লান হয়েছে। নাম প্রকাশ না শর্তে সনাতন ধর্মের কয়েকজন কর্মচারী জানান, উচ্চ পদে যারা চাকরি করেন, তাদের পয়সার অভাব নেই। এদিকে ওদিক করে তারা চলতে পারে। আমরা কর্মচারী, দিনশেষে বেতন-বোনাসের টাকা দিয়ে চলতে হবে। এবার পূজোয় বাচ্চাদের সামনে দাঁড়াতে পারিনি।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্বে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমাসের বদলীর পর গত ০১ সেপ্টেম্বর ডা. শাকিলা আক্তারকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়। ওই আদেশে ০৭ কার্যদিবসের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের কথা থাকলেও কর্মস্থলে যোগ দেন ১৩ সেপ্টেম্বর।

    হাসপাতালের কর্মচারী ও সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, যোগদানের পর থেকে নিয়মিত অফিস করেন না উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাকিলা আক্তার। তার অনুপস্থিতির সুযোগে জরুরী বিভাগ, ইনডোর ও আউটডোরে শুরু হয়েছে অব্যবস্থাপনা। নিয়মিত বসছে না চিকিৎসক, ঘুরে যেতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা রোগীদের।

    বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের লেদু রাম তার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। দুপুর ২টায় তার স্ত্রীকে নিয়ে ফিরে হাসপাতাল গেটে জানান, ‘অফিসারের দরজাখান বন্ধ, এইতানে বাকি ডাক্তারদের কুনো খবর নাই। দেড় ঘন্টা বসে থাকে বাড়িত যাচু, কাইল ঠাকুরগাঁও যাবা হবে, এ ছাড়া আর কুনো রাস্তা নাই।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, ১১ জন চিকিৎসক, ৩৪ জন নার্স ও ১২৫ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতা বন্ধের কারণে অনেক কর্মচারীর পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে মাসের ২৫ তারিখে হিসাব রক্ষন অফিসে চলতি মাসের বিল সাবমিট করার কথা থাকলেও এলপিসির কারণে সেটি জমা হয়নি। তাই অক্টোবর মাসের বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  প্রধান হিসাব রক্ষক ওয়ালিউল্লাহ লিটু জানান, শেষ বেতনের প্রত্যয়নের (এলপিসি) অনলাইন কপি আসলেও হার্ড কপি হাতে না পাওয়ায় পুঁজার পূর্বে বিলটি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। এতে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া উপায় নেই।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শাকিলা আক্তার বৃহস্পতিবার রাতে মুঠোফোনে জানান, অফিসে নিয়মিত না আসার অভিযোগ ম্যিথা। তাছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রধান কর্মকর্তার বদলী হলে বেতন-ভাতা নিয়ে এ ধরণের জটিলতা তৈরি হয়, আমাদের বেলাও তাই হয়েছে। ১৭০ জনের বিল-বেতন বন্ধ, বিষয়টি খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই। তাছাড়া অনলাইন এলপিসি দিয়ে হিসাব রক্ষন বিল ছাড় দিচ্ছে না। তবে এ সমস্যা কবে সমাধান হবে? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে পারেনি।

    জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা: নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, ফাজলামি শুরু করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। আমি অনেকবার বলেছি, এখন আবারও বলতেছি। কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রাখার অধিকার কারো নেই।

  • রাণীশংকৈলে রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী।

    রাণীশংকৈলে রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন একটি নতুন সড়ক নির্মাণে অনিয়ম করার অভিযোগে সেই সড়কের নির্মাণ কাজ আটকে দিয়েছেন ওই এলাকার বাসীন্দারা।

    উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধারই খুটিয়াটলি খেড়বাড়ী হতে বনগাঁও স্কুল পপর্যন্ত কাঁচা সড়কে এ নির্মাণ কাজ চলছে। উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ৫৭০ মিটার নতন সড়ক নির্মাণের কাজটি ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯১ টাকায় চুক্তি বদ্ধ হয়েছে ঠাকুরগাঁও ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম রুমান।

    সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাস্তায় বালু’র বদলে রাবিশ মাটি বালু, নিন্ম মানের ইটের খোয়া দিয়ে সাব-ব্যাচের কাজ সম্পূর্ণ করা । বালু ফিলিং এ রাবিশ বালু ব্যবহার করা ও সর্বশেষ বর্তমানে সড়কের দুই ধারের এজিং এ নিন্মমানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগে বার বার উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারকে কাজের অনিয়মের কথা বলেও কোন লাভ না হওয়ায় স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ আটকে দিয়ে।সড়ক নির্মাণ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।

    ওই এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ কবির জানান, দীর্ঘদিন পর নতুন সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। তবে কাজটি ভালো হচ্ছে না। রাবিশ বালু দিয়ে খোয়া বিছিয়েছে। এখন আবার তিন নাম্বার ইট দিয়ে এজিং দিচ্ছে। আরেক বাসিন্দা বাহাদুর রহমান বলেন, রাস্তার সাইডে এমন ইটের এজিং দিচ্ছে যা একটি মোটরসাইকেলের চাকা দিয়ে বেশি আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যাবে। ইটে ইটে আঘাত দিলে ইট ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যাচ্ছে। সবুর নামে একজন বলেন, বালু’র বদলে রাবিশ বালু মাটি সাব ব্যাচে ব্যবহার,ঠিক মত রোলার না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ায় কাজ আটকে দিয়েছে এলাকাবাসী।

    সেখানেই কথা হয় সড়ক নির্মাণ শ্রমিক সাইদের সাথে তিনি বলেন, এলাকার লোকজন রাস্তার কাজ খারাপ হওয়ার কারণে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই কাজ বাদ দিয়ে মাহাজনের অপেক্ষায় বসে রয়েছি। আরেক নির্মাণ মিস্ত্রি রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু ইট খারাপ আছে। তবে এলাকার লোকজন কাজ না করতে দিলে আমরা কাজ করবো না।

    ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তদারককারী সাজু ইসলাম বলেন, ইট তো খারাপ হওয়ার কথা না। যদি খারাপ হয় তাহলে ইট পরির্বতন করা হবে।

    ওই সড়কের কাজ তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা এলজিইডির সার্ভেয়ার আলী হোসেন বলেন, ইট খারাপ হলে ঠিকাদারকে পরির্বতন করতে বলা হবে।

    উপজেলা প্রকৌশলী মাঈনুল ইসলাম বলেন, ওই ঠিকাদারের কাজটি নিয়ে খুব বিপদে আছি, ওই এলাকা(বনগাঁও) থেকে প্রায় দশজন মানুষ কাজের অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) ফোন দিয়েছে। কাজের বিষয়টি গুরত্ব সহকারে দেখা হবে।

  • পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধের বিকল্প নাই-পরিবেশমন্ত্রী।

    পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধের বিকল্প নাই-পরিবেশমন্ত্রী।

    মৌলভীবাজারের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধের বিকল্প নাই। ছাদ কৃষি ও সামাজিক বনায়নয়ের মাধ্যমে দেশের মোট বনায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে মৌলভীবাজারে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
    মন্ত্রী আরও বলেন, জলাবায়ু ও উঞ্চতা নিয়ত্রনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাড়ে ২০ কোটি গাছ লাগানো হবে, এতে করে বৃষ্টি হবে ও উঞ্চতা কমবে। এছাড়াও পলিথিন বন্ধে নানা প্রদক্ষেপের কথা জানিয়ে বলেন, উপক’ল অঞ্চলের ৮টি জেলার ৪০টি উপজেলায় পলিথিন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সারা দেশে করা হবে। এসময় পৌরসভার পলিথিন ক্রয় এর কথা উল্লেখ করে বলেন, এটা একটা মডেল, এটা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে, পলিথিন থেকে তেল তৈরীর ব্যবস্থাও নেয়া হবে। এসময় তিনি বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত এসডিজি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনও গাছই কাটা যাবেনা, এটা সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।
    মঙ্গলবার ২৫ জুলাই ২০২৩ইং, সকাল সাড়ে ১০ টার সময় পৌরসভার পুকুরে পোনা মাছ উন্মোক্ত করেন। পরে সরকারী স্কুল মাঠে ফিতাকেটে ও বেলুন উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন। আবার পৌরসভা থেকে একটি বন্যাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পরে শিল্পকলা একাডেমিতে এসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার রাজনগর- ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ, সৈয়দা জহুরা আলা উদ্দিন এম পি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন-সহ প্রমুখ।
    এছাড়াও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বৃক্ষমেলায় সরকারী ও বেসরকারী মিলিয়ে ২২টি স্টল অংশ গ্রহন করেছে। মেলাস্থলে মন্ত্রী, এমপি ও জেলাপ্রশাসক ৩টি গাছের চারা রোপন করেন।
  • বেলকুচিতে সভাপতি-ব্যাংক ম্যানেজারের যোগসাজশে অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বেতন ভাতা বন্ধ।

    বেলকুচিতে সভাপতি-ব্যাংক ম্যানেজারের যোগসাজশে অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বেতন ভাতা বন্ধ।

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সোনালী ব্যাংকের ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখা ব্যাবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেলের যোগসাজশে অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

    গভর্নিং বডির সদস্য ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ সাথে দীর্ঘ দিন ধরে দন্দ্ব চলে আসছে। আর এই দন্দ্বে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাসুদ রানাকে বেআইনী ভাবে অব্যহতি দিয়ে উপাধ্যক্ষ কে,এম খালেকুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।

    পরে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা অব্যাহতি বেআইনী ঘোষনা চেয়ে বিজ্ঞ বেলকুচি সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীত্বে উক্ত আদেশের ব্যাপারে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা মহামান্য হাইকোর্ট সিভিল রিভিশন ৫০৬/২৩ নম্বর মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় মহামান্য হাইকোট দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ পদের ব্যাপারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য গভর্নিং বডির সভাপতিকে আদেশ প্রদান করেন।

    এরপর থেকে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়। গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সোনালী ব্যাংকের ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখা ব্যাবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেলের যোগসাজশে কাটা ও ফ্লুইড রেজুলেশন তৈরি করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের স্বাক্ষরে তাদের অনুসারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। আর অধ্যক্ষ মাসুদ রানা, ল্যাব সহকারী শরিফুল ইসলাম, প্রদর্শক তন্ময় কুমার শীল ও প্রভাষক উম্মে রুমানের জুন মাসের বেতন ভাতা বন্ধ করে রেখেছেন।

    এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা জানান, উচ্চ আদালতের আদেশকে উপেক্ষা করে সভাপতি যে কাজ করছেন সেটা যেমন অমানবিক তেমনি আদালতের রায়ের স্পষ্ট লংঘন পাশাপাশি পেশী শক্তির চরম অপব্যবহার।

    পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা জানান, অধ্যক্ষ ও সভাপতির দন্দ্বের কারনে সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম চরমভাবে নষ্ট করেছেন এবং তারা এই প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন।

    এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেল জানান, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ভারপাপ্ত অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত কাগজে যাদের নাম ছিল তাদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়েছে। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ পেয়েছি। তবে নির্দেশনাটা অস্পষ্ট। কলেজের রেজুলেশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

    এবিষয়ে ঐ কলেজের উপাধ্যক্ষের নিকট অন্যান্য শিক্ষকদের বেতনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতি বছর জুন মাসে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর দিতে হয়, তাই যারা অঙ্গীকারনামায় সাক্ষর করেনি তাদের বেতন হয়নি।

    এব্যাপারেগ ভর্নিং বডির সভাপতির সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

  • রাণীশংকৈলে জীবিত মহিলাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধের অভিযোগ।

    রাণীশংকৈলে জীবিত মহিলাকে ‘মৃত’ দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধের অভিযোগ।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জেলেখা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বিগত ৫ মাস যাবত তিনি বয়স্ক ভাতাবঞ্চিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    অপরদিকে তার নাম পরিবর্তন করে আমিনা নামে অন্যজনকে বয়স্ক ভাতার কার্ড বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার বাদশার বিরুদ্ধে।  রানীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলেখা বেগম নন্দুয়ার ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের আ: রহিমের স্ত্রী। তিনি অত্যন্ত গরিব হওয়ায় পুর্বের চেয়ারম্যান ওই বৃদ্ধার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন।

    ভুক্তভোগী জানান, আমি ভাতার কার্ড পাওয়ার পর থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ১ হাজার ৫শ টাকা করে পেয়েছিলাম। কিন্তু গত তারিখে আমার টাকার কোনো মেসেজ না আসায় আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে আমিনা নামে ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন মেম্বার বাদশাহ ।যা তারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দেয়া প্রত্যায়ন পত্র পেয়ে নিশ্চিত করেছেন।

    ইউনিয়ন পরিষদে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৃত্যুর নিবন্ধন বইয়ের ২০২১ সালের রেজিস্ট্রারে বৃদ্ধার মৃত্যু নিবন্ধিত নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এমন একটি সনদ দেয়ায় তার ভাতাটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

    এ বিষয়ে  আরও বলেন, আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার বাদশাহ আমাকে মৃত দেখিয়ে আরেকজনের নামে কিভাবে টাকা খেয়ে ভাতার টাকা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি জীবিত থাকার পরও মেম্বার আমাকে মৃত দেখাল। আমি গরিব মানুষ। আমার কোন ছেলেমেয়ে নাই। এই টাকা দিয়ে ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছি। আমি এর বিচার চাই।

    এ বিষয়ে মেম্বার বাদশাহ বলেন, প্রথমবারের মতো এমন ভুল করেছি। সামনের দিকে সর্তকতার সাথে কাজ করব।

    এ বিষয়ে নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী বলেন, জীবিত মানুষ মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে মেম্বার যদি করে থাকেন তাহলে খুবই খারাপ করেছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত, একটি প্রত্যয়ন পত্রের ভিত্তিতে জানতে পারি, জেলেখা বেগম ৭ ডিসেম্বর ২০২১ এ মৃত্যু বরণ করেন। তাই ভাতাটি বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মৃত্যু সনদ ছাড়া ভাতা পরিবর্তনের সুপারিশ দ্বারা কিভাবে এটি হয়, যেখানে বিধিমালায় উল্লেখ রয়েছে। (ভেরিফাই ডট ডি বি আর আই এস ডট গভ ডিবি) ওয়েবসাইটে মৃত্যু সনদ যাচাই ছাড়া সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর কাউকে মৃত্যু দেখাতে পারবেনা। সাংবাদিকের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এভাবেই হয়। আমরা এভাবেই করে থাকি, প্রত্যায়ন পত্র দেয় উনারা এটি প্রতিস্থাপন করে থাকি।

    এ ছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজসেবা অফিসে প্রেরিত প্রত্যায়নটির কোন তথ্য ইউনিয়ন পরিষদের ফাইলে সংরক্ষন করা হয়নি।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, এটি সংশোধনের কার্যক্রম চলমান। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন,এটি একটি  গুরুত্বর অভিযোগ। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

  • লক্ষ্মীপুরে মডার্ন হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ।

    লক্ষ্মীপুরে মডার্ন হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ।

    লক্ষ্মীপুরে মডার্ন হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ।


    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলাতে মডার্ণ হাসপাতালে (প্রা.) ডিপ্লোমা নার্স না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন আহম্মদ কবির লিখিতভাবে এ নির্দেশনা দেন।

    লিখিত নির্দেশনাটি উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক (স্যানিটারি ইন্সপেক্টর) মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদের কাছে হস্তান্তর করেন।

    এতে উল্লেখ করা হয়, ‘হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকলেও কোনো ডিপ্লোমা নার্স নেই। পূর্বে নিয়োগকৃতরা চলে যাওয়ার পর নতুন কোনো ডিপ্লোমা নার্স নিয়োগ করা হয়নি। ডিপ্লোমা নার্স ব্যতিত হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করা অবৈধ। ফলে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।

    হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ বলেন, আমাদের দুজন ডিপ্লোমা নার্স রয়েছে। ঈদের ছুটি ও পারিবারিক ব্যস্ততা থাকায় তারা আসতে পারেনি। তবে দ্রুত তারা হাসপাতালে উপস্থিত হবেন।

    উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, নার্স না থাকায় হাসপাতালটি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোমা নার্স নিয়োগ দিয়ে হাসপাতাল চালুর জন্য লিখিতভাবে আবেদন করতে বলা হয়েছে