Tag: প্রতিবাদ

  • ওলামা সম্মেলনে বাধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, আইম্মা পরিষদের দাবী ও কর্মসূচি।

    ওলামা সম্মেলনে বাধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, আইম্মা পরিষদের দাবী ও কর্মসূচি।

    ওলামা সম্মেলনে বাধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, আইম্মা পরিষদের দাবী ও কর্মসূচি।


    কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক দেশের সম্মানিত ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে বানোয়াট শ্বেতপত্র এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক ওলামা সম্মেলন আয়োজনে প্রশাসনিক বাঁধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
    .
    আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসুলিহিল করীম, আম্মাবাদ।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
    অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

    আপনারা জানেন, গত ১২ মার্চ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কর্তৃক গঠিত কথিত গণকমিশন একটি শ্বেতপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেছে। ১২ মে সেই শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে দুদকে তারা নালিশও করেছে। ঘাদানিকের সেই শ্বেতপত্রে ভিত্তিহীন, বিদ্বেষপূর্ণ মিথ্যাচার করা হয়েছে। ভুল তথ্য ও ব্যাখ্যা হাজির করা হয়েছে। ইতিহাসের বিকৃতি করা হয়েছে। দেশের সম্মানিত নাগরিকদের মানহানি করা হয়েছে। দেশের কোটি মানুষের চর্চিত আচারকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। স্বভাবতই যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

    একই সাথে যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে, তাদের অধিকার রয়েছে সেই মিথ্যাচারের জবাব দেওয়ার।
    জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ওলামাদের সম্মিলিত মঞ্চ হিসেবে এই মিথ্যাচারের জবাব দেওয়ার লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে। আমরা গত ১৬ মে সংবাদ সম্মেলন করে শ্বেতপত্রের আইনী ও নৈতিক ভিত্তিহীনতা তুলে ধরেছি। গত ২৮ মে নাগরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে নাগরিক বিশ্লেষণ জাতির সামনে তুলে ধরেছি। সর্র্বশেষ শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা ওলামাদের মুখ থেকে উত্থাপিত মিথ্যাচারের উত্তর জাতির সামনে তুলে ধরতে আজকে ওলামা সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল।
    জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ শ্বেতপত্রে উল্লেখিত আলেমদের মধ্যে যারা কারাবন্দি নয় এমন সকল আলেমের সাথে সমন্বয় করেছে এবং তারা সকলে এই সম্মেলনে উপস্থিত থেকে শ্বেতপত্রের মিথ্যাচারের উত্তর দিতে প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন।

    যেসব মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাদের অধিকাংশের প্রতিনিধিগণ ওলামা সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সামগ্রিকভাবে শ্বেতপত্রে যাদের দিকে অভিযোগের তীর ছোড়া হয়েছিল এমন সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এক অভূতপূর্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    সংবিধানের ধারা ৭(ক)-এ জনগণকে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক বলা হয়েছে। ধারা ৩৭ এ প্রত্যেক নাগরিককে সভা সমাবেশ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
    ধারা ৩৯ এ সকল নাগরিককে কথা বলার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এসব সাংবিধানিক অধিকার বলে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের চিরন্তন নীতি অনুসরণে শ্বেতপত্রে যে সব আলেমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে তাদের কথা বলা, সম্মেলন করা খুবই যৌক্তিক কর্মসূচি ছিল।
    কিন্তু দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, আমরা সভা-সমাবেশ, সম্মেলন করার সকল নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা সত্ত্বেও একেবারে শেষ মুহূর্তে আমাদের সম্মেলন করার পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। আমরা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশনে হল বুকিং দেওয়া সহ যথাযথ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসরন করেছিলাম। কিন্তু শেষ মুহুর্তে তা বাতিল করা হয়। এর পরে আমরা গতকাল তাৎক্ষনিক জাতীয় প্রেসক্লাবেও হল বুকিং করি। কিন্তু ঘন্টাখানেকের মধ্যেই তা বাতিল করা হয়।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    আমরা জানি, জাতীয় প্রেসক্লাব মতামত প্রকাশের একটি উন্মুক্ত স্থান। কিন্তু সেখানেও কোন এক অশুভশক্তির কুটচালে আমাদের সম্মেলনকে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের মত একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এধরণের আচরনে আমরা ব্যাথিত ও বিস্মিত।
    স্বাধীনতার ৫১তম বছরে এসে সংবিধানের এমন লঙ্ঘন ও মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আমরা তীব্র  ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    আধুনিক জাতি রাষ্ট্রে বিভিন্ন নাগরিক বর্গের মধ্যে চিন্তা-চেতনার মধ্যে ইতিবাচক-নেতিবাচক মিথস্ক্রিয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এখানে রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো, পরস্পর বিরোধী চিন্তার মধ্যে যেন সংঘর্ষ না বাঁধে তা নিশ্চিত করা। কারো মানহানি না হয়, তা নিশ্চিত করা এবং সকল বর্গের জন্য সুযোগ সমান রাখা। এটা জাতি রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলক নীতি। আমরা তীব্র বেদনার সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলাদেশ সরকার এই সর্বজনবিদিত নীতি রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি নির্লজ্জভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। ঘাদানিক দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও দেশের সবচেয়ে বিস্তৃত সামাজিক প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা এবং দেশের সার্বজনীন সংস্কৃতি ওয়াজ মাহফিলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন বিদ্বেষপূর্ণ মিথ্যাচারে ভরপুর শ্বেতপত্র প্রকাশ করল। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল মন্ত্রী তার মোড়ক পর্যন্ত উন্মোচন করলেন।
    কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলো, তাদেরকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের সম্মেলন করতে দেয়া হচ্ছে না। এরচেয়ে নির্লজ্জ পক্ষপাত ও বিদ্বেষমূলক আচরন আর কি হতে পারে।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    শ্বেতপত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজনকে সাম্প্রদায়িকতার উৎস বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রধান সমস্যা ভোটাধিকার হরণ, নাগরিক পরাধীনতা, দরিদ্রতা, জননিরাপত্তাহীনতা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি,কল্পনাতীত দুর্নীতি, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক হানাহানিকে আড়াল করতেই কথিত সাম্প্রদায়িকতাকে মুখ্য করে তোলা হয়েছে। একই সাথে মানব ইতিহাসের নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের ভেতরে কথিত সন্ত্রাসবাদকে আলোচ্য বিষয় বানিয়ে মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধের বৈধতা দেওয়ার একটি অশুভ প্রয়াস শ্বেতপত্রে লক্ষনীয়।

    সামগ্রিক বিবেচনায় আমরা মনে করি যে,
    ১) কথিত শ্বেতপত্র বাংলাদেশের গণ-মানুষের হাজার বছরের চর্চিত ধর্ম-বিশ্বাস, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিরোধী একটি অপচেষ্টা।
    ২) শ্বেতপত্রটি বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক প্রস্তাবনার বিরোধিতা করেছে। মৌলিক প্রস্তাবনাকে সাম্প্রদায়িকতার সূত্র বলে অপব্যাখা করেছে। ফলে এই শ্বেতপত্র সংবিধান বিরোধী।
    ৩) কথিত শ্বেতপত্র মানব সভ্যতার প্রধান ভিত্তি নাগরিক স্বাধীনতা, অধিকার ও মর্যাদার নীতি লঙ্ঘন করে নাগরিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সার্বজনীন মানবাধিকার লংঘনের অপরাধ করেছে।
    ৪) এই শ্বেতপত্র স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের চেতনাকে আঘাত করেছে।
    ৫) কথিত এই শ্বেতপত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত অপরাধ এবং ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি অশুভ চেষ্টা।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    আপনাদের মাধ্যমে আমরা আবারো একটি কথা স্পষ্ট করতে চাই যে, এই শ্বেতপত্র কেবল ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত তাই না বরং এই শ্বেতপত্রে যেভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে চিত্রায়িত করা হয়েছে এবং রোহিঙ্গাদের মাঝে যেভাবে কথিত সন্ত্রাসবাদকে ফোকাস করা হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, এর সাথে ভূরাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় রাজনীতির কুটিল ও জটিল সম্পর্ক রয়েছে। এবং আশঙ্কাজনক কথা হল, এই শ্বেতপত্রে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী নানা বয়ান দৃশ্যমান। এমন একটা শ্বেতপত্রের বিরুদ্ধে ওলামায়ে কেরাম যখন বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে সরকারের মধ্যে ঘাপটি মারা একটি অংশ উলামাদের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপশক্তিই আমাদের আজকের ওলামা সম্মেলন বাঁধাগ্রস্ত করার পেছনে কলকাঠি নেড়েছে বলে আমাদের মনে হয়।

    আমরা বিস্মিত হয়েছি, ঘাপটি মারা এই অংশটি আপাতত হলেও জয়ী হয়ে যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ চিন্তার বিষয়।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    আজ যে ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তা ইসলামপন্থার অন্তর্নিহিত এক চিরন্তন চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ হতে যাচ্ছিল। ইসলামী জ্ঞানতত্ত্বের বিশালতা ও ইসলামী চিন্তার অন্তর্গত স্বাধীনতার কারণে বাহ্যত ইসলামপন্থায় নানা মাসলাক, মাযহাব দেখা যায়। বাহ্যত বিচ্ছিন্ন নানা মত, পথ ও কর্মপন্থা দেখা যায়। কিন্তু দেশ-জাতি-মানবতা ও ইসলামের প্রশ্নে ইসলামপন্থা সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী শক্তি ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে।

    আজকের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইসলামপন্থার সেই চিরন্তন চরিত্র ও শক্তির একটি বুদ্ধিবৃত্তিক উপস্থাপন হতে যাচ্ছিল। কুচক্রীদের অপচেষ্টায় আপাতত তার দৃশ্যায়ন না হলেও আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, ওলামারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাদের স্বার্থ রক্ষায় সদা প্রস্তুত, ইনশাআল্লাহ।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ

    আজকের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশের সর্বধারার আলেমগণ যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছেন, সেজন্য জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।

    মানুষের আগ্রহ-উদ্দীপনার প্রতি বিনীত সম্মান জানাচ্ছে এবং দেশের আলেম-ওলামা, মাদরাসা, ধর্মপ্রাণ মানুষ ও দেশ প্রেমিক সকলকে আশ্বস্ত করছে যে, আমরা হতোদ্যম হবো না, আমরা নিরব হব না, আমরা পিছিয়ে যাবো না, আমরা থেমেও যাবো না; ইনশাআল্লাহ।

    বরং দেশপ্রেমিক ইসলামপন্থীদের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ

    ঘাদানিক সহ দেশ, জাতি, ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নিয়মতান্ত্রিক বহুমাত্রিক সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। আমরা সকল অপশক্তির মোকাবিলায় বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনি লড়াই অব্যাহত রাখব, ইনশাআল্লাহ।

    তারই প্রেক্ষিতে দেশের বৃহত্তর ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর ধর্ম, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা ও নাগরিকদের মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার নিমিত্তে আমাদের দাবী সমূহ-

    ১) অবিলম্বে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিকে জনতার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে শ্বেতপত্র প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
    ২) এই শ্বেতপত্রের সাথে জড়িত সকলের রাজনৈতিক গোপন অভিলাষ প্রকাশ ও ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
    ৩) ঘাদানিকের অর্থের উৎস খুঁজে বের করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
    ৪) এই শ্বেতপত্র স্পষ্টভাবেই সংবিধানের মৌলিক নীতির বিরোধিতা করেছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
    ৫) এই শ্বেতপত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছে এবং মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ফলে ঘাদানিকের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
    ৬) এই শ্বেতপত্রে মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের এই মিথ্যাচারের তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
    ৭) গণকমিশন নিজ থেকে ক্ষমা চেয়ে শ্বেতপত্র প্রত্যাহার না করলে এই শ্বেতপত্র রাষ্ট্রকে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
    ৮) এই শ্বেতপত্রে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সবকিছুর পেছনে দেশের ইসলামী রাজনৈতিকে, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, মাদরাসা শিক্ষা এবং আলেম-ওলামাদেরকে একতরফাভাবে দায়ী করা হয়েছে। অতএব, স্বাধীনতা পরবর্তী দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। একটি শক্তিশালী বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করে সংখ্যালঘু নির্যাতন, সংখ্যালঘুদের সম্পদ অবৈধভাবে ভোগ-দখল এবং সংখ্যালঘু সংক্রান্ত সকল অভিযোগ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং তদন্ত রিপোর্ট জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।
    ৯) যারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়, তাদের কার্যক্রমকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
    ১০) দেশের সম্মানিত আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
    ১১) কারাবন্দী সকল মজলুম আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
    ১২) ওয়াজ মাহফিল নিছক একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই সারা দেশে ওয়াজ মাহফিল সকল প্রশাসনিক বিধি নিষেধের আওতামুক্ত রাখতে হবে।
    ১৩) সারা দেশের আলেম ওলামা ও মাদরাসার বিরুদ্ধে সকল প্রকার হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
    ১৪) আল্লাহ, রাসূল (স.), ধর্মীয়-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজে সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন করতে হবে এবং তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
    ১৫) দুর্নীতিমুক্ত ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ সুনাগরিক গড়ে তুলতে সারা দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম সন্তানদের জন্য নামাজ শিক্ষা, কুরআন শিক্ষা এবং রাসূল (স.)-এর জীবনী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

    কর্মসূচিঃ

    ১) গণবিরোধী ‘গণকমিশনের’ কথিত শ্বেতপত্রের মিথ্যাচার ও অসৎ উদ্দেশ্যের মুখোশ উম্মোচন করে বস্তুনিষ্ঠ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা।
    ২) দেশের সকল  মসজিদ ও জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানে কথিত গণকমিশনের মিথ্যাচার ও দেশবিরোধী কর্মকান্ডের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করা।
    ৩) গণকমিশন ও ঘাদানিকের মিথ্যাচার ও দেশবিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে জন সচেতনতা তৈরির লক্ষে গণ-মতবিনিময় সভাসহ জন সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
    ৪) দেশের সকল জেলা/মহানগর, থানা/উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তৃণমূল ওলামা সম্মেলনের আয়োজন করা।
    ৫) এরপরও কথিত শ্বেতপত্র ও গণকমিশনের বিষয়ে সরকার কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করলে রাজধানী ঢাকায় ওলামা-মাশায়েখ ও সূধী সমাবেশ করা হবে।সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি, আল্লাহ হাফেজ।

  • রামপালে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

    রামপালে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

    রামপালে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ।


    বাগেরহাটের রামপালে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-কে নিয়ে ছাত্রদল নেতার ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রামপাল উপজেলা উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যেগে ৩০ মে সোমবার বিকাল ৪.০০ টায় উপজেলার ফয়লা বাজারে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রামপাল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী।

    বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কল্লোল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন,দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রুশাদ হোসেন অনিক,বাঁশতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক শেখ আল-আমিন,বাইনতলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মানিক শেখ,উজলকুড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আলামিন সহ রামপাল উপজেলা ছাত্রলীগ বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতা কর্মী প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে।

  • বাঘায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা।

    বাঘায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা।

    বাঘায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা।


    রাজশাহীর বাঘায় ঠিকাদার কর্তৃক সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। রোববার (২৮ মে) বিকেলে বাঘা প্রেস ক্লাবে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। প্রতিবাদ সভায় ঠিকাদারকে গ্রেফতার করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

    জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার হরিনা মাষ্টার পাড়া গ্রামে মহসিনের বাড়ি থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলীর বাড়ি পর্যন্ত ৩১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৫৯ টাকা মূল্যো রাস্তা সংস্কারের কাজ করছিলেন ঠিকাদার ও বাঘা পৌর আ.লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস। রাস্তার কাজ নিন্মমানের হচ্ছে মর্মে, স্থানীয়রা সাংবাদিক আখতার রহমানেক অবগত করেন। আখতার রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে ওই স্থানে তদন্ত করতে যায়। সরেজমিন তদন্ত শেষে ফেরার পথে প্রথমে তাকে মোবাইল ফোনে ও পরে উপজেলা সদরের সামনে পৌঁছলে বিকেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি দেন ঠিকাদার।

    এই ঘটনায় বাঘা প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল লতিফ মিঞা। প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানুল হক আমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম আলী,অর্থ সম্পাদক লালন উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ফজলুর রহমান মুক্তা, সদস্য শাহানুর রহমান বাবু, আবদুল হামিদ মিঞা, সুব্রত কুমার সরকার প্রমুখ।
    আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় ঠিকাদারকে গ্রেফতার করে অতিদ্রæত আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
    এ বিষয়ে সাংবাদিক আখতার রহমান বলেন, আমার বিরদ্ধে আবদুল কুদ্দুস থানার করা অভিযোগে যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সময় আমি চারঘাটের ভায়ালক্ষীপুর গ্রামে একটি সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলাম। তার করা অভিযোগটি ভিক্তিহীন।
  • মাধবপুরে স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী ও শিক্ষিকা ঝর্ণা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    মাধবপুরে স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী ও শিক্ষিকা ঝর্ণা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    মাধবপুরে স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী ও শিক্ষিকা ঝর্ণা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী স্কুল শিক্ষিকা ঝর্ণা কুর্মীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার প্রতিবাদে ২ বারের মতো মানববন্ধন করেছে জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল এ্যন্ড কলেজের,প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রীরা।

    রবিবার (২৭মার্চ) বিকেলে উপজেলার জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল এ্যন্ড কলেজের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা, ছাত্র ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
    মানববন্ধনে বক্তারা স্কুল শিক্ষিকা ঝর্ণা কুর্মী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুত খুঁজে বের করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এতে বক্তব্য রাখেন জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল এ্যন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল্লা ভূইয়া,সহকারী শিক্ষক আবিদ মিয়া, কাজী ফারুক আহমেদ,সহকারী শিক্ষিকা গৌরী বণিক,অভিভাবক সদস্য, সৈয়দ শামীম, অফিস সহকারি শহীদ উল্লাহ ইসহাক ঝার্ণার চাচা পলাশ কুর্মী প্রমুখ।
    উল্লেখ্য ১৮মার্চ রাতে জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চাতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিকা ঝর্ণা কুর্মীর কে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুরভীপাড়ায় বাসায় পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গলায় ওড়না পেচিয়ে বাসার ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে ঝর্ণার চাচা রামপ্রসাদ কুর্মী বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে ঝর্ণার স্বামী সঞ্জয় কুর্মী কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
  • ঘুষের প্রতিবাদ করায় প্রকৌশলীর মারমুখি আচরণ, প্রতিবাদে ঠিকাদারের সংবাদ সম্মেলন।

    ঘুষের প্রতিবাদ করায় প্রকৌশলীর মারমুখি আচরণ, প্রতিবাদে ঠিকাদারের সংবাদ সম্মেলন।

    ঘুষের প্রতিবাদ করায় প্রকৌশলীর মারমুখি আচরণ, প্রতিবাদে ঠিকাদারের সংবাদ সম্মেলন।

    লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সহকারী মাঠ প্রকৌশলী এ.এম হাদিউজ্জামান আশিককে মারধরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন সিন্দুর্না ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সেলিম। সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম সেলিম দাবী করেন ঘুষের প্রতিবাদ করায় তার সাথে মারমুখি আচারণ করেন ওই সহকারী মাঠ প্রকৌশলী।
    বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে হাতীবান্ধা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমি এলজিইডি’র একজন ঠিকাদার। আমার কাজের বিলের জন্য এলজিইডি অফিসে নিয়মিত যাই। গত ২০ মার্চ এলজিইডি অফিসে গেলে এক সহকারী প্রকৌশলী বিলের বিনিময় ঘুষ দাবী করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে উক্ত সহকারী মাঠ প্রকৌশলী এ.এম হাদিউজ্জামান আশিক আমার উপর মারমুখি আচারণ করেন। উক্ত সহকারী মাঠ প্রকৌশলী আশিক বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভুল স্বীকার করলে উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় মিমাংশা হয়। যেখানে উপজেলা প্রকৌশলীসহ এলজিইডি অফিসের সবাই উপস্থিত ছিলেন। পরে আমি উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলা গেটে আসলে ওই সহকারী মাঠ প্রকৌশলী আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়।
    আমি তাৎক্ষনিক আবারও প্রতিবাদ করি এবং বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করি। কিন্তু পরের দিন আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হয়রানী করতে স্থানীয় থানায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সাধারণ ডায়েরী করেন ওই সহকারী মাঠ প্রকৌশলী। ওই সূত্র ধরে গত ২২ ও ২৩ মার্চ কয়েকটি গনমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ করে। উক্ত সংবাদের সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। আমাকে হয়রানী করতেই এমন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের প্রতিবাদসহ পুরো ঘটনা তদন্ত করে এলজিইডির সহকারী মাঠ প্রকৌশলী এ.এম হাদিউজ্জামান আশিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলজিইডির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি।
  • দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্দ্ধগতি’র প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে জাপা’র মানববন্ধন।

    দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্দ্ধগতি’র প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে জাপা’র মানববন্ধন।

    দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্দ্ধগতি’র প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে জাপা’র মানববন্ধন।

     


    চাল, ডাল, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্দ্ধগতি’র প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সিরাজগঞ্জে জেলা জাতীয় পার্টি।

    কেন্দ্রীয় কর্মসূচি’র অংশ হিসেবে বুধবার (২৩শে মার্চ) সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের চৌরাস্তায় জেলা কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম ঝন্টু।

    এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা ফারুক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক তালুকদার, মির্জা সুমন আহমেদ, এস এম রাজু, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন,কেন্দ্রীয় যুব সংহতির সদস্য আব্দুল জলিল, জেলা শাখার সভাপতি সাইদুল রহমান প্রমুখ। এসময় জেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অংগ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরাউপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে জাতীয় পার্টির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মোঃ ফজলুর রহমান এর নেতৃত্বে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড হতে আগত প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ যোগদান করে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করে।

    উক্ত মানববন্ধনে জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম ঝন্টু বলেন, ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে চলেছে। এর ফলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে শুল্ক রেয়াত দিলেও তার প্রভাব নেই বাজারে। মূলতঃ ব্যবসায়ীরা অধিক লাভবান হতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বাড়িয়ে চলেছে। এ অবস্থায় সব শ্রেণিপেশার মানুষ আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সংগতি রাখতে পারছেন না।

    দ্রব্যমূল্যের এ গতি রুখতে না পারলে সমাজে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এ জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

    জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা ফারুক আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, তৎকালীন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠা প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মহুকুমা হতে সিরাজগঞ্জ জেলা ঘোষণা করে
    সিরাজগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন। এরমধ্যে শহর রক্ষা বিশেষায়িত বাঁধ, এরশাদ হার্ড পয়েন্ট তৈরি করে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। সে সময়ে (এরশাদ সরকার) আমলে মানুষের আয় ও দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার স্বাভাবিক ছিলো। বর্তমানে দ্রব্য মুল্যে উর্দ্ধগতির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা নাভিশ্বাস উঠেছে তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত সহনশীল পর্যায়ে আনার জন্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি দাবী জানান।

  • দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে ডিসিকে বিএনপির স্মারকলিপি ।

    দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে ডিসিকে বিএনপির স্মারকলিপি ।

    দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে ডিসিকে বিএনপির স্মারকলিপি ।


    নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আওয়ামী সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকে স্মারকলিপি দিয়েছে জেলা বিএনপি। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারক লিপি গ্রহণ করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন সুলতানা।

    মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল ১১টায় সময় সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট ভবনে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ এর পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন সুলতানা’র নিকট সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হারুন- অর-রশিদ খান হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি প্রদান করা হয়েছে।

    এ সময় জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল, আনিসুজ্জামান পাপ্পু, খ ম রকিবুল হাসান রতন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান হাসান, মিলন ইসলাম খান, সাব্বির হোসেন ভূঁইয়া সাফি,সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইট, আলমগীর আলম, জেলা বিএনপি’র সহ দপ্তর সম্পাদক এনামুল হক,তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক এম দুলাল উদ্দিন আহমেদ, সহ প্রচার সম্পাদক রেজাউল ইসলাম খান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন টুটুল, শ্রম বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম,প্রকাশনা বিষয়ক সহ-সম্পাদক সামছুল ইসলাম,শহর বিএনপির যুগ্নআহ্বায়ক রেজাউল জোরদার, এনায়েতপুর থানা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম খান, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সদস্য খোন্দকার তৌহিদুর রহমান, সাবেক ভিপি সালাহ উদ্দিন আলাল, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন হাসি,জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন খান,জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক এলেমা খাতুন,জেলা যুবদলের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক ময়নুল হোসেন,জেলা মহিলা দলের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সালমা খাতুন (বি,এ) জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম,জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোসনা মন্ডল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত হাসান সুমন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    স্মারকলিপিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের সীমাহীন দূর্নীতিতে ক্ষুধা, অনাহার, অর্ধাহারে বিপন্ন দেশের মানুষকে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে আহবান জানানো হয়।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচী’র আলোকে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে স্মারকলিপি প্রদান করে।

  • হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভূমি জবরদখলে প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভূমি জবরদখলে প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভূমি জবরদখলে প্রতিবাদে মানববন্ধন।


    লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের সমসেরাবাদ গ্রামের অসহায় মমিন উল্ল্যার ওয়ারিশি ও ক্রয়কৃত ভূমি লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজের অধক্ষ্য মাঈন উদ্দিন পাঠান, কয়েক’শ লাঠিয়াল বাহিনি নিয়ে অবৈধভাবে,দখল,দখলকৃত বাড়ির ভূমির উপর নিমার্ণাধীন ঘর ভাংচুর ও পরিবারের নারী সদস্যেদের শ্লীলতাহানি,মারধর করে গাছপালা কেটে নিয়ে যায় এর প্রতিবাদে ২০ মার্চ দুপুর ১২ টায় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে মমিন উল্ল্যাসহ ভুক্তভোগী পরিবার মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোঃ মমিন উল্ল্যাহ, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সদস্য আলমগীর হোসেনসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য বৃন্দু। এই সময় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিক আলমগীর হোসেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

    লিখিত বক্তব্যের সময় তিনি দাবি করেন দখল ঠেকাতে মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা কপিসহ,গত ১৩ মার্চ ২০২২ইং লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন দপ্তরের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন কোনো সমাধান পাননি।

    তিনি আরোও বলেন,পরিবারের নারী সদস্যদের উপর জোর, জুলুম,অন্যায় আচরণ ও তাদের সম্পত্তি দখলের বিষয় তুলে ধরেন।

    এই সময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মমিম উল্যা, প্রতিবন্ধী রিকশা চালক সফিক উল্যা, ফারুক, পারভেজ, রুবি আক্তার, আলেয়া বেগম,সহিদা বেগম, আরুফা বেগম,ফাতেমা আক্তার,ছকিনা বেগম,ইব্রাহিমসহ অত্রএলাকার শতাধিক মানুষ ও এলাবাসি উপস্থিত ছিলেন।

    এ সময় তিনি বলেন, যে কোন মুহূর্তে মাঈন উদ্দিন পাঠান, উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম সালাউদ্দিন টিপু,আব্দুল লতিব গংরা আমাদেরকে মিথ্যা মামলা জড়ানোর,ও প্রাণে হত্যার হয়রানি করার হুমকি ধামকী দিচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতা রয়েছেন বলে জানান,উল্লেখ্যকৃত ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সররাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং ভূমি মন্ত্রীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তিনি।

    মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে উপস্থিত হয়েছেন লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের প্রবীণ সাংবাদিক সাবেক সহকারী অধ্যপক আজিজুর রহমান,সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার রহমান বাবুল,কালের কন্ঠ জেলা প্রতিনিধি কাজল কায়েস,সময় সংবাদ জেলা প্রতিনিধি সোহেল হোসেন,গণকণ্ঠ জেলা প্রতিনিধি এমরান হোসেন,লাখো কন্ঠ জেলা প্রতিনিধি নূর মোহাম্মদ,সাংবাদিক তারেখ উদ্দিন জাবেদ,নুরুল আমিন সিকদার, বিএম সাগর,আরিফ হোসেন, মাজহারুল ইসলাম টিপু,বাংলাদেশ কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মমিন উল্যা, জনবাণীর,গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি অ আ আবির আকাশ,প্রথম কথা জেলা প্রতিনিধি কাজী ওসমান মোর্শেদ,আমাদের কন্ঠ জেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

  • ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্যর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা।

    ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্যর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা।

    ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্যর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম পারভেজ রঞ্জর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৯ মার্চ শনিবার বিকেল ৪ টার সময় মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় চত্বরে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলের সভাপতি ও মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ মক্কার সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাদৎ হোসেন জিকোর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা।

    এ সময় অন্যানের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মোহনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আতোয়ার হোসেন মুন্না, মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান, মোহনপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আল-আমিন, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান (হাফিজ), উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কে,এম নুরমোহাম্মদ,মোহনপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ তালুকদার, আহতের ভাই ক্যাপ্টেন ফরিদ সহ এলাকার গন্য মান্য ব্যাক্তিগন।

    প্রতিবাদ সভায় বক্তাগণ বলেন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও এক জনপ্রতিনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে।এ সময় বক্তারা চিন্হিত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

  • ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কলেজ শিক্ষকের ওপর হামলা প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কলেজ শিক্ষকের ওপর হামলা প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কলেজ শিক্ষকের ওপর হামলা প্রতিবাদে মানববন্ধন।

     


    ছাত‌কে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বখাটেদের অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক শহিদুল ইসলা‌ম (৩০)। এ ঘটনার প্রতিবা‌দে গত বুধবার রাতে কৈতক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আ‌গিজালসহ ৪ গ্রামবা‌সীর উ‌দ্যোগে গত বুধবার রা‌তে কৈতক সরকা‌রি প্রাথ‌মিক বিদ‌্যাল‌য়ে এক প্রতিবাদ সভা অনু‌ষ্টিত হ‌য়ে‌ছে।

    প্রভাষ‌কের উপর এই অতর্কিত হামলার ঘটনায় দেশ-বি‌দে‌শে সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্যমে হামলাকারী‌দের বিরুদ্ধে শা‌স্তির দা‌বি জা‌নি‌য়ে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছেন উপ‌জেলার শি‌ক্ষিক সমাজ ও শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহল।গত বুধবার বিকা‌লে সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলে‌জের পাঠদান শেষে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সি‌লেট-সুনামগঞ্জ সড়‌কের পৌছামাত্র এই অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘ‌টে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বখাটে ফয়েজ আহমদ প্রায়ই সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের সাম‌নে ব‌সে ছাত্রী‌দের স‌ঙ্গে ইভটিজিং কর‌তো। এ ঘটনা দেখার পর প্রতিবাদ ক‌রেন
    আগিজাল গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র,এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রভাষক শহিদুল ইসলা‌ম। এ ঘটনার বিরোধ ‌নি‌য়ে কিছুদিন পূর্বে কৈতক হাসপাতা‌লের অবসরপ্রাপ্ত ডাঃ না‌সির উ‌দ্দি‌ন ভুইঁয়া’র চেম্বা‌রে রোগীর সি‌রিয়াল নি‌য়ে জাউয়া গ্রামের মৃত আমির আলীর পুত্র ফ‌য়েজ আহম‌দ ও আ‌গিজাল গ্রা‌মের প্রভাষক শহিদুল ইসলা‌মের (৩০) কথাকা‌টি জেরে দু’জ‌নের ম‌ধ্যে হাতাহা‌তির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষ‌নিক স্থানীয়রা ফ‌য়েজ আহম‌দ ও শহিদুল ইসলা‌মের ম‌ধ্যে তুচ্ছ বি‌রোধটি নিষ্পত্তি ক‌রে দেন।

    এ ঘটনার জেরে ফ‌য়েজ আহম‌দের নেতৃ‌ত্বে ৪ জন মিলে পূর্বপরিকল্পিতভা‌বে প্রভাষক শহিদুল ইসলা‌মের (৩০) উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ প্রাণে মেরে ফেলার জন্য অত‌র্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।প্রভাষক শহিদুল ইসলা‌মের চারদিক ঘেরাও করে বেধড়ক মারপিট করে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।স্থানীয়রা প্রভাষক শহিদুল ইসলা‌মকে আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থে‌কে উদ্ধার ক‌রে কৈতক হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করেন। সেখা‌নে তার অবস্থায় অবন‌তি হ‌লে উন্নত চি‌কিৎসার জন‌্য তা‌কে সি‌লেট এম এ জি ওসমানী মে‌ডিক‌েল ক‌লেজ ও হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করা হয়ে‌ছে।গত বুধবার রা‌তে আহতের বাবা শ‌ফিকুল ইসলাম বাদী হ‌য়ে জাউয়া গ্রামের মৃত আ‌মির আলী’র পুত্র বখাটে ফ‌য়েজ আহমদ‌কে প্রধান ও তার সহ‌যো‌গি জু‌নেদ আহমদ,রা‌সেল আহমদ,হাসান আহমদসহ ৪ জ‌নকে আসামী ক‌রে থানায় মামলা দা‌য়ের ক‌রেন।

    এ ব‌্যাপা‌রে সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাহমদ আলী এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জা‌নি‌য়ে ব‌লেন, বিদ‌্যাল‌য়ের ছাত্রী‌দের প্রতি‌নিয়ত ইভটিজিং ক‌রে আস‌ছে এই বখাটেরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় প্রভাষক শহিদুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা
    চালায় সন্ত্রাসীরা।

    এ ব‌্যাপা‌রে ও‌সি মাহবুর রহমান এই ঘটনায় মামলার দায়ের এর সত‌্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে ব‌লেন,হামলাকারী‌দের গ্রেপ্তা‌রের অ‌ভিযান অব‌্যাহত র‌য়ে‌ছে।