Tag: পরিবহন

  • তাহিরপুরে ট্রলি পরিবহন মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম।

    তাহিরপুরে ট্রলি পরিবহন মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম।

    মুরাদ মিয়া,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলা শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের  কলাগাঁও চারাগাঁও ট্রলি পরিবহন মালিক সমবায় লিঃ এর সমিতি ব্যবস্থাপনা কমিটির  নির্বাচনে মোঃ সিরাজুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।
     জানাযায় মোঃ সিরাজুল ইসলাম একজন সৎ নিষ্ঠাবান মেহনতি মানুষের বন্ধু ও একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সাধারন মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় মানুষ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত এরই ধারাবাহিকতায় আসছে আগামী (২২ ফেব্রুয়ারি)শনিবার কলাগাঁও চারাগাঁও ট্রলী পরিবহন মালিক সমবায় সমিতির লিঃ এর সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কে সামনে রেখে ট্রেলী সমিতির সদস্যদের কাছে দোয়াত কলম  মার্কায় ভোট চেয়ে এলাকায় তিনি দিনরাত কৌশল বিনিময় করছেন।
    ট্রলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন স্হানীয় এলাকার প্রবীণ মুরব্বিদের দোয়া ও ট্রলী  পরিবহন মালিক সমিতির সকল সদস্যদের সমর্থন এবং ট্রলী পরিবহন মালিক সমবায় সমিতির লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে রুই মাছ মার্কায় নির্বাচিত হয়ে,শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের কলাগাঁও চারাগাঁও ট্রলি পরিবহন মালিক সমিতির সমবায় লিঃ কে সফল ট্রলি পরিবহন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
     তিনি আরও বলেন, বর্তমান ট্রলি পরিবহন   মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রাখতে রুই মাছ মার্কায় সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি এবং আপনাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে সমিতির  সার্বিক উন্নয়ন করার সুযোগ দিন।
  • ঠাকুরগাঁওয়ে বীজ পরিবহনে বাঁধা,বীজ পেতে শঙ্কায় কৃষক।

    ঠাকুরগাঁওয়ে বীজ পরিবহনে বাঁধা,বীজ পেতে শঙ্কায় কৃষক।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
     ঠাকুরগাঁওয়ের বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে সংরক্ষিত গম, বোরো ও আমন বীজ পরিবহণের টেন্ডার পাওয়ার পরেও বীজ সরবরাহে বাঁধার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
    মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) আর আরবি ট্রেড্রাসের মালিক ঠিকাদার নাজমুল হাসান রাসেল অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের আওতায় উন্নত বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের বীজ পরিবহনের টেন্ডার পান আরআরবি ট্রেড্রাস।
    জানা গেছে, বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন কেন্দ্র (বীজ উৎপাদন) ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জের উপ-পরিচালক তাজুল ইসলাম ভূঞার সাক্ষরিত উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২৩ সালে বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে সংরক্ষিত গম, বোরো ও আমন বীজ পরিবহণ ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে একটি দরপত্র আহবান হয়। যার দরপত্র নং-০২/২০২২-২৩, যার মূল্য নির্ধারন করা হয় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। গেল ১০ অক্টোবর দরপত্র বিক্রয়ের শুরু করে শেষ হয় ১১ অক্টোবর দুপুর ১২ টায়।
    একই দিনে বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক এবং উপ-পরিচালক (বীপ্র), বীপ্রকে, বিএডিসি ঠাকুরগাঁও দপ্তরের দরপত্র বাক্সটি দরপত্র দাতাগণের উপস্থিতিতে খোলা হলে। এতে বীজ পরিবহনের টেন্ডার পান আরআরবি ট্রেড্রাসের মালিক ঠিকাদার নাজমুল হাসান রাসেল।
    গত মঙ্গলবার ( ০১ নভেম্বর) প্রকল্প পরিচালক বীজ উৎপাদন প্রকল্প, বিএডিসি, ঢাকা কাজের জন্য দর অনুমোদন পাওয়া আরআরবি ট্রেড্রাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বীজ পরিবহনের জন্য আদেশ দেন। এরই মধ্যে বীজ সরবরাহও করেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
    কিন্তু হঠাৎ করে বীজ সরবরাহের ক’দিনের মধ্যেই কোন কারন ছাড়াই প্রকল্প পরিচালক মতিঝিল ঢাকা দেবদাস শাহা মৌখিকভাবে আরআরবি ট্রেড্রাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বীজ পরিবহনে বন্ধের কথা বলেন। এ কথা শুনার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক হতভম্ব হয়ে পড়েন।
    স্থানীয়রা জানান, একটি ঠিকাদারী সব কিছু নিয়ম মেনে কাজ পাওয়ার পরেও কেন বীজ সরবরাহ করতে পারছে না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। স্থানীয়রা আরও বলেন এর সাথে একটি সিন্ডিকেট চক্র জড়িত আছে। এই সিন্ডিকেট চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সরকারকে ফাকি দিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছে। সময়মত বিএডিসি’র সরবরাহকৃত বীজ না পেলে খোলা বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
    আরআরবি ট্রেড্রাসের মালিক নাজমুল হাসান রাসেল জানায়, গত বুধবার (০৯ নভেম্বর) দরপত্র আহব্বান করা হলে আমি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হই। ১০ তারিখে বীজ পরিবহণের জন্য আমার কাছে গাড়ি চান কর্তৃপক্ষ। আমি দেই। বীজও সরবরাহও করি। আরআরবি ট্রেড্রাস দরপত্র পাওয়ার পর স্থানীয় কিছু ঠিকাদার কাজ বন্ধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে তাদের পরোচনায় মৌখিকভাবে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। তবে কাজ বন্ধের লিখিত কোন কাগজ দেননি তারা।
    ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেন হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দেযায় অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। গত তিনদিন থেকে আমার দশটা গাড়িও শ্রমিকরা বসে আছে। তাদের যাবতীয় খরচ আমাকে বহন করতে হচ্ছে। শুধু আমি একাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি না। চাষীরা বীজ না পেয়ে তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
    সময় মতো যদি চাষীরা বীজ রোপণ করতে না পারে তাহলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কমিটি আমাকে কাজ দেওয়ার পরেও হঠাৎ করে আমাকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। যদি আমাকে সুষ্ঠুভাবে করতে না দেয় তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
    এ বিষয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও শিবগঞ্জ বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন কেন্দ্র (বীজ)  উপ-পরিচালক মোঃ তাজুল ইসলাম ভূঞা বলেন, তৃতীয় বারের মতো আমি দরপত্র আহ্বান করেছি। টেন্ডার পাওয়ার পর আরআরবি ট্রেড্রাস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলে আমার উর্ধতন কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক(পিডি) এর মৌখিক নির্দেশে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে আমরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি, ঠিকাদারও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
    বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন কেন্দ্র (বীজ) মতিঝিল ঢাকার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) দেবদাস শাহ্ মুঠোফোনে জানান, পরিবহনের কাজে ঠিকাদার যে দর দিয়েছেন অত্ত্যাধিক বেশি। একেকটি রুটের দর একেক হয়েছে এবং যে সকল রুটে দর কম দিয়েছেন সে সকল রুটে ঠিকাদার পরিবহন করবেন না বলে ধারনা করছেন তিনি। তাই কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। এতে করে বিভিন্ন এলাকার কৃষক দেরিতে বীজ পাবে এবং সঠিক সময়ে রোপন করতে পারবে কি? প্রশ্নে তিনি বলেন, দু একদিন দেরি হতে পারে তবে আমাদের দেখছি কি করা যায়। তাছাড়া দু একদিন দেরি হলে মেন কিছু হবে না।
    প্রকল্প ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (এমডি) মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান এর সাথে মুঠোফেনে কথা হলে প্রথমত তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ঠিকাদার বেশি দর দিয়েছে তাই হয়ত কাজ বন্ধ আছে তাছাড়া কাজ করার অনুমতি প্রদাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন তা নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল। ঠিকাদারের দরে কাজ করতে দিলে সরকারের অনেক লস হয়ে যাবে। এখন যদি সরকারি গাড়িতে পরিবহণ করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে যে আরও বেশি খরচ হচ্ছে এ প্রশ্নে তিনি পরে বিষয়টি ভালমত করে জেনে জানাবেন বলে জানান।
  • ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহন থেকে লক্ষাধিক টাকাসহ আটক-৫।

    ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহন থেকে লক্ষাধিক টাকাসহ আটক-৫।

    ওসমানীনগর,প্রতিনিধিঃ সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ১ লাখ টাকা পকেটমারের ঘটনায় ঐ চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকা থেকে তাদের আটক করেছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিলেট হুমায়ূন রশিদ চত্ত্বর এলাকা থেকে নাসির মিয়া (৩৪) নামে এক যাত্রী ব্যবসার কাজে ১ লাখ টাকাসহ গাড়িতে উঠেন। যাত্রাপথে ঐ যাত্রী গোয়ালাবাজার এলাকায় এসে হঠাৎ প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে দেখেন তার পকেটে টাকা নেই। তাৎক্ষণিকভাবে গাড়িতে থাকা সকল যাত্রীদের বিষয়টি অবগত করেন। এতে কোনো সুরাহা না পেয়ে শেরপুরে গাড়িটি পৌঁছালে ডিউটিরত অবস্থায় শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে বিষটি অবগত করেন।

    শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নবীর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ শ্যামলী পরিবহনের (ঢাকা মেট্টো: ব: ১১-৬৪৫২) গাড়ির ভেতরে তল্লাশী চালান। একপর্যায়ে গাড়িতে থাকা ১ টিকেট দিয়ে যাতায়াতকারী ৫জন যাত্রীর সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগের ভেতরে ১লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঐ ৫জন যাত্রীকে আটক করে।

    আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার খলাগাঁও এলাকার রইছ মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক সয়ফুল মিয়া (২৬), একই উপজেলার কদমহাটা এলাকার মৃত. আ. আহাদের ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২৫), মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গির্জাপাড়া এলাকার মৃত. মোবারক আলীর পুত্র রমজান আলী (৩০), সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ছত্রিশ এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে মো. ছাবুল মিয়া (২৭) ও জকিগঞ্জ উপজেলার মৃত. মিজান আলীর ছেলে শাহীন আহম্মেদ শেবুল (৫৪)।

    এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বরে ডিউকালীন সময়ে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ির ভেতর থেকে পকেটমার চক্রের ৫সদস্যসহ ১লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিবহন শ্রমিকদের খাদ্য সহয়তা প্রদান।

    সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিবহন শ্রমিকদের খাদ্য সহয়তা প্রদান।

    সিরাজগঞ্জে কোভিড-১৯ এর প্রভাবে ক্ষতি গ্রস্থ কর্মহীন পরিবহন শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে । সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট ) সকালে শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়াম সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহম্মেদ ৫’শ জন পরিবহন শ্রমিককে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

    এ সময় প্রধান অতিথি ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, লকডাউনে থাকা পুরাে পরিবারকে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো এগিয়ে আসছে। আমরা ধন্যবাদ জানাই এই সকল প্রকার সহযােগিতা যারা অসহায় মানুষের উপকার করছেন।

    এসময় মাস্ক পরিধান করা সহ সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য আহবান জানান। পাশাপাশি সকল শ্রেণীর মানুষের টিকা নেয়ার জন্য আহবান করেন।

    অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, এনডিসি অনিদ্য গুহ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিদওয়ান আহমেদ রাফি, রাশেদ হোসাইন,ইসরাত জাহান ও পরাগ সাহা সহ জেলা প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও সাংবাদিকবৃন্দ।

  • তেলপাম্প মালিককে মারপিটকারীদের গ্রেফতার দাবিতে জ্বালানীতেল পরিবহণ বন্ধের ডাক।

    তেলপাম্প মালিককে মারপিটকারীদের গ্রেফতার দাবিতে জ্বালানীতেল পরিবহণ বন্ধের ডাক।

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি এনএস ফিলিং ষ্টেশনের মালিক ও পরিচালককে মারপিটকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে উত্তরাঞ্চলে আগামি ৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানী তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধের ডাক দেয়া হয়েছে।

    উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিষ্ট্রিবিউশন এজেন্ট এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগ গত ২৩ জুলাই এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

    সভায় প্রশাসনকে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে আগামি ১ আগষ্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে তা না হলে ২ জুলাই সোমবার অর্ধবেলা ধর্মঘট ও ৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে বাঘাবাড়ি এনএস ফিলিং ষ্ট্রেশনে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী গাড়িতে জ্বালানী তেল নিয়ে টাকা না দিয়েই চলে যায়। পেট্রোল পাম্পমালিক আলহাজ্ব সোলায়মান হোসেন তাদের কাছে বকেয়া টাকা চাইলে তারা হুমকি দেখায়। এরপর গত ১৯ তারিখ বিকেলে সন্ত্রাসীরা পেট্রোলপাম্পে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ১ লাখ টাকা লুটে নেয়াসহ মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

    এ ব্যাপারে আলহাজ সোলায়মান হোসেন শাহজাদপুর থানায় মিন্টু মোল্লা, হামিদ মোল্লা, মোঃ নুর তাজেল মোল্লা, আলতাফ মোল্লাসহ ৭ জনের নামে জিডি করেন।এ জিডি প্রত্যাহার করতে সন্ত্রাসীরা হত্যার হুমকি দিলেও তিনি অস্বীকৃতি জানায়।

    এরপর গত ২৩ জুলাই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পাম্প অংশীদার কাম পরিচালক আব্দুল মান্নানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ ৩ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

    এ সময় সন্ত্রাসীরা আব্দুল মান্নানকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। সন্ত্রাসীরা আব্দুল মান্নানের ভাই পাম্প অংশিদার আলহাজ সোলায়মান হোসেনকেও রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় মামলা হলেও শাহজাদপুর থানা পুলিশ অসামীদের গ্রেফতার না করায় ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংশ্লিষ্ট সংগঠন এ কর্মসুচির ডাক দিয়েছে।

  • মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মিম-ঐশি পরিবহন মালিকের সংবাদ সম্মেলন।

    মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মিম-ঐশি পরিবহন মালিকের সংবাদ সম্মেলন।

    শাহজাদপুরে মিম-ঐশি পরিবহন মালিক শাহিদুল ইসলাম মুক্তা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, নানা অপপ্রচার ও সিরাজগঞ্জ জেলা মটর মালিক সমিতি,শাহজাদপুর শাখার সদস্য পদ বাতিলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রোববার ২৫ জুলাই দুপুর ১২টায় স্থানীয় বিসিক বাসস্ট্যান্ডের মিম-ঐশি কাউন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহিদুল ইসলাম মুক্তা জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি সুনামের সাথে পরিবহন ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছি এবং ১২ বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা মটর মালিক সমিতি, শাহজাদপুর শাখার কার্যকরী সদস্য হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি।

    তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় ২৫ বছর ধরে শাহজাদপুর ট্রাভেলস্ এর মালিক নানা কৌশলে বিসিক বাসস্ট্যান্ডে টিকিট কাউন্টার বসিয়ে যাত্রী সাধারণকে জিম্মি করে এককভাবে ব্যবসা করে আসছে।

    শুধু তাই নয়,শাহজাদপুর ট্রাভেলসের মালিক তার ইচ্ছামতো ব্যবসা করার জন্য শাহজাদপুর হয়ে ঢাকাগামী অন্য কোন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার খুলতে দেয়না এবং কোন পরিবহনকে বিসিক বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াতেও দেয় না। এর ফলে ঢাকাগামী যাত্রীরা প্রতিনিয়তই নানাভাবে হয়রানির শিকারসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এর প্রতিবাদ করায় শাহজাদপুর ট্রাভেলসের মালিক হাসিব খান তরুন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়।

    সম্প্রতি বিসিক বাসস্ট্যান্ডে আমার একটি রুমে জেনিন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার চালু করা হলে সিরাজগঞ্জ জেলা মটর মালিক সমিতি, শাহজাদপুর এর সাধারণ সম্পাদক ও শাহজাদপুর ট্রাভেলস এর মালিক হাসিব খান তরুন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মালিক সমিতির অফিসের কেরানী লিয়াকত হোসেনকে বাদি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করান।

    শুধু তাই নয় হাসিব খান তরুন মটর মালিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপনকে ভুল বুঝিয়ে আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সমিতির সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করেন।

    এছাড়াও হাসিব খান তরুন গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে আমার বিরুদ্ধে নানা আপত্তিকর, মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে সামাজিক ও ব্যবসায়ীকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাহিদুল ইসলাম মুক্তা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সমিতির সদস্যপদ পুনর্বহালের দাবি জানান।