Tag: নিহত

  • লক্ষ্মীপুরে দুই মোটরসাইকেল মূখোমুখি সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত-আহত ২।

    লক্ষ্মীপুরে দুই মোটরসাইকেল মূখোমুখি সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত-আহত ২।

    লক্ষ্মীপুরে দুই মোটরসাইকেল মূখোমুখি সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত-আহত ২।


    লক্ষ্মীপুরে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে নুরুল আমিন হাওলাদার (৭৪) নামে এক বৃদ্ধ ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এই সময় নুরুল আমিনের নাতি রাহি (৮) ও অপর মোটরসাইকেল চালক মো, কামাল হোসেন (২৫) আহত হন।

    রোজ মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার ১৭ নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের রিপজি মার্কেট সড়কের ছোট পোল (ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নরুল আমিন ভবানীগঞ্জ গ্রামের ‘বড়-বাড়ির’ আবদুর শহীদের ছেলে ও পেশায় কৃষক। রাহী তার ছেলে ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। অপর আহত কামাল একই ইউনিয়নের চর উভুতি গ্রামের চকবাজার এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, নুরুল আমিন তার নাতি রাহিকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে চর উভূতি গ্রাম থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। ঘটনাস্থল পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা কামাল তার দ্রুত গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে নুরুল আমিনের মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুটি মোটরসাইকেলের সামনের অংশ ভেঙে যায়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় নুরুল আমিন, রাহি ও কামালকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসাপাতাল নিলে নুরুল আমিনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমান হোসেন বলেন, হাসপাতাল আনার আগেই এক বৃদ্ধ নুরুল আমিন মারা যান। শিশুসহ আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    এই ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামালকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

  • পুলিশের গুলিতে নিহত মেয়ে-লোমহর্ষক বর্ণনা।

    পুলিশের গুলিতে নিহত মেয়ে-লোমহর্ষক বর্ণনা।

    পুলিশের গুলিতে নিহত মেয়ে-লোমহর্ষক বর্ণনা।

    কয়েকবার গুলির শব্দ, পরে দেখি মেয়ের রক্তাক্ত দেহ লুটিয়ে আছে মাটিতে। মাথার খুলি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন পুলিশের গুলিতে ৯ মাস বয়সী নিহত শিশু সুরাইয়ার বাবা বাদশাহ মিয়া।
    তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ১৯৬৮ সালে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে জমি-জায়গা সব হারিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি থেকে মা-বাবার সঙ্গে ছুটে এসে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে। উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের মীরডাঙ্গী দীঘি পাহাড় এলাকায় অন্যের জমিতে বসবাস করছেন। মাত্র তিন বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে এখানে এসে বেড়ে উঠার পর অভাবের সংসারে হাল ধরেন তিনি। ঝালমুড়ি বিক্রেতার পেশা বেছে নেন তিনি। তিন বছর ধরে বৃদ্ধ বাবা আদম আলী শয্যাশয়ী। পাড়া-মহল্লায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেই বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে ভালোই চলছিল।
    হঠাৎ ২৭ জুলাই পুলিশের গুলিতে সুরাইয়ার মৃত্যু যেন বাদশাহ মিয়ার পরিবারে অন্ধকার নেমে আসে। ঘটনার ১৩ দিন পার হলেও সন্তান হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য আদরের সন্তানকে হারিয়ে এখনো শোকে পাথর মা মিনারা বেগম। বাবা বাদশাহ মিয়া কিছুটা স্বাভাবিক হলেও মা মিনারা বেগম, দাদি জাহেদা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে ফেলেছে। চাপা কান্নায় এখানো দিন কাটছে তাদের।
    আদরের ছোট্ট বোনকে হারিয়ে মুহূর্তেই নিঃসঙ্গ ভাই মিরাজুল ইসলাম, বড় বোন সুমাইয়া আক্তার। মিরাজুল ইসলাম স্থানীয় এক হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও সুমাইয়া আক্তার মীরডাঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আট মাস বয়সী সুরাইয়া আক্তার সবার ছোট। নন্দুয়ার ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রের ২০০ গজ দূরে তাদের বাড়ি হলেও পরিবারের ভোটকেন্দ্র বাঁচোর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে।
    নিহত সুরাইয়ার মা মিনারা বেগম জানান, গেল ২৭ জুলাই বিকালে ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শিশু সুরাইয়াকে কোলে নিয়ে তিনি ভোট দিতে যান। ভোট দেওয়া শেষে কেন্দ্র থেকে ৩০০ গজ দূরে ফুফু শাশুড়ির বাড়িতে স্বামীর জন্য মেয়েকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এসময় পুলিশের একটি গাড়ি চলেও যায়।
    তিনি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে করে মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ভোটকেন্দ্র থেকে পুলিশের পিকআপ বের হতে দেখেন তিনি। ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে মসজিদের সামনের রাস্তায় দাঁড়ানো ছিল পিকআপটি। এর একটু সামনে পুলিশের আরেকটি গাড়ি দাঁড়ানো। গাড়ির আশেপাশে লাঠি হাতে দাঁড়ানো ছিল বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা। ভোটের ফলাফল মানিনা এই দাবিতে একটি গাড়ি থামিয়ে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। এসময় মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় সুরাইয়ার মাথায় গুলি লাগে। সন্তানের রক্তাক্ত মাথা দেখে মা মিনারা বেগম বেসামাল হয়ে ছোটাছুটি করেন। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
    নিহত সুরাইয়ার বাবা বাদশাহ মিয়া বলেন, ভোটের দিন বিকালে শিশু কন্যাকে নিয়ে আমরা ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যাই। ভোট শেষে স্ত্রীকে বলি আমার দেরি হবে তুমি চলে যাও। তখন সে পাশেই ফুফুর বাড়িতে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই ভোট শেষ হলো। ফলাফলও দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। হুট করে বলা হলো ফলাফল দেওয়া হবে ইউএনও অফিসে। কেন্দ্রে কেন দেওয়া হবে এ নিয়ে গন্ডগোল।
    তিনি বলেন, একপর্যায়ে ফলাফল ঘোষণা করা হয়, তালা মার্কা জয়ী হয়েছেন। এরপর খালেদুর রহমানের (মোরগ মার্কা) লোকজন এসে বলে তালা মার্কা কীভাবে জিতল? মোরগ জিতেছে। এ নিয়েই পুলিশ ও এজেন্টের সঙ্গে খালেদুরের সমর্থকরা হাতাহাতি করেন। পরে পুলিশ কেন্দ্র থেকে ৩০০ গজ দূরে আসলে মোরগ মার্কার সমর্থকরা রাস্তা আটকে পুলিশকে ভোটের ফলাফল নিয়ে যেতে বাধা দেয়। ইউপি সদস্য সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। গন্ডগোল দেখে ৪০০ গজ দূরে চলে যাই। এরপর পাঁচবার গুলির শব্দ পাই। পুলিশ গুলির পর গ্যাস ছুঁড়ে স্থান ত্যাগ করে।
    তিনি আরও বলেন, লোকজনের মুখে শুনতে পারি একজন মারা গেছে। কে মারা গেছে কেউ বলতে পারে না। তখন আমি সামনে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মাথার একটা অংশ নাই। মেয়ের এই অবস্থা দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। ঘটনার ১২ দিনেও আমার মেয়েকে কে মারল জানতে পারলাম না। প্রশাসনের লোকজন এসে এখনো বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন। ছোট্ট মেয়েকে ভোটের কারণে হারালাম, এমন ভোট আমরা চাই না। কোনো মায়ের বুক যেন আর খালি না হয় এটাই অনুরোধ।
    এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় অজ্ঞাতনামা ৮০০ জনকে আসামি করে থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনো তদন্ত চলছে।
    তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন।
    প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই রাণীশংকৈল উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। শিশু সুরাইয়াকে নিয়ে মা মিনারা বেগম রাণীশংকৈল ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল দেখতে যান। ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভি.এফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে  পরাজিত ইউপি সদস্য সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় ৯ মাস বয়সী শিশু সুরাইয়া। সেদিনের সেই ঘটনায় পুলিশ ও প্রিসাইডিং অফিসার বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। মামলাগুলোয় ৮শ’ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা করা হয়।
  • ঠাকুরগাঁও ট্রাক থ্রি-হুইলার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ৪।

    ঠাকুরগাঁও ট্রাক থ্রি-হুইলার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ৪।

    ঠাকুরগাঁও ট্রাক থ্রি-হুইলার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ৪।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাক ও থ্রি-হুইলার (পাগলু) মুখোমুখি সংঘর্ষে ২জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ জন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাত ১২টার সময় ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের ভূল্লী নামক  স্হানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন—সদর উপজেলার দেবিপুর ইউনিয়নের খালিশাপুরি পোস্ট অফিস এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে খলিলুর রহমান খলিল (৬১) অপরজন  সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের মো. কাদেরুল ইসলামের ছেলে পারভেজ (৩২)।
    আহতরা হলেন পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ডাপুরাপাড়ার মৃত শাহ আলমের ছেলে আক্তার হোসেন (৩৬), একই উপজেলার সইমনপাড়া গ্রামের জাহিরুল ইসলামের ছেলে মো. সুপিয়ার রহমান (৪১), মাঝগ্রাম ফয়জুল ইসলামের ছেলে আজিজুর ইসলাম (৪৪) ও আজিজুর ইসলামের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩৮)।
    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হালিম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড় থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে একটি পাগলু আসছিল এবং ঠাকুরগাঁও থেকে একটি ট্রাক পঞ্চগড়ের দিকে যাওয়ার সময় ভুল্লীএলাকার হবিবর রহমানের মিল চাতালের সামনে ট্রাক ও পাগলুর বিপরীতমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে পাগলুতে থাকা খলিলুর রহমান  ঘটনাস্থলেই মারা যান ও পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারভেজ মারা যান।
    দুর্ঘটনায় পাগলুর চার যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশ খতিয়ে দেখছেন বলেও জানান তিনি ।
  • নন্দীগ্রামে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পরে গরু ব্যবসায়ী নিহত।

    নন্দীগ্রামে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পরে গরু ব্যবসায়ী নিহত।

    নন্দীগ্রামে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পরে গরু ব্যবসায়ী নিহত।


    বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে গরুর রশির সাথে পেঁচিয়ে মোটর সাইকেল থেকে ছিটকে পরে লতিফ (৫৪) নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহতে হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন মোটর সাইকেল চালক শামীম হোসেন।

    নিহত ব্যক্তি উপজেলার ২নং সদর ইউনিয়নের ইউবপুর গ্রামের মৃত সামেদ উদ্দিনের ছেলে।

    বুধবার (২৯শে জুন) সকাল সারে ৯টায় কাথম কালিগঞ্জ রোডের ভাগবজর এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, গরু ব্যবসায়ী নিহত লতিফ ও শামীম তাদের গরুর ভটভটিতে পাঠিয়ে পিছে পিছে নওগাঁর রাণীনগরে হাটে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর গরুর রশি তাদের মোটর সাইকেলের সাথে বেঁধে যায়। এতে দুজনেই চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এসময় স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে আব্দুল লতিফের মৃত্যু হয়।

    নন্দীগ্রামের সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

  • সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত,আহত মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী।

    সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত,আহত মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী।

    সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত,আহত মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী।

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মুন্নি আকতার (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ শনিবার সকালে বালিয়াডাঙ্গী-লাহিড়ী সড়কের গোয়ালকারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
    নিহত শিক্ষার্থী ওই এলাকার সাদেকুল ইসলামের মেয়ে ও বালিয়াডাঙ্গী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আহত দুজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
    এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) খায়রুল আনাম ডন জানান, সকালে একটি মোটরসাইকেল লাহিড়ী থেকে বালিয়াডাঙ্গী আসার পথে পেছন থেকে শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থী মারা যায়। এ দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দুজন গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
  • রাজবাড়ীতে সড়ক দূর্ঘনায় বাঘার পরিমল নিহত।

    রাজবাড়ীতে সড়ক দূর্ঘনায় বাঘার পরিমল নিহত।

    রাজবাড়ীতে সড়ক দূর্ঘনায় বাঘার পরিমল নিহত।

    রাজবাড়ী জেলায় সড়ক দূর্ঘনায় নিহত হয়েছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পরিমল কুমার ঘোষ (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। রোববার (২২ মে) দুপুরে তাঁকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর ।  রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র ট্রাফ নার্স মামুন হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় অজ্ঞাত পরিচয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রিকসা থেকে পড়ে গুরুত্বর আহত হন তিনি। অজ্ঞাত পরিচয়ে দুপুর পৌণে একটায় হাসপাতালে নেওয়া পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোয়া এক টায় মারা যায়।  মৃত্যু আগে তাঁর দেওয়া নাম ঠিকানা অনুযায়ী কয়েকজনের ভিজিটিং কার্ড মধ্যে থেকে একজনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তার পরিচয় জানা গেছে।
    পরিমল কুমার ঘোষ বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের নুরনগর খয়েরমিল গ্রামের মৃত যুগোল ঘোষের ছেলে।
    পরিবারের পক্ষে জানা গেছে, পরিমল কুমার ঘোষ সোমবার (১৭ মে) সকাল ৮টার দিকে কমিউটার ট্রেনে রাজশাহীতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে আসেন। পরে রাজশাহীতে থাকবে বলেও মুঠোফোনে বাড়িতে জানান তিনি।  তবে কি কারণে ফরিদপুরের রাজবাড়ীতে গিয়েছিল,কিভাবে দূর্ঘটনা স্বীকার হলেন পরিবারের পক্ষ থেকে কিছুই জানাতে পারেনি। তবে এক মাধ্যমে জানতে পেরেছেন পরিমল রোববার দুপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ রাজবাড়ী হাসপাতালে পড়ে আছে।
    পরিমলে ভাই তাপস কুমার ঘোষ বলেন, বাবা-মা মৃত্যুর কয়েক বছর পর  মেজো ভাইও মারা গেছেন। বিয়ের কিছুদিন পরে সংসারের অভাব অনটনে  কারণে স্ত্রী থেকে আলাদা হয়ে যান ছোট ভাই পরিমল। বিয়ে করলেও কোন সন্তান নেই  তার। পরে আমার পরিবারের সাথে থাকেন। আমার সংসারে তেমন কোন আয় নেই। গ্রাম থেকে রাজশাহী শহরে ঘি বিক্রি করে সংসার চালায়। দিন এনে দিন খায় । ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক আমানুল হক আমানের জানতে পেরে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠেন তিনি। তবে অর্থের অভাবে সেখান থেকে নিজ বাড়িতে লাশ আনা নিয়ে সুচিন্তায় আছি জানান তিনি ।
    রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র ট্রাফ নার্স মামুন হোসেন বলেন,তাঁর কাছে থাকা কয়েকজনের ভিজিটিং কার্ড মাধ্যমে যোগাযোগ করে লাশের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ গ্রহণ না করলে আঞ্জুমান সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
    এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রীয়াস বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যু বিষয়টি  সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।
  • সাপাহারে ধান কেটে ফেরার পথে বজ্রপাতে নিহত-১।

    সাপাহারে ধান কেটে ফেরার পথে বজ্রপাতে নিহত-১।

    সাপাহারে ধান কেটে ফেরার পথে বজ্রপাতে নিহত-১


    নওগাঁর সাপাহারে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে উপজেলার পূর্ব করমুডাঙ্গা গ্রামের দুরুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (১৬)নামের ১ কিশোরের মৃত্যু হয়েছে ।

    কলমুডাঙ্গা গ্রামের আবুল হাসান ও আব্দুল্লাহ আবির জানান, চৌমুহনী গ্রামের এন্দাদুলের জমিতে ধান কাটছিল বজ্রপাতে নিহতের তিন ভাই, হঠাৎ আকাশ খারাপ হওয়ায় তড়িঘড়ি করে ৩ ভাই একটু আগপিছ বাড়ি ফিরছিল পথিমধ্যে চৌমুহনী ব্রীজের পাশে বজ্রপাতে সাজেদুল নামের ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। সাথে থাকা দুই ভাই সারোয়ার ও সাজামালের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানান।

    সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়ি ফিরছিল এমন সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। তখন তার মৃত্যু হয়।

  • বাঁশখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চাম্বল বাজারের ফল ব্যবসায়ী তমিজউদ্দীন নিহত।

    বাঁশখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চাম্বল বাজারের ফল ব্যবসায়ী তমিজউদ্দীন নিহত।

    বাঁশখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চাম্বল বাজারের ফল ব্যবসায়ী তমিজউদ্দীন নিহত।

    চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চাম্বল বাজারের ফল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন (৩২) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
    শুক্রবার (১৩ মে ২২) সকাল ১০টায় বাঁশখালী প্রধান সড়কের মিয়ারবাজার এলাকায় সিএনজি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত তমিজ রাত ৯ টায় চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
    আজ শনিবার( ১৪ মে ২২) সকাল ১১ টায় চাম্বল বড় মাদরাসার মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়,জানাজা শেষে মরহুম আইনউদ্দীনকে চাম্বল পশ্চিম পাশে বড় কবরস্থানে দাপন করা হয়।
    নিহত মোহাম্মদ তমিজউদদীন বাঁশখালী উপজেলার আওতাধীন চাম্বল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার পশ্চিম চাম্বল মাওলানা জামাল উদ্দিন(রহ.) এর বাড়ি নিবাসী জনাব মোহাম্মদ ছমুদুল হকের বড় ছেলে। নিহত তমিজ উদ্দিন ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক।
    স্থানীয় ব্যবসায়ী হাফেজ মোহাম্মদ কায়সার ইকবাল সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদীকে বলেন, শুক্রবার তমিজ উদ্দিন সাতকানিয়া থেকে মালের চালান কেটে বাঁশখালীর উদ্দেশ্যে ফেরার পথে বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ার বাজার এলাকায় সিএনজির সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। তমিজ উদ্দিন সিএনজির সামনের সীটে বসেছিল। দক্ষিণ দিক থেকে আসা দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটি সিএনজির সাথে ধাক্কা লাগলে প্রথমে সিএনজি যাত্রী তমিজের হাঁটুতে আঘাত লাগে, পরে বুকে প্রচণ্ড আঘাত পায় সে। ঘটনাস্থল থেকে লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশখালী উপজেলা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
    বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তমিজকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চমেক প্রেরণ করেন।
    নিহত রমিজের চাচা হাফেজ মোহাম্মদ ছাবের ইকবাল- সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদীকে বলেন, তমিজের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে চমেক প্রেরণ করেন। চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ৯টায় তিনি মারা যান।
  • ছাতকে এম্বুলেন্স ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুর মৃত্যু,আহত-১১।

    ছাতকে এম্বুলেন্স ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুর মৃত্যু,আহত-১১।

    ছাতকে এম্বুলেন্স ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুর মৃত্যু,আহত-১১


    ছাতকে লাশবাহী এম্বুলেন্স ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। গত ৮/৫/২০২২ রবিবার বিকেলে ছাতক-সিলেট সড়কের মাধবপুর এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এম্বুলেন্স যোগে দোয়ারাবাজারের চন্ডিপুর এলাকার জসিম উদ্দিনের ৮ দিন বয়সী শিশু পুত্র মোহাম্মদের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়কের খারগাও- মাধবপুর এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    দুর্ঘটনায় সি এন জি যাত্রী ৭ বছর বয়সী শিশু ও ৬ দিনের বয়সী শিশুর মৃত্যু ঘটেছে ।

    সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সিএনজি চালক জহির আলী যাত্রী গোবিন্দ দাস (১৭),পুজব দাস(১৫), সানজিদা (১০), মারজান (১৪) ও এম্বুলেন্সে থাকা হাবিবুর (২০),নাছুয়া বেগম (২০), কেছন বিবি(৫০), জয়তুন নেছা (২৮), ফুলজান বিবি( ২৬)।

    আহতদেরকে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করেছেন। সিএনজি চালক সহ আহত ৭ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    অন্যান্যদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনা কবলিত এম্বুলেন্স ও সিএনজি জব্দ করেছে।

    ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

  • মাধবপুরে ট্রাকের ধাক্কায় লরি হেল্পার নিহত। 

    মাধবপুরে ট্রাকের ধাক্কায় লরি হেল্পার নিহত। 

    মাধবপুরে ট্রাকের ধাক্কায় লরি হেল্পার নিহত। 

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে পিয়াজ বাহী ট্রাকের ধাক্কা লরি চালকের হেল্পার আবু হাসান (১৮) ঘটনাস্হলে নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোর রাতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উপজেলার রতনপুর নামক স্হানে এঘটনা ঘটে। নিহত আবু হাসান  ঝিনাইদেহ জেলার শুক্কুর আলীর ছেলে।

    শায়েস্তাগঞ্জ হাইয়ে থানার ওসি মইনুল ইসলাম জানান একটি লরি দাড় করিয়ে চালক ও হেলপার বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এসময়   সিলেটগামী পিয়াজ বাহী একটি ট্রাক দ্রুতগতিতে লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে এতে ঘটনাস্হলে  লরির চালকের সহকারী  ঘটনাস্হলেই মারা যান।
    খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্হলে পৌছে  সড়কের যানজট মুক্ত করে  ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায়  লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ  সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।