Tag: নিহত
-
মাধবপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধ নিহত।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মহসিন মোল্লা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। তিনি মাধবপুর পৌরসভার ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের গুমটিয়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার পুত্র।রবিবার (১০ মার্চ) দুপুর ৩ টার দিকে সিলেট -আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশনের নিকট এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশনের উত্তর দিকে পরমানন্দপুর ব্রিজের নিকট সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বৃদ্ধ মহসিন মোল্লা নিহত হয়। মাঝেমধ্যে তার মাথায় একটু সমস্যা দেখা দিত বলে এলাকার লোকজন জানায়।খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের এটিএসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এটিএসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। -
ঠাকুরগাঁওয়ে এম্বুলেন্স-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত-১,আহত-৭
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:এম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও সাত এম্বুলেন্স যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন৷শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকালে সদর উপজেলার ২৯ মাইল এলাকায় এ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে৷দুর্ঘটনায় নিহত রাসেল রানা সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে৷আহতরা হলেন, একই গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে ফিরোজ আলী, মানিক হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান৷এছাড়া এম্বুলেন্স যাত্রীদের মধ্যে শচীন চন্দ্র রায়সহ তার পরিবারের চারজন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিবুল ইসলাম চয়ন বলন বলেন, সড়ক দূর্ঘটনার ঘটনায় হাসপাতালে আসার আগে একজন মারা যান৷ বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা আলী আকবর জানান, এম্বুলেন্সটি রোগী নিয়ে দিনাজপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। আর একটি মোটরসাইকেলে ৩জন ঠাকুরগাঁও শহরের দিকে যাচ্ছিলেন৷ পথিমধ্যে এম্বুলেন্সের চাকা পামচার হয়ে গেলে মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।অসুস্থ রোগী শচীন চন্দ্র রায়ের মেয়ে চামেলী চন্দ্র বলেন, বাবা সকালে ব্রেন স্ট্রোক করেছেন। তারপর আমরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখান থেকে দিনাজপুর হাসপাতালে রেফার্ড করে। যাওয়ার পথে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। আমাদের দুজন বাদে সকলেই গুরুতর আহত হয়েছেন।ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা যান। একজন মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই সাথে আরো সাতজন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ -
মৌলভীবাজারে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলচালক আব্দুস সামাদ (২২) নামের এক নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ইং, সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার মক্তদির বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।সামাদ কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডি ইউনিয়নের আব্দুর রশিদের ছেলে। বর্তমানে সামাদের পরিবার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী এলাকায় থাকেন।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলার প্রবেশমুখ মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলে চাপা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলচালক আব্দুস সামাদ ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তার মামা সিএনজিচালক ইসলাম উদ্দিন বলেন, আব্দুস সামাদের বাবা আব্দুর রশীদ জুড়ী ভবানীগঞ্জ বাজারের ইনজাদ আলী মার্কেটে দর্জির কাজ করেন। সামাদ তার নানা বাড়ি বাছিরপুরে থাকত। তিনি কিছুদিনের মধ্যে প্রবাসে যাওয়ার কথা ছিল। তার প্রবাস যাত্রার স্বপ্ন পুরণ হলো না।জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) হুমায়ুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর ট্রাক ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। -
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত মাধবপুরের সেই মা-মেয়ের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর প্রতিনিধি:ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় মাধবপুরের মা ও মেয়ে ভিয়াংকা রায় (১৭) ও রুবি রায়ের (৪০) অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) বিকেল ৪ টায় তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামে তাদের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।এর আগে দেশে ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ গ্রহণ করেন পোল্যান্ড প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার উত্তম কুমার রায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালের হিম ঘর থেকে শনিবার (২ মার্চ) সকলে তিনি স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ গ্রহণ করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। জরুরি কাজ থাকার যেতে পারিনি। তবে ইউপি চেয়ারম্যানকে উপস্থিত থাকতে বলেছি।মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, এটি খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। অকালে দুটি প্রাণ চলে গেলো। এতে আমরা মর্মাহত। ওই পরিবার যাতে শোক সইতে পারে আমরা সে দোয়া করি।জানা গেছে, পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের মেয়ে বিভাঙ্কা রায় ঢাকার গ্রেটওয়ে ইন্টারল্যাশনাল স্কুলের এ লেভেলের শিক্ষার্থী। তিনি তার মা ফিলিপাইন নাগরিক রুবি রায়ের সঙ্গে ঢাকার মালিবাগে থাকতেন।বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাইয়ে’ খেতে গিয়েছিলেন মা ও মেয়ে। খাবার শেষে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও সেটি আর সম্ভব হয়নি। আগুনে পুড়ে মারা যান তারা। -
আফগানিস্তানের ভারী তুষারপাতে নিহত-১৫।
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে ভারী তুষারপাতে ১৫ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে । এ ছাড়াও আহত হয়েছে প্রায় ৩০ ব্যাক্তি।তিন দিনের ভারী তুষারপাতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২ মার্চ) আফগান তোলো নিউজের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
মানুষের প্রাণহানি ছাড়াও এবারের তুষারপাতে ব্যাপক হারে গবাদিপশু নিহত হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ হাজারের মতো গবাদিপশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তোলো নিউজ।
সার-ই-পুলের বাসিন্দা আব্দুল কাদির মানুষের মধ্যে বিদ্যমান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, তুষারপাত চলছে। খুব ভয়াবহভাবে তুষার পড়ছে। মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কেননা তাদের গবাদিপশু মারা যাচ্ছে। অনেক রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। খুব কম যানবাহন চলাচল করছে।
তালেবান সরকারের কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিসবাহ উদ্দিন মুস্তাইন বলেছেন, সব প্রদেশে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটি অবরুদ্ধ সড়ক খোলা, ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে খাবার ও পশুখাদ্য বিতরণ এবং ভারী তুষারপাতে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।ইতিমধ্যে এই বিপর্যয় মোকাবিলায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সমন্বয়ে কমিটি গঠন করেছে আফগান সরকার। মানুষকে সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি গবাদিপশুর মালিকদের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দিকে মনোযোগ দেবেন কমিটির সদস্যরা। ইতিমধ্যে বলখ, জাওজান, বাদঘিস, ফারিয়াব ও হেরাত প্রদেশে পশু মালিকদের সহায়তার জন্য পাঁচ কোটি আফগান মুদ্রা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
-
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মৌলভীবাজারের এডভোকেট আতাউর রহমান শামীম।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
রাজধানী ঢাকা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেষ্টুরেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগনেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আতাউর রহমান শামীম মারা গেছেন।নিহত আতাউর রহমান শামীমের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিজ গ্রামসহ বয়ছে শোকের মাতম।
নিহত এডভোকেট শামীমের সঙ্গে থাকা নূরুল আলম জানান, দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে তাঁরা দুজন একসঙ্গে পুরানাপল্টনের হোটেল ক্যাপিটেল থেকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কফি খেতে যান।ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান নেওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টের নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ কয়েকটি আওয়াজ শুনতে পান। এরপর তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা,তাই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন। এ সময় ভিড়ে আতাউর রহমান শামীমকে আর দেখতে পাননি নূরুল আলম। হেলিপ্যাডের মাধ্যমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অ্যাডভোকেট শামীম আর পরিবারে ফেরা হলোনা, তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
পরিবার সুত্রে জানাজায়, নিহত আতাউর রহমান শামীমের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেন। আগামী রোববার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা ছিল।
আতাউর রহমান শামীমের জানাজা শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে ও দ্বিতীয় জানাজা বাদ মাগরিব তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এডভোকেট আতাউর রহমান শামীম রাজনৈতিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা দপ্তর সম্পাদক ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে মহাজোটের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
-
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মাধবপুরের প্রবাসীর স্ত্রী ও মেয়ে।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মাধবপুরের প্রবাসীর স্ত্রী ও মেয়ে। ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামে সাততলা ভবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মাধবপুরের বিয়াংকা রায় (১৭) ও রুবি রায় (৪০) নামে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন।রুবি রায় মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামের পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী ও বিয়াংকা রায় তার কন্যা।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মা মেয়ে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় খাবার আনতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন।নিহত বিয়াংকা রায়ের বড় চাচা বিশ্নু রায় জানান, তার ছোট ভাই উত্তম কুমার রায় ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় হুন্দাই কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সেখানে ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায়কে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সে ওই কোম্পানির কাজের জন্য পোল্যান্ড যান। এ সময় তিনি স্ত্রী কন্যাকে দেশে রেখে যান। তারা ঢাকার মালিবাগে থাকতেন।খবর পেয়ে উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। শুক্রবার রাতে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন এবং শনিবার স্ত্রী ও কন্যার মরদেহ নিয়ে মাধবপুর গ্রামের বাড়িতে আসবেন। -
রামপালে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহত।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনি
ধিঃ বাগেরহাটের রামপালে মাহিন্দ্রা গাড়ির ধাক্কায় মোঃ তালিম সরদার (৩০) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছে। নিহত তালিম সরদার উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের শ্রীকলস এলাকার মোঃ ফজলু সরদারের ছেলে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর আনুমানিক ২ টার দিকে তালিম (খুলনা-মোংলা) মহা-সড়কের জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে ভ্যান চালিয়ে ভাগা বাজারের দিকে আসতেছিল। সে মালিডাঙ্গা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মাহিন্দ্রা গাড়ি তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ধাক্কা লাগতেই তালিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তার মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। স্থানীয় লোকজন তালিমকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
কাটাখালী হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, ঘাতক মাহিন্দ্রা গাড়ির চালকে এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষ লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
-
মৌলভীবাজারে সিএনজি চালিত ২ অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ৩।
নিজস্ব প্রতিবেদক:জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় নম্বরবিহীন দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই চালকসহ তিনজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি বিকালে মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মহাশস্ত্র গ্রামে ময়নার দোকাননামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর আবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,নম্বরবিহীন ২টি অটোরিকশা একটি রাজনগরের দাশটিলা থেকে তারাপাশা এলাকায় ও অপরটি কলেজ পয়েন্ট থেকে দাশটিলা গ্রামে যাচ্ছিল। পথে মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ময়নার দোকান এলাকায় উভয়ের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতেঘটনাস্থলেই উপজেলার দাশটিলা গ্রামের মোঃ বাছিত মিয়ার ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোঃ রাজু আহমেদ (২০) নিহত হন ও সিলেট ওসমানী মেডকেল কলেজে যাওয়ার পথে একই গ্রামের মোঃ কুদ্দুস মিয়ার ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোঃ সাহেল আহমদ (২২), এবং মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী ফাহিম ওরফে নাইম আহমদ (২০) নামের আরেকজন নিহত হন।আহতরা হলেন- দাশটিলা গ্রামের আমজাদ মিয়ার স্ত্রী সেনাই বেগম (৫০), তার দুই মেয়ে রিমা বেগম (১৫) ও পিমা বেগম (১২)। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও মৌলভীবাজার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নিহত-আহত তাদের সবার বাড়ি রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাশটিলা গ্রামে।দুর্ঘটনার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুস ছালেক। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।