Tag: নদী

  • মান্দায় আত্রাই নদীর ওপর সেতু-সংযোগ সড়ক নাই চরম দুর্ভোগ জনসাধারনের।

    মান্দায় আত্রাই নদীর ওপর সেতু-সংযোগ সড়ক নাই চরম দুর্ভোগ জনসাধারনের।

    মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দায় জোতবাজার আত্রাই নদীর ওপর সোজা দাঁড়িয়ে আছে একটি সেতু। আর এটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ বছর। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই কাজ গুটিয়ে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকার জনসাধারন।প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি এলাকবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। এরমধ্যে খেয়াঘাট মাঝি ও স্থানীয়দের উদ্যোগে সেতু দিয়ে পারাপারের জন্য তৈরি করা হয়েছে বাশেঁর চাটাই। সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চাটাই বেয়ে পারাপার হচ্ছে মটর সাইকেল,ভ্যান ও সাধারণ মানুষ। চাটায় তৈরির খরচ জোগাতে সুবিধাভোগীদের নিয়মিত পরিশোধ করতে হচ্ছে টোল। সেই সাথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে জোতবাজার খেয়া ঘাটের পারাপার।

    স্থানীয়রা জানান, উপকরণের দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অজুহাতে সেতুটির নির্মাণ কাজ দফায় দফায় বন্ধ রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হলেও সংযোগ সড়ক না করেই কাজ গুটিয়ে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তাই এলাকাবাসী ও খেয়াঘাটের মাঝি কিছু মাটি কেটে তার উপরে বাশেঁর চাটাই তৈরি করে সেতু দিয়ে পারাপারের ব্যাবস্থা করে দেন। এরপর থেকে বাশেঁর চাটা বেয়ে সেতু দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। কবে থেকে সম্পূর্ণ ভাবে চালু হবে সেতু তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াসা। তবে সেতুটি পুরোপুরি সম্পূর্ণ করতে কয়েকবার সময় বৃদ্ধি করার পরও অসম্পূর্ণ রয়েছে কাজ। কাজ না করায় কারণে বাড়ানো সময়ও পার হয়ে গেছে। সেতুটি সম্পূর্ণ না করার কারণে চাটাই বেয়ে সেতুতে উঠতে গুনতে হচ্ছে টাকা। এলজিইডি প্রকৌশলী বারবার জাতীয় নির্বাচনের আগে সেতুটি সম্পূর্ণ করে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও বিভিন্ন অজুহাতে তার কথা রাখতে পারিননি তিনি। টাকার বিনিময়ে সেতুদিয়ে পারাপার হতে পেরে অনেকটা খুশি এলাকাবাসী।

    উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব মান্দার বাসিন্দাদের পারাপারের সুবিধার্থে আত্রাই নদীর জোতবাজার খেয়াঘাটে ২১৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল। এতে ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ৮১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

    উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুল রহমান মিঞা বলেন, সেতুর বাকি অংশটুকু সম্পূর্ণ করতে রিটেন্ডার হতে পারে। এলাকবাসী বাশেঁর চাটা দিয়ে সেতু পারাপারের কথা তিনি শুনেছেন। বারবার বাঁশ খুলে দেওয়া হলেও পরবরর্তীতে আবার তারা এসব তৈরি করেন।

     

  • নদী থেকে বালু উত্তোলন ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা।

    নদী থেকে বালু উত্তোলন ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা।

    হাবিবুল হাসান,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি- নীলফামারীর ডিমলায় অবৈধভাবে নদীর পাড় হতে বালু উত্তোলন করার সময় এক ট্রাক্টর মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে।

    আজ ৪ঠা নভেম্বর (শনিবার) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা আখতার। জানা যায় গয়াবাড়ী খুটারপুল নামক স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু বোঝাই টাক্টরের মালিককে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আখতার বলেন, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের মতির বাজার গ্রামের শফিয়ার রহমান দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করে আসছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে থানা পুলিশের সহযোগীতায় ট্রাক্টর আটক করে জরিমানা করা হয়। এ বিষয় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

  • বগুড়ার করতোয়া নদীতে নৌকা বাইচে দর্শনার্থীদের ঢল।

    বগুড়ার করতোয়া নদীতে নৌকা বাইচে দর্শনার্থীদের ঢল।

    আবহমান বাঙালি জাতির ঐতিহ্য ও শতবর্ষের প্রাচীন সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ নৌকা বাইচ। নদীমাতৃক বাংলাদেশের গ্রামীণ লোক সংস্কৃতির সেই ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে বগুড়ার করতোয়া নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ।

    নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শহরের এসপি ব্রিজ ও বেজোড়া ঘাট এলাকায় উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধসহ হাজারো মানুষ এ বাইচ উপভোগ করতে উপস্থিত হয়ে মেতে ওঠে আনন্দ-উল্লাসে। করতোয়া নদীর পাড়ে বিভিন্ন খাবারের পসরা নিয়ে বসে গ্রাম্যমেলা।
    জেলা পুলিশের আয়োজনে, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সহযোগিতায় গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় এসপি ব্রিজ ঘাটে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না।
    আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর করতোয়া নদীর দুইপাড়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশেপাশের এলাকা থেকে রং-বেরংয়ের নৌকা এই আয়োজনে অংশ নেয়। নৌকা বাইচ শুরু হলে পুরো এলাকাজুড়ে নৌকার বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ‘হেইওরে, হেইওরে’ ডাকে মুখরিত হয়ে উঠে।
    বাদ্য-বাজনা আর ভাটিয়ালি-জারি গানের সঙ্গে নৌকাবাইচ উপভোগ করেন বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজারো মানুষ। নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে করতোয়া নদীর এস,পি ঘাট থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বেজোড়া ব্রিজ ঘাটে এসে শেষ হয়।
    এটি করতোয়া নদীতে নৌকা বাইচের তৃতীয় আয়োজন। ২০১৮ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম আসর, এরপর জেলা পুলিশের আয়োজনে ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ব্যবস্থাপনায় ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দ্বিতীয় আয়োজন। তৃতীয় বারের মত আয়োজিত নৌকা বাইচের এবারের শ্লোগান ছিলো নদী বাঁচলে, পরিবেশ বাঁচবে। নদী বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও।
    এরপর বেলা ৫টায় প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চিরায়ত শ্বাশত বাংলার প্রতীক নৌকা, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকা এবং নির্বাচনের প্রতীক নৌকা। নৌকার কান্ডারি জননেত্রী শেখ হাসিনা নীরবে নিভৃতে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছেন। গণমানুষের উন্নতি হলে দেশ উন্নত হবে। জাতির জনকের নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি সংগ্রামে বাঙালি জাতি বিজয় অর্জন করেছে। বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নৌকা প্রতীককে আবারো জয়যুক্ত করে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
    তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃৃত্বে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকায় নদীমাতৃক বাংলাদেশ অদম্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে সামনে এগিয়ে চলেছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে উপনীত হবে।
    জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মাদ শফিউল আজম।
    প্রতিযোগিতায় গাবতলী উপজেলার কালাই হাটা গ্রামের উড়াল পঙ্খী নৌকা প্রথম ও শেরপুর উপজেলার সততা নৌকা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

  • নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে-এমপি টিটু।

    নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে-এমপি টিটু।

    টাংগাইলের নাগরপুরে সহবতপুর ও মোকনা ইউনিয়নে ধলেশ্বরী নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন টাংগাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি। রোববার এলাসিন শামসুল হক সেতু ও কেদারপুর শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে এমপি টিটু  নদী ভাঙনের শিকার নদী তীরবর্তী মানুষের ভোগান্তির কথা শোনেন  এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে  নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন।
    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন,টাংগাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু জুবায়ের,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম দুলাল,আব্দুস ছবুর, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজ রানা এমবি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ বাবর আল মামুন,সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন,উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ আজিম হোসেন রতন, দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক, সহ সভাপতি এস প্রতাপ মুকুল,এলাসিন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কিবরিয়া প্রমুখ।
  • নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের আশ্বাস দিলেন-এমপি আবুল কালাম আজাদ।

    নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের আশ্বাস দিলেন-এমপি আবুল কালাম আজাদ।

    জামালপুর ১ আসনের  সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি এমপি আবুল কালাম আজাদ সানন্দবাড়ীতে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর নির্দেশ দিয়েছেন।
    বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় এমপি আবুল কালাম আজাদ এর নির্দেশনা অনুযায়ী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পাটাধোয়া পাড়া বেড়িবাধ থেকে মৌলভীরচর ভাটি পাড়া পর্যন্ত দুর্গত নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা রক্ষার্থে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার নির্দেশ দেন।
    জানা যায়, ১১ জুলাই মঙ্গলবার চরআমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি দল এমপির বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এসব তথ্য জানান।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন চরআমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া, চরআমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লাভলু, সহ-সভাপতি ইউনুস আলী মোল্লা, সহ-সভাপতি শেখ নাজিম উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সানন্দবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম আকন্দ, সানন্দবাড়ি কলেজের সাবেক প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ।
    সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লাভলু  বলেন, এমপি মহোদয়ের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং তিনি আশ্বস্ত করেন অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই নদীর বাম তীর রক্ষার্থে স্থায়ী বাধ নির্মাণ করা হবে।
    ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া জানান, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
  • ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জ পৌর শহরের প্রায় ২’শ পরিবার ধলাই নদীর পানিতে বন্দী।

    ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জ পৌর শহরের প্রায় ২’শ পরিবার ধলাই নদীর পানিতে বন্দী।

    ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদের পানি বেড়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নিন্মাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে ও পৌর এলাকার তিনটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে।
    এতে পৌর এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে নালা দিয়ে পৌর এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করে।
    স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশনের একটি নালা ধলাই নদে গিয়ে মিশেছে। কিন্তু নদের সঙ্গে যুক্ত নালার মুখে এখনো জলকপাট (স্লুইসগেট) নির্মাণ করা হয়নি। এর ফলে নদে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই নালা দিয়ে পৌর এলাকায় পানি ঢুকেছে।
    পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), পৌরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উজানে ভারতের অংশে বৃষ্টি হওয়ায় ধলাই নদে পানি বেড়েছে। নদের পুরোনো সেতুসংলগ্ন এলাকার পানি নিষ্কাশনের নালা দিয়ে পৌর এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।
    এতে পৌরসভার ২, ৫ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চণ্ডীপুর, পানিশালা, কমলগঞ্জ ও শ্রীনাথপুরের আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এই এলাকার সড়ক, কমলগঞ্জ থানা, ডাকঘর, কমলগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও আশপাশের বাড়িঘরের এলাকায় পানি ঢুকেছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ৩০ থেকে ৪০টি ঘরে পানি ঢুকেছে। এসব পরিবারের লোকজন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
    স্থানীয় পানিশালা এলাকার বাসিন্দা মোঃ ফারুক আহমেদ গতকাল রাত্রে বলেন, আমার পশ্চিমের ঘরে হাঁটুপানি, পূর্বের ঘরে গোড়ালি পর্যন্ত পানি ঢুকেছে। পরিবারের শিশুসহ অন্যদের নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছি। নালার কাজ শেষ না হওয়ায় এই পানি ঢুকেছে।
    গতকাল বিকেলের সময় পাউবো, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি মিলে নালার মুখে মাটির বস্তা ফেলে প্লাবিত এলাকায় পানি প্রবেশ বন্ধ করেছেন। এতে পানি ঢোকা বন্ধ আছে। কিছু পানি কমেছেও। কিন্তু পানি বের হওয়ার বিকল্প পথ না থাকায় পানি দ্রুত বের হতে পারছে না।  পানি নিষ্কাশনের নালাটি নির্মাণ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
    অধিদপ্তরের কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুজন আহমেদ বলেন, হালকা কিছু পানি ঢুকেছে। আমাদের কাজ চলমান। দুটি ড্রেনের আউটলেটে স্লুইসগেট ধরা আছে। স্লুইসগেট করা হবে।
    ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পাউবো মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল বলেন, ড্রেন নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে মুখ বন্ধ করা উচিত ছিল। ড্রেনের মুখে বস্তা ফেলার পর পানি কমছে। কিন্তু উজানে ভারতে বৃষ্টি হয়েছে, বৃষ্টি হচ্ছে। উজান থেকে সে পানি নামছে। এতে নদে আরও পানি বাড়তে পারে। বৃষ্টি হলেই নদে পানি বাড়বে। নদে পানি বাড়লেই নালা দিয়ে পানি ঢুকবে। দ্রুত নালার মুখ বন্ধ করতে হবে।
    কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ জুয়েল আহমদ বলেন, অতিবৃষ্টিতে এমনিতেই জলাবদ্ধতা আছে। ড্রেনের আউটলেটে স্লুইসগেট দেওয়ার কথা। তিনি প্রায় দুই মাস আগে তিনটা চিঠি দিয়েছেন দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য। স্লুইসগেট নির্মাণ না করায় পানি ঢুকেছে। মেয়র আরও বলেন, ড্রেনের মুখে বস্তা ফেলার পর পানি প্রায় আড়াই ফুটের মতো কমেছে। আমি মাঠেই আছি। ড্রেনের মুখে ধলাই নদের পানি একটু নিচে নামলেই বস্তা তুলে দেব।
  • মৌলভীবাজারে নদীর ২৭ পয়েন্টে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ, বন্যার ঝুঁকিতে জেলা বাসি।

    মৌলভীবাজারে নদীর ২৭ পয়েন্টে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ, বন্যার ঝুঁকিতে জেলা বাসি।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার জেলাকে বন্যামুক্ত রাখতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েও পুরো জেলা এখনো বন্যার ঝুঁকিতে রয়ে গেছে।
    মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার জন্য নেওয়া ওই প্রকল্পের কাজ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩৭ শতাংশ।এছাড়া প্রতিরক্ষা বাঁধে ঝুঁকিপূর্ণ ৬৭টি পয়েন্টের মধ্যে ২৭টি পয়েন্ট এখন পুরোপুরি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি বিএসএফর বাধায় কুলাউড়ায় ৩টি পয়েন্টে কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
    আগামী ২০২৪ সালের জুনে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কতটুকু কাজ হবে এলাকাবাসী এ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ফলে জেলার বাসিন্দারা ভুগছেন বন্যা আতঙ্কে।হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩৭ শতাংশ। কুলাউড়ায় ৩টি পয়েন্টে বিএসএফর বাধা।
    ২০০ একর জমির মধ্যে অনুমোদন ৭১ একর অধিগ্রহণের টাকা মেলেনি।
    মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানায়, মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলাকে বন্যা ও নদী ভাঙন মুক্ত রাখতে ২০২০ সালে ৯৯৯ কোটি টাকার এই বৃহৎ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদএর নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর দুই পারের ৬৭টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ৭২টি পয়েন্টে কাজের দরপত্র আহ্বান করে।
    শুরু হয় বাঁধ নির্মাণ চরকাটিং। বিশেষ করে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রনচাপ, মন্দিরা দক্ষিণ বাড়ইগাঁও, মাতাবপুর, মনু বাজার, দাউদপুর, মিয়ারপাড়া, সাধনপুর কাউকাপন বাজার, টিলাগাঁও ইউনিয়নের মিয়ারপাড়া সন্দ্রাবাজ, চক সালন দুন্দালপুর, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ধলিয়া, আলীনগর, বেলেরতল, শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল, চাঁনপুর, ইটারঘট ও মানগাঁও, রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের একামধুসহ বিভিন্ন পয়েন্ট অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে কাজ শুরু হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এখন কাজের গতি কমে গেছে বলে জানা যায়।
    পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সুত্র আরও জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম, নিশ্চিন্তপুর, তেলিবিল ও বাগজুর এই ৪টি স্থানে ২ কিলোমিটার ২০০ মিটার অংশে স্থায়ী তীর সংরক্ষণ কাজ রয়েছে। এই ৪টি স্থানের বাংলাদেশ অংশে বাঁধে মোট ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৪৩২টি সিসি ব্লক নির্মাণ, ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৭টি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ এবং বাঁধ পুনর্বাসন কাজ রয়েছে। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ তৈরির কাজ সম্পন্ন করে রাখে। ৪টি স্থানের মধ্যে শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রামে বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির সহযোগিতায় পতাকা বৈঠকের পর মৌখিক সম্মতিতে কাজ চলমান থাকলেও গত বছরের ১৩ জানুয়ারি থেকে বিএসএফ এর বাধার কারণে নিশ্চিন্তপুর, তেলিবিল ও বাগজুর এলাকায় কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
    পাউবো সুত্র জানায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রথমবার নদীতে জিও ব্যাগ ফেলতে চাইলে ভারতীয় বিএসএফ তাদের কাজে বাঁধা দেয়। এরপর আরও একাধিকবার সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলত গেলে এতেও বাধার সম্মুখীন হয়। এতে করে টানা এক বছর পাঁচ মাস ধরে নদীর ভাঙন রক্ষায় তীর সংরক্ষণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
    কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, বিএসএফের বাধার মুখে আমার ইউনিয়নের তিনটি স্থানে প্রতিরক্ষা কাজ দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে। এই কাজ যথাসময়ে না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে চাতলাব্রিজ ও নিশ্চিন্তপুর এলাকা দিয়ে নদী ভাঙণের আশঙ্কা রয়েছে। এতে শরীফপুর ইউনিয়নসহ হাজীপুর ইউনিয়ন, কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়ন ও রাজনগরের কামারচক ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে জানান।
    কাজের এই মন্থর গতির জন্য ৩টি কারণ চিহ্নিত করেছেন মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল। তিনি বলেন, ৩টি পয়েন্টে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাঁধায় কাজ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার বিষয়টি আছে। এছাড়াও জমি অধিগ্রহণের জটিলতা আছে।
    আরও নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্থান মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন অনেক ব্লক তৈরি করেছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ ও অর্থের অভাব এবং বিএসএফের বাধায় কাজ এগুতে পারছি না। বিএসএফ এর বাধায় আটকে থাকা ৪টি স্থানের কাজের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে বিজিবির সহযোগিতায় বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে মৌখিক সম্মতিতে দত্তগ্রাম স্থানের কাজ চলমান রয়েছে। সর্বশেষ গত ৭ মার্চ যৌথ নদী কমিশন বাংলাদেশ হতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন ভারতের নয়াদিল্লীতে একটি ডিওপত্র প্রদান করা হয়।
    আবেদনের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত কোন অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই স্থানে স্থায়ী নদী তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য ভারত হতে কাজটি বাস্তবায়নের অনুমোদন প্রয়োজন।
    মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম বলেন, আমি এ জেলায় নতুন যোগ দিয়েছি। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
  • পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে আর বাড়ী ফিরেনি শিশু লাবনী। 

    পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে আর বাড়ী ফিরেনি শিশু লাবনী। 

    রাজশাহীর বাঘায় পদ্মায় গোসল করতে গিয়ে লাবনী খাতুন (৮) নামের এক শিশু কন্যা নিখোঁজ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর দেড়টায় পদ্মা নদীর আতারপাড়া ঘাটে এই ঘটনা ঘটে। লাবনী খাতুন পদ্মার মধ্যে আতারপাড়া চরের লালু হাওলাদারের মেয়ে ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরাজাপুর ইউনিয়নের আতারপাড়া চরের লালু হাওলাদারের মেয়ে ও আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী লাবনী খাতুন চাচাত ভাই-বোনদের সাথে চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর আতারপাড়া ঘাটে গোসল করতে নামে। কিছুক্ষণ পর লাবনী ডুবে যায়। বিষয়টি বাড়িতে জানানোর পর স্থানীয়রা নৌকা ও জাল দিয়ে খোঁজাখুজি করে তাকে পাওয়া যায়নি।
    রোববার দুপুর ২ পর্যন্ত তাকে খুজে পাওয়া যায়নি বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার জয়নাল আবেদীন।
    চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডিএম বাবলু মনোয়ার জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। নৌকা নিয়ে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধারের চেষ্টা করেও নদীতে স্রোতের  কারণে তার সন্ধান মেলাতে পারেনি।

  • রামপালে নদী থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার।

    রামপালে নদী থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার।

    রামপাল(বাগেরহাট) প্রতিনিধি :

    বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের রোমজাইপুর গ্রাম সংলগ্ন মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেলের পশ্চিম পাড় থেকে এক অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে রামপাল থানা পুলিশ।

    ২৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ৮.০০ টায় এলাকার লোকজন নদীর পাড়ে তীরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে, এলাকার লোকজন লাশ দেখার পর রামপাল থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পাওয়ার পর রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্স সহ নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।

    রামপাল থানার ওসি জানান, লাশের পরনে লাল রঙের পেটিকোট আর গায়ে লাল রঙের ইউলের সোয়েটার ছিল। হাতে পলাচুরি ও গলায় জড়ানো একটি মালা ছিল মাথার চুল অর্ধপাকা। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে নারীর মৃতদেহটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হতে পারে। মৃত দেহের গায়ে দৃর্শমান কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

    আমি বাগেরহাটের জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইম জোনের সদস্যদের খবর দিয়েছি তারা ইতোমধ্যে সনাক্ত করণের কাজ শুরম্ন করেছে।

    রামপাল ও মোংলা সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং পুরো ঘটনাটি মনিটরিং করছেন। লাশটি ময়না তদন্ত্মের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পেড়িখালী ইউনিয়নের দফাদার মলিস্নক নুর মোহাম্মাদ বাদী হয়ে একটি অপমৃতু্য মামলা দায়ের করেছন।

  • ডিমলায় বুড়িতিস্তা নদী জরিপ কাজের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা।

    ডিমলায় বুড়িতিস্তা নদী জরিপ কাজের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় গত শনিবার (১৭ই ডিসেম্বর) বুড়িতিস্তা নদী জরিপ কাজের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জলঢাকা শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী একরামুল হক বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ৭৯ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে ছয়শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাত মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে পুরো এলাকা ।

    সরেজমিনে দেখা যায়, মামলার কথা শুনে বাড়ি ছেড়েছে অনেকে। গ্রেফতার আতঙ্কের মধ্যেই সময় পার করছেন তারা । আর এই অজ্ঞাতনামা মামলার কথা শুনে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে কুঠিরডাঙ্গা সহ আশপাশের গ্রামগুলোতে। কুঠির ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মনসুরা বেগম বলেন, আমরা শুনেছি যে মামলা হয়ছে। তাও আবার পাঁচশো, ছয়শো মানুষের নামে। যেহেতু নাম উল্লেখ্য করে মামলা হয় নাই, সেই কারণে ভয়ে ভয়ে সময় পার করছি আমদের গ্রামের সবাই। আরেক বাসিন্দা সুরাইয়া আক্তার বলেন, আমরা বিক্ষিপ্ত ঘটনার দিন ছিলাম না। পারিবারিক কাজে সবাই রংপুরে ছিলাম। এখন মামলা হয়েছে অনেক জনের নামে।

    এ নিয়ে আমরা অনেকে ভয়ের মধ্যে আছি। কাকে কখন তুলে নিয়ে যায় বলা যায় না। আমরা এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই। উল্লেখ্য, ৬৪ টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল, জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় (ক্যাট প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত) ডিমলা উপজেলার বুড়িতিস্তা (পচারহাট) এলাকায় পাউবো নীলফামারী ও স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সীমানা নির্ধারণ এবং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেন।

    মাঠ জরিপ কাজ শুরুর এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগণ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই আকস্মিক সংঘর্ষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি এস্কেভেটর (ভেকু), তিনটি সিক্স সিলিন্ডার মেশিন, দুইটি থ্রি সিলিন্ডার মেশিন ও একটি মোটরসাইকেলে বিক্ষুব্ধ জনগণ আগুন ধরিয়ে দেন।

    এছাড়া তিনটি মোটরসাইকেল ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি দুই চালা টিনের সেট ঘর ভাংচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে প্রশাসন। ফায়ার সার্ভিসের ডিমলা ডিফেন্সের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। সেদিনের সেই ঘটনায় জলঢাকা পওর উপ-বিভাগ-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো একরামুল হক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। দায়েরকৃত মামলায় ৭৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে ছয়শত জনের নাম মামলা করা হয়েছে।

    মামলার বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ লাইছুর রহমান বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী একরামুল হক বাদী হয়ে গত বুধবার (২০শে ডিসেম্বর) একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ৭৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে ছয়শতাধিক ব্যক্তি রয়েছে। আর আমি বলে দিয়েছি কোন সাধারণ মানুষ এতে হয়রানি হবে না। অতএব কেউ ভয় পাবেন না। শুধুমাত্র দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।