Tag: ধান

  • বালিয়াডাঙ্গীতে বিনা-১৭ ধান কর্তন।

    বালিয়াডাঙ্গীতে বিনা-১৭ ধান কর্তন।

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন আগাম আমন ধানের জাত বিনাধান-১৭ এর নমুনা শস্য কর্তন  করা হয়েছে।
    শনিবার সকালে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের হরিণমারী নয়াপাড়া গ্রামে এ শস্য কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিট (বিনা) রংপুর উপকেন্দ্র কার্যালয়ের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী।
    বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযাগিতায় শস্য কর্তন কার্যক্রমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, মহিদুল ইসলাম, বুরহান উদ্দীন সহ স্থানীয়রা কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
    রংপুর বিনা উপকেন্দ্র কার্যালয়ের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, বিনাধান-১৭ বীজতলা থেকে ধান কেটে ফসল ঘরে তুলতে মাত্র ১০৫-১১০ দিন সময় লাগে। যা অন্যান্য আমন ধানের তুলনায় ১ মাস কম। এ ধান উৎপাদন করলে কৃষকরা খুব সহজেই আমন এবং বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময়ে আগাম জাতের আলু ও সরিষার আবাদ করতে পারবে।
    উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চলতি বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনাধান-১৭ এর বীজ  ও সার কৃষকদের নিকট বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
    কৃষক তসলিম উদ্দীনসহ অন্যান্য চাষীরা বলেন, বিনাধান-১৭ প্রতি বিঘায় ২০-২২ মণ ফলন পাওয়া যায়। অল্প সময় জীবনকাল হওয়ার ফলে আমন কেটে একই জমিতে আলু অথবা সরিষা আবাদের পর বোরো চাষ করা যাবে। এই ধান আবাদ করলে এক কথায় এক জমিতে বছরে ৪টি ফসল উৎপাদন সম্ভব।
  • রাণীশংকৈলে কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা।

    রাণীশংকৈলে কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা।

    কৃষক আতাউর ও তোফাজ্জল তার পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছিলেন না। এ খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষক লীগের দলীয় লোকজন শনিবার সকালে কাঁচি নিয়ে হাজির হলেন জমিতে।
    শনিবার (২০ মে) দুপুরে উপজেলার রাউত নগর রাজশাইয়া পাড়ার বয়ডার ব্রীজের পাশে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
    এসময় কৃষক আতাউর রহমান ও তোফাজ্জুল ইসলামের প্রায় এক একর জমির ধান কেটে   বাসায় পৌছে দিলেন কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা।
    ধান কাটা কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেন জেলা কৃষক লীগ নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম সিজার, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহম্মেদ চৌধুরী রিংকু ওয়ালিউর রহমান বাবু ও মাসুদ রানা পলক। এছাড়াও রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি বাবর আলী, সাধারণ সম্পাদক দিগেন্দ্রনাথ রায় আ.লীগ নেতা আনিসুর রহমান বাকী, রফিউল ইসলাম ভিপিসহ জেলা ও উপজেলা কৃষক লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী ধান কাটায় অংশ গ্রহণ করেন।
    এসময় নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমরা দলীয় লোকজন কাঁচি হাতে নিয়ে কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছি। দরিদ্র কৃষকের যে কোনো সংকটে আমরা কাজ করে যাব। এ প্রতিশ্রুতি নিয়েই এলাকার অসহায় দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছি। এ দুঃসময়ে কৃষকদের পাশে আমাদের সবার দাঁড়ানো প্রয়োজন।
    কৃষক আতাউর বলেন, জমিতে ধানের চাষ করেছি। ফলনও এবার ভালো হয়েছে। ক্ষেতের ধান পাকলেও শ্রমিক সংকট থাকায় কাটতে পারছিলাম না। সকালে ক্ষেতে গিয়ে দেখি কাঁচি হাতে একদল লোক ধান কাটছেন। কাছে গিয়ে দেখতে পাই উপজেলার কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা ধান কাটছেন। তাদের দেখে আমি অবাক হই।
    উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি বাবর আলী বলেন, ‘আমাদের কৃষক বান্ধব সরকারের কৃষি ও কৃষকের প্রতি যে তার আন্তরিকতা রয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এ উপজেলায় কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছি। এবং কৃষকের পাশে আছি।
    পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে আমাদের এ ধান কাটা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
  • ডিমলায় কৃষকের সরিষা ক্ষেত নষ্ট, হাল চাষ করে বোরো ধান রোপন।

    ডিমলায় কৃষকের সরিষা ক্ষেত নষ্ট, হাল চাষ করে বোরো ধান রোপন।

    ডিমলা( নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় কৃষকের সরিষা ক্ষেত নষ্ট,হাল চাষ করে বোরো ধান রোপন। জানা যায়, সারাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষককে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় মাঠ পর্যায়ের চাষীদের মাঝে পেঁয়াজ, ভুট্টা, টমেটো, সরিষা, গম, খেসারি, সূর্যমুখী ও বাদাম বীজ বিতরণ করা হয়েছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় বিনামূল্যে। তালিকাভুক্ত চাষীদের প্রত্যেককে ২০ কেজি গম, ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ, আট কেজি খেসারি, ১০ কেজি ভুট্টা, দুই কেজি সরিষাসহ বিভিন্ন পরিমাণে বীজ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে তেল জাতীয় শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় খগাখরিবাড়ী ইউনিয়নের দোহল পাড়া মৌজার কামার পাড়া গ্রামে সরকারি প্রণোদনার বীজ নিয়ে সরিষা চাষ করে কপাল পুড়েছে প্রায় ৪৫/৫০ জন কৃষকের। কৃষি অফিসের বিতরণ করা সেই বীজে যৎসামান্য সরিষার গাছ হলেও কোন দানা নেই। মনের দুঃখে অনেকেই গো-খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করছে সরিষার গাছ। সরিষা না হওয়ায় কোথাও পড়ে আছে ফাঁকা মাঠ। কেউ আবার সরিষা ক্ষেতে পানি ঢুকাচ্ছে ইরি ধান রোপনের জন্য। আর এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে ওই অঞ্চলের কৃষকরা। আবাদি জমিতে হাল চাষ করে সরিষা না হওয়ার কারণে অনেকেই এবার সরিষা চাষই করতে পারবেন না। এতে একদিকে তারা ফলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অন্যদিকে জমি প্রস্তুত ও চাষের শুরুতে কৃষকদের বেশকিছু টাকা খরচ হয়ে গেছে। এতে অনেক অসচ্ছল কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। বিঘ্নিত হলো তেল জাতীয় শস্য উৎপাদন। সরেজমিনে দেখা গেছে, কামার পাড়া গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকার বেশিরভাগ জমির অনেক জায়গায় একটিও চারা গজায়নি কোথাও আবার ২/১টি গাছ হলেও তাতে ফুল নেই কোথাও আবার ১/২ হাত পর পর ২/৩ টি গাছ। সরিষা চাষিরা বলছেন, মূলত সরকারি প্রণোদনার বীজেই এই সমস্যা হয়েছে। চাষীরা বলছেন, এসব বীজ মেয়াদোত্তীর্ণ ও অত্যন্ত নিম্নমানের। সরকারি বিপুল অর্থ ব্যয় করে এসব নিম্নমানের বীজ কিনে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে সরকারি অর্থের ব্যাপক তছরুপ হচ্ছে আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। কামার পাড়া এলাকার কৃষক শামসুল হক বলেন, ডিমলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে এই বীজ দিয়েছিলো, আমি ক্ষেতে ছিঁটালে ১/২টা সরিষার গাছ হলেও বাকিগুলোর কোন গাছ হয়নি। সরিষা চাষি তরিকুল ইসলাম জানান, কৃষি প্রণোদনার আওতায় ডিমলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের এই বীজ দেয়া হয়েছে। এই বীজে পরবর্তী বীজ তৈরি করার জন্য লাগিয়ে একটি গাছও ওঠেনি। আমার জমিটা পড়ে থাকবে, আমি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি অভিযোগ করেন, এ বছর আমাদের কারও সরিষা হবে না, আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। একই এলাকার কৃষক আবুল কালাম বলেন, প্রণোদনার বীজ কোনো কাজে আসছে না। ২ বিঘা জমিতে সরিষার বীজ ফেলেছিলাম ২/১টা চারা বাদে কোন গাছ হয়নি। আমি গরিব মানুষ এর ক্ষতিপূরণ চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, সঠিক পরিচর্যা ও সময় মতো হয়তো সেই সরিষা চাষিরা বীজ রোপণ করেননি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কোন ক্ষতি পুরণ পাবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি তিনি দেখবেন।

  • ডিমলায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক।

    ডিমলায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক।

    ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় নবান্নের উৎসব কাটতে না কাটতেই উপজেলার স্থানীয় কৃষকেরা ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় উপজেলার দশটি ইউনিয়নের কৃষকেরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর হাইব্রীড ও দেশীয় উদ্ভাবনী বিভিন্ন জাতের ধানবীজ ক্রয় করে বীজ বপনের জন্য বীজতলা তৈরী করছে। আবার অনেকে বীজ জমিতে ফেলে পরিচর্যা শুরু করছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) উপজেলার মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, শ্রমিক, সার ও ডিজেলের দাম বেশী ।

    স্থানীয় কৃষক ওয়াজেদ আলী জানান, আগামী বোরো মৌসুমে জমিতে হালচাষ করে সময়মত ধান রোপন, সার ও কীটনাশক দিতে পারলে এবং সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে ইরি-বোরো ধানের আবাদ ভালো হবে। প্রতি বিঘায় এবারে বোরো ধান চাষে হালচাষ, রোপন, নিড়ানী, সার, কীটনাশক, সেচমুল্য সহ ধান কাটার জন্য বাড়তি খরচ গুনতে হবে। বর্তমানে শ্রমিকের দাম বেশি। ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মোঃ সেকেন্দার আলী জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় বোরো ধানের বীজতলায় রোগ বালাই কম হবে। তবে কৃষকদের নিজ নিজ বীজতলা সঠিক ভাবে পরির্চযা নিতে পরামর্শ দেন।

  • ডিমলায় কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য।

    ডিমলায় কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য।

    ডিমলায় কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য।

    মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ নীলফামারীর ডিমলার কৃষকেরা চলতি মৌসুমে বিভিন্ন হাটবাজার থেকে ক্রয় ও নিজের উৎপাদিত সংরক্ষিত আমন ধানের বীজ দিয়ে আমন ধানের বীজতলা তৈরী করে বপন করে। কিন্তু এবারের আবহাওয়া অনুকুল না থাকায় কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে স্থানীয় কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।

    এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা অতিবৃষ্টি ফলে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। বালাপাড়া ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক কামরুল হাসান হেলাল জানান আমি ৫ একর জমির বীজতলা তৈরী করে বীজ বপন করেছি বর্তমানে সেই বীজ দিয়ে ২ একর জমি রোপন করা সম্ভব হবে না।

    উপজেলার স্থানীয় অনেক কৃষকের এই একই অবস্থা। উত্তর তিতপাড়া গ্রামের বাদশা সেকেন্দার ভুট্টু জানান, বীজতলা তৈরী করে আমন ধানের বীজ রোপন করেছি টানা বৃষ্টির ফলে চারা নষ্ট হয়ে গেছে পূণরায় বীজতলা তৈরী করে আমন ধানের বীজ বপন করেছি। রবিবার (১৯ জুন) বিকেলে ডিমলা বাবুরহাটে দেখা যায়, আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ায় অনেক কৃষক বাজারে এসেছেন আমন ধানের বীজ ক্রয় করতে।

    এসময় কথা হয় সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক শাহজালাল এর সাথে তিনি বলেন, আমিসহ এলাকার স্থানীয় কৃষকেরা আমন ধানের চারা বপন করেছি ঘনঘন বৃষ্টির কারনে অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে বাজার থেকে আবারো ধানের বীজ ক্রয় করতে এসেছি। বীজের দাম একটু বেশি ! বাজারে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে স্বর্ণা, মালি, গুটিস্বণা জাতের ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে । হাইব্রীড জাতের ধানের বীজের দাম আরো বেশি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

    শাহজালালের মত অনেকে হাটে এসেছে আমন ধানের বীজ ক্রয় করতে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, অতিবৃষ্টির ফলে নিচু এলাকায় অনেক কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।

    সরকারী প্রনোদনার বীজ বরাদ্ধ হলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের মাঝে আমন ধানের বীজ বিতরন করা হবে। কৃষকেরা ব্রিধান-৭১, ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-৮৭, ব্রিধান-৯৫, বিনা ধান-১৭, বিনা ধান-২২ উন্নত জাতের আমন ধান চাষ করলে আগাম ফলন পাবে এবং ঐ জমিতে রবিশস্য সরিষা, সূর্য্যমূখী, ভুট্টা, আলু, বাদাম ও বোরো ধান রোপন করতে পারবে।

  • রাণীশংকৈলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের।

    রাণীশংকৈলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের।

    রাণীশংকৈলে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষকেরা চাহিদা অনুযায়ী সরকারকে ধান দিচ্ছেন না।
    উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর আমন মৌসুমে ২৭ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ২৩৬ মেট্রিক টন
    ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে চাল সংগ্রহ শেষ হলেও চাহিদা মত আজ বুধবার পর্যন্ত কোনো ধান কিনতে পারেনি সরকারি খাদ্যগুদামগুলো।
    সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ৭ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ শুরুর আগে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়। ধান সংগ্রহ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৭ এবং চাল ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
    বর্তমান বাজার দরের চেয়ে সরকারি দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেশি পাওয়া গেলেও কৃষকেরা গুদামে ধান দিচ্ছেন না। তাঁরা মানের বিষয়ে কড়াকড়ি ও টাকা পাওয়া নিয়ে ঘোরাঘুরিসহ বিভিন্ন ঝামেলার কারণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
    এযাবৎ উপজেলার নির্বাচিত ৪১২ জন কৃষকের মধ্যে এ যাবৎ মাত্র ১১জন কৃষক মাত্র ৩২ মেট্রিকটন ধান রাণীশংকৈলের সরকারি দুই খাদ্যগুদামে বিক্রি করেছেন।
    কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু কম শুকানো হলে নিতে চায় না। তখন ধান নিয়ে আবার ফেরত আসতে হয়। আবার পরিবহন খরচ, গুদামের শ্রমিকদের চাঁদা, এসব বাড়তি খরচ তো আছেই। আর বাজারের পাইকারদের কাছে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কিছু কিছু পাইকার ধান মাড়াইয়ের পর বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। সার্বিকভাবে বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে বিক্রি করলে ভালো দাম মিলছে। গুদামে ধান ‍দিলেও টাকা তুলতে সময় লাগে। এ জন্য সংসারের কাজ ছেড়ে অফিসে ঘোরার সময় নেই তাঁদের। ফড়িয়ারা বাড়িতে এসে ধান নিয়ে যাচ্ছে তাদের ।
    একই ঝামেলার কথা জানিয়ে ধর্মগড়  ইউনিয়নের মন্জুর হোসেন বলেন, ‘খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে এক টন ধান গাড়ি থেকে নামার জন্যে খাদ্যগুদামের লেবাররাই ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা নেয়। ফের গাড়ি ভাড়া যায় ৪০০ টাকা। তার ওপর আরও ঝামেলা অনেক। যদি কোনো দিন ধান ৫০০ টাকা মণ উঠে তখন ভেবে দেখবো, খাদ্যগুদামে ধান দেওয়া যায় কি না।’
    উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন ধান সংগ্রহের জন্য সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়। এতে ৬ হাজার ৩১ জন কৃষকের আবেদন পড়ে। গত বছরের ৭ নভেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রজিত সাহার সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ৪১২ জন কৃষককে নির্বাচন করা হয়।
    জানা গেছে, উপজেলায় দুটি খাদ্যগুদাম রয়েছে। এর মধ্যে পৌরশহরের রাজবাড়ী খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৪ জন কৃষকের কাছে ৭০২ মেট্রিক টন ধান। নেকমরদ খাদ্যগুদামে ১৭৮ জন কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহের কথা ছিল ৫৩৪ মেট্রিক টন। কিন্তু দুটি খাদ্যগুদামে এ পর্যন্ত মাত্র ৩২ মেট্রিক টন সংগ্রহ হয়েছে।
    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘বাজারে এবার ধানের দাম ভালো। কৃষকেরা বাজারেই ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা বস্তা দরে ধান বিক্রি করছেন। কৃষকদের বাড়ি থেকে নিজস্ব পরিবহনে ফড়িয়ারা ধান কিনে নিচ্ছে। এতে কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’
    রাণীশংকৈল রাজবাড়ী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকেরা এবার ধান দেয়নি। এই গুদামে মাত্র ১০ জন কৃষক ধান দিয়েছেন। মাত্র ৩০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে।’
    নেকমরদ সরকারি খাদ্যগুদামের উপপরিদর্শক বাবুলুর রহমান বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও ধান পাওয়া যায়নি। একজন কৃষক মাত্র দুই মেট্রিক টন ধান দিয়েছেন।’
    এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জিয়াউল হক শাহ বলেন, ‘আমরা তো খাদ্যগুদামে ধান দিতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এখনো সময় আছে, দেবে হয়তো।’
  • প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে উল্লাপাড়ায় শুরু হয়েছে ইরি বোরো ধান চাষ।

    প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে উল্লাপাড়ায় শুরু হয়েছে ইরি বোরো ধান চাষ।

    প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে উল্লাপাড়ায় শুরু হয়েছে ইরি বোরো ধানের চারা রোপন। বেশিরভাগ স্থানে চাষীরা ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ ধানের চারা রোপন করছেন। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকায় এবছর ৩০ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই মূলতঃ ইরি বোরো ধানের চারা রোপন শুরু হয়েছে। চলবে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।

    উপজেলা পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতবাড়ী গ্রামের আতিকুল ইসলাম, সিয়াম, আব্দুল্লাহ, সজিব হোসেন, জানান, মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম পাবার আশায় তারা শীত উপেক্ষা করে প্রথম পর্যায়ে তাদের অন্ততঃ ১৫ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপন করতে শুরু করেছেন। এদের ২০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ রয়েছে। সরিষা উঠিয়ে সেই জমিগুলোতে ইরি বোরো ধান রোপন করতে আরো অন্ততঃ ১৫ দিন সময় লাগবে।

    পূর্ব সাতবাড়ীয়া গ্রামের সানোয়ার হোসেন জানান, এবছর তিনি মোট ১২ বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধানের চাষ করবেন বলে ঠিক করেছেন। ইতোমধ্যেই পতিত থাকা ৪ বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধানের চারা রোপন করেছেন। অবশিষ্ট জমিতে সরিষা উঠিয়ে ধানের চারা লাগাতে পুরো ফেব্রæয়ারি মাস লেগে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী জানান, এবছর উল্লাপাড়ায় মোট ৩০ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এসব জমি থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৮০ মেট্টিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি কর্মকর্তা।

  • তানোরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জোরপূর্বক ভুমিগ্রাসীর ধান রোপণ।

    তানোরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জোরপূর্বক ভুমিগ্রাসীর ধান রোপণ।

    তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) ছাঐড় গ্রামের ভুমিগ্রাসী চক্রের দৌরাত্ম্য জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

    স্থানীয়রা জানান, ছাঐড় গ্রামের মৃত গাইন উদ্দিনের পুত্র ফজলুর রহমান, মৃত ওকির পুত্র সিরাজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী পুর গ্রামের মৃত মুংলার পুত্র আহম্মদ আলী সিন্ডিকেট করে নিরহ কৃষকের জমি জবরদখল এবং বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে কাজ করে। এদিকে ২২ জানুয়ারী শনিবার দিবাগত রাতে ছাঐড় মাঠে নিরহ কৃষক ওয়াসিম আকরামের দেড় বিঘা জমি জবরদখল করে ধান রোপণ করেছে। অথচ ওই জমির উপরে আদালতের ১৪৪ ধারা বলবদ রয়েছে। স্থানীয়রা এসব ভুমিগ্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে ফজলু, সিরাজুল ও আহম্মদ আলীর নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া জমি জবরদখল করে ধান রোপণ করেছে। এঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী ফরহাদ বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, এবিষয়ে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে ওয়াসিম আকরাম বলেন, তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জি হয়ে ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি জবরদখল করেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ফজলু, সিরাজুল ও আহম্মদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমি দখলের সঙ্গে তারা জড়িত নয়।

  • তানোরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বোরো রোপণের হিড়িক।

    তানোরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বোরো রোপণের হিড়িক।

    রাজশাহীর তানোর উপজেলা জুড়ে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের ভিতর বোরো চাষের জন্য কৃষকদের হিড়িক পড়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকদের বোরো চাষ রোপণ পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। এমনকি অনেকের প্রায় শেষ পর্যায়ে বোরো রোপণ। কাক ডাকা ভোর থেকে শীতল ঠান্ডা পানিতে নেমে বোরো ধানের বীজ তুলে সেই বীজ জমিতে রোপণ করছেন কৃষি শ্রমিকরা। ভোর রাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত গরুর লাঙ্গল ও ট্রাক্টর দিয়ে বোরো জমি চাষের জন্যে হাল চাষ করছেন কৃষক।

    জানা গেছে,আমন ধান কাটার পরপরই আলু রোপনের জন্য পড়ে হিড়িক কৃষকদের মধ্যে। এবার অন্য বছরের তুলনায় তানোর উপজেলা জুড়ে তিনগুণ বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আলু উত্তোলনের পরে সেইসব জমিতে চাষ করা হবে বোরো ধান। তবে যারা আলু চাষ করেননি তাঁরা আগাম সেইসব জমিতে বোরো চাষের জন্য এখন থেকে নেমে পড়েছেন কৃষকরা। ভোর থেকে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে শ্রমিকরা চারা রোপণ করছেন বোরো জমির মাঠে।

    তানোর উপজেলার বিভিন্ন বোরো জমির মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বোরো চাষের জন্যে এখন থেকেই আগাম বোরো চাষের জমি হালচাষ করা সহ বোরো ধানের রোপণ করছেন কৃষকেরা। তানোর পৌর এলাকার গুবির পাড়া গ্রামের কৃষক আবু রহমান জানান,তিনি এবার ২০বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করবেন। ইতিমধ্যে সবার আগেই তিনি বিলকুমারী বিলে পানি নিষ্কাসনের সাথে সাথে তার ৯বিঘা বোরো জমিতে ধান রোপণ করতে শুরু করেছেন। তিনি আমন ধানের ফলন ভালো পেয়েছেন।

    তাই এবার বোরো চাষের জন্য একটু আগেই জমি চাষের জন্যে প্রস্তুত করা সহ বোরো রোপণ করছেন। তবে তিনি বলেন,এবার প্রচন্ড ঠান্ডা তাই কৃষি শ্রমিকরা তাদের মজুরি একটু বেশি নিচ্ছেন। তবুও কৃষক কিছুই মনে করছেন না। কারন যে পরিমাণ ঠান্ডা তাতে করে বোরো চাষের জন্য শ্রমিকদের পাওয়ায় কষ্টকর বলে জানান তিনি।

    তানোর উপজেলা কৃষি অফিসে এবার কত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে জানতে চাইলে তারা তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।ফলে এই মৌসুমে কত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হবে তা জানা যায়নি।

  • বালীয়াডাঙ্গীতে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল আবাদি ৫ বিঘা জমির ধান।

    বালীয়াডাঙ্গীতে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল আবাদি ৫ বিঘা জমির ধান।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দুর্বৃত্তের আগুনে বাড়ির উঠানে স্তূপ করে রাখা পাঁচ বিঘা জমির পাকা আমন ধান ও গোয়ালঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। সোমবার ভোরে উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের সর্বমঙ্গলা পিপলটলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল মান্নান ও তাঁর ভাই নাজমুল হুদা জানান, প্রায় ১৫ বিঘা জমির আমন ধান কাটার পর মাড়াই কাজের জন্য বাড়ির উঠানে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। ভোরবেলা কে বা কারা এতে আগুন দিলে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। পাঁচ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, রাত সাড়ে ৩টায় মোবাইলে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনের সূত্রপাতের সঠিক কারণ জানা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির অভিযোগ রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে ধানের স্তূপে।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল, ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমানসহ বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল মান্নান মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।