Tag: ধান

  • ডিমলায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে কৃষকেরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত।

    ডিমলায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে কৃষকেরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় তীব্র শীত উপক্ষো করে কৃষকেরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত । উপজেলার দশটি ইউনিয়ন-বালাপাড়া, ডিমলা, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, নাউতারা ইউনিয়নের কৃষকেরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েকদিন থেকে দেখা যায়, কনকনে তীব্র শীতে উপজেলার বুড়ি তিস্তা নদীর পূর্বপাশ সংলগ্ন বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা ও দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষকেরা বোরো ধান রোপন করছেন । অনেক কৃষকের ধান রোপন শেষের দিকে।  ২৫ জানুয়ারী (শনিবার) সকাল ৯ টায় সরে জমিনে দেখা যায়, উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে বোরো ধানের কচি চারা রোপনের জন্য শ্রমজীবি শ্রমিকরা ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছেন, কেউবা ধানের কচি চারা উঠানো কাজে ব্যস্ত, কেউ জমিতে মই টানছেন, কেউ কোদাল দিয়ে আইল ছাটানোর কাজ করছেন আবার কেউ জমিতে ধানের চারা সারি সারি লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় কৃষক মফিজুল ইসলাম জানান, জমি বর্গা নিয়ে হাইব্রীড জাতের বোরো ধানের চারা রোপন করেছি। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবারে বোরো ধানের চাষাবাদে খরচ বেশি। ট্রাক্টরের ভাড়া, শ্রমিকের দাম, সার, ডিজেল, কীটনাশক সহ সেচমুল্যের দাম উর্দ্ধগতি। আমাদের জমিগুলো নিচু, এক ফসল ছাড়া দুই ফসল ঘরে তুলতে পারি না তাই হাইব্রীড জাতের বোরো ধানের চারা রোপন করছি। কৃষক সোহরাব আলী জানান প্রাকৃতিক দূয্যোর্গ বন্যার পানিতে বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেষে বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দর খাতা গ্রামের কচুবাড়ীর দলায় অবস্থিত একটি বাঁধ আছে সামান্য বন্যার পানিতে বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। বাঁধটি সম্পূর্ণ মেরামত করা জরুরী প্রয়োজন। আমাদের এলাকার নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারি না। বোরো ধান কর্তনের সময় বন্যার পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহে ইরি ধান রোপন করছি। স্থানীয় জমির মালিক জমসের আলী জানান, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে বুড়ি তিস্তা নদীটি খননের উদ্দ্যোগ গ্রহন করলে এ এলাকার কৃষকেরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি এ এলাকার কৃষকের ফসলি জমি বাড়বে। এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মীর হাসান আল বান্না বলেন, কৃষকেরা আমাদের প্রান। উপজেলার কৃষকেরা তীব্র শীত উপক্ষো করে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত। এবছর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ১১,২৯২ (এগারো হাজার দুইশত বিরানব্বই) হেক্টর। এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ১১.৮ মেট্রিক টন বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। জাতগুলো হলো-এস,এল,এইট,এইচ, ময়না, টিয়া, ব্যাবিলন সুপার, এসিআই-১ ও ২ এবং উইনল ইত্যাদি। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আব্দুল খালেক বলেন, ডিমলা উপজেলা কৃষি অফিস হইতে স্থানীয় কৃষকদের তীব্র শীতে চলতি বোরো মৌসুমে সর্বাত্মক সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে। স্থানীয় কৃষকেরা এ উপজেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের জনগনের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
  • নীলফামারীতে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপনের শুভ উদ্বোধন।

    নীলফামারীতে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপনের শুভ উদ্বোধন।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
    নীলফামারীর ডিমলায় প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের এর মাধ্যমে ব্রি-৯২ জাতের ধান রোপনের কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
    “ডিমলার কৃষি বৈচিত্র্যময় কৃষি”  এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কৃষি সম্প্রসারণ ডিমলার আয়োজনে বুধবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর তিতপাড়া গ্রামে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সমালয় চাষাবাদ (Synchronized Cultivation)  বাস্তবায়নের লক্ষে ব্রি-৯২ জাতের ধানের চারা রাইচ ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে রোপনের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর,নীলফামারী এবং সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক(শস্য) জাকির হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক(উদ্যান) নিকছন চন্দ্র পাল এবং উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শামিমা ইয়াসমিন।
    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মীর হাসান আল বান্না।
    ডিমলা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় ২০২৪- ২৫  অর্থ বছরে ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ট্রেতে বীজতলা বাস্তবায়ন এবং রবি মৌসুমে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় গত ২৩ ডিসেম্বর মেশিনের মাধ্যমে ডিমলা উত্তর তিতপাড়া ব্লকে ট্রেতে বীজ বপন করা হয়। ব্রি-৯২ জাতের ৬৩০০ ট্রের মাধ্যমে।
    ডিমলা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান জানান, বর্তমানে চালা গুলোর বয়স ২৫ দিন। চলতি মৌসুমে রাইচ ট্রান্সফর্মার যন্ত্র দ্বারা ডিমলা ইউনিয়নের উত্তর তিতপাড়া ব্লকে ৫০ একর জমিতে ব্রি-৯২ জাতের ধানের চারা রোপন করা হবে এবং যন্ত্র দ্বারা ধান রোপন করলে কৃষকরা উপকৃত হবে।
    কৃষক আমির আলী জানান, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সারা দেশের ন্যায় ডিমলা উপজেলার কৃষি অফিসারগন কৃষকদের এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে।
    অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিমলা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবু তালেব, উপজেলার দশটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন, স্থানীয় কৃষক- কৃষানী সহ সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।
  • আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি ভুলে গেছে বন্যার ক্ষতিগ্রস্তের কষ্ট।

    আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি ভুলে গেছে বন্যার ক্ষতিগ্রস্তের কষ্ট।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজার মাঠে মাঠে পাকা আমন ধান কাটার উৎসব চলছে। এখন অগ্রহায়ণের ঘরে ঘরে কৃষকের কোনো অবসর নেই। আগাম রোপণ করা ধান কাটা প্রায় শেষের দিকে। মাঠের প্রায় অর্ধেক পাকা ধান কাটা হয়ে গেছে এরই মধ্যে। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে বিলম্বে রোপণ করা ধান কেটে ঘরে তুলতে আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগতে পারে কৃষকদের।
    এ বছর বন্যায় অনেক খেতের আমন ফসল পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল মৌলভীবাজারে। ফসল হারিয়ে অনেক কৃষকই দিশেহারা হয়ে পড়েন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে যেভাবে পেরেছেন, হালিচারা সংগ্রহ করেছেন। বিলম্বে রোপণ করা জমিতে আগাম ফসলের চেয়ে উৎপাদন কম হতে পারে জেনেও রোপণ করেছেন চারা। এদিকে বিলম্বে রোপণ করা জমিতে যে ফসল হয়েছে, তাতে কৃষকেরা অখুশি নন। অনেকেই বন্যার ক্ষতির কথা ভুলে গেছেন। ঘরে পাকা আমন ফসল তুলছেন।
    সদর উপজেলার শিমুলতলার কৃষক সমীরণ সরকার গত বুধবার বলেন, পয়লা যা রুইছলাম (রোপণ), তা বন্যায় শেষ করি লাইছে। পরে আবার রুইছি, খারাপ নায়। ধান ভালা অইছে। তিনি বলেন, ছয় কিয়ার (এক কিয়ার=৩০ শতাংশ) জমিতে তিনি আগাম আমনের চারা রোপণ করেছিলেন। শ্রমিকসহ তাঁর ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। ধলাই নদের ভাঙনের পানিতে খেত তলিয়ে সব ফসল নষ্ট হয়ে যায়, তিনি পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। এদিকে বন্যার পানি সরে গেলে আবার নতুন করে সাড়ে পাঁচ কিয়ার জমিতে স্বর্ণ মশুরি জাতের ধানের চারা রোপণ করেন। শ্রমিক ছাড়া নিজেই চারা রোপণ করেছেন তিনি। এতে তাঁর খরচ হয়েছে সাড়ে সাত হাজার টাকা। এখনো ধান কাটেননি। কয়েক দিনের মধ্যে পাকা ধান কাটবেন তিনি।
    কৃষক সমীরণ সরকার বলেন, লেইটে রুইছি, এতে তেমন কোনো সমস্যা অইছে না। কিছু ধান ইন্দুরে (ইঁদুর) খাইছে। ছাট (ফাঁদ) দিছলাম। পাঁচটা ইন্দুর মারছি। আর কাটছে না। কিয়ারও আশা কররাম ১৫/১৬ মণ ধান পাইমু। বন্যার ক্ষতি পুশাই যাইবো আশা করি।
    এ দিকে সদর উপজেলার মাতারকাপন, শিমুলতলাসহ বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কোথাও কৃষকেরা খেতে পাকা ধান কাটছেন। অনেকে কাঁধভারে সেই ধান নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। কোথাও ধান এখনো পুরোপুরি পাকেনি। ধানে কিছুটা সোনালি রং ধরলেও সবুজ রয়ে গেছে। আরও কয়েক দিন সময় লাগবে সম্পূর্ণ ধান পাকতে। মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার যেসব মাঠে বন্যায় ফসল নষ্ট হয়েছিল, সেসব মাঠে এখনো আধাপাকা ধান রয়ে গেছে বিলম্বে রোপণ করায়।
    শামীম মিয়া কয়েকজনকে নিয়ে পাকা ধান কাটছিলেন শিমুলতলা মাঠে। তিনি বলেন, এই খেত পানিয়ে (বন্যায়) সাদা অই গেছিল। সব ফসল শেষ। এরপর লাইমলা রুইলেও ধান ভালা অইছে। নদীর (মনু ও ধলাই নদ) পানির সাথে পলি আছিল। এতে ফসলের উপকার অইছে। কিয়ারো ১৬/১৭ মণ পাইরাম।
    তিনি আরও বলেন, বন্যায় তাঁর আগাম রোপণ করা প্রায় ৩৫ কিয়ার জমির ধান পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সে সময় শুধু শ্রমিকদেরই দিয়েছিলেন ৬০ হাজার টাকা। বন্যার পরে ২৫ কিয়ারে রঞ্জিত জাতের ধান রোপণ করেছেন। রাজনগরের মোকামবাজার, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে হালিচারা সংগ্রহ করে এনে রোপণ করেছিলেন তিনি। এতে তাঁর খরচ হয়েছিল ৩০ হাজার টাকা। যে ফসল পাচ্ছেন, তাতে তাঁরা খুশি। বন্যার ক্ষতি নিয়ে আর ভাবছেন না। তাঁদের কথা, যদি বিলম্বে রোপণ না করতেন, তা হলে এখন যে ধান পাচ্ছেন, সেটাও তাঁরা পেতেন না তিনি।
    কৃষি বিভাগ, কৃষক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারে পাহাড়ি ঢল, মনু ও ধলাই নদের ভাঙনে পুরো জেলাতেই কমবেশি বন্যা হয়েছে। পানিতে তলিয়ে পাকা-আধা পাকা আউশ ধান, রোপা আমন ও আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। পানিতে তলিয়েছে, এমন আমন ফসলের বেশির ভাগই সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বন্যার সময়টি ছিল আমন ধানের চারা রোপণের প্রায় শেষ পর্যায়। অনেকের রোপণ করা শেষ হয়ে গিয়েছিল। চারাও আর ছিল না। পরে বিলম্বিত চাষে কেমন ফসল হবে, তা নিয়ে কৃষি বিভাগ-সহ অনেক কৃষকেরই উদ্বেগ ছিল। তবে বিলম্বে রোপণে আগাম ফসলের চেয়ে উৎপাদন কিছুটা কম হলেও কৃষকেরা হতাশ নন। ফসল ভালো হয়েছে।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বন্যার কারণে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিলম্বে আমন চাষ হয়েছে। রাজনগর, কুলাউড়া ও মৌলভীবাজার সদরেই এই জমি বেশি। এ বছর সারা জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ এক হাজার হেক্টর। চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ৯৮ হাজার হেক্টরে। বিলম্বে রোপণ করা জাতের মধ্যে ব্রি ধান-৪৯ ও ৮৭- এগুলোর ভালো ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৮ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, বন্যায় যে খেতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেগুলোর ফলন ভালো হয়েছে। বিলম্বে রোপণ করা ধানের ফলন কিছুটা কম হয়েছে, তারপরও ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। কিছু না পাওয়ার চেয়ে যা মিলছে, তা ভালোই। মাঠের সব ধান কাটতে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে বলে আশা করা যায়।
  • রামপালে কৃষকদলের উদ্যোগে সেচ্ছায় কৃষকের আমন ধান কাটা কর্মসূচীর উদ্বোধন।

    রামপালে কৃষকদলের উদ্যোগে সেচ্ছায় কৃষকের আমন ধান কাটা কর্মসূচীর উদ্বোধন।

    রামপালঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সকল ইউনিয়নের গরীব ও অসহায় চাষীদের স্বেচ্ছায় বিনামূল্যে আমন ধান কাটা কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

    বুধবার( ২৭ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় রামপাল উপজেলা কৃষকদল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে রামপাল সদর ইউনিয়নের সুন্দরবন মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করা হয়ে।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ধান কাটা কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান (শামীম)।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলম মুন্সি, বিএনপি নেতা কবীর হোসেন, মোঃ মনিরুজ্জামান, রুহুল আমিন, ইসমাইল মোল্লা খোকন, সৈয়দ কুদরতি ইলাহি প্রমুখ।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় বিনামূল্যে রামপাল উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের গরীব ও অসহায় কৃষকদের আমন ধান কাটা কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদেশের কৃষকদের ভালোবাসেন। কৃষির উন্নয়নে কাজ করার জন্য তিনি অধীর আগ্রহে বসে আছেন। তিনি অতীতেও কৃষির উন্নয়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মত কাজ করেছেন। এখনো তিনি এদেশের কৃষি ও কৃষকদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের ৭৫% মানুষ গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। আগামীতে তারেক রহমান এদেশের কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কৃষি ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

  • বালিয়াডাঙ্গীতে ব্রি ধান-১০৩ নমুনা শস্য কর্তন শুরু।

    বালিয়াডাঙ্গীতে ব্রি ধান-১০৩ নমুনা শস্য কর্তন শুরু।

    ঠাকুরগাঁও  প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রথমবার চাষাবাদ হওয়া আমন ধানের নতুন জাত ব্রি ধান-১০৩ এর নমুনা শস্য কর্তন করা হয়েছে।

    সোমবার সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে এ শস্য কর্তন উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল।

    এ সময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা লতিফুল হাসান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাকেরিনা ইসলামসহ স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল জানান, এবারেই প্রথমবার আমন মৌসুমে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ২টি প্রদর্শনীতে ১২ বিঘা জমিতে আবাদ হয়েছে ব্রি ধান ১০৩। আমন মৌসুমে এ ধানটি বীজতলা থেকে ধান কেটে ফসল ঘরে তুলতে মাত্র ১২৮-১৩৩ দিন সময় লাগে। প্রতি বিঘায় ২৪-২৫ মণ ধান ফলন হয়েছে। যা অন্য আমন ধানের চেয়ে ৫-৭ মণ বেশি। আমরা আশা করছি আগামী মৌসুমে ব্রি ধান ১০৩ এর চাষাবাদ আরও বাড়বে।

    কৃষক রাজু ইসলাম জানান, ৬ বিঘা জমিতে ব্রি ধান ১০৩  চাষাবাদ করেছি। রোগ বালাই খুবই কম হওয়ার কারণে অতিরিক্ত স্প্রে লাগে না, তাই উৎপাদন খরচ কম। বিঘা প্রতি ২৫ মণ ধান ফলন হচ্ছে। অথচ অন্য সব ধরনের আমন ধান ১৮-২০ মণ প্রতি বিঘায় ফলন হচ্ছে।

    উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছ, দুটি প্রদর্শনীতে ১২ বিঘা জমিতে আবাদ এবং স্থানীয় শতাধিক কৃষককে প্রশিক্ষণ চলাকালে ব্রি ধান ১০৩ আবাদে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে। আগামীতে নতুন জাতের এই ধানটি আবাদের পরিধি ব্যাপক ভাবে বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

  • মৌলভীবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো ধান কর্তন।

    মৌলভীবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো ধান কর্তন।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :

    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আনুষ্ঠানিকভাবে বোরো ধান কর্তন করা হয়েছে ।

    সোমবার(২২এপ্রিল)দুপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত  উপজেলার অধীনস্থ  হাইল হাওরে রুস্তমপুর গ্রামে এ বোরো ধান কর্তন উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।

    মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি।

    কৃষিমন্ত্রী বলেন,নতুন উচ্চফলনশীল জাতের ধানের চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে চাল রপ্তানি করাও সম্ভব হবে, আমাদের প্রধান খাদ্য হলো ভাত। বর্তমানে আমাদের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। ক্রমবর্ধমান এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মিটাতে হলে চালের উৎপাদন আমাদেরকে অবশ্যই আরো বৃদ্ধি করতে হবে। সেজন্য, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বিনা উদ্ভাবিত নতুন জাতের উচ্চফলনশীল ধানগুলো চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।  তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে চাল রপ্তানি করাও সম্ভব হবে।

    এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,  বোরো ধানের উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পান। গতবছরের চেয়ে এবছর ধানের মূল্য কেজিপ্রতি দুই টাকা বাড়ান হয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, ৭০% ভর্তুকিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দিয়ে যাচ্ছেন। এটি বিশ্বের বিরল উদাহরণ।  এই মুহূর্তে হাওরে প্রায় ৯ হাজার কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলছে।  এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে ও হার্ভেস্টের সময় ধানের অপচয়ও কম হচ্ছে।

    এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন  সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো: হেলাল উদ্দীন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো: মতিউজ্জামান, উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ,পুলিশ সুপার মনজুর রহমান প্রমুখ ।
    অনুষ্ঠান শেষে কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করেন মন্ত্রী।এছাড়া, ধামাইল, ঝুমুর নৃত্যসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

  • বোরো ধানে দেখা দিয়েছে পাতা ব্লাস্ট ও পোকার আক্রমনে দিশেহারা কৃষক।

    বোরো ধানে দেখা দিয়েছে পাতা ব্লাস্ট ও পোকার আক্রমনে দিশেহারা কৃষক।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের চারা রোপন করেছে উপজেলার দশটি ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষকরা। হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে একমুঠো ভাতের আশায় ও জীবনের সুখ সাচ্ছন্দ উপভোগ করার জন্য ধার-দেনা করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষি জমিতে মনের আনন্দে বোরো ধান রোপন করেছেন কৃষকেরা । রোপনকৃত বোরো ধানগাছ গুলো এখন যৌবনে ভরপুর। কিছুদিনের মধ্যেই ধান গাছের ডগার বুক চিরে বের হবে সবুজ কচি ধানের শীষ। রোপনকৃত জমিতে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকেরা । ঠিক সেই সময় দেখা দিয়েছে পাতা  ব্লাস্ট , গিট  ব্লাস্ট ও নেক  ব্লাস্টসহ বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমন। ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকেরা হতাশ ও দিশেহারা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা বালাইনাশক ঔষুধ ব্যবহার করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। নুতন নুতুন রোগ সম্পর্কে কৃষকেদের ধারনাও অজানা। এতে বোরো ধান চাষে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।

    উপজেলার মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র কৃষক পাষান আলী জানান, আমি ছয় বিঘা জমিতে হাইব্রীড জাতের বোরো ধান রোপন করেছি। চারা জমিতে রোপনের পর বর্তমান পর্যন্ত ২-৩ বার বালাইনাশক ঔষুধ স্প্রে করেও ধান ক্ষেতে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে কিছু যায়গায় ধানের চারাগুলো হলুদ বর্ণ হয়ে ধানের গাছ গুলো বিবর্ণ হয়ে খাটো হয়ে পাতা মরে যাচ্ছে। ডগডগে ধানগাছ গুলো আগুনে পোড়ার মতো দিনদিন শুকিয়ে খড়ে পরিনত হচ্ছে। এই খড় কেটে গৃহপালিত পশুকে খাওয়ানো উচিত হবে না জানান তিনি। এখন যে স্বপ্ন ও বুক ভরা আশা নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছি তা এখন গুড়ে বালী হওয়ার উপক্রম।

    একই গ্রামের কৃষক সহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিস হতে কোন অফিসার এদিকে আসেনা নামও জানি না।  তার রোপনকৃত বোরো ধানের জমিতে ঔষুধ ব্যবহারে কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান এ পর্যন্ত দুই বার ঔষুধ ব্যবহার করেছি পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।

    কৃষক মহিকুল ইসলাম জানান, চারা রোপনের পর ধান গাছগুলো ভালোই ছিল কয়েকবার ঔষুধ ব্যবহার করেছি কিন্তু হঠাৎ করে আমার ধানের গাছগুলো খাটো হয়ে পাতা খড়ের মত হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করতে  প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ।  এভাবে পোকার আক্রমন দেখা দিলে ফসল ঘরে তোলার আগেই আমাদের স্বপ্ন গুলো বিলীন হবে।

    বালাপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান মুঠো ফোনে বলেন, সরেজমিনে গিয়ে যার যার এরকম ক্ষতি হয়েছে টিট্রমেন্ট দিব, এ পর্যন্ত কোন কৃষক আমাকে জানায় নি। আপনার মাধ্যমে জানলাম।

    এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ সেকেন্দার আলী ও কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোঃ খোরশেদ আলম এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন ধরেন নি।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নীলফামারীর উপপরিচালক ড.এস.এম. আবু বকর সাইফুল ইসলাম সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস হতে মাঠ পর্যায়ে বোরো ধান চাষে কিভাবে ভাল ফলন পাওয়া যায় সে বিষয়ে পরিচর্যা, রোগ প্রতিকার সম্পর্কে স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ ও  লিফলেট বিতরন করা হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার-গ্রেফতার-২।

    উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার-গ্রেফতার-২।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ সানজিদা খাতুন(৯) নামের এক শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ।এ ঘটনায় শিশুর সৎ বাবা শরিফুল ইসলাম ও প্রতিবেশী মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অলিদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি ধানের জমিতে পুতে রাখার ৫ দিন পর লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু আমশড়া গ্রামের মোঃশাহিন আলীর মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন অলিদহ গ্রামের মোঃনুরাল মিয়া ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ও হানিফ শেখের ছেলে হাসমত আলী।

    সলঙ্গা থানার ওসি মোঃ এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিন আলীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর শরিফুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। কিছুদিন পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।ঘটনার দেড়মাস আগে জরিনা স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসে।স্বামী শরিফুল তার স্ত্রী জরিনাকে সংসারে ফিরিয়ে আনতে সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমত আলীর দারস্থ হয়। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আন্তে তারা পরিকল্পিত ভাবে জরিনার মেয়ে সানজিদাকে অপহরন করে। ১০ ফেব্রুয়ারী মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সানজিদাকে অপহরনের চেষ্টা করে। মেয়েটি ঘটনার এক পর্যায় চিৎকার করে। এ সময় মেয়েটির গলা চেপে ধরে হত্যা করে। পরে লাশটি পাশের জঙ্গলে ফেলে চলে যায়।লাশ গুমের উদ্দেশ্যের ঐ রাতে পাশের ধানের জমিতে গর্ত করে পুতে রাখে।মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পর সানজিদা বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া যায়নি।পরের দিন ১১ ফেব্রুয়ারী নানা জহুরুল ইসলাম সলঙ্গা থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।

    তিনি আরোও জানান সাধারন ডায়েরি করার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৎ বাবা শরিফুল ইসলাম ও মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করে।এ সময় সানজিদকে হত্যার কথা তারা স্বীকার করে।তাদের তথ্যমতে ধানের জমিতে পুতে রাখা সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • ডিমলায় কৃষকদের মাঝে বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরন।

    ডিমলায় কৃষকদের মাঝে বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরন।

    হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় বিনামুল্যে কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজ (হাইব্রীড) ও উফশী জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরন করা হয়েছে। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ডিমলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে বিতরন কার্যক্রম উদ্ভেধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম ।

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী, উপজেলা মৎস্য অফিসার শামীমা আক্তার, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. মদন কুমার রায় প্রমুখ।

    বিতরন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন-কৃষিই আমাদের প্রাণ তাই কৃষকদের এগিয়ে নিতে সরকারী ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিনামুল্যে সার, বীজ, কম খরচে উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৫০% ভূতুর্কীতে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সহ সার্বিক সহযোগীতা করে আসছে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, উপজেলার দশটি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের রবি মৌসুমে প্রণোদনার কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজ (হাইব্রীড) ও উফশী জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরন করা হয়েছে। এরই মধ্যে চার হাজার একশত কৃষকদের মাঝে প্রতি বিঘা জমির জন্য উচ্চ ফলনশীল বোরো জাতের ধানের বীজ (হাইব্রীড) দুই কেজি ও তিন হাজার ছয়শত কৃষকদের মাঝে উফশী জাতের ধানের বীজ পাঁচ কেজি, দশ কেজি ডিএপি সার ও দশ কেজি এমওপি (পটাশ) সার বিতরন করা হয়। উপজেলার সাত হাজার সাতশত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রনোদনায় অর্ন্তরভূক্ত। যারা উফশী জাতের ধান বীজ পেয়েছেন তাদেরকে বিনামুল্যে সার দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা সঠিক সময়ে রবি মৌসুমে প্রণোদনার বিনামুল্যে বীজ ও সার পেয়ে অত্যন্ত খুশি

  • গোদাগাড়ীর বালুর ট্রাকের চাপায় ধান বিক্রেতা কৃষকের মৃত্যু। 

    গোদাগাড়ীর বালুর ট্রাকের চাপায় ধান বিক্রেতা কৃষকের মৃত্যু। 

    গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ২ ডিসেম্বর শনিবার সকাল আনুমানিক দশটার দিকে পৌর এলাকার মহিশালবাড়ি মোড়ে, বালুর ট্রাক ধান বহনকারী ট্রলিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় এ সময় একজন কৃষক নিহত হন।

    তিনি তাজেন্দ্রপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের গোদাগাড়ী ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডর পিতা: মৃত .এলাহী বক্স এর ছেলে
    জসীমউদ্দীন( ৬৫)।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জমির ধান বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ট্রলিতে করে গোদাগাড়ী ধানের হাটে আসছিলেন, আসার পথে মহিষালবাড়ি মোড়ে মাদক নির্ময় কেন্দ্রের সামনে
    গোদাগাড়ী ফুলতলা ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বালু ভর্তি ট্রাক পেছন থেকে একটি বালি ভর্তি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দেয় এ সময় ট্রলি থেকে পড়ে ট্রাকে চাপাই ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

    গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন বলেন এ ঘটনায় রাজ মেট্র ট ১১-০৫৭৪ ট্রাক এবং ট্রাকের ড্রাইভারড্রাইভার মোঃ বাবর ৩২পিতা:আকবর আলি মাতা :জুলেখা রাজপাড়া ডিঙ্গাডোবা রাজশাহী আটক করা হয়েছে, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়া দিন রয়েছে বলে তিনি জানান।