Tag: ধর্ষণ

  • উল্লাপাড়ার চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষার্থী গণধর্ষণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়ার চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষার্থী গণধর্ষণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষার্থী গণধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ।

    গত মঙ্গলবার( ২১ সেপ্টেম্বর)রাতে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির ও (ওসি)তদন্ত মোঃ এনামুল হক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একদল চৌকস পুলিশ সদস্য নিয়ে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার দাদকয়ড়া গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসামি মোঃ মাসুদ রানা (২০) ও আব্দুল মাজেদ (২৩) কে গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকালে আসামিদের আদালতে মাধ্যমে সিরাজগজ্ঞ জেল হাজতে পাঠিয়ছেন।

    মামলার বাদীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দফায় দফায় ৭০ হাজার টাকা শিক্ষার্থীর কাছ থেকে চাঁদা নেয় ৪ জন ধর্ষক।

    আবারও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে মেয়েটি দিতে অস্বীকার করলে তাকে কুপ্রস্তাব দেয় মামলার আসামি সিরাজগঞ্জ সদর থানার একঢালা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ইমন সেখ।

    গত ২৭ আগষ্ট রাতে ওই শিক্ষার্থীকে পাশের বাড়ীর বাঁশ বাগানে ডেকে নিয়ে একই গ্রামের হোরমুজ প্রামাণিকের ছেলে রাকিব (২৮), বদিউজ্জামানের ছেলে মাসুদ রানা (২১) পর পর দুইবার ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ধষনের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে আসামি মাসুদের ভাই আব্দুল মাজেদ (২৫)। গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ং তারিখে শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে ৪ জনের নামে ধর্ষণ ও পর্ণগ্রাফী মামলা দায়ের করেছে।

  • হিজলায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ;থানায় মামলা।

    হিজলায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ;থানায় মামলা।

    অনলাইন ডেস্কঃ বরিশালের হিজলায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে তিন সহযোগীর সহায়তায় ধর্ষণ করছে এক লম্পট।এ ঘটনায় হিজলা থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের পর ২০ সেপ্টম্বর সোমবার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যাওয়ায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেয়েটির অভিভাবকের কাছে পৌছে দেন।

    জানা যায় আতাউল্লাহ নামের লম্পট শরীফ,রুবেল শিকদার ও সেফায়েতউল্লাহ’র সহযোগিতায় ধর্ষণ করে।ধর্ষণের পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পরে। অসুস্থ শিক্ষার্থীকে তিন সহযোগী চিকিৎসা দিতেও বাঁধা দান করে।তবে অধিক রক্তক্ষরণ হলে সন্ধাা ৭ টার সময় ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

    প‌রিবারের স্বজন‌রা জানায়, মেমানিয়া ইউনিয়ন সেসিপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার পথে আতাউল্লাহ তার সহযোগিদের সহযোগিতায় মুখে কাপড় দিয়ে চেপে পাশের পানের বরজে নিয়ে ধর্ষণ করে।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোতা‌লেব বলেন,ঘটনা জানার পর শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাহরাজ বলেন, মেয়েটির রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    হিজলা থানার উপ পরিদর্শক তারিকুল হাসান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।এদিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা’সহ এলাকাবাসী ধর্ষক আতাউল্লাহ ও তার তিন সহযোগির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছেন।

  • কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরোদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগে প্রতিবাদ সভা।

    কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরোদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগে প্রতিবাদ সভা।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট দিঘীরপার ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মাস্টার আনোয়ারুল হক চৌধুরী সহ তার ছেলে ও ভাতিজাদের বিরুদ্ধে সাজানো ধর্ষনের অভিযোগ দিয়ে হয়রানীর চেষ্টাসহ মানহানির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে।

    উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের উদ্যোগে গতকাল রবিবার দুপুর ১২টায় কানাইঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কামান্ডার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হেকিম শামিমের পরিচালনায় বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন মাস্টার আনোয়ারুল হক চৌধুরী এলাকার একজন প্রবীন মুরব্বী অবসর প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও একজন সৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা।

    তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন, পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই কমিটির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ নিয়ে তাঁরই বাড়ীর পারভীন বেমগ নামে একজন মহিলা ৭২ বছর বয়সী এ বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ তার ২ ছেলে ও ভাই-ভাতিজাদের নামে থানায় সাজানো ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে মামলা করতে চাইলে কানাইঘাট সার্কেল এ.এস.পি আব্দুল করিম ও থানার ওসি তাজুল ইসলাম পি.পি এম এলাকার সরজমিনে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণ পান।

    তার পর ও এই মহিলা এবং তার সাথে থাকা কুচক্রি মহল বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক চৌধুরী সহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করলে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ও তাদের সন্তানরা যে কোন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।

    সেই সাথে প্রতিবাদ সভা থেকে এ সাজানো ধর্ষণের ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা পুলিশের প্রতি সভা থেকে আহব্বান জানানো হয়।

    প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সুবেদার আফতাব উদ্দিন, উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার নাজমুল হক, নজমুল হক, সাবেক ডেপুটি কামান্ডার খলিলুর রহমান, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার সামছুল হক সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডারগন। প্রতিবাদ সভা শেষে একটি মিলিছ শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সহ থানার সামনে প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন চত্তরে গিয়ে শেষ হয়।

  • নান্দাইলে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ।

    নান্দাইলে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ।

    নজরুল ইসলাম,নান্দাইল,(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ

    ময়মনসিংহের নান্দাইলে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নুরুল ইসলাম মাষ্টার (৬৫) এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

    ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে।অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত সহর আলীর পুত্র। তিনি পাশ্ববর্তী হোসেনপুর উপজেলার ভাগারীচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

    দরিদ্র পরিবারের ধর্ষণের শিকার শিশুটির পিতা মো.রেনু মিয়া জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার আমার মেয়েকে আমড়া খাওয়ার লোভ দেখিয়ে জোরপূর্বক ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটা এখন ঠিকমত হাটতে পারে না খেতেও পারেনা। ঘন্টায় ১৫-২০ বার প্রস্রাব করতে হয়। আমি গরিব মানুষ গাজীপুর শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। গত রোববার আমি ঢাকা থেকে বাড়ি এসে আমার স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পারি আমার চাচা নুরুল ইসলাম মাষ্টার আমার মেয়ের এই সর্বনাশ করছে।

    এঘটনার পর রোববার রাতেই নুরুল ইসলামের বাড়িতে বিষয়টি জানাই। কিন্তু তারা আমার কথার পাত্তা দেয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গত সোমবার রাতে নুরুল ইসলাম মাষ্টারের চাচাতো ভাই ভাতিজা হারিছ, ভাতিজা আমিনুল ইসলাম ও সাবেক মেম্বার আব্দুল হারিছ আমাকে প্রথমে ৩ হাজার টাকা পরে ৫ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসা করতে বলে। আমি তাতে রাজি হয়নি।

    নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে নিয়ে আসলে ডাক্তারা নান্দাইল মডেল থানায় ফোন করে বিষয়টি অবহিত করে। পরে শিশুকে থানায় এনে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয় ।

    মঙ্গলবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    আচারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন , এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আমি ঢাকায় ছিলাম এলাকায় এসে লোকজনের মুখে ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি।

    এবিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান জানান ধর্ষিতা শিশুটিকে পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

  • দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ধর্ষণ মামলার আসামি বুদু আটক।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ধর্ষণ মামলার আসামি বুদু আটক।

    দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শিশু ধর্ষণ মামলায় মোঃ ফরমান আলী বুদু (৪৯) নামে একজনকে আটক করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ। গত ৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে তার নিজ বাড়ী বারোকোনা থেকে আটক করা হয়। আটক ফরমান আলী বুদু (৪৯) ফুলবাড়ী পৌর এলাকার বারোকোনা গ্রামের মৃত সামসুদ্দিন হকের পুত্র।

    মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ২ আগষ্ট সোমবার রাতে জনৈক এক ব্যক্তির ১৩ বছরের শিশুকন্যা পৌর এলাকার পশ্চিম গৌরী পাড়া গ্রামের এক ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলে। বিষয়টি নিয়ে জনৈক ব্যক্তি তার শিশু কন্যাকে ধমক দিলে,সে ভয়ে পাশের বাড়ী সম্পর্কে চাচা ফরমান আলীর বাসায় লুকায়। সেখানে সুযোগ বুঝে ফরমান আলী তাকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় গত ৩ আগষ্ট মঙ্গলবার শিশুটির পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

    ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশ্রাফুল ইসলাম জানান, শিশুটির পিতা বাদী হয়ে মামলা করলে ফরমান আলী বুদুকে মঙ্গলবার রাতে তার নিজ বাড়ী বারোকোনা থেকে আটক করা হয়। গতকাল বুধবার তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-২।

    উল্লাপাড়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-২।

    সিরাজগঞ্জর উল্লাপাড়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষকদের গ্রেফতার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা।ধর্ষিতা কিশোরী ভেংড়ী দাখিল মাদ্রাসার দাখিল ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ।এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের ভেংড়ী গ্রামে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন ভেংড়ি গ্রামের মৃত- তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোঃ গোলাম হোসেন(৬০) ও একই গ্রামের মৃত-নূর কবিরের ছেলে মোঃ ওমর আলী(৫০) ।

    মামলা সূত্রে জানা যায় ভেংড়ি গ্রামের ভুক্তভোগী কিশোরী(১৩) গত ৮ জুলাই বিকেল ৪ টার সময় বাড়ীর পাশে মাঠে ঘাস কাটতে গেলে ওই গ্রামের ওমর আলী ও গোলাম হোসেন পাট ক্ষ্যাতের ভিতরে নিয়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির আর্তচিৎকার পাড়া প্রতিবেশিরা আগাইয়া আসলে ধর্ষণ কারীরা পালিয়ে যায়।

    এ ঘটনা গ্রাম্যসালিশের মাধ্যমে মিমাংশা করার কথা বলে কালক্ষেপন করছিল দুষ্কৃতিমহল।গ্রামে আপোষ মিমাংশা না পেয়ে বৃহস্পতিবার(১৫ জুলাই)সন্ধায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে উল্লাপাড়ায় মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমাড় দাশ জানান বৃহস্পতিবার ধর্ষিতার ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক ওমর আলী ও গোলাম হোসেনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

    পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে ভেংড়ী গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।অপর দিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে মেডিকেল টেষ্ট করা হয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় রাতের অন্ধকারে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় রাতের অন্ধকারে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দাখিল অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ধর্ষণ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ৫ জনকে আসামী করে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

    এই ধর্ষণ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের গাড়াবাড়ী গ্রামে। ভূক্তভোগী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দাখিল অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

    মামলা সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার সময় পথের মধ্যে মোড়দহ গাড়াবাড়ী গ্রামের রেজাউল করিম খাঁর ছেলে নাঈম উদ্দিন বিভিন্ন সময় উত্তাক্ত ও কুপ্রস্তাব দিতো। গত ৯ জুন আমার মেয়ে রেখে স্বপরিবারে আত্মীয়র বাড়ীতে বেড়াতে যাই।এ সুযোগে রাত ১১ টার সময় ঘরে ডুকে লম্পট নাঈম মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।ধর্ষণের পর চলে যাওয়ার সময় আমার মেয়ে কৌশলে নাঈমকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা আগাইয়া আসিয়া নাঈমকে ঘরের মধ্যে আটক করে।

    ঘটনা জানাজানির পর সুষ্ঠ মিমাংশা দেয়ার কথা বলে তার স্বজনেরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

    অদ্যবদি পর্যন্ত কোন প্রকার বিচার শালিস না পেয়ে গত শনিবার(১৯ জুন)উল্লাপাড়া মডেল থানায় ভূক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আলা উদ্দিন জানান ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার(২০ জুন) ধর্ষিতা ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিক্ষা করা হয়েছে। মামলার আসামীরা পলাতক রয়েছে।তাদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

  • রাজধানীর আশুলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ গ্রেফতার-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজধানীর আশুলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ গ্রেফতার-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজধানীর সাভার আশুলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রী(১১)কে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা তৌহিদ বিন আজহারকে (৪৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর মিরপুরের কাফরুল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এর আগে বুধবার (২০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

    গ্রেফতার মাওলানা তৌহিদ বিন আজহার নাটোর জেলা থানার গুরদাসপুরের মৃত মো. আজাহারের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকায় মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

    পুলিশ জানায় যে, কয়েক দিন আগে মাওলানা তৌহিদ বিন আজহারের স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। সেই সুযোগে চা বানানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া বিষয়টি অন্য কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখায়। পরে বুধবার দুপুরে মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালীন কৌশলে পালিয় যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবা লিখিত অভিযোগ করলে মামলা রুজু হয়। এ ঘটনার পরপর আত্মগোপনে চলে যায় অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকার মসজিদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বলেন, ভুক্তভোগী শিশুকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আসামিকে আগামীকাল শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।