Tag: ধর্ষণ

  • কমলগঞ্জে অপহরণ-ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার।

    কমলগঞ্জে অপহরণ-ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার।

    নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ১২ বছর বয়সি এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গত রবিবার রাতে কর্ণফুলীর বন্দর কাফকো সেন্টার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
    গ্রেফতারকৃত, আলাল মিয়া (১৯) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ গুলের হাওর গ্রাম এলাকার ছাবুল মিয়ার ছেলে।
    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আলাল মিয়া সপ্তম শ্রেণির (১২) কিশোরীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই কিশোরীকে তাদের বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অপহরণের পর ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। একদিন পর ওই কিশোরীকে আলালের মামার বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবার। পরে তাকে জেলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
    এদিকে ওই ঘটনায় অপহৃত কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত ৭ অক্টোবর কমলগঞ্জ থানায় আলাল মিয়াকে প্রধান আসামি করে একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে, এরপর থেকে আলাল মিয়া আত্মগোপন করে। পরে আলাল চট্টগ্রামে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানার সেন্টার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত রবিবার রাতে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।
    কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, র‍্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মোঃ নুরুল আবছার আমাদের জানিয়েছেন, অভিযান চালিয়ে আলাল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলাল মিয়া ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাই তাঁকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।
  • প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা।

    প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    এক প্রবাসীর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাধবপুর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার (১৯ নভেম্বর) রাতে মামলাটি দায়ের করেছে ভিক্টিমের মা লিপি আক্তার৷ ভিক্টিম আহম্মদপুর গ্রামের আঞ্জব আলীর মেয়ে। তরুণীর বাবা ১২ থেকে ১৩ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাসে আছেন। সূত্রে জানায়, রোববার বিকেলে ৩ টায় মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়ির বসতঘরের বারান্দায় ভিকটিম ওই প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বসিয়ে রেখে তার মা বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যান।
    এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বৈষ্টবপুর গ্রামের মরতুজ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী (৫০) এসে মেয়েটিকে টেনেহিঁচড়ে বসতঘরের একটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এসময় মেয়ের মা গোসল শেষে ফিরে এসে মেয়েকে বারান্দায় না দেখে ডাকাডাকি করতে থাকেন।একপর্যায়ে বাথরুম থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে ছুটে গেলে লিয়াকত দৌড়ে পালিয়ে গেছে। কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল কাদের জানান, ‘ওই মেয়েটি ঠিক মতো ঘুচিয়ে কথা বলতে পারে না।মাঝে মধ্যে একটুআধটু কথা বললেও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। লিয়াকত প্রায় সময়ই আঞ্জব আলীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।মেয়েটি লিয়াকতকে দাদা ডাকতো।
    তিনি আরো জানান,‘আঞ্জব আলী দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। ৪ মাস আগে তার বড় ছেলে রুবেল মিয়া (২২) কে মালয়েশিয়াতে নিয়ে গেছেন।অপর ছেলে রানা মিয়া (১৮) রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার পর থেকে লিয়াকত পলাতক। ভিকটিমের নানা আব্দুল হাশিমের সাথে কথা হয় মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসারের রুমে।তিনি জানান, ‘সরল মনে লিয়াকতকে আমরা বিশ্বাস করে ছিলাম।সে যে এমন দুঃশ্চরিত্র তা জানা ছিল না।
    এবিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
  • রামপালে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ।

    রামপালে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে সরলতার সুযোগ নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৫৩) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধর্ষক জাহাঙ্গীর হাওলাদার উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের মৃত জবেদ আলী হাওলাদারের ছেলে।
     
    ধর্ষণের শিকার কিশোরী জাহাঙ্গীর হাওলাদারের প্রতিবেশী।  তার স্ত্রী ১০ বছর যাবৎ শয্যাশায়ী ও মা অতি বৃদ্ধ হওয়ায় মানবিক কারনে আসামির বাড়িতে রান্নাসহ বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতেন ওই কিশোরী।  কিছুদিন আগে কিশোরী রান্না করার সময় আশেপাশে কেউ না থাকায় পেছন থেকে কিশোরীকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষক জাহাঙ্গীর এবং জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর এই কথা যেন কোথাও   বলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর। ধর্ষণের শিকার কিশোরী ভয়ে কোথাও মুখ খুলতে পারেনা। এরপর থেকে আসামি ভিকটিমকে নানা রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।  এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এই বিষয়টি জাহাঙ্গীর টের পেয়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাইয়ে গর্ভপাতের চেষ্টা করে।  এতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন জানতে পেরে ভিকটিমকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। এরপর থেকে জাহাঙ্গীর আত্নগোপনে চলে যান।
     
    এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ভাই এনায়েত মাঝি বাদী হয়ে রামপাল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যানত দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
     
    এরপর থেকে জাহাঙ্গীর গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ান। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ৯ (অক্টোবর) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব-৬) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে ধর্ষক জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে। 
     
    এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ এস. এম. আশরাফুল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, জাহাঙ্গীর হাওলাদার সরলতার সুযোগ নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।  ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করে।  এরপর থেকে আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। তাকে ৯ (অক্টোবর) র‌্যাব ৬ এর সহায়তায় গ্রেফতার করা হয় এবং আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। 
  • ৬৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ-৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা।

    ৬৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ-৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা।

    বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি:চারমাস আগে ৬৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ মোজাহার আলী শিশুর বাড়ির পাশের মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন তাকে । পরে আলট্রাসনোগ্রাফিতে ৪ মাসের অন্তঃস্বত্তার বিষয়টি ধরা পড়ে।  এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদি হয়ে মোজাহার আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে মোজাহার আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মোজাহার আলী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ধন্দহ বিনিময় পাড়া গ্রামের মৃত বদর আলীর ছেলে।

    পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার শিশুটির পিতার মামলায় মোজাহার আলীকে  তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। স্থানীয় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী শিশুটি।

    শিশুর বাবা জানান, তার পেটে ব্যথা হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চার মাসের অন্তঃসত্তা বলে জানান।  বিষয়টি পুলিশকে জানানোর নির্দেশ দেন তিনি।

    পরে শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঘটনার দিন বাড়ির পাশের মাঠে ঘাস কাটছিল মোজাহার আলী।  সেখানে তাকে মজা খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ডেকে নেয়। শিশুটি সেখানে যাওয়ার পর মাঠের আশে পাশে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষক মোজাহার আলী ধর্ষণ করেন তাকে । যদি বিষয়টি কাউকে জানালে গলা কেটে হত্যার হুমকিও দেন। এ ভয়ে কাউকে বলেনি। এখন তারা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

    এদিকে মোজাহার আলীকে গ্রেপ্তার করা হলেও বিচার পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। শঙ্কা দেখা দিয়েছে পিতৃ পরিচয় নিয়েও ।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান,মামলার আগে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হয়েছে। নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে অন্তঃস্বত্তার পেটের বাচ্চা । শেষ পর্যন্ত পারেনি।

    মোজাহার আলীর ছেলে ডলার হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি ।

    স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য রেজাব উদ্দিন বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের পরে বিষয়টি শুনেছি। সুষ্ট  তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করে তিনি।

    বাঘা থানার পরিদর্শক(ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, তাকে আদালতের মাধ্যমে শনিবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মোজাহার আলী। শিশুটিকে রামেক হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস-সেন্টার (ওসিসি) এ ভর্তি করা হয়েছে।
  • রামপালে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার।

    রামপালে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার।

    রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ  বাগেরহাটের রামপালে ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী রহমত আলী (২০) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
     
    শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাব -৬ এর মিডিয়া সেলের এক প্রেস ব্রিফিংএ এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
     
    আটক রহমত আলী রামপাল উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ মাহবুবুর রহমানের ছেলে।
     
    এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রামপাল থানার বড় দূর্গাপুর পুটিমারি গ্রামের স্থানীয় পলাশের ঘেরের টংঘরে ওই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। 
     
    রামপাল থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে রাকিব হোসেন সজল (২৪) ও রাসেল শেখ (২৬) নামে দুই যুবককে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।
     
    আটক রাসেল শেখ রামপাল উপজেলার পারগোবিন্দপুর গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে ও রাকিব হোসেন সজল কালেখার গ্রামের আজমল হোসেন এর ছেলে এবং অপর অভিযুক্ত গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ মাহবুবুর রহমানের ছেলে রহমত আলী (২০) এ সময় পলাতক ছিল।
     
    র‌্যাবের মিডিয়া সেল জানান, র‌্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ৬ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার গাজীপুর চৌরাস্তা  এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি রহমত আলীকে (২০) আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলেও জানান র‌্যাব।
     
    এ বিষয়ে রামপাল থানা অফিসার ইনচার্জ এস. এম. আশরাফুল আলম জানান, র‌্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ৬ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী রহমত আলীকে (২০) আটক  করে আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) রামপাল থানায় হস্থান্তর করে। আমরা আসামি রহমত আলীকে বাগেরহাট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছি।
  • মাধবপুরে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মান্নাফ মিয়া আটক।

    মাধবপুরে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মান্নাফ মিয়া আটক।

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক কিশোরী (১৫) কে ধর্ষণের অভিযোগে মো: মান্নাফ মিয়া (৩৫)  নামে এক  ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    শুক্রবার (২১ শে জুলাই) ভোররাতে উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের কবিলপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।সে ওই গ্রামের মো:  দিয়ারিশ মিয়ার পুত্র ও এক সন্তানের জনক।
    পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভিকটিম কিশোরী রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির বারান্দার রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে দুই ঘটিকার সময় মান্নাফ মিয়া  তার বন্ধু মো: সাবিদ মিয়া কে নিয়ে কৌশলে দরজা খোলে কিশোরীর রুমে ডুকে ওড়না দিয়ে তার মুখ বেধে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
    এসময় ভিকটিম কৌশলে মুখের ওড়না খুলে জুড়ে চিৎকার করলে পরিবার ও আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষক মান্নাফ মিয়া কে আটক করে। এসময় তার সহযোগী সাবিদ মিয়া দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে লোকজন নিয়ে ফিরে এসে জুড় পূর্বক তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম এর পরিবার ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চায়। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ধর্ষকের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ধর্ষক মান্নাফ মিয়া কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
    এব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে ভিকটিম এর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক ও তার সহযোগী সাবিদ মিয়ার নামে মাধবপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মাধবপুর থানার ওসি মো: আব্দুর রাজ্জাক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

    নীলফামারীর সদর উপজেলায় অবস্থিত হযরত ফাতেমা তুজ জোহরা মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সহকারী মাওলানা শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ আলো মামুন, শাহিনুর ইসলাম(৪০)কে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশের সদস্যরা।

    মেয়ের বাবার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় তার ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে গত তিন বছর যাবৎ হযরত ফাতেমা তুজ জোহরা মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক হোটেলে রেখে লেখাপড়া করাচ্ছেন। এ সুযোগে লম্পট শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন(শাহিনুর ইসলাম) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষণ করে। লজ্জায় বাবা মাসহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট মেয়ে/ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। সর্বশেষ ২৯ জুন মাদ্রাসায় একা পেয়ে একটি কক্ষে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ের বাবা শনিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন।

    নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান মেয়ের বাবা শনিবার(১ জুলাই)অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (শাহিনুর ইসলাম)এর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পুলিশ রাতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি গোড় গ্রাম কীর্তনীয়া পাড়া থেকে গ্রেফতার করে।রবিবার(২ জুলাই) সকালে আদালতের মাধ্যেম তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে গৃহবধূকে ধর্ষণ-ধর্ষক গ্রেফতার। 

    দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে গৃহবধূকে ধর্ষণ-ধর্ষক গ্রেফতার। 

    রাঙামাটির লংগদুতে ঈদের নিমন্ত্রণের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে পাহাড়ী গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।এ ঘটনায় ধর্ষক দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  ঈদের দিন (২৯ জুন) উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের ডানে আটারকছড়া গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
    এই ঘটনায় ডানে আটারকছড়া গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (২৫) এবং তিনব্রিজ বটতলা গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে রুবেল মিয়াকে(২৩) আসামী করে লংগদু থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।
    লংগদু থানা সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন পূর্ব পরিচয়ের সূত্রধরে উপজেলার ডানে আটারকছড়া গ্রামে ছিদ্দিক মিয়ার বাড়ীতে বেড়াতে আসেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ এবং তার আরো দুই স্বজন। নিমন্ত্রণ খাওয়া শেষে বাড়ী ফেরার পথে ওই দিন সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হয় পাহাড়ী  ওই নারী। পরে শুক্রবার (৩০ জুন) সকালে ধর্ষিতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে লংদু থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
    এ বিষয়ে লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল উদ্দিন জানান, ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষনের শিকার ওই নারীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের কে আটক করেছে লংগদু থানা পুলিশ।
  • সরাইলে শালিকাকে ধর্ষণ-জানাজানির পর দুলাভাই পলাতক।

    সরাইলে শালিকাকে ধর্ষণ-জানাজানির পর দুলাভাই পলাতক।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহজাদপুরে বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে আপন বোন জামাই সাইফুল ইসলামের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নয় বছরের এক শিশু।

    সোমবার সকালে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনা জানাজানির পর পালিয়েছেন অভিযুক্ত দুলাভাই সাইফুল ইসলাম।

    জানা যায়, গত রোববার বিকেলে শিশুটি বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার সকালে বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক শিশুটিকে ধর্ষণ করেন দুলাভাই।এ সময় শিশুটি কান্না শুরু করে।তার কান্না শুনে বোনসহ বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে দুলাভাই সাইফুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যায়। অসুস্থবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা রজুর পর তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় দাদা গ্রেফতার।

    ঠাকুরগাঁওয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় দাদা গ্রেফতার।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ভূল্লীতে টাকার লোভ দেখিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলার আসামি প্রতিবেশি দাদা আব্দুল খালেক মঙ্গলু (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব (১৩)।

    শনিবার (২৭ মে দুপুরে) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান।

    শুক্রবার (২৬ মে) গভীর রাতে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের জজকোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    আটক আব্দুল খালেক মঙ্গলু সদর উপজেলার ভূল্লী থানার বড়গাঁও ইউনিয়নের জাহানপাড়া গ্রামের মৃত. খরদ আলীর ছেলে।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বড়গ্রাম আলিম মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মাদ্রাসা যাওয়া আসার সময়কালে প্রতিবেশি সম্পর্কের দাদা আব্দুল খালেক মঙ্গুলু টাকার লোভ দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিতেন। এতে সেই মাদ্রাসা ছাত্রী রাজি না হলে গত ১৫ মে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেই ছাত্রীকে কৌশলে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মঙ্গলু। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে মঙ্গুলুকে আসামি করে ভূল্লী থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন।

    ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), আতিকুর রহমান জানান, মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার মামলার আসামি আব্দুল খালেক মঙ্গলুকে র‍্যাবের মাধ্যমে আটক করা হয়েছে। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করলে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।