Tag: ডিমলা

  • ডিমলায় তেল জাতীয় ফসল সরিষার বীজ ও সার বিতরণ।

    ডিমলায় তেল জাতীয় ফসল সরিষার বীজ ও সার বিতরণ।

    . ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    “তামাক চাষ বর্জন করি, ধুমপান মুক্ত দেশ গড়ি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের তামাক চাষে নিরুৎসাহিতকরণ প্রকল্পের আওতায় নীলফামারীর ডিমলায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে তেল জাতীয় সরিষার বীজ সার ও উপকরন বিতরন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৮নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ও বাস্তবায়নে এবং কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে, উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৩০০ কৃষকের মাঝে এসব সরিষা ফসলের উপকরণ বিতরণ করা হয়।
    নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন এঁর সভাপতিত্বে ও সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী৷

    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী’র অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন।

    বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, তামাক হচ্ছে মানবদেহের সবচেয়ে ক্ষতিকর একটি ফসল, এই তামাক সেবনের ফলে মানবদেহে ফুসফুসে ক্যান্সারসহ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তামাকসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক জাত দ্রব্য ব্যবহার করার ফলে উঠতি বয়সের কিশোর ও যুবকদের অকালে মৃত্যুও হচ্ছে। তাই আসুন আমরা তামাক চাষ আবাদ ছেড়ে দিয়ে অন্যন লাভজনক ফসল বেশি চাষ করি।
    এসময় আরও বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা সিদ্দীকা, খোগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন৷

    উল্লেখ্যঃ প্রতিজন কৃষককে সরিষা বীজ ১.৫ কেজি, ডিএপি ২০ কেজি, এমওপি সার ১০ কেজি, জিবসাম ১০ কেজি, বোরন ১ কেজি, ছত্রাকনাশক ইম্প্রোডিয়ন ১০০ গ্রাম, ও প্রদর্শনী সাইনবোর্ড ১টি করে দেওয়া হয়েছে।

  • ডিমলায় আমন ধানের বীজতলায় বিষ প্রয়োগ, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষক।

    ডিমলায় আমন ধানের বীজতলায় বিষ প্রয়োগ, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষক।

    ডিমলায় আমন ধানের বীজতলায় বিষ প্রয়োগ, ক্ষতিগ্রস্থ্য স্থানীয় কৃষক।


    নীলফামারীর ডিমলায় আমন ধানের চারায় বিষ প্রয়োগে ১৮ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। রবিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সরে জমিনে দেখা যায়, উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের সীমান্ত পাড়া (নওদাপাড়া) গ্রামের ১৮ জন কৃষকের প্রায় এক একর জমির আমন ধানের চারাগুলো হলুদ বিবর্ণ হয়ে খড়ের মত শুকিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় কৃষকদের নজরে আসলে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ডিমলা থানার পুলিশ ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকের মাঠ পরিদর্শন করেছেন।

    ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা হলেন সুশিল রায়, জগবন্ধু রায়, দিনাবন্ধু রায়, মধুসূদন রায়, ধুনিয়া রায়, বীরেন্দ্র নাথ রায়, ধনঞ্জয় রায়, সন্তোষ রায়, হরনাথ রায়, জগন্নাথ রায় সহ আরো অনেকে। কৃষক জগবন্ধু জানান, চলতি আমন মৌসুমে ধানের চারা রোপনকে সামনে রেখে নিজের ২০ শতক জায়গায় ধানের চারা রোপন করেছি। জমি রোপনের জন্য প্রস্তুত করব কিন্তু রোপনের আগ মুহুর্তে ধানের চারাগুলো লালচে হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে।

    ভূক্তভোগী কুষক সন্তোষ রায় বলেন, আমাদের এলাকার অনেক কৃষকের বীজতলা রাতের অন্ধকারে বিষ ছিটিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বীজতলা নষ্ট করে দেওয়া এ কেমন ধরনের শত্রুতা ? কৃষক বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আমরা সাধারন কৃষক ধানের উপর নির্ভশীল ভরা মৌসুমে বীজতলা নষ্ট করে দেয়ায় অন্ধকার দেখছি। নতুন করে বীজতলা তৈরী করে চারা রোপন করা সম্ভব নহে। এই বীজতলা থেকে প্রায় ৩০ একর জমি রোপন করা যেত। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা গোলাম হোসেন জানান,ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের মাঠ পরিদর্শন করা হয়েছে।

    সরে জমিনে দেখা যায় আগাছা দমনের ঔষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষকের বীজতলা নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের তালিকা তৈরী করে উর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নানা পরামর্শ দিচ্ছি। সরকারী সহায়তা এলে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের সহায়তা করা হবে। ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বদেব রায় বলেন, ঘটনা পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত চলমান। ঘটনাটি খুবই দূঃখজনক ।

  • আষাঢ় মাস শেষ হতে চললো বৃষ্টি নেই ডিমলায়।

    আষাঢ় মাস শেষ হতে চললো বৃষ্টি নেই ডিমলায়।

    আষাঢ় মাস শেষ হতে চললো বৃষ্টি নেই ডিমলায়


    আষাঢ় মাস শেষ চললেও আকাশের বৃষ্টি নেই নীলফামারী ডিমলা উপজেলা সহ আশপাশের অন্যান্য উপজেলায় । কদিন ধরে প্রখর রোদের তাপ আর ভ্যাপসা গরমে দূশ্চিন্তায় পড়েছে সাধারণ জনগন। এতে শিশু সহ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। তাপ প্রবাহের কারনে সৃষ্ট ভ্যাপসা গরম ও গড় তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে এলাকা ভেদে ৩৮ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠেছে। নদী-নালা খাল বিল শুকিয়ে গেছে। আকাশের বৃষ্টি না হলে বেশির ভাগ বিপদে পরবেন এ এলাকার কৃষকেরা।

    উপজেলার দুপাশ দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা নদী, বুড়িতিস্তা নদী, নাউতারা নদীসহ ছোট ছোট জলাশয়। প্রতিবছর আষাঢ় মাসে বর্ষায় ছোট বড় বয়ে যাওয়া নদীগুলো দু-কুল প্লাবিত করে আশপাশের জমিগুলোকে প্লাবিত করে। কিন্তু আষাঢ় শেষ হলেও নদ-নদীতে পানি নেই। উপজেলা কৃষকেরা প্রখর রোদের তাপ সহ্য করতে না পেরে আকাশের পানে তাকিয়ে আছে । একটু মেঘ দেখলেই আশাবাদী কিন্তু আকাশে বৃষ্টি নেই।

  • ডিমলায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে কর্মশালা।

    ডিমলায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে কর্মশালা।

    ডিমলায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে কর্মশালা


    নীলফামারীর ডিমলায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্মন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে ও উপজেলা প্রশাসনের আয়েজেন এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার রোধ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম, নীলফামারী জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের সহকারী পরিচালক মোঃ শরীফ উদ্দিন, সহকারী কমিশনার ভূমি ইবনুল আবেদীন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম, ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বদেব রায়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ আয়েশা সিদ্দিকা, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মেজবাহুর রহমান ডিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফর রহমান সহ উপজেলার সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

  • ডিমলায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে দেশী প্রজাতির মাছ নিধন।

    ডিমলায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে দেশী প্রজাতির মাছ নিধন।

    ডিমলায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে দেশী প্রজাতির মাছ নিধন।


    নীলফামারীর ডিমলার দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন জলাশয়, খাল-বিলে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী কারেন্ট জাল দিয়ে চলছে অবাধে দেশী প্রজাতির মাছ নিধন। এসব জালে ছোট ছোট দেশী প্রজাতির মাছ অবাধে নিধন হচ্ছে ।

    এতে দেশি নানা প্রজাতির মাছ অবাধ বিচরন ও হারিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যক্তিরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে কোন ভ‚মিকা নেই বলে অভিযোগ তাদের। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি হাট-বাজার থেকে জাল ব্যবসায়ীদের নিকট পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা উচ্চদরে এই নিষিদ্ধ জাল ক্রয় করে জলাশয়,খাল-বিলে দিয়ে দেশি প্রজাতির মাছ নিধন করেছেন।

    সরেজমিনে জলাশয়ে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সর্বত্র এলাকায় নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী কারেন্ট জাল দিয়ে দেশি মাছের নিধনে অবাধ ব্যবহার। লোহার রডের চর্তুভুজ ও গোলাকার আকৃতির কাঠামোর চারপাশে জাল দিয়ে মোড়ানো এই ফাঁদ।

    এক একটি জালের দৈর্ঘ্য ৫০ থেকে ৮০ হাত পর্যন্ত। অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জলাশয়, খাল-বিলে এই জাল দিয়ে দেশি প্রজাতির মাছ নিধন করছে। মাছ বেশি ধরা পড়ায় স্বল্প পরিশ্রমে স্থানীয় মাছ শিকারীদের কাছে নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়।

    উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সহিদুল ইসলাম জানান, এই জাল দিয়ে মাছ ধরলে ভবিষ্যতে খাল-বিলে দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যাবে না। এই জাল খুবই ভয়ংকর ! দেশী ছোট মাছ নয় এর সাথে আটকা পড়ছে অন্যান্য প্রজাতির মাছও।

    গত ১৭ মে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত ডিমলা বাবুরহাট বাজারে বিভিন্ন জাল ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান পরিচালনার সময় একজন ব্যবসায়ীর গোডাউন হতে ২০০ মিটার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দসহ ঐ ব্যবসায়ীকে মৎস্য সংরক্ষন ১৯৫০ সালের আইন মোতাবেক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করলেও স্থানীয় বাজারে জাল ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে ও গোপনে মাছ শিকারীদের কাছে এই জাল বিক্রি করে আসছে।

    ডিমলা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) আগুরি বেগম জানান, আমার প্রচার চালিয়েছি । অভিযান অব্যাহত আছে । কেই যদি এই ধরনের জাল বিক্রি বা ব্যবহার করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • ডিমলায় দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন।

    ডিমলায় দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন।

    ডিমলায় দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন


    নীলফামারীর ডিমলায় দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল ১০.৩০ টায় অক্সফার্ম ইন বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তায় পল্লীশ্রী ও রমিছা ডোইরী ফার্ম এর যৌথ উদ্দোগে বালাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাটে দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার সংসদ সদস্য, নীলফামারী-০১।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন আশিষ অশোক ডামেল, কান্ট্রি ডিরেক্টর, অক্সফার্ম ইন বাংলাদেশ। সভা প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শামিম আরা বেগম, নির্বাহী পরিচালক, পল্লীশ্রী, দিনাজপুর।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমান, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন, বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী,পল্লীশ্রী রি-কল ২০২১ প্রকল্পের সমন্বয়কারী পুরান চন্দ্র বর্মন, ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর শারমিন আক্তার ও গোলাম মোস্তফাসহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রেনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।এতে অংশগ্রহন করেন দুগ্ধ খামারী এবং স্থানীয় সুধীবৃন্দ।

    এসময় প্রধান অতিথি বলেন পল্লীশ্রী রি-কল প্রকল্পের সহযোগীতায় ও অক্সফার্ম ইন বাংলাদেশের অর্থায়নে ডিমলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ পুরন হলো। এখন ডিমলাবাসী ন্যায্য মুল্যে উৎপাদিত দুধ এখান থেকে বাজারজাত করতে পারবে।

  • ডিমলায় কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য।

    ডিমলায় কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য।

    ডিমলায় কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য।

    মোঃ হাবিবুল হাসান হাবিব, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ নীলফামারীর ডিমলার কৃষকেরা চলতি মৌসুমে বিভিন্ন হাটবাজার থেকে ক্রয় ও নিজের উৎপাদিত সংরক্ষিত আমন ধানের বীজ দিয়ে আমন ধানের বীজতলা তৈরী করে বপন করে। কিন্তু এবারের আবহাওয়া অনুকুল না থাকায় কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে স্থানীয় কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।

    এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা অতিবৃষ্টি ফলে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। বালাপাড়া ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক কামরুল হাসান হেলাল জানান আমি ৫ একর জমির বীজতলা তৈরী করে বীজ বপন করেছি বর্তমানে সেই বীজ দিয়ে ২ একর জমি রোপন করা সম্ভব হবে না।

    উপজেলার স্থানীয় অনেক কৃষকের এই একই অবস্থা। উত্তর তিতপাড়া গ্রামের বাদশা সেকেন্দার ভুট্টু জানান, বীজতলা তৈরী করে আমন ধানের বীজ রোপন করেছি টানা বৃষ্টির ফলে চারা নষ্ট হয়ে গেছে পূণরায় বীজতলা তৈরী করে আমন ধানের বীজ বপন করেছি। রবিবার (১৯ জুন) বিকেলে ডিমলা বাবুরহাটে দেখা যায়, আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ায় অনেক কৃষক বাজারে এসেছেন আমন ধানের বীজ ক্রয় করতে।

    এসময় কথা হয় সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক শাহজালাল এর সাথে তিনি বলেন, আমিসহ এলাকার স্থানীয় কৃষকেরা আমন ধানের চারা বপন করেছি ঘনঘন বৃষ্টির কারনে অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে বাজার থেকে আবারো ধানের বীজ ক্রয় করতে এসেছি। বীজের দাম একটু বেশি ! বাজারে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে স্বর্ণা, মালি, গুটিস্বণা জাতের ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে । হাইব্রীড জাতের ধানের বীজের দাম আরো বেশি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

    শাহজালালের মত অনেকে হাটে এসেছে আমন ধানের বীজ ক্রয় করতে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, অতিবৃষ্টির ফলে নিচু এলাকায় অনেক কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।

    সরকারী প্রনোদনার বীজ বরাদ্ধ হলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের মাঝে আমন ধানের বীজ বিতরন করা হবে। কৃষকেরা ব্রিধান-৭১, ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-৮৭, ব্রিধান-৯৫, বিনা ধান-১৭, বিনা ধান-২২ উন্নত জাতের আমন ধান চাষ করলে আগাম ফলন পাবে এবং ঐ জমিতে রবিশস্য সরিষা, সূর্য্যমূখী, ভুট্টা, আলু, বাদাম ও বোরো ধান রোপন করতে পারবে।

  • ডিমলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।

    ডিমলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।

    ডিমলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।

    অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে  নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। নদীর তীব্র স্রোতে মসজিদ পাড়া গ্রামের স্বপন বাঁধটি প্রায় ৫০ ফিট রাস্তা ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা তিস্তা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়। আর পানিবন্দি হয়ে পড়ে তিন শতাধিক পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমি ও মাছের ঘের। বসত ভিটায় উঠে কোমর ও হাঁটু পানি। বসতবাড়িতে পানি উঠায় অনেকে আশ্রয় নেয় উঁচু গাইড বাঁধে।
    শনিবার (১৮ই জুন) সকালে ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তেলির বাজার (মসজিদ পাড়া) গ্রামের পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন।
     এ সময় তিনি পানিবন্দি হওয়া দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে ২০ কেজি চাল, শুকনা খাবার, খাওয়ার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন।
     এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য পানিবন্দি এলাকায় ডিমলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্তৃক একাধিক টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।
    এবারের বন্যায় ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি এবং গয়াবাড়ি ইউনিয়নের একাংশের প্রায় তিন হাজারের অধিক পরিবার নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
    এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলমসহ অত্র ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ।
     উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত  হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই, আসতেই পারে। আমাদের নিকট পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। একজন মানুষও অভুক্ত থাকবে না। এটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার।
  • তিস্তা ক্যানেলে গোসল করতে নেমে এক কিশোর নিখোঁজ।

    তিস্তা ক্যানেলে গোসল করতে নেমে এক কিশোর নিখোঁজ।

    তিস্তা ক্যানেলে গোসল করতে নেমে এক কিশোর নিখোঁজ।

    নীলফামারী ডিমলায় তিস্তা ক্যানেলে গোসল করতে নেমে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ জুন) বিকালে বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলা শেষে তিস্তা ক্যানেলের ব্রীজ হতে চার বন্ধু গোসল করার জন্য ব্রীজ থেকে লাফ দেয়। তিন বন্ধু তিস্তা ক্যানেল থেকে উপরে উঠে আসলেও শাহিন ইসলাম (১২) নামে এক কিশোরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনবন্ধু শাহিন ইসলামের নিখোঁজের বিষয় স্থানীয় গ্রামবাসীকে জানাইলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা শাহিনকে উদ্ধারে জন্য ক্যানেলে খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধান পায় নাই।
    স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইউনিটকে সংবাদ দেয়। নিখোজ শাহিন ডিমলা উপজেলা নাউতারা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের নুরুজ্জামান এর ছেলে।
  • মহানবী(সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ডিমলায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ।

    মহানবী(সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ডিমলায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ।

    মহানবী(সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ডিমলায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ।


    ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতাদের কর্তৃক মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশের ন্যায় ডিমলায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

     

    ভারতীয় একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেন নূপুর শর্মা। পরে একই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট দেন নাভিন কুমার জিন্দাল।

     

    এ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই নেতা কর্তৃক মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছে না বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ।

     

    এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে মহানবী (সাঃ) এর প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন পোস্টও দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার (১০ই জুন) বাদ জুম্মা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ব্যানারে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা।

     

    জুম্মার নামাজের পর ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় ‘বিশ্বনবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান, ‘ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান, ভারতীয় পন্য বর্জন করুন নবীর সম্মান রক্ষা করুন ইত্যাদি স্লোগান দেন সর্বস্তরের তৌহিদী মুসলিম জনতা। সমাবেশে আগত বক্তারা বলেন, রাসুলকে (সাঃ) কে নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন বিজেপির দুই নেতা। এর প্রতিবাদে মুসলমানরা আজ জেগে উঠেছে সারা দুনিয়ায়। বক্তারা আরো বলেন, বিশ্বনবীকে নিয়ে কটূক্তি কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না।

     

    সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে সরকারও এর প্রতিবাদ জানাবে। সমাবেশে ডিমলা সদর ইউনিয়ন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।