Tag: ডিমলা

  • তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় একজন নিখোঁজ।

    তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় একজন নিখোঁজ।

    তিস্তা নদী ব্যারেজ এলাকার উজানে তিস্তা নদীতে নৌকা ডুবিতে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছে।নিখোঁজ ব্যক্তির নাম কোরবান আলী (৬৫)। সে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার গুড্ডিমারী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি নদী ভাঙনের কারণে ডিমলা উপজেলার বাইশপুকুর (শিলট্যাব) এলাকায় বসবাস করেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোরবান আলী গুড্ডিমারী চর থেকে ছেলে মেয়ে ও নাতী-নাতনীদের নৌকায় করে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্য তিস্তা নদী পাড়ি দেন। ডিঙি নৌকাতে অতিরিক্ত লোকজন উঠায় নৌকাটি পানিতে ডুবে যায়। সকলে উদ্ধার হলেও কোরবান আলীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় লোকজন নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও এখন পর্যন্ত কোরবান আলীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। ডিমলা থানার পুলিশ ও দোয়ানী ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিখোঁজ কোরবান আলীকে উদ্ধারের জন্য রংপুরের ডুবুরি দলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

  • শপথ নিলেন ডিমলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজ সরকার।

    শপথ নিলেন ডিমলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফিরোজ সরকার।

    নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ডিমলা সদর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এ,এইচ,এম, ফিরোজ সরকারের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শপথবাক্য পাঠ করান নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পঞ্চজ ঘোষ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন। নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পঞ্চজ ঘোষ নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এ,এইচ, এম,ফিরোজ সরকারকে জনগনের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার আহব্বান জানান।

    উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, ৩নং ডিমলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম সরকার গত ১৪ ডিসেম্বর মৃত্যুবরন করায় চেয়ারম্যান পদে পদটি শুন্য হওয়ায় গত ১৬ মার্চ ডিমলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

    চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী এ,এইচ,এম ফিরোজ সরকার (নৌকা) প্রতীক বিজয়ী হন। গত ০৬ এপ্রিল [স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৩ দ্রষ্টব্য] চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত ঘোষিত প্রার্থীর নামের তালিকা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে।

    শপথ গ্রহনকৃত চেয়ারম্যান এ,এইচ,এম,ফিরোজ সরকার বলেন,শপথ বাক্যের প্রতিটি কথা আমি মেনে চলব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে ইউনিয়নের সকল জনগনকে সেবার মাধ্যমে এবং সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

  • ডিমলায় প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন।

    ডিমলায় প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন।

    . ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্ভোধন করা হয়েছে। উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রানিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) অর্সথায়ন ও সহযোগিতায় ২৫ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) সকালে ডিমলা উপজেলা পরিষদ মাঠে দিনব্যাপি প্রানিসম্পদ মেলা উদ্বোধন করা হয়।

    মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দীন সরকার এমপি, গেস্ট অব অনার ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে মেলায় স্বাগত বক্তব্য দেন ডাঃ মদন কুমার রায়, উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা,ডিমলা,নীলফামারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইচ চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মোছাঃ আয়েশা সিদ্দিকা, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লাইছুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বদেব রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, উপজেলা প্রানিসম্পদ সম্প্রসারনের কর্মকর্তা কর্মচারীগনসহ এল,এস,পি বাদশা সেকেন্দার ভুট্টু। মেলায় বিভিন্ন খামারীদের ৪২ টি স্টল অংশগ্রহন করে। সমাপনী অনুষ্ঠানে খামারীদের মাঝে ৬ টি ক্যাটগরিতে ১ম,২য় ও ৩য়দের পুরস্কার বিতরন করা হয়।

  • ডিমলায় ব্রীজ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করলেন-আফতাব উদ্দিন এমপি।

    ডিমলায় ব্রীজ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করলেন-আফতাব উদ্দিন এমপি।

    নীলফামারীর ডিমলায় ডিমলায় ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ব্রীজ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করলেন স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার।

    প্রোগ্রাম ফর সার্পোটিং রুরাল ব্রীজেস শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬০.০৬ মিটার লম্বা আর সিসি গার্ডার ব্রীজ বাবুরহাট জিসি (সরদারহাট) হইতে জলঢাকা ডালিয়া আর এন্ড এইচ (তালতলা) ভায়া নাউতারা বাজার রাস্তায় ৩৫৭৪ চেইনেজ মিটার ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তুর নির্মাণ কাজ বুধবার (২২-ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে ডিমলা-নাউতারা সড়কের পাশে ঠুটারডাঙ্গায় এ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

    উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ডিমলা সদর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন , নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার৷

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম, নাউতারা ইউপি চেয়ারম্যান আশিক ইমতিয়াজ মোরশেদ মনি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু। এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • ডিমলায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত।

    ডিমলায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি :

    নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ উপলক্ষে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি পালিত হয়েছে।

    দিবসটি উপলক্ষে রাত ১২ টা ১ মিনিটে ডিমলা উপজেলা প্রশাসনসহ সকল রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, ডিমলা থানা পুলিশ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপজেলা বিজয় চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে এবং সকল শহীদের প্রতি মোনাজাত করে।

    এছাড়াও ২১ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলার সকল সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ভাবে উত্তোলন ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি প্রভাতফেরী র্র্যলী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে ডিমলা বিজয় চত্তরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

    পরে শহীদ মিনারের পাদদেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংসদ সদস্য (ডোমার-ডিমলা) নীলফামারী -১ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌস পারভেজ, ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ আয়েশা সিদ্দিকা, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ লাইছুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বদেব রায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, পিআইও অফিসার ফেরদৌস আলম, ৩নং ডিমলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এএইচএম ফিরোজ সরকার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ডিমলা উপজেলার আহবায়ক আবু সায়েম সরকার, ডিমলা সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোকলেছুর রহমান সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আলোচনা শেষে শ্রেনী ভেদে শিশু-কিশোদের চিত্রাংকন এবং ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর আলোকে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

  • ডিমলায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা, স্থানীয়দের মানববন্ধন

    ডিমলায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা, স্থানীয়দের মানববন্ধন

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টায় দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার ও সুশিল সমাজ। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২ টায় ছাতনাই কলোনী বাজারে আঃ মালেকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়।

    এসময় বক্তব্য রাখের তালতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন, আ,লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার বুলু, গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, আব্দুল লতিফ মিন্টু প্রধান শিক্ষক ছাতনাই কলোনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সহ স্থানীয় জনসাধারন ও ছাত্র/ছাত্রীগন । পঞ্চম শ্রেনীর ভুক্তভোগী ছাত্রী তালতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্রী। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়ার জন্য ঐ শিক্ষার্থী নিজ বাড়ী হইতে বিদ্যালয়ে যায়। আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিদ্যালয় হইতে ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীকে আঃ মালেক তার নিজ বাড়ীতে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেন ।

    সে সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চিৎকার চেচামেচি করলে আঃ মালেক পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কান্নাকাটি করে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে ঘটনাটি জানাইলে বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ পায় ।

    এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা ঘটনার পর আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক সংবাদকর্মীদের জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে ডিমলা থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • ডিমলা সরকারী হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের শুভ উদ্ভোধন।

    ডিমলা সরকারী হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের শুভ উদ্ভোধন।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটারের শুভ উদ্ভোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অপারেশন থিয়েটারের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান, আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কুঞ্জকলি, ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ডাঃ ইল্লিন বিনতী, অপারেশন থিয়েটার ইনচার্জ জয়া রায়। আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধনের পর দুপুর ১২ টায় উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের টুনিরহাট গ্রামের প্রসুতি তানিয়া আক্তারের সিজারের মাধ্যমে অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম চালু করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান সংবাদকর্মীদের বলেন অস্ত্রোপাচারের পর নবজাতক ও প্রসুতি মা তানিয়া আক্তার সুস্থ্য আছেন বলে নিশ্চিত করেন।

    প্রসুতি তানিয়া আক্তারের বাবা তোজাম্মেল হক বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৪২ বছর পর এই প্রথম ডিমলা সরকারী হাসপাতালে অপারেশন চালু হয়েছে। আমার মেয়ে সরকারী হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপাচার করে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করায় খুব খুশি। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান বলেন অপারেশন থিয়েটার চালুর মাধ্যমে উপজেলার সকল প্রসুতি মায়েরা বিনামুল্যে নরমাল ও সিজারিয়ান ডেলিভারীর সুবিধা পাবেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, সিজারিয়ান সেকশনের মধ্য দিয়ে ডিমলা উপজেলার স্বাস্থ্য খাতে এক নতুন দিগন্তের সুচনা হলো। আজ হতে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সার্জারী শুরু হলো। আশা করি ডিমলা উপজেলার মানুষজন আর কস্ট করে রংপুর বা নীলফামারী যেতে হবে না। ডিমলাতেই সুচিকিৎসা পাবে।

  • ডিমলায় অবাধে ফসলি জমির মাটি কর্তন ও বিক্রির মহোৎসব।

    ডিমলায় অবাধে ফসলি জমির মাটি কর্তন ও বিক্রির মহোৎসব।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধি-

    নীলফামারীর ডিমলা অবাধে চলছে ফসলি জমির মাটি কর্তন, বিক্রির মহোৎসব। ভূমি সুরক্ষা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে মাটি-বালু ব্যবসায়ীরা । কৃষি জমি কেটে বানানো হচ্ছে গভীর পুকুর। এদিকে একের পর এক কৃষি জমি থেকে এভাবে মাটি কেটে নেওয়ায় কমে যাচ্ছে কৃষি জমি । জমির মালিকেরা মোটা অঙ্কের টাকার লোভে আবাদি জমির মাটি কেটে জমি নষ্টে সহায়তা করছেন।

    সোমবার (৩০ শে জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে ভাঙ্গারপুল এলাকায় দেখা যায় আবাদি জমির মাটি এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে জমির মাটি-বালু টাকার বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তির নিকট বিক্রির দৃশ্য। ওই গ্রামের আইনুদ্দিনের বাড়ির নিকটে ফসলি জমিতে কয়েদিন যাবত চলছে মাটিকাটা ও বিক্রির এই কাজ।

    ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, জমির মালিক একই গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৫) সহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ব্যক্তি অর্থের বিনিময় মাটি-বালু বিক্রি করে আসছে। যার কারণে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীরা জানান, অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করায় নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি ।

    পুকুর খননের নামে মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বহনের কাজে ব্যবহারিত গাড়িগুলোর ফলে চলাচলে নষ্ট হচ্ছে অন্যন্য আবাদি জমি রাস্তা। বিক্রেতা ও ক্রেতারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কোনোভাবেই মাটিকাটা বন্ধ করতে পারছি না। তাই আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে মাটি কতর্ন, বিক্রি ও আবাদি জমিতে পুকুর খননের কাজ বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আবাদি জমিতে পুকুর খননকারী রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাটি কর্তনের বিষয়ে সরকারি অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমির মালিক নিজের জমিতে পুকুর কাটবে, এখানে সরকারি কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আমি নিজের জমিতে মেশিন দিয়ে মাটি কাটছি, এখন অতিরিক্ত মাটি বিক্রি করবো।

    স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, এভাবে মাটি কাটার বিষয়গুলো একের পর এক স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও রহস্যজনক কারণে এসব মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। যার কারণে বন্ধ হচ্ছে না কৃষি জমি। অন্যদিকে ট্রাক্টরের টলিতে দিয়ে মাটি আনা-নেওয়ার ফলে গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। অত্র ইউনিয়নের গাছবাড়ি গ্রামের অটোরিকশা (সিএনজি) চালক মুসলিম উদ্দিন ও ভ্যানচালক ইব্রাহিম মিয়া গাছবাড়ি বাজারের একটি চা স্টলে আলাপকালে বলেন, রাস্তাঘাট যতই ঠিক করা হোক না কেন লাভ নেই, কারণ মাটি বিক্রি বন্ধ না হলে ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ হবে না। ট্রাক্টরের কারণে পাকা সড়কের পিচ উঠে যায় ও গর্ত সৃষ্টি হয়। কাঁচা সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্ত হয়, যা দেখার ও বলার কেউ নেই।

  • ডিমলায় কৃষকের সরিষা ক্ষেত নষ্ট, হাল চাষ করে বোরো ধান রোপন।

    ডিমলায় কৃষকের সরিষা ক্ষেত নষ্ট, হাল চাষ করে বোরো ধান রোপন।

    ডিমলা( নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় কৃষকের সরিষা ক্ষেত নষ্ট,হাল চাষ করে বোরো ধান রোপন। জানা যায়, সারাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষককে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় মাঠ পর্যায়ের চাষীদের মাঝে পেঁয়াজ, ভুট্টা, টমেটো, সরিষা, গম, খেসারি, সূর্যমুখী ও বাদাম বীজ বিতরণ করা হয়েছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় বিনামূল্যে। তালিকাভুক্ত চাষীদের প্রত্যেককে ২০ কেজি গম, ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ, আট কেজি খেসারি, ১০ কেজি ভুট্টা, দুই কেজি সরিষাসহ বিভিন্ন পরিমাণে বীজ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে তেল জাতীয় শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় খগাখরিবাড়ী ইউনিয়নের দোহল পাড়া মৌজার কামার পাড়া গ্রামে সরকারি প্রণোদনার বীজ নিয়ে সরিষা চাষ করে কপাল পুড়েছে প্রায় ৪৫/৫০ জন কৃষকের। কৃষি অফিসের বিতরণ করা সেই বীজে যৎসামান্য সরিষার গাছ হলেও কোন দানা নেই। মনের দুঃখে অনেকেই গো-খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করছে সরিষার গাছ। সরিষা না হওয়ায় কোথাও পড়ে আছে ফাঁকা মাঠ। কেউ আবার সরিষা ক্ষেতে পানি ঢুকাচ্ছে ইরি ধান রোপনের জন্য। আর এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে ওই অঞ্চলের কৃষকরা। আবাদি জমিতে হাল চাষ করে সরিষা না হওয়ার কারণে অনেকেই এবার সরিষা চাষই করতে পারবেন না। এতে একদিকে তারা ফলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অন্যদিকে জমি প্রস্তুত ও চাষের শুরুতে কৃষকদের বেশকিছু টাকা খরচ হয়ে গেছে। এতে অনেক অসচ্ছল কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। বিঘ্নিত হলো তেল জাতীয় শস্য উৎপাদন। সরেজমিনে দেখা গেছে, কামার পাড়া গ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকার বেশিরভাগ জমির অনেক জায়গায় একটিও চারা গজায়নি কোথাও আবার ২/১টি গাছ হলেও তাতে ফুল নেই কোথাও আবার ১/২ হাত পর পর ২/৩ টি গাছ। সরিষা চাষিরা বলছেন, মূলত সরকারি প্রণোদনার বীজেই এই সমস্যা হয়েছে। চাষীরা বলছেন, এসব বীজ মেয়াদোত্তীর্ণ ও অত্যন্ত নিম্নমানের। সরকারি বিপুল অর্থ ব্যয় করে এসব নিম্নমানের বীজ কিনে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে সরকারি অর্থের ব্যাপক তছরুপ হচ্ছে আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। কামার পাড়া এলাকার কৃষক শামসুল হক বলেন, ডিমলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে এই বীজ দিয়েছিলো, আমি ক্ষেতে ছিঁটালে ১/২টা সরিষার গাছ হলেও বাকিগুলোর কোন গাছ হয়নি। সরিষা চাষি তরিকুল ইসলাম জানান, কৃষি প্রণোদনার আওতায় ডিমলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের এই বীজ দেয়া হয়েছে। এই বীজে পরবর্তী বীজ তৈরি করার জন্য লাগিয়ে একটি গাছও ওঠেনি। আমার জমিটা পড়ে থাকবে, আমি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি অভিযোগ করেন, এ বছর আমাদের কারও সরিষা হবে না, আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। একই এলাকার কৃষক আবুল কালাম বলেন, প্রণোদনার বীজ কোনো কাজে আসছে না। ২ বিঘা জমিতে সরিষার বীজ ফেলেছিলাম ২/১টা চারা বাদে কোন গাছ হয়নি। আমি গরিব মানুষ এর ক্ষতিপূরণ চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, সঠিক পরিচর্যা ও সময় মতো হয়তো সেই সরিষা চাষিরা বীজ রোপণ করেননি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কোন ক্ষতি পুরণ পাবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি তিনি দেখবেন।

  • বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদ হয় একবার।

    বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদ হয় একবার।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় কয়েক হাজার বিঘা কৃষি জমি বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। স্থানীয় কৃষকরা আমন ধান রোপন করতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঐ এলাকার কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করে। বর্ষার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ নেই। কেউ বোরো ধানের বীজতলার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত আবার কেউ পতিত জমির আইল (মাল্লি) ছাটাই ও সেচ পাম্প দিয়ে পানি তুলে যান্ত্রিক টিলার দিয়ে হাল চাষে ব্যস্ত। পতিত কৃষি জমিতে কৃষকের পরিশ্রমে ফলবে সোনালী ফসল বোরো ধান ।

    জানা যায়, বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিঃ মিঃ বুড়ি তিস্তার বাঁধটি দেশ স্বাধীনের পূর্বে নির্মিত। ১৯৮৮ সালের প্রাকৃতিক দূয্যোর্গ বন্যার পানিতে কচুবাড়ীর দলার বাঁধের অংশ প্রায় ৬০ মিটার ভেঙ্গে যায়। এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও জমির মালিকগনের নিজস্ব অর্থায়নে বাঁধটি এক সময় বাঁধা হলেও পুণরায় উজানের পানির ঢলে ভেঙ্গে য়ায়। তখন থেকে এ অবধি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে উজানের ঢল ও বুড়িতিস্তা নদীর পানি ঢুকে ভুট্টাসহ আমন ও বোরো মৌসুমে রোপনকৃত বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ৬০ মিটার ভাঙ্গা বাঁধটি সংস্কারের অভাবে এলাকার কৃষকদের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমি পতিত থাকে বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদের অনুপযুক্ত। বাঁধটি মেরামত সহ বুড়িতিস্তা নদী খননের দাবী এলাকাবাসীর।

    স্থানীয় কৃষক পাষান আলী জানান, বুড়িতিস্তা নদীর পশ্চিম পার্শ্বের বাঁধটি কিছু অংশ অনেকে আগে বন্যায় ভেঙ্গে যায়, নদীর পানি ঢুকে আমাদের জমিগুলোতে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারি না। বোরো ধানের আবাদ ছাড়া কিছুই হয়না জমিগুলোতে “বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে কৃষি জমি একবার হয় আবাদ, সে আবাদ দিয়ে কি আর সংসার চলে ”। জমির মালিক আব্দুল হামিদ জানান, বুড়িতিস্তা নদী খনন ও বাঁধটি সরকারী বরাদ্ধে মেরামত করা হলে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা আমন-ইরি দুই ফসল উৎপাদিত করতে পারবে, তখন জমিগুলো এক ফসল থেকে দুই ফসলে রুপান্তরিত হবে । এতে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবে। বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জমিগুলো বৎসরে একবার পতিত থাকে শুধু বোরো ধান চাষ হয়। বোরো ধানের উপর আর নির্ভরশীল না থেকে আমন মৌসুমে যাতে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারে সে জন্য নীলফামারী-০১ মাননীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকারের কাছে দৃষ্টি আর্কষন করছি ।

    এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, বাঁধটি মেরামত হলে জমিগুলো পতিত থাকবে না তখন আমন ধান রোপন করা সম্ভব। কৃষকেরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটেয়ে দেশের জনগনের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। সরে জমিনে দেখা যায়, বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেষা কচুবাড়ীর দলার বাঁধটি সংস্কারের অভাবে মেরামত করা হয়নি। মেরামত না হওয়ায় নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমি আমন ধান রোপন করতে পারে না ফলে কৃষকদের জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। যার ফলে প্রতিনিয়ত কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর দিনাতিপাত করছে।

    পতিত জমিগুলোতে বোরো ধান চাষাবাদ করলেও বোরো ধানকাটা মৌসুমে বুড়িতিস্তা নদীর পানি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে বোরো ধান কাঁটা মৌসুমে চাষাবাদকৃত পাঁকা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বর্ষা মৌসুমে মধ্যম সুন্দর খাতা মাঝিয়ালীর ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যায়লয়টির মাঠ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বাঁধটি বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ায় সুন্দর খাতা কচুবাড়ীর দলা হইতে খোকসারঘাট ব্রীজের উজানের কৃষি জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর পতিত থাকে।