Tag: জমি
-
পদ্মার চরে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ-২,আহত-৪।
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিরাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে জেগে উঠা চরের জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধ ২ জনসহ ৪ জন আহত হয়েছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পদ্মার মধ্যে খানপুর বাজারের দক্ষিণে সীমান্তবর্তী বাঘা-দৌলতপুরের হবির চরে এই ঘটনা ঘটেছে।জানা যায়, উপজেলার খানপুর বাজারের দক্ষিণে সীমান্তবর্তী বাঘা ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর এলাকায় পদ্মার মধ্যে হবির চরে পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ায় কিছু জমি জেগে উঠে। এই জমি বাঘা উপজেলার চাঁদপুর ব্যাংগাড়ি গ্রামের ইউনুস মন্ডলের ছেলে সাবুল মন্ডল দখলে নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। এই জমি কুষ্টিয়ার জেলা দৌলতপুর উপজেলার মাঝদিয়ার গ্রামের রহিম মন্ডলের ছেলে লিখন হোসেন মন্ডল ও নিহার হোসেন মন্ডলের ছেলে আরিফ হোসেন মন্ডল নিজের দাবি করে দখলে নিতে যায়। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাবুল হোসেন ও খেতু মন্ডলের ছেলে ফেলু মন্ডল গুলিবিদ্ধ হয়।এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় তারা। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে এই সংঘর্ষে গুরুতর আহত লিখন হোসেন ও আরিফ হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে বাঘা থানার সহকারি উপ পরিদর্শক(এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে খানপুর বাজার এলাকা থেকে আহত লিখন ও আরিফ হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। -
গোদাগাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-২,আহত-১০।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ইয়াজপুর গ্রামে জমির বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটে এসময় দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে বলে জানা যায়।
নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুল ইসলাম জানান, সকাল ৯টার দিকে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটির এবং হাতা হাতি এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে সংঘর্ষে ২ পক্ষের ৮/১০ জন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। -
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে ভাই হয়ে ভাইকে পিঠিয়ে হত্যা।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাইদের হাতে অপর ভাই নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।জানা যায়, জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাগরনাল গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল হামিদ কালা মিয়া দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সেখানে থাকা বস্থায় নিজের নামে বাড়ীর অদূরে জায়গা ক্রয় করেন। দেশে এসে এসব জায়গা নিয়ে ভাইদের সাথে ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে মত বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে কয়েকবার এলাকায় সালিশ বৈঠকে মিমাংসা না হলে কোর্টে মামলা হয়।মঙ্গলবার ২৭ জুন সকালে আব্দুল হামিদ কালা মিয়া তার জমিতে চাষ করার উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করলে তার ভাই আব্দুল জলিল, আরেক ভাই ফারুক মিয়া ও চাচাতো ভাই আব্দুল খালিক বাধাঁ দেয়। বাধাঁ না মানায় এ সময় তাকে জমিতেই পিঠিয়ে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত আব্দুল জলিল বড়লেখা উপজেলার সুজানগর সিদ্দেক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপর দুইজন সৌদি প্রবাসী।নিহতের ছেলে আপ্তাব মিয়া বলেন, আমার বাবা অসুস্থ মানুষ। আমার চাচাদের আপত্তিতে আব্বা অনেকদিন থেকে কাজ স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।সকাল আব্বা জমিতে গেলে চাচারা সেখানেই আব্বাকে হত্যা করে। আমার বাবা হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই।জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিবারের এজাহার অনুযায়ী মামলা গ্রহণ করা হবে। লাশ পোস্ট মর্ডেমের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। -
মান্দায় আদিবাসীর জমি হিন্দু সাজিয়ে রেজিস্ট্রি তোলপাড়!
তানোর প্রতিনিধি: তানোরের সীমান্তবর্তী মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নে এক আদিবাসীর জমি পারমিশন ছাড়াই হিন্দু সাজিয়ে রেজিস্ট্রি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার আব্দুর রশীদের বিরুদ্ধে।
ঠিকাদার আব্দুর রশীদের এমন জঘন্য কান্ডে রাজশাহী বিভাগ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও উঠেছে ঠিকাদার আব্দুর রশীদের শাস্তির দাবি। জানা গেছে, মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি মৌজার অন্তর্গত ১২৪৪ দাগে ১২ শতাংশ জমি ১৯৯৯ সালে কিনেন রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার রানীনগর এলাকার মৃত এরশাদ আলীর পুত্র আব্দুর রশিদ। জায়গাটি কেনার পর সেখানে মার্কেট নির্মান করেন। যার দলিল নম্বর ৪৯৩৬/১৯৯৯ ইং তারিখ ৩০/৫/১৯৯৯ ইং। মার্কেট নির্মানের পর সেখানে মান্দা উপজেলার ভাঁরশো ইউপির কালীসফা গ্রামের মৃত কিশোরী মোহন সাহার পুত্র জীবন সাহার কাছে ভাড়া দিয়ে রাখেন আব্দুর রশীদ।
স্থানীয়দের বক্তব্য ঠিকাদার আব্দুর রশীদ জীবন কুমার সাহা নামের এক সংখ্যালঘু যুবক কে দিয়ে ভাড়ার নামে জোর করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমি দখলে নিয়ে রেখেছেন। তবে জায়গাটি ক্রয়সূত্রে প্রকৃত মালিক কালীসভা গ্রামের মৃত বিমল ওরাও’র পুত্র যোনা ওরাও হলেও ঠিকাদার আব্দুর রশীদ জায়গাটি দখলে নিতে সংখ্যালঘু জীবন কুমার সাহাকে ভাড়া দিয়ে রাখেন। এতে করে প্রকৃত মালিক যোনা ওরাও আদবাসী হওয়ায় জায়গাটি দখলে নিতে পারছেনা। যদিও জায়গাটি ছেড়ে দেয়ার জন্য ঠিকাদার আব্দুর রশীদ কে একাধিক বার বললেও সে তার কথার কোন কর্ণপাত করেনি। বরং ভাড়াটে জীবন কুমার সাহাকে দিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়াচ্ছেন। যার ফলে জায়গার মালিক হয়েও যোনা ওরাও তার ক্রয়কৃত জায়গা দখলে নিতে পারছেন না।
ঠিকাদার আব্দুর রশীদের দাবি, তিনি জমিটি ক্রয় করেছেন। কিন্তু আদিবাসীর জমি ডিসির পারমিশন ছাড়া কি ভাবে ক্রয় করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি আদিবাসীর কাছে থেকে না হিন্দুর কাছে থেকে জমি কিনেছি। জায়গার ক্রয়সূত্রে প্রকৃত মালিক যোনা ওরাও বলেন,ঠিকাদার আব্দুর রশীদ আদিবাসীকে হিন্দু সাজিয়ে জায়গা ক্রয় করেছেন,আর জায়গা দখল নিতে ব্যবহার করছেন হিন্দু সম্প্রদায়কে। সে কিভাবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমি ডিসির পারমিশন ছাড়া রেজিস্ট্রি করলেন।
আবার অর্থের বিনিময়ে জায়গাটি খারিজ খাজনাও করেছেন। আমি জায়গাটি আমাদের আদিবাসীর কাছে থেকে ক্রয় করেছি। আর আব্দুর রশীদ সেই আদিবাসীদের হিন্দু সাজিয়ে জায়গা কিনেছেন বলে জায়গা দখল করে আছেন। আমরা আদিবাসী মানুষ তাকে জায়গাটি আমি ক্রয় করেছি বলতে গেলে সে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে মারমুখী ভঙ্গিতে তেড়ে আসে। এমনকি রাজশাহী কোর্টে আমার নামে বিভিন্ন মামলা দিয়ে আমাকে হাত-পা ভেঙে নদীতে ফেলবে বলে হুমকি দেন। যার জন্য আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছি, আমরা আদিবাসী মানুষ জায়গা কিনেও দখলে নিতে পারছিনা। থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন বিচার পাচ্ছিনা,তাহলে কি আমরা আদিবাসী বলে ঠিকাদার আব্দুর রশীদের টাকার জোরে কোথাও বিচার পাবো না বলে চোখে মুখে চরম হতাশা নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় সাংসদ ও প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আদিবাসী যোনো ওরাও। বিষয়টি নিয়ে মান্দা থানায় যোগাযোগ করা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি।
-
বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদ হয় একবার।
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডিমলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় কয়েক হাজার বিঘা কৃষি জমি বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। স্থানীয় কৃষকরা আমন ধান রোপন করতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঐ এলাকার কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করে। বর্ষার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ নেই। কেউ বোরো ধানের বীজতলার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত আবার কেউ পতিত জমির আইল (মাল্লি) ছাটাই ও সেচ পাম্প দিয়ে পানি তুলে যান্ত্রিক টিলার দিয়ে হাল চাষে ব্যস্ত। পতিত কৃষি জমিতে কৃষকের পরিশ্রমে ফলবে সোনালী ফসল বোরো ধান ।
জানা যায়, বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিঃ মিঃ বুড়ি তিস্তার বাঁধটি দেশ স্বাধীনের পূর্বে নির্মিত। ১৯৮৮ সালের প্রাকৃতিক দূয্যোর্গ বন্যার পানিতে কচুবাড়ীর দলার বাঁধের অংশ প্রায় ৬০ মিটার ভেঙ্গে যায়। এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও জমির মালিকগনের নিজস্ব অর্থায়নে বাঁধটি এক সময় বাঁধা হলেও পুণরায় উজানের পানির ঢলে ভেঙ্গে য়ায়। তখন থেকে এ অবধি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে উজানের ঢল ও বুড়িতিস্তা নদীর পানি ঢুকে ভুট্টাসহ আমন ও বোরো মৌসুমে রোপনকৃত বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ৬০ মিটার ভাঙ্গা বাঁধটি সংস্কারের অভাবে এলাকার কৃষকদের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমি পতিত থাকে বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদের অনুপযুক্ত। বাঁধটি মেরামত সহ বুড়িতিস্তা নদী খননের দাবী এলাকাবাসীর।
স্থানীয় কৃষক পাষান আলী জানান, বুড়িতিস্তা নদীর পশ্চিম পার্শ্বের বাঁধটি কিছু অংশ অনেকে আগে বন্যায় ভেঙ্গে যায়, নদীর পানি ঢুকে আমাদের জমিগুলোতে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারি না। বোরো ধানের আবাদ ছাড়া কিছুই হয়না জমিগুলোতে “বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে কৃষি জমি একবার হয় আবাদ, সে আবাদ দিয়ে কি আর সংসার চলে ”। জমির মালিক আব্দুল হামিদ জানান, বুড়িতিস্তা নদী খনন ও বাঁধটি সরকারী বরাদ্ধে মেরামত করা হলে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা আমন-ইরি দুই ফসল উৎপাদিত করতে পারবে, তখন জমিগুলো এক ফসল থেকে দুই ফসলে রুপান্তরিত হবে । এতে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবে। বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জমিগুলো বৎসরে একবার পতিত থাকে শুধু বোরো ধান চাষ হয়। বোরো ধানের উপর আর নির্ভরশীল না থেকে আমন মৌসুমে যাতে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারে সে জন্য নীলফামারী-০১ মাননীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকারের কাছে দৃষ্টি আর্কষন করছি ।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, বাঁধটি মেরামত হলে জমিগুলো পতিত থাকবে না তখন আমন ধান রোপন করা সম্ভব। কৃষকেরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটেয়ে দেশের জনগনের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। সরে জমিনে দেখা যায়, বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেষা কচুবাড়ীর দলার বাঁধটি সংস্কারের অভাবে মেরামত করা হয়নি। মেরামত না হওয়ায় নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমি আমন ধান রোপন করতে পারে না ফলে কৃষকদের জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। যার ফলে প্রতিনিয়ত কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর দিনাতিপাত করছে।
পতিত জমিগুলোতে বোরো ধান চাষাবাদ করলেও বোরো ধানকাটা মৌসুমে বুড়িতিস্তা নদীর পানি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে বোরো ধান কাঁটা মৌসুমে চাষাবাদকৃত পাঁকা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বর্ষা মৌসুমে মধ্যম সুন্দর খাতা মাঝিয়ালীর ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যায়লয়টির মাঠ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বাঁধটি বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ায় সুন্দর খাতা কচুবাড়ীর দলা হইতে খোকসারঘাট ব্রীজের উজানের কৃষি জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর পতিত থাকে।
-
দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল মারপিটের অভিযোগ।
. ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের সেনিহারি এলাকায় দিন-দুপুরে দেশীয় অস্ত্র ও দলবল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল ও মুজাহারুল ইসলামের পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বেলাল গং ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা।
সোমবার (০৭ নভেম্বর) ভুক্তভোগী মুজাহারুল ইসলাম এ ঘটনায় রুহিয়া থানায় অভিযোগ করেন। থানায় অভিযোগের পর থেকে জমি দখলকারীদের হামলার আতঙ্কে সময় পার করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
মুজাহারুল ইসলাম জানান, বেলালের পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত আমাদের সাথে কারণে-অকারনে ঝগড়া করে আসছিলেন। বেলাল, রুস্তম প্রতিনিয়তই আমার পরিবারকে মারধর করে বসতভিটা সহ আবাদি জমি জবর-দখলের হুমকি দেয়। গত শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে বেলাল গং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠিশোঠা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার তফশীলকৃত আবাদি জমিতে আইল দিতে গেলে আমি বাঁধা প্রধান করলে তারা ৫/৭ মিলে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আমাকে আটক করলে আমি চিৎকার করলে আমাকে বাঁচাতে হালিমা বেগম এগিয়ে আসলে বেলাল লোহার রড দিয়ে তার মাথায় জোরে আঘাত করে।
এর পর সাহেলা বেগম ও লুৎফা বেগম আসলে তাদের এলোপাথালী মারধর করতে থাকে তারা। এসময় বেলাল লোহার রড দিয়ে সাহেলার পায়ে আঘাত করলে তার দুই পা ভেঙ্গে যায় আর লুৎফার বাম পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। সেই সময় সাক্ষী সাম্মি আক্তার আমাদের রক্ষা করতে আসলে বেলালের লোকজন তার বুকের উপর উঠে এলোপাথালী মারধর ও তার পরনের কাপড়চোপড় চিড়ে শ্লীলতাহানী করেন এবং সাম্মির গলা ও হাতে স্বর্ণস্কার লুট করে নিয়ে যায় তারা। আমরা গুরুতর অবস্থায় ঘটস্থলে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে আমাদের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। আমরা বাড়িতে কেউ না থাকায় বেলালের লোকজন বাড়িতে গিয়ে আমার ভাসতী বউমাকে একা পেয়ে চুলের মুঠি ধরে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে বাড়িতে থাকা টাকা-পয়সা ও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। আমি বাদী হয়ে রুহিয়া থানায় একটি মামলা করেছি। মামলা করার পর থেকেই আসামীরা বিভিন্ন ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই সুষ্টু বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত বেলাল গং এর সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়ে মুজাহারুল ইসলামের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
ইউএনও’র হস্তক্ষেপে চেয়ারম্যানের উদ্যােগে রক্ষা পেল ফসলি জমির জলাবদ্ধতা।
ইউএনও’র হস্তক্ষেপে চেয়ারম্যানের উদ্যােগে রক্ষা পেল ফসলি জমির জলাবদ্ধতা।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পুর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের বেতুয়া, সয়বাড়ীয়া ও পুকুরপাড় গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষের কৃষি জমির জলাবদ্ধতা দুর করলেন উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ উজ্জল হোসেনের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম তপন। স্থানীয় সরকারের একটি নিচু হালটে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের দাবির প্রেক্ষিতে ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ইউএনও উজ্জ্বল হোসেনের নির্দেশে গত বুধবার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম তপন নির্মিত রাস্তার নিচ দিয়ে পাইপ স্থাপনের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করায় নিরসন হলো জলাবদ্ধতা। এই পাইপ স্থাপনের ফলে ফসলি জমির জলাবদ্ধতা দুরভূত হলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বেতুয়া, সয়বাড়ীয়া ও পুকুরপাড় গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্থানীয় সরকারের একটি নিচু হালটে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। মাঠের পানি নদীতে নিষ্কাশনের জন্য কোন জোলা বা নালা না থাকায় ঐ নিচু হালট দিয়ে পানি গড়তো। রাস্তা নির্মাণের ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে রাস্তার নিচ দিয়ে পাইপ স্থাপন করে পানির গতিপথ স্বাভাবিক করা হয়েছে। এর ফলে পানিতে ডুবে থাকা কয়েকশ একর ফসলি জমি রক্ষা পেল।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রাজ্জাক, আবুল কালাম, আমীর হোসেন, ফুলজোড় হোসেন ও কৃষাণী হাছিনা খাতুন জানান, নিচু হালটে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের ফলে পানির স্বাভাবিক গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই অবস্থা থাকলে প্রতি বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ পোহাতে হতো সাধারণ কৃষককে। পাইপ স্থাপনের ফলে জলাবদ্ধতা থাকবেনা আর ফসলি মাঠে। কৃষকের ফসল উৎপাদনে দূরভিত হলো জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবু মুছা সরকার জানান, এলাকাবাসীর অসুবিধার কারনে রাস্তা খনন করে পাইপ স্থাপনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দুর করা হয়েছে।
পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল ইসলাম তপন বলেন, কৃষকের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেনের নির্দেশে ফসলি মাঠের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে
-
লক্ষ্মীপুর বশিকপুরে জমি কিনে বিপাকে ব্যবসায়ী।
লক্ষ্মীপুর বশিকপুরে জমি কিনে বিপাকে ব্যবসায়ী
লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী আবুল কালাম ভূঁইয়ার কেনা প্রায় ১৩ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করার অভিযোগ উঠেছে। জমির পূর্বের মালিক বাহার উদ্দিন ও তার ভাই নুর নবী বাবুল জমিটি দখলে নিতে মামলা দিয়ে কালামকে হয়রানি করে আসছে। রোববার (২৯ মে) বিকেলে ভূক্তভোগী কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এরআগে ২৬ মে কালাম একই ঘটনায় বিচার চেয়ে ৬ জনের নামে চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ২৮ মে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগী কালাম সদর উপজেলার ৭নং বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত আজিজ উল্যা ভূঁইয়ার ছেলে ও স্থানীয় নাগেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী। অভিযুক্তরা বাহার ও বাবুল একই গ্রামের মৃত গোলাম মাওলার ছেলে।
অভিযোগ সূত্র জানায়, ২০২১ইং সালে কালাম ১৩.২৫ শতাংশ জমি বাহারদের কাছ থেকে ক্রয় করেন। এর পাশেই কালামের আরও ৬ শতাংশ জমি রয়েছে। সেখানে কালামের বোন ৫০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি বাহার ও বাবুল তাদের বিক্রি করা জমিটি ফের দখলে নিতে চেষ্টা চালায়। এই নিয়ে তারা কালামের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে মামলাও দায়ের করে। পরে ঘটনাটি ৩ জন আইনজীবীর মাধ্যমে মীমাংসা হয়। এতে কালাম জমির মালিক বলে প্রমাণিত হয়। বৈঠকে মীমাংসা হলে ২৬ মে বাহার ও বাবুল লোকজন নিয়ে এসে কালাম ও তার বোনের অনুপস্থিতিতে ওই জমিতে একটি ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালায়।এতে বাধা দিলে তারা কালামসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়।
বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত নুরনবী বাবুলের মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার বোন খোদেজা বেগম বলেন, জমির মালিক আমরা। কালাম জোরপূর্বক দখল করে আসছে। সেখানে ঘর নির্মাণ করলে তারা তা ভেঙে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় তারা আমাদেরকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে।